25.12.23

বস+বয়ফ্রেন্ড season4

 #বস+বয়ফ্রেন্ড #season 4

উফফ এত দেরি হয়ে গেল মেয়েটা কি আজ ও
আসবেনা? ?মেয়েটা কি দেখতে পারবনা। তার উপর এই ড্যানি বার বার
ফোন দিচ্ছে।
: হ্যালো। yes dany!
.
ড্যানি- স্যার। আপনার ১০ টায় মিটিং আর
এখন সাড়ে ৯ টা বাজে।
বড় স্যার খুব রাগ হচ্ছেন।
আপনি আজ জগিং এ আমাকেও নিয়ে যান
নি।
: আচ্ছা আমি এখনি আসছি।
বাইক স্টার্ট করে বাসার দিকে রৌনা হলাম।
আসলে ড্যানি আমার বডি গার্ড। আজ ওকে
সাথে করে আনিনি।
আর যে মেয়েটার জন্য আমি অপেক্ষা
করছিলাম ওই মেয়েকে আমি কোনো দিন ও
দেখিনি।
আমি এইখানে প্রতি দিন জগিং এ আসি।
কিন্তু হঠাত একদিন জগিং এ এসে একটা
সুর শুনলাম।মেয়ে গলায়
খুব খুজার চেস্টা করেছি কিন্তু এত মানুষ এর
ভিড়ে ওকে কখন খুজে পাইনি।
আর দেখতেও পারিনি।১০দিন এইভাবেই
কেটেছে।
প্রতি দিন একি সুর শুনতাম
কিন্তু ২ দিন ধরে আসছেনা মনে হচ্ছে।
আজ ত এতক্ষন অপেক্ষা করলাম তাও আসলনা।
বাসায় ঢুকতেই -
রাহাত খান ( নায়কের বাবা)- রাদ! !!!!!
রাদ- yes dad
( রাদ হচ্ছে গল্পের নায়ক)
.
ড্যাড-
what's the time? ?
.
raad- 10:00 am.
( মাথা নিচু করে)
ড্যাড- তোমাকে আগেই বলেছি আমি কাজে
কোনো রকম গাফেলতি পছন্দ করিনা।
রাদ- ড্যাড im sry.
sorry.
.
ড্যাড- ড্যানি! !! ড্যানি! !"
ড্যানি- yes sir!!!
.
ড্যাড- তোমার কাজ হচ্ছে রাদ এর সাথে
থাকা সবসময়।every second, every minute.
dany- sry sir.
bt রাদ স্যার আমাকে যেতে মানা করেছিল।
ড্যাড- রাদ তুমি কি ভুলে গেছ আগে কি
হয়েছিল? ? এর পর যেন আর ভুল না হয়।
রাদ- yes dad.
sry again.
.
ড্যাড- তুমি সব কিছুতে এত গাফিলতি করো
কেন? ? তোমার মত এমন হলে আমি লন্ডন এর
মত জায়গায় এত বড় এম্পায়ার গড়তে পারতাম
না।
আচ্ছা এখন নাস্তা করে অফিস যাও।
রাদ- bt dad meeting? ??
dad- meeting দেরি করে হবে আমি তোমার
পি.এ কে ফোন করে বলেছি টাইম পিছিয়ে
দিতে।
রাদ- নাস্তা করে রেডি হয়ে বের হয়ে
গেলাম।
আমি বাইকে রাইড করতে বেশি পছন্দ করি।
তাই আমি বাইকে আর ড্যানি আমার পিছনে
গাড়ি তে আসছে।
অফিসে পৌঁছে আগে মিটিং এ গেলাম।
লিলি( পি.এ)- স্যার এইযে ফাইল গুলা।
রাদ- মিটিং শেষ করে কেবিন এ গেলাম।
এত কাজের মাঝে কানে শুধু মেয়েটার সুর
ভেসে আসছে।
চোখ বুজলেই একটা অবয়ব দেখতে পাই।
আহিল- may i come in sir.
rad- yes. come.
আহিল- স্যার আজকে আমাদের নেক্সট
প্রজেক্ট এর জন্য আপনার লোকেশন দেখতে
যাওয়ার কথা ছিল।
রাদ- damn. আমি এটাও ভুলে গিয়েছিলাম।
shit.
ওকে আমি এখনি যাচ্ছি।
কোট খুলে জ্যাকেট পরে নিলাম।
বাইকের চাবি নিয়ে বের হলাম।
ড্যানি- স্যার। আপনি একা বের হবেন না
প্লিজ।
রাদ- ড্যানি কিছু দরকার হলে আমি ফোন
দিব।
আর হ্যা ড্যাড কে কিছু বলার দরকার নেই।
ড্যানি- bt sir.
.
raad- dany.
আমি ছোট বাচ্চা না।
I can take care of myself. তুমি অফিসেই
থাকো।
ড্যানি- yes sir.
রাদ- বাইকে করে লোকেশন দেখতে
যাচ্ছিলাম।
এই রোড এ তেমন গাড়ি চলেনা।
কারন লোকেশন টা শহর থেকে একটু দুরে।
ঝিরি ঝিরি বৃষ্টি ও শুরু হয়ে গেল।
আমি এর মাঝেই বাইক চালিয়ে যাচ্ছি।
হঠাত কোথা থেকে কেউ আমার বাইক এর
সামনে এসে পড়ল।
আমি জোড়ে ব্রেক মারলাম।
মেয়েটা- আ আ আ আ আ
রাদ- বাইক থেকে নেমে হেলমেট খুললাম।
মেয়েটা মুখ ২ হাত দিয়ে ঢেকে আছে ভয়ে।
মেয়েটাকে নিচ থেকে উপর পর্যন্ত
একটু দেখলাম।
স্কার্ট পড়া, ফুল হাতা গেঞ্জি, গলায় স্কার্ফ
জরানো।
এই যে মিস whatever
মেয়ে- মুখ থেকে হাত সরিয়ে what do u mean
by miss whatever? ??
raad- ok miss চার চোখ।
মেয়ে- হ্যালো আমার নাম আদর। ওকে? ?
( গল্পের নায়িকা। খুব কিউট দেখতে, লম্বা
লম্বা চুল। কোমড়ের নিচ পর্যন্ত, আর চোখে
চশমা পরা।আসলে চোখে একটু প্রব্লেম তাই
ছোট থেকেই চশমা পরে )
রাদ- তোমার নাম আদর হোক আমার বাদর
হোক তাতে আমার কি? ? তুমি এইভাবে
আমার বাইকের সামনে আসলে কেন?? কিছু
হয়ে গেলে ত আমার ই দোষ হত।
আদর- excuse me। বাইক চালাতে পারেনা।
নিজের বাবার রাস্তা মনে করে গাড়ি
চালান নাকি? ??
রাদ- এই মেয়ে mind ur language.
না হলে..
আদর- না হলে কি হ্যা হ্যা।
আংগুল দেখিয়ে।
রাদ- কিছু বলতে যাব তখন ই ফোন এল।
কথা বলতে লাগলাম।
আদর- পাজি ছেলে। হুহ।
চলে এলাম।
রাদ- কথা শেষ করে দেখি মেয়ে চলে
যাচ্ছে।
চিতকার করে বললাম- চোখ আকাশে রেখে
না চলে মাটিতে রেখে চলবে এখন থেকে।
আদর- আর আপনি বাপের রাস্তা না মনে করে
ভাল মত বাইক চালাবেন।
হুহ
রাদ- কাজ না থাকলে মেয়ের আজ খবর ছিল।
লোকেশন এ চলে এলাম।
লোকেশন টা ভাল মত দেখে নিলাম।
খুব পছন্দ হয়ে গেল প্লেস টা।
তারপর বাইকে করে অফিসে এলাম।
আহিল- স্যার লোকেশন টা পছন্দ হয়েছে /?
রাদ- খুব পছন্দ হয়েছে।
খুব সুন্দর।
আহিল- স্যার আমরা কি কাজ শুরু করে দিব? ?
রাদ- ড্যাড এর সাথে কথা বলে জানাব।
অপেক্ষা কর।
আদর - রাগে গজ গজ করতে করতে বাদায়
এলাম।
এতক্ষন ধরে কলিং বেল বাজাচ্ছি আমার মা
এর খবর নেই ।
রেহানা বেগম ( আদরের মা)- কিরে এত বার
বেল বাজায় কেউ? ? আসতেও ত সময় লাগে.
আদর- বক বক না করে সরোত। আমার মেজাজ
খুব খারাপ।
মা- কেনো রে। কি হয়েছে ।?? কার সাথে
ঝগড়া লাগিয়েছিস? ??
আদর- মা! " আমি ঝগড়া করি তুমি বলতে
পারলে? ?
মা- আচ্ছা কি হয়েছে আগে বল।
আদর- আমি রাস্তা দিয়ে হেটে হেটে বাসায়
ফিরছিলাম। আর হঠাত বলা নেই কওয়া নেইই
কোথার থেকে এক ছেলে বাইক দিয়ে দিল
আমায় ধাক্কা। আরেক্টু হলে তোমার মেয়ে
সোজা উপরে চলে যেত।
মা- কিছু হয় নি ত তোর?? দেখি দেখি কই
লেগেছে??
আদর - আরে লাগেনিত মা।
আরেক্টু হলে লাগত।
মা- দোষ ত ওই ছেলের না দোষ ত তোর।
চোখ নিশ্চয়ইই তুই আকাশে রেখে
হাটছিলি? ?
আদর- (মনে মনে) ওই ছেলে যা বলল আমার মা
ও তাই বলল? ?)
কি কি কি বললা তুমি? ? আমি আকাশে চেয়ে
হাটি? ?
মা- তা নয় ত কি? ?
এত চঞ্চল হলে কিভাবে হবেরে??
আদর- মা! ! দোষ আমার না।
মা- তুই চুপ কর।
আচ্ছা যা ফ্রেশ হয়ে নে।
আচ্ছা আগে এটা বল কলেজে তোদের
পার্ফোরমেন্স কেমন ছিল? ?
আদর- ভালই ছিল।
রাতে কিন্তু আমি বাইরে ডিনার করব ওদের
সাথে।
তুমি আমার অপেক্ষা করনা কিন্ত।
মা- আচ্ছা আচ্ছা।
রাদের ড্যাড- রাদ আজ কে একটা মিটিং
আছে রাতে।
আমার করার কথা ছিল সেটা তুমি এটেন্ড
করবে।
রাদ- বাট ড্যাড!!
ড্যাড- কোনো কথা নয়।
এবার দায়িত্ব নেওয়া শিখ।
আমি জানি তুমি অনেক ভাল বিজনেস
সামলাতে পারবে।
রাদ- ওকে।
আমি সময় মত চলে যাব।
রাতে-
আদর- (ফোনে) কিরে নিরব জলদি আয়। ৮ টা
বেজে গেল ত।
নিরব - আরে এখনি বের হচ্ছি।
আদর- আসতে ত বললাম। কিন্তু কোন জামা
পরব বুঝতে ত পারছিনা।
পরে একটা রেড শার্ট , ব্লাক জিন্স, আর
গলায় স্কার্ফ জরিয়ে নিলাম।
সাথে জ্যাকেট ও।
রাতে যে ঠান্ডা পরে।
বাইরে দাড়িয়ে নিরব এর জন্য অপেক্ষা
করতে লাগলাম
নিরব- জলদি বাইকে উঠে আয়।
আদর- বাইকে উঠলাম।
দিয়া, কেয়া, আবির ওরা কই? ?
নিরব- আবির ওদের নিয়ে চলে গেছে।
আদর- যাক ভালই হয়েছে।
রেস্টুরেন্ট এর সামনে নামলাম।
নিরব তুই ভেতরে যা আমি ফোনে কথা বলে
আসি।
মা কে ফোনে দিয়ে কথা বলে ভেতরে
ঢুকলাম ফোনের দিকে তাকিয়ে ছিলাম।
হঠাত খেলাম ধাক্কা।
ধাক্কা খেয়েই পরে যাচ্ছিলাম কেউ মনে হল
ধরল।
চোখ ভয়ে বন্ধ করে আছি।
রাদ- এই মিস চারচোখ। চোখ খোলো।
আদর- আমি চোখ খুললাম।
আরে আপনিইইইইই!!!!!!
ছাড়ুন আমাকে।
রাদ- ওকে।
বলে ছেড়ে দিলাম।
আদর- ও মা!!!!!!! আমি শেষ।
আমি উপরে তাকালাম।
দেখি হাসছে।
পাজি শয়তান।
রাদ- আমি পাজি ও না শয়তান ও না।
তুমি ছাড়তে বললে তাই ছেড়েছি।
আদর- তাই বলে এভাবে??
রাদ- হাত বাড়িয়ে দিলাম।
চলবে

#বস+বয়ফ্রেন্ড #season4
নিলান্তিকা নাদিয়া
পর্ব: ২
.
রাদ- হাত বাড়িয়ে দিলাম।
নিরব- আরে আরে কিভাবে পরলি?? হাত ধরে
উঠালাম।
রাদ- ছেলেটাকে দেখে আমি হাত সরিয়ে
নিয়ে চলে আসলাম।
আদর- না কিছুনা।
চল।
টেবিল এ গিয়ে বসলাম।
সবাই প্রশ্ন করছে কিভাবে পরেছি।
আমি একটা বানিয়ে উত্তর দিয়ে দিলাম।
রাদ- মিটিং করতে করতে ওই মেয়েটার
দিকে চোখ গেল।
দেখি আমার দিকে তাকিয়ে আছে। যেই
আমি তাকিয়েছি ওমনি মুখ ভেংচি
দিল।
আর মুখ ঘুরিয়ে নিল।
আমি মিটিং এ মোনোযোগ দিলাম।
আদর- ( মনে মনে) আমাকে বারবোখ বলা আর
সে কি? ? জংলি একটা।
চুল গুলা ঘাড় পর্যন্ত রেখেছে।
হুহ।
মেয়েদের মত বড় বড়।
জংলি একটা।
মিস্টার জংলি।)
রাদ- মিটিং শেষ করে তাকিয়ে দেখি ওরা
চলে গেছে।
আমি গাড়ি তে করে ড্যানির সাথে বাসায়
চলে এলাম।
গিটার নিয়ে খাটের পাশে বসে হেলাম
দিয়ে বসলাম।
মেয়েটার গাওয়া গানের সুর টা গিটারে
বাজানো র চেস্টা করলাম কিন্তু হচ্ছেনা।
কিছুতেই।
তারপর কখন ঘুমিয়ে গেছি কে জানে।
সকালে-
ড্যানি - স্যার স্যার! !!!
স্যার ৭ টা বেজে গেছে। আজ জগিং এ
যাবেন না? ?
রাদ- কি ৭ টা বাজে? ? ৬ টায় ডাক দেওনি
কেন? ?
বাইকে করে আমি আর ড্যানি বেরিয়ে
পরলাম।বাইক থেকে নেমে সেই গানের গলার
অপেক্ষা ককরতে লাগলাম।
আল্লাহ আল্লাহ করছি যাতে আজ মেয়েটা
আসে।
আমি আর ড্যানি জগিং শুরু করলাম।
কিছুক্ষন পর।
ড্যানি- স্যার আমি আর দৌড়াতে পারছিনা।
রাদ- ওকে তুমি বস।
আমি যাওয়া সময় তোমাকে ফোন দিব।
ড্যানি- yes sir.
.
রাদ- সাড়ে ৮ টা বাজে।
এখন বাসায় ব্যাক করতেই হবে।
নাহলে অফিসে লেট হয়ে যাবে।
ড্যানি কে ফোন দিয়ে বাইকের সামনে
যেতে বললাম।
আর আমি আজ ও হতাশ হয়ে ব্যাক করছিলাম
তখন ই সেই গলা, সেই একি সুর কানে ভেসে
এল।
আমাকে আর পায় কে।
আজ মেয়েটাকে খুজতেই হবে।খুজে
বের করতেই হবে মেয়েটাকে।
আশে পাশে খুজে যাচ্ছি।
এত মানুষ এর মাঝে পাচ্ছি ই না।
হঠাত কারও সাথে ধাক্কা খেলাম।সরি সরি
আদর-ধাক্কায় আমার হাতের ফোন টা নিচে
পরে গেল।ফোন উঠাতে উঠাতে এই ছেলে
চোখে দেখনা? ?
চোখ কি আকাশে থাকে।
রাদ- আমি সরি বলছি ত আর আপনি কথা
বাড়াচ্ছেন বলেই দেখি
আরে মিস চারচোখ।
আদর- কি কি কি বললেন আপনি? ?? আবার
আমাকে চার চোখ বললেন? ? আর আপনি
কি? ? মিস্টার জংলি.
রাদ- ওই কি বললা আমি জংলি? ?
আদর- তা নয় ত কি? ? মেয়েদের মত বড় বড় চুল
রাখলে ত জংলি ই বলব।
রাদ- মিস চারচোখ এটা স্টাইল ।
সেটা তোমার বুঝার কথা না।
আদর- আপনি! ! আপনি! !!
রাদ- কি কি আমি কি ??
ড্যানি- স্যার আমাদের দেরি হয়ে যাচ্ছে।
রাদ- হ্যা চল।
তোমাকে পরে দেখে নিব।
আদর- হ্যা দেখব নে।
কে কাকে দেখে।
জংলি একটা।
রাদ- কানে হেডফোন লাগিয়ে বাইকে উঠে
গেলাম।
উফফ আজ এই মেয়ের জন্য ওই মেয়েটাকে
পেলাম না খুজে।
দুর।
বাসায় এসে রেডি হয়ে অফিস চলে এলাম।
ফোনের ফ্রান্ট ক্যামেরা ওপেন করে
নিজেকে দেখছিলাম।
লম্বা চুলে কি আমাকে আসলেই খারাপ
লাগে? ?চুল গুলা ধরে ধরে দেখছিলাম।
লিলি- may i come in sir.
.
raad- yes.
.
লিলি- স্যার নিউ প্রজেক্ট এর ফাইল টা।
রাদ- রেখে দেও।
আচ্ছা লিলি শুনো।
লিলি- জি স্যার।
রাদ- লম্বা চুলে!! না থাক যাও।
লিলি- ওকে।
রাদ- উফফ এখন আমি ওই মেয়ের কথায় আমার
এত সাধের চুল গুলা নিয়ে সন্দেহ করছি? ?
দুর।
কাজ শেষ এ বাসায় আসলাম।
রিমি (house maid)- স্যার বড় স্যার আপনাকে
খেতে ডাকছে।
রাদ- যাও।
আসছি।
ড্যাড - রাদ নিউ প্রজেক্ট এর ফাইল
দেখেছ? ?কি বুঝলে। ইনভেস্ট করা যায়??
রাদ- yes dad.
প্রফিট অনেক হবে।
ড্যাড- আরেক টা কথা। চুল গুলা এবার কাট।
ফুল বিজনেস ম্যান হয়ে যাও।
এখন তুমি সেই কলেজ বয় নেই।
রাদ- হায় রে।
ওই মেয়ে আমার চুলে কুফা লাগাইছে।
) ওকে ড্যাড।
মা- আদর কি হয়েছে তোর? ? এমন করে বসে
আছিস কেন? ?
আদর- আম্মু ভাবছি এবার জব করব? ?
আম্মু- তোর কোনো ইচ্ছাতে কি আমি বাধা
দিয়েছি?? কিন্তু হঠাত।
আদর- মা আমি যেটা করছি সেটা আমার
passion. আমার profession না।( কি কাজ করে
সেটা পরে জানতে পারবেন)
ওইটা আমি মনের সুখের জন্য করি।
আর পড়া লেখাও ত শেষ বসে থেকে কি করব
বল।
আম্মু- হ্যা।
তাও ঠিক।
তুই যা ভাল মনে করিস কর।
সকালে-
রাদ- আজ সকালে ঘুম ভেংগে দেখি
আলরেডি ৯ টা।
রেডি হয়ে নাস্তা না করে বের হয়ে গেলাম।
আজ আর বাইক না নিয়ে গাড়ি তে উঠে
গেলাম।
ড্যাড আজ খুব বকবেরে রাদ।
তোর আজ খবর আছে।
ড্যানি- স্যার আপনাকে এমন দেখাচ্ছে
কেন? ?
রাদ- তুমি জানোই ড্যাড কেমন।
টাইমের কাজ টাইমে না হলে কত রাগ হয়।
ড্যানি- don't worry sir.
রাদ- হুম।
এর মধ্যে ড্রাইভার জোরে ব্রেক করল।
রাদ- what the hell is this u idiot.এখনি ত
accident হয়ে যেত।
ড্রাইভার - আমি কি করব স্যার।
এই মেয়ে টা সামনে এসে পরল।
রাদ- গাড়ি থেকে বের হলাম।
কোন মেয়ে দেখি।
আরে চারচোখ।
আদর- ওই ওই আপনি আবার আমাকে চার চোখ
বললেন।
জংলি একটা।
রাদ- ( ওর জংলি কথায় আমার মনে পরল আজ
চুল কাটানোর কথা ছিল)
ওই ওই তুমি কি বললা?? আমি... আমি জংলি।
।আদর- হ্যা তাই ই।
জংলি জংলি জংলি।
রাদ- ওই মেয়ে তোমার সাথে কথা বলার
টাইম নাই।
তুমি একটা কানা ও বটে
আচ্ছা বার বার আমার গাড়ি র নিচেই কেন
তোমার আসতে হয়।
মরার জন্য আর গাড়ি পাওনা? ?
আদর- মরুক আমার দুশমন।
আমি মরতে যাব কেন।
এখন ত আমি বাচ্চা।
রাদ- উপর থেকে নিচ পর্যন্ত দেখলাম।
তুমি বাচ্চা? ? কোন দিক দিয়া তুমি বাচ্চা।
এত দিনে বিয়ে দিলে ত তোমার ৪ টা বাচ্চা
থাকত।
আদর- ওই ওই কি বললা??
রাদ- ঠিকি বলেছি।
ড্যানি- sir we r getting late.
pls hurry up.
.
রাদ- চারচোখ একটা।
বলে গাড়ি তে উঠে চলে এলাম।
আদর- জংলি, পাজি।
চশমা পরি বলে কি আমি চার চোখ।
দুর।
সকাল টাই খারাপ।
রাদ- অফিসে এসে বাবার কিছু ভাল ভাল
কথা শুনলাম। যা আপনাদের বলা যাবেনা।
কেবিন এ গেলাম।
লিলি!! লিলি!!!
লিলি- জি স্যার।
রাদ- তুমি আমার পি.এ ।
তোমার কাজ হচ্ছে আমাকে সব কিছুর জন্য
আপডেট দেওয়া।
সব কিছু মনে করিয়ে দেওয়া।
কিন্তু আজ পর্যন্ত তুমি এই কাজ টাই করতে
পারলে না।
u r fired.
just get lost ( ড্যাড এর রাগ ওর উপর ঝারা
আরকি)
আহিল- স্যার আসব? ?
রাদ- no.
later.
.
হ্যা হয়ে দাড়িয়ে আছ কেন? ? ম্যানেজার
কে বলে দিচ্ছি তোমার একাউন্ট ক্লিয়ার
করে দিবে।
লিলি- বাট স্যার।
রাদ- get the hell out of here.
right now.
i said leave.
.
লিলি- বেরিয়ে আসলাম।
এসে দেখি বাইরে সবাই জমা হয়ে আছে।
আহিল- স্যার কে এত রাগ এর আগে দেখিনি।
স্যার এত কঠোর হতে পারে আজ নিজেত
চোখে না দেখলে জানতাম ই না।
চলবে,,,,,


#বস+বয়ফ্রেন্ড #season4
নিলান্তিকা নাদিয়া
রাদ- আজ থেকে আমি ড্যাড এর মত কঠোর
হবো।
নিজেকে একেবারে চেঞ্জ করে ফেলব।
কাজে আর অনিয়ম করব না।
নিজেকে একদম ড্যাড এর মত কঠোর বিজনেস
ম্যান করে ফেলব।
আহিল!!!আহিল!!!
আহিল- ওরে বাবা স্যার এইভাবে ডাকছেন
কেন? ??
মনে হচ্ছে খুব রেগে আছেন।
আহিল- জি স্যার।
রাদ- আমার নিউ পি.এ লাগবে।
তার ব্যবস্থা কর।
আহিল- জি স্যার।
২ দিন কেটে গেছে।
রাদ এখন পুরাই strict হয়ে গেছে।
অফিসের সবাই দেখলে ওকে ভয়ে কাপতে
থাকে।
২ দিনেই মানুষ কত চেঞ্জ হতে পারে রাদ
কে না দেখলে ওরা জানতই না
এর মাঝে রাদ সেই মেয়েটার কথা ভুলেই
গেছে।
যার গলার সুর রাদ কে অস্থির করে তুলত।
রাদ- আহিল!!!
আহিল- yes sir.
.
রাদ- তোমাকে যে কাজ দিয়েছিলাম
হয়েছে।
আহিল- জি স্যার অনেক সি.ভি জমা পরেছে।
রাদ- এর মধ্যে বেস্ট ১৫ জন সিলেক্ট করে
ইন্টারভিউ এর ব্যবস্থা কর।
সেটা কাল্কেই।এর মধ্য থেকে ৩ জন সিলেক্ট
করে রেখে ওদের সি.ভি আমার কাছে দিবে।
আহিল- স্যার ইন্টারভিউ তে আপনি থাকবেন
না? ?
রাদ- না থাকব না।কাল কে আমার কাজ
আছে।
আর হ্যা
make it fast.বোর্ড ম্যাম্বার দের সাথে নিয়ে
তুমি ইইন্টারভিউ টা সেরে ফেলবে।
আমি পরশু দিন যেন আমার টেবিলে বেস্ট ৩
টা সি.ভি দেখতে পাই।
আর না হলে তোমার কি হবে বুঝতেই পারছ???
আহিল- জি স্যার।
স্যার আরেক টা কথা ছিল।
আমাদের নিউ প্রজেক্ট এর জন্য যে লোকেশন
তা দেখেছিলেন সেটা তে কিছু
কমপ্লিকেশন দেখা দিয়েছে।
জমির মালিক আপনাকে সেখানে যেতে
বলেছে।
রাদ- ওকে।
ড্যানি কে সাথে নিয়ে গাড়ি তে বেরিয়ে
পরলাম লোকেশন এ যাওয়ার জন্য।
জমির মালিকের সাথে সব কাজ মিটিয়ে
গাড়ি তে উঠলাম।
এর মাঝে ড্যাড এর ফোন।
রাদ- yes dad!!
.
dad- রাদ তাড়াতাড়ি অফিসে আসো।
urgent কাজ আছে।
রাদ- im on my way dad.
driver make it fast.
কিছুদুর যেতেই গাড়ি থেমে গেল।
।কি হল ড্রাইভার? ?
ড্রাইভার - স্যার গাড়ির তেল শেষ।
raad- wht the hell??? রাস্তায় বের হয়ার আগে
চেক করোনি।
এই রাস্তায় এমনিতেও কিছু পাওয়া যায়না।
এখন কি হবে??
আদর- উফফ ওই ফাযিল নিরব টাকে
বলেছিলাম ওর বাইকে আমাকে নিয়ে যেতে।
বাট ফাযিল টা আমাকে রেখেই চলে গেল।
তাই আমাকে এখন সাইকেল চালিয়ে যেতে
হচ্ছে।
রাদ- ড্যানি আশে পাশে কিছু পাও কিনা
দেখো।
ড্যাড বার বার ফোন দিচ্ছে।
ড্যানি- জি স্যার।
আমি একটু সামনে এগিয়ে দেখছি।
সামনে এগিয়ে দাড়িয়ে আছি।
কিন্তু গাড়ি ত দুরের কথা একটা পোকাও
চোখে পরছেনা।
এর পরেই দেখলাম একটা মেয়ে সাইকেল
চালিয়ে আসছে।
এই মেয়ে এই মেয়ে একটু থামো।
( যেহেতু ড্যানি আদর কে ভাল মত খেয়াল
করেনি ওর মুখ ভাল মত দেখেনি আর তার উপর
আদর মাথায় ক্যাপ পরে আছে তাই ড্যানি
ওকে চিনতে পারেনি।আর আদর ও ড্যানিকে
সেইভাবে দেখেনি।)
আদর- হুম বলুন।
ড্যানি- আমাদের একটু সাহায্য করুন প্লিজ।
আমার স্যার এর আর্জেন্টলি এক জায়গায়
যেতে হবে।
কিন্তু আমাদের গাড়ি র তেল শেষ আর
এইখানে কিছুই পাওয়া যাচ্ছেনা।
আপনি যদি ...
আদর- আপনার স্যার কি সাইকেল চালাতে
পারে? ?
ড্যানি- হ্যা হ্যা সার সব পারে।
আদর- ওকে কই আপনার স্যার? ? আমি সাইকেল
থেকে নেমে হাটতে হাটতে সামনে এগুতে
লাগলাম লোক টার সাথে।
কই আপনার স্যার।
ড্যানি- ওই যে গাড়ি তে হেলান দিয়ে
দাড়িয়ে আছে।
আদর- ফেস ত দেখা যাচ্ছেনা।
ড্যানি - আপনি দাড়ান আমি ডেকে আনি।
স্যার স্যার একটা সাইকেল এর ব্যবস্থা
করেছি।
আর কিছু এইখানে পাওয়া সম্ভব না।
রাদ- এটাতেই হবে।
ড্যাড বার বআআর ফোন দিচ্ছে।
মিটিং শুরু হয়ে যাবে
আমাকে তাড়াতাড়ি যেতেই হবে।
ড্যানি- স্যার একটা সমস্যা আছে।
রাদ- কি।??
ড্যানি- সাইকেল টা একটা মেয়ের।
রাদ- তাতে কি সমস্যা। টাকা দিয়ে দেও।
আমি সাইকেল নিয়ে নিচ্ছি।
বলে আমি সামনে গেলাম।
আদর-আমার চোখ বড় বড় হয়ে গেল এই জংলি
আবারর!!"!!""
রাদ- এই মেয়ে তুমি? ????
( উফফ দুনিয়াতে আর কেউ ছিল না)
ড্যানি ড্যানি!!
ড্যানি- স্যার ওর কথাই বলেছিলাম
রাদ- তুমি আর কাউকে পাওনি এই মেয়ে
ছাড়া।
আমি যাব না ওর সাইকেল এ।
আদর- আমার ও শখ নেই।
আপনার মত জংলি কে আমার সাইকেল এ
তোলা।
হুহ।
রাদ- এই মেয়ে! !!
ড্যানি- স্যার স্যার।
একগন এই রাস্তায় কিছু পাবেন না।
স্যার প্লিজ কথা বাড়াবেন না।
বড় স্যার বার বার ফোন দিচ্ছে।
রাদ- ওকে
।।।
আচ্ছা এই চারচোখ কে টাকা দিয়ে দেও।
আদর- টাকা মানে? ?
ড্যানি- মানে আপনি আপনার সাইকেল টা
স্যার কে দিয়ে দেন।
আমি ডাবল পে করে দিচ্ছি।
আদর- কিহ? ? জিবনেও না।
আমি আমার সাইকেল কখনই বেচব না।তাও
আবার এই জংলি কে? ?
রাদ- রাগে আমার মাথা গরম হয়ে যাচ্ছিল।
মনে হচ্ছিল ড্যানির কাছে থাকা পিস্তল টা
নিয়ে ওর মাথার খুলি টা উরিয়ে দেই।
এই মেয়ে কত টাকা চাই বল।
আদর- ( তোমাকে আজ শিক্ষা দিয়ে ছাড়ব।
দারাও চান্দু)
আমি আপবাকে লিফট দিতে পারি।
রাদ- মানে তুমিও আমার সাথে যাবে? ?
আদর- ofcourse.আমিও যাব।
যেহেতু আমার সাইকেল।
আপনি যদি পরে ফেরত না দেন।
রাদ- ওকে ডান।
আদর- আরে আরে কই উঠছেন ?? কথা বাকি
আছে।
রাদ- কি কথা।
আদর- আগে সরি বলেন? ?
রাদ- এবার পায়ের রক্ত মাথায়।
কি বললা তুমি? ? তোমাকে সরি বলব? ? তাও
আবার আমি? ?
আদর- হ্যা আপনাকেই বলছি।
আর কাকে বলব।
রাদ- ওকে কুছু বলতে যাব তখনি ড্যাড এর
ফোন এল।
।dad im coming.
ড্যানি- স্যার আর কথা না বারিয়ে চলে যান।
দেখছেন ত কোনো গাড়ি পাওয়া যাচ্ছেনা।
রাদ- (damn it. আচ্ছা পরে ওকে দেখে নিব।
এখন ত যাই)
আচ্ছা সরি।
আদর- কি বললেন শুনিনি।
রাদ-দাতে দাত রেখে সরি।
আদর- কিহ? ? আরেক টু জোরে।
রাদ- সরিইইইইইইইইইইই।
আদর- আরে আরে আমি বয়রা না।
আস্তে বললেই হত।
আচ্ছা নিন উঠুন।
রাদ- আমি উঠে বসলাম।
আদর আমার সামনে বসল।
ড্যানি গাড়ি সেড়ে বাসায় চলে যেও।
ড্যানি- জি স্যার।
আদর- ( মনে মনে বিজয়ের হাসি দিলাম।
পাজি জংলি আমার সাথে পাংগা? ?? এবার
বুঝ ঠেলা।
কত ধানে কত চাল)
রাদ- কলেজ লাইফে সাইকেল চালিয়েছি
অনেক। কিন্তু প্রব্লেম হচ্ছে এই মেয়ের চুল
বার বার আমার মুখে উড়ে আসছে।
চুল গুলা বেধে রাখতে পারোনা।
আদর- আমার চুল আমার ইচ্ছা আপনার কি।?
রাদ- অন্য সময় হলে মেয়ের ১৬ টা বাজাতাম।
আচ্ছা ঠিক আছে তাহলে চুল গুলা হাত দিয়ে
ধরে রাখো। আমার অসুবিধা হচ্ছে।
পরে accident হয়ে যেতে পারে।
আদর- ( ঠিকি ত বলেছে।
আবার কিছু হয়ে গেলে হাত পা ভাংলে
?
)
রাদ- মেয়েটা দেখলাম হাত দিয়ে চুল গুলা
ধরে রেখেছে।
এখন আর সমস্যা হচ্ছেনা।
আমি অফিসের সামনে না নেমে কিছুটা দুরে
নামলাম। না হলে অফিসের কেউ দেখলে কি
বলবে রাহাত খান এর ছেলে সাইকেলে? ?
নেমে দ্রুত চলে এলাম।
আদর- যাহ বাবা একটা থ্যক্স ও দিল না।
ওই জংলি ওই ওই।
ওই কই যান? ?
আর অফিস কই? ?
দুর ছাতা আমার কি?
ফোন এল এর মাঝে।
নিরব- ওই তুই কইরে? ?
আদর- দাড়া আসছি।
আজ তোর একদিন কি আমার।
ফোন রাখ পাজি।
রাদ- অফিস শেষ এ বাবার গাড়ি তে বাবার
সাথে বাসায় এলাম।
চলবে,,,,,,

#বস+বয়ফ্রেন্ড #season4
নিলান্তিকা নাদিয়া
পর্ব: 4
খাবারের টেবিল এ
ড্যাড- রাদ। তোমাকে এই কয়দিনে আমি
তেমন ই দেখেছি যেমন আমি তওমাকে
দেখতে চাই।
এবার আমি সন্তুষ্ট।
আমি এবার এই কম্পানি টার দায়িত্ব
একেবারে তোমার উপর দিয়ে দিতে চাই।
রাদ-আমি এটাকে আরো উপরে নিয়ে যাওয়ার
চেস্টা করব। i will do my best dad.
ড্যাড- I know my son.আমি কাল কে একটা
ব্যবসায়িক কাজে Spain এ যাব।
ওই খানে কাজ শেষ এ ভাবছি তোমার বনের
সাথে কিছুদিন থাকব।
রাদ- রোদেলা র সাথে থাকবে ভাল কথা ওর
পড়া আর কিছু দিন ই ত বাকি আছে।
তার পর ত ও এখানেই থাকবে।
ড্যাড- হ্যা তা ত বটেই।
রাদ- এইখানের কাজের চাপ কমলে আমি ওর
সাথে ওইখানে যেয়ে দেখা করে আসব।
।।
ড্যাড- as u wish.
.রাদ- তুমি কাল কেই যাবে।
ড্যাড- হুম।
১০ টায় ফ্লাইট।
সকালে-
রাদ- বাবাকে see off করে আহিল কে ফোন
দিলাম।
আহিল- স্যার আমরা এখন ইন্টারভিউ শুরু
করছি।
রাদ- ওকে।
পরের দিন-
( রাদ অফিসে ঢুকতেই সবাই দাড়িয়ে গেল।
সবার হাত পা কাপা কাপি শুরু করে দিন
২-৩ দিনেই রাদের যে রাগ ওরা দেখেছে
তাতে সবার আত্তা উড়ে যাবার মত অবস্থা
হয়েছে)
রাদ- অফিসে যেয়েই টেবিল এ ৩ টা খাম
দেখতে পেলাম।
আহিল- স্যার কাল কে আমরা এই ৩ জন কে
সিলেক্ট করেছি।
রাদ- ওকে যাও আমি দেখছি।
আহিল- বাইরে আসলাম।
আল্লাহ জানে কি হয়।
যদি স্যার এর কাউকে পছন্দ না হয় তাহলে
আমার চাকরি ত শেষ।
রাদ- ৩ টা সি.ভি ই দেখলাম।
আহিল আহিল
আহিল- আল্লাহ আল্লাহ করে রুমে ঢুকলাম।
জি স্যার।
রাদ- আমার একে পছন্দ হয়েছে।
ওকে কাল কে ডেকে সব বুঝি য়ে দেও আর
কন্ট্রাক্ট পেপার সাইন করিয়ে নেও আর পরশু
থেকে জয়েন করার কথা
জানিয়ে দেও।
আহিল- জি স্যার।
যাক আল্লাহ! বাঁচাইছ।
আদর- সকালে উঠে রেডি হয়ে নিলাম।
সাদা ফুল হাতা গেঞ্জি, উপরে কালো
জ্যাকেট, কালো স্কার্ফ, কালো জিন্স।
খেয়ে দেয়ে বের হচ্ছিলাম।
আম্মু- কিরে কই যাচ্ছিস? ?
আদর- কেনো তুমি জানোনা কোথায় যাচ্ছি।
আম্মু- ও হ্যা মনে পরেছে।
আচ্ছা যা।
মন দিয়ে কাজ করবি।
আদর- আচ্ছা আম্মু।
বলে গালে চুমু দিয়ে বেরিয়ে গেলাম
সাইকেল নিয়ে।
খুব নার্ভাস লাগছে।
রাদ- আজ খুব মজা হবে বলে শয়তানি হাসি
দিলাম একটা।
রেডি হয়ে নিলাম।
গাড়ি র সামনে যেতেই ড্যানি গাড়ি র দরজা
খুলে দিল।
তারপর ও গাড়ি র সামনের সিটে বসল।
আমি ফোন দেখতে লাগলাম।
অফিসের সামনে এসে নামলাম।
অফিসে ঢুকতেই সবাই দাড়িয়ে গেল।
আমি সোজা কেবিন এ গেলাম।হাতের ঘড়ি র
দিকে তাকালাম। ৯ টা বাজতে ৫মিনিট
বাকি।
এখন অপেক্ষা শুধু ( পরেই বুঝবেন)
আদর- সময় মত যেতে পারলেই হল।
যাক সময় মত আসতে পারলাম।
রাদ- আর ১ মিনিট।হঠাত ১ টা মেয়ে গলা শুনা
গেল।
: may i come in sir.
রাদ- u may.
.
: sir im u p.A .my name is ......
.
রাদ- i know what is ur name miss চারচোখ
বলেই পিছনে ঘুরলাম।
আদর- আপ... আপ.... আপ.....আপনি? ??
( এই জংলি এইখানে??)
রাদ- im ur boss.
M.D of this company.
.
আদর- ।( আল্লাহ দুনিয়াতে আমার
এইখানেই কাজ পেতে হল???
আর উনার ও এই কম্পানির এমডি হতে হল"!"
আল্লাহ কোন পাপের শাস্তি)
রাদ- মুখের সামনে তুড়ি বাজিয়ে এই যে
মিস!!! কি ভাবছ? ??চাকরি ছাড়ার কথা
মোটেও ভাববে না।
আদর- ( আমার বয়েই গেছে চাকরি ছাড়তে।
তুমি কি ভেবেছ তোমাকে আমি ভয় পাই? ?
আমার নাম ও আদর। এমন আদর দেখাব না
আমাকে .... বুঝবে আমি কি জিনিস)
রাদ- টেবিল এর উপর জোরে বারি দিলাম।
আদর- চমকে উঠলাম।
রাদ- ( এখন বুঝবে আমি কি জিনিস???!!!"
তোমার জিবন যদি আমি তেজপাতা বানায়
না দিয়েছি তাহলে আমার নাম ও রাদ না।)
রাদ- তুমি ত আগেই কন্ট্রাক্ট
পেপার সাইন করেছ তাইনা??
আদর- জি স্যার।
রাদ- ওইখানে কি কি লিখা ছিল পরে নিয়েছ
ত ??
আদর- জি স্যার।
রাদ- তাহলে নিশ্চয় পরেছ ৩ বছর এর আগে
তুমি এইখান থেকে বের হতে পারবেনা।
এবং ৩ বছর পরে চাকরি ছাড়ার ২ মাস আগে
আমাকে নোটিশ দিতে হবে।
আর এটাও ছিল যে আমি যখন তখন তোমাকে
বের করে দিতে পারি।
আদর- জি স্যার।
রাদ- এখন থেকে আমার সমস্ত কাজ তুমি
দেখবে।
আদর- সমস্ত কাজ? ??
রাদ- টেবিল থেকে কলম হাতে নিলাম।
তার পর ফ্লোরে ফেলে দিলাম।
তোলো এটা।
আদর- কিহ! !?
রাদ- কলম টা তোলো।
আদর- কলম তুলে টেবিল এ রাখলাম।
রাদ- এখন বুঝলে আমার ছোট খাটো কাজ
থেকে শুরু করে সব কাজ তুমি দেখবে,যেমত ন
আমাকে কফি দেওয়া, আমার কেবিন গুছিয়ে
রাখা, সব ইমেইল চেক করা, সব ফাইল আমাকে
বুঝিয়ে দেওয়া, আমার সাথে সব লোকেশন,
মিটিং এ যাওয়া, মিটিং এর কথা মনে
করিয়ে দেওয়া।
everything.
আদর- ( এই পোলা আমাকে চাকর বানায়
ছাড়ল)
( আমার এত কান্না করতে মন চাচ্ছে তার
সাথে রাগ। )
রাদ- got it? ??
.
ador- ......
.
raad- তুমি কি আমার কথা বুঝতে পেরেছ? ?
( চিতকার করে)
আদর- চমকে উঠে জি স্যার।
রাদ- ( এবার বুঝবে এই জংলি কি কি করবে
তোমার সাথে।আমি নিজেকে কেন জংলি
বলছি ?? উফফ)
এই মেয়ে দাড়িয়ে আছো কেন? ? যাও
নিজের টেবিল এ যাও।
আদর- আল্লাহ বাইরে এসে মনে হল জিবন
ফিরে পেলাম।
নিজের টেবিল এ যেয়ে বসলাম।
( এবার বুঝতে পারলেন। ওইদিন আমি
এইখানে আসার কথা বলছিলাম।)
ইমু- hi. im imu.
ador- hlo. um ador.
nice to meet u.
.
imu- same here.
.
আহিল- হাই আদর।
আদর- হাই।
আহিল- এমন দেখাচ্ছে কেন তোমাকে??
আদর- এমন রাক্ষসের নিচে কাজ করতে হলে
ত এমন ই হবে।
বলে জিভ কাটলাম।
আহিল- ঠিক বলেছ স্যার এমন আগে আমরা
জানতাম ই নআআ।
এখন ত স্যার কে দেখলে হাত পা কাপাকাপি
শুরু হয়ে যায়।
স্যার ত পান থেকে চুন খসতেই world war 3
বাধিয়ে দিচ্ছেন।।
আদর- হায় আল্লাহ।
রাদ- আমার কেবিন এর সামনের দিকে কাচ
দেওয়া।
ভেতর থেকে বাইরে সব দেখা গেলেও বাইরে
থেকে ভেতরে দেখা যায় না।
আমি দেখছিলাম আহিল আর আদর কথা বলছে
কাজ বাদ দিয়ে।
বাইরে গেলাম।
সবাই দাড়িয়ে গেল।
আমি আহিল এর পিছনে যেতেই আদর দাড়িয়ে
গেল।
আহিল! !
আহিল- চমকে উঠে জি স্যার।
রাদ- তোমাদের সবাইকে বলছি এতা কাজের
জায়গা কথা বলার না।
কথা বলতে হলে lunch time অথবা ছুটি র
অপেক্ষা কর।
কাজের কথা ছাড়া অন্য কথা হবেনা।
আহিল- স্যার আসলে ওর সাথে পরিচয় .....
রাদ- পরিচয় পর্ব lunch টাইম এ সেরে নিবা
সবাই।
এরপর আর যেন এমন না হয়।
and miss ador follow me.
চলবে,,,,,,


#বস+বয়ফ্রেন্ড #season4
রাদ- পরিচয় পর্ব lunch টাইম এ সেরে নিবা
সবাই।
এরপর আর যেন এমন না হয়।
and miss ador follow me.
.
আদর- ( আল্লাহ বাঁচাই ও আমাকে)
স্যার এর পিছন পিছন গেলাম।
রাদ- চেয়ারে বসলাম।
মিস চারচোখ
আদর- আমি বড় বড় চোখ করে তাকালাম।
রাদ- চোখ নামাও। নামাও বলছি।
আদর- আমি পারছিনা কেঁদে দিতে।
কিন্তু নিজেকে সামলালাম।
( জংলি একটা কিন্তু জংলি ত চুল কেটে
ছোট ছোট করে ফেলছে)
রাদ- কিছু ফাইল সামনে ছুড়ে দিলাম।
এগুলা চেক করে আমার কাছে দিয়ে যাবা।
আদর- জি স্যার।
রাদ- আর হ্যা আমি ব্লাক কফি পছন্দ করি
without suger.
.
আদর- ( চিনি ছাড়া খায় দেখেই ত এত তিতা,
কই বাত নেহি আজ ত মাত্র আসলাম আগে
আগে দেখো হো তা হে কেয়া)
রাদ- নেও কফি বানিয়ে নিয়ে আসো আমার
জন্য।
আদর- ( পোলা আমাকে চাকর বানায় ছাড়ল)
জি স্যার।
কেন্টিন ২ তালায়। গেলাম কফি বানিয়ে
গেলাম স্যার এর কেবিন এ।
সুয়ার আসব??
রাদ- হুম।
কফি টেবিল এ রেখে যাও।
আদর- জি স্যার।
পরে নিজের টেবিল এ যেয়ে কাজ করতে
লাগলাম।
আধা ঘন্টা পর হঠাত স্যার মিস আদর বলে
চিতকার দিয়ে উঠলেন।
আমার হাতের থেকে কলম টা ঠাস করে পরে
গেল।
দোড় লাগালাম।
জি স্যার কি হয়েছে।
রাদ- এটা কফি? ?
আদর- জি স্যার।
রাদ- না এটা কফি না।
এটা শরবত।
আদর- ২০ জনম পরে খেলে ত এমন ই হবে।
রাদ- কি বললে।
আদর- কই কিছুনা।
রাদ- আবার যাও আনিয়ে আনো।
যাও( ধমক দিয়ে)
আদর- রাগে ফস ফস করতে করতে গেলাম।
রাদ- ( এখন ত শুরু মাত্র.!!! আমাকে দিয়ে সরি
বলানো তাইনা।
আরো সইতে হবে তোমাকে মিস চারচোখ)
আদর- শালা পাজি হারামি কুত্তা পচা
টমেটো, পচা ডিম ঠাডা পরুক তোর উপর।
: mam wht r u saying.
.
ador- nothing nothing.
যাক বাবা বাংলা বুঝেনা বেচে গেলাম।
রাদ- এত দেরি লাগে কফি আনতে।
আদর- মাথা নিচু করে দাড়িয়ে আছি।
রাদ- দাড়িয়ে আছো কেন? ? কাজে যাও
idiot.
আদর- ( কিহ আমাকে ইডিয়ট বলা) ( উফফ আর
সহ্য হচ্ছেনা)বেরিয়ে
এসে কাজে মন দিলাম।
টেবিল এ বসতে না বসতে আবার স্যার এর
ডাক।
উফফ আল্লাহ আবার ডাকে কেন??
জি স্যার।
রাদ- কফি ঠান্ডা হয়ে গেছে আবার আনো।
আদর- ইয়া মাবুদ।
রাদ- কি বললা??
আদর- কিছু না ত
যাচ্ছি এখনি।
( এইভাবে ৫-৬ বার কফি নিয়ে ২তালা আর ৩
তালা করেছি সিড়ি দিয়ে।)
তারপর টেবিল এ এসে বসলাম।
টেবিল এ মাথা রাখলাম
( আমার এমনি তেই ওজন অনেক কম।
আর এই বেটার জন্য মনে হচ্ছে ১ দিনেই
আমার আরো ১০ কেজি কমে গেল)
রাদ- সবে ত শুরু।
আরো বাকি আছে মিস চারচোখ।
আদর!!! মিস আদর!!
আদর- ( মনে মনে আমার কান্না করতে ইচ্ছা
করতেছিল।
কই চাকরি নিলাম রে বাপ।
যাই হক আমিও কম না।
আমার ও সুযোগ আসবে।)
জি স্যার।
রাদ- ফাইল গুলা দেখা শেষ? ?
আদর- না স্যার।
আর ২ টা বাকি।
রাদ- ত এতক্ষন কি করলা? ??
কাজ বাদ দিয়ে গল্প??
আদর- স্যার কফি নিয়েই ত দৌড়াদৌড়ি
করছিলাম।
তাই আরকি....
রাদ- আবার মুখে মুখে কথা।
ফাইল শেষ করে নিয়ে আসো।
আদর- ঘড়ি র দিকে তাকিয়ে দেখি ২ টা
বাজে।
এখন ত lunch time sir.
রাদ- আগে কাজ পরে লাঞ্চ।
আদর- মুখ ভাড় করে বেরিয়ে এলাম।
ফাইল দেখছিলাম।
আহিল- কি ম্যাডাম।
খাবেন না? ?
আদর- আজ আর খাবার আমার কপালে নেই।
ফাইল ২ টা দেখা শেষ হয়নি যে।
আহিল- পরে দেখো।
আদর- স্যার আমার ১৩ বাজাবে।
থাক আগে ফাইল দেখে নেই।
ফাইল শেষ করে দেখি লাঞ্চ টাইম শেষ।
স্যার এর কাছে ফাইল নিয়ে গেলাম।
রাদ- ফাইল গুলা রাখে যাও।
আর এটা আমাদের নিউ প্রজেক্ট এর ফাইল।
এটা দেখো।
আদর- জি স্যার।
আহিল- কি ব্যপার খাবেনা।
আদর- ক্ষুদা নেই এখন।
আহিল- কিন্তু! !!
রাদ- আদর,!!!
।।আদর-
yes sir.
.
রাদ- কি দেখলে।
এইখানে ত ভুল রয়েই গেছে।
আবার ঠিক কর।
আদর- কাজ শেষ হল ৮ টায়।
সবাই এখন বাসায় যাচ্ছে।
আমি স্যার এর কাছে ফাইল জমা দিতে
গেলাম।
তারপর বাসায় যাব।
স্যার আসব।
রাদ- হুম।
আরে কোথায় যাচ্ছ? ? দাড়াও এইখানে।
আমি আগে ফাইল চেক করে নেই।
ভুল থাকলে বাসায় নিয়ে যাবা।
আদর- জি।
আমার মাথা কেমন যেন ব্যথা করছিল।
খুব দুর্বল ও লাগছিল।
মাথা ব্যথায় খুব অস্থির লাগছিল।
মাথায় হাত দিয়ে দাড়িয়ে আছি।
রাদ- ফাইল দেখতে দেখতে আদর এর দিকে
চোখ গেল মাথায় হাত দিয়ে দাড়িয়ে আছে।
আমি আবার ফাইল দেখতে শুরু করলাম।পরে
দেখি ও চোখ বন্ধ কিরে দাড়িয়ে আছে।
ব্যপার টা কি?
এবার দাড়িয়ে ফাইল নিয়ে ওর সামনে
গেলাম - আদর !!
আদর- জি স্যার বলে যেই চোখ খুলেছি আর
মাথা ঘুড়ে পরে যাচ্ছিলাম।
রাদ- খপ করে ওকে ধরলাম।
আদর!! আদর! !!
আরে ও ত অজ্ঞান হয়ে গেছে।
কোলে তুলে নিয়ে নিচে গেলাম।
ড্রাইভার hospital এ চল জলদি।
হাসপাতাল এ-
ডাক্তার - তেমন কিছু হয়নি।
প্রেসার লো।
তাই মাথা ঘুরে পরে গেছে।
ওর খাওয়া দাওয়া ভাল মত করতে হবে।
শরীর এর কি অবস্থা দেখতেই ত পাচ্ছ।
আচ্ছা এটা কে হয় তোমার।
রাদ- আংকেল ও আমার অফিসে আজ নিউ
জয়েন করেছে ( ফিলিপ আংকেল আমার
ফেমিলি ডাক্তার)
আদর- চোখ খুলে আরে আমি কোথায়? ?
এইখানে কিভাবে আসলাম।
রাদ- তোমার নাম চারচোখ থেকে trouble
maker দেওয়া দরকার।
দুপরে খাওনি।
আদর- মাথা নেড়ে না বুঝালাম।
রাদ- আমি ত বলেছিলাম ফাইল ২ টা দেখে
খেতে।
আদর- তখন লাঞ্চ টাইম শেষ হয়ে গিয়েছিল
আপনি যদি বকেন তাই আরকি? ?
রাদ- ১ দিন একটু খাওনি তাই এই অবস্থা? ?
আদর- আসলে ছোট বেলা থেকেই না খেয়ে
থাকলে আনার সমস্যা হয়
রাদ- whatever. তোমার বাসা কোথায়।
আদর- আমি একাই যেতে পারব।
রাদ- অনেক রাত হয়েছে।
আমি দিয়ে আসছি।
চল এখন।
আদর- ( হুহ ঢং। আমার এমন হল ত তার জন্যই
আবার দরদ দেখাচ্ছে!!
মরন)
রাদ- গাড়ি তে উঠ।
আদর- গাড়ি তে উঠে বসলাম।
(আমার ব্যাগ ত অফিসেই। মা জানিনা কত
ফোন দিয়েছে)
বাস বাস এইখানে থামান। ওইটা আমাদের
বাসা।
রাদ- আদর এই নেও
আদর- ঘুরে দেখি আমার ব্যাগ।
ব্যাগ টা নিয়ে বাসায় গেলাম।
আম্মু- কি রে তোকে কত ফোন দিয়েছি
জানিস।
কই ছিলি। ফোন কেন ধরিস নি।
আদর- ( ওই কথা বললে শুধু শুধু টেনশন করবে)
আরে কাজের চাপ ছিল।
তাই আরকি।
আচ্ছা খেতে দেও।
খুব ক্ষুদা লাগছে।
আম্মু- ফ্রেশ হয়ে আয়।
আদর- শাওয়ার নিয়ে বের হলাম।
এখন মাথা ঠান্ডা লাগছে।
খাওয়া দাওয়া শেষ এ কফি নিয়ে বারান্দা
তে গেলাম।
ভাবছি ওই জল্লাদ কে কি করে শায়েস্তা
করা যায়।
ওই পোলা ত ১ দিনেই আমাকে হেনস্ত করে
ছাড়ল।
চলবে...

#বস+বয়ফ্রেন্ড #season4
নিলান্তিকা
পর্ব: ৬
.
রাদ- গিটার টা নিয়ে বসলাম।
এত কাজের মাঝে ত আমি সেই সুর টা ভুলেই
গিয়েছিলাম।
চোখ বন্ধ করে বাজানোর চেস্টা করলাম।
হচ্ছে না কিছুতেই।তাই খুব বিরক্ত লাগছে
পরেরদিন-
রাদ- অফিসে গেলাম।
সবাই আছে কিন্তু আদর কই? ? already এখন 9:02
am.
আদর- অফিসে এসে টেবিল এ বসার আগেই
জল্লাদ এর ডাক ( এখন জংলি থেকে তার
নাম দিয়েছি mister জল্লাদ)
জি স্যার।
আদর- 9:03. am.
রাদ- অফিস টাইম কয়টায়? ?
আদর- মাথা নিচু করে ৯ টায়।
কিন্তু স্যার মাত্র ৩ মিনিট ই ত লেট হয়েছি।
রাদ- ৩ মিনিট হক আর ১মিনিট । লেট ত লেট
ই।
আদর- ( মারিফালা কেউ। আল্লাহ দরি
ফালাও না কেন??? )
সরি স্যার।
আর হবেনা।
রাদ-
im giving u first and last warning.
remember that.
.
আদর- yes sir.
sorry again.
আহিল- স্যার s&D company র mr.dennial এর
পি.এ সোফি এসেছে আপনার সাথে দেখা
করতে।
রাদ- ওকে পাঠিয়ে দেও।
সোফি- স্যার আপনার সাথে কথা ছিল।
রাদ- how can i hlp u.
আদর তুমি এখন যাও।
আদর- জল্লাদ একটা ৩ মিনিট লেট কোনো
লেট হল।
আজাইরা।
এনা- কি হয়েছে । কি বিড় বিড় করছ??
আদর- তোমরা এই জল্লাদ এর সাথে কাজ
কিভাবে করো বলত।
এনা- কিছু করার নেই।
আদর- আমার ফোন এসেছে তোমার সাথে
পরে কথা বলছি।( ফোনে)
হ্যা নিরব বল।
:
আরে কি বলিস এইসব।
তুই জানিস না এখন আসা আমার পক্ষে সম্ভব
না।
তুই না জেনে কাজ টা করলি কিভাবে বলত।
এখন কি করে আসব??তুই আমাকে না বলে নাম
দিলি কেন? ??
আচ্ছা আমি দেখছি কি করা যায়।
আচ্ছা আমি কিন্তু বেশি ক্ষন থাকতে পারব
না।( কিছু জিনিস এইখানে উহ্য আছে। আস্তে
আস্তে জানতে পারবেন।
সব এখনি বলে দিলে কিভাবে হবে।)
আদর- উফফ এটা ত ভেজাল হয়ে গেল।
স্যার এর রুমে যেয়ে দেখি ছুটি দেয় কিনা।
রুমে যাওয়া র আগেই দেখি স্যার বের হল।
আহিল কে ডেকে কি যেন বলে ওই টাক মাথা
মানে ড্যানি কে নিয়ে চলে
গেল।
আদর - আহিল স্যার।
স্যার কোথায় গেল ওই সোফির সাথে।
আহিল- স্যার কিছু ক্লিয়ার করে বলেনি
আমাকে।
আদর- স্যার আপনার কাছে একটা রিকোয়েস্ট
ছিল।
আহিল- হ্যা বল।
আদর- স্যার আমার আর্জেন্টলি বাইরে যেতে
হবে।
একটা কাজ আছে।
আমি বেশি টাইম লাগাবোনা
যাব আর আসব।
প্লিজ স্যার।
যেতে দিন।
আর রাদ স্যার ও ত এখন নেই।
আহিল- বেশি টাইম নিবে না ত।
আদর- না। না।
আহিল- ওকে যাও।
আদর- থাক্স।
বলে বেরিয়ে এলাম।
সাইকেল নিয়ে সোজা নিরব এর বলা ঠিকানা
তে চলে গেলাম।
কাজ শেষ করে বের হয়ে
অফিসের দিকে ছুটলাম।
আল্লাহ আল্লাহ করছি যাতে স্যার এর আগে
অফিসে যেতে পারি।
ভাবতে ভাবতে সাইকেল চালাচ্ছিলাম।
হঠাত করে সামনে দেখি রেড সিগনাল।
আমি সাইকেল থামাতে থামাতেই সামনের
গাড়ি র সাথে খেলাম ধাক্কা।
আর পরে গেলাম।
হাতে খুব ব্যথা পেলাম।
হাত ছিলেও গেল অনেক খানি
ছোট বেলা থেকেই কাটা ছিলা রক্ত আমার
খুব ভয় লাগে।
রক্ত দেখেই আমার অবস্থা টাইট।
ড্যানি- এই কে রে ধাক্কা দিল।
সামনে নে যেয়ে দেখি আরে আদর ম্যাম।
আপনি? ??
ওরে আপনার ত অনেক খানি কেটে গেছে।
রাদ- আদর!! এখন! ! অফিস টাইমে ও এইখানে??
গাড়ি থেকে নামলাম।
সামনে যেয়ে দেখি হাত অনেক খানি কেটে
গেছে।
আদর- ( যেখানে বাঘের ভয় সেখানেইই
সন্ধ্যা হয়।
কথা টা একেবারে যে সত্যি সেটা এখন
বুঝলাম।
)
আমি মাথা নিচু করে দাড়িয়ে আছি।
রাদ- তোমার হাত ত অনেক খানি কেটে
গেছে।
গাড়ি তে বসো।
আদর- না স্যার লাগবেনা।
রাদ- আমি বলছিত গাড়ি তে বসতে।
আদর- জি।
রাদ- ড্যানি ওর সাইকেল টা নিয়ে আসো।
ড্যানি- yes sir.
রাদ- ড্রাইভার first aid box টা দেও।
আমি ওর হাতে স্যাভলন লাগাতেই...
আদর- আম্মুউউউউউউউ!!!!!
রাদ- shut up.আমার কানে তালা লেগে
গেলো।
তুমি কি বাচ্চা? ? এত টুকু জ্বলা সহ্য করতে
পারো না? ?
আদর- sorry sir.আসলে ছোট বেলা থেকে......
রাদ- কথা শেষ করার আগেই বললাম- এখন আর
ছোট নেই।
কথা বলতে বলতে ব্যান্ডস করে দিলাম।
গাড়ি অফিস এর সামনে থামল।
রাদ- গাড়ি থেকে নামলাম।
আদর- আমি স্যার এর পিছন পিছন গেলাম।
স্যার লিফট এ ঢুকে দাড়িয়ে আছে।
রাদ- এখন কি লিফট এ ঢুকার জন্য invitation
card দিতে হবে? ?
আদর- না স্যার।
লিফট এ ঢুকলাম।
( উনাকে চিনা খুব মুসকিল হয়ে দাড়িয়েছে।
এত রাগি তাও আমার হেল্প ও করল।)
রাদ- অফিসে ঢুকলাম।
আদর come to my cabin.
.
আদর- স্যার এর পিছে পিছে কেবিন এ
গেলাম।
আহিল- খাইছেরে।
আদর স্যার এর সাথে কিভাবে? ?
আজ ওর ও জব যাবে সাথে আমার ও।
রাদ- can u explain me what were u doing
outside in office time??
.
আদর-( কি বলি এখন! !???
)
মাথা নিচু করে দাড়িয়ে আছি।
রাদ- speak out!!!
.
আদর- হঠাত হাতের ঘড়ি র দিকে চোখ
গেলো।
১:৩০pm .মানে এখন ত lunch time.
স্যার আসলে এখন ত lunch time.
তাই ভাবলাম বাইরে যাই।
রাদ- তা ওই খানে! !!"??
আদর- আসলে স্যার ওইখানের রেস্টুরেন্ট এর
খাবারের হেব্বি টেস্ট তাই আরকি....
রাদ- ওকে ওকে।
যাও।
আর হ্যা কফি পাঠিয়ে দিও অন্য কাউকে
দিয়ে।
আদর- জি।
উফফ যাক আল্লাহ বাঁচালে।
আহিল- কি ব্যপার স্যার কিছু বলেনি???
আমি ত ভাবলাম তোমার সাথে সাথে আমার
চাকরি ও গেলো বুঝি।
আদর- আরে দুর।
কি যে বলেন না স্যার।
চাকরি গেলে আমার টা যেত আপনার টা যেত
কেন? ?
আপনি কি ভাবছেন আপনি যে আমাকে
যেতে দিছেন সেটা আমি বলে দিতাম? ?
আহিল- না তা না।
তাও আরকি। ..... আচ্ছা স্যার কে ম্যানেজ
করলে কি করে।
আদর- এখন ত লাঞ্চ টাইম চলছে।
সেটা দিয়েই ম্যানেজ করেছি।
স্যার ত আর জানেনা আমি আগে
গিয়েছিলাম।
আহিল- যাক আল্লাহ বাঁচাইছে।
আদর- ও আল্লাহ কথায় কথায় স্যারর এর কফির
কথা ত ভুলেই গিয়েছিলাম।
কফি নিয়ে গেলাম।
স্যার আসব??
রাদ- ফাইল থেকে চোখ উঠিয়ে ওর দিকে
তাকালাম।
এখন এর আসার টাইম হয়েছে তাইনা।
দারাও মজা দেখাচ্ছি।
হ্যা আসো।
আদর- স্যার আপনার কফি।
রাদ- স্টোর রুমে যাও দেখো গত মাসের
বাজেট এর একটা ফাইল আছে ওই টা আনো।
আদর- জি স্যার।
রাদ- ( যাও যাও। দেখি এত ফাইল এর মাঝে
কি করে ওইটা পাও।আর পাবেই বা কি করে
ফাইল ত আমার কাছে।)
আদর- ও মা এত গুলা সেল্ফ আর এত ফাইল এর
মধ্যে ওইটা পাবো কি করে???
রাদ- সি,সি ক্যামেরা তে দেখছি বেচারি
ফাইল খুজে খুজে হয়রান।
আদর- আজব কাহিনি ফাইল টা গেল কই।
উপরের দিকে চেক করতে হবে।
মই বেয়ে উপরে উঠলাম।
রাদ- হঠাত ওর পায়ের দিকে চোখ গেল।
ফাইল খুজতে খুঁজতে ওর হুশ ই নাই।
মেয়েত এখনি পরবে।আমি স্টোর রুমে যাওয়ার
জন্য যেই দাড়া হলাম...
আদর- পা টা পিছলে গেল আম্মুউউউ
মনে হল কেউ ধরে ফেলেছে।
আমি এক চোখ খুললাম।
চলবে,,,,,,,

#বস+বয়ফ্রেন্ড #season4
নিলান্তিকা
পর্ব-- ৭
.
আদর- পা টা পিছলে গেল আম্মুউউউ
মনে হল কেউ ধরে ফেলেছে।
আমি এক চোখ খুললাম।
আহিল- এই মেয়ে এখনি ত পরে যেতে তখন কি
হত।
রাদ- আমি স্টোর রুমে গেলাম।ছোট করে
কাশি দিয়ে - কি হচ্ছে? ?
আহিল- আদর কে নামালাম।
আসলে স্যার ও পরে যাচ্ছিল তাই আরকি...
রাদ- আদর ফাইল আমি পেয়েছি তোমাকে
আর খুঁজতে হবেনা।
যাও এখন।
আদর- আমি আহিল স্যারর এর পিছন পিছন বের
হয়ে গেলাম।
রাদ- trouble maker! !! উফফ
আদর- tnx ahil sir.
আহিল- its ok.
আদর- কাজ শেষ করে বাসায় গেলাম।
নিরব- ভাউউউউ।
আদর- চোখ বন্ধ করে আম্মুউউউ।
নিরব- হাহাহা।
ভয় পাইছিস??
আদর- আজ তোর এক দিন কি আমার।
শয়তান।
আম্মু- আরে আরে থাম থাম।
তোরা এখনও বাচ্চা দের মত করিস।
আদর- দেখোনা।
শয়তান টা কি ভয় পাওয়ায় দিয়েছিল।
নিরব- আচ্ছা আচ্ছা সরি।
আদর- ঘরে ঢুকে দেখি সবাই আছে।
কিরে দিয়া, কেয়া আরাভ তোরা সবাই? ?.
নিরব- হ্যা।
সবাই এসেছি।
আনটি র হাতের মজার রান্না খেতে।
আর সরি ইয়ার।
আমি আসলে ভুলেই গিয়েছিলাম তুই অফিসে
জয়েন করেছিস।
না হলে ওইভাবে তোকে ভেজাল এ ফেলতাম
না।
আদর- ইটস ওকে।
আম্মু- কিরে তোর হাতে কি হয়েছে ??
আদর- ওই একটু ব্যথা লেগেছিল। এই আর কি।
আম্মু- আচ্ছা যা ফ্রেশ হয়ে আয়।
খাবার দেই।
আদর- খাবার খেতে খেতে অনেক আড্ডা
দিলাম।
সকালে-
আদর- তাড়াহুড়া করে রেডি হয়ে বের হলাম।
উফফ জ্যাম লাগার আর টাইম পেল না।
দুর।
চুইংগাম চাবাচ্ছি আর কানে হেডফোন
লাগিয়ে গান শুনছি।
হঠাত পাশের গাড়ি র দিকে চোখ গেল।
চশমা টা ভাল মত ঠিক করে দেখলাম আরে
এটাত স্যার এর গাড়ি।
রাদ- গাড়ি র গ্লাস নামালাম।
সান গ্লাস খুলে আদরের দিকে তাকালাম।
আদর- স্যার এর চোখে চোখ পরতেই চোখ
সরিয়ে নিলাম।পরে আবার একটু তাকালাম।
উনি
হাতের ঘড়ি র দিকে তাকিয়ে বাকা ১টা
হাসি দিলেন।
আমি ঘড়ি র দিকে তাকিয়ে দেখি ৫ মিনিট
বাকি ৯ টা বাজতে।
ওরে আল্লাহ।
রাদ- গ্রিন সিগনাল দিতেই গাড়ি স্টার্ট
দিল।
আদর- এত জোরে গাড়ি চলে গেল মনে হল
রাস্তায় উনি রকেট চালাচ্ছেন।
আমিও যেতে লাগলাম।
উনার আগে অফিসে না যেতে পারলে ত আজ
খবর আছে।
আমি শট কাট রাস্তা দিয়ে যেতে লাগলাম।
অফিসের গেটে ঢুকেই দেখি স্যার গাড়ি
থেকে নামছেন
আমি কোনো মত সাইকেল রেখেই ভেতরে
ঢুকলাম সিড়ি দিয়েই উপরে উঠলাম।
হাপাতে হাপাতে অফিসে ঢুকলাম আর স্যার
আমার পিছন পিছন।
আমি ডেস্ক এ যেয়ে দারা হলাম।
রাদ- সান গ্লাস টা খুলে বাকা একটা হাসি
দিলাম ওকে দেখে আর কেবিন এ ঢুকে
গেলাম।
আদর- যাক উনার ১ সেকেন্ড আগে হলেও ত
অফিসে ঢুকতে পেরেছি।
ভালই রেস হল।
এনা- কি ব্যপার এত হাপাচ্ছ কেন? ?
আদর- আর বলনা।
সব বললাম ওকে।
এনা- হা হা হা।
।ভালই
আদর- তুমি হাসছ? ??
আর আমার কি অবস্থা হয়েছিল না দেখলে
বুঝবানা।
রাদ- কফিতে চুমুক দিতে দিতে উপর থেকে
নিচে তাকালাম ।
( যেহেতু কাচের দেওয়াল তাই সব দেখা যায়)
এক ছেলে গিটার বাজাচ্ছে।
কাজের ব্যস্ততায় এখন আমি ত আমার নিজের
গিটার ধরার ও টাইম পাচ্ছিনা।
ছোট বেলা থেকেই আমার গিটার এর শখ
ছিল।
মম গিটার টা গিফট করেছিল।
এটাই মায়ের শেষ স্মৃতি যেটা আমার কাছে
আছে।
এ সব ভাবতে ভাবতে হঠাত ওই মেয়ের কথাটা
মনে হল।
সেই সুর টা মনে হচ্ছে এখন ও আমার কানে
বাজছে।
কেনো যেন সেটা ভুলতে পারছিনা আমি।
lunch time-
আদর- ইমু, এনা চল এক সাথে লাঞ্চ করি।
কেন্টিন এ গেলাম।
রাদ- কেন্টিন এ সামনে যেতেই সেই সুর টা
শুনতে পাচ্ছি।
আমি তাড়াতাড়ি কেন্টিন এ ঢুকলাম।
কিন্তু এখন ত শুনতে পাচ্ছিনা।
আমি খুজতে লাগলাম।
হঠাত খেলাম ধাক্কা।
আদর- ধাক্কা খেয়ে আমার হাতের চাওমিন
সব স্যার এর গায়ে গিয়ে পরল।
sorry sir.
sorry sorry.
স্যার আমি দেখিনি।
রাদ- রাগে মনে হচ্ছিল ওকে খুন করে ফেলি।
আদর- সরি স্যার।
ভুল হয়ে গেছে।
রাদ - কোট টা খুলে ওর হাত ধরে সোজা
নিজের কেবিন এ।
আদর- আল্লাহ আমি আজ শেষ।
রাদ- u r seriously a trouble maker.
আমার সাথে কিছুনা কিছু হলে সেটা তোমার
দ্বারাই হবে।
idiot.
u r intolerable.
.
ador- sorry sir.
আসলে আমি দেখিনি।
রাদ- ওর দিকে এগিয়ে গেলাম।
আদর- ঢোক গিলে একটু পিছিয়ে গেলাম।
পিছাতে পিছাতে একদম দেওয়ালের সাথে।
রাদ- ওর সামনে দারিয়ে আছি।
আমার দিকে তাকাও।
আদর - ভয়ে মনে হচ্ছিল আমি কেদেই দিব।
রাদ- তাকাও বলছি( জোরে)
আদর- তাকালাম তার দিকে।
রাদ- ওর চশমা টা খুললাম।
চশমা পরেই তুমি চোখে দেখোনা।
চার চোখ কি enough নয় তোমার দেখার জন্য।
আদর- চশমা টা তার থেকে কেড়ে নিয়ে
চোখে পরলাম।
আমি না হয় দেখিনি তা আপনি ও কি দেখেন
নি? ?আপনার চোখ কই ছিল ( বলেই মুখ ২ হাত
দিয়ে চেপে ধরলাম)
রাদ- (এমন বিহেভ এর আগে আমার সাথে
কেউ করেনি! রাগে রক্ত মাথায়)
ওর হাত ধরে দেওয়ালে চেপে ধরলাম- তোমার
এত সাহস তুমি আমার সাথে এইভাবে কথা
বল।?? সবাই যেখানে আমাকে দেখলে মুখ
দিয়ে কথা বের হয় না আর তুমি?? এত সাহস
পাও কই???
আদর- ছাড়ুন।
ব্যথা লাগছে।
রাদ- এরপর আর কোনো দিন ও যদি দেখি তুমি
আমার সাথে এইভাবে কথা বলেছ তাহলে
দেখবে রাদ কত খারাপ হতে পারে।
যাপ বলে দিলাম ফেলে ওকে।
আদর- দরজার সাথে মাথা লাগল।
ব্যথা পেলাম খুব।
নিজের টেবিল এ চলে গেলাম।
লাঞ্চ টাইম শেষ এ সবাই সবার কাজে চলে
আসল।
এনা- আরে আদর হাত এত লাল হয়ে আছে
কেন? ?
আদর- না কিছুনা।
ব্যথা লেগেছে।
( উনি কি আসলেই মানুষ? ? এত জোরে কেউ
হাত ধরে? ? উনার মত খারাপ দুনিয়াতে আর ১
টাও নেই)
ইমু - কিরে মুড অফ নাকি? ?
আদর- না।
আসলে ভাল লাগছেনা।
কাজ শেষ এ বাসায় ফিরছিলাম।
হঠাত কিছুদুর যেতেই সাইকেল এর এক চাকা
বাস্ট হয়ে গেল।
উফফ এটাও এখন হতে হল? ?? এখন হেটে হেটে
যেতে হবে??
রাদ- ড্রাইভার গাড়ি থামাও।
এই দোকান থেকে পানি নিয়ে আসো।
ড্রাইভার - জি স্যার।
রাদ- গাড়ি র বাইরে বের হয়ে দাড়ালাম।
হঠাত কারো চিতকার শুনতে পেলাম।
আমি দেখার জন্য এগিয়ে গেলাম
।এক অন্ধকার গল্লির দিকে।
ড্যানি- আমি স্যার এর পিছন পিছন গেলাম।
রাদ- সামনে যেয়ে দেখি ১ টা মেয়ে কে
ঘিরে ৪-৫ টা ছেলে।
অন্ধকারে মেয়েটার মুখ দেখা যাচ্ছেনা।
ড্যানি।
ড্যানি- জি স্যার, পিস্তল টা সাথেই আছে।
রাদ- ওটা লাগবেনা।
গাড়ির থেকে হকি স্টিক নিয়ে আসো।
আমি কোট খুলে কমোড়ে বাঁধলাম।
শার্ট এর হাতা ফোল্ড করে হকি স্টিক দিয়ে
এলোপাথাড়ি মারতে লাগলাম।
চলবে,,,,,,,,,,,,,,

#বস+বয়ফ্রেন্ড #season4
নিলান্তিকা
পর্ব-- ৮
.
রাদ- সামনে যেয়ে দেখি ১ টা মেয়ে কে
ঘিরে ৪-৫ টা ছেলে।
অন্ধকারে মেয়েটার মুখ দেখা যাচ্ছেনা।
ড্যানি।
ড্যানি- জি স্যার, পিস্তল টা সাথেই আছে।
রাদ- ওটা লাগবেনা।
গাড়ির থেকে হকি স্টিক নিয়ে আসো।
আমি কোট খুলে কমোড়ে বাঁধলাম।
শার্ট এর হাতা ফোল্ড করে হকি স্টিক দিয়ে
এলোপাথাড়ি মারতে লাগলাম।
ড্যানি- স্যার এর সাথে আমিও মারতে
লাগলাম।
রাদ- ল্যাম্পপোস্ট এর আলোতে এবার
দেখলাম আরে এ ত আদর।
আদর- আমি দোড় দিয়ে স্যার কে জরিয়ে
ধরলাম।
শক্ত করে ধরে কাঁদতে লাগলাম।
রাদ- it's ok now.
stop crying.
stop it.
.
ador- ধমক খেয়ে আমি চুপ হয়ে গেলাম।
তাকে ছেড়ে আমি মাথা নিচু হয়ে দাড়িয়ে
থাকলাম।
চোখের পানি মুচ্ছিলাম।
রাদ- কিছু না বলে কোট ওর গায়ে দিয়ে আমি
ওর হাত ধরে ওকে গাড়ি তে তুললাম।
যেহেতু আমি ওর বাসা আগে থেকেই চিনি
তাই ওকে আর ঠিকানা জিজ্ঞেস করলাম না।
বাসার সামনে গাড়ি থামল।
আদর বাসায় এসে পরেছ।
নামো।
আদর- ...........
রাদ- আদর!!
আদর- জি জি।
রাদ- চলে এসেছি।
নামো।
আদর- গাড়ি থেকে নেমে এক দোড় এ বাসায়
গেলাম।
রাদ- ড্রাইভার ব্যাক করো।
বাসায় এসে শার্ট খুললাম। ভিজে আছে এখনও
ওর চোখের পানিতে।
আদর- আমার গায়ে স্যার এর কোট টা।
উনাকে দিতে ত মনেই নেই।
আমি শাওয়ার এর নিচে দাড়িয়ে আছি।
আজ যা হতে নিয়েছিল আমার সাথে যদি
স্যার না আসতেন তাহলে কি হত আমার! !"???
রাদ- শার্ট টা ছুড়ে ফেলে দিলাম।
আমার জিবনে অন্য মেয়ের জন্য জায়গা নেই।
সকালে -
আদর- অফিসে এসে স্যার এর কেবিন এ
গেলাম।
স্যার আপনার কোট টা।
রাদ- ফেলে দেও।
আদর- wht? ?
.
raad- can't u hear? ?
ফেলে দেও। আমি ওটা আর ব্যাবহার করব না।
অন্য কে দেওয়া জিনিস আমি আর ফেরত নেই
না।
আদর- ওটা নিয়ে টেবিল এ আসলাম।
ভাবছিলাম উনাকে থ্যক্স দিব। কিন্তু উনার
ব্যাবহার এ আমার রাগ হয়ে গেল।
আমি কি বলেছিলাম আমাকে দিতে? ?
আর আমার গায়ে ময়লা নাকি যে এটা
নোংরা হয়ে গেছে?? ঢং।
রাদ- ador follow me.
আদর- yes sir.
ব্যাগ টা পিঠে ঝুলিয়ে উনার পিছন পিছন
গেলাম।
রাদ- গাড়ি তে উঠ।
আদর- স্যার কোথায় যাচ্ছি? ?
রাদ- মিটিং আছে।
আদর- কিন্তু আমি ত জানিনা? ?
রাদ- সব তুমি জানলে আমার কি দরকার
ছিল? ?
আদর- সরি।
আমি সামনের সিটে বসে আছি।
লুকিং গ্লাসে দেখছি উনি ফোন এর দিকেই
তাকিয়ে আছে।
আমি ব্যাগ থেকে চুইংগাম বের করে
চাবাচ্ছি মনের সুখে।
গাড়ি থামল।
রাদ- আদর নামো এইখানে।
আদর- নেমে আশে পাশে না দেখেই থু করে
চুইংগাম টা ফেললাম সেটা সোজা স্যার এর
গায়ে।
আল্লাহ মাবুদ।
আমি কিছু না বলেই এএএএএএএ করে উঠলাম।
রাদ- shut up u idiot.
এখন মিটিং তাই রাগ কোন্ট্রল করলাম।
আদর- ( মনে মনে আদর তুই ও না দেখে শুনে
কাজ করতে পারিস না? ?? ছাগল)
ভেতরে গেলাম।
স্যার মিটিং করছে আর আমি উনার পাশে
বসে আছি।
যেহেতু এই মিটিং সম্পকে আমি জানতাম ই
না।তাই
আমি কিছু বুঝতেই পারছিনা।
রাদ- কাগজ নিতে গিয়ে হাত পরল আদরের
হাতের উপর।
আদর- আমি স্যার এর দিকে তাকালাম।
রাদ- হাত সরিয়ে নিয়ে আমার কাজে
মোনোযোগ দিলাম।
আদর- মিটিং শেষ করে উঠলাম।বের হওয়ার
সময়
কিছু বুঝার আগেই স্যার
আদর বলে আমার হাত ধরে কাছে টেনে নিয়ে
পাশ ফিরে জরিয়ে ধরলেন।
কি হল কিছুই বুঝতে পারলাম না।
রাদ- hey u stop.
u idiot.
.
আদর তুমি ঠিক আছো ত।
আদর- হ্যা কিন্তু আমি বুঝতে পারছিনা
আসলে হল কি।
রাদ- উঠে দাঁড়ালাম।
( মনে মনে ও নিশ্চয়ই আমার উপর এটাক করতে
এসেছিল)
আদর- চারিদিক এ তাকালাম সবাই হ্যা করে
আমাদের দেখছে।
স্যার এর হাতের দিকে তাকালাম হাত দিয়ে
রক্ত পরছে।
স্যার আপনার ত হাত কেটে গেছে।
রক্ত পরছে।
রাদ- its ok.
এসব এ আমার কিছু হয়না।
আদর- আপনি এখানে আসুন।
রাদ- আমি বলেছিত কিছু হবেনা।
আদর- জোর করে হাত ধরে চেয়ারে বসালাম।
প্লিজ স্যার আপনি এখানে চুপ করে বসুন।
আমি ব্যাগ থেকে একটা কেঁচি বের করলাম।
রাদ- কেঁচি কি হবে? ? আর তুমি ব্যাগ এ
কেঁচি ও রাখো।
আদর- আসলে স্যার আমার এই ছোট ব্যাগ এ
আমি সব রাখি।
কোন সময় কি যে হয়ে যায় আর কোন টার
দরকার পরে কেউ ত জানেনা।তাই এই ব্যাগ
টাতে সবসময় সব কিছু রাখি।
আর কেঁচি বের করলাম আপনার শার্ট এর
হাতা কাটার জন্য।
রাদ- মানে? ?
আদর- স্যার ড্রাসিং করতে হলেত শার্ট
খুলতে হবে।
কিন্তু এখানে এত মানুষ আপনি ত লজ্জা
পাবেন তাই আর কি এই ব্যবস্থা।
রাদ- ওর কথা শুনে আমি না হেসে পারলাম
না।
আদর- এই প্রথম স্যার কে হাসতে দেখলাম।
রাদ- কি দেখছ??
আদর- নাহ কিছুনা।
ব্যাগ থেকে first aid box বের করে ড্রেসিং
করে দিলাম।
আমার ই ভয় লাগছিল রক্ত দেখে তারপর ও
মনে সাহস যুগিয়ে কাজ টা করলাম আর কি।
রাদ- হয়েছে? ?
আদর- জি স্যার।
রাদ- চল এবার।
আদর- অফিসে আসলাম।
ড্যানি- স্যার এর জন্য আপনাকে বলি
আমাকে সাথে রাখতে।
বড় স্যার শুনলে খুব রাগ করবেন।
রাদ- don't worry danny.
আর dad কে কিছু বলার দরকার নেই
ড্যানি- স্যার আমি আর আপনার কথা
শুনছিনা।
আমি এর পর থেকে আপনার সাথেই থাকব।
আদর- কাজ শেষ এ বাসায় আসলাম।
খাওয়া দাওয়া শেষ করলাম।
আম্মু- কিরে এত রাতে গান গাচ্ছে বেপার
কি।
আদরের ঘরে গেলাম।
বারান্দা তে গিয়ে ওর সামনে বসলাম।
কিরে থামলি কেন? ?
আদর- আবার গান গাওয়া শুরু করলাম।
আম্মু - কি হয়েছেরে? ? মন খারাপ??
আদর- আরে না।
অনেক দিন কাজের চাপে গিটার টা ধরা
হয়না।
তাই ভাবলাম আজ একটু বাজাই।
আম্মু- তুই চাকরি নিতে গেলি কেন বলত।
গান টা কে কি profession হিসেবে নেওয়া
যেত না? ?
আদর- হয় ত।
কিন্তু আমি ত আর ওত ভাল সিংগার না।
আম্মু- কে বলেছে??
তুই অনেক ভাল সিংগার।
আদর- আম্মু আজ আমার সাথে ঘুমাও।
আম্মু- আচ্ছা আমার বাচ্চা টা।
আদর- মা কে জিরিয়ে ধরে শুয়ে আছি।
চলবে,,,,,,,,,


#বস+বয়ফ্রেন্ড #season4
পর্ব--- ৯
.
ভাবছি স্যার আসলেই ওতো টাও খারাপ না।
খারাপ ই যদি হতেন তাহলে আমাকে বাঁচাতে
যেয়ে নিজে আহত হতেন না।
উনি আসলে নারকেল এর মত।
উপরে শক্ত কিন্তু ভেতর টা নরম।
উপর উপর শক্ত দেখালেও ভেতরে আসলে
ওতটা শক্ত নয়।
ভাবতে ভাবতে কখন ঘুমিয়ে গেলাম।
চোখ খুলে ঘড়ি র দিকে তাকালাম ৬ টা
বাজে।
আজ হঠাত এত সকালে ঘুম ভাংল বেপার কি।
অনেক দিন ধরে ওই পার্ক টাতে আর যাওয়া
হয়না জগিং এর জন্য।
আজ যখন এত সকালে উঠেছিই তাহলে যাওয়া
যাক।
টাওজার আর গেঞ্জি পরে বের হয়ে গেলাম
জগিং এ।
জগিং করে একটু বসলাম পুকুরের সামনে
রাদ - সেই সুর টা মনে হচ্ছে।
আদর- আরে স্যার এইখানে? ?
জগিং এ এসেছে মেবি।
কেমন আছে জিজ্ঞেস করে আসি।
স্যার স্যার!!!
রাদ- তুমি? ?
আদর- হ্যা জগিং এ এসেছিলাম।
আপনার হাত এখন কেমন .....?
রাদ- এইসব ফালতু কথা বলার টাইম নাই
আমার।বাই।
আদর- আরে আরে স্যার!!!
আরে ধুত্তুরি
আমি আবার কি ফালতু কথা বললাম??
আজব ব্যপার।
আমি ত তার খবর নিতে চাচ্ছিলাম।আচ্ছা
আমি ত মানুষ।মানুষ হিসেবে কি তার খবর
নিতে পারিনা? ??
angry bird একটা।
ধুর।
রাদ- যখন ই ভাবি ও আমার খুব কাছে তখনি
আবার দুরে চলে যাও।যখনি তোমাকে ভুলে
যাই আবার কেনো সামনে চলে আসো? ??
কেনো পাইনা খুজে তোমাকে। damn it.
অফিসে-
আদর- অফিসে এসে টেবিল এ আগে ব্যাগ
রেখে স্যার এর কেবিন এ গেলাম স্যার এর
কেবিন টা ঠিক করতে।
এখনও স্যার আসেনি।
স্যার এর কেবিন টা ঠিক করতে করতে একটা
ছবি পেলাম স্যার এর।
ছবি দেখে বক বক করতে লাগলাম- এহ কি লুক
রে বাবা।
angry bird একটা।
বলি মানুষ এর সাথে ত normally কথা বলা
যায়। কিন্তু না।
সব সময় এত রেগে থাকার কি আছে হ্যা।
পাজি, জল্লাদ।
গোমড়া মুখো কোথাকার।
রাদ- আমি যে পিছনে দাড়িয়ে দাড়িয়ে ওর
কথা শুনছি ওর হুশ ই নেই।
তাহলে ওকে একটু হুশ এ আনা যাক।
আমি ওর পিছনে গিয়ে দাড়িয়ে হাত থেকে
ছবি টা নিয়ে নিলাম।
আদর- এই কে রে........ (ইইইইইই ... খাইসেরে
স্যার।
উনি কখন আসল??? আদর তুই ত শেষ)
good morning sir.
বলেই চলে আসছিলাম।
রাদ- wait.
আদর- থমকে দাড়ালাম।
( আজ আমি শেষ মনে হচ্ছে। )
জি স্যা..... স্যা..... স্যার।
রাদ- ওর দিকে এগিয়ে যেতে যেতে angry
bird তাইনা।
আদর- এএ সেটা আবার কি স্যার।
আমি ত এমন কিছু চিনিই না।
রাদ- পাজি, জল্লাদ।
আদর- কি বলেন স্যার।।। আপনি ত অনেক ভাল।
পাজি, জল্লাদ কেমন হয় আপনি জানেন ই না।
কি যে বলেন না।
পিঠ ঠেকল দেওয়ালে।
( আল্লাহ বাচাও)
রাদ- গোমড়া মুখো? ?
আদর- ( স্যার সব শুনছে। তুই ও না বক বক শুরু
করলে আর আশে পাশে তাকাইস না।
বক বক করতেই থাকিস।উফফ এখন কি হবে , এর
থেকে ভালো পালাই)
রাদ- ও পাশ দিয়ে চলে যাচ্ছিল আমি পাশে
দেওয়ালে হাত রাখলাম।
ওই পাশেও হাত রাখলাম।
আদর- (স্যার এমন করে তাকিয়ে আছে মনে
হচ্ছে আমাকে কাচা খেয়ে ফেলবে।
অপলক দৃষ্টি তে আমার দিকে তাকিয়ে
আছে। )
রাদ- আমি কিছু বলতে যাব তখনি আদর ফিক
করে হেসে দিল।what the hell?? why r u
laughing? ?
আদর- sir. i remember a joke.
wanna listen? ?
রাদ- এই মেয়ে r u mad or what?? এই situation
এ তোমার জোক মনে পরল? ??
r u serious? ? r u listening urself? ??
আদর- উনার কথায় আমি চুপ হয়ে গেলাম।
রাদ- get back to ur work.
leave.
i said leave.
.
আদর- আমি তাড়াহুড়া করে বের হতে
যাচ্ছিলাম হাত লেগে ফুলের ভাস টা পরে
যেরে নিচ্ছিল কোনো মিত সামলিয়ে দ্রুত
বের হয়ে আসলাম।
সোজা নিজের ডেস্ক এ।
এনা- কি বেপার এইভাবে বের হয়ে আসলে??
কি হয়েছে।
আদর- না কিছুনা।
কাজে মন দিলাম।
এনা- এ মা কি ব্যপার।
নিজে নিজে হাসছো যে? ?
আদর- আসলে একটা জোক মনে পরল।
শুনবা।
এনা- বল বল।
আদর- জোক বলার পর সবাই হেসে ঊঠল।
ইমু - good one.
আসলে হাসতে হাসতে পেট ব্যথা হয়ে গেল।
আদর - মনে হল কেউ মাথায় বারি দিল।
এই কে কে।
পিছন ফিরে দাড়া হলাম।
স্যার আপনি।
রাদ- হুম।
এই ফাইল টা দিতে আসলাম।চেক ইট।
আদর- ওকে।
রাদ- কেবিন এ ঢুকে হাসতে হাসতে আমার
অবস্থা খারাপ।
তখন ফাইল দিতে যেতে জোক ড়া শুনেছিলাম
।কোনো মত হাসি আটকে রেখেছিলাম।
কিন্তু আর পারলাম না।
আদর- আমি কেবিন এর দরজাতে দাড়িয়ে
দাড়িয়ে স্যার এর হাসি দেখছি।
আর অবাক হচ্ছি কি সুন্দর তার হাসি।
রাদ- পিছন ফিরে দেখি আদর দাড়িয়ে।হাসি
থামিয়ে
কি চাই??
আদর- স্যার এই চেক টাতে সাইন দরকার ছিল।
রাদ- ওকে রেখে যাও।
আদর- রেখে বাইরে আসলাম।
ইমু- কিরে কি ভাবছিস।
আদর- আজ নিয়ে ২ বার স্যার কে হাসতে
দেখলাম।
কি অদ্ভুত সুন্দর।
ইমু- ওমা তাই নাকি? ?
হাসির প্রেমে পরেছ নাকি স্যার এর? ?
আদর- প্রেমে?? তাও ওই angey bird এর? ?
মাথা খারাপ? ?
এনা- না হলেই ভালো।
বলা ত যায় না
কে কখন কার প্রেমে পরে।
আদর- ধুত্তুরি তোমাদের বলাই ভুল হইছে।
এনা- হ্যা তা ত হবেই।
হেহেহে।
কাজ শেষ এ বাসায় আসলাম।
আদর- আসলেই কি এমন হতে পারে? ?
স্যার আর আমি? ?
আরে ধুর কি ভাবছি আর আমি তার কথাই
কেন ভেবে যাচ্ছি।
ধুর মাথা গেছে কই সে আর কই আমি??
চাদ কি মাটিতে আসে নাকি।
এর থেকে ভালো আদর তুই ঘুমা।
রাদ- কফি খেতে খেতে বারান্দা তে
গেলাম।
where r u ?? where????
তুমি বলে কি কিছু আছে? ? নাকি শুধুই
মরিচিকা? ??
মনে হচ্ছে এই ত এখনি তোমাকে পেয়ে যাব
কিন্তু তারপর ই উধাও হয়ে যাও।
কেন? ?
why? ? why damn it.
চলবে,,,,,,,,,


#বস+বয়ফ্রেন্ড #season4
১০
আদর- সকালে আড়মোড়া ভেংগে ঘুম থেকে
উঠলাম।
উফফ আজ এত শীত শীত লাগছে কেন? ?
বারান্দাতে গেলাম।
ওমা স্নো পরছে।
হাত বারিয়ে স্নো ধরছিলাম।
আম্মু- স্নো না ধরে অফিস যাবি কিভাবে
সেটার চিন্তা কর।
আদর- ছাতা নিয়ে।
রেডি হয়ে বের হয়ে গেলাম।
একটা টেক্সি ও পাচ্ছিনা।
আর যা আছে তাতে মানুষ আছে।
উফফ এখন হেটে হেটেই যেতে হবে।
হাটতে লাগলাম।কিছুদুর যেতেই রাস্তায় রেড
সিগনাল পরল, দাড়িয়ে আছি রাস্তায়।
রাদ- গাড়ি তে বসে ইমেইল গুলা চেক
করছিলাম।
বাইরে স্নো পরছে।
গাড়ি র গ্লাস টা লাগানোর জন্য জানালার
দিকে তাকালাম দেখি একটা মেয়ে নিজের
ছাতা অন্য জন কে ধরিয়ে দিয়ে নিজে স্নোর
মধ্যে দাড়িয়ে আছে।
আদর- স্টেলা তুমি ছাতা ছাড়া কেন বের
হয়েছ নেও ছাতা নিয়ে বাড়ি যাও।
মম চিন্তা করছে ।
তাড়াতাড়ি যাও।
রাদ- মেয়েটা পিছনে ঘুরতেই দেখি আরে এ ত
আদর।
বাহ অন্য কে ছাতা দিয়ে এখন নিজে ভিজছে
বাহ ভাল ত।
ভিজুক আমার কি।?
অফিসে-
আদর- হাচি দিতে দিতে শেষ।
ইমু- কি বেপার এত হাচি দিচ্ছ কেন? ?.
ঠান্ডা লেগেছে? ?
আদর- তাই ত মনে হচ্ছে।
আচ্ছা যাই স্যার কে ফাইল দিয়ে আসি।
may i came in sir বলেই হাচি দিলাম।
রাদ- u may.
আদর- রুমে ঢুকেই আরো ৩-৪ বার হাচি দিলাম।
স্যার এই ফাইল টা।
রাদ- হুম।
রাখো।
আদর- ননস্টপ হাচি দিতেই আছি।
রাদ- ( এর মধ্যে ঠান্ডা ও লেগে গেছে? ??
বাহ।)
নিজের চিন্তা না করে আরেকজন এর চিন্তা
করলে এমন ই হয়।
আদর- কি বললেন? ?
রাদ- না কিছুনা।
আদর- আজ সারাদিন হাচি দিতে দিতেই
শেষ।
রাদ - সি.সি ক্যামেরা তে দেখলাম শুধু ওকে
হাচি দিতেই।
সারাদিন হাচি দিতে দিতেই ওর শেষ ।
আমার যা রাগ হচ্ছিল।
নিজের ভালো ত পাগল ও বুঝে।
আর ও ???
অফিস শেষ এ-
আদর- আজ সারাদিন ও স্নো পরা ত কমেই নি
এখন আরো বেড়ে গেছে।
রাস্তাঘাট প্রায় খালি।
আর কতক্ষন দাড়িয়ে থাকব এইভাবে? ?
রাদ- অফিস থেকে বের হয়ে গাড়ি তে
উঠলাম।
আদর- স্যার এর গাড়ি মনে হচ্ছে।
হুম কোনো ফন্দি এটে তার গাড়ি তে উঠার
ব্যবস্থা করতে হবে।
রাদ- u idiot. এত জোরে কেউ গাড়ি ব্রেক
করে।
এত জোরে ব্রেক কষেছে যে হাত থেকে
ফোন ত পরেছেই আমি সামনের সিটের সাথে
বারি খেয়েছি।
ড্রাইভার - কি করব স্যার সামনে হঠাত কেউ
এসে পরল।
গাড়ি র নিচেই পরল নাকি কে জানে।
রাদ- what rubbish. গাড়ি থেকে নামলাম।
আধারে এক জন কে দেখলাম।দেখে মনে
হচ্ছে
মেয়ে।
সামনে গিয়ে বসলাম।
মেয়েটা পা ধরে কাঁদছে।
r u ok mam?
.
আদর- ( মনে মনে যাক কাজ হয়েছে)
এ এ এ এ আমার পা।। !!!! এ এ এ এ পা ভেংগে
গেল মনে হয়।
রাদ- আদরের গলা না।আমি হাত দিয়ে মুখ উঁচু
করলাম।
তুমি! !!!!"
আদর- স্যার আপনি ?? এএটা আআপনার
গাড়ি ?? এ এএ আমার পা ত শেষ ।
রাদ- ওকে জাস্ট সাট আপ।
কোথায় লেগেছে দেখি।
পায়ে হাত দেওয়ার আগেই ও চিতকার দিয়ে
উঠল।
উফফ চুপ করো।
হাত ধরে ওকে তুললাম।
আদর- স্যার হাটতে পারছিনা ত।
রাদ- উফফ।
troubled maker.
কোলে তুলে নিলাম।
আদর- আমিও মনের সুখে উনার গলা জরিয়ে
ধরে রাখলাম।
রাদ- গাড়ি তে বসিয়ে দিলাম।
পরে আমি উঠলাম।
ড্রাইভার আদরের বাসায় যাও।
আদর- থ্যক্স স্যার।
so sweet of u.
রাদ- ওর দিকে বিরক্তি নিয়ে তাকালাম।
আদর- আমি মুখ ঘুরিয়ে নিয়ে জানালার দিকে
তাকালাম।
পাশে তাকিয়ে দেখি উনি কাজ করছেন।
এত কি কাজ করে।
হুর পাশে সুন্দরি এক্টা মেয়ে বসে আছে আর
উনি কাজ করছেন।
পারেন ও হুহ।
ড্রাইভার গাড়ি থামাল আদরের বাসার
সামনে।
রাদ- নামো।
আদর- (ওই উল্লুক কি ভুলে গেছে আমার পায়ে
ব্যথা? ??) ইয়ে মানে স্যার.....
রাদ- হ্যা বুঝেছি।
ড্রাইভার ওর হেল্প করো গাড়ি থেকে
নামতে।
আদর- ( ইয়া আল্লাহ এ কি মানুষ? ?? শয়তান
একটা।)
ড্রাইভার - ম্যাম নামুন।
আদর- হাত ধরে নামলাম।
ড্রাইভার - আমি আপনাকে দিয়ে আসি চলুন
আমাকে ধরে ধরে।
আদর- শয়তান পাজি ভাবলাম কই কোলে তুলে
দিয়ে আসবে আর হল কি? ??
উফফ আমি হাটতে পারছিনা, কিভাবে যাব।
রাদ- তাহলে এইখানে বসে থাকো।
ড্রাইভার গাড়ি তে বলে আসো।
ড্রাইভার - কিন্তু স্যার? ? ম্যাম এর কি হবে।
রাদ- ওর টা ও বুঝবে।
আদর- ( তাই নাকি?? ঠিক আছে আমিও কম না।
দিয়ে ত আপনাকেই আসতে হবে।)
আমি রাস্তায় বসে পরলাম।
রাদ- wht the heck. ?তুমি এইখানে বসে পরলে
যে ( গাড়ি থেকে নেমে)
আদর- আপনি ই ত বললেন।
রাদ- ওকে বসে থাকো।
ড্রাইভার গাড়ি চালাও।
আদর- আরে এ কি সত্যি ই চলে যাবে নাকি? ?
এখন কি হবে।
।দুর।
কস্ট করে কনো মতে উঠলাম।পায়ে আসলে
আমি সত্যি ই ব্যথা পেয়েছি নাটক করতে
যেয়ে।
কিছুদুর যেতেই -
রাদ- ড্রাইভার গাড়ি ব্যাক করো।
উফফ এই মেয়েটাও না।!!!
গাড়ি থেকে নামলাম।
দেখলাম ওর হাটতে খুব কস্ট হচ্ছে।
আদর- এই এই কে কে।
আরে এ ত স্যার।
হঠাত না বলে কোলে তুলে নিয়েছে তাই
আমি ভয় পেয়ে গেছি।
রাদ- কি হল আমার দিকে চেয়ে আছো
কেন? ? কলিং বেল বাজাও।
আদর- ও হ্যা।
বেল বাজালাম।
আম্মু- উফফ নিশ্চয়ই আদর এসেছে।
ও ছাড়া এইভাবে কেউ বেল বাজায়না।
আরে খুলছি দাড়া।
দরজা খুলে আমি হা হয়ে গেলাম।
কি দেখছি আমি।
আমার মেয়ে! !" কারো কোলে।
আদর- এটা আমার আম্মু।
কি হল সোরো ভেতরে আসতে দেও।
রাদ- ভেতরে গিয়ে ওকে সোফায় নামালাম।
আদর- আসলে আমার পায়ে ব্যথা বলেই স্যার
আমাকে সাহায্য করলেন।
আম্মু- ও তোর অফিসের স্যার।
বসো বাবা।
রাদ- no no it's ok.আমি এখন যাবো।
গাড়ি বাইরে দাড়িয়ে আছে।
আম্মু- ওকে । আবার এসো।
রাদ- পায়ের ব্যথা কমলে কাল কে এসো না
হলে আসার দরকার নেই।
পরের দিন-
আদর- ঘুম ভাংল কেয়ার ফোনে।
কেয়া- ( ফোনে) আদর সন্ধ্যা তে ফ্রি আছিস
আজ? ?
আদর- কেন রে? ?
কেয়া- ও মা তোর মনে নেই আজ নিরবের
জন্মদিন।
আদর - ও হ্যা তাই ত।
আমার ত মনেই ছিল না।
তোরা কি প্লান করেছিস? ?
কেয়া- সন্ধ্যায় ত আজ নিরব খাওয়াবে।
আদর- ওকে আমি আসব।
পায়ের ব্যথার কথা মনেই নেই কারন ব্যথাটা
কমে গেছে।
মা রাতে গরম সেক দিল আর কি কি যেন করল
এখন ব্যথা নেই বললেই চলে।
স্যার ত বলেইছিল আজ না যেতে।
যাক ভালই হল।
সন্ধ্যায়-
নিরব- তোরা যা চাবি তাই খাওয়াব কিন্তু
শর্ত হচ্ছে আদর কে গান গাইতে হবে।
আদর- ওই না না আজ না।
নিরব- তাহলে আমি কাওকে কিছু খাওয়াব
না।
কেয়া,আবির,দিয়া- ওই গান গা না।
তোর জন্য আমাদের ও খাওয়া হবেনা।
প্লিজ গা।
আদর- আচ্ছা আচ্ছা।
দে গিটার দে।
চলবে,,,,


#বস+বয়ফ্রেন্ড #season4
১১
আদর- আচ্ছা আচ্ছা।
দে গিটার দে।
রাদ-( কিছু বিদেশি দের সাথে মিটিং
করছিলাম এক রেস্টুরেন্ট এ।
হঠাত গিটার এর শব্দ পেলাম।
ভালই লাগছিল হঠাত সেই সুর টা কিন্ত সেটা
কেউ গিটারে বাজাচ্ছে।
হঠাত এক মেয়ের গানের গলা ভেসে এল।
তাহলে সেই মেয়েটাই কি এখানে আছে? ?)
guys please excuse me.
I'll be back. one mnt please.
বলে উঠে গেলাম মেয়েকে খুঁজতে।
আদর- আমি গান গাচ্ছিলাম।
আর চারদিকে মানুষ ভিড় করে ফেলেছে।
রাদ- ওইদিকে এত মানুষ কেন? ? তাহলে কি
ওইখানেই? ??
দ্রুত গেলাম ভিড়ে র মাঝে ঢুকার চেস্টা
করছিলাম।
আদর- হঠাত করে চোখ গেল সস্যার এর দিকে।
ওমা উনি এইখানে? ? খাইসেরে আমাকে যদি
দেখে তাইলে আমার চাকরি শেষ।
বলবে পায়ে ব্যথা নাই কিন্তু আমি অফিসে
যাইনি।
আর এইখানে আড্ডা দিচ্ছি।
হইছে। আমি উঠেই দৌড়।
সবাই অবাক হল।
এই মেয়ে এইভাবে ভাগল কেন? ??
রাদ- আচ্ছা এইখান এ যে এক টা মেয়ে গান
গাচ্ছিল!!...
অজানা- মেয়েটা হঠাত গান
থামিয়ে চলে গেল।
কি জানি কি হইছে.( আসলে
আদর ই হচ্ছে সেই মেয়ে যাকে রাদ এতদিন
ধরে খুঁজছে। )
রাদ- damn.আজ ও । আআজ ও পেতে পেতে পেলাম না।
উফফ।
আদর- স্যার হঠাত কোথা থেকে আসল?? দুর।
দ্রুত বাসায় যাই।
রাদ- হাটতে যেয়ে খেলাম ধাক্কা। আদর
তুমি? ?
আদর- ইইইই( এটা কোনো কাজ হল??) ইয়ে
স্যার আসলে।
রাদ- আসলে???
আদর- পায়ের ব্যথায়া এখন একটু কমেছে তাই
আম্মু কে নিয়ে এসেছিলাম।
রাদ- ওহহ তাই।
চল আনটি র সাথে দেখা করে আসি।
আদর- ইয়ে আম্মু ত চলে গেছে।
রাদ- আর তুমি কি করছ? ?
আদর- ইয়ে মানে .....
।ও আমি ফোন রেখে গিয়েছিলাম ভুলে তাই
নিতে এসেছি।
রাদ- ফোন পেয়েছ?
আদর- হ্যা হ্যা।
রাদ- ও তাহলে চল।
আদর- কই স্যার।
রাদ- চলই ত।
gentleman she is ador.
my P.A.
আদর- স্যার মিটিং করছে আর আমি দাড়িয়ে
আছি পাশে।
রাদ- মিটিং শেষ হল।
আমি ওদের নিয়ে বেরিয়ে গেলাম।
আদর- আরে একি আমাকে রেখেই চলে গেল??
আমার দিকে তাকাল ও না।
কি আজব।
চলে আসছিলাম হঠাত দেখি টেবিল এ ফাইল।
ফাইল নিয়ে দিলাম দোড়।
স্যার!!! স্যার!!
যাহ চলে গেলো???
ফাইল নিয়ে আমিও বাসায় গেলাম।
নিরব - কিরে তুই এটা কি করলি? ?
কেয়া-ধরে তোকে ধলাই দিতে ইচ্ছে করছে।
আদর- চুপ কর তোরা।
ভাগছি কি সাধে।
আমার জম আসছিল ওইখানে।
তাই ত ভাগছি।
কেয়া- মানে? ?
আদর- স্যার চলে আসছিল
ওইখানে মিটিং হচ্ছিল তার।
বুঝলি
নিরব- ও আচ্ছা।
বাসায়-
রাদ-
উফফ ফাইল টা গেল কই? ??সারা
রুম পুরো খুজে পেলাম না।
আদর- আচ্ছা স্যার কে একবার ইনফোর্ম করে
দেই।
টেনশন করতে পারে।
কাল ত অফ ডে না হলে কাল ত ফাইল টা
দিয়ে দেওয়া যেত।
।যাক ফোন করি।
রাদ- এই trouble maker ফোন করছে কেন? ?
হ্যা বল ( ফোনে).
আদর- স্যার আপনার ফাইল টা....
রাদ- ওইটা তোমার কাছে।
তাহলে তখন আমাকে দেও নি কেন?? u idiot.
.
আদর- excuse me. একে ত ভালো কর তার উপর
কথা শুনো।
ফাইল আপনি রেখে গিয়েছিলেন।
আমি নিয়ে সেটা আপনার কাছে
গিয়েছিলাম।
তার আগেই আপনি চলে গেছেন।
সেটা কি আমার দোষ??
রাদ- ( তাই ত আমি ই ত ভুল করেছি) ওকে ওকে
কাল কে ফাইল য়া নিয়ে আসো।
আদর- কাল ত অফ ডে।
রাদ- কাল কে ফাইল টা আমার লাগবে।
সো বাসায় দিয়ে যাবা।
আদর- বাসায়! "!""
রাদ- কি সমস্যা? ?
আদর- আমি কি চিনি নাকি।
রাদ- address মেসেজ করে দিচ্ছি।
১০ টায় এসে দিয়ে যাবা।
আদর- কিন্তু স্যার।হ্যালো হ্যালো! !
যাহ ফোন কেটে দিল? ?
angry bird একটা।
আমার কথাও শেষ করতে দিল না।
পাজি একটা।
সকালে-
আম্মু- কিরে কোথায় যাচ্ছিস।
আদর- যাই দেখি কোথায় যাওয়া যায়।
দু চোখ যেদিকে যায় সেখানেই যাব।
আম্মু- মারব একটা।
আদর- কাজ আছে একটু।
আম্মু- আচ্ছা তাড়াতাড়ি আসিস।
আদর- স্যার এর বাড়ির সামনে আসলাম।
দাড়োয়ান - জি কাকে চাই??
আদর- আমি আদর।রাদ স্যার এর অফিস এ কাজ
করি।
ফাইল নিয়ে এসেছি।
দাড়োয়ান- ওহ আসুন।
আদর- সাইকেল থেকে নেমে সাইকেল নিয়ে
হাটতে হাটতে ভেতরে গেলাম।
এত বড় এরিয়া বলে বুঝানো যাবেনা।
দু পাশে ফুলের বাগান।
তার মাঝে পানির ফুয়াড়া।
৫-৬ জন মালি কাজ করছে।
বাড়ির সামনে ৫-৬ জন লোক দাড়িয়ে আছে
কালো কোট পরে।
আমি সামনে যেতেই ২ জন পথ আগলে দাড়াল।
আদর- আমি ভয় পেয়ে গেলাম।
গার্ড - ম্যাম ভেতরে যাওয়ার আগে আপনাকে
চেক করতে হবে।
আদর- মানে কি? ?
তারপর চেকিং মেশিন দিয়ে চেক করল। আমি
ভেতরে গেলাম।
ভেতরে গিয়েই মাথাই নস্ট।
এত বড় হল রুম আর এত সুন্দর করে সাজানো সব
কিছু কি বলব।
রিমি- ম্যাম। আপনি কি আদর? ?
আদর- yes.
রিমি- স্যার ব্যস্ত আছে আপনি ফাইল রেখে
যেতে পারেন।
আদর- ওহ ওকে।
( angry bird দেখি ছুটি র দিনেও কাজ করে।
এত কাজ করে বেচে আছে কিভাবে? ?)
রিমি- ম্যাম কিছু ভাবছেন? ?
আদর- না।
পিঠের থেকে ব্যাগ নামিয়ে ফাইল বের করে
মেয়েটার হাতে দিলাম।
।মেয়েটা ফাইল নিয়ে চলে গেল।
আমি বেরিয়ে যেতে নিচ্ছিলাম।
হঠাত কারো চিতকার শুনতে পেলাম।
আমি দৌড়ে বের হলাম দেখার জন্য।
গার্ড - ম্যাম আপনি ওইদিকে যেতে পারবেন
না।
সরি
আদর- ( কিছু ত গড়বড় আছে।
ওইখানে যাওয়া মানা কেন???)
আচ্ছা ঠিক আছে।
আমি আবার বাড়ির ভেতর প্রবেশ করলাম।"
পিছনের দিকে একটা জানালা পেয়ে
গেলাম ।
সেটা দিয়ে বের হলাম।
আস্তে আস্তে বাড়ির পিছন দিকে যেতে
লাগলাম।
আর যা দেখলাম তাতে আমার অবস্থা
খারাপ।
চলবে....

#বস+বয়ফ্রেন্ড #season4
১২
আমি আবার বাড়ির ভেতর প্রবেশ করলাম।
পিছনের দিকে একটা জানালা পেয়ে
গেলাম ।
সেটা দিয়ে বের হলাম।
আস্তে আস্তে বাড়ির পিছন দিকে যেতে
লাগলাম।
আর যা দেখলাম তাতে আমার অবস্থা
খারাপ।
রাদ স্যার এর গার্ড রা কয়েক জন ছেলে কে
ধরে হকি স্টিক দিয়ে পিটাচ্ছে ইচ্ছা মত।
তারপর স্যার বসা থেকে উঠে কি কি যেন
বলে গান দিয়ে সব গুলাকে সুট করে দিল পর
পর আর তা দেখে আমি চিতকার দিয়েই
মাটিতে পরে গেলাম।
রাদ- হঠাত চিতকার শুনে আমি পাশে
তাকালাম।
আরে ' আদর'!!???
ড্যানি লাশ গুলার ব্যবস্থা কর।
গান টেবিল এ রেখে আদর এর কাছে গেলাম।
আদর- আস্তে আস্তে চোখ খুললাম।
হঠাত সেই দৃশ্য চোখ ভেসে উঠল।
আমি পাফ দিয়ে উঠে বসলাম।
রাদ- কানে ব্লুটুথ লাগিয়ে কথা বলতে বলতে
রুমে প্রবেশ করলাম।
আদর- ( আই হাই আমার খবর আছে। যদি
আমাকেও গুলি মেরে দেয়? ?)
স্যার স্যার আমি কিছু দেখিনি।
আমি কিছু জানিনা।
আমাকে যেতে দিন।
রাদ- relax.
আদর- আ....আ.....আমাকে মা.....মারবেন না।
আমি কাউকে কিছু বলবনা।
রাদ- ( উফফ এ ত এখনও শক এ আছে দেখছি)
আদর relax.(ওর দিকে এগিয়ে গিয়ে)
আদর- আমার কাছে আসবেন না।
(পিছাতে পিছাতে)
রাদ- আদর তুমি ভয় পেয়েছ বুঝেছি।
বাট শান'ত হউ।
আদর- উনি এগিয়ে আসছিলেন।
আমি পিছাতে পিছাতে দেওয়ালে ঠেকলাম।
রাদ- ওর সামনে যেয়ে দাড়াতেই আদর
আমাকে ধাক্কা দিল।
আদর- বিছানা থেকে কুশন, বালিশ যা
পাচ্ছিলাম ছুড়ে মারছিলাম।
রাদ- কোনোমত সেগুলা ঠেকিয়ে ওকে শক্ত
করে ধরলাম।
হাত দু টা শক্ত করে ধরে ওর পিঠে
ঠেকালাম।
আদর- আমি কিন্তু চিতকার করব।
রাদ- তাতে কি হবে? ?
আদর- এএএএএএএএএ।
রাদ- উফফ।shut up.
just shut up.stupid.
.
আদর- আমি আরো জোরে কাদা শুরু করলাম।
এএএএএএ এএএএএ।
রাদ- আমি জোরে করে ওকে ধমক দিলাম।
এবার ও চুপ হয়ে গেল।
তুমি আসলেই বাচ্চা ই আছো এখনও।
আদর- আমি মাথা নিচু করে রেখেছি।
আমার হাত দুটা এত শক্ত করে ধরে রেখেছে
যে আমি খুব ব্যথা পাচ্ছি।
কিন্তু ভয়ে কিছু বলতে পারছি না।
ড্যানি- স্যার কাজ কম্পলিট।
রাদ- হাত দিয়ে ইশারা দিলাম ড্যানিকে
চলে যেতে।
আদর- ( হায় হায় কি কাজ কম্পলিট! আমাকেও
শেষ করে দিবে নাকি? আমি যা করছি তার
সাথে আগে। কত ঝগড়া করছি।
আল্লাহ )
রাদ- হুম যা বলছিলাম।
আদর- স্যার স্যার সরি।
আমি আপনার সব কথা শুনব, কোনো দিন ও আর
ঝগড়া করব না।
আপনি বললে এই দেশ ছেড়ে ও চলে যাব।
কিন্তু আমার কিছু করবেন না প্লিজ।
আমার কিছু হলে আমার মা য়ের কি হবে।
আমি ছাড়া আমার মায়ের কেউ নেই স্যার।
রাদ- ওর কথা শুনে আমার খুব হাসি পাচ্ছিল।
তাও হাসলাম না।
হয়েছে তোমার বলা? ??
আদর- জি স্যার।
রাদ- আমার উউপর এই দদিন যারা হামলা
করেছিল ওরা হচ্ছে তারা।
আর তাই ওদের মেরেছি।
এটা ১ম নয়।
এর আগেও এমন হয়েছে অনেক বার।
তাই সব সময় আমার কাছে লাইসেন্স করা গান
থাকে।
কিন্তু আমি সব সময় কেরি করিনা।
বুঝলে।
আদর- ওহ আচ্ছা এই কথা।
(আর আমি কি ভাবলাম।) স্যার এবার
আআমাকে ছাড়ুন।
হাতে ব্যথা লাগছে।
রাদ- ওহ সরি।
আদর- উনি বেরিয়ে গেলেন।
আমিও পিছু পিছু গেলাম।
পরে বাসায় আসলাম।
আম্মু- কিরে বললি যে যাব আর আসব।
আর এই সময় হল আসার? ?
আদর- দেরি হয়ে গেল একটু।
আম্মু - কিরে তোর দু হাত এমন লাল হয়ে আছে
কেন? ?.
আদর- না না কিছুনা।
রুমে গেলাম।
শাওয়ার এর নিচে দাড়িয়ে হাত দু টা
দেখছিলাম।
রক্ত জমে গেছে হাতে।
রাতে ঘুমাতেই পারছিলাম না।
শুধু এই পাশ আর ওইপাশ হচ্ছিলাম।
চোখ বন্ধ করলেই রাদ এর মুখ টা ভেসে উঠছে।
তখন কত কাছে ছিলেন উনি আমার।
অনেক টা কাছে।
তার প্রতি টা নি:শ্বাস আমি অনুভব করতে
পারছিলাম।
তার হার্টবিট শুনতে পারছিলাম।
তার চোখ, হাসি যেন আমি ভুলতে পারছিনা।
কি হচ্ছে আমার
তার কথা কেনো বার বার মনে পরছে।
রাদ- মিস মরিচিকা তোমাকে আমি খুজে
বের করবই।গিটার নিয়ে বারান্দা তে বসে
ছিলাম।
আর গান গাইছিলাম।
সকালে-
আদর- ড্রেস বের করার জন্য আলমারি খুলেই
স্যার এর জেকেট টা দেখতে পেলাম।
উনি ফেলে দিতে বললেও আমি ওটা নিজের
কাছে রেখে দিয়েছিলাম।
রেডি হয়ে অফিসে গেলাম।দেখি সবাই ফুল
হাতে নিয়ে দাড়িয়ে আছে।
আরে এনা সবার হাতে ফুল কেন? ?
এনা- আরে স্যার অফিসে জয়েন করার পর
এটা স্যার এর ১ম জন্মদিন।
আদর- কিহ? ? আরে আমি ত জানিনা।
সবার হাতে ফুল আর আমার হাত খালি!!!!
ইমু- স্যার এসে গেছে।
আদর- পিছনে ঘুড়লাম।
উনাকে দেখেই আমার বুক ধুক ধুক করা শুরু
করে দিল।
তার উপর আজ ত তাকে সেই লাগছে।
লং ব্লাক কোট সাথে ব্লাক শার্ট, ব্লাক
প্যান্ট।
ব্লাক সান গ্লাস।
উফফ মার ডালা।
রাদ- সবাই আমাকে জন্মদিন এর শুভেচ্ছা
জানালো। ফুল দিল।ফুল নিয়ে
আমি কেবিন এ চলে এলাম।
ইমু- কি ব্যপার ব্যাগ এ কি খুজছ? ?
আদর
- এই ত পেয়েছি।
ইমু- কিটকেট??
আদর- হুম।
এটা দিয়ে স্যার কে উইশ করব।
এনা- r u serious? ?
.
আদর- yes.
.
may i come in sir.
.
raad- hum.
আদর- টেবিল এ চকলেট রেখে happy birth day
বলে চলে এলাম।
রাদ- টেবিল এ চেয়ে দেখি চকলেট।
আমি রাগ হব না অবাক হব বুঝতে পারছিনা।
চকলেট টা নিয়ে এক কামড় যেই দিয়েছি..
আদর- আসব বলে যেই দরজা খুলেছি দেখি
স্যার চকলেট এ কামড় দিয়ে আছে।
আমি হাসি দিলাম।
রাদ- চকলেট দ্রুত সরিয়ে .... হ্যা আসো।
আদর- স্যার ফাইল টা।
রাদ- রেখে যাও।
আদর- আমি মনে মনে খুশি হলাম।
রাদ- হাসছ কেন??
আদর- না কিছুনা স্যার।
বাইরে চলে এলাম।
কাজ করতে করতে হঠাত দেখি সবাই দাড়িয়ে
গেল।
।আমিও দাড়া হলাম।
এনা কি হইছে।?
এনা- ওই দেখ বড় স্যার আসছে।
রাদ স্যার এর ড্যাড।
আদর- ও আচ্ছা।
ড্যাড- happy birth day. my son.
রাদ- what a surprise dad.
.
ড্যাড- আমার ছেলের জন্মদিন আর আমি আসব
না? ??
রাদ- থ্যক্স।
ড্যাড- ladies and gentleman...
আমার ছেলের জন্মদিন উপলক্ষে সন্ধায়
পার্টির আয়োজন করেছি।
u all must come.
আদর- আজ সবাইকে বড় স্যার তাড়াতাড়ি ছুটি
দিয়ে দিল।
বাসায়-
আম্মু- কিরে তুই সারা ঘরের কি অবস্থা
করেছিস? ?
আদর- দেখোনা আম্মু কিচ্ছু পাচ্ছিনা পড়ার
জন্য।
আম্মু- হ্যা!!?? কি বলিস তুই? ? এত কিছু
থাকতেও কিছু পাচ্ছিস না।
তুই কি ঠিক আছিস? ?
আদর- উফফ আজ স্যার এর জন্মদিন।
সেখানে পরার মত কিছু পাচ্ছিনা।
আম্মু- তা পাবা কেন? ?
মেয়ে দের পরার মত জীবনে কিছু কিনছিস??
সারাদিন ত শার্ট প্যান্ট পরে ঘুরিস।
আদর- উফফ না বকে বল কি করব??
চলবে...


#বস+বয়ফ্রেন্ড #season4
১৩
আদর- উফফ না বকে বল কি করব??
আম্মু- নে ধর।
আদর- এটা কোথায় পেলে? ?
আম্মু- কিনেছি আর কই পাব? ? ওই দিন
মার্কেট করতে গিয়েছিলাম।
তখন তোর জন্য কিনেছি।
আদর- thnk u thnk u .
রেডি হয়ে স্যার এর বাসায় এলাম।
ইমু-
বাহ খুব সুন্দর করে সাজিয়েছে ত।
আহিল- ও মাই গড।
আদর এটা তুমি? ? তোমাকে ত চিনাই
যাচ্ছেনা।
looking so gorgeous.
আদর- thnk u sir.
এনা- ওয়াও গাউন টা খুব সুন্দর লাগছে।
আদর- আচ্ছা স্যার কই।
ইমু- ওই যে। কি handsome লাগছে স্যারকে।
আদর- আমি তাকালাম।
আসলেই খুব সুন্দর লাগছে।
শার্ট এর কলার টা উঁচু করে রেখে ছে।
এতে তাকে আরো সুন্দর লাগছে।
কেক কাটা শেষ হল।
লাইট ডিম হয়ে গেল।
সবাই সবার মত ইনজয় করছে।
কেঊ কেঊ সফট মিউজিক এ ডান্স করছে।
হঠাত চোখ গেল স্যার এর দিকে।
উনার সাথে এই মেয়েটা কে? ?
ইমু- কিরে কিরে আদর গপাগপ ২-৩ টা ড্রিংক
গিলে ফেলল।
আদর- ইয়াক এত তিতা কেন।
এনা- তিতা হবেনা মদ ত এমন ই।
আদর- মাথা কেমন ঝিন ঝিম করছে।
আচ্ছা স্যার এর সাথে ওই মেয়েটা কে।
যে স্যার এর সাথে হেসে কথা বলছে।
এনা- কই দেখি।
ও আরে ও ত...
আদর- যেই হক।
ও আমার স্যার এর সাথে কি করে।
ইমু - তোমার স্যার! !!???? কাহিনি কি।
আদর- এই ওয়েটার এই দিকে আসো।
এনা- ওই তুমি আবার ড্রিংক করবা নাকি।
আদর- একটা ড্রিংকক এর গ্লাস হাতে নিয়ে
খানিক টা দুলতে দুলতে স্যার এর কাছে
গিয়ে ইচ্ছে করেই মেয়েটার উপর ড্রিংক টা
ফেলে দিলাম।
মেয়েটা- o shit.
hey.
কি করলা এটা।
আদর- উপ্স সরি।
আমি দেখিনি।
রাদ- চেঞ্জ করে আয়।
যা।
মেয়ে- হুম।
রাদ- আদর কে নিজের দিকে ঘুরিয়ে - কি
করলে এটা।আর তুমি এমন..... তুমি কি ড্রিংক
করেছ? ??
আদর- এই একটু আরকি।
রাদ- সোজা হয়ে দাড়াতেই পারছ না আর
বলছ একটু? ?
চল আমার সাথে।
ওকে উপরে আমার রুমে নিয়ে গেলাম।
ইমু- আদর আজ ত তুমি শেষ।
রাদ- নিজের রুমে নিয়ে দরজা বন্ধ করে দিলাম।
এই মেয়ে ত সোজা হয়েই দাড়াতে পারছেনা।
আদর- দাড়া হয়ে থাকতে পারছিনা।
পরে যেতে নিচ্ছি বার বার।
রাদ- ও পরে যেতে নিচ্ছে আর আমি হাত ধরে
বার বার সোজা করছি।
এই মেয়ে তুমি আসলেই trouble maker. drink
করেছ কেন? ?
আদর- আমি জানতাম না ত।
রাদ- খাওয়ার আগে কি খাচ্ছ দেখে
খাওনি।??
আদর - এএএএএএ।
আপনি আমাকে বকছেন? ???
রাদ- shut up.
থামো।
আদর- আমি তার কলার চেপে ধরলাম।
রাদ- এই কি করছ।
আদর- তার আগে আপনি আমাকে একটা কথা
বলুন।
রাদ- কি।
আদর- ওই মেয়েটা আপনার কি লাগে হ্যা??
ওর সাথে হেসে কথা বলছিলেন কেন? ??
রাদ- জোরে করে ধাক্কা দিতেই ও পড়ে
যেতে নিচ্ছিল আমি ওকে ধরতে যেয়েই দু
জনেই পরলাম বিছানার উপর।
আমি উঠে যেতে নিচ্ছিলাম।
আদর- উনার কলার আবার চেপে ধরলাম।
এই আমার কথার উত্তর দিন আগে।
ওই মেয়েটা কে??
রাদ- তুমি জেনে কি করবে??
আদর- এই এই দেখুন আমার রাগ উঠা বেন না
কিন্তু বলে দিচ্ছি।
রাদ- তাই নাকি? ? আগে ছাড়ো আমাকে।
আদর- না ছাড়ব না।
আপনি অন্য কোনো মেয়ের সাথে কথা বলবেন
না।
রাদ- কেন? ?
আদর- আপনি শুধু আ...আমা.... আম....
রাদ- আদর!!! আদর!!!
যাহ বেহুশ হয়ে গেছে।
আমি তাকিয়ে আছি ওর দিকে।
একদম বাচ্চা বাচ্চা লাগছে।
চুল গুলা মুখ থেকে সরিয়ে দিলাম।
চশমা টা খুলে দিলাম।
উঠে ওকে কোলে নিয়ে ভাল ভাবে শুইয়ে
দিলাম।
পরে নিচে এলাম।
এনা- কিরে স্যার আসল আদর কই? ??
রাদ - এনা।
এনা- জি স্যার।
রাদ- আদর উপরে আছে।
তুমি আজ ওর কাছেই থাকো।
আর কথাটা ওর মা কে জানিয়ে দেও।
এনা- জি স্যার।
আমি উপরে গেলাম
সকালে-
আদর- ঘুম ভেংগে।
ও মা মাথাটা এমন ধরে আছে।
উফফ কি ব্যথা।
এনা- মাথা তোমার ধরবে না ত কার ধরবে।
আদর- আরে আমি তোমার বাসায় এলাম কি
করে।
এনা- আমার বাসা না।
আদর- তাহলে আমার বাসায় তুমি? ?
এনা- আজ্ঞে না।
এটা স্যার এর বাসা।
আদর- আমার কিছু মনে পরছেনা কেন? ?
এনা- সব বললাম
আদর- কিইইইইইইই!!!!"????
আমি আমি এটা করেছি? ??
।।এনা- জি।
আর ওই মেয়ে কে জানো? ?
আদর- কে??
এনা- স্যার এর বোন। রোদেলা ম্যাম।
আদর- ইইইইইইইইই।
আল্লাহ দড়ি ফালাও।
উঠে যাই।
রোদেলা- কি ব্যপার ভাই? ?
রাদ- কি ব্যপার??
রোদেলা- মেয়েটা কেরে??
রাদ- অফিসের।
রোদেলা- ওরে বাবা তাই নাকি? ?
তাই এত যত্ন করে নিজের ঘরে রেখেছ? ?
রাদ- উফফ বেশি বুঝিস না।
রোদেলা- ভাই মেয়ে টা কিন্তু আমার খুব
পছন্দ হয়েছে।
চশমার জন্য আরও কিউট লাগে।
রাদ- চুপ কর।
( আমি যাকে খুজছি তাকে ত পাচ্ছিনা।)
রোদেলা- পাশে ফিরেই আদর কে দেখতে
পেলাম।
আরে কিছু বলবে।
আদর- হ্যা আসলে I'm sorry.
রোদেলা- don't be.
its okey.
তোমরা কথা বল।
আমি আসছি।
আদর- রোদেলা চলে গেল আমি স্যার এর
দিকে তাকালাম।
দু হাত দু প্যান্ট এর পকেটে দিয়ে আমার
দিকে এমন ভাবে তাকিয়ে আছে.... এখন ই
মনে হচ্ছে চিবিয়ে খাবে।
সরি স্যার।
রাদ- ওর দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলাম।
আদর- আমি নিচে তাকিয়ে ছিলাম।উনার পা
দেখে বুঝলাম
উনি আমার দিকে এগিয়ে আসছেন।
আমি পিছিয়ে যাচ্ছি।
জামায় পা লেগে পরে যাচ্ছিলাম।
রাদ- খপ করে ওকে ধরলাম।চোখ বন্ধ করে
আছে ভয়ে।
চশমা ছাড়া ওকে ভালই দেখাচ্ছে।
আদর- উনি আমার দিকে তাকিয়ে আছে আর
আমার লাগছে লজ্জা।
রাদ - আদর কে দাড়া করালাম।
আদর মাথা নিচু করে দারিয়ে আছে।
আদর- স্যার এর অনেক কাছে দারিয়ে আছি ।
স্যার কিছু বলছেনা।
ভাবলাম চলে যাই।সরতেই চুল এ টান খেলাম।"
ও মা'
রাদ- কি হল।
চেয়ে দেখি ওর চুল আমার গেঞ্জি তে
আটকে গেছে।
দারাও আমি ছাড়িয়ে দিচ্ছি।
আদর- আমি চেয়ে আছি তার দিকে।
( কি হচ্ছে আমার। হঠাত করে কেন এই
জল্লাদ কে ভালো লাগতে শুরু করল। ?? )
রোদেলা- ছোট করে কাশি দিলাম।
রাদ, আদর দু জনেই সরর দাড়া হল।
রাদ- কিছু বলবি? ?
রোদেলা- হুম।
ড্যাড ডাকছে।
রাদ- হুম।
যা আসছি।
আদর- আমি রুম থেকে বেরিয়ে গেলাম।
সোজা উপরে
এনা- চল এখন যাওয়া যাক।
আদর- হুম
আমি আর এনা নিচে নেমে এলাম।
রোদেলা- এদিক ওদিক কি খুজছ??
আদর- কই কিছু না ত।
রোদেলা- তাই? ?
আদর- হ্যা।
আচ্ছা আসি।বাই।
বাসায় যেয়ে মা এর অজস্র প্রশ্নের উত্তর
দিয়ে অফিস এলাম।
এনা- এই যে মিস।
আজ চশমা পরনি যে।
আদর- ওটা মেবি স্যার এর বাসায় রেখে
আসছি।
এনা- স্যার এর কথা মনে হল " আমার স্যার! "
এটার কাহিনি কি? ?
আদর- ( হায় হায়।
কি কি যে বলেছি আর কে জানে)
না এর আবার কি কাহিনি হবে।
চলবে....


#বস+বয়ফ্রেন্ড #season4
১৪
এনা- এই যে মিস।
আজ চশমা পরনি যে।
আদর- ওটা মেবি স্যার এর বাসায় রেখে
আসছি।
এনা- স্যার এর কথা মনে হল " আমার স্যার! "
এটার কাহিনি কি? ?
আদর- ( হায় হায়।
কি কি যে বলেছি আর কে জানে)
না এর আবার কি কাহিনি হবে।
এনা - কিছু ত আছেই।
স্যার এর প্রেমে পরেছ নাকি?
আদর- ওই কি বল না বল।সে আবার হত নাকি।
এনা- দুনিয়া তে ত কত কিছুই হয়।
বিল না বল না।
আদর- চুপ কর।
স্যার এসেছে।
রাদ- আদর কফি নিয়ে আসো।
আদর- কফি নিয়ে রুমে গেলাম।স্যার প্যান্ট
এর দু পকেটে হাত দিয়ে ঘুড়ে দাড়িয়ে আছে
রাদ- কাল কে এটা কি হল? /
আদর- স্যার সরি।
রাদ- আমি তোমার সরি শুনতে চাচ্ছি না
আদর- আমার ভুল হয়ে গেছে।
রাদ-মাথা গরম হয়ে গেছে। পানি ঢাল
মাথায়।
আদর- কি ।
রাদ- শুননি।
মাথায় পানি ঢাল।
আদর- জি স্যার।
আমি পানি নিয়ে স্যার এর মাথায় ঢেলে
দিলাম।
রাদ- what the hell.
এটা কি করলে? ?
আদর- আপনি ই ত বললেন।
রাদ- u idiot.
ami তোমার সাথে পরে কথা বলছি বলে কান
থেকে ব্লুটুথ টা খুললাম।
আদর- আপনি ফোনে কথা বলছিলেন।
রাদ- what ur pblm ha?? why r u so dumb??i just
can't get it.( ওকে ধরে ঝাকিয়ে)
.
আদর- সরি স্যার।
আসলে আমি ভেবেছিলাম আপনি আমাকে
বলছিলেন।
রাদ- তোমাকে যদি বলেই থাকি তাহলে তুমি
পানি তোমার মাথায় ঢালতে আমার মাথায়
কেন? ?
আদর- সরি স্যার।
আমি বুঝতে পারিনি।
আমি মুছে দিচ্ছি।
বলে গলার স্কার্ফ টা নিয়ে মাথা মুছে দিতে
নিলাম।
রাদ- লাগবেনা।
যাও এইখান থেকে।
আদর- স্যার আমি ঠিক করে দিচ্ছি।
রাদ- i said go.
leave.
.
আদর- চলে এলাম।
উফফ আমি আসলেই।
এটা কি করলাম।
আসলে আমার বুদ্ধি এত কম কেন??
আহিল- কি বিড় বিড় করছ।
আদর- কিছুনা স্যার।
আহিল- মন খারাপ?
আদর- না স্যার।
আহিল- আচ্ছা কাজ কর।
রাদ - আদর!! আদর!!
আদর- জি স্যার।
রাদ- এইসব কি? ? হ্যা।
তুমি ত ফাইল টা ঠিক করোনি উল্টা সব ভুল
করে রেখেছ।
তুমি জানো এটা কতটা ইম্পোর্টেন্ট ফাইল।
জানো।
এইসব কি করেছ? ?( চিতকার করে)
আদর- স্যার বকেই যাচ্ছিল।
এত বকা আমি আমার বাপের জন্মে খাইনি।
খুব কস্ট লাগছিল।
নিজের অজান্তেই চোখ থেকে পানি
পরছিল।
রাদ- বকতে বকতে এক সময় আমি ওর দিকে
তাকালাম।
মাথা নিচু করে আছে।
চোখ দিয়ে পানি বেয়ে পরছে।
আমি বকতে বকতে চুপ হয়ে গেলাম।
আদর- কেদেই যাচ্ছি।
রাদ- okey.ookey .stop crying .
I said stop crying.
.
ador- স্যার আমি ইচ্ছা করে করিনি।
আমার চশমা টা আপনার ওইখানেই রয়ে
গেছে।
তাই এমন হয়েছে ।
রাদ- ওকে ওকে।
আর কাঁদতে হবেনা।
যাও এখন।
আদর- চোখ মুছে বের হয়ে গেলাম।
এনা- এমা তোমার চোখ লাল হয়ে আছে
কেন? ? কেঁদেছ? ?
আদর- না না।
কিছুনা।
এনা- ঠিক ত ??
আদর- হ্যা একদম ঠিক।
অফিস শেষ এ-
আদর- এনা তুমি যাও।
এ ফাইল দু টা স্টোর রুমে রেখে আমিও
আসছি।
এনা- ওকে।
আদর- ফাইল নিয়ে স্টোর রুমে গেলাম।কি
ব্যপার এই রুমের লাইট জ্বালানো কেন???
থাক আমার কি।
ফাইল রেখে আমি ভাগি।
ফাইল রাখার সময় পিছন থেকে অনেক জোরে
আওয়াজ হল।
আমি পিছনে তাকালাম।
আরে দরজা লাগল কিভাবে? ???
দরজা খুলে না কেন? ??
কয়েক টা লাথি ঘুষা দিলাম।
hello anyone there.
.
রাদ- আদর! !! তুমি? ?
আদর- আপনি এইখানে? ?
রাদ- কি হয়েছে দরজা লাগিয়ে কি করছ ??
আদর- দরজা যেন কিভাবে লেগে গেল।
এখন খুলছে না।
রাদ- সরো আমি দেখছি।
আসলেই ত খুলছেনা।
আহিল কে বলেছিলাম এটা লকে সমস্যা
আছে চেঞ্জ করতে।
এখনো করেনি।
উফফ।
আদর- কিইইইই??? এখন কি হবে? ??
রাদ- আমি ড্যানি কে ফোন করি দাড়াও।
উফফ ফোন ধরছেনা কেন? ?
আদর- এখন কি হবে? ?? সারারাত কি এইখানে
কাটাতে হবে? ?
দম আটকিয়ে মরেই ত যাব।
আল্লাহ।
রাদ- তুমি কি তোমার মুখ টা কিছু ক্ষনের
জন্য বন্ধ করবে? ??
বাচাল একটা।
আদর- কি কি? ? কি বললেন আমি বাচাল? ??
বা বা।
ভালই ত।
তা আপনার এর বড় কম্পানি, , এত টাকা আর
সামান্য একটা লক ঠিক করাতে পারেন না???
কিপ্টা বলেই দু হাত দিয়ে মুখ চেপে ধরলাম।
রাদ-
কি বললে তুমি? ??
come again. আবার বল।
আদর- ( এত বক বক করি কেন আমি)
কই না ত কিছুই ত না।
রাদ- কিছুই না??? ( এগিয়ে গিয়ে)
আদর-( খাইছেরে উনি এগিয়ে আসছেন
কেন? ?? )
রাদ- কি হল বল??
আদর- আমি ত কিছু বলিনি।
রাদ- আদরের পাশে দেওয়ালে জোরে করে
হাত রাখলাম।
আদর- actually sir.....
.
রাদ- হুম "!???
আদর- সরি ( মিন মিন করে)
রাদ- কি বললে জোরে বল।
আদর- .........
রাদ- হাত দিয়ে ওর মুখ উঁচু করলাম।
আদর- ভয়ে কথা বের হচ্ছেনা মুখ দিয়ে।
রাদ- কিছু বলতে যাব তখনি পিছন থেকে
আওয়াজ হল।
ড্যানি- স্যার!!??
রাদ- ড্যানি where the hell was you? ??
.
danny- sorry sir.
ফোন ধরতে পারিনি ।
রাদ- ওকে।
চল।
আর তোমাকে কি বের হওয়ার জন্য এখন
নিমন্ত্রণ পত্র দিতে হবে? ?
আদর- না স্যার।
বের হয়ে ব্যাগ নিয়ে নিচে এলাম।
রাদ- আদর! গাড়ি তে উঠ।
আদর- না স্যার আমি একা যেতে পারব।
রাদ- কে বলেছে তোমাকে তোমার
বাড়ি পাঠাচ্ছি।
আদর- ত ?
রাদ- কাল ও কি কাজ না করার প্লান করছ?
আদর- মানে।
রাদ- চশমা ছাড়া কাজ কিভাবে করবা? ??
আদর- ওহ হ্যা তাই ত।
গাড়ি তে উঠে বসলাম।
( যাক উনার মনে আছে তাহলে)
গাড়ি থামল তার বাসার সামনে।
স্যার আসেনি। উনারর কাজ ছিল।
রোদেলা- আরে আদর!!!???
তুমি? ? এখন? ??
আদর- হ্যা আসলে কাল চশমা রেখে
গিয়েছিলাম।
রোদেলা- তাতে কি
ভাই কাল কে নিয়ে যেত।
সেটা নিতে আবার কস্ট করে আসলে? ??
আদর- তাহলেই হইছে।
মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যেত।
রোদেলা- কিছু বললে।
আদর- না না কিছুনা।
ড্যানি- আপনার চশমা।
আদর- ওকে বাই।
রোদেলা- এখন একা যাবে।
এত রাতে?? না কোনো ভাবেই না।
ড্যানি তুমি ওর সাথে যাও
আদর - না লাগবে না।
আমি যেতে পারব।
রোদেলা- আমি বলছিত .....
আদর- আমি পারব।
রোদেলা- শিউর? ?
আদর- হ্যা।
চলবে...

#বস+বয়ফ্রেন্ড #season4
১৫
আদর- বলে ত আসলাম যেতে পারব কিন্তু এত
রাতে ভয় ও লাগছে। যাক একটা ট্যাক্সি
পেয়ে গেলাম। কিছু দুর যেতেই ট্যাক্সি
থেমে গেল। কি হয়েছে? ??
ড্রাইভার - ম্যাম গাড়ি তে প্রব্লেম হয়েছে।
আপনাকে নেমে যেতে হবে।
আদর- কিইইই!!!???
।উফফফ।।।।। এটাও এখন হওয়ার ছিল। এখন
হেটেই যাওয়া লাগবে।
হাটতে লাগলাম। কিন্তু খুব ভয় লাগছিল।
এই রাস্তা টায় খুব কম মানুষ চলাচল করে।
গাড়ি ও খুব কম।
ভয়ে ভয়ে হাটতে লাগলাম।
কিছু দুর যেতেই দেখি ২-৩ জন ছেলে
দাড়িয়ে আছে।
আমি ওদের দেখে ভয় পেলেও না থেমে পাশ
দিয়ে যেতে লাগলাম।
মনে হচ্ছিল ওরা আমার পিছু নিয়েছে।
আমি শিউর হওয়ার জন্য থামলাম ওরাও থামল।
আমি আবার হাটা শুরু করলাম।
ওরাও হাটা শুরু করল।
আমি জোরে জোরে হাটতে লাগলাম।
মাঝে মাঝে
পিছন
ফিরে তাকাচ্ছি পরে সামনে তাকাতেই
চোখে আলো এসে পরল আর হঠাত একটা
গাড়ি জোরে ব্রেক করল।
আমি ভয়ে চিতকার দিলাম।
আ আ আ আ আ আ আ ..........
রাদ- হেলমেট খুলে দাড়া হলাম।
আদর তুমি? ??
আদর- স্যার আপনি? ? আল্লাহ বাঁচাইছে।
আমি তার পিছন এ যেয়ে দাড়া হলাম।
স্যার ওই ছেলে গুলা আমার পিছু নিয়েছে।
আপনি ওই দিনের মত এদের ও ধোলাই দিন।
রাদ- ওদের হাতে চাকু, পিস্তল দেখতে
পাচ্ছি।
আমার কাছে কিছুই নেই।
আর ড্যানিও নেই।
এদের সাথে কিছু করতে গেলে হিতের
বিপরীত হতে পারে।
আর তোমার কি আমাকে টম ক্রুজ মনে হয় যে
মারামারি করে তোমাকে বাঁচাব।
আদর- তাহলে এখন কি করবেন।
ওরা ত এগিয়ে আসছে।
রাদ- বাইকে উঠো।
এখন এখান থেকে চলে যাওয়াই ভালো।
আদর- ওকে ওকে।
কি হল স্টার্ট দিন।
রাদ- দিচ্ছি ত কিন্তু হচ্ছে না।
আদর- মানে কি? ?? আপনার বাইক ও আপনার
মত নিকাইম্মা।
দুর।
রাদ- নিকা!!?? what.
কি বললা বুঝিনি।
আদর- বুঝা লাগবেনা।
ওরা ত আসছে এখন কি করবেন।
রাদ- কিছু করার নেই।
দৌড়াও।
আমি ১,২,৩ বললেই দোড় দিবা।
ওকে ৩ আদর দৌড়াও।
আদর- ( দৌড়াচ্ছি) আরে এটা কি হল আপনি
১,২ বাদ দিয়ে শুধু ৩ বললেন কেন? ?আপনি
গুনতেও পারেন না??
রাদ- তোমার খুব ইচ্ছে হলে । ওইখানে যেয়ে
১,২ বলে আবার দৌড়াও।
আদর- এহহ আমার কি মাথা খারাপ নাকি।
রাদ- এইখানে আসো। এই অন্ধকারে থাকলে
ওরা বুঝবে না।
আদর- অন্ধকারে ওরা আমাদের না দেখে
সামনে চলে গেল।
স্যার আমাকে জরিয়ে দাড়িয়ে আছেন।
আমি তাকিয়ে আছি তার দিকে।
রাদ- আদর ওরা চলে গে.......( আদরের দিকে
তাকালাম।
ও আমার দিকে তাকিয়ে আছে)
ওকে ছেড়ে দাড়ালাম।
ওরা চলে গেছে।
আদর- ওহ।
রাদ- কি হল ওই দিকে তাকিয়ে আছ কেন? ?
আদর- আমি স্যারের এক হাত শক্ত করে
ধরলাম।
।স্যা.... স্যার...... স্যার....
রাদ- আরে ছাড়ো কি কি হয়েছে।
আদর- কু... কু ..... কু
রাদ- কি কু কু করছ??
আদর- হাত দিয়ে তার মুখ ঘুরিয়ে দেখালাম
স্যার কুকুর।
রাদ-( কুকুর যে আমিও ভয় পাই এটা আদর যদি
বুঝে তাহলে আমার মজা উড়িয়ে ছাড়বে।
ওকে বুঝতে দেওয়া যাবেনা।)
আরে কু... কু... কুকুর দেখে ভ...ভ...ভয় পাওয়ার
কি আছে? ??
আমিত আছি।
আদর- তাহলে আনার হাত শক্ত করে ধরে
আছেন কেন? ? কুকুর তাড়ান।
রাদ-( ভয়ে আমার অবস্থা শেষ আর ও বলে
কুকুর তাড়াতে?? ড্যানি থাকলে কি ভাল হত।
আচ্ছা ওকে ত মেসেজ করেছিলাম। এখন ও
এলনা কেন? ?)
আদর- কি ভাবছেন ??দেখুন কি ভাবে
তাকিয়ে আছে।
রাদ-
আস্তে আস্তে চল পাশ কেটে চলে যাই।
দোড় দেওয়ার দরকার নেই তাহলে পিছু নিতে
পারে।
আদর- আমি আর স্যার আস্তে আস্তে পাশ
কাটিয়ে কিছু দুর যেয়েই ভো দোড় দিলাম।
আরে আরে দাঁড়ান।
রাদ- আবার কি।
আদর- জুতা খুললাম।
চলুন চলুন।জুতা হাতে নিয়ে
আবার দোড়।
রাদ- পাগল নাকি জুতা খুললা কেন?
আদর- জুতা পরে আর দোড়াতে পারছিনা।
পায়ে ব্যথা লাগছে।
রাদ- অনেক টা দুরে এসে থামলাম।
আদর- ওমা। আমি আর পারছিনা।
১ মাস এর ব্যয়াম ১ দিনেই হয়ে গেল।
আল্লাহ।
রাদ- শুধু মাত্র তোমার জন্য।
আদর- আমার জন্য মানে।
আপনি নস্ট বাইক নিয়ে না চললে এমন হত না।
রাদ- কি কি আমার বাইক খারাপ? ?
আদর- তা নয় ত কি? ?
রাদ- তা খারাপ হবে না কেন।
তুমি যেখান এ যাবা সেখানের সব নস্ট ত
হবেই।
আদর- কি কি কি বললেন।
রাদ- ঠিকি ত বলেছি।
trouble maker.
.
আদর- আচ্ছা আচ্ছা যাচ্ছি আমি।
রাদ- হ্যা যাও যাও।
আমিও বাচি।
আবার কিছু হলে আমার কাছে এসো না।
আদর- ঠিক আছে আসব না।,
রাদ- কিছু দুর যেতেই আদর দোড় দিয়ে এসে
জরিয়ে ধরল।
কি হল? ??
আদর- কুকুর! !!
রাদ- আবার! !??
সামনে হঠাত গাড়ি এসে থামল।
ড্যানি- স্যার আপনারা ঠিক আছেন ত।
রাদ- Allah !! যাক তুমি" এসে পরেছ।
আদর গাড়ি তে উঠো।
আগে আদরের বাসায় যাও।
আদর- আমাকে বাসায় নামিয়ে দিয়ে উনি
চলে গেলেন।
আম্মু- কিরে এত দেরি কেন? ? আর ফোন
ধরছিলি না কেন? ?
আমার কত টেনশন হচ্ছিল জানিস।
আর এই অবস্থা কেন।
মুখ, চুলের কি অবস্থা হয়েছে।
আদর- আরে আমার মা এত প্রশ্ন!!! সব এক
সাথে? ? এত উত্তর দিব কিভাবে।
আগে ফ্রেশ হয়ে আসি। তারপর বলছি সব।
ফ্রেশ হয়ে আসলাম।
মা আমাকে ভাত খাইয়ে দিচ্ছিল আর আমি
সব বলছিলাম।
আম্মু- যাক বাবা। কিন্তু রাদ যদি না থাকত
কি হত ?? আল্লাহ রহম করেছে।
আদর- হুম।
সকালে-
আদর- আমি কফি হাতে দাড়িয়ে আছি।
আর স্যার কথা বলছে।
আমি দেখছি।
রাদ- কফি নিয়ে দাড়িয়ে আছো কেন রেখে
যাও।
আদর- জি।
লাঞ্চ টাইম-
রোদেলা- কি ব্যপার কি দেখছ? ?
আদর- না কিছু না।
আরে তুমি? ? হঠাত? ? কোনো কাজ আছে? ?
রোদেলা- কেন কাজ ছাড়া আমি আসতে
পারিনা।
আদর- না আমি সেটা বলিনি।
রোদেলা- আচ্ছা ওওসব বাদ দেও।
আগে বল আমার ভাই কে তাকিয়ে তাকিয়ে
দেখছিলে তাইনা।
আদর- না না... কই না ত।
রোদেলা- আহা। তুমি বললে আর আমি মেনে
নিলাম।
আমি ত দেখছিলাম যে তুমি ভাই কেই দেখছ।
আচ্ছা বলনা তুমি আমার ভাইকে পছন্দ করো??
আদর- কি .. কি যে বলনা
কই উনি আর কই আমি
রোদেলা- এটা কি আমার প্রশ্নের উত্তর হল?
আদর- আরে না এমন কিছুনা।
রোদেলা- তাই নাকি।
আমি জানি তুমি পছন্দ কর।
আমি ওইদিনের কথা সব শুনেছি।
আদর- কোন দিনের কি কথা??
রোদেলা - তুমি ত আমার জামা নস্ট করে
দিলে আমি ফ্রেশ হতে ভাই এর ওয়াশ রুমে
রুমে চলে যাই।
পরে তুমি কি কি বলেছ আমি সব শুনেছি।
আদর- ( কি বলেছি আমার ই ত মনে নাই। আর ও
কি শুনল।)
কি .. কি .. কি বলেছি।
রোদেলা- এখন আর ওইসব বলে লাভ নেই।
এখন কথা হচ্ছে তুমি ভাই কে কবে তোমার
মনের কথা বলবে।
আদর- না মানে ইয়ে।
রোদেলা- ইয়ে টিয়ে বলে কাজ হবেনা।
কি ভেবেছ বল।
আদর- তোমার যে ভাই!!!! পুরাই angry bird.
রোদেলা- সেটা আমি জানি।
সেটা ত কথা না।
আদর- সেটাই কথা।
কিছু উল্টা পাল্টা হলেত আমাকে খতম ঈ করে
দিবে।
রোদেলা- এত ভয় পেলে চলে নাকি।
মনের কথা যত তাড়াতাড়ি বলা যায় ততই
ভাল।
আদর- সে কি যেন তেন মানুষ নাকি? ? রাদ
খান বলে কথা
কই সে আর কই আমি।
রোদেলা- উফফ এইসবে একদম ভাব্বে না
রাদ- আরে তুই এইখানে।
রোদেলা- আসতে মানা নাকি?
রাদ- আমি কি তাই বলেছি।
রোদেলা- তুই যা ত আমি আদরের সাথে কথা
বলছি।
আদর তোমার ফোন টা দেও ত।
আদর- এই যে।
রোদেলা- নেও এতে আমি আমার নাম্বার
সেভ করে দিয়েছি।
আমি তোমার নাম্বার নিয়ে নিয়েছি।
দরকার হলে ফোন দিব।
রাদ- তুই ওকে ফোন দিবি কেন?
রোদেলা- সেটা আমার ব্যপার। আদরের
দিকে তাকিয়ে চোখ টিপে চলে আসলাম।
রাদ- আমি আদরের দিকে তাকালাম।
আদর- উনি আমার দিকে তাকাতেই আমিও
চলে আসলাম।
রাদ- যাহ বাবা ও ও চলে গেল।হচ্ছে টা কি।
পরেরদিন অফিসে-
আদর- কাজ করছিলাম।হঠাত রোদেলা আসল।
রোদেলা- আরে কাজ ই করে যাবা।
কিছু ভাবছ।
আদর- আরে কি ভাববো।
বাদ দেও।
আমার দ্বারা হবেনা।
রোদেলা- আমি জানি তাইত আমি সব প্লান
করে রেখেছি।
তুমি শুধু I lv u টা বলে দিবা।
আদর- মাথা খারাপ নাকি।
আমি পারব না।
চলবে...


#বস+বয়ফ্রেন্ড #season4
১৬
রোদেলা- আমি জানি তাইত আমি সব প্লান
করে রেখেছি।
তুমি শুধু I lv u টা বলে দিবা।
আদর- মাথা খারাপ নাকি।
।আমি পারব না।
রোদেলা- তুমি না বললে আমি ভাই কে
জানিয়ে দিব। তখন বুঝবে মজা।
আদর- কি মুশকিল।
রাদ- কিরে তুই আজ ও!?
রোদেলা- তাতে কি।
রাদ- এটা কাজের জায়গা।আড্ডার না।
রোদেলা- উফ এমন করিস কেন।
।রাদ- আচ্ছা আমি বাইরে যাচ্ছি।তুই থাক
রোদেলা- ওকে।
শুনো আদর কাল কে অফ ডে।
কাল কেই কাজ টা করতে হবে।
আমি সব তোমাকে ফোনে জানিয়ে দিব।
ভাইকেও জায়গা মত পাঠিয়ে দিব।
তারপর বাকি কাজ তোমার।
আদর- আমার ভয় লাগছে।
রোদেলা- এত ভয় পেলে হবেনা।
যা বলছি শুনো।
ওকে এখন যাই।
পরের দিন আদর সেজে গুজে জায়গা মত চলে
গেল।
রোদেলা- চল না ভাই।
সারাদিন শুধু কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকিস।
আমার সাথে আজ একটু ঘুরতে চল প্লিজ।
রাদ- আচ্ছা বাবা চল।
রোদেলা- রেডি হয়ে সন্ধ্যায় বেরিয়ে
পরলাম।
ভাই ত আর জানেনা ওর জন্য কি ওয়েট করছে।
জায়গা মত চলে এলাম।
ভাই তুই ভেতরে যা।
আমি আসছি।
রাদ- জলদি আসবি।
রোদেলা- ওকে।
আদর কে মেসেজ করে সব জানিয়ে দিয়েছি।
আদর- উফফ রোদেলা আমাকে কই ফাসায়
রেখে গেল।
হাত পা ভয়ে ঠান্ডা হয়ে আসছে।
চলে যাব! !?? আবার যদি রোদেলা রাগ হয়।
কিন্ত উনাকে এই কথা আমি কিভাবে বলি।
দুর এত চিন্তা করে আমার মাথা নস্ট হয়ে
যাবে।
রাদ- ভেতরে কিছুদুর যেতেই দেখি আদর
দাড়িয়ে কি যেন বিড় বিড় করছে।
আদর- ও মা স্যার এসে গেছে।
এখন কি করি।
কি করি।
রাদ- তুমি এখানে।
আদর- ইয়ে মানে রো.... রোদেলা আসতে
বলেছিল।
রাদ- ওহ।
আদর- তা ও কই? ? দেখছি না ত।
রাদ- আসবে এখনি।
বস।
আদর- আপনিও বসুন।
রাদ- দু জন বসে আছি কিন্তু কথা বলছিনা।
আদর- কি বলি এখন আমি।
এই দিকে রোদেলা বার বার মেসেজ দিচ্ছে
বলার জন্য।
রাদ- রোদেলা টা এখন ও আসছেনা কেন।
আদর- এসে যাবে স্যার
রোদেলা র মেসেজ- " এবার না বললে কিন্তু
আমি এসে বলে দিব।"
আদর- sir
.
raad- hum!?
.
ador- sir i ..... i .......i......lo.......lo....love......
.বলে স্যার এর দিকে তাকালাম উনি ভ্রু
কুঁচকে আমার দিয়ে তাকিয়ে আছে।
I love this restaurant.
এইখানে খুব মজার খাবার পাওয়া যায়।
রাদ- খাওয়া ছাড়া আর কোনো কথা আছে।
আদর- স্যার আসলে আপনাকে আমি একটা
কথা বলতে চাচ্ছিলাম।
।আপনি কথাটা কিভাবে নিবেন জানিনা।
রাদ- এত ভুমিকা না করে বলে ফেল।
আদর- আমি জানি কথাটা আপনার বিশ্বাস
হবেনা।
না হয়ার ই কথা।
শুরুতে আমার ই মানতে কস্ট হচ্ছিল।
আপনার আর আমার ত ঝগড়া সেই অফিস এ
জয়েন করার আগে থেকে।
আপনি ও আমাকে সহ্য করতে পারতেন না আর
আমিও না।
কিন্তু আপনার সাথে কাজ করতে করতে আমি
বুঝেছি উপরে আপনি যতই শক্ত হোন না কেন।
ভেতরে ততই নরম।
আপনি আমার কত সাহায্য করেছেন।
আমার সাহায্য করেছেন বলে কথা গুলা
বলছিনা।
মানুষ এর মন ভাল না হলে মানুষ অন্যের
সাহায্য করে নাকি।
আমি জানিনা আমি আপনার মনের মত নাকি।
কিন্তু সত্যি বলছি আপনি আমার মনের অনেক
টা দখল করে নিয়েছেন।
আমি আপনাকে সত্যি খুব পছন্দ করি।
রাদ- ( টেবিল এ বারি মেরে উঠে দাড়ালাম)
কি বলছ আবল তাবল।
হ্যা!!??? তুমি কি ভুলে যাচ্ছ আমি তোমার
বস! !!??? তুই কই আর আমি কই।
আদর- (আমিও উঠে দাড়ালাম।)
..........স্যার আমার কথাটা........
রাদ- তোমার সাহস ত কম না আমাকে এই কথা
বল।এত সাহস পাও কই।
এখনি যাও এইখান থেকে।
আর আসবেনা আমার সামনে।
যাও বলছি।তোমার মুখ দেখতে চাইনা আমি।
leave. i said leave.
আদর- ( আমি জানতাম উনি আমাকে পছন্দ
করেনা।
কিন্তু এইভাবে কথা শুনাবে ভাবিনি।)
আমি চলে আসলাম।
রোদেলা- আদর!!!! আদর!!!!
এটা কি হল ভাই।
রাদ- তুই জানিস ও কি করেছে
রোদেলা- হ্যা জানি।
কারন আমিই বলেছিলাম ওকে বলতে।
রাদ- মানে।
?
আদর- এত মানে বুঝার দরকার নেই।
তুই ওকে পছন্দ নাই করতে পারিস কিন্তু
এইভাবে কথা শুনানোর কোনো মানে নেই।
এইভাবে কেউ কাউকে কথা শুনায়।
আর কি বলছিলি কই তুই আর কই ও।
তা তুই কি চাদের দেশে থাকিস?
কি মনে করিস নিজেকে।
এইভাবে মেয়েটা কে কস্ট দিলি?
ও কি বলেছিল ওকে ভালোবাসতে।
ও শুধু ওর মনের কথাটা তোকে বলতে
চেয়েছে।
বাট সিরিয়াসলি তুই ভালবাসার ই যোগ্য না।
ছি তুই আমার ভাই! !????
রাদ- বেশি হয়ে যাচ্ছে কিন্তু।
রোদেলা- আমি আদরকে খুঁজতে গেলাম।
পেলাম না।
চলে গেছে মেবি।
আদর- বাসায় এসে নিজেকে রুম বন্দি করে
ফেললাম।
সারারাত কেঁদেছি।
রাদ- হয়ত আদর কে বেশি বলে ফেলেছি।
কিন্তু আমি ত এক জনকেই ভালবেসেছি
তাকে না দেখেই।
তাই আমার মনে অন্যের জন্য জায়গা নেই।
তাই আদরকে অপমান করলাম।
যাতে ও আমাকে একেবারে ভুলে যায়।
ভালবাসা না পাওয়ার যন্ত্রনা অনেক।
দেখতে দেখতে ৩ মাস কেটে গেল।
ওইদিন এর পর আদর আর অফিসে যায় নি।
রাদ ও কখন ও খোজ করেনি।
কেয়া- কিরে তুই এইখানে আর আমি সারা
বাড়ি তোকে খুজে বেড়াচ্ছি।
আদর- তোকে বলেছিনা আমি এই সময় ছাদে
থাকি।
ছাদে খুজলেই ত পারিস।
কেয়া- আচ্ছা বাবা ভুল হইছে।
কি করছিস।
??
আদর- গান টা কম্পলিট করার চেস্টা করছি।
পরশুদিন এর প্রগ্রাম নিয়ে খুব টেনশন হচ্ছে।
কেয়া- শুধু তোর না।
আমাদের ও।
কি যে হয়।
রাদ- কিরে তুই কি বসে বসে সারাদিন টি.ভি
ই দেখবি।
আর কাজ নেই।
শশুড় বাড়ি যেয়েও কি এই করবি?
রোদেলা - সেটা নিয়ে তোকে ভাববতে
হবেনা।
রাদ- তা কে ভাববে
অংকুর? ??
রোদেলা- হ্যা।
ও ভাবলেই হবে।
রাদ- কি দেখছিস??? এই আজাইরা গান?
রোদেলা- আজাইরা গান কে বলল।
কত ভাল ভাল ব্যান্ড এসেছে।
কিছু নিউ ব্যান্ড ও আছে।
কি সুন্দর গান গুলা।
রাদ- দেখ দেখ তুই ই দেখ।
আমি উপরে গেলাম।
রোদেলা- যা।
রাদ- উপরে কাজ করছিলাম।
কিছু একটা শুনে আমি থমকে গেলাম।
দৌড়ে নিচে নামলাম
।সোজা টি.ভির সামনে।
রোদেলা- দেখ ভাই আদর গান গাইছে।
কত দিন পর ওকে দেখলাম।কত দিন পর ওর গান
শুনলাম।
রাদ- তুই ওর গান আগে শুনেছিস??
রোদেলা- হ্যা।কেন তুই কখন ও শুনিস নি?
রাদ- কোথায় শুনেছিস??
রোদেলা- তোর অফিসে।মনে আছে
তুই ওই দিন লাঞ্চ টাইম এ বাইরে গেলি।
ওইদিন আহিল এর জন্মদিন ছিল।
ওওদিন ও এই গান গেয়েছিল।
রাদ- ও কিভাবে এই গান ""???? তাহলে আমি
যাকে খুজছি ..... সেই মেয়ে আদর!!!?????
কিভাবে সম্ভব! ""??? কিভাবে??? ও আমার এত
কাছে ছিল আর আমি ওকে কই কই খুঁজেছি? ??
( আসলে আদর আর ওর দল কে একটা লাইভ
ইভেন্ট এ গান গাওয়া র জন্য ডাকা হয়েছিল।
সেখানে আর ও অন্যান্য অনেকেই তাদের
ব্যান্ড নিয়ে এসেছে।
এটা আদরের প্রথম লাইভ ইভেন্ট।এই ইভেন্ট টা
একটা অপেন ফিল্ড এ হচ্ছে।)
রাদ- আমাকে এখন ই যেতে হবে ওর কাছে।
বাইক নিয়ে বের হয়ে গেলাম।
রোদেলা- আমার ভাই এসব কি বলে গেল।
কিছুই ত বুঝলাম না।
যাক আমি গান দেখি।
রাদ- ২০মিনিট এর রাস্তা আমার কাছে ২০
বছরের রাস্তা মনে হচ্ছে এখন।
বাইক থেকে নেমেই স্টেজ এর কাছে গেলাম।
কিন্তু ততক্ষনে অন্য ব্যান্ড গান গাইছে।
আদর কে কোথাও পেলাম না।।
সারা ফিল্ড খুজে আমি শেষ।
তাও ওকে পেলাম না।
আমি দ্রুত ওকে ফোন দিলাম।
ফোন বন্ধ বলছে।
মেবি নাম্বার চেঞ্জ করেছে।
আমি বাইক নিয়ে ওর বাসায় গেলাম। বাসায়
তালা মারা।
বিকাল থেকে রাত হয়ে গেল ওর বাসার
সামনে।
ওরা আসেনি।
আমি বাসায় আসলাম।
রোদেলা- ভাই।
কি হল আদর এর সাথে দেখা হয়েছে???
ভাই! ভাই!
কি ব্যপার কিছু না বলে চলে গেল।
কিছুক্ষন পর উপর থেকে ভাংচুর এর শব্দ
পাওয়া গেল।
আমি ভাই এর রুম এ গেলাম।
একি কিরে রুমের কি অবস্থা করেছিস।
রাদ-""""আদররররররররর"""""
রোদেলা- কিরে কি হয়েছে
।কি হয়েছে? ?? বল আমাকে।
রাদ- রোদেলা কে সব বললাম।
সেই সুর, সেই গান, আর সেই মেয়ের কথা যে
নাকি আদর।
রোদেলা- তার মানে আদরের জন্যই তুই
আদরকে ওইদিন অপমান করেছিস।
রাদ- হ্যা।
রোদেলা- আমি ফোন দিচ্ছি ওকে দাড়া।
রাদ- লাভ নেই।
ওর নাম্বার বন্ধ।
বাসায় ও কেউ নেই।
আমি ওইখান থেকেই এলাম।
রোদেলা- এখন!?
রাদ- আমি যখন চিনেছি ও ই ওই মেয়ে।
তখন আমি ওকে খুজে বের করব ই।
আদর-আমি রাস্তা দিয়ে হেটে হেটে
যাচ্ছিলাম।হঠাত করেই অনেক দিন পর বৃষ্টি
নামল।তাই বৃষ্টির মাঝেই হেটে হেটে
যাচ্ছি।
জানি ঠান্ডা লাগবে তাও যাচ্ছি।
খুব ভাল লাগছে।
হাটতে হাটতে হঠাত আমার দু পা থমকে গেল।
দুরে এক চেনা মুখ আমার দিকে তাকিয়ে
আছে।
যে মুখ ভেবে ভেবে আমি কত নির্ঘুম রাত
পার করেছে।
হঠাত এইভাবে তাকে এত দিন পর দেখতে
পাবো আমি সপ্নেও ভাবিনি।
চলবে...


#বস+বয়ফ্রেন্ড #season4
১৭
হাটতে হাটতে হঠাত আমার দু পা থমকে গেল।
দুরে এক চেনা মুখ আমার দিকে তাকিয়ে
আছে।
যে মুখ ভেবে ভেবে আমি কত নির্ঘুম রাত
পার করেছে।
হঠাত এইভাবে তাকে এত দিন পর দেখতে
পাবো আমি সপ্নেও ভাবিনি।
রাদ- আদর কে দেখে যেন আমি চাদ হাতে
পেয়ে গেলাম।
আমি ওর দিকে এগিয়ে যেতে লাগলাম।
আদর- আমার শুধু ওই দিন টার কথা মনে হল।
সে বলেছে তার সামনে আর না যেতে।
তাই আমি উল্টা দিকে হাটা শুরু করলাম।
রাদ- আদররররর। দাড়াও প্লিজ।
এত জোরে বৃষ্টি হচ্ছে।
এর মাঝে কি ও আমার কথা শুনতে পাচ্ছে??
আমি দৌড় দিলাম।
আদরের সামনে যেয়ে দাড়া হলাম।
আদর- আমি উনার পাশ কাটিয়ে চলে
যাচ্ছিলাম।
রাদ- ওর এক হাত ধরলাম।
কোথায় যাচ্ছ?? তুমি জানো তোমাকে কত
খুঁজেছি? ?
আদর- হাত ছাড়িয়ে কোনো কথা না বলে চলে
যাচ্ছিলাম।
রাদ- ওকে শক্ত করে ধরে নিজের সাথে
জরালাম।
কি হল কথা বল।
আমি জানি তুমি রেগে আছো।
রাগ বললে ভুল হবে অনেক অভিমান করেছ।
তুমি আমাকে মারো বোকো যা খুশি কোরো।
কিন্তু প্লিজ কথা বল আমার সাথে।
আদর- ছাড়ুন আমাকে।
রাস্তার মধ্যে কি শুরু করেছেন।
রাদ- কেউ নেই চারিদিকে।
এই বৃষ্টির মধ্যে কে থাকবে।
আদর- আমাকে ছাড়ুন বলছি।আমার বিরক্ত
লাগছে।
সরুন সামনে থেকে।
রাদ- না।
অনেক কস্ট করে তোমাকে পেয়েছি
।এখন আর হারাতে দিচ্ছিনা।
আদর- হাহ কই আপনি আর কই আমি।
আমার মত মেয়েকে আপনি খুঁজছেন? ??
রাদ-আমি জানি তুমি অভিমান করেছ।
আমি সরি।
অনেক সরি।
প্লিজ আমার কথাটা শুনো।
প্লিজ একবার শুনো।
আদর- ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে - না কোনো কথা
শুনব না আমি।
কিছু শুনতে চাই না।
চলে আসছিলাম।
রাদ- তুমি কি ৩ বছরের কন্ট্রাক্ট টা ভুলে
গেছো?
আদর- আমি থমকে দাড়ালাম।
কিন্তু আপনি ত..... আর এত দিন পর.....!?
রাদ -( মনে মনে { তোমাকে আটকানোর আর
কোনো উপায় নেই আমার কাছে। তোমার
অভিমান ভাংতে হলে তোমাকে যে অফিসে
ফিরতেই হবে। সরি রুড বিহেভ আবার করতে
হচ্ছে})
হ্যা তাতে কি? ? তুমি এখন ও আমার অফিসের
এম্পলয়ি আছো।
আদর- আপনি যাই বলেন আমি আর অফিস
জয়েন করছিনা।
রাদ- তোমাকে জয়েন করতেই হবে।
না হলে তোমার ই প্রব্লেম হবে।
সো যা বলছি শুনো।
আদর- আমি যাব না না না না ।
রাদ- ওর কাছে যেয়ে তুমি আসবে আসবে
আসবে।
তোমার ফোন টা দেও।
আদর- কিহ!? কেন? ?
রাদ- দিতে বলেছি দেও।
আদর- না দিব না।
রাদ- জোর করে ওর ব্যাগ থেকে ফোন
নিলাম।
ওর নাম্বার টা নেওয়ার জন্য।
নাম্বার নিয়ে ওর ফোন টা দিয়ে দিলাম।
চল এখন আমার সাথে।।
আদর- আমি যাবনা আপনার সাথে।
হাত ছাড়ুন।
ছাড়ুন।
রাদ- প্রায় টানতে টানতেই ওকে গাড়ি তে
তুললাম। গাড়ি তে অনেক কথা বললাম।
কিন্তু আদর কোনো কথাই বললনা।ওর
বাড়ির সামনে যেতেই
আদর- আমি গাড়ি থেকে নেমেই দৌড়।
রাদ- আরে দাড়াও!!!!
যাহ!!!!!
যাই হোক শেষ মেশ ওকে পেলাম ত।
এখন আমাদের জীবনে শুরু হবে নতুন অধ্যায়।
বাসায় বেক করলাম।
রাতে আদর কে এত ফোন দিলাম ধরলই না।
যাক এর শাস্তি ওকে পরে দিব।
সকালে-
রোদেলা- কিরে আদর কে পেয়ে এত
খুশি! !!????
রাদ- খুশি হবোনা।!???
ও আজ অফিস জয়েন করবে আবার।
রোদেলা- কি মনে হয় আসবে? ??
রাদ- আসতে হবেই।সেই ব্যবস্থা ত করেই
রেখেছি।
রোদেলা- আসলেই ভালো।
all the best.
.
রাদ- খুব খুশি মনে আজ অফিস গেলাম।
আদর যে ডেস্ক এ বসত সেটায় একবার
তাকালাম।
আসলে আদর এর পর আর কোনো পি.এ রাখা
হয় নি।
খুব খুশি খুশি লাগছে।
এত দিন ধরে যাকে খুঁজেছি তাকে অবশেষে
পেলাম।
যে নাকি আমার চোখ এর সামনেই ছিল কিন্তু
আমি তাকে কখনই চিনতে পারিনি।
দেখতে দেখতে ১১:৩০ টা বেজে গেলো।
কিন্তু আদরের খবর নেই।
আসবে না নাকি? ?
ফোন দিলাম।
আদর- হ্যালো! !!
কে?
রাদ- কোথায় তুমি এখন ও আসলে না যে? ??
আদর- রং নাম্বার বলে ফোন কেটে দিলাম
রাদ- কি!! রং নাম্বার! ""
দাড়াও দেখাচ্ছি মজা।
আদর- উফফ এই লোক ত জ্বালায় খেলো।
এত ফোন দেওয়ার কি আছে।
দুর।
ফোন বন্ধ করে রাখি।
আগে যখন আমি তার পিছে ঘুরেছি তখন ত
আমাকে অপমান করেছে।
আর এখন! !!??? না আমি তাকে কোনো পাত্তা
দিব না।
দেখি কি করে সে।
রাদ- এতক্ষন ত ফোন ধরছিলনা আর এখন ফোন
বন্ধ করে রেখেছে।
দাড়াও আমিও কম না।
তুমি নিজের ইচ্ছায় আসবেনা।
ওকে।
আদর- উফফ মানুষ পাগল না আর কিছু । এত বার
কেউ কলিং বেল বাজায়! !?
এই কে রে ........... আপ......আপ....
রাদ- হ্যা আমি।
বলে ওর হাত ধরলাম।
আদর- আরে আরে কি করছেন।
কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন।হাত ছাড়ুন।
রাদ- নিজের ইচ্ছায় ত আসলে না।
এখন তুলে নিয়ে যাব।
আদর- ও যখন মন চাবে অপমান করবেন আবার
যখন মন চাইবে অধিকার ফলাবেন।
ছাড়ুন।
( হাত ঝাড়া দিয়ে)
রাদ- তুমি ভুলে যাচ্ছ তুমি এখন ও আমার
এম্পলয়ি।
আর আমি তোমার বস।
আমি সে অধিকার ই ফলাচ্ছি।
আদর- এত দিন পর!?? হঠাত।
এতদিন কোথায় ছিলেন? ?
রাদ- তোমার কথা উত্তর দেওয়ার টাইম নাই।
চল।
আদর- আরে আরে।!"??
গাড়ি -
রাদ-পাশে তাকিয়ে দেখি ম্যাডাম রাগে
লাল হয়ে গেছে।
আর ফোস ফোস করছে।
আদর-( রাগে মনে হচ্ছে জোড়ে জোড়ে
চিতকার করি।
জোড় করে নিয়ে আসল উনি কি দেখছে আমি
কি পরে আছি।
এখন এটা পরে অফিস যাবো? ??
এরে আমি কেমনে ভালোবাসলাম।এখন বসে
বসে নিজের মাথা চাপড়াই।
)
রাদ- কি হল কপালে হাত চাপড়াচ্ছ কেন?
আদর- আপনার কি? ?
আমার কপাল! ?
রাদ- আচ্ছা অনেক হইছে এখন নামো।
আদর- নামবো মানে?
রাদ- অফিস ত চলে আসছি।
আদর- (গাড়ি থেকে নেমে ) আপনি দেখছেন
আমি কি পরে আছি??
রাদ- উপর থেকে নিচ পর্যন্ত
দেখলাম।
সমস্যা নাই।
হাত ধরে চল।
আদর- আরে আরে....... উফফ।
অফিস এর ভেতর গেলাম।
আমাকে দেখে সবাই অবাক।
সবাই আমার কাছে এগিয়ে আসতে চাইলেও
স্যার কে দেখে আসলনা।
আর এই দিকে উনি হাত ধরেই তার কেবিন এ
নিয়ে গেল।
রাদ- ত মিস চারচোখ! !!!
আদর- কি কি কি বললেন!!!! আবার চারচোখ
বললেন! !!( এগিয়ে গিয়ে)
রাদ- এত সামনে আসলে ত উত্তর দেওয়া
মুসকিল।
আদর- আরে তাইত।সরে আসছিলাম হাত টান
দিয়ে ধরল।
রাদ- আরো কাছে আনলাম।
এক হাত ওর কমোড়ে রেখে আরেক হাত দিয়ে
চশমা খুললাম।
এত বড় বড় চোখ করে তাকিয়ে আছ কেন?
আদর- ছাড়ুন।
রাদ - আরেক টু শক্ত করে ধরে কেনো? ??
আদর- ( হুহ এখন দরদ উতলায় পরতেছে???
এতদিন কই ছিল? ? কিন্তু হঠাত এই পরিবর্ত
কেমনে হল? ?)
আপনার এই পরি.....
প্রশ্ন করার আগেই ফোন আসল .....
রাদ- হঠাত ফোন আসল।
ফোনে কথা বলছিলাম।
আর ওকে ধরে রেখেছিলাম।
আদর- উফফ ছাড়ে না কেন??? হাতে চিমটি
লাগায় দিলাম।
রাদ- আও!!
আদর- কেবিন থেকে দ্রুত বের হলাম।
দেখি সবাই দাড়িয়ে আছে।
।এনা আর ইমু দৌড়ে এসে আমাকে জরিয়ে
ধরল।
ইমু- এতদিন কোথায় ছিলা?? হঠাত না বলে
উধাও হয়ে গিয়েছিলা কেন? ??
এনা- তোমাকে কত মিস করেছি জানো? ??
সব স্টাফ - how r u ??? ador.
we miss u a lot.
.
আদর- আরে আরে আস্তে আস্তে।
রাদ- দাড়িয়ে দাড়িয়ে বাইরে দেখছিলাম।
সবাই আদর কে পেয়ে কত খুশি।
আদর সবার সাথে কি সুন্দর কথা বলছে।
আমার খুব ভালো লাগছে।
এখন শুধু ওর মন থেকে অভিমান টা কাটাতে
হবে।
কেবিন থেকে বের হলাম।
সবাই আমাকে দেখে চুপ হয়ে গেল।
সবার কি কথা হয়েছে? ??
হয়ে থাকলে get back to work.
সবাই - জি স্যার।
রাদ- আদর follow me.
.
আদর- বলুন
( মুখ ঘুড়িয়ে)
রাদ- (এত রাগ বাপরে বাপ)
এইভাবে বলছ কেন? ?
আদর- এইভাবে তুলে আনলে কিভাবে আর
বলব।
রাদ- নেও ফাইল টা কম্পলিট করে নিয়ে
আসো।
আদর- পারব না।
রাদ- উঠে দাড়িয়ে- কি বললে।
আদর- পারব না।সরি।
রাদ- ওর দিকে এগিয়ে যেতে যেতে আবার
বল।
আদর- ( আদর ফাইল নিয়ে ভাগ)
যাচ্ছি যাচ্ছি।
হুহ শয়তান একটা।
মনে হচ্ছে দিন দিন আর ও শয়তান হয়ে যাচ্ছে
রাদ- শয়তানি র আর দেখলে কি।
দেখতে থাকো আর ও কত দুস্টু মিষ্টি শয়তানি
করি তোমার সাথে।
be aware ador.
u won't able to handle it.
.
আদর- ফোন ত আনতে পারলাম না।
মা ত বাসায় এসে আমাকে না দেখে টেনশন
করবে
এই পাজি কি সেটা বুঝবে? ? অফিস থেকে
ফোন করে দেই।
মা কে ফোন করে বললাম বাসায় যেয়ে সব
বুঝিয়ে বলব।
রাদ- সি.সি. ক্যামেরা তে আদর কেই
দেখছিলাম।
শুধু আফসোস ওকে যদি আগে চিনতে পারতাম
তাহলে ওইদিন ওই টা করতাম না।
ইনফেক্ট আমি ই আগে ওকে প্রপস করে
ফেলতাম।
আজকের দিন টা আমাকে দেখতে হতনা।
এখন ইনার রাগ ভাংতে কি কি যে করতে
হবে।
আল্লাহ জানে।
এখন যদি ওকে আমি আমার কথাটা বলি। এ
হয়ত মানবেনা কেন ওকে ওইদিন এইভাবে
বলেছিলাম।
তাই আগে আস্তে আস্তে বুঝাতে হবে ওকে
আমি ভালোবাসি।
তারপর সব বলব।
আদর- উফফ সকালে নাস্তা ও করিনি ক্ষুদা ও
লেগেছে।
এক কাজ করি কিছু আগে খেয়ে আসি।
কাজ পরে।
আপনে বাঁচলে বাপের নাম।
রাদ- ও উঠে কই যাচ্ছে।
চলে যাচ্ছে না ত ??
আমি কেবিন থেকে বের হয়ে পিছে পিছে
গেলাম।
আদর কেন্টিন এ গেল।
আদর- বসে বসে খাচ্ছিলাম।
কেন্টিন এ আমি ছাড়া কেউ নেই।
রাদ- ওর পাশে কফি নিয়ে বসলাম।
আদর- আমি ত ভুত দেখার মত চমকে উঠলাম।
রাদ- ভয় পাওয়ার কি আছে? ? আমি কি ভুত
নাকি।
দেখি কি খাচ্ছ??
ওহ সেন্ডউইচ। আমার ও খুব প্রিয় বলে নিয়ে
খাওয়া শুরু করলাম।
আদর- আরে...আরে.... ( এখন খেতেও দিবেনা।
উফফ)
বিরক্ত। বলে উঠে যাচ্ছিলাম।
রাদ- ওর হাত টা ধরলাম।
কি ব্যপার না খেয়ে চলে যাচ্ছ যে।
আদর- আপনি আর খেতে দিলেন কই।
নিজেই ত খেয়ে ফেললেন।
( হাত ছাড়িয়ে) চলে আসলাম।
রাদ- যাহ আর ও রেগে গেছে।
রাগলে আর ও ভালই লাগে।
এনা- কি হল এমন হয়ে আছ কেন? ?
আদর- না কিছুনা।
ফাইল টা কম্পলিট করে স্যার এর কাছে নিয়ে
গেলাম।
নিন।
এটা কম্পলিট।
রাদ- চলে যাচ্ছ কেন? ? আমি কি যেতে
বলেছি।নেও এটা দেখো।আর এইখানেই বসে।
আদর- এইখানে! !???
রাদ- হ্যা!এইখানেই।
কোনো প্রব্লেম? ?
আদর- ( এইখানে বসে থাকলে ত তার দিকে
চোখ যাবে বার বার.....)
হ্যা প্রব্লেম।
আমি আমার ডেস্ক এ যাচ্ছি।
রাদ- না তুমি এইখানে বসে দেখবে।
আমি বলেছিনা।
আদর- দুর।
এরে বলে লাভ নাই।
জিবনে কারো কথা শুনছে যে আজ শুনবে.
চলবে...

#বস+বয়ফ্রেন্ড #season4
১৮&শেষ
আচ্ছা আচ্ছা এইখানেই দেখছি।
রাদ- আমি শুধু ওকেই দেখে যাচ্ছি।
আদর- কাজ করতে করতে তার দিকে চোখ
গেল।কি হল ওই ভাবে তাকিয়ে আছে কেন? ?
মুখে কিছু লেগে আছে নাকি? ?
মুখে হাত দিলাম।
রাদ- ( ভাবছে মুখে কিছু লেগে আছে তাই
আমি তাকিয়ে হাসছি।বোকা মেয়ে)
আদর- কি হয়েছে। তাকিয়ে কেন আছেন? ??
মুখে কিছু লেগে আছে নাকি?
রাদ- হ্যা আছে ত।
ওই যে ওই খানে।
আদর- এইখানে!?
রাদ- না না ওইখানে? ?
আদর- এইখানে না ওইখানে না।
ত কোথায়?
রাদ- দাড়াও আমি দেখাচ্ছি।
আদর- উনি গালে হাত দিতেই আমি কেপে
উঠলাম।
হাত সরিয়ে না লাগবেনা।ফাইল দেখা হয়ে
গেছে।
আমি আসি।
রাদ- আরে...... যাহ।
আদর- অফিস শেষ এ বের হলাম।
রাদ- আদর বাইকে উঠো।
আমি বাসায় দিয়ে আসি।
আদর- লাগবেনা আমি একাই পারব।
রাদ- তাই নাকি? ? তা টাকা দিবা কি
করে? ?
আদর- তাই ত।
রাদ- কই আসো।
আদর- কিছু না বলে বসে পড়লাম।
রাদ- বাসার সামলে নে নামিয়ে দিলাম।
এই যে শুন
সময় মত কাল কে চলে এসো।
না হলে আবার তুলে নিয়ে যাব।
আদর- কিছু না বলে চলে এলাম।
বাসায় এসে মা কে সব বললাম।
আম্মু- আচ্ছা রাদ ও কি তাহলে তোকে??
আদর- না মা।
আমার ত মনে হয়না।
আর যদি হয় ও তাহলে ও আমি তাকে .....
আম্মু- তুই ত রাদ কে ভালোবাসিস
আদর- বাসতাম।
এখন আর না।
আম্মু- দেখ তুই যা বুঝিস কর।আমি কিছুতে
তোকে কখনও বাধা দেই নি।
আদর- খেয়ে শুয়ে পড়লাম।
আর এই দিকে সে ফোন দিতেই আছে।
ফোন রিসিভ করে রেখে দিলাম।
সকালে ঘুম থেকে উঠে ফোন ধরে আমি
অবাক।
সাথে সাথে কানে দিলাম।
হ্যালো! !!!!
রাদ- এতক্ষনে ঘুম ভাংল!!???
আদর- আপনি রাতে ফোন কাটেন নি??
রাদ - না।
তোমার নি:শ্বাস শুনছিলাম।
আদর- আপনি পাগল নাকি।
।আপনি রাতে ঘুমান নি।
রাদ- ঘুমাতে আর পারলাম কই? তুমি যদি কথা
বলতে তাহলে ত আর এমন হতনা! ।
আচ্ছা এখন রাখি। সময় মত চলে আসবে।
রাখি।
আদর- অবাক হয়ে।
এ আবার কি! "??
আজ তাকে জিজ্ঞেস করতেই হবে।
অফিসে-
আদর- নিন আপনার কফি।আপনাকে একটা কথা
জিজ্ঞেস করি।
রাদ- হুম।
কোরো।
আদর- আপনার এই পরি.....
আহিল- স্যার সাহিল স্যার এসেছে।
আজ আপনাদের মিটিং ছিল।
রাদ- ও হ্যা পাঠাও।
আদর একটু পরে কথা বলি তুমি এখন যাও।
আদর- হুম।
বের হচ্ছিলাম।
সাহিল- hey i know u.
তোমাকে টি.ভি তে দেখেছিলাম।
u r a singer.তোমার নাম...
আদর- আদর।
nice to meet u.
সাহিল- তুমি খুব ভালো গাও।
কিন্তু তুমি এই অফিসে!"?? অবাক হলাম।
রাদ- excuse me.
সাহিল- ওহ। হাই আমি সাহিল।
রাদ- রাদ।
আদর এইখানে আরেক কাপপ কফি পাঠাও।
।হুম ত মিটিং শুরু করি।
সাহিল- আদর তোমার অফিসে!?
রাদ- আমার পি.এ।
সাহিল- ও।
রাদ- ওর কথা বাদ দিয়ে এখন কাজ করা যাক।
সাহিল-
হুম
আদর- কফি নিয়ে রুমে গেলাম।
রাদ- আমি খেয়াল করলাম এই ছেলে ত
আদরের দিকেই তাকিয়ে আছে।
মিটিং থেকে এর আদরের প্রতি ইন্টারেস্ট
বেশি।
আদর- এই ছেলে আমাকে দেখে কেন??
মিটিং রেখে।
ভালই ভালই চলে যাই।
রাদ- সরি mr.সাহিল।
আমি এই ডিল টা করছিনা আপনাদের সাথে।
সাহিল- কিন্তু সব ত ঠিক ই ছিল।
রাদ- হ্যা বাট সরি।
u may go now.
.
সাহিল- ( হঠাত কি হল) বের হয়ে আদরের
দিকে চোখ গেল।
মিস আদর
আদর- জি স্যার।
সাহিল- no no. no sir. only sahil.
. actually তোমার সাথে আমার কথা ছিল।
আদর - জি বলুন।
সাহিল- not here.
can we meet outside?
.
আদর- ( ও মা কয় কি? ?) না মানে...
সাহিল- মনে কোরো আমি তোমার একজন
ফেন।আমি রিকোয়েস্ট করছি প্লিজ।
আদর- ( তার সাথে ত আমাদের ডিল এর কথা
বলছে না গেলে পরে সেটায় প্রব্লেম হতে
পারে।তার থেকে যাওয়াই ভালো।)
ওকে।
বাট আজ ত আমার কাজ আছে....
সাহিল- সমস্যা নেই কাল ত অফ ডে কাল কে
সন্ধায় দেখা করা যায়।
আদর- ওকে।
রাদ - আদর এই ছেলের সাথে কি এত কথা
বলছে??
আদরর!!!!
আদর- জি স্যার।
তার এই লুক টা আমার খুব চেনা।
খুব রেগে থাকলে এমন ভয়ংকর দেখা যায়।
রাদ- দু পকেটে হাত দিয়ে আদরের দিকে
এগিয়ে গেলাম।
mr.সাহিল এর সাথে কি এত কথা
বলছিলে। ???
আদর- না মানে উনি আরকি.....
রাদ- সবার সাথে এত ভালো করে হেসে
হেসে কথা বলার কি আছে।
কই আমার সাথে ত বলনা।
আদর- উঠে গেলো রাগ।
আপনার কি তাতে।
আমি এইখানে কাজ করি।
আমার কাজ দেখুন।
আর কিছুনা।
রাদ- কি বললে তুমি বলে দেওয়ালে শক্ত
করে ধরলাম।
আদর- হ্যা তাই ই।
আপনি একটা জল্লাদ।
আপনার সাথে ভালো ভাবে কথা বলা যায়
নাকি।
শুধু ষাড় এর মত চিল্লাতে পারেন।
রাদ- ( এই মেয়ে বলে কি??)
আদর- ধাক্কা দিয়ে চলে আসলাম।
এই লোকের প্রব্লেম কি? ?
আগে ত এমন ছিল না।
পরের দিন সন্ধ্যায় -
রোদেলা- আরে আদর
তুমি এইখানে .... আর এই লোক টা
.....
আদর- সাহিল।
সাহিল- হাই।
রোদেলা- হাই।
আদর- তুমি এইখানে
?
রোদেলা- হ্যা দরকার ছিল তাই এসেছিলাম।
আচ্ছা থাকো।
বাই।
আদর- যাবে কেন? ? থাকো।
রোদেলা- না অন্য একদিন।
রোদেলা - ভাই কে বেপার টা জানাতে
হচ্ছে।
(ফোনে) ভাই তুই কই।
এইখানে ত আরেক কান্ড হয়ে গেছে।
রাদ- কি হয়েছে।?
কিহ!!! কোথায় ?? ঠিকানা মেসেজ কর।
গাড়ি নিয়ে চলে গেলাম সেখানে।
দেখি ওরা কথা বলছে।
সামনে যেয়ে দাঁড়ালাম।
আদর- স্যার কে দেখে দাড়া হলাম।
আপনি! !??
সাহিল- রাদ আপনি এইখানে!!??
রাদ- হ্যা আমি।
আদর কে নিতে এসেছি।
আদর- আমাকে !!!!কেন? ??
রাদ- পরে বলছি আগে চল।
আদর- আগে বলুন।
রাদ- হাত ধরে তুমি আগে চল।
সাহিল- রাদ আপনি করছেন টা কি।
এটা ঠিক হচ্ছেনা।
রাদ- কি ঠিক হচ্ছে আর হচ্ছে না সেটা
আমার টা আমি বুঝব।
সাহিল- কিন্তু! ?
রাদ- কথা না শুনেই আদর কে নিয়ে গাড়ি র
সামনে চলে আসলাম।
গাড়ির সাথে আদর কে ঠেকালাম।
আদর- কি হচ্ছে টা কি??
রাদ- তুমি এইখানে সাহিল এর সাথে কি কর।?
আদর- তাতে আপনার কি?
এটা আপনার অফিস না যে আমি কারো সাথে
কথা বললে সমস্যা।
রাদ- গাড়ি তে জোড়ে করে বাড়ি দিলাম।
হ্যা সমস্যা।
আমার সমস্যা।
তুমি অন্য কারো সাথে কথা বললে আমার
সমস্যা।
আদর- u r hurting me.
leave my hand. ( বলতেনা বলতে বৃষ্টি শুরু।)
.
রাদ- আর আমিমি কস্ট পাচ্ছি সেটার!?
আদর- আপনি কস্ট দেন সবাই কে।নিজে
পান না।
রাদ- তুমি না আমাকে ভালোবাসো!?
আদর- ভালোবাসতাম।
এখন বাসিনা।
রাদ- বাহ এটা কেমন ভালোবাসা ছিল
তোমার!?
।আদর-( কলার ধরে) আপনি কে হ্যা আমার
ভালোবাসা নিয়ে কথা বলার? ??
আপনার কথা গুলা মিনে আছে কি কি
বলেছিলেন আমাকে??
রাদ- আমি জানি তুমি এখন ও আমাকে
ভালবাসো। শুধু অভিমান করে আছো।
আদর- যদি তাই ই হয় তাহলেও আপনার কি? ?
আপনি ত আর...
রাদ- ভালোবাসি।darn it.খুব ভালোবাসি
তোমাকে।
তুমি কি বুঝতে পারো না।
আমি ফোন ধরে রেখে দিয়েছিলে আমি
সারা রাত ফোন কানে দিয়ে তোমার
নি:শ্বাস এর শব্দ শুনে পার করেছি।
তোমার কাছে ওটা অবাক লাগেনি? ?
তুমি অন্য ছেলের সাথে কথা বললে আমার
জ্বলে তুমি এতেও কিছু বুঝনি??
তুমি কি কিছুই বুঝতে পারো না? ??
আদর- আমি তার কথা গুলা শুধু শুনে
যাচ্ছিলাম।
আমি ত বলার জন্য কিছুই পাচ্ছিনা।
রাদ- তোমাকে এখন থেকে না।
তুমি অফিস জয়েন করার আগে থেকে খুজছি
আমি।
তোমাকে আমি কত ভালোবাসি যা আমি বলে
বুঝাতে পারব না।
তোমাকে আমি তখন ও দেখিনি।
না দেখেই ভালোবেসেছিলাম।
তোমার গানের সুর শুনে।
আদর- মানে!?
রাদ- আমি যেখানে জগিং করতে যেতাম
তোমার মনে আছে তোমার সাথে এক্টা
পার্ক এ আমার কয়েকবার দেখাও হয়েছে।
সেখানেই ১ম তোমার গাওয়া সুর টা
শুনেছিলাম।
তারপর থেকে তোমাকে অনেক বার খুজেছি ।
আর এর জন্যই আমি তোমাকে না চিনেই
ওইভাবে বলে ফেলেছিলাম।
বিশ্বাস করো আমি তোমাকে কস্ট দিতে চাই
নি।
আমি শুধু চেয়েছিলাম যাতে তুমি আমাকে
ভুলে যাও।
এতে তোমার কস্ট কম হত।
আমি চাইনি তুমি আমার মত কস্ট পাও।
কিন্তু আমি যদি জানতাম আমি যাকে
খুজেছি সে তুমি তাহলে আমি তোমাকে
ওইভাবে কস্ট দিতাম না।
সত্যি বলছি খুব ভালবাসি তোমাকে।পাগলের
মত খুঁজেছি তোমাকে যখন জানতে পারলাম
তুমিই সেই মেয়ে।
আর তুমি বলছ আমি তোমাকে ভালোবাসিনা।
আদর- আমি কি বলব কিছু বুঝতে পারছিনা।
মাথা হ্যং হয়ে আছে।
কি বলব কি করব! !!!
আর এই দিকে বৃষ্টি তে ২জন ই কাক ভেজা
হয়ে যাচ্ছি।
রাদ- ওর হাত ধরে নিচে হাটু গেড়ে বসে
পড়লাম।
ওর হাতের সাথে মাথা লাগিয়ে নিচে বসে
আছি।
আদর- ( উনি আমাকে তাহলে সত্যি ই
ভালবাসেন)
আমি নিচে উনার সামনে বসলাম।
তার নাম ধরে ডাক দিলাম।
"""রাদ"""
রাদ- মাথা উঁচু করলাম।
।আদর আমার দু গালে হাত রাখল।
আদর- কিছু না বলে তার কপালে একটু
ভালবাসার ছোয়া দিয়ে দিলাম।
রাদ- একবার বল ভালবাসি।
আদর- ভালবাসি.....ভালবাসি..... ভালবাসি।
রাদ- শক্ত করে বুকের মাঝে ধরে রাখলাম
আদর কে।
আর কখনও ছেড়ে যাবে না ত।
আদর- আরো শক্ত করে ধরলাম তাকে।
কখনই যাবোনা।
রাদ- অনেক ভালবাসি তোমাকে।
আদর- তা এইভাবেই কি বসে থাকব বৃষ্টির
মধ্যে রাস্তায়??
রাদ- উঠে দাড়া হলাম।
আদরের হাত ধরে।
চল এখন বাড়ি ফিরে যাওয়া যাক।
আদর-আমি গাড়ি তে উঠব না।
রাদ- তাহলে।?
আদর- চলুন আজ এই বৃষ্টির মাঝেই হেটে হেটে
যাওয়া যাক।
রাদ- হুম।
চল।
এইভাবে হেটে হেটে যাচ্ছি আমরা হাতে
হাত রেখে।
কিছু দুর যেতেই আদর কে কোলে তুলে
নিলাম।
আদর- আমি তাকিয়ে আছি তার দিকে গলা
ধরে।
রাদ- হঠাত করে আদর আমার গালে হালকা
আদর করে দিল।
বৃষ্টির জোড় যেনো বেড়েই চলেছে।
আর এর মধ্যেই চলে যাচ্ছি আমরা।
আজ আমাদের জীবনে শুরু হল আরেক টি নতুন
অধ্যায়।
এই শেষ যেনো শেষ নয়।
পূর্ণতা পাক তাদের ভালবাসা।
ভালবাসায় ভড়ে উঠুক সবার জীবন।
ভাল থাক সবাই।
ধন্যবাদ।







No comments:

Post a Comment

অদৃশ্য পরী

  ----দেবর সাহেব, তো বিয়ে করবে কবে? বয়স তো কম হলোনা ৷ ----আপনার মত সুন্দরী কাউকে পেলে বিয়েটা শীঘ্রই করে ফেলতাম ৷ -----সমস্যা নাই তো, আমা...