25.12.23

বস+বয়ফ্রেন্ড season2

 #বস+বয়ফ্রেন্ড #season 2

....(১+২+৩)....
--১--
মেঘ : তারা তারা আমার কফি কই??
এখন নিয়ে আসন কেন??
তারা : ৫ বার কফি নিয়ে গেছি।
মগের মুল্লুক পেয়েছে নাকি??
আর যাব না।
সে সারাদিন ভরে জিম করবে আর আমি
সারাদিন ধরে কফি নিয়ে দৌড়াই তাই না? ?
জি না এতো খায় না।
কানে হেডফোন লাগায় গান শুন্তে লাগলাম
মেঘ : সাহস কত বড়। এখন কফি নিয়ে
আসছেনা।
দেখাচ্ছি মজা। আমার কথা না শুনা বের
করছি।
তারা! ! তারা "!" তারা! !
এই মেয়ে গেছে কই। ?
কন সারা শব্দ নাই কেন? ?
এইভাবে তো সারাদিন চিল্লাতে থাকে।
আজ কই গেছে।
রনি! ! রনি? ?
রনি : জি স্যার।
মেঘ,: তারা কই খুজে আন।
২মিনিট এর মধ্যেে আমি ওকে আমার সামনে
দেখতে চাই।
রনি : জি স্যার।
মেঘ : আজ আমার একদিন না হয় ওর একদিন।
রুমি : কি ব্যপার সুমি স্যার এত রেগে আছেন
কেন? ?
।তারা ম্যাম কি আজ ও কিছু করেছে??
সুমি : দুর বাদ দেও।
স্যার একটু বেশি বেশি করে।
মেয়ে টা কে জালিয়ে খায়।মেয়েটা আর কত
সহ্য করবে? ?
কি ভাগ্য নিয়ে যে এই বাড়ি তে এসে জুটল
এত সুন্দর মেয়েটা।
রুমি : বাদ দেও স্যার শুনলে হবে আরেক
জালা।
রনি : মম্যাম! ম্যাম! !
উফফ উনি হেড ফোন এ গান শুনছেন তাই তো
কিছু বুঝতে পারছেন না।
ম্যাম! ম্যাম
তারা : আরে কি হয়েছে?? চিল্লাচ্ছো
কেন? ?
ম্যাম স্যার আপনাকে নিয়ে যেতে বলেছে
: বলে দেও যাবনা? ??
: স্যার বলেছে আপন ভাল কথায় না বলে তুলে
নিয়ে যেতে।
: কি বললে তুমি এতো বড় সাহস।
মেঘ : হ্যা সাহস।
রনি তুমি যাও আমি দেখছি।
রনি ; জি স্যার
মেঘ : দরজা টা লাগিয়ে দিলাম কারন আমি
জানি তারা পালিয়ে যেতে পারে।
তারা : আরে আরে দরজা লাগাচ্ছেন কেন? ?
।এই এই দেখুন অমন রাক্ষস মারকা চেহারা
নিয়ে আমার দিকে এগুবেন্না! ভাল হবেনা
বলে দিলাম
মেঘ : কি ভাল হবে আর হবেনা সেটা আমি
দেখব।
তোমার দ্বায়িত্ব হচ্ছে আমাকে দেখা তুমি
আমার আদেশে উঠবে বসবে তা না করে তুমি
আমার কথা কানেই তুলছনা? ??
তারা : দেখুন ভাল হবেনা অমন ভুত মার্কা
ফেস আমাকে দেখাবেন্না? ?
মেঘ : কি আমি ভুত? ? রাক্ষস! ! তবেরে রে
::ওকে শক্ত করে ধরলাম।কানের কাছে মুখ
নিয়ে এখন বল কি বলছিলে
তারা : কিছু না বলে দিলাম পায়ে পাড়া ।
তারা আপন প্রান বাচা!!
মেঘ: খবর দার পালাবানা। তাহলে কিন্তু! !!!
তারা : কে শুনে কার কথা : জানালা খুলে
দিলাম দৌড়। পরের টা পরে দেখা যাবে।
এখন তো পালাই।
রহিম চাচা গাড়ি বের করেন তো। বাইরে
যাব।
: মামনি জানই তো স্যার এর কথা ছাড়া কনো
গাড়ি বাসা থেকে বের হয়না।
তারা : উফফ কি জালা। আচ্ছা আমি হেটেই
যাচ্ছি।
।হেটে হেটে বাড়ির পাশের পার্কে চলে
আসলাম।
হুম এবার আপনাদের আসল ঘটনা বলি এইখানে
কিভাবে আসলাম। কি করে এই শয়তান
ছেলেটার দেখা শুনার ভার পেলাম। শুনুন
তাহলে।
অনেক আগের কথা: রাফি চৌধুরী ঢাকা
শহরের একজন নাম করা ব্যবসায়ী। নাম্বার ১
বিজনেস ম্যান।
যেহেতু অনেক টাকা তাই শত্রু অনেক বেশি।
তাই তার বডি গার্ড ও অনেক
আর সব চেয়ে পুরান এবং বিসস্ত হচ্ছেন ফারুক
হাসান। তার কথায় বাকি বডি গার্ড রা উঠে
আর বসে। রাফি চৌধুরী অন্ধ এর মতো তাকে
বিশ্বাস করেন। আর উনি ই হচ্ছেন
আমার বাবা।
আমার বাবা আমার সাথে যতটা না থাকতেন
তার চেয়ে বেশি থাকতেন তার সাথে।
আমার মা নেই আগেই মারা গেছেন।
আমি ছোট থাকতে বাবার সাথে তার বাসায়
অনেক গেছি।
সে আমাকে খুব ভালিবাসতেন।
বাবা একদিন আংকেল কে বাচা তে যেয়ে
নিহত হয়।
তার পর থেকেই সে আমাকে বাবার আদর
দিয়ে বড় করেন।
।আমি যেন তার ই
মেয়ে।
আর তার ছেলেই হচ্ছে মেঘ চৌধুরী।
আমি যখন তার বাসায় বড় হচ্ছিলাম তখন মেঘ
অই খানে থাকতনা।
ওর যখন ৬ বছর বয়স অকে পাঠিয়ে দেন লন্ডন
এ।
ওর সুরিক্ষার জন্য।
তাই পুরো বাড়ি তে ছিল আমার রাজত্য।
দেখতে দেখতে ১৬ বছর কেটে গেল।
হঠাত একদিন দেখলাম পূরা বাড়ি সাজানো
হচ্ছে।
তারা : আংকেল এতো আয়োজন কিসের? ?
আংকেল : আজ আমার ছেলে ২০ বছর পর বাড়ি
আসছে। তাই।
আমি কখন ওকে দেখিনি। তাই ওকে দেখলেও
চিনতে পারবনা।
বিকাল : এই এই তোমরা তাড়াতাড়ি হাত
চালাও। উনি এখনি চলে আসবেন।
তারা : আংকেল আপনি গাড়ি পাঠিয়েছেন
তো।
আংকেল : ভাল কথা মনে করিয়েছিস মা।
আমি তো ভুলেই গেছি।
দাড়া এখনি পাঠাচ্ছি।
মেঘ : আমি আসব যেনেও গাড়ি পাঠায়নি !!??
নাহ ১ঘন্টা ধরে দাড়িয়ে আছি আর না।
এক্টা গাড়ির শো রুম এ গেলাম।
বাহ এই গাড়ি টা সুন্দর !
.
মেঘ :: ম্যানেজার ম্যানেজার! !
: জি স্যার। কি সাহায্য করতে পারি।
মেঘ : এই গাড়ি টা আমি নিয়ে যাচ্ছি। রাফি
চৌধুরীর কাছে বিল টা পাঠিয়ে দিবেন।
::: জি জি স্যার। আমাদের কনো ড্রাইভার
কি আপনাকে বাড়ি দিয়ে আসবে।??
মেঘ : তার দরকার হবেনা।
তারা : মালি গুলা কন কাজের না। এক্টা
গাছেও পানি দেইনি।
মালি মালি! !!
মালি : জি ম্যাম।
তারা : পানির পাইপ আনো। আমি গাছে
পানি দিব।
আহারে গাছ গুলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেছে।
মেঘ : বাড়ি কেমন অচেনা লাগছে।
এটা আমার বাড়ি বুঝাই যাচ্ছেনা।উফফ পায়ে
কাদা লাগল কিভাবে?? এই মেয়ে এই
মেয়ে? ? কানে শুননা??
তারা : আমি? ?
মেঘ : হুম।আমার জুতা টা পরিস্কার করে দেও
তো।
তারা : কিহ? ?
মেঘ : দেও তারাতারি।
তারা : দারা দেখাচ্ছি মজা।
দিলাম পাইপ এর পানি দিয়ে ছেলেটা কে
ভিজিয়ে। আমাকে বলে নাকি জুতা
পরিস্কার করতে। শখ কত!!
মেঘ : এই মেয়ে এটা কি করলে।
জানো আমি কে?? তোমাকে আমি দেখে
নিব।
তারা : তুমি জানো আমি কে।??এই বাড়িটা
দেখছনা? ? এটা আমার আংকেল এর বুঝলা? ?
মেঘ: কি বলে যাতা।
দারাও দেখাচ্ছি মজা। বাবা! ! বাবা!
তারা : বাবা বাবা করছে কেন??? মেঘ না
তো?? অরে হাই হাইই। ভাগ তারা ভাগ।
গেলাম বাড়ির ভেতর।
মেঘ : বাবা কি সব আজাইরা কাজের মানুষ
রেখেছ??
শিক্ষা নেই দিক্ষা নেই??
আংকেল : কি হয়েছে! আর তোর কেন এই
অবস্থা
মেঘ : তোমার কাজের মানুষ করেছে।
আংকেল : কি এতো বড় সাহস। কে সে ডাক
দে।
তারা : আড়ালে দারিয়ে কথা শুন ছিলাম।
মেঘ : ওই যে ওই যে ওই মেয়েটা।
আংকেল : কই?? আরে তারা তুমি ওইখানে কি
করছ। এইখানে আসো মা।
মেঘ : অবাক হয়ে ও কে? ?
আংকেল : সব বলব পরে।
তারা এই হচ্ছে আমার ছেলে। আর মেঘ এটা
হচ্ছে তারা।
তারা : আমি উবার দিকে তাকিয়ে একটু
হাসার চেস্টা করলাম।
কিন্তু উনি তো একেবারে রেগে
আগুন। আমার তো যায় যায় অবস্থা। ও আল্লাহ
এখন কি হবে। এই ররাক্ষস এইখানে থাকবে
এখন থেকে। দেখেই বুঝা যাচ্ছে পাজির
হাড্ডি। ( মনে মনে)
রাতের খাবার শেষ এ সবাই গেল। আমি
নিচের রুমে। উনি উপরের রুমে যাক বাচা
গেল। যত দুরত তত ভাল।
। রাত ২ টা:
তারা : আল্লাহ এতো পানির পিপাসা
লেগেছে কেন? ?
দুর ছাতা আবার বাইরে যাও।
রান্নাঘর এর দিকে পা বাড়াতেই ওমা এটা
কে চোর না তো।
দাড়া বেটা চোর দেখাচ্ছি মজা। একটা
চাদর এনে দিলাম ফেলে বেটার উপর তারপর
ইচ্ছা মত কিলালাম ঘুসালাম। আর চোর চোর
চিল্লালাম।
এর মধে্্য সবাই হাজির অন্ধকারে সবাই মিলে
আর মারল।
এবার লাইট জালিয়ে চাদর সরিয়ে সবাই হা
হয়ে গেল।
তারা : মনে মনে) অরে তারা এটা কি করলি
এটা তো মেঘ । পালা তারা পালা। ।
মেঘ : এই এই থাম থাম বলছি।
তারা : সরি সরি ভুল হয়ে গেছে। ।
মেঘ : ( মনে মনে) এই টুকু দেখতে আর কি
জোড়! ! সব হাড্ডি ভেংগে গেল রে। কিন্তু
সবার সামনে প্রকাশ করা যাবেনা। ।
আংকেল : বেশি কিছু হয়নি তো।
মেঘ : না বাবা। তোমরা সবাই এখন যাও ।
কিন্তু তারা আমি তোমাকে যেতে বলিনি। ।
তারা : নাউযুবিল্লাহ। এটা কি কয়?? আল্লাহ
বাচাও।
আংকেল : ওকে কিছু বলিস না। বাচ্চা মেয়ে।
মেঘ : তুমি যাও তো।
সবাই চলে গেল আমাকে রেখে এই রাক্ষস এর
কাছে।
পালা তারা পালা।
মেঘ : এই এই পালাই যাবা কই দাড়াও বলছি। ।
এই তো ধরছি।
তারা : সরি সরি আমাকে মাফ করে দিন। ।
মেঘ :
টানতে টানতে নিয়ে গেলাম রুমে । আটকে
ধরলাম দেওয়ালের সাথে! ।
তারা : ও মা মাথাটা গেলরে আমার। ।
মেঘ : চুপ একদম চুপ।
তখন পানি দিয়ে ভিজিয়েছ। এখন মার
খাইয়েছ। তোমাকে কি এমনি এমনি ছেড়ে
দিব ভেবেছ।
তারা : দেখুন.....
মেঘ : হাত দিয়ে মুখ চেপে ধরলাম।
.
মেঘ : এতো সহজে তোমার মাফ নেই। এখন
তুমি বুঝবে মজা। বলে ওকে কলে তুলে
নিলাম। আর স্টোর রুমে নিয়ে গেলাম।
তারাকে নামালাম আএ বললাম থাক এখন
সারারাত অন্ধকারে।
রেখে রুমে চলে এলাম।
মেঘ মেঘ!
মেঘ : বাবা তুমি!! এতো সকালে?? ।
বাবা : এতো সকাল ১১ টা বাজে। তারাকে
খুজে পাওয়া যাচ্ছেনা। চল থানায় যাব।
মেঘ) : মনে মনে ( আরে ও তো স্টোর রুমে।
বাবা জানতে পারলে ..... বাবা তুমি রুমে
যাও আমি একটু আসছি।
:::: হুম তারাতাড়ি আসবি।
মেঘ : তারাতাড়ি করে স্টোর রুমে গেলাম।
দেখি ও ঘুমিয়ে। অনেক ডাক দিলাম উঠল না
বেহুশ হয়ে গেছে।
তাড়াতাড়ি কলে নিয়ে রুমে নিয়ে আসলাম।
ডাক্তার আসল।
বলল ভয়ে এমন হয়েছে।
ওষধ দিল।
বাবা অনেক বকা দিল।
আমার খুব রাগ হচ্ছিল।
রুমে চলে আসলাম। এই মেয়ের জন্য এতো বকা
শুনতে হল???
আমিও কম না এই মেয়ে কে আমি ভাগাবই। ।
এই প্রত্তিজ্ঞা করে উনি সব কিছু তেই
আমাকে টর্চার করে যাচ্ছেন সেটা অফিস
হক আর বাড়ি তেই হক।
অনেক চেয়েছি চলে যেতে শুধু আংকেল কে
দেওয়া কথার জন্য আর যাওয়া হয়না।
আংকেল যতদিন ছিল উনি তেমন কিছু করতে
পারতেন না।
কিন্তু আংকেল ২মাস হয়েছে মারা গেছে।
যাওয়ার আগে উনাকে দেখার দায়িত্ব দিয়ে
গেছে। তাই আমিও তার ঋণ শোধ করার জন্য
এইখানে শত অপমানের পরও পরে আছি। আর
এই হচ্ছে কাহিনি। এখন বাসায় যাই আরেক
দফা টর্চার সহ্য করতে। তারা : সুমি উনি কই।
সুমি : ম্যাম আপনি কই ছিলেন?? আজ স্যার খুব
রেগে আছেন। কি যেন আপনার রুমে খুজছিল।
তারা : তারাতাড়ি রুমে গেলাম পুরা রুম তছনছ
করা
ফোন এ দেখি ২০ টা মিসকল।
আবার ফোন বেজে উঠল।
।চলবে.......
#বস+বয়ফ্রেন্ড #season2
---২----
.
তারা : হ্যালো।
মেঘ : কই তুমি? ? ফাইল নিয়ে জলদি আস। ।
তারা : ও আল্লাহ আজ না মিটিং
।।
তারা : অফিস এ গেলাম।
মেঘ : তোমাকে পরে দেখে নিব ফাইল দেও
আগে।
আর চলো।
ততারা : খুব ভয় লাগছে।
আসলে এই প্রজেক্ট টা খুব ইম্পরট্যান্ট ।
আমি ভুলেই গিয়েছিলাম।
তাও শেষ পর্যন্ত ডিল টা সাইন হয়েছে এটাই
শান্তি।
।চলুন স্যার যাওয়া যাক।
মেঘ : তারাকে দেওয়ালের সাথে আটকে
ধরলাম।
হাত ২ টা আমার ১ হাত দিয়ে শক্ত করে
ধরলাম।
আর ১ হাত দিয়ে চুলের মুঠি ধরলাম। ।
তারা: কি করছেন কি? ? ছাড়ুন। ব্যথা
লাগছে আমার।
মেঘ : আজ তোমার জন্য আমাকে অপমান সহ্য
করতে হল।
উনারা আরেক্টু হলে চলেই যাচ্ছিল। কই
ছিলা তুমি ( চিতকার কিরে) ।
তারা : আমি আসলে ভুলে গেছিলাম। ।
মেঘ : আরো শক্ত করে ধরলাম। ভুলে গেছিলে
তুমি???
আজ যদি ডিল সাইন না হত।
??
নিহাত বাবা তোমাকে আমার পি.এ বানিয়ে
গেছিল না হলে তোমার মত মেয়েদের আমি
চাকর ও রাখিনা।
বলেই ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিলাম। চলে
আসলাম
তারা : মাথায় হাত দিয়ে দেখলাম কপাল
ফেটে গেছে। পা ও অনেক কেটেছে। ।
মেঘ : বাসায় যাব।প্রতিদিন তারা আমার
সাথে যায়।কিন্তু আজ অকে নিবনা আমি।
যাক বাসায় একা একা।
নিচে নেমে দেখি তারা বসে আছে। একজন
বেন্ডেজ করার চেস্টা করছে তারা দিলনা।
উঠে চলে যাচ্ছে কিন্তু হাটতে পারছে না।
হঠাত পরে যাচ্ছিল একজন ধরল। আমার এক্টু
খারাপ লাগল। এত টা রাগ দেখান উচিত হয়
নি।
মেঘ : তারা আমার হাত ধর।
তারা : কিছু না বলে আবার চলে যাচ্ছে। ।
মেঘ : হাত বারিয়ে দিলাম। হাত ধর। ।
তারা : আপনার হাত আমার জুতাও ধরবেনা। ।
মেঘ : কিহ এত বড় কথা।
কলে তুলে নিলাম অকে।
তারা : নামান। নামান বলছি নামান। ।
মেঘ : কি করবে তুমি দেখি এখন। ।
ইচ্ছা মত অনেক ক্ষন ঘুসাল। তারপর থেমে
গেল।
।গাড়ি তে বসিয়ে দিলাম। বাসায় আসলাম। ।
কলে তুলে অকে ঘরে ঢুকলাম। সবাই তাকিয়ে
আছে।
।কি সবাই কি দেখছ।
যে যার কাজে যাও।
অর রুমে অকে রেখে আসলাম।
রাতে ও খেতে আসেনি।
।রাগ যেমন আমারো আবার অরো। ।
তাই দেখতে গেলাম।
কপালের ক্ষত টা অনেক গভির কিন্ত
বেন্ডেজ করেনি।
পায়ে ওষধ লাগাতে যাচ্ছে আবার ভয়ে
সরিয়ে ফেলছে।
আমি রুমে ঢুকলাম।
তারা : আপনি এসেছেন কেনো। মজা
দেখতে।
বেচে আসি নাকি মরে গেছি দেখতে?? ।
মেঘ : এই নেও এটা লাগাও কপালে। ।
তারা : নিয়ে ছুড়ে ফেলে দিলাম। ।
মেঘ : তুলে এনে আবার দিলাম।
তারা : আবার ফেলে দিলাম।
মেঘ : অকে জোর করে টেনে নিজের কাছে
এনে ১ হাত দিয়ে অকে ধরলাম। ভালই ভালই
লাগাও না হকে অন্য রাস্তা আমার যানা
আছে।ওর কানের কাছে মুখ নিয়ে বললাম
চুপচাপ আমার কথা শুন। ।
তারা : চুপ করে বসে পরলাম। কপালে আর
পায়ে উনি বেন্ডেজ করে দিলেন।চলে
গেলেন তারপর। কিন্তু এক বারও সরি বললেন
না।
শয়তান, রাক্ষস।
এর বদলা আমি নিবই।
।।।
সকালে উঠে দেখি রুমি উনার নাস্তা রেডি
করে রেখেছে।
আশে পাশে কেও নাই।
ইচ্ছামত মরিচ এর গুরা খাবার এ মিশিয়ে
দিলাম আর পানির মধে্্য দিলাম লবন
মিশিয়ে যাতে পানি খেতেও না পারে।
তারার সাথে পাংগা হুহ।
মেঘ : আল্লাহ এত ঝাল কেন? ? থু থু পানিতে
এত লবন কেন?
তারা! ! তারা! !
তারা : বলুন।
মেঘ : এটা তোমার কাজ তাইনা। তারা : কন
টা?
মেঘ : কনটা দেখাচ্ছি।
আমি এক পা ek পা করে এগুচ্ছি আর ও
পিছাচ্ছে।
তারা : দেখুন আপনি কি ভেবেছেন আনি
আপনাকে দেখে ভয় পাব? ? কখনই না। ।
মেঘ : তুমি ভয় পাওনা।
তারা : না না
মেঘ : তাহলে পিছাচ্ছ কেন??
তারা : আপনি এগুচ্ছেন কেনো?? ।
মেঘ : হাত দিয়ে ইশারা দিলাম সবাইকে চলে
যেতে।
রুমি : সুমি আজ তারা ম্যাম এর খবর আছেরে।
চল চল
তারা : এই এই সবাই কই যাও? ?
মেঘ : এখন তোমার কি হবে তারা। ওর
কোমড়ে হাত দিয়ে শক্ত করে ধরলাম। ।খাবার
এ মরিচ মিশিয়েছ কেনো। ।
তারা : ভাল করেছি।
মেঘ : আমার দিকে তাকিয়ে আরেকবার বল। ।
তারা : ( আল্লাহ বাচাও)
দিলাম উনার হাতে জোরে করে কামোড়
লাগিয়ে।
মেঘ : অকে ছেড়ে দিলাম।
তারা : ভাগ তারা ভাগ।
মেঘ : কি ভেবেছ তোমাকে আমি পাবো
না? ? বাসায় আসো আগে।
তারা : উফফ যাক বেচে গেছি। অন্তত অফিস
এ কিছু করবেনা।
মেঘ : তারা রেড ফাইল টা নিয়ে রুমে আসো।
আজ মিটিং আছে।
তারা : ভয়ে ভয়ে জি।
( আল্লাহ কি হয় কে জানে) ভয়ে ভয়ে রুমে
গেলাম।
শফিক সাহেব: mr.মেঘ তোমার
প্রেজেন্টটেশন আমাদের ভাল লেগেছে।
আমরা ফাইল্টা নিয়ে যাচ্ছি। কালকে
জানাব।
তা মেঘ সাহেব তোমার হাতে ওটা কিসের
দাগ??
মেঘ : না মানে ইয়ে মানে।
শফিক সাহেব : হেহে হয় হয় অল্প বয়সে এইসব
হয়েই থাকে। হেহে।
মেঘ : আপনারা ভুল ভাবছেন। এমন কিছুইনা। ।
: বুঝেছি বুঝেছি আর বলতে হবেনা। লজ্জা র
কিছু নেই।
হেহে।
মেঘ : তারার দিকে তাকালাম । ও হাসছে। ।
তারা : উনার চেয়ে থাকা দেখে আমার হাসি
উরাল দিল।
উনারা বের হয়ে যাচ্ছিল ভাবলাম আমিও
ভাগি।
নাহ হলনা।
উনি হাত ধরে এত জোরে টান দিলেন মনে
হচ্ছে হাত ছিড়ে যাবে।
তারা : কিছু বুঝার আগেই।
মেঘ : ওর গা থেকে ওড়না টা ফেলে দিয়ে
গলায় আর ঘাড়ে কামোড় মেরে দিলাম। ।
তারা : আল্লাহ। দিলাম ধাক্কা মেরে
সরিয়ে।
আপনি কি রাক্ষস।
মেঘ : তুমি আমাকে দিয়েছিলে আমি
তোমাকে দিলাম। নেও শোধ।তোমার জন্য ত
আমিও অপমানিত হলাম।
যাও এখন।
তারা : এর বদলা আমিও নিব। খাটাশ
কথাকার।
ইরা : কিরে কে এতো আদর করল
তোকে??
তারা : মানে? ?
ইরা: love bite দেখতে পাচ্ছি তোর গলায়।
স্যার আদর করেছে নাকি? ? তলে তলে এতো
দুর।
তারা : তাড়াতাড়ি ওড়না ঠিক করলাম। না না
তেমন কিছুনা।
পরে যেয়ে বেথা পাইছি।
ইরা : আমি কি আর জানিনা।
তারা : তুই বেশি জানিস। হুহ। ।
( মনে মনে এই খাটাশ এর জন্য আর শান্তি
পেলামনা)
মেঘ : তারা? ?
তারা : আবার কি? ?
মেঘ : বাসায় চল।
তারা : আপনি যান। আমি পরে আসব। ।
মেঘ : হুম
তারা : তোমাকে শায়েস্তা করার জিনিস
নিয়ে তারপর বাসায় যাব
.
#বস+বয়ফ্রেন্ড #season2
.
---৩---
মেঘ : শফিক সাহেব এত রাতে ফোন কেনো
দিচ্ছেন।
হ্যালো।
শফিক সাহেব : এত রাতে ফোন দেওয়ার জন্য
সরি।
আসলে কালকে বিকালের বদলে মিটিং টা
আমরা সকালে করব। সেটা জানানোরর জন্য
ফোন দিলাম। কনো প্রব্লেম নেই তো। ?
মেঘ : not atall. ok bye.
.
তারা কে জানাতে হবে।
নাহলে সকালে প্রব্লেম হতে পারে। তারার
রুমের সামনে গেলাম। নক করতেই দরজাটা
খুলে গেল।
কিরে ও কি আজ দরজা লাগায়নি। রুমে
ঢুকলাম।
তারা ঘুমাচ্ছে।
মনে হচ্ছে এক্টা পরি শুয়ে আছে। চুল গুলা
বাতাসে উড়ে মুখে এসে পরছে। বুকের মাঝে
অন্য রকম অনুভুতি হল । থাক ডাকবনা এখন।
সকালেই বলবনে। ।
সকালে -
তারা : আপনি এত তাড়াতাড়ি রেডি কেন
হয়েছেন।
মেঘ : বিকালের মিটিং সকালে হবে তাই।
তুমিও রেডি হয়ে নেও।
তারা ': জি। ( মনে মনে তাহলে প্রতিশোধ
টাও আগে আগে নেওয়া যাবে। হেহেহে।) ।
মিটিং হবে এক রেস্তোরা তে। সেখানে
গেলাম।
উনারা আসেননি।
স্যার ওডার দিতে গেলেন তার মাঝেই
আমাকে আমার কাজ সারতে হবে। ।
উনি এসে চেয়ারে বসলেন। মিটিং শুরু হল।
১ঘন্টা পর মিটিং শেষ হল। উনারা খুব খুশি
আমাদের প্রজেক্ট এ। উনারা উঠে দাড়িয়ে
হাত বাড়ালেন কিন্তু স্যার উঠতে যেয়েও
পাড়লেন না। অনেক চেস্টা করেও পাড়লেন
না। উঠবেন কি করে আঠা লাগায় দিসি
চেয়ারে । হেহেহে।
শফিক সাহেব : কি হল মেঘ।
মেঘ : আসলে মনে হচ্ছে চেয়ারে আটকিয়ে
গেছি। উঠতে পারছিনা।
শফিক সাহেব : কি। । হেহেহে। সবাই হেসে
উঠল।
সাথে আমিও।
তারা : উনি আমার দিকে এভাবে তাকালেন
যেন চোখ দিয়েই খেয়ে ফেলবেন। হাহ ভাল
হইছে। বেশ হইছে। তারার সাথে পাংগা
তাইনা। বুঝ ঠেলা।
উনারা চলে গেলেন।
উনি তার বডি গার্ড গুলাকে ডাক দিয়ে
কানে কানে কি যেন বললেন।
এক জন গিয়ে ম্যানেজার কে কি যেন বলল।
ম্যানেজার রেস্টুরেন্ট খালি করে দিল।
আরেক জন মনে হচ্ছে জামা কাপড় এর
দোকান তুলে এনেছে।
মেঘ : তারা তুমি চলে যাও। । আমি পরে
আসছি। ( মনে মনে আজ তোমার ব্যবস্থা আমি
ভাল মত করব।)
তারা : জি।
অফিস এ চলে আসলাম।
আজ ভাল শিক্ষা দিয়েছি।
ভাল মজা টের পেয়েছে রাক্ষস। কিন্তু
অফিস টাইম শেষ হয়ে গেল। উনি তো এলেন
না। তাতে আমার কি? আমি বাসায় যাই।
কি ব্যপার দড়জা খুলছেনা কেন কেও?? কি
হল।
বডি গার্ড ¹ - ম্যাম আজ আপনি বাসায় ঢুক্তে
পারবেন না।
তারা : মানে?
ব. গা. ২: স্যার আপনাকে আজ ঘরে ঢুক্তে
দিতে মানা করেছেন। এটা আপনার শাস্তি। ।
তারা : আল্লাহ এটা কন কথা হল। এই খাটাশ,
রাক্ষস, শয়তান এটা কিন্তু ঠিক হচ্ছেনা।
দড়জা খুলুন । তাড়াতাড়ি খুলুন। না হলে কিন্তু
খুব খারাপ হবে। ।
মেঘ : উপরে দাড়িয়ে সব শুন ছিলাম। কিন্তু
কনো কিছুরে কান দিলাম না। কানে
হেডফোন লাগিয়ে গান শুনতে লাগলাম।
তারা : এইভাবে আর কত ক্ষন দারিয়ে থাকা
যায়। বাগানে বসে পড়লাম। হঠাত আকাশ
গর্জে উঠল।
ভয়ে আমার আত্তা কেপে উঠল। আশে পাশে
তাকালাম কেউ নেই। ।
হায় রে রেইন হয়ার র সময় পেলনা। ।
কিন্তু আমিও কম না।যদি ডাকতেও আসে
যাবনা ঘরে। এইখানে বসে থাকব। ।
মেঘ : কখন ঘুমিয়ে পড়েছিলাম জানিনা।
দেখিতো মেয়েটা কি করছে। আল্লাহ বৃষ্টি
কখন শুরু হল। নিচে তাকিয়ে দেখি তারা বসে
আছে বৃষ্টিতে আর কাপছে।
রনি! রনি!
রনি : তারাকে ছাতা টা দেও আর ওকে ঘরে
আসতে বল।
: জি।
রনি : ম্যাম ছাতাটা নিন আর স্যার ঘরে
যেতে বলেছে।
তারা : ছাতাটা নিয়ে ফেলে দিলাম আর
বললাম যাবনা ঘরে বলেদেও।
রনি : স্যার উনি আসবেনা বলেছেন। ।
মেঘ : হুম আমি দেখছি তুমি যাও। ।
তারা! তারা! ঘরে আসো।
তারা : না।
মেঘ : চল। তোমার শাস্তি শেষ। ।
তারা : যাবনা বলেছি তো।
আপনি চলে যান।
মেঘ : দেখো জিদ কম কর।
জর এসে যাবে চলো।
তারা : যাবনা যাবনা যাবনা।
মেঘ : যাবেনা তো। আচ্ছা। কি করে ঘরে
নেওয়া তে হয় আমার জানা আছে। তারাকে
কাধে তুলে নিলাম।
তারা : নামান বলছি।
রাক্ষস, । নামাননননননন
মেঘ : তারাকে রুমে নিয়ে গেলাম। ২ জনেই
ভিজে খারাপ অবস্থা। যেহেতু ভিজা ছিলাম
তাই তারাকে নামাতে যেয়ে নিজেও পড়ে
গেলাম। গিয়ে পড়লাম তারার উপর। ।
তারা : এই এই কি করছেন। ??
মেঘ : শুধু তারার দিকে চেয়ে থাকলাম। অপুর্ব
লাগছে তারাকে।তারার মুখ থেকে চুল গুলা
সরিয়ে দিলাম।
ও লাল হয়ে যাচ্ছে।
তারা অন্য দিকে মুখ ঘুরিয়ে নিল। হাত দিয়ে
আবার মুখটা আমার দিকে ঘুরিয়ে নিলাম।
তারা : কি করছেন??
মেঘ : তোমাকে দেখছি।
তারা : কিহ??
মেঘ : কিছুনা। উঠে গেলাম। আমার ঘরে চলে
গেলাম।
কি করছিলাম আমি এইসব।না না ঠিক না। ।
তারা : চেঞ্জ করে ঘুমিয়ে গেলাম। ।
সকালে ------
তারা : কফি নিয়ে উনার রুমে গেলাম। না
হলে আবার কথা শুনাবেন। স্যার কথায়
আপনি।
জিম করতে বলে যান নি তো।
যাই ওইখান এ দিয়ে আসি।
নিন আপনার কফি।
মেঘ : রেখে আমার জামা বের করো। ।
তারা : হুম।
অফিসে :
ইরা : কি ব্যপার তারা। তোমার দেখছি
ঠান্ডা লেগেছে আবার স্যার এর ও। ² জন এক
সাথে বৃষ্টিতে ভিজেছ নাকি? ।
তারা : তোর মাথায় কি সারাদিন এইসব ই
চলে? ? কাজে মন দে।
ইরা : হেহেহে বুঝেছি বুঝেছি। ।
তারা : কি বুঝেছ?
ইরা : সব বুঝেছি।
তারা : হইছে হইছে। চুপ কর।
মেঘ : তারা??
তারা : জি।
মেঘ : এইটা কি??
এই ফাইল এ এত ভুল কেন। তুমি কি চেক করনি
এটা? ? এখন যদি আমি চেক না করতাম
তাহলে কি হত জানো??
অশিক্ষিত নাকি।
তারা : কিন্তু আমি.....
মেঘ : চুপ একদম চুপ।
।এটা ঠিক কর।
তারা : (এইভাবে আমাকে না বললেই
পারতেন। ভুল হতেই পারে মানুষ এর দাড়া)।
এটা উনি একদম ঠিক করলেন না। ।বাসায়
যেয়ে নেই দেখাব মজা। ।
মেঘ : ইরা তারা কই??
ইরা : তারা আগেই চলে গেছে স্যার। ।
মেঘ : ওকে।
বাসায় চলে আসলাম।
চলবে

#বস+বয়ফ্রেন্ড #season2
--- ৪+৫ --
.
রুমে ঢুকতেই আল্লাহ রেএএএ এটা কি হল। পা
পিছলে গেলাম কি করে।
ওমা এখানে তেল কি করে আসল। রনি! রনি!
রনি : স্যার আপনি নিচে কেনও?? উঠুন উঠুন। ।
মেঘ : আমার রুমে কে এসেছিল? ?
রনি : সন্ধায় তারা ম্যাম কে দেখেছিলাম
আপনার রুমে আসতে।
মেঘ : তারাকে ডাকো।
রনি : জি।
ম্যাম ম্যাম।
তারা : হুম বলো।
রনি : স্যার ডেকেছে।
তারা : হাই হাই এবার কি হবে? ? আল্লাহ
আল্লাহ। বাচায় দেও। ।
স্যার এর রুমে গেলাম।
আপনি ডেকেছেন? ?
মেঘ : হুম।
তুমি কি নিজেকে খুব চালাক ভাবো?? তারা
: না না তা কেন হবে।
মেঘ : এই কাজ টা তাহলে করলা কেন?? ।
তারা : কোন কাজ? ?
মেঘ : কিছুই জানোনা? ? ।তারাকে টেনে
নিজের কাছে নিলাম। আমার দিকে
তাকিয়ে বল।
অন্য দিকে মুখ ঘুরাচ্ছ কেন। এই দিকে
তাকাও।
তারা : সরি।
মেঘ : কি বললে। আবার বল।
তারা : সরি।
মেঘ : কানে ধর।
তারা : কি? ?
মেঘ : কানে ধর।
আমি যতক্ষন থামতে না বলব থাম্বেনা । ধর
( ধমক দিয়ে)
তারা: তাড়াতাড়ি কানে ধরলাম ।
মনে মনে হাজার গালি দিলাম
মেঘ : ঠিক আছে যাও এখন।
তারা : দেখে নিব আপনাকে বলেই দৌড়
দিলাম।
মেঘ : এই মেয়ে কে হেন্ডেল করা এত সোজা
না।
আমার থেকেও ৪ গুন ঘাড় তেড়া। ।
তারা: আমাকে কানে ধড়ানো। দেখে নিব।
হুহ।
.
সকালে:
তারা : রুমি রুমি
উনার কফি কই।
রুমি : ম্যাম এইযে নিন।
তারা : যাও তুমি এইখান থেকে। রুমি চলে
গেলে ইচ্ছামত লবন দিয়ে দিলাম কফিতে।
এবার খান কফি।
স্যার আপনার কফি। আর জামা বের করে
রেখেছি রুমে।
কফি রেখে তাড়াতাড়ি অফিস বলে গেলাম
না হলে খবর আছে।
মেঘ : কফি মুখে দিয়ে থু থু
এই মেয়ে আর বদলাল না।
আর পারলাম না।
তারা : উনি অফিস এ এসে আমাকে কিছু
বলিলেন না ব্যপার কি? নাকি কফি খান
নি। ?
কি জানি।
গাড়িতে :
মেঘ : উফফ কি জ্যাম রে বাবা। এইভাবে
থাকলেতো ৩বছর লাগবে বাসায় যেতে। ।
তারা : আহা কি সুন্দর বাতাস হচ্ছে মনে হয়
বৃষ্টি হবে।
মেঘ : তারার দিকে তাকালাম। ওর চুল
বাতাসে ওর মুখে এসে পড়ছে। ।সুন্দর লাগছে।
তারা : এই যে শুনুন জ্যাম ছেড়ে গেছে গাড়ি
ছাড়ুন।
মেঘ : অহ হ্যা।
বাসায় আসতে আসতে বৃষ্টিও শুরু হয়ে গেছে।
মেঘ : তারা রান্না করো।
তারা : মানে রুমি সুমি রান্না করেনি। ।
মেঘ : আজ ওদের ছুটি দিয়েছি। তুমি
প্রতিদিন এত ভাল ভাল রেসিপি কর আমার
কফির সাথে তাই আজ রান্না তুমি করবে।
তারা : ওহ তাই অফিসে কিছু বলেনি। উফফ
এখন কি করি??
মেঘ : তাড়াতাড়ি আর হ্যা আগে কফি দিয়ে
যাও।
তারা : নিজের ফাদে নিজেই পরেছি। এখন
আর কি করার।
উনি বারান্দা তে বসে আছেন। ।
তারা : নিন।
মেঘ : রাখো টেবিল এ।
তারা কফি রাখতে যেয়ে অর চুল বাতাসে
আমার মুখে এসে পড়ল।
আমি তাকালাম
তারার দিকে। তারাও আমার দিকে তাকিয়ে
আছে।
আমি উঠে দাড়ালাম। এগিয়ে গেলাম তারার
দিকে।
তারা : উনার আগানো দেখে আমি পিছিয়ে
যাচ্ছিলাম আর বললাম কি খাবেন আপনি?
কি রান্না করব।
মেঘ : যা রান্না করতে পারো।
তারা : দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেল। উনি
সামনে এসে দাড়ালেন।
কি হয়েছে ওভাবে কি দেখছেন। ।
মেঘ : তারার মুখটা কি মায়াবি লাগছে। চুল
গুলা মুখ থেকে সরিয়ে দিলাম। তারা চোখ
বন্ধ করে আছে।
মুখটা একটু উচু করে ধরলাম। ।
তারা হাত দিয়ে আমার টি শার্ট চেপে ধরল।
তারা : আমার মুখের কাছে উনার নি:শ্বাস
অনুভব করতে পারছি।
উনি আরো কাছে চলে আসছেন। কিন্তু ভয়ে
নড়তেও পারছিনা।
হঠাত উনার ফোন বেজে উঠল। উনি আমাকে
ছেড়ে দিয়ে ফোনে কথা বলতে লাগলেন।
আমি দ্রুত চলে আসলাম। ।
তারা : এটা কি হল??
রাক্ষস টা কি করতে যাচ্ছিল। ??
।মেঘ :
তারা! তারা! খুব ক্ষুদা পেয়েছে খেতে দেও।
তারা : এই নিন।
মেঘ : তুমি রান্না করেছ?
তারা : জি না আমি রান্না পারিনা। অডার্র
দিয়ে এনেছি।
মেঘ ; আহারে তোমার বিয়ে হলে তোমার
জামাইএর কি হবে।
তারা : সেটা আপনাকে ভাবতে হবেনা হুহ। ।
পরের দিন অফিস এ।
মেঘ : ইরা তারা কই।
ইরা : স্টোর রুমে।
ফাইল আনতে গেছে।
মেঘ : গেলাম স্টোর রুমে।
আরে এই মেয়ে মই এ উঠেছে কেন পরে গেলে
হাত পা গুড়া হয়ে যাবে।
তারা নামো তাড়াতাড়ি।
তারা : ও মা এ কি আরে আরে।
মেঘ :এখনি না ধরলে কি হত তোমার?? অন্য
কাওকে বলা যেত না? ?
।।
তারা : আপনার মনে হয় চিন্তা হচ্ছে। ।
মেঘ : ঠাস করে ছেড়ে দিলাম ওকে। ।
তারা : আল্লাহ গো।
এই এই এটা কি করলেন? ?
ভাল হলনা কিন্তু।
মেঘ : বেশ করেছি।
তারা : দেখে নিব আপনাকে।
মেঘ : কি বললে।
তারা ; না কিছুনা।
মেঘ : নেও হাত ধরে উঠো।
তারা : হাত ধরে উঠলাম।
মেঘ : কি হয়েছে এইভাবে হাটছ কেন? ।
তারা : হাটতে আর পারছি কই। আপনি কাজ
টা ঠিক করলেন না।
মেঘ : কোলে তুলে নিলাম তারাকে। ।
স্টোর রুম থেকে বের হলাম।
সবাই দেখি হা করে তাকিয়ে আছে। ।
আরেক জনের মুখে তো মশা অ ঢুকে যাচ্ছে। ।
মেঘ : মুখ বন্ধ কর। আর সবাই কাজ কর। ।
তারা : কথায় নিয়ে যাচ্ছেন।
মেঘ : বাসায় যাচ্ছি।
আজ আর তোমার কাজ করতে হবেনা। আমি
ড্রাইভার কে বলছি ও তোমাকে বাসায়
দিয়ে আসবে।
তারা : (রাক্ষস এর দেখি দয়া মায়া ও আছে)
বাসায় বসে বসে আর ভাল লাগছেনা। কিন্তু
কোমরের ব্যথায় উঠতে ও পারছিনা। ।
রাতে সামান্য কিছু খেয়ে শুয়ে পরলাম। উনি
এখন আসেনি।
রাত ১ টা।
মেঘ : আজ খুব দেরি হয়ে গেল। রুমি! রুমি! ।
রুমি : জি।
মেঘ : তারা কি ঘুমিয়ে গেছে।? ।
রুমি : জি
মেঘ : অকে তুমি যাও।
।তারাকে কি একবার দেখে আসব? ।ঢুকতে
গেলাম কিন্তু দরজা বন্ধ। ।
রাত ৩ টা:
তারা : হঠাত ঘুম ভেংগে গেল। উফফ ঘুম ও আর
আসছেনা।
একটু এফ.বি তে যাই।
ওমা কালকে স্যার এর জন্মদিন! !!! আমি তো
ভুলেই গেছিলাম। যাক ভাল হল
নোটিফিকেশন চেক করে।কমোড় ব্যথাও কমে
গেছে।
সকাল ৭ টা
রুম থেকে বাইরে বেড়িয়ে দেখি সবাই
কাজে লেগে গেছে।
রুমি : ম্যাম এতো সকালে কথায় যাচ্ছেন। ।
তারা : এই তো এইখানেই। তোমরা তোমাদের
কাজ করো।
বলেই বাইরে গেলাম।
এক টা ফুলের দোকান এ গেলাম। খুব সুন্দর
একটা ফুলের তোড়া কিনলাম।
।।
সবাই আমাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানাচ্ছে।
মেঘ : রুমি তারা কই?
রুমি : সকাল সকাল কই যেনো গেল। .
চলবে---
#বস +বয়ফ্রেন্ড #season2
.
--------৫---------
তারা : Happy Birthday to u.
স্যার এর দিকে ফুল এগিয়ে দিলাম।
মেঘ : রুমি তারার থেকে ফুল টা নিয়ে রেখে
দেও। ফোন নিয়ে বাইরে গেলাম।
তারা ( কিহ এতো বড় অপমান) রুমি থাক
তোমাকে নিতে হবেনা।
ছিঁড়ে কুটি কুটি করে ফেলে দিলাম।
রুমে চলে গেলাম।
ইরা কে ফোন দিলাম
ইরা : কিরে তারা।
তারা : রেডি হয়ে বের হো।
শপিং এ যাব।
ইরা : অকে। ভালই হল স্যার এর জন্য উপহার ও
কিনতে পারব।
সুমি : ম্যাম কই যান।
অনেক কাজ বাকি।
কি কি অর্ডার করব। কি কি আনতে হবে
আপনি না বললে তো কিছুই পারবনা।
তারা : যা খুশি কর।
i just don't care.
যার জন্মদিন তাকে যেয়ে বল।
ইরা : এইটা কেমন রে? ?
তারা : যা খুশি কিনতো।
আমাকে কিছু বলবিনা।
ইরা : রেগে আছিস কেন?
তারা : এমনি।
রুমি : স্যার কি কি করব বলে দিন?
মেঘ : কেনও তারা কই। এত দিন তো ও ই সব
করেছে।
রুমি : ম্যাম বাসায় নেই।
কখন আসবেন কিছু বলে যায়নি।
মেঘ : আমি সবাইকে পার্টিতে ডেকেছি আর
ওর কনো খবর নেই।
এতোবার ফোন দিচ্ছি ধরছে না ব্যপার কি??
ইরা : কিরে ফোন টা ধর।
তারা : আরে বাদ দে তো।
ইরা : তারা ৬ টা বেজে গেছে বাসায় চল।
আমি রেডি হয়ে তো তোদের বাসায় যাব।
তারা : আমার না বল স্যার এর।
ইরা : অকে অকে স্যার এর।
তারা : বাসায় গেলাম ওই রাক্ষস টা কে যেন
দেখতে না হয়।
বলতে না বলতে রাক্ষস হাজির।
।হুহ দেখেও না দেখার ভান করে চলে
যাচ্ছিলাম।
মেঘ : তারা শুন।
তারা : ( ভাগ তারা কথা শুনার দরকার নাই)
মেঘ : ( ধমক দিয়ে) তারাহ।
তারা : থেমে গেলাম। আত্তা কেপে গেল।
বলুন।
মেঘ : হাত টা ধরলাম।
আমার ঘরে নিয়ে গেলাম।
তারা : আরে কি করছেন সবাই দেখছে।
হাতে ব্যথা লাগছে। ছাড়ুন।
মেঘ : কথায় ছিলে এতক্ষন
তারা : আপনাকে কেনো বলব।
মেঘ : জোড়ে রাখলাম হাতটা দেওয়ালে।
তারা : ভয়ে চোখ বন্ধ করলাম।
একটু পর খুললাম।
উনি এইভাবে তাকিয়ে আছেন কেন।
মেঘ : তুমি জাননা আজ বাসায় পার্টি?
তারা : তো।
আপনারটা আপনি বুঝুন। আমার কি??
মেঘ : কি বললে তুমি।
তারা : ঠিকি বলেছি।
আপনি অপমান করে যাবেন আর আমি সহ্য
করব? ?
তা হবেনা।
মেঘ : তাই হবে আমার বাসায় থেকে আমার
টা খেয়ে আবার আমার উপর কথা??
তারা : খুব কান্না পাচ্ছিল। কিন্তু কন্ট্রোল
করলাম।
মেঘ : ওর চোখে পানি দেখে কিছু টা হতভম্ব
হয়ে গেলাম।
কথা ঘুরাতে হবে।
সকালে ফুল ছিরে ফেললে কেন?
তারা : ভাল করেছি।
মেঘ :
যাও আমার জামা রেডি কর। এখন যেটা পরব।
তারা : নিন এটা নিন।
মেঘ : আরে কই যাও।
তারা ; এখন কি জামাও পড়িতে দিব।
মেঘ : ভাল কথা বলেছ। আমি তো এটা ভাবি
নি।
টাই আর কোট নেও পড়িয়ে দেও।
তারা : টাই পড়াতে পারিনা।
মেঘ : পারো কি ঘোড়ার ডিম? ?
তারা : দেখুন ....
মেঘ : আমি বলে দিচ্ছি তুমি পড়িয়ে দেও।
তারা : সামনে যেয়ে দাড়ালাম।
লম্বু একটা।
২ পায়ে ভড় দিয়ে দাড়ালাম।
মেঘ : খাটো হলে যা হয়।
তারা : কি বললেন।
মেঘ : কিছুনা।
আমি বলছি। তুমি পড়াও।
তারা : পড়াতে পড়াতে উনার দিকে চোখ
গেল।
উনি দেখি আমার দিকে তাকিয়ে আছে।
কি দেখছেন।
মেঘ : কই কিছুনা।
হঠাত চোখ গেল তারার গলায়।
এখন কামোড় এর দাগ রয়ে গেছে।
কাধের থেকে চুল সরালাম
তারা : কি করছেন কি।
মেঘ : কিছুনা।
কোট পরিয়ে তুমিও রেডি হয়ে নেও
তারা ( হুহ গেলেতো)
।।
মেঘ :কিছু বললে?
তারা : না। নিন হয়ে গেছে। যান নিচে।
রনি: স্যার
সবাই আসতে শুরু করেছে। আপনি চলুন।
মেঘ : তারা জলদি আস তুমিও।
তারা : নিজের রুমে গেলাম।
কানে হেডফোন লাগিয়ে গান শুনতে
থাকলাম। উনি আমার ফুল নেয়নি। আমি নাকি
যাব তার পার্টিতে। এতো খায়না। হুহ।
মেঘ : এত্ক্ষন হয়ে গেল তারা কই।?
কথায় গেছে? ?
রুমি ? সুমি?
সুমি : জি স্যার।
মেঘ : তারা কই? ?
রুমি : ম্যাম কে তো অনেক ক্ষন ধরেই
দেখছিনা।
জানিনা কোথায় গেছে।
মেঘ : আচ্ছা যাও।
শফিক সাহেব : কি খবর মেঘ :: ? তা তারা
কোথায়??
মেঘ : আছে আশে পাশে ই।
কই গেছে মেয়টা। খবর নাই কেন।?
।রনি রনি!?
রনি : বলুন স্যার।
মেঘ : তারা কে দেখেছ?
রনি : না স্যার।
মেঘ : ফোন দিয়ে দেখি কই গেছে।
কিন্তু এইখানে এত আওয়াজ কথা শুনা
যাবেনা।
অই দিকে যাই।
বাড়ির পিছনের দিকে তারা ঘরের জানালা।
জানালাটা খোলা ছিল।
।!
দেখিতো ঘরে আছে কিনা।
ঘরের ভেতরে যেয়ে দেখি তারা ঘুমাচ্ছে।
মেজাজ গেল চরম খারাপ হয়ে।
( চিতকার দিয়ে) তারারারারা
বলেই গ্লাসের পানি দিলাম ওর উপর ঢেলে।
তারা : আল্লাহ গো কি হল।
ছাদ ভেংগে পড়ল নাকি।
উঠে দেখি উনি সামনে।
কি হয়েছে? কি হয়েছে?
।বাসায় ডাকাত পড়ছে নাকি।
মেঘ : তুমি ঘুমাচ্ছ??
।তারা: মনে হয় তা আপনি এখানে কিভাবে
আসলেন? ?
দরজা তো বন্ধ।
মেঘ : তুমি জানোনা বাইরে এক্টা অনুষ্ঠান
হচ্ছে।
তারা : তো আমি কি করব।
আপনার টা আপনি বুঝুন।
মেঘ : তোমার সাহস তো কম না। তুমি মুখে
মুখে তর্ক
করছ??
তারা,: দেখুন আমি অইখানে যাবনা।
সো আপনি যান আর আমাকে ঘুমাতে দিন।
মেঘ : যাবা না? ? তাই তো। ঠিক আছে।
তারা : আরে আরে কি করছেন?
জামা কাপড় এইভাবে বের করে ফেলে
দিচ্ছেন কেনো?
মেঘ : এই নেও এটা পরে বাইরে আস।
তারা : যাব না বলেছি না।
মেঘ : কি করে নিতে হয় আমার জানা আছে।
তুমি চেঞ্জ না করলে আমি কিন্তু করিয়ে
দিব।
৫মিনিট সময় দিলাম। এর মধ্যে যদি বাইরে না
আসো তুলে নিয়ে যাব। বলে দিলাম।
বাইরে চলে আসলাম।
তারা : রাক্ষস, খাটাশ, খারাপ একটা।
রেডি হয়ে বাইরে গেলাম।
ইরা : কিরে কই ছিলি এতক্ষন।
তারা : ঘুমায়।
ইরা: seriously?
.
তারা : হুম।
ইরা : তুই ও পারিস বটে।
স্যার যে খুঁজা খুজছিল।
তারা : ( মনে মনে আমার উপর পানি ঢালা এর
শোধ ত আমি নিয়েই ছাড়ব।)
ইরা তুই থাক। আমি একটু আসছি।
ইরা: ওকে।
তারা : এই ওয়েটার এইখানে আসোতো।
: জি ম্যাম কি লাগবে।
তারা : একটা কাজ করে দিতে হবে এই নেও
১000 টাকা।
আর এইটা নেও। আর অই যে দেখছ কালো
কোর্ট পড়া এক জন।
: উনি তো মেঘ স্যার।
তারা : হুম উনার পায়ের সামনে আস্তে করে
এটা ফেলে আসবা।
আর কিছু করতে হবেনা।
আমার কাজ হয়ে যাবে।
: ম্যাম আপনার মাথা কি খারাপ হয়েছে
উনার বডি গার্ড রা যদি টের পায় আমার ১৪
গুস্টি উদ্ধার করে দিবে।
তারা : কিছু হবেনা। যাও। আরো ১০০০ টাকা
নেও।
ট্রে এর নিচে নিয়ে যাও দেখতে পাড়বেনা।
ওয়েটার : কি মুস্কিল এ পরলাম।
ড্রিংক দেওয়ার বাহানায় কাজ সেরে
আসলাম।
মেঘ : অনেক ক্ষন তো কথা হল। চলুন খেতে
যাই।
সামনে পা বাড়াতেই পা পিছলে পড়লাম
পুলের পানিতে।
( সবাই হেসে উঠল)
রনি : স্যার আপনি ঠিক আছেন তো।
এই সবাই মিলে স্যার কে তোলো।
তারা : বাস আমার উপর পানি ফেলার মজা
টের পাবে এখন।
বেশ হইছে। ভাল হইছে।
রনি : স্যার রুমে চলুন।
রনি : সবাইকে স্যার এর পক্ষ থেকে সরি
জানাচ্ছি। এখন সবাই বাসায় ফিরে গেলে
ভাল হয়।
মেঘ : রনি সবাই চলে গেছে।
রনি : হুম
মেঘ : আমি যেখান থেকে পড়েছি সেখানে
কি ছিল একবার দেখে আসো।
রনি : জি।
কিছুক্ষন পর।
স্যার অইখানে হাত দিয়ে দেখলাম তেল পরে
আছে।
মেঘ : বুঝেছি। তারার কাজ।
রনি ; কিভাবে উনিতো অইখানে যান ই নি।
মেঘ : বুঝবানা তুমি।
অই মেয়ের অনেক বুদ্ধি।
ওকে ডাক দেও।
রনি ; জি।
তারা : ঘরে আনন্দে লাফালাফি করছিলাম।
রনি : ম্যাম। স্যার ডেকেছে।
তারা : কিছু টের পান নি তো।
কিন্তু কিভাবে পাবে আমি তো সামনে
যাইনি।
যাই দেখি কি বলে।
তারা : রুমে ঢুকলাম আরে স্যার কই??
দেখলাম উনি ওয়াশ রুম থেকে মাথা মুছতে
মুছতে বের হচ্ছেন।
ছি ছি একটা গেঞ্জি ও পড়ে নাই। ঘুরে
দাড়ালাম।
মেঘ : খুব মজা হচ্ছে তাইনা?
তারা : মজা? ? কিসের? ? আর কেনই বা
হবে? ?
মেঘ : তুমি নিজেকে খুব চালাক ভাব তাইনা।
তুমি চল ডালে ডালে আমি চলি পাতায়
পাতায়।
তুমি কি ভাব তারা আমি কিছুই বুঝিনা। তুমি
কেনো এটা করলে সেটাও আমি জানি।
তোমার উপর পানি দিয়েছি তাই এটা করলে।
কিন্তু এটআ করে তুমি অনেক বড় ভুল করেছ
তারা!
তারা : আপনি ভুল------
মেঘ : আমি ভুল ভাবছি তাইতো।
ওয়েটার টাকে ডাকলে সব ভুল দুর হয়ে যাবে।
দাড়াও ডাকি।
তারা : ok ok I'm sorry.
আমি ভুল করে ফেলেছি। আর হবেনা ( মাথা
নিচু করে)
মেঘ ; তারার মুখ উচু করে আজকের ভুলের
কোনো মাফ নেই।
বলে ওর গা থেকে ওড়না ফেলে দিয়ে ওকে
বিছানায় ফেলে দিলাম।
তারা : কি করছেন। ভাল হচ্ছেনা কিন্তু।
এটা কিন্তু ঠিক না।
দেখুন ঠিক করছেন না কিন্তু।
মেঘ : ওর হাত ২ টা বিছানায় আমার হাত
দিয়ে শক্ত করে ধরলাম।
তারা : ছাড়ুন আমাকে।
আমি বলেছি তো আমার ভুল হয়েছে।sorry.
.
মেঘ : ( আসলে আমার উদ্দেশ শুধু ওকে ভয়
দেখান। আর কিছু নয়।)
যাতে এমন কাজ আর না করে।
তারার চোখে পানি দেখে ওকে ছেড়ে
দিলাম।
তারা : দৌড়ে চলে আসলাম।
রুমের দরজা বন্ধ করে দিলাম।

----------৬-------
সকালে
:মেঘ: রুমি তারা কই?? দেখছিনা তো।
১০ টা বাজতে গেল।
রুমি : ম্যাম যে সকালে বের হল আর আসেনি।
মেঘ : অকে।
তারাকে ফোন দেওয়ার জন্য ফোন হাতে
নিতেই দেখি তারা।
তারা : উনার দিকে একবার তাকালাম।
পরে চোখ সরিয়ে নিজের ঘরে যাচ্ছিলাম।
মেঘ : তারার হাত ধরে - কোথায় ছিলে
এতক্ষন।
তারা : ছাড়ুন আমাকে বলে হাত ছাড়িয়ে ,
হাটতে গিয়েছিলাম।
মেঘ : তারা কে ঘুরিয়ে দাড় করালাম কিছু
বলতে চেয়েছিলাম কিন্তু বলতে পারলাম্না।
চোখ,মুখ দেখে বুঝা যাচ্ছে অনেক কেঁদেছে
তাই ছেড়ে দিলাম।
মেঘ : তারা কোথায় যাচ্ছ?
তারা: অফিসে।
মেঘ : একা কেনো যাচ্ছ। আমিও তো যাব।
তারা : আমি একাই যেতে পারব। বলে চলে
আসলাম
মেঘ : কালকে বেশি বেশি করে ফেলিনিত।
অফিসে:
ইরা: কিরে ঘুমাস নি? ??
তারা : নাহ রাতে ঘুম হয়নি।
মেঘ : প্রায় ১ সপ্তাহ কেটে গেল। তারা
আগের মত তেমন হাসেও না দরকার ছাড়া
কথাও বলেনা।
ঠিক মত রুমে কফি দিয়ে যায়,জামা বের করে
রেখে যায় আমি টের অ পাইনা। ও কখন এসে
কাজ করে যায়।
আবার আমি উঠার আগেই অফিস এও চলে
আসে।
চঞ্চল তা নেই বললেই চলে।
এটাই আমি চেয়েছিলাম।
কিন্তু কেনো যানি আমার ভাল লাগছেনা।
তারার উদাসীন চেহারাটা আমার ভাল
লাগছেনা।
আমি ওর হাসিটা দেখার জন্য পাগল হয়ে
যাচ্ছি।
ওর চঞ্চলতা দেখার জন্য বেকুল হয়ে উঠছি।
কেনো এমন হচ্ছে আমার।?? কেনো।??
তারা আমার সাথে এখন অফিস এও যায়না
আবার আসেওনা।
ওর এই দুরত্ব রাখাটা আমার সহ্য হচ্ছেনা।
নাহ কিছু একটা করতে হবে।
এইটা সহ্য করা যাবেনা।
মেঘ : তারা।
তারা : ( মাথা নিচু করে) জি
মেঘ : (এখন আমার দিকে তাকানোও বন্ধ
করে দিলে তুমি < মনে মনে>)
চল বাসায়।
ততারা ' আপনি যান আমি পরে আসব।
মেঘ : তারার হাত ধরে - পরে না এখনি চল।
গাড়িতে বসালাম।
বাসায়:
মেঘ : তারা কি হয়েছে তোমার??
তারা : কি হবে?
মেঘ : না মানে বলার আগেই কাজ এখন সব
হয়ে যাচ্ছে তাই বললাম।
তারা : এটাই তো চেয়েছিলেন।
।বলে রুমে চলে গেলাম
মেঘ : কথা তো এটাই।
আমি চেয়েছিলাম এটাই কিন্তু এখন এটাই
মানতে পারছিনা।
সকালে :
তারা : ইয়াক থু কিরে?? রুমি এটা কি
দিয়েছিস।
চিনির বদলে লবন কেন??
মেঘ : ও না আমি দিয়েছি। হাত দিয়ে ইশারা
দিলাম রুমিকে চলে যেতে।
তারা : কেনো।
মেঘ : তুমি এত এক্সপেরিমেন্ট করেছ আমার
কফির সাথে তাই ভাবলাম আমিও করি।
তারা : অহ আচ্ছা। ঠিক আছে।চলে
যাচ্ছিলাম।
মেঘ : হাত টা ধরে - এর বদলা কিভাবে নিবে।
তারা : আপনারটা খেয়ে আপনারটা পরে
আপনার উপর আবার কিসের বদলা? ??
হাত ছাড়িয়ে চলে গেলাম।
মেঘ : কথাটা যেন তিরের মত কলিজা তে
যেয়ে লাগল।
তারাকে খুব কষ্ট দিয়ে ফেলেছি।
আর ওর কস্টে ওর থেলে মনে হয় আমি বেশি
কস্ট পাচ্ছি।
খুব অভিমান করেছে মেয়েটা। এটা আমার
সহ্য হচ্ছেনা।
ওর মান ভাংতেই হবে।
।।
মেঘ : হুম একটা গিফট কিনে sorry বলে
দিলেই হবে।
তাতে যদি রাগ কমে।
মেয়েদের জন্য কখন কিছু কিনিনি।
কি কিনব বুঝতেও তো পারছিনা।
এর থেকে ভাল online এ কিছু অর্ডার করে
দেই।
.বাহ এই শাড়ি টা ভাল। কালো রং আমার
এম্নিতেই পছন্দ।
সকালেই দিয়ে যাবে ১০ টার সময়।
সকালে-
মেঘ :
তারা চলে গেছে। আমি জানতাম চলে যাবে।
সময় মত শাড়ি চলে এসেছে।
আমি বক্স এর উপর সুন্দর করে sorry
লিখে অর রুমে রেখে এলাম।
অফিস:
তারা: ইরা তোর কাজ শেষ। চল আজ বাইরে
খাব।
ইরা: হ্যা চ----
।স্যার এর দিকে চোখ পড়ল।
উনি হাত দিয়ে মানা করলেন।
ব্যপার খানা কি হল।
না মানে তারা আজ আমার কাজ আছে।
আজ না কাল যাব।
তারা : হুম।
মেঘ : তারা চল।
তারা : আমি একা যেতে পারব।
মেঘ : না তুমি আমার সাথে যাবে।
বাসায় :
তারা : রুমে গেলাম।
কিরে বিছানায় অইটা কি? ?
"sorry' এটা আবার কে দিল।
রুমি! ? এইটা কে এইখানে রেখছে।
রুমি : স্যার।
তারা : বারান্দা দিয়ে ফেলে দিলাম।
মেঘ : কিরে এটা এইখানে আসল কি করে? ?
তারা তারা! ?
তারা : আবার ডাকে কেন?
।যাবনা।
মেঘ : তারার ঘরে গেলাম।
এটা ফেলে দিছ কেন
তোমার পছন্দ হয়নি?
তারা : আমার এইসবের দরকার নেই।
আর আপনার থেকে তো না ই।
মেঘ : কিছু বললাম না। জানি আরো রেগে
যাবে।
কি করা যায় বুঝতে পারছিনা।
এত রাগ করেছে।
কি করা যায়।?.
অর রাগ ভাংতে হলে অকে আমার
কাছাকাছি রাখতে হবে।।কিন্তু কিভাবে??.
দুরে দুরে ভাগছে । কি করব।
আগে রুমি সুমি কে কয়েক দিনের জন্য ছুটি
দিতে হবে।
তারপর তারার ব্যবস্থা।।
।।
কয়েক দিন অসুস্থতার ভান করে বাসায়
থাকতে হবে আর তারাকেও রাখতে হবে।
পেয়েছি। সকালে
কিছু একটা ব্যবস্থা করতে হবে।
সকালে-
মেঘ : তারস ঘুম থেকে উঠার আগেই রুমি সুমি
কে ভাগাতে হবে।
রুমি সুমি যাও তোমাদের ছুটি। আমি ফোন না
করা পর্যন্ত আসবানা।
আমি ফোন করে জানাব কবে আসবা। আর এই
ধর এই মাসের টাকা আরো এক্সট্রা আছে।
যাও যাও ভাগ।
তারা : কিরে বাসা খালি খালি লাগছে
কেন??
সবাই কই??
রুমি! ? সুমি! ?
আরে কিসের আওয়াজ হল ।
আরে আরে আপনি পরলেন কিভাবে।
রনি রনি! ?
স্যার কে তোলো।
মেঘ : (অভিনয় করে পরার পরও হাত পা অনেক
কেটেছে। কিন্তু ব্যথা পাইনি তেমন।)
তারা : রনি ডাক্তার কে ফোন দেও।
মেঘ : তারা খুব সুন্দর করে হাত পায়ের কাটা
স্থান পরিস্কার করে বেন্ডেজ করে দিচ্ছে।
তারার হাতটা ধরলাম।
তারা- কাজ করতে দিন।
মেঘ-তারার মুখটা উচু করলাম।
চোখ নিচের দিকে নামিয়ে আছে।
আমি ওর হাতের দিকে তাকালাম অইদিন এত
জোরে ধরেছিলাম যে দাগ হয়ে গেছে।
হাতে দাগের জায়গা তে ১টা চুমু দিলাম।
তারা হাত সরিয়ে নিল।
পর্ব--৭+৮
--৭--
মেঘ : তারার হাতটা আবার ধরে নিজের গালের সাথে ধরে রাখলাম।
চোখ বন্ধ করে থাকলাম।
তারা: অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি।
মেঘ: খুব ব্যথা পেয়েছ তাইনা। দাগের স্থানে আরো কয়েক্টা চুমু দিলাম।।
ডাক্তার এল।
এখন কিছু করে তারাকে সরাতে হবে নাহলে
সমস্যা।
তারা আংকেল এর জন্য কিছু আনো।
তারা : জি।
মেঘ : ইনি আমাদের ফ্যামিলি ডাক্তার।
আংকেল আংকেল আপনাকে একটা কাজ
করতে হবে।
ডাক্তার : কি মেঘ।
মেঘ : সব বুঝিয়ে দিলাম।
তারা : আংকেল নিন।
ডাক্তার : তারা মেঘ এর পায়ের অবস্থা তো
তেমন ভালনা।
অনেক দিন রেস্ট এ থাকতে হবে ওর।
আমি ওষধ লিখে দিলাম রনি এনে দেও।
তারা ওর একটু খেয়াল রেখ।
আসি আমি।
তারা : আমি রুমি কে বলে যাচ্ছি আপনার
ভাল খেয়াল রাখবে।
মেঘ : রুমি সুমি নেই।
ওরা ছুটি নিয়েছে।
তারা : কবে কখন।
মেঘ : সকালে।
তারা : রনি উনার জন্য নার্স এর ব্যবস্থা কর।
মেঘ : না নার্স না ।
তারা : ত কে খেয়াল রাখবে আপনার।
মেঘ : কেন তুমি।
তারা : জি না। আর তাছাড়া অফিস এর
কাজের কি হবে।
মেঘ : অইটা আমি দেখে নিব।
আর তাছাড়া বাবা আমার দায়িত্ব তোমাকে
দিয়ে গেছে। সো তুমিই আমাকে দেখবে।
তারা : ( উফফ কি মুসকিল।উনার থেকে দুরে
থাকতে চাই কিন্তু ........ উফফ)
মেঘ : (জানি মনে মনে গালি দিচ্ছ। কিন্তু
তোমার কিছুই করার নেই।
এখন কই যাবা তুমি তারা। )
তারা : ড্রেস চেঞ্জ করে উনাকে দেখতে
গেলাম।
দেখি হেডফোন কানে লাগিয়ে গান শুনছে।
এই নাকি উনি পরে গিয়ে হাত পা ভেংগে
ছে।
দেখেতো মনে হয়না।
তারা :কানের হেডফোন সরিয়ে- শুনুন। কি
খাবেন।
মেঘ : বিরিয়ানি।
তারা : কিহ। আমি রান্না করতে পারিনা।
মেঘ ; আমি কি জানি।
ব্যবস্থা তুমি কর।
তারা : ( কবে যেন আমি এরে গুলি করে
মারি। ) ঢং।
মেঘ : এই এই কি বললা।
তারা : কিছুনা। বলেই চলে আসলাম।
মেঘ : তোমাকে কাছে রাখার জন্য যে কি
কি করতে হচ্ছে আমার তারা।
আল্লাহ কবে এর মান ভাংবে। আর কবে আমি
শান্তি পাব।
তারা : এই নিন।
ধরুন।
মেঘ : আরে এত তাড়াতাড়ি কিভাবে রান্না
করলা?
তারা : হুহ রান্না। অর্ডার? দিয়ে এনেছি।
মেঘ : রাখ।
তারা : আপনি হা করে আছেন কেনো।
মেঘ : তো তুমি খাইয়ে দিবানা? ?
তারা : ভাংল পা। হাতে কি সমস্যা? ?
।মেঘ : তোমার কাজ আমার কথা শুনা।
আমি বলছি তাই দেও।
তারা : ( আল্লাহ দরি ফালাও এনাকে উঠায়
দি।)
নিন খান।
মেঘ :আরে আরে কি কিরলে এটা তুমি? তুমি
অন্য দিকে তাকিয়ে খাওয়ালে তো এটাই
হবে।
তারা : sorry sorry.
আমি মুছে দিচ্ছি।
মেঘ : আমার গেঞ্জি চেঞ্জ করে দেও।
তারা : কিহ।
মেঘ : জিহ।( হেহেহে। তারা এবার কই যাবা)
তারা রাগে গজ গজ করছে।
তারা : নিন ধরুন।
মেঘ : চেঞ্জ করে নিলাম।
তুমি খেয়েছ।
তারা : ওটা আপনাকে ভাবতে হবেনা। হুহ।
মেঘ : হায় রে। একে বাগে আনা সজা হবেনা।
তারা : ২ দিন তো গেল।
। আর কত।
এতো বাইরের খাবার খেলে তো উনার সাথে
সাথে আমিও অসুস্থ হয়ে যাব।
আর উনার জালায় তো আমি এমনিতেও অসুস্থ
হয়ে গেছি।
আল্লাহ।
নাহ অন্য কিছু করতে হবে।
মেঘ : তারা? ?তারা? ?
তারা : নিন আপনার জুস।
মেঘ : দেরি হল কেন।
তারা : কিছু বললাম না।
চলে আসলাম।
রান্না তো জিবনে করিনাই। তারপর ও
চেস্টা করি youtube দেখে।
অরে কিসের মধ্যে কি দিচ্ছেরে কিছুই তো
বুঝিনা।
.
মুরগি রান্নার ভিডিও ছেড়ে সামনে
রাখলাম।
হুম এখন রান্না শুরু করি।
আস্তে আস্তে দেখে দেখে রান্না করছিলাম
হঠাত কাধে কার নি:শ্বাস অনুভব হল।
কে কে?
মেঘ : আরে আমি ভয় পাচ্ছ কেন??
তারা : তা আপনি আমার কাধে মুখ রেখে কি
করেন।
মেঘ : জরিয়ে ধরতে চাইছিলাম কিন্তু তুমি
দিলে আর কই?
তারা : কি..... কি। ।.... কি বললেন আপনি।
মেঘ : আরে মেয়ে কি রান্না করছ সেটা
দেখতে আসছিলাম।
তারা : তা আপনার পায়ের ব্যথা কমেছে।
মেঘ ( খাইছেরে) না মানে সামান্য কিন্তু
এখন অনেক ব্যথা।
তারা : ব্যথা নিয়া নামছেন কেন।
মেঘ : খুব খুদা লাগছে। কি করব।
তারা : না মানে ইয়ে আপনি আরেক্টু বসুন
আমি এখনি দিচ্ছি।
মেঘ : ঠিক আছে আমি এইখানেই বসি।
তারা ; আরে আরে এইখানে কেন।
মেঘ : সমস্যা নেই।
তুমি রান্না কর আমি দেখি।
তারা রান্না করছিল। আমি দেখছিলাম।
বড্ড ভালবেসে ফেলেছি ওকে।
নিজের অজান্তেই।
তারাকে কেমন জানি আমার বউ বউ
লাগছিল।
হেহেহে।
তারা : হাসছেন কেন।
মেঘ : না ইয়ে। এমনি।
তারা ( বুঝতে পেরেছি আমার রান্না দেখে।
হুহ)
মেঘ ; বাতাসে তারার সামনের ছোট ছোট চুল
গুলা মুখে এসে পরছিল।
আমি উঠে গিয়ে তারাকে নিজের দিকে
ঘুরালাম।
তারা : কি হয়েছে।
মেঘ : চুল গুলা সরিয়ে দিচ্ছিলাম।
তারা : আমার হার্টবিট বেড়ে যাচ্ছে কেন??
মেঘ : তারা দেখলাম লাল হয়ে যাচ্ছে। ঘন ঘন
নি:শ্বাস নিচ্ছে।
চোখ বন্ধ করে আছে।
। আমি ওর কপালে আলতো করে চুমু দিলাম।
তারা কেপে উঠে আমার গেঞ্জি আঁকড়ে
ধরল।
ও আল্লাহ।
তারা : কি হল কি হল।
মেঘ : অই মেয়ে কত বড় নখ রাখছ??
তারা যেভাবে তাকাল আমার দিকে।
দুর রোমান্টিক সময় টার ১৩,১৬,১৭ বাজায়
দিলাম।
তারা : তারা আপনি একটা ........
হাত মুঠ করে দিলাম একটা ঘুসি।
আরেক্টা দিতে যাব
মেঘ : তখনি ওর হাত ধরে অর পিঠের সাথে
লাগিয়ে ধরে নিজের দিকে সাথে জরিয়ে
ধরলাম।
তারা : কি করছেন ছাড়ুন।
মেঘ : ছাড়বনা।
তারা : ভাল হচ্ছেনা কিন্তু।
মেঘ : কি করবা।
তারা : কি করব দেখবেন?
মেঘ : (এইতো তারার আগের রুপ ফিরে
আসছে। এটাই তো চাই।)
দেখাও।
তারা : ছাড়ুন না।
মেঘ : আরো শক্ত করে তারাকে ধরে আছি।
তুমি কি আমার সাথে গায়ের জোড়ে
পারবে? ??
.
চলবে---
#বস+বয়ফ্রেন্ড
তারা: আপনি কি চান বলুন তো।
মেঘ : কি চাই?? হুম ভাল প্রশ্ন।
মিষ্টি।
তারা : আপনি ফাইযলামি করেন আমার
সাথে? ?
ইহকালে আপনি মিষ্টি খাইছেন বলে আমার
মনে হয়না।
মেঘ : আজ ট্রাই করব।
তারা : বাসায় নাই।
বাইরে থেকে আনতে হবে।
মেঘ : কি বলে মিষ্টি তো আমার কাছেই।
তারা : কিহ কই?
মেঘ : হাত দিয়ে তারার মুখটা একটু উচু করে
ধরলাম।
আমার মুখটা ওর একটু কাছে নিতেই
তারা : আল্লাহ ( চিতকার দিয়ে)
মেঘ : what? what?
.
ততারা : আমার মুরগি।
এএএএএএএএএ।
এখনি তো পুরে যাচ্ছিল।
মেঘ : এই মুরগির!!!
চলে এসে টেবিল এ বসলাম।
সালার মুরগির কথা মনে করার র টাইম
পেলনা।
তারা : নিন শুরু করুন।
মেঘ : খাবার দেখে খাওয়ার শাধ মিটে
গেছে।তারা খাবার সার্ভ
করে দিল।
তারার দিকে তাকালাম ও অনেক আগ্রহ
নিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।
আমি একবার মুখে দিলাম ( জেলেও এর
থেকে ভাল খাবার দেয়)
বাহ তারা খুব ভাল হয়েছে।
তারা মনে হয় কথাটা শুনে খুশি হয় নি।
ও অন্য দিকে তাকাল।
মুখের থেকে আমি খাবার বের করে কই
ফেলব খুজে পাচ্ছিনা।
টিস্যু তে রাখলাম।
তারার দিকে তাকালাম দেখলাম ও অন্য
দিকে তাকিয়ে মিটমিট করে হাসছে। যাক
অনেক দিন পর সেই মন কাড়া হাসি দেখলাম।
তারা আমার দিকে তাকাল।
আমি সাথে সাথে আরেকবার মুখে দিতে
নিচ্ছিলাম।
তারা : হাত দিয়ে তাকে আটকালাম।
থাক আর খেতে হবেনা।
বুঝেছি।
আমি খাবার অর্ডার করছি। আপনি হাত ধুয়ে
আসুন।
মেঘ : না আমি এটা খেতে পারব।
তারা : আপনি পারবেন আমি পারবনা।
আপনি যান তো।
মেঘ : যাক অনেক দিন পর তারা আমার সাথে
স্বাভাবিক ভাবে কথা বলল।
আমার খুব ভাল লাগছে।
এইভাবে আরো ২ টো দিন কেটে গেল।
মেঘ : তারাকে বলে আসি কাল কে থেকে
আমরা অফিস যাব।
রুমে ঢুকে দেখি তারা ঘুমিয়ে আছে।
কি মায়াবী লাগছে তারাকে।
জানালা দিয়ে বাতাস আসছে।
তাতে তারার চুল মুখে এসে পরছে।
অন্ধকারে চাঁদের আলোতে তারার চেহারা
আরো মায়াবি করে তুলছে।
আমি সামনে যেয়ে তারার পাশে বসে বসে
তারাকে দেখছি।
এই মেয়েটা কে কত কস্ট দিয়েছি।
মুখ বুজে সহ্য করে গেছে।
তারা একটু নড়ে উঠল।
ওপাশ ফিরে শুল।
হাতটা ধরে একটু দেখলাম দাগ টা হালকা
মিলিয়েছে।
তারার গালে একটা চুমু দিয়ে চলে
আসছিলাম। হঠাত হাতে টান অনুভব করলাম।
পিছনে চেয়ে দেখি তারা ঘুমের মধ্যে আমার
হাত ধরে আছে।
আমি আবার যেয়ে ওর খাটের পাশে নিচে
বসলাম।
কখন ঘুমিয়ে গেলাম নিজেও জানিনা।
সকালে-
তারা : ঘুম থেকে উঠে দেখি উনি খাটের
পাশে বসে খাটে হাতের উপ্প্র মাথা রেখে
ঘুমাচ্ছেন।
এই শুনছেনন ।
উঠুন। উঠুন।
আপনি এইখানে কেন? ?
মেঘ : চোখ ডলতে ডলতে
আমার কফি কই তারারারা----
তারা : উফফ চিল্লাচ্ছেন কেন।
মেঘ : (আমিতো ভুলেই গেছিলাম আমি ওর
ঘরে।)
তারা : আপনি এইখানে কেন? ?
মেঘ : ইয়ে মানে কি জানি মনে নাই।
বলে দিলাম দৌড়।
।তারা : এটা কি হল।
আজব তো।
ফ্রেশ হয়ে উনার রুমে গেলাম।
কি ব্যপার আপনি রেডি হচ্ছেন কেন?
মেঘ : তুমি রেডি হয়ে নেও আমরা অফিস এ
যাব।
তারা : আপনার পায়ের ব্যথা।
মেঘ : ব্যথা নাই।
তুমি চল।
তারা : আচ্ছে।
মেঘ : শুন?
তারা : হুম।
মেঘ : টাই টা বেধে দিয়ে যাও প্লিজ।
তারা : ( বাপের জন্মে কাওকে কন দিন
প্লিজ বলে নাই। আর আজ প্লিজ বলছে। হইছে
কি উনার) ঠিক আছে।
তারা : টাই বেধে দিচ্ছিলাম।
মেঘ : ওকে তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছিলাম।
মানুষ এত সুন্দর হয় কিভাবে ভাবছিলাম।
ততারা : নিন হয়ে গেছে।
মেঘ : তারার হাত টা নিয়ে একটা চুমু দিয়ে
নিচে চলে আসলাম।
তারা : ওমা এটা কি হল।
উনার এই হঠাত পরিবর্তন আমার বোধগম্য
হচ্ছেনা।
নিজের হাতের দিকে একবার তাকালাম।
পরে নিচে আসলাম।
উনি গাড়িতে বসে আছেন।
আমি গাড়ির কাছে আসতেই উনি বলল।
মেঘ : দাড়াও।
তারা : কেন।
মেঘ : গাড়ি থেকে নেমে গাড়ির দরজা টা
খুলে অকে বললাম বস।
ও বসল।
আমি দরজা লাগিয়ে দিলাম।
তারা : উনার এমন ব্যবহার এ আমি অবাক হয়ে
যাচ্ছি।
উনার হয়েছে কি।
ইরা : কিরে এত দিন পর।
স্যার এখন কেমন আছে।
তারা : হুম ভাল।
মেঘ : এতক্ষন হয়ে গেল তারাকে দেখতে
পাচ্ছিনা।
কেমন জানি লাগছে।
উফফ মেয়েটা একবার আমার খোজ অ নিতে
আসবেনা??
মেঘ : তারা? আমার কেবিন এ আসতো।
তারা : জি।
মেঘ : এই ফাইল টা দেখতো।
কি কি ভুল আছে
তারা : দেখছি।
মেঘ : এইখানেই বসে দেখ।
তারা : আচ্ছে।
ফাইল দেখতে দেখতে উনার দিকে চোখ
গেল।
কিরে উনি আমাকে দেখছেন কেন? ?
মেঘ : তারার চোখে চোখ পরতেই ফোন এর
দিকে চোখ দিলাম।
উঠে দাড়ালাম।
তারা মনোযোগ দিয়ে কাজ করছে।
আমি অর কাধে আমার মুখটা রাখলাম।
তারা : ভয় পেয়ে গেলাম।
মেঘ : উহু তারা এইটা এমন হবেনা। ঠিক করো।
তারা : উনি ওইভাবেই আছেন।
আমার তো হার্টবিট ১০০ গুন বেড়ে গেছে।
উনি এইভাবে থাকলে কাজে আর ভুল হবে।
আপনি এইভাবে আছেন কেন। সরুন।
মেঘ : না আমি এইভাবেই থাকব।
আর তোমার কাজ দেখব।
তারা : অসহ্য।
মেঘ : কি বললা।
তারা : না কিছুনা।
এই নিন। কাজ শেষ।
মেঘ : আচ্ছা যাও।
দুপুর:
মেঘ : চল তারা।
তারা : কোথায়?
মেঘ : চলতো।
গেলেই দেখবা।
তারা : রেস্টুরেন্ট এর সামনে গাড়ি থামল।
এইখানে কি হবে।
মেঘ : সকালে তুমিও আর আমিও কেউ খাইনি।
ক্ষুদা লেগেছে। চল।
তারা : উনি খাবার অর্ডার দিচ্ছিলেন।
কে যেন তারা বলে ডাক দিল।
চলবে

--------৯---------
তারা : আরে তুই সিয়াম না? ?
সিয়াম : চিনতে পেড়েছিস তাহলে।
তারা : হুম।
কেমন আছিস।
সিয়াম : উনি কে?
তারা : আমার স্যার।
চল অইখানে যেয়ে কথা বলি।
আপনি খেয়ে নিন।
আমি ওর সাথে খাব।
কি খাওয়াবি তো।
সিয়াম : তা আর বলতে।আসি mr.
.
মেঘ : মেঘ।
সিয়াম : আমি সিয়াম nice to meet you. bye.
।।
মেঘ : এটা কি হল।
এইটা কই থেকে জুটল।
দেখছ এইখানেই আসে কিন্তু আমার সাথে
বসলনা।
দাড়াও দেখাচ্ছি মজা।
ওয়েটার : স্যার কিছু লাগবে? ?
মেঘ : ১০০০ টাকা ধর।
আর অই টেবিল এ বসে আছে নিল শার্ট ।
ও: জি দেখেছি।
মেঘ : কানে কানে শুন।
যাও কাজ টা করলে আর টাকা দিব।
ও: স্যার ম্যাম আপনাদের কিছু লাগবে?
সিয়াম : আর্ডার দে তারা।
তারা ' অর্ডার দিলাম।
ও: খাবার রাখার সময়
সিয়াম : আরে আরে এটা কি করলা।
ও : সরি সরি স্যার। দেখিনি।
তারা : তাড়াতাড়ি যা। পরিস্কার করে আয়।
মেঘ : বাস কাজ শেষ।
নেও বাকি টাকা।
তারার কাছে গেলাম।
তারা চল।
তারা
: কেন? ? স্যার আমি পরে আসি।
মেঘ : না এখনি যাবা। হাত ধরে নিয়ে চলে
আসলাম।
সিয়াম : আরে তারা কই??.
ও : ম্যাম তো বলে গেছে।
সিয়াম : না বলে চলে গেল।
তারা : মন খারাপ করে বসে আছি।
মেঘ : তারা
কালকে একটা মিটিং আছে। অইটার ফাইল
রেডি করেছ।
কিরে কথা কি শুনছে।
দিলাম ঝাকি।
তারা : কি কি??
কালকে মিটিং এর ফাইল রেডি? ?
তারা : স্যার মিটিং দিন পিছিয়েছে।আমি
কাল্কে রেডি করে দিব।
মেঘ : ও আচ্ছা।ফাইল নিয়ে বাসায় আসো।
আমি দেখিয়ে দিব।
তারা : হুম।
তারা : বাসায় যেয়ে দেখি সুমি রুমি
এসেছে।
কিরে তোরা কখন আসলি? ?
রুমি : দুপরে।
খাবার রেডি আপনি আর স্যার আসুন।
রাতের খাবার শেষ -
মেঘ : তারা ফাইল নিয়ে উপরে আসো।
তারা : ফাইল নিয়ে উপরে গেলাম।
উনি বারান্দা তে ছিলেন।
তারা : স্যার ফাইল।
মেঘ : এইখানে বসো।
তারা : দুরত্ব রেখে বসলাম।
।উনি ল্যাপটপ এ কাজ করছিলেন।
তারা : আমি ফাইল এ কাজ কিরছি আর কলম
মুখে দিয়ে আছি।
মেঘ : তারার দিকে তাকালাম।
কলম মুখে দিয়ে বসে আছে।
তারা কন সমস্যা? ?
তারা : হুম। স্যার এইখানে।
মেঘ : দেখি। ওর এসেবারে কাছে সরে
গেলাম।
তারা : (ও মা এত কাছে এসে বসেছেন কেন)
মেঘ : তারার প্রতিটা নি:শ্বাস আমি শুনতে
পাচ্ছিলাম।
মেঘ : তারার মুখ থেকে কলম টা নিয়ে ওকে
বুঝিয়ে দিচ্ছিলাম।
তারা : উনার দিকে একবার চাইলাম।
উনি তো এমন ছিলেন না। হঠাত কি হল।
মেঘ : তারার দিকে চাইতেই তারা চোখ
সরিয়ে নিল।
আমি তারার পাশে বসে ছিলাম । তারা কাজ
করছিল।
তারার কাধে মাথা রেখলাম।
ও কেপে উঠল বুঝতে পারলাম কিন্তু কিছু
বললনা।
মেঘ : তারা? ?
তারা : হুম।
মেঘ : কাজ শেষ।
তারা : হুম।
মেঘ : এইভাবেই বসে থাকবা নাকি রুমে
যাবা।
তারা : জলদি উঠে বললাম আমি রুমে যাব।
মেঘ : ওকে দেখে যে হাসি পাচ্ছিল। তাও চুপ
করে থাকলাম।
দরজার সামনে যেয়ে দারালাম। বললাম
যাও।
তারা : কিভাবে যাব অইখানে দাড়িয়ে
থাকলে।
মেঘ : আমি কি জানি?.
তারা : একবার এইপাশ একবার অইপাশ কিন্তু
যাওয়ার জায়গা কই?.
মেঘ : যেতে হলে ট্যাক্স দেও।
।তারা : ট্যাক্স??
মেঘ : হুম।
তারা : মুখ ভাড় করে। কিছু নাই আমার কাছে।
মেঘ : আছে।
তারা : কি আছে।
মেঘ : নিয়ে নিব।
তারা : কি নিবেন।
মেঘ : তারার কোমড়ে হাত রেখে নিজের
কাছে টেনে নিলাম।
তারা : কি কিরছেন।
মেঘ : ট্যাক্স নিচ্ছি।
তারা : ওমা উনি উনার মুখ আগায় কেন? ?.
আস্তাগফিরুল্লা, নাউযুবিল্লাহ।
ভয়ে চোখ বন্ধ করে ফেললাম।
মেঘ : তারার হাত টা নিয়ে একটা চুমু দিলাম।
আর তাএয়াকে ছেড়ে দিলাম যাও তারা।
তারা এক দৌড়।
হেহেহে।
লজ্জা পাইছে।
তারা : একেবারে রুমে চলে এসে দরজা
লাগিয়ে বুকে হাত দিয়ে দরজার সাথে
লেগে দাড়িয়ে থাকলাম।
এইসব কি হচ্ছে।
উনার এমন দিক তো আমার জানা ছিল না।
মেঘ : তারা আমি বাইরে যাচ্ছি।
আসতে দেরি হতে পারে।
।তারা : ইহকালে কনোদিন কিছু বলেনি আর
আজ আমাকে বলে বাইরে যাচ্ছে।
মাথার তার ছিড়ে গেছে নাকি সিঁড়ি থেকে
পরে।
হয়তো।
তারা : কিরে রুমি সুমি তোরা এইসব কি
পড়েছিস??
রুমি : ম্যাম যা গরম পরছে। কি আর করব
বলেন। আর আজ কেউ বাসায় নেই। তাই চান্স
এ পরে নিলাম।
তারা : ভাল কথা কিন্তু এমন হাফপ্যান্ট কেন
নাইকাদের নত।
সুমি : নাইকা থেকে আমরা কম কিসে।
তারা : তারা তা ঠিকি।
যা কাজ কর।
আমি আমার আর স্যার এর রুম টা পরিস্কার
করব।
তোরা বাকিটা করে ফেল।
রুমি : ম্যাম আপনি ও পরেন কাজ করতে
সুবিধা হবে। আমার কাছে আছে। পরবেন।
তারা : না না। দরকার নেই।
সুমি : আরে পরেন না।
কেউ নাই ত।
তারা : না আমার লজ্জা লাগে।
।সুমি : আরে ধরেন। যান পরে দেখেন।
সব কিছু একবার ট্রাই করতে হয়।।
তারা : বলছিস? ?
রুমি : হুম। যান।
তারা : একবার পড়ে দেখতে সমস্যা কই।
চেঞ্জ করে উনার রুম পরিস্কার করছিলাম।
মেঘ : দুর যে কাজে গেলাম সেটা ত হলনা।
আমার সময় টাই নস্ট
কিরে সবাই কই? খালি খালি লাগে কেন।
তারা তারা! ? নাই নাকি বাসায়।
মেঘ : নিজের রুমে গেলাম। আর ঢুকে যা
দেখলাম।
তারা কানে হেডফোন লাগিয়ে আমার রুম
পরিস্কার করছে।
এটা কি পড়ে আছে ও।
জিবনে তো এইসব পড়েনি।
তারারারারা বলে দিলাম এক চিতকার।
তারা : হেডফোন সরিয়ে পিছনে ঘুড়লাম।
আপ....@আপ........ আপনি.........
মেঘ : এটা কি পড়ে আছ?
তারার দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলাম।
..
চলবে


#বস+বয়ফ্রেন্ড #season2
-------১০----------
তারার দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলাম।
তারা : গেঞ্জি ধরে টেনে পা ঢাকার বৃথা
চেস্টা
করছি আর পিছে যাচ্ছি।
মেঘ : টেনে আর কি হবে? ?
ওর একে বারে সামনে যেয়ে দাড়ালাম।
তারা : ইয়ে মানে।
মেঘ : হুমম।
এইসবের শখ কবে থেকে হল।
তারা : শখ না। রুমি সুমি দিল তাই একবার
ট্রাই করলাম
মেঘ : তারার মুখের দিকে একটু নিচু হয়ে অর
দিকে তাকালাম
বেচারির মুখ শুকিয়ে গেছে।
যাও চেঞ্জ করে আসো।
তারা : দিলাম ভো দৌড়।
আল্লাহ
তারা : সন্ধায় উনার সাথে একবার
চোখাচোখি হল।
উনি মিটমিট করে হাসছেন।
আমি রাগ নিয়ে রুমি সুমির দিকে তালালাম।
অরা ইশারা তে ক্ষমা চাচ্ছে।
মেঘ : তারা কোথায় যাচ্ছ।
তারা : ইরার কাছে।
মেঘ : চল। আমিও যাব।
তারা : না লাগবেনা।
মেঘ : চুপ চল।
গাড়িতে।
মেঘ : কোথায় ইরা।
তারা : city market.অই যে ইরা থামান থামান।
.
মেঘ : কাজ শেষ হলে ফোন দিবা।
নিয়ে যাব।
তারা : অবাক হলাম। কিছু বলার আগেই চলে
গেল।
ইরা : বাহ এমন বস+বয়ফ্রেন্ড থাকলে আর কি
লাগে।
তারা : কি বলিস এইসব।
ইরা : ঠিকি বলি।
তারা : কইছে তোমারে। চুপচাপ চল।
( এটা কি হতে পারে? দুর কি সব ভাবছি)
ইরা : কিরে কাকে ফোন দিচ্ছিস।
তারা ; উনাকে।
ইরা : অল্লে বাবা সে উনাটা কে।
তারা : চুপ করবি। স্যার কে দিচ্ছি।
ইরা : অই দেখ ফোন না দিতেই তোমার উনি
চলে
এসেছে যাও।
তারা : গাড়ি তে উঠলাম।
হঠাত গাড়ি থেমে গেল।
ততারা : কি হল।
মেঘ : কি জানি।
তারা : আর কতক্ষণ বসে থাকব।
সামনেই আছি বাসার চলুন হেটে যাই।
মেঘ : চল।
আমরা হাটছি।
হঠাত গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি শুরু হল।
খারাপ না।
পাশা পাশি হাটছি।
মাঝে মাঝে তারার হাতের সাথে আমার
হাত বাড়ি
খাচ্ছে।
ধরতে ইচ্ছা করছে ওর হাত।
খপ করে ধরে ফেললাম।
ততারা ; কি হল।হাত ধরলেন কেন।
মেঘ : হাত না ধরলে আমি পরে যাব।
তারা : কিহ।
মেঘ : হুম। দেখছনা কি পিছলা রাস্তা।
তারা অন্য দিকে তাকিয়ে মিটমিট করে
হাসছে।
সাথে আমিও।
বাসায় :
মেঘ : তারা চেঞ্জ করে কফি আনো।
তারা : জি।
মেঘ : ( তারাকে সব সময় নিজের কাছে
রাখতে
ইচ্ছা করে) তাই বিভিন্ন ছুতা খুজি।
তারা : নিন।
মেঘ : আগে আমার মাথা মুছে দেও।
তারা : ( মাথার তার সত্তিই ছিড়ে গেছে)
।উনি বসে আছেন। উনার সামনে যেয়ে মাথা
মুছে
দিচ্ছিলাম।
মেঘ : ২ হাত দিয়ে তারাকে জড়িয়ে তারার
পেটে
মাথা রাখলাম।
তারা : অই অই কি করছেন।
মেঘ : তুমি তোমার কাজ করতো।
তারা : এইভাবেই মাথা কিভাবে মুছে? ?
ছাড়ুন ছাড়ুন।
মেঘ : উফফ। সরে।
নেও মুছ।
তারা : মুছা শেষ করে চলে আসলাম।
আসার আগে উনি আজকেও হাতে একটা চুমু
খেলেন।
আমি হাত টা বার বার দেখছি।
কেনো করছেন উনি এমন।
হঠাত এমন পরিবর্তন হল কিভাবে।
পরের দিন :
মেঘ : তারা চল অফিসে।
তারা : জি চলুন।
অফিসে :
ইরা : দোস্ত তোর মত আমার ভাগ্য কবে
খুলবেরে?
তারা : মানে।
ইরা : আমি কবে একটা লাভার পাবোরে তোর
মত।
তারা : আমার মত? ???
।ইরা : নেকা। কিছু জাননা।
স্যারের সাথে যে ইয়ে মানে প্রেম চলছে
সবাই জানে।
মিতু দেখেছে।
হাতে হাত রেখে কাল কে ঘুড়তে।
তারা : আরে অটা তো।
ইরা : চুপ করতো।
তারা :কথাটা শুন
মেঘ : তারা লাল ফাইল্টা আন তো।
ইরা : যাও আদর খেয়ে আস
তারা : ইরার মাথায় ফাইল দিয়ে দিলাম
বাড়ি
.
তারা : নিন ফাইল।
মেঘ : এইখানে পাশে এসে দাড়াও।
দেখ এইদিকে এইদিকে ভুল আছে। আর
এইটাতে
এইখানে।
ওখানে বসে এখনি ঠিক করে দেও।
তারা : উনার দিকে বার বার চোখ যাচ্ছে।
উনি অন্য ফাইল দেখছিলেন।
( ইরা যা বলেছিল তা কি সম্ভব, মানে উনি
আর আমি
...).
মেঘ : তারার দিকে চোখ গেল। দেখি চেয়ে
আছে। তারা কিছু লাগবে?
তারা : উহু।
কাজ করছিলাম। হঠাত এক মেয়ে রুমে ঢুকে
মেঘ
বলে চিতকার দিয়ে উনাকে জরিয়ে ধরল।
এটা দেখে আমার হাত থেকে কলম পরে গেল।
উনি অবশ্য মেয়েটা কে ধরেন নি।
বরং আমার দিকে তাকিয়ে আছেন।
মেঘ : মেয়েটা কে সরিয়ে আরে ইমু তুই।
ইমু : কিরে কেমন আছিস।
মেঘ : কবে আসলি বাংলাদেশে?
তারা : উঠে দাড়িয়ে- স্যার আমি যাই।
মেঘ : তারা ও আমার ফ্রেন্ড। এক সাথে
লন্ডন এ
ছিলাম। এক সাথে থাকতাম।
তারা : কথাটা শুনে অবাক হয়ে উনার দিকে
তাকালাম।
মেঘ : না না ইয়ে মানে এক সাথে বলতে একই
বিল্ডিং এ । আমি উপরে ও নিচে। হে হে।
হাসি
আসছিল না। তাও জোর করে হাসা আরকি।
তারা : গেলাম আমি।
ইরা: তারা এই মডেল টা কেরে?
তারা : আমি কি জানি তুই যেয়ে জেনে আয়।
ইরা : উফফ রাগ হচ্ছিস কেন।
স্যারের জি.এফ না তো।
তারা : আমি কিছু জানিনা।
ইরা : এইভাবে চিল্লানি দিচ্ছিস কেন।
।বল না কে??
তারা : আমি চিল্লাচ্ছি??
ইরা : না না এটাকে চিল্লানি বলে নাকি।
এত ভাল করে
তুই আজ পর্যন্ত কথাই বলিসনি।
তারা : হুহ।
ইরা : তারার দিকে তাকালাম। ও এক অক্ষর
লিখছে আর
১০ বার কাটছে। আর স্যার এর রুমের দিকে
তাকাচ্ছে।
ততারা : কিরে আমার দিকে তাকিয়ে আছিস
কেন? ?
ইরা : জানু তুমি তো ধরা খেয়ে গেছ।
তারা : কিসের ধরা?
ইরা : ময়না অই দিকে কি দেখ বার বার।
তারা : ক.......ই। কই না তো।
ইরা : কিছু জলার গন্ধ আসছে। নাকে।
তারা : তবেরে।
বলতে বলতে মেয়েটা আর উনি রুম থেকে
বের হয়ে আসল।
ইরা : দেখ দেখ কি হাসাহাসি করছে।
মেঘ : ইমু কে বিদায় দিয়ে তারার দিকে
তাকালাম।
যেভাবে তাকিয়ে আছে বাপ রে।
আমিও অর দিকেই তাকিয়ে ছিলাম।
ইরা : আরে আরে তারা কি করছিস?
তারা : কি কি। কি করলাম।
ইরা : পেজ টা ছিড়ে এমন কুটি কুটি করে
ফেললি।
আবার তো এটা করতে হবে।
তারা : উনার দিকে আবার তাকালাম একটু
লজ্জা নিয়ে।
উনি কি না কি ভাব্লেন।
দেখি উনি মিটমিট করে হাসতে হাসতে চলে
গেলেন।
মাথা টেবিল এর উপর রাখলাম।
আবার কাজ টা করতে হবে।
নাহ বাসায় নিয়ে যেয়ে করব।
বাসায় :
মেঘ : রুমি তারাকি পরে খেয়েছে।
রুমি : না স্যার।
মেঘ : খাবার আনো।
খাবার নিয়ে তারার ঘরে গেলাম।
দেখলাম সোফায় বসে কাজ করতে করতে
ঘুমিয়ে গেছে।
কোলে করে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে আসলাম।
ফাইল টা নিয়ে নিজের রুমে গেলাম।
সকালে :
তারা : কিরে আমি এখানে আসলাম কি করে।
আরে
ফাইল টা কই।
মেঘ : এটা খুজছ।
?
তারা : জি। এটা আপনার কাছে? ?
।মেঘ : নেও আমি ঠিক করে দিয়েছি।
নাস্তা করে রেডি হয়ে নেও।
তারা : হুম।
উনি আমার কাজ টা করে দিয়েছেন।
কি খুশি যে লাগছে।
উনি ব্লাক রং খুব পছন্দ করেন তাই আজ সেই
রং এর
জামা পড়লাম
মেঘ ; বাহ তারাকে খুব সুন্দর লাগছে।
আমরা খাচ্ছিলাম।
তারা : উনার দিকে চোখ যাচ্ছে বার বার।
এক হাতে ফোন। আরেক হাত দিয়ে খাচ্ছেন।
হুহ ফোনে কি দেখে এত।
আমার দিকে তো তাকাচ্ছেন ঈ না।
মেঘ : চল তারা।

#বস+বয়ফ্রেন্ড #season2
-------১১----------
লেট হয়ে যাচ্ছে।
তারা : জি।
অফিসে :
ইরা : তারা কি খবর তোর
তারা ; কিসের খবর।
ইরা : অই মেয়ে বাসায় যায় নি? ?
।?
।তারা : অর নাম ইমু। স্যারের বন্ধু।না
আসেনি।
ইরা : কাজ শেষ এ চল আজ শপিং করব।
তারা : তোর এত শপিং করতে মন চায়?
ইরা : হুম।
মেঘ : তারা আমি বাইরে যাচ্ছি।
লেট হলে গাড়ি পাঠায় দিব। বাসায় চলে
যেও।
ইরা : আহ কি মহাব্বাত।
তারা : চুপ করতো।
ইরা : তারা চল না যাই। এখন।
তারা : আচ্ছা চল।
ড্রাইভার : ম্যাম স্যার গাড়ি পাঠিয়েছে
চলুন।
তারা : হ্যা। যাব।
তার আগে আমাদের মার্কেট এ নিয়ে চল।
ইরা : এইখানে থামান।
তারা : শপিং শেষ হল।
চল ice-cream খাব।
ইরা : তুই খাওয়াবি।
তারা : আচ্ছা চলতো।
ইরা : কিরে এটা কাল কের অই মেয়েটা কি
যেন নাম
ইমু না? ?
তারা : ঘুড়ে কই কই?
হ্যা তাই তো সাথে কে দেখা যাচ্ছেনা
ভাল মত তাকালাম।
কিরে ইরা সস্যার এর মত লাগছেনা??
ইরা : হ্যা তাই তো।
দেখ দেখ স্যারের হাত ধরছে।
তারা : (রাগ হয়ে ) ধরছে ধরুক তুই চল। আমার
ভাল
লাগছেনা।
তারা : বিল দিতে গেলাম।
পাশে তাকিয়ে দেখি স্যার ও বিল দিচ্ছে।
মেঘ : এই বিল টা।(
ওমা একি তারা! !??)
তারা : একবার উনার দিকে তাকালাম
আরেকবার ইমুর
দিকে।
চলে আসছিলাম।
মেঘ : তারা তারা দাড়াও।
তারা : তাড়াতাড়ি হাটছিলাম।
মেঘ : তারার হাত ধরে হাপাতে হাপাতে।
আরে এত জোড়ে কেউ হাটে??
কি করছিলে এখানে।
হাত ছাড়িয়ে।
তাতে আপনার কি?
আপনি আপনার কাজ করুন।
মেঘ : চুপ। চুপ করে দাড়াও।
ইরা ; তারা আমি চললাম।
স্যার বাই।
তারা : ইরা দাড়া।
হাতে টান অনুভব করলাম। উনি হাত ধরে
আছে।
মেঘ : ড্রাইভার তুমি ইমু কে ওর বাসায় দিয়ে
আসো।
তারা তুমি আমার গাড়িতে আসো।
তারা : না যাব না।
মেঘ : চুপ একদম চুপ।
ইমু তুই যা।
গাড়িতে উঠ তারা।
তারা : উঠে বসলাম
একটা কথাও বললাম্ না।
মেঘ : চুপ কেন এতো
কনো কথাই বলল না।
বাসার সামনে আসতেই নেমে চলে গেল।
বেপার কি হল।
রাগ হইছে নাকি?
কিন্তু রাগ হবে কেন /
তাহলে ও কি আমাকে? ?
।হতেই পারে।
মেঘ : তারার রুমে গেলাম। ও বারান্দা তে।
রাতের
খাবার খাবেনা /
তারা : না পেট ভড়া।
মেঘ : কিন্তু আমার ক্ষুদা লেগেছে।
তারা : কেনো? ? অইখানে কিছু খান নি?
।হাহ।
মেঘ : তারার কাছে এগিয়ে ২হাত দিয়ে অর
কোমড়
জরিয়ে ধরে বলিলাম কিছু জলার গন্ধ পাচ্ছি
মনে
হচ্ছে।
তারা : ছাড়ানোর চেস্টা করে - আমি পাচ্ছি
না তো।
মেঘ : সত্তি?
তারা: হুম( মুখ ঘুড়িয়ে)
মেঘ : ভুল হল মনে হয়।
তারা : পায়ে দিলাম পাড়া - জি ভুল হচ্ছে।
মেঘ : আল্লাহ! পা শেষ আমার।
অর হাত টা ধরে টান দিয়ে নিজের দিকে
আনলাম।
আমি অর পিছন দিকে দাড়িয়ে অকে জড়িয়ে
ধরলাম।
তারা : কি হচ্ছে কি?
মেঘ : যে কাজ টা করলে ওটার শাস্তি না
নিয়েই
চলে যাচ্ছ?
তারা : কি শাস্তি।
মেঘ : আমি অর ঘাড় থেকে চুল গুলা সরিয়ে
দিলাম
এক পাশে।
ঘাড়ে একটা চুমু দিলাম আলতো করে।
তারা : চোখ বন্ধ করে ফেললাম। তার হাত টা
শক্ত
করে ধড়লাম।
মেঘ : তারা! /
তারা : হুম।
মেঘ : ভাবলাম ভালিবাসি কথাটা বলে দেই।
কিন্তু ফোন আসল।
মেঘ : হ্যালো।
কথা বলতে বলতে চলে আসলাম।
তারা : কি যেন বলতে চাইলেন। না বলেই তো
চলে গেলেন।
একটু পর আবার আসলেন।
মেঘ : তারা পরশু মিটিং আছে। মনে রেখ।
বলেই
চলে আসলাম।
তারা : আমি ভাবলাম কি আর হল কি?
অফিসে :
মেঘ : তারা ফাইল টা একটু চেক করতো।
তারা ; হুম।
মেঘ : তারা শুন এই ফাইল টা একটু এগিয়ে
দেও
তো।
তারা : ফাইল টা এগিয়ে দিলাম।
মেঘ : ফাইল টা নেওয়ার আগে অর হাতে ১ টা
চুমু
দিলাম।
তারা : কি হল এটা?
মেঘ : কিছুই না।
ইমু : কিরে আমাকে তো ভুলেই গেছিস।
মেঘ : না তা কি আর হয়।
তারা : আমি বাইরে যাচ্ছি।
ইমু কে দেখে সামান্য হাসি দিয়ে বেড়িয়ে
গেলাম।
ইমু : কিরে কি হচ্ছিল/
মেঘ : কি হচ্ছিল?
ইমু : আমি কিন্তু দেখেছি।কত দুর এগিয়েছ।
মেঘ : আগাতে আর পারলাম কই।
ভয় লাগে।
ইমু ; কিহ। ভয় আর তুই??
মেঘ : যে রাগ জানিস তো না।
ইমু : বল না গল্প শুনি।
মেঘ :অন্য একদিন
ইমু: চল বাইরে যাই ।
বসে গল্প করতে করতে শুনব।
মেঘ : ইমু আমার হাত ধরে টানতে টানতে রুম
থেকে বের করল।
তারা : আমি তো প্রায় বেহুশ এটা দেখে।
ইরা : অই কিরে তুই আমাকে কিলাচ্ছিস কেন।
পিছন দিকে ঘুড়ে দেখি ও আচ্ছা এই
কাহিনি।
তারারারা।
তারা : কি কি।
ইরা : তোর কি হইছে রে।
এই যে বলিস সস্যার কে পছন্দ করিস্না।
আবার ইমু
কে ও তার পাশে তোর সহ্য হয় না।
কাহিনি কি? .
তারা : চুপ করতো। কিছুইনা।
মেঘ : তুই এমন গলা ধরে বসে আছিস কেন।
ছাড়
তো।
ইমু : আরে দুর। এত ভয় কেন তোর।?
তুই দিন দিন ভিতু হয়ে যাচ্ছিস।
মেঘ : প্রেমে পড় তারপর বুঝবি।
ইমু : কত আসল আর গেল।
তারা : তাদের পিছন পিছন গেলাম।
এ মা একি। এই মেয়ের লজ্জা নাই নাকি
উনার গলা
ধরে বসে আসে কেন।
ইরা : অই তুমি কি দেখিস এইভাবে?
তারা : চুপ চুপ।
দেখ অই মেয়ের কান্ড।
ইরা : ছি ছি।
তুই সামনে যা।
তারা : না না।
ইরা : দিলাম ধাক্কা।
তারা : পড়ে যাওয়া কন মতে সামলে
দাড়ালাম।
মেঘ : অরে আল্লাহ।
তারা! !!
অই ছাড় ছাড় আমাকে।
ইমু : কি হইছে রে।
তারাকে দেখে ছেড়ে দিলাম।
তারা : চলে আসলাম।
মুখ ভাড় করে।
মেঘ : তোর জন্য কিছু যদি হয় রে তারপর
দেখিস।
ইমু : কিচ্ছু হবেনা। যা বলতে আসছিলাম কাল
ফিরে
যাচ্ছি।
ভাল থাকিস। আর মেয়েটাকে ভাল রাখিস।
আর রাগ টাগ কম করিস।
তোর রাগ সম্পকে আমার ধারনা আছে।
গেলাম রে।
মেঘ : চল তোকে এয়ারপোর্ট দিয়ে আসি।
ইমু : চল।?
মেঘ : ইরা তারা কই।
ইরা : ও তো চলে গেল।
আচ্ছা ঠিক আছে।
তারা : রুমে এসে আয়নার সামনে- হুহ আমি কি
সুন্দর
না? ?
আমিও কি কম সুন্দর নাকি? ?
হাহ।
ঘরে এক রকম বাইরে এক রকম।
এটা কেমন কথা।
খাটাশ একটা।
মেঘ : দরজার সামনে দাড়িয়ে- অর কথা শুনে
আমার
খুব হাসি পাচ্ছিল।
কে খাটাশ?
তারা : আপনি আবার কে।
বলেই ঘুড়ে দাড়িয়ে দাত দিয়ে জিভ
কাটলাম।
মেঘ : অর দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলাম তাই
নাকি।
তারা : না মানে। না না তা না ( মিন মিন
করে)
মেঘ : জোরে বল শুনিনা।
তারা : আপনি আবার কেন এগিয়ে আসছেন।
মেঘ : একেবারে তারার কাছে যেয়ে
দাড়ালাম।
তারা তুমি আমার কাধ পর্যন্ত ।
তারা : তারা মুখ উচু করে তাতে কি হুহ।
অন্য দিকে তাকালাম।
মেঘ : রোমান্স করতে মজা হবে।
তারা : কি ... কি ... কি বললেন।
মেঘ : না মানে খাট মেয়েদের কোলে তুলে
রোমান্স করার মজাই আলাদা। আর তাছাড়া
উচু করে চুমু
দেওয়াতেও
তারা : চুপ চুপ চুপ করুন।
কয়টা প্রেম করছেন হ্যা??
মেঘ : ১০-১২ টা তো হবেই।
তারা : কিহ? ?
।হা করে থাকলাম।
মেঘ : মুখ বন্ধ করে দিয়ে হেহেহে।
তারা : হাসেন কেন? ?
মেঘ : নাহ কিছুনা।চলে আসলাম।
এখন সারারাত অ মেবি আমার প্রেমের কথা
ভেবে
ঘুম হারাম করবে।
তারা : ১০- ১২ টা আল্লাহ কয় কি? ?
চলবে...

#বস+বয়ফ্রেন্ড #season2
-------১২----------
সকালে --
তারা : আরে আজ ১১ টায় মিটিং।
সব ফাইল গুছিয়ে নিতে হবে।
রুমি রুমি?
রুমি ; জি ম্যাম।
তারা : উনি উঠে নি এখন? ?
: না।
তারা : অহ।
রুমে গেলাম উনাকে ডাকতে।
এখন ঘুমাচ্ছে।
কিরে এত ডাকি উঠেনা কেন? ?
ঝাকি দিলাম।
অমা উনি ঘুমের মধ্যে ই আমার হাত ধরে টান
দিলেন। গিয়ে পড়লাম উনার উপর।
মেঘ : আল্লাহ রেএএএ।
চোখ খুলে আমি কি সপ্ন দেখছি।
তারা : চিমটি দিয়ে আজ্ঞে না।
মেঘ : উহ আল্লাহ।
তুমি আমার উপর কি কর।
তারা : আজব তো।
আপনিই তো হাত ধরে টান দিলেন।
উঠুন বলে সরে যাচ্ছিলাম।
মেঘ : তারাকে শক্ত করে ধরলাম।
কই যাও।
তারা : আজ মিটিং ভুলে গেছেন।
মেঘ : সেতো দেরি আছে।
তারা : যেতে যেতে টাইম হয়ে যাবে। উঠুন।
মেঘ : তারাকে আরো জোরে নিজের সাথে
জরিয়ে ধরলাম।
তারা : আরে আল্লাহ ছাড়ুন।
রনি : স্যার...... বলেই হাত থেকে কফিটা
পড়ে
গেল।
ঠাস।
মেঘ তারা ২ জনেই তাকাল অইদিকে।
মেঘ তারাকে ছেড়ে দিল।
তারা : উঠেই দৌড়।
রনি : সরি স্যার।
মেঘ : দুর ছাতা।
অফিস :
মেঘ : তারা তুমি ফাইল নিয়ে আগে চলে যাও
আমি
পড়ে আসছি।
তারা : জি।
জায়গা মত চলে গেলাম।
তারা : good morning sir.
বলেই অবাক হয়ে গেলাম।
কিরে তুই।
সিয়াম : কিরে তারা।
তারা : তুই s&s company র এম.ডি।
সিয়াম : হুম।
তাহলে তুই r&m company তে জব করিস।
তারা : হুম।
অই দিনের জন্য সরিরে।
সিয়াম : কি হয়েছিল।
তারা : বাদ দে।
স্যার এখনি আসবে।
তুই ফাইল দেখ।
সিয়াম : সব ঠিকি আছে।
আর তুই যেহেতু আছিস তাই ডিল টা আমি
সাইন করব।
তারা : স্যার আগে আসুক।
সিয়াম : দরকার নেই।
নে। ডিল ফাইনাল।
তারা : আমরা হাসাহাসি করছিলাম আগের
সব কথা নিয়ে।
মেঘ : কি হচ্ছে। অরা হাসছে কেন এত।
আর কে এটা।
কাছে গেলাম।
আরে সিয়াম না ??
সিয়াম : hello mr. megh. how are you??
.
মেঘ : fine.
.
তারা : ডিল টা হয়ে গেছে স্যার।
ও সাইন করে দিয়েছে।
কিছু ক্ষন কথা বললাম আমরা ৩ জন।
কিন্ত উনার দিকে তাকিয়ে দেখলাম উনি
রেগে
আছেন।
তেমন কথা বলছেন না।
কেন রেগে আছেন??
মেঘ : তারা চল। অনেক দেরি হয়ে গেছে।
তারা : হুম। সিয়াম আসি।
সিয়াম : হুম। যা।
গাড়িতে :.
তারা : জানেন ও আমার খুব ভাল বন্ধু।
আমরা সবসময় এক সাথে থাকতাম।
মেঘ : উফফ চুপ করতো।
তারা : কি হল আপনার। সকালে ত ভাল মুডে
ছিলেন।
মেঘ : এখন ভাল লাগছেনা।
তারা :কখন ভাল থাকে আর কখন খারাপ
আল্লাহ
জানে।)
বাসায় :
তারা : নিন কফি।
মেঘ : চাইছি আমি?
তারা : সবসময় তো খান
মেঘ :এত কথা কেন? আজ খাবনা।
নিয়ে যাও।( ধমক দিয়ে)।
তারা : কেপে ঊঠলাম আমি।
মেঘ : তারার দিকে তাকালাম অর চোখে
পানি।
তারা : চলে আসলাম।
মেঘ : damn it.
তারা তারা দাড়াও বলছি।
তারা : দরজা লাগাতে চাচ্ছিলাম।
মেঘ : খুব কস্টে ধাক্কা মেরে দরজা খুললাম।
তারা : বারান্দা তে চলে গেলাম।
মেঘ : আমিও পিছে পিছে গেলাম।
তারার পিছনে দারালাম।
im sorry tara. im so sorry.
please ।
.
তারার কাধে হাত দিলাম।
অ সরিয়ে দিল।
ঘুড়ানর চেস্টা করছি ঘুড়েও না। সরে গেল।
প্লিজ তারা আমি বললাম ত সরি। আমার
দিকে তাকাও।
আচ্ছা যাও কানে ধরলাম। প্লিজ sorry.
একটু কথা বল।
তারা : পিছে চেয়ে দেখি উনি নিচে কানে
ধরে
বসে আছে। আমিও উনার সামনে বসলাম
তারা : আচ্ছা বলুন তো আপনার মাঝে মাঝে
কি হয়।
কান থেকে হাত নামিয়ে দিলাম।
মেঘ - কিছু না বলে চলে আসলাম।
তারা: উনি এভাবে চলে গেলেন কেন?
উনার মন খারাপ কেন? ?
আর এতে আমার কস্ট হচ্ছে কেন? ?
সারারাত ঘুম হলনা।
মেঘ : আমার এত কস্ট হচ্ছিল রাতে ঘুম হয়নি।
সকালে রেডি হচ্ছিলাম।
তারা : কফি হাতে রুমে ঢুকলাম।
দেখলাম উনি রেডি হচ্ছেন।
সামনে দাড়ালাম।
।মেঘ : তারাকে দেখে বললাম - কিছু লাগবে।
তারা :উহু।
আপনার কফি।
মেঘ : রাখ।
তারা : কি ব্যপার আজ কিছু বলছেন না যে।
উনি টাই বাধ
ছিলেন।
আমি এগিয়ে গিয়ে নিজেই টাই টা ধরলাম।
উনি
ছেড়ে দিলাম।
মেঘ : কি করছ।
তারা: টাই বাধছি।
আচ্ছা তোমার কি হয়েছে??
সরি সরি আপনার!?
মেঘ : তুমি আমাকে তুমি করে বলতে পার
সমস্যা
নেই।
তারা : অবাক হয়ে জি।
মেঘ ; আমি নিচে গেলাম তুমি আস।
তারা : কি হল আজব ব্যপার উনি আজ... এমন
আলাদা
লাগছে কেন।
ইরা: কিরে এমন মন মরা হয়ে আছিস কেন?
তারা : শুন না উনি না ....
মেঘ : তারা কাল কের মিটিং এর ফাইল টা
আনো।
তারা : পরে এসে বলছি।
ইরা : হুম।
তারা : এই নিন।
।।
মেঘ : এই নেও এইটা একটু চেক করত।
তারা : জি।
কাজ করতে করতে উনার দিক তাকালাম।
উনি আমার দিক তাকিয়ে আছেন।
মেঘ আচ্ছা এই সামান্য বিষয় নিয়ে আমি এত
মন
খারাপ করছি কেন। সিয়াম ত শুধু অর বন্ধু আর
কিছুনা।)
তারা .....
তারা : জি।
সিয়াম : hi. mr. megh.
.
মেঘ ; তুমি? ?
তারা : আরে তুই ....
সিয়াম : হুম।
মেঘ : any pblm? ?
.
সিয়াম - না কাল কে তোমার সাথে কথা
হয়নি তাই ডিল টা
নিয়ে তোমার সাথে কথা বলা দরকার ছিল।
মেঘ : বস।
তারা u can go now.
I'll call u later.
তারা : জি।
ইরা : কিরে?
তারা - উনারা মিটিং করছে ।
কিছুক্ষন পর-
সিয়াম - তারা শুন।
তারা : হ্যা বল।
সিয়াম- আজ যে আমার জন্মদিন ভুলে
গেছিস. ?
তারা: im so sorry yr.সত্তি ভুলে গিয়েছিলাম।
সিয়াম - মাফ করব কিন্তু একটা শর্তে ;
তারা : কি??
সিয়াম - আমাকে খাওয়াতে হবে।
তারা : এই কথা। অকে done.সন্ধায় ফোন
দিলে
চলে আসিস।
সিয়াম - অকে।
মেঘ : তারাকে দেখছিলাম।
টেবিল এ বসে বসে কলম কামড়াচ্ছে আর
ফাইল
দেখছে।
মাঝে মাঝে মুখে উড়ে আসা চুল গুলা সরিয়ে
কানের পিছে নিচ্ছে।
আমি অবাক হয়ে দেখছি।
নাহ আর না মনের কথা বলে দিতে হবে। আর
দেরি
করা যাবেনা।
তারা- আরে আপনি এখানে কেন দাড়ায়??
মেঘ : একটা কথা বলব।
তারা : জি।
বলুন। ফোন বেজে উঠল
সরি।
মেঘ : ফোনে কথা বলে নেও।
তারা : দুরে সরে গিয়ে আরে সিয়াম আমি
বের
হচ্ছি।
মেঘ - ও এখনও এলনা। কই গেল।
জানালার সামনে দাড়ালাম।
দেখলাম অ রিক্সা তে উঠছে।
আমিও সাথে সাথে নেমে ওর পিছু নিলাম।
তারা : কিরে তুই এত আগেই এসে গেছিস
সিয়াম।
মেঘ : তারাতো এইখানেই ঢুকল। গেল কই।
সিয়াম : নে অর্ডার দে।
তারা : আমরা হাসাহাসি করছিলাম।
হঠাত উনার আগমন।
।আরে আপনি এখানে।
সিয়াম - আমাদের সাথে বসুন।
তারা : আমি উনার চোখে রাগ দেখতে
পাচ্ছিলাম।
আমার ভয় লাগছিল।
কিছু বুঝতে পারছিনা।
মেঘ - তারা আমি এখানে বসতে আসিনি তুমি
চল এখনি।
তারা : কিন্তু।
মেঘ : কোনো কিন্তু না চল হাত ধরে।
তারা : আহ ( ব্যথায় )
চলবে

#বস+বয়ফ্রেন্ড #season2
-------১৩----------
সিয়াম-what are u doing??? just leave her hand.
damn it.just leave? her.
.
মেঘ : আমাকে শিখাতে হবেনা। আমি শুধু
অকে
নিয়ে যেতে এসেছি।
তারা : সিয়াম তুই যা। উনি এখন কার কথা
শুনবেনা।
চলুন আপনি।
মেঘ : বাসায় চলে আসলাম অকে নিয়ে।
টানতে টানতে অকে আমার ঘরে নিয়ে
ফেললাম।
রুমের দরজা বন্ধ করে ফেললাম।
তারা : কি করছেন আপনি??
এটা ঠিক হচ্ছেনা।
আপনার কি হয়েছে।
এত রেগে থাকার কারন কি? ?
আমি কি কিছু ভুল করেছি।
আমাকে বুঝিয়ে বলুন।
প্লিজ এইভাবে আমার সামনে এগিয়ে
আসবেন্না।।
মেঘ : শক্ত করে অকে দেওয়ালের সাথে
আটকে ধরলাম।
তারা : ছাড়ুন আমাকে।
ধরবেন না আমাকে ছাড়ুন।
(চিতকার করে)
মেঘ : অহহ আমি কাছে এলেই সমস্যা। ধরলেই
সমস্যা। আর সিয়াম ধরলে কনো সমস্যা নেই।
তারা : কি বলছেন কি আপনি??
কি সব বলছেন।
বাজে কথা বন্ধ করুন।
মেঘ : আমি বাজে কথা বলছি ( চিতকার
করে)
তারা - আপনি আমাকে ব্যথা দিচ্ছেন।
।ছাড়ুন।
মেঘ : আমি যে ব্যথা পাচ্ছি সেটা? ?
তারা : কি বলছেন। কিসের ব্যথা।
মেঘ : কিছুই বুঝতে পারছনা।
তারা: u r hurting me. please leave me.
.
বলে উনাকে সরিয়ে চলে যেতে নিচ্ছিলাম।
মেঘ : আমার আরো রাগ হচ্ছে আমি অর সাথে
কথা
বলছি আর অ চলে যাচ্ছে।
টেনে ধরলাম অর হাত।
ওকে নিয়ে বিছানায় পরলাম।
পাগলের মত অকে চুমু দিতে লাগলাম।
তারা : সব শক্তি দিয়ে উনাকে বাধা
দেওয়ার চেস্টা
করছিলাম পারছিলাম্না।
মেঘ : কখনও গলাতে কখনো ঠোট এ কখনো
ঘাড়ে চুমু দিচ্ছিলাম কখনো কামোড়
দিচ্ছিলাম।
।নিজের মধে্্য ছিলাম না আমি।
তারা চিতকার করে) ছাড়ুন আমাকে কেঁদে।
মেঘ : অর চোখে পানি দেখে অকে ছেড়ে
দিলাম।
তারা : দৌড় দিয়ে নিজের ঘরে গেলাম।
ঘরের এক কোনে গুটি সুটি হয়ে বসে পরলাম।
খুব কান্না করছিলাম।
মেঘ : আমি কি মানুষ? ?
কি করলাম কি আমি।
যাকে ভালবাসি তার সাথে......
ঘরের সব ভেংগে ফেলছিলাম।
তারা : উপর থেকে ভাংচুর এর শব্দ পাচ্ছি।
ভয়ে কানে হাত দিয়ে বসে আছি।
ভয়ে কাপছি।
রনি : স্যার স্যার কি করছেন।
ছাড়ুন এইসব।
রুমি : স্যার কি হয়েছে আপনার।
আপনার হাত অনেক খানি কেটে গেছে।
সুমি তারা ম্যাম কে ডেকে আন।
সুমি : ম্যাম ম্যাম।
স্যারের খুব খারাপ অবস্থা উনার হাত কেটে
গেছে
খুব রক্ত পরছে।
এইভাবে চললে উনার অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে
চলুন আপনি।
তারা : এই কথা শুনে আমি উঠে দাড়ালাম।
দ্রুত উপরে গেলাম।
দেখলাম রনি উমাকে থামাতে পারছে না।
রক্তে ঘর ভেসে যাচ্ছে।
থামুন( চিতকার করে)।
দেখলাম উনি থেমেছেন।
রনি ডাক্তার আংকেল কে ফোন দেও।
আমি দ্রুত গিয়ে উনার হাত কাপড় দিয়ে
পেচিয়ে
ধরলাম।
তার পর ব্যান্ডেজ করলাম। সামান্য রক্ত পরা
কমেছে।
উনি খাটের উপর বস্র আছে।
আমি উনার সামনে নিচে বসলাম।
চোখ দিয়ে আমি প্প্রছে আমার।
শুধু উনার হাতের দিকে তাকিয়ে ছিলাম।
মেঘ - খুব কস্ট হচ্ছিল কথা বলতে তাও মিন
মিন
করে বললাম -i... im.......im...so...sor....sorry
....ta......ra...মাফ করে....দে......দেও।
আম......আমি......ভা......ভাল.....
তারা : উনার দিকে তাকিয়ে দেখি উনি
বেহুশ হয়ে
গেছেন।
।( চিতকার করে) মেঘঘঘঘ।
রনি রনি।
রনি আংকেল কে নিয়ে ঢুকলেন।
উনার সব চিকিৎসা বাসায় করলেন।
কারন হাসপাতাল এ নিলে সমস্যা হতে
পারে।
আংকেল সব বুঝিয়ে দিয়ে চলে গেলেন।
আমি সারারাত বসে ছিলাম উনার পাশে।
ঘুমহীন চোখে।
২চোখের পাতা এক করতে পারিনি আমি।
মেঘ : সকালে ঘুম ভাংল।
জানালা দিয়ে সুর্যের আলো চোখে এসে
পরতেই
তাকিয়ে দেখি তারা খাটের নিচে পাশে
বসে মাথা
খাটে রেখে ঘুমাচ্ছে।
খেয়াল করে দেখলাম মেয়েটার হাতে অসং্খ
নখের আঁচড়ের দাগ।
ছিহ কি করেছি মেয়েটার অবস্থা।
হাত ধরতেই তারা জেগে উঠল।
তারা : উনার দিকে তাকালাম।
উনি আমার হাত ছেড়ে দিলেন।
আপনি কিছু খাবেন।
মেঘ : ওর চোখে ঘৃণা থাকার কথা কিন্তু
সেখানে
আমি ঘৃণার 'ঘ' টাও খুজে পাচ্ছিনা।
কেনো? ??
মেঘ : জানালার দিকে মুখ ফিরিয়ে।
তারা তুমি আমাকে মেরে ফেল।
আমি একটা জানোয়ার।
আমি খুব খারাপ।
আমি রাতে যা করেছি তোমার সাথে তার
পরও তুমি
আমার খেয়াল রাখছ।
আমি এটা deserve করিনা তারা।
মেরে ফেল আমাকে।
আমাকে মাফ করোনা তুমি।
তারা : উনি কান্না করছিলেন।
উনার কান্না আমার ভাল লাগছিল না।
বিছানায় উঠে উনাকে বুকের মাঝে জরিয়ে
ধরলাম।
আমি বুঝতে পেরেছি শত অপমানের পরও আমি
এখানে পরে আছি কারন আমি তাকে
ভালবাসি।
আমরা মেয়েরা এমন ই যাকে ভালবাসি সে
যত
অপমান ই করুক না কেন আমরা তার কাছেই
পরে
থাকি।
সে আমাদের মেরে ফেললেও উহ পর্যন্ত
করিনা।
হ্যা ভালবাসি।
এই জানোয়ার কে আমি ভালবাসি।
চেয়ে দেখলাম উনি আবার ঘুমিয়ে
গেছেন।
উনাকে শুইয়ে দিলাম।
মাথায় কিছুক্ষন হাত বুলিয়ে দিলাম।
উঠে গেলাম রান্নাঘরে।
রুমি রান্না করেছে।
সেগুলা নিয়ে গেলাম তার ঘরে।
আস্তে আস্তে ডাক দিচ্ছিলাম।
উনি আস্তে আস্তে চোখ খুলছিলেন।
মেঘ : ঝাপ্সা ঝাপ্সা দেখছিলাম।
তারাকে দেখতে পাচ্ছি।
তারার হাত ধরে- তারা আমাকে মাফ করে
দেও।
তুমি ভুল বুঝ না।
তারা : আপনি strees নিয়েন না।
আমি এখানেই আছি।
আপনি আস্তে আস্তে উঠুন।
উনাকে ধরে ওয়াশ রুমে নিয়ে গেলাম।
উনাকে ফ্রেশ করিয়ে দিলাম।
বসুন এখানে।
নিন স্যুপ টা খেয়ে নিন।
স্যুপ টা খাইয়ে দিলাম।
তাকে শুইয়ে দিয়ে নিচে আসলাম।
রুমি : ম্যাম কোথায় যাচ্ছেন।
তারা : আমি অফিস থেকে একটু ঘুরে আসি।
উনাকে দেখে রেখ।
অফিসে -.
ইরা ; কিরে তারা তোকে এমন দেখাচ্ছে
কেন? .
আর স্যার কই?
আর এত দেরি করে আসলি কেন?
তারা : ইরা শুন উনি হয়ত কিছু দিন আসতে
পারবেন না।
আমিও কিছু দিন আসতে পারবনা।
তুই একটু অফিসের খবরা খবর আমাকে দিস।
আর মিশু আংকেল কে আমি সব বুঝিয়ে বলে
যাচ্ছি।
ইরা - তারা আমার দিকে তাকা।
তারা - বল।
ইরা : আয় আমার সাথে। হাত ধরে তারাকে
ওয়াশ রুমে
নিয়ে এলাম।
তোর এই অবস্থা কেন?
এই সব কি? ?
এইসব দাগ কি করে হল।
তারা : না না কিছুনা।
ইরা : শুন আমার চোখ আছে।
আমি দেখছি।
তাড়াতাড়ি বল।
তারা : সব খুলে বললাম।
ইরা- ছি ছি উনি এই কাজ করেছেন।
ছি ভাবতেও খারাপ লাগছে।
কিন্ত তারা আমার কি মনে হয় উনি সিয়াম
কে তোর
সাথে দেখে সহ্য করতে পারেনি।
তাই এমন করেছে।
না হলে আমি আর অন্য কিছু দেখছিনা এমন
করার।
আর সবচেয়ে বড় কথা উনি তোকে ভালবাসেই
বলে সিয়াম কে সহ্য করতে পারছেনা।উনি শুধু
মানে তোর উপর তার অধিকার আর কারো নয়।
তুই ভেবে চিন্তে দেখ।
আর বাড়ি যা।
তারা : হুম।
বাইরে বের হচ্ছিলাম তখনি রুমির ফোন এল।
হ্যালো।
রুমি : ম্যাম স্যার উঠে আপনাকে দেখতে না
পেরে আবার হইচই শুরু করে দিয়েছে। জলদি
আসুন।
তারা : জলদি বাসায় গেলাম।
কি করছেন আবার রনি রুমি তোমরা যাও
আমি দেখছি।
মেঘ :তুমি কই ছিলা তারাকে জরিয়ে ধরে।
তারা : আপনি শান'ত হন।
আমি এইখানেই আছি
বসুন ।
রেস্ট নিন।
হাত ধরে রেখেছে। ছাড়ছেই না।
ঘুমিয়ে গেছে।
হাত সরাতে চাচ্ছিলাম কিন্তু থাক উঠে
যেতে পারে।
আমি বসে ছিলাম উনার পাশে।
কখন উনার বুকে মাথা রেখে ঘুমিয়ে পরলাম
জানিনা।
উঠে দেখি উনি নেই। আরে উনি আবার কই
গেছেন।
রুমি রুমি!?
আরে কারো কোন সাড়া শব্দ নেই কেন?
রুমি : ম্যাম স্যার কে খুঁজছেন?
তারা : হুম।
রুমি ; ছাদে গেছেন।
তারা : ছাদে গেলাম।
উনি বসে আছেন।
সন্ধায় ছাদে কি করেন।
মেঘ : তারা আমার পাশে বসবে।
তারা - আমি তার পাশে বসলাম।
মেঘ : আমি খুব খারাপ তাইনা?
তারা - না মানে
মেঘ - আসলে ছোট বেলা থেকেই আমার রাগ
একটু বেশি।
যা চেয়েছি তাই পেয়েছি।
বাবা কিছুরি অভাব রাখেনি।
তাই আমিও এমন হয়ে গেছি।
জেদি। রাগি।
নিজের ইচ্ছামত চলি।
তারা আজ থেকে তুমি যা ইচ্ছা করো।
আমাকে আর তোমার দেখতে হবেনা।
আমি তোমার উপর আর ..... আসলে তোমাকে র
কস্ট দিতে চাইনা।
আমি রাতে যা করেছি..... পারলে মাফ করে
দিও।
উঠে চলে আসলাম।
তারা : আমি খুশি হব না কাদব কি করব বুঝতে
পারছিনা।
উনি কি আমাকে উনার থেকে আলাদা করে
দিতে
চাচ্ছেন।
আমি উনার দেওয়া কস্ট সহ্য করে নিতে
পারব কিন্তু
উনাকে ছাড়া থাকা সম্ভব নয়।
আমি দৌড়ে গেলাম উনার রুমে।
উনার গেঞ্জি ধরে - কি বলতে চান আপনি??
দেখুন আপনার দায়িত্ব আমাকে দিয়ে গেছে
আপনার বাবা।
আমি সেটা পালন করে যাব। আপনি না
চাইলেও।
তাই আপনি এইসব কথা মাথা থেকে ঝেরে
ফেলুন।
আমি খাবার আনছি খেয়ে ঘুমিয়ে পরুন।
মেঘ - (মেয়েটা এখন আমার কাছেই পরে
থাকতে চায়??
এত কস্টেরর পরেও।
কেন তারা কেন??
তুমি কেন এত ভাল।
তুমি কি আমাকে ভালবাসো??
তাহলে একবার মুখ ফুটে বল।
আমি তোমাকে রানি করে রাখব।
শুধু একবার বল।)
তারা ; কি ভাবছেন?
মেঘ : নাহ কিছুনা।
তারা : নিন খেয়ে নিন।
অহ আপনার তো হাত কাটা।
আমি খাইয়ে দেই।
নিন।
মেঘ - চুপচাপ খেয়ে নিলাম।
তারা তুমি রুমে চলে যাও।
তারা : না আমি এখানে থাকব।
আপনার সমস্যা?
মেঘ : না থাক।
সকালে -
মেঘ : উঠে দেখি তারা আজ ও আমার বুকে
ঘুমিয়ে
আছে।
অকে বালিশে শুইয়ে দিলাম।
উঠে ফ্রেশ হয়ে নিলাম
আজ ৫ দিন পর একটু সুস্থ লাগছে ভাবছি
অফিসে যাব।
রেডি হচ্ছিলাম।
হাতের ব্যথাও কম।
তারা : উঠে দেখি উনি শার্ট পরছেন উনার
কাছে
গেলাম।
কি করছেন।
মেঘ - অফিস যাব রেডি হচ্ছি।
তারা - না যাবেন না।
আমি মানা করছি তাই যাবেন না।
খুলুন শার্ট খুলুন।
মেঘ : কি করছ তারা।
তারা : কি আবার শার্ট খুলে দিচ্ছি।
মেঘ : আমার আর বাসায় থাকতে ভাল
লাগছেনা।
প্লিজ তারা।
তারা : অকে।
যান আমিও যাচ্ছি সাথে।
শার্ট এর বোতাম গুলা লাগিয়ে দিলাম।
টাই বেধে দিলাম।
নিচে যান। নাস্তা করুন
আমিও রেডি হয়ে আসি।
মেঘ : হুম।
।মেয়েটা কি যত্ন করে আমাকে ভাবাই
যায়না।
#বস+বয়ফ্রেন্ড #season2
----১৪---------
অফিসে -
ইরা : কিরে কেমন আছিস?
তারা : হুম ভাল।
ইরা : মন মরা কেন?
তারা : না কিছুনা।
মেঘ : ইরা এই কয়েকদিনের সব কাজের ফাইল
নিয়ে আসতো।
ইরা : ওমা একি?
তুই থাকতে আমি? ?
তারা : তুই ত অফিস এ ছিলি আমি ছিলাম না
তাই হয়ত।
ইরা : তাও।
আচ্ছা যাই।
তারা : আসলেই তো।
আগে তো উনি কখনই অন্য কাওকে ডাকতেন
না।
ইরা : অই কি করিস/?
তারা : ভাল লাগছেনা রে।
মেঘ : ইরা কাল কে তুমি আমার সাথে এক্টা
মিটিং এ যাবা সব ভালভাবে বুঝে নিও।
আমি কোন ভুল চাই না
ইরা : হা হয়ে থাকলাম আর তারার দিকে
তাকালাম।
।তারাও আমার দিকে তাকিয়ে আছে।
কিরে কি বলে গেল স্যার। আমি যাব? ?
মানে কি??
আমি কি সপ্ন দেখছি?? চিমটি দে তো
আমারে।
তারা : ইরা আমি বাসায় যাচ্ছি।
বাই।
ইরা : তারা দাড়া। শুন প্লিজ।।
তারা - চোখ মুছতে মুছতে চলে আসলাম।
মেঘ - ইরা অই......তারা কই? ??
ইরা : স্যার ও তো চলে গেছে।
মেঘ -( তুমি যত দুরে থাকবা তত ভাল তমার
জন্য)
অকে।
বাসায়-
মেঘ :
রুমি তারা কি খাইছে??
রুমি : স্যার আজকে ম্যাম কি করছে জানেন?
ম্যাম আজকে মদ খাইছে।
কি কি যেন বিড়বিড় করতে করতে বমি করে
দিল। এখন ঘুমাচ্ছে।
মেঘ - কিহ?? গেলাম তারার রুমে।
ফ্লোরে পরে আছে।
কোলে তুলে নিলাম।
তারা কি করলা তুমি।
তুমি এখন নিজেকে কেন কস্ট দিচ্ছ বলত।
আমি মানুষ না অমানুষ।
তুমি কখনই সুখি হবানা আমার সাথে।
নিজেকে কস্ট দিওনা।
তারা বিড়
বিড় করে কি যেন বলছিল আমি শুনতে
পারলাম্না।
সকালে-
তারা- অরে মাথা শেষ আমার।
রুমি লেবুর শরবত আন জলদি।
হ্যা রে রুমি উনি কই? ?
রুমি - রুমেই আছে।
তারা : কাল কে কখন আসলেন।
মেঘ - তুমি মদ খেয়েছিলে কেন? .
তারা - ভুলে খেয়েছি
বুঝতে পারিনি।
দিন আমি পরিয়ে দেই টাই।
মেঘ : লাগবেনা।
এক ধাক্কায় সরিয়ে দিলাম।
দেওয়ালের সাথে খেল বাড়ি। সাথে সাথে
ফুলে গেল।
তারা im im sorry.
আমি বুঝতে পারিনি।
রুমি বরফ আন।খাটে নিয়ে বসালাম। আমি
নিচে বসলাম।
তারা : কলার ধরলাম উনার কি পাইছেন কি
আপনি? ?
যখন খুশি কাছে টেনে নিবেন যখন খুশি দুরে
ফেলে দিবেন? ?
কি আমি কি মানুষ না? ?
আমার কস্ট লাগেনা? ?
মেঘ : তারা আমি জানি আমি তোমাকে শুধু
কস্ট দিয়েছি।
তাই তোমার থেকে দুরে থাকতে চাচ্ছি। না
হলে তোমার আর কস্ট হবে।
তারা : অহ এই জন্য ignore করছেন।
মেঘ - তারা তুমি বুঝতে চাইছ না কেন?
তারা : বুঝতে চাইও না।
মেঘ - ছাড় আমাকে রুমি এখনি আসবে।
তারা : আসুক, দেখুক যা খুশি হক।
আমি বলেছিনা আপনার দায়িত্ব আমার। আর
কারো না।
মেঘ - কি হচ্ছে কি?? ছাড় বলছি।
তারা - উনার কলার অনেক শক্ত করে ধরে
আছি উনি ছাড়াতে চাচ্ছেন।
গাল ধরে ঠোট এ চুমু দিয়ে বসলাম।
মেঘ - চোখ বড় গোল আলু হয়ে গেল। ওমা এটা
কি হল।
।কিস করছিলাম অনেক ক্ষন ধরে।
অকে নিয়ে বিছানায় পরলাম।
তাও তারা আমাকে ছাড়ে নি।
রুমি : রুমে ঢুকে এই দৃশ্য দেখতে হবে ভাবিনি
হাত থেকে বরফ এর বাটি পরে গেল।
মেঘ - চমকে উঠে দরজার দিকে তাকালাম
রুমি বের হল দেখলাম।
তারা - কি হল।
?
মেঘ - উঠে তারাকে হাত ধরে উঠালাম।
নিচে যাও।
রেডি হয়ে নেও অফিস যাতে হবে।
তারা - জি।
শুনুন।
মেঘ - কি।
তারা - ঠোট টা মুছে নিচে আসুন।
মেঘ - আয়নার সামনে গেলাম।ঠোট ভিজে
আছে।
টিসু দিয়ে মুছে নিচে গেলাম।
তারা রেডি হয়ে দাড়িয়ে- আছে।
গাড়িতে -
না তারা না আমি কেউ কারো সাথে কথা
বলিনি।
তারার দিকে কয়েকবার তাকিয়েছিলাম। ও
মাথা নিচু করে বসে ছিল।
অফিসে -
মেঘ - ইরা মিটিং এ চল।
ইরা - কিরে তুই কিছু বলবিনা?
তারা - না তুই যা।
মেঘ - তারা একা বাসায় যেতে পারবে।
তারা : জি।
কাজ শেষ করে বাসায় যাচ্ছিলাম।
আজকে কি ট্যাক্সি এর অকাল পরছে।
গাড়িও নস্ট হয়ার টাইম পেলনা।
।অনেক ধরে হাটছিলাম।
মনে হল কে যেন পিছু পিছু হাটছে।
আমি যে দিকেই যাচ্ছি সেটাও সেদিকে
যাচ্ছে।
নাহ ব্যপারটা তো সাংঘাতিক।
জলদি একটা দোকানের ভেতরে গেলাম।
ছেলেটা বাইরে দাড়িয়ে আছে।
প্রায় ১ঘন্টা যাবত বাইরে দাড়িয়ে।
যাচ্ছেওনা।
নাহ এবার উনাকে ফোন দিতেই হবে।
এত ফোন দিচ্ছি ফোন দিচ্ছি ধরছেনা।
রনি কে দেই।
রনি - ম্যাম বলুন।
রনি খুব বিপদে আছি তাড়াতাড়ি আস।
ঠিকানা বলে দিলাম।
রনি তাড়াতাড়ি আসল।
অর সাথে বাড়ি চলে আসলাম।
রনির বাকি লোকেরা অই ছেলেটাকে নিয়ে
বাড়ির বাইরে রেখেছে।
মেঘ - তারা ( চিতকার করে )
তারা - পানি খাচ্ছিলাম।
তার ডাকে পানি মিখের থেকে সব পরে
গেল।
মেঘ - ঠিক আছ তুমি।
তুমি আমাকে ফোন দেওনি কেন? ?
তারা - ফোন বের করে দেখেন কয়বার ফোন
দিসি।
মেঘ - ৩০ টা মিসকল।
ফোন দিলাম আছাড়।
তারা - কি করলেন।
মেঘ - রনি রনি কই সেই ছেলেটা।
বাইরে গেলাম।
তারা- আমি দরজার আড়ালে দাড়িয়ে-
দেখছিলাম।
মেঘ - কয়েক্টা ঠাস ঠাস থাপ্পড় দিলাম।
এবার বল তারার পিছনে কেন লেগেছিস?
ছেলে- স্যার আমাকে ছেড়ে দিন।
আমিও উনার নামও জানিনা।
মেঘ - চুল ধরে নাম জানিস না তো পিছে
কেন লাগছিস।
ছেলে- আসলে উনাকে আমি ১ মাস আগে
একটা পার্কে দেখেছিলাম।
আমার ভাল লাগেছে উনাকে ।তাই প্রতিদিন
উনাকে দেখার জন্য পিছুনেই।
আর কিছু না।
আমাকে ছেড়ে দিন।
মেঘ - এরপর যদি আর পিছু নিস তোর লাশ টাও
কেউ খুজে পাবেনা।
বুঝলি??
তারা শুধু আমার।
যা ভাগ।
রনি তুলে ফেলে দিয়ে আস।
মেঘ - ঘুড়ে তাকাতেই দেখি তারা পিছনে।
তারা : উনার তাকানো দেখে রুমে চলে
আসলাম।
মেঘ - তারা কিছু শুনে ফেলল না তো
তারা - উনি বলেছে আমি শুধু তার।
এখন হবে লুংগি ডান্স।
হেহেহে।
মেঘ - নাচ ছো কেন??
তারা - না কিছুনা।
মেঘ - খেয়ে ঘুমিয়ে পর।
কাল কে থেকে তুমি একা আসবেনা।
আমি না থাকলে রনি তোমার সাথে থাকবে।
তারা - জি।
এই খুশি কই রাখি।
মেঘ - তারা এখনো ঘুম থেকে উঠে নি। থাক
আজ অকে আর যেতে হবেনা।
তারা : উফফ কত দেরি হয়ে গেল। আজ
আমাকে উনি ডাক অ দিলেন না। কি দেরি
হয়ে গেল।
রেডি হয়ে অফিস গেলাম।
ইরা - কিরে এত দেরি কেন?
তারা - ঘুম থেকেই তো উঠতে পারিনি। ।
মেঘ - তারা রুমে আসতো।
তারা - রুমে ঢুকে। আরে শফিক সাহেব আপনি।
শ.সা- হুম।
তোমাদের দাওয়াত দিতে আসলাম। ।
তারা - কিসের?
: আমাদের ডিল টা সফল ভাবে হল। তাই
সেটার success party আরকি. .
তারা - জি আমরা সবাই আসব।
: হুম অফিসের সব stuff দের অ নিয়ে আসবে।
আমি বাইরে বলে যাচ্ছি।
মেঘ - জি। আমরা আসব।
ইরা - তারা তারা চল চল শপিং এ যাই।
উফফ কি মজা।
অনেক দিন পর একটা পার্রটিতে যাব।
ভাগ্য খুললেও খুলতে পারে।
আর যে তোর সইছেনা।
কোন ছেলে যদি প্রপস করে!!!!
তারা : তুই আর তোর আজগুবি সপ্ন।
ইরা - এমন করিস কেন।
লক্ষি সোনা চল না।
তারা : আচ্ছা আচ্ছা।
কাজ শেষ এ যাব।
মেঘ - কাজ শেষ এ বাইরে বেরিয়ে দেখি
তারা নেই।
কি ব্যপার অর না আমার সাথে যাওয়ার কথা।
আমাকে না জানিয়ে কই গেছে।
এই মেয়ে একটাকথাও কেন শুনেনা।
তারা - কিরে হল তোর।
কয়টা বাজে দেখ।
ইরা - এই যে হয়ে গেছে।
তারা - বাসায় আসতে আসতে ১০টা বেজে
গেল।
আস্তে আস্তে ঘরে ঢুকে নিজের ঘরে গেলাম।
লাইট জালালাম।
ওমা একি উনি সোফায় বসে আছে।
মেঘ - উঠে দাড়ালাম।
অর সামনে আগাতে আগাতে বললাম- কাল কে
তোমাকে কি বলেছিলাম।
তারা : ইয়ে মানে ইরার সাথে।
মেঘ - অর একেবারে সামনে দাড়িয়ে- এটা
আমি প্রশ্ন করিনি।
তারা - আপনি/ রনি একজনের সাথে বাসায়
আসতে।
মেঘ - আর তুমি কি করেছ?
তারা - কি করব বলুন ইরা টেনে নিয়ে গেল।
মেঘ - আমাকে জানানোর দরকার মনে
করনি? ?আর
ফোন ধরছিলেনা কেন?
তারা - silent ছিল। বুঝিনি। ( মাথা নিচু করে)
মেঘ - তুমি একটা ...... u r just impossible.
যাও চেঞ্জ করে খেয়ে নেও।
তারা - উনার হাত ধরে।
একটু আদুরে গলায় বললাম - আপনি রাগ করে
থাকবেন না আর। প্লিজ।
im sorry.
মেঘ - (এত আদুরে গলায় বললে কি আর রাগ
থাকে) অকে বলে চলে আসলাম।
তারা - হঠাত ঘুম ভেংগে গেল।
উফফ পানি খাব।
উঠে বসে সামনে তাকালাম।
মনে হচ্ছে অন্ধকারে সোফায় কেউ বসা।
জলদি লাইট অন করলাম।
একি আপনি কি করেন এইখানে? ?
মেঘ - পাহাড়া দেই তোমাকে।
তারা : কাছে যেয়ে উনার পাশে বসলাম।
ঘাড়ে মাথা রাখলাম।
আপনি থাকতে আমার কোন ভয় নেই।
আপনি যেয়ে ঘুমিয়ে পড়ুন।
মেঘ - কপালে চুমু দিয়ে চলে আসলাম।
তারা - আপনি কবে আমাকে ভালবাসার
কথাটা বলবেন বলুন তো।
আমি কি আগে এটা বলতে পারি।
আমার ত লজ্জা লাগে।

#বস+বয়ফ্রেন্ড #season2
# নিলান্তিকা_নাদিয়া
---------১৫--------
সকালে -
তারা- আজ অফিস নেই কি শান্তি।
উনার ঘরে গেলাম।
উনি ঘুমাচ্ছেন।
মাথায় শয়তানি বুদ্ধি আসল।
লিপ্সটিক দিয়ে তার মুখ টা জোকার বানিয়ে
দিলাম।
হেহেহে।
মেঘ - উঠে ফ্রেশ না হয়ে নিচে রাখলাম।
কফির জন্য।
কিরে রুমি মুখ ধরে হাসছে কেন? ?
রনিও তো তাই করছে।
তারা - হাসি আর আটকাতে পারলাম না
জোরে হেসে উঠলাম।
মেঘ - কিরে সবার হল কি? ?
প্যান্ট এর চেইন এর দিকে তাকালাম।
নাহ লাগানই তো তাহলে হাসে কেন।
রুমে গেলাম আয়নার সামনে।
তারারারারা ( চিতকার দিলাম)
নিচে নেমে তারার ঘরে গিয়ে দরজা আগে
লাগালাম।
নাহলে ভাগবে জানি।
তারা : হেহেহে সরি সরি।
আর করবনা।
মেঘ - তুমি আবার আগের মত শুরু করছ??
আজ আর রেহাই নেই তোমার।
তারা : রেহাই কে চায়।
মেঘ ; কিহ?
তারা - কিছুনা।
মেঘ : এই এই দৌড় দিচ্ছ কেন।
দাড়াও দাড়াও
এই তো পাইছি।
এখন কি হবে??
তারা : কি আর হবে আপনি শাস্তি দিবেন।
আমি ভোগ করব।
মেঘ - তোমার ভয় নাই না?
তারা - আগে হত এখন আর হয় না।
কি শাস্তি দিবেন বলেন না।
মেঘ - তারার গালের সাথে আমার গাল
লাগিয়ে লিপ্সটিক অর গালে লাগিয়ে
দিচ্ছিলাম।
তারা : চোখ বন্ধ করে ছিলাম।
তার ছোয়াতে হারিয়ে যেতে চাচ্ছিলাম।
মেঘ - চেয়ে দেখলাম অ চোখ বন্ধ করে আছে।
তাকিয়ে থাকলাম অর দিকে।
ছেড়ে দিলাম তারাকে।
তারা ; আরে কই যাচ্ছেন।
মেঘ : ফ্রেশ হতে।
তারা : আচ্ছা।
সন্ধায় -
তারা : পার্টিতে যাওয়ার জন্য রেডি
হচ্ছিলাম।
আমি আজকে সেই শাড়ি টা পরেছি যেটা
উনি আমাকে দমিয়েছিলেন আমি ফেলে
দিয়েছিলাম।
উনার রুম পরিস্কার করতে যেয়ে অইদিন এটা
নিয়ে এসেছি আমার কাছে।
রেডি হয়ে চুল আঁচড়াচ্ছিলাম আয়নার সামনে
দাড়িয়ে- । হঠাত উনাকে দেখলাম পিছনে।
মেঘ - আরে এটা অ পেল কই? ?
আমি মুগ্ধ অকে দেখে।
চোখ যেন পলক ফেলতে চায়না।
তারা : আয়নার দিকেই তাকিয়ে - আপনি? ?
মেঘ - হাতে রাখা গলার চেইন টা অকে
দেখালাম।
তারা - আপনিই পড়িয়ে দিন।
মেঘ : চেইন পড়িয়ে দিলাম।
ঘাড়ে একটা চুমু দিয়ে বেরিয়ে আসলাম।
আমি গাড়িতে অপেক্ষা করছি তারার।
তারা - সরি লেট হয়ে গেল।
রনিরা পরের গাড়িতে আছে।
আপনি চলুন।
শফিক সাহেবের বাসার সামনে গাড়ি থামল।
সবাই ঢুকলাম।
ইরা - কিরে এত দেরি কেন।
আরে তোরে ত সেই লাগছে।
আমি তো মেয়ে হয়েই চোখ সরাতে
পারছিনা।
তাহলে বল ছেলেদের কি হবে।
তারা - বেশি বেশি করিস না।
ইরা - জানি জানি তুই উল্টা ই বুঝবি।
অই দেখ তোমার উনি তাকায় আছে।
তারা - দুর ছাড় তো।
মেঘ - আমিতো অর থেকে চোখ ই সরাতে
পারছিনা।
শফিক সাহেব- মেঘ তারা কই.
মেঘ - অইখানে।
শ,সা- অহ আচ্ছা।
।মেঘ আমি ভাবছিলাম মেয়েটা কে তো
এবার বিয়ে দেওয়া দরকার।
যেহেতু বড় কেউ নেই তোমাদের তাই কথাটা
তোমাকেই বলছি।
তারা খুব ভাল।
আমি ছোট থেকেই অকে চিনি।
তোমার বাবার খুব ভাল বন্ধু ছিলাম আমি।
তুমি যদি চাও আমার ছেলে আছে যাকে তুমি
চিনো।
আমি তারাকে আমার ছেলের বউ করতে চাই।
মেঘ -( কি বলে কি এইসব। আমি ভাবছি আমার
বউ করব আর উনি)
আংকেল আমি ভেবে দেখব।
আপনি থাকুন।
আমি অই দিক থেকে একটু" আসি।
: হাই।
তারা - পিছে ঘুরে তাকালাম।
জি আমাকে বলছেন?
: জি হাই আমি আবির।
তারা - আমি তারা আর অ ইরা।
মেঘ - আরে আবির তারার সাথে!!!!!
আবির - আমার বাবার নাম শফিক রহমান।
তারা - আরে তাই।
মেঘের দিকে চোখ গেল।
ওমা ওইভাবে তাকিয়ে আছেন কেন।
আচ্ছা তোমরা কথা বল আমি আসছি।
মেঘ - তারা এখন একা অর কাছে গেলাম
কি ব্যপার?
তারা - অন্য দিকে তাকিয়ে কি আর।
মেঘ - অই ছেলে কে চিনো তুমি?
তারা - নাহ।
কিন্তু বলল আংকেল এর ছেলে।
মেঘ - হুম।
কি বলছিল তোমাকে?
তারা- কিছুনা।
হঠাত লাইট ডিম হয়ে গেল।
soft music শুরু হল।
সবাই গানের তালে slow dance দিচ্ছে।
সামনের মানুষ টার মুখ"টা ও ভাল ভাবে
দেখা
যাচ্ছেনা।
মেঘ - আংকেল কি বলেছে জানো?
তারা - কি?
মেঘ : আবিরের সাথে তোমার বিয়ের কথা।
তারা - অবাক হলাম কিন্তু তাকে বুঝতে
দেইনি।
।বাহ ভাল।
ছেলে দেখতে কিন্তু সেই।
মেঘ - অর কমোড়ে হাত দিয়ে নিজের সাথে
জরিয়ে ধরে - তাই নাকি? ?
তারা : কি হচ্ছে কি??
মেঘ - অন্ধকারে কেউ দেখবেনা।
তুমি আমার কথার উত্তর দেও।
তারা : মাথা নিচু করে মিটমিট করে
হাসছিলাম।
মেঘ : মাথা উচু করে - হাসছ কেন? ?
তারা : তার গলা জরিয়ে ধরলাম।
উত্তর পরে দিব।
মেঘ - না এখনি দেও।
তারা - মুড নাই।
মেঘ - কিহ মুড নাই।
আরো শক্ত করে ধরলাম।
তাড়াতাড়ি বল।"
তারা - উহু।
মেঘ - বলবে মা তো।
দাড়াও দেখাচ্ছি কোলে তুলে নিলাম।
তারা - আরে কি করছেন।?
কই নিয়ে যাচ্ছেন।
মেঘ - বাসায়।
তারা- আর আংকেল কে ....
মেঘ - চুপ।
এইখানের কাজ শেষ আমাদের।
তারা - ঠিক আছে।
চলুন।
গাড়িতে বসিয়ে বাসায় চলে আসলাম।
বাসায় প্রবেশ করলাম।
মেঘ - এখন বল।
তারা - কি বলব।
মেঘ - আরে এর মধ্যেই ভুলে গেলে।
তারা - good night.
বলেই চলে যাচ্ছিলাম।
হাত টেনে ধরল।
আমার পিঠ লেগে আছে তার বুকের সাথে।
মেঘ - আমি জানি তুমি অন্য কাউকে বিয়ে
করতে পারবে না।
( কানের কাছে মুখ নিয়ে)।
ওর পেটে আমার হাত রেখে আরো কাছে
নিয়ে আসলাম।
কোথাও বাজ পরার শব্দ হল।
তারা আমার বুকে মাথা গুজল।
মেঘ - ভয় পেয়েছ?
তারা - হুম।
মেঘ : তারাকে কোলে তুলে নিজের ঘরের
দিকে যাচ্ছিলাম।
মেয়েটা চোখ বন্ধ করে আমাকে জরিয়ে ধরে
আছে
রুমে গেলাম সারাঘর অন্ধকারে ঢাকা।
হঠাত হঠাত বিদ্যুৎ চমকানোর আলো তে ঘর
আলোকিত হচ্ছে।
তারাকে বিছানায় শুইয়ে দিলাম।
তাকিয়ে আছি অর দিকে।
অন্ধকারেও অর মুখটা জল জল করছে।
লজ্জাতে
মায়াবী হয়ে উঠছে অর মুখটা।
চোখ বন্ধ করে আছে ও।
বাইরে বৃষ্টিহচ্ছে।
আর আমাদের মনে ঝড়।
তারার গালে চুমু দিতেই আমাকে শক্ত করে
আকড়ে ধরল।
তারা - আমি তার হাতের স্পর্শ পাচ্ছি
শরিরে।
মাঝে আংগুল গুলা খেলা করছে আমার চুলের
সাথে।
তার স্পর্শ তে শিউরে উঠছি মাঝে মাঝে।
তার ঠোট খেলা করছে আমার ঠোটের সাথে।
শক্ত করে ধরে আছি তাকে।
আজ নাহয় সব দুরত্ব শেষ হয়ে যাক।
তারার দিকে তাকালাম।
বিদ্যুৎ চমকানোর আলো তে স্পস্ট দেখতে
পেলাম তারার চোখের কোন দিয়ে পানি
বেয়ে পরছে।
তারাকে ছেড়ে উঠে বসলাম। ভুল হচ্ছে না
তো।
তারা - চোখ খুলে দেখি উনি নেই।
উঠে বসলাম।
উনি খাটের পাশে বসে আছেন।
আমি এগিয়ে গিয়ে তার হাত জরিয়ে ধরে
ঘাড়ে
মাথা রাখলাম- বললাম- কি হল?
মেঘ -
কিছুনা।
বলে বারান্দা তে চলে গেলাম।
তারা - আমিও পিছু পিছু গেলাম।
তাকে পিছন থেকে জরিয়ে ধরলাম।
কিছু হয়েছে আপনার?
মেঘ ( মেয়েটা এতো ভাল কেন?? এত
ভালবাসে আমাকে।
)
তারা তুমি এখন ঘরে যেয়ে ঘুমাও।
সকালে কথা হবে।
তারা - জি।
চলে আসতেই হাতে টান অনুভব হল।
মেঘ - তারার কপালে একটা চুমু দিলাম।
যাও।
তারা - সারারাত ২চোখের পাতা ১করতে
পারিনি।
মেঘ - কাল কে তারার জন্ম দিন আমি
কাল্কেই তারাকে সব বলে দিব।
আমি বলব আমি অকে বিয়ে করতে চাই।
এটাই হবে or birthday gift.
.
সকালে -
মেঘ - তারা শুন আজ আর তুমি অফিস যেওনা।
আমার কিছু কাজ আছে আমি ওটা করে চলে
আসব।
তারা - হুম।
উনি চলে গেলেন।
আমার শুধু কাল রাতের কথা মনে পরছে কি
লজ্জা।
কি লজ্জা।
চলবে

#বস+বয়ফ্রেন্ড #season2
# নিলান্তিকা_নাদিয়া
-------১৬----------
ফোনে ইরা -
তারা happy birthday dsto.
চল আজ আমি তোকে খাওয়াব
তারা - নারে আজ বের হতে পারবনা।
ইরা - কেন ।
তারা ; উনার বারোন আছে।
ইরা - অহ আচ্ছা।
best of luck.
তারা - কিসের জন্য
ইরা - হেহেহে who knows.
bye.
.
মেঘ - তারা! ! তারা! !
তারা - জি।
মেঘ - এটা নেও রেডি হয়ে আসো।
আমরা বের হব।
তারা - এই সন্ধায়।
মেঘ - হুম।
তারা - রেডি হয়ে নিলাম
খুব সুন্দর একটা শাড়ি দিয়েছেন।
কিন্তু উনি কি আমার জন্মদিন উপলক্ষ দিলেন
নাকি অন্য কিছু।
মেঘ - তারা! তারার দিকে তাকালাম মনে
হচ্ছে পরি নেমে এসেছে মাটিতে।
অর কাছে এগিয়ে গেলাম।
বিছানায় বসিয়ে দিলাম।
অর সামনে বসলাম।
পা একটু উচু করে আমার পায়ের উপর রেখে
১টা পায়েল পরিয়ে দিলাম।
হুম এখন চল।
তারা - কোথায়।
মেঘ - it's a surprise.
তারা - রেস্টুরেন্ট এর সামনে গাড়ি থামল।
রেস্টুরেন্ট এর সামনে বিশাল বড় খোলা
জায়গা।
একটা টেবিল খুব সুন্দর করে সাজানো।
উনি আমাকে অখানে বসতে বলে এক জায়গায়
গেলেন।
আমি টেবিল এর সামনে যেতেই দেখলাম ১টা
birthday cake উপরে happy birthday tara লিখা।
আমার এত খুশি লাগছিল।
কাধে হাতের স্পর্শ পেলাম।
আমি মেঘ বলে রাকে জরিয়ে ধরলাম।
মাথা উঠিয়ে দেখি
আরে সিয়াম তুই? !!!?!
মেঘ - কিরে তারা সিয়াম কে জরিয়ে ধরে
আছে কেন?
নাহ এখন সামনে যাব না।
দেখি কি করে।
এতক্ষন ধরে কি কথা বলছে ওরা??
হঠাত দেখলাম সিয়াম তারার সামনে হাটু
গেড়ে বসল।
তারার রিং ফিংগার এ রিং পরিয়ে দিল।
প্রচন্ড কস্ট হল এটা দেখে।
আমার হাত থেকে রিং টা পরে গেল যেটা
দিয়ে তারাকে প্রপস করব ভেবে ছিলাম।
চলে আসলাম অইখান থেকে।
সিয়াম- tnx tara.
im just too happy.
.
তারা - এখন যা। পরে কথা হবে।
আরে উনিএখনো আসেন নি কেন ?
খোজ নিয়ে দেখি।
ওয়েটার এই টেবিল যে বুক করেছিল....
ওয়েটার - জি মেঘ স্যার।
উনি তো দেখলাম চলে গেলেন।
তারা - কিহ। আমাকে রেখে??
কি হল।
আজব ব্যপার।
বাসায় চলে আসলাম।
আরে আপনি আজব তো।
আমাকে রেখে চলে আসলেন। এটা কি হল।
আরে শুনছেন কি বলছি।
মেঘ - হঠাত উঠে তারার মুখ শক্ত করে চেপে
ধরলাম।
চুপ একদম চুপ।
কি ভেবেছ আমি কিছু বুঝিনা।
টাকার জন্য তাইনা এটা আমার টাকার জন্য
করলে? ?
( চিতকার করে)
তারা- কি কি বলছেন ??
কিছু বুঝতে পারছিনা।
মেঘ : বাহ বাহ ন্যকা কিছুই বুঝতে পারছ না।
কিন্তু আমি বুঝে গেছি।
কত টাকা চাই তোমার! ?
তারা - আপনি শান্ত হন। প্লিজ।
মেঘ - ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিলাম।
মাথা কেড়ে গেল অর কিন্ত আমার কস্ট
হলনা।
তারা আমাকে ধোকা দিয়েছে।
ও আমাকে না সিয়াম কে ভালবাসে।
তারা - শুনুন আমার কথাটা শুনুন।
মেঘ - সব মেয়েরাই এক শুধু টাকা চাই ওদের।
তারা - অনেক হয়েছে।
কি টাকা টাকা করছেন।
দেখুন আপনি আমাকে অপমান করছেন।
মেঘ - অপমানের দেখেছ কি।
টাকার জন্য তো রাতে নিজেকে আমার
কাছে সপে দিয়েছিলে....
তারা - ঠাস করে থাপ্পড় লাগিয়ে দিলাম।
আপনি এমন ভাবেন আমার সম্পর্কএ আমি সপ্ন
তেও ভাবিনি।
ছি।
আপ.... আপ.... আপনি আমার ভাল......
মেঘ - চুলের মুঠি ধরে চুপ একদম চুপ।
চলে যাও আমার চোখের সামনে থেকে
তোমাকে দেখতে চাই না আমি।
বের হও।
বের করে দিয়ে দরজা লাগিয়ে দিলাম।
ভাংচুর করলাম সারারাত।
সকালে -
মেঘ - তারার ঘরের দরজা খোলা দেখলাম।
এত সকালে কই গেছে।
আল্লাহ জানে।
আমার কি?
রুমি কফি দিয়ে যাও।
রুমি - স্যার ম্যাম কে দেখেছেন।
মেঘ - না কি হইছে।
রুমি - না মানে সকাল থেকে দেখছিনা তাই।
রনি - স্যার এটা বাগানে পেলাম।
এটা তো মেয়েদের পায়েল। কার হতে পারে।
রুমি তোমার ??
মেঘ- কিরে এটা কাল্কে তারাকে
দিয়েছিলাম।
তারার ঘরে গেলাম।
বিছানায় দেখলাম একটা কাগজ।
কাগজে লিখা -' সামনে আসব না আর।
চলে যাচ্ছি।
কিন্তু আফসোস আপনি আমার ভালবাসা
বুঝলেন না। বিনা অপরাধে কিসের শাস্তি
দিলেন তাও জানতে পারলাম না' ।
মেঘ - খুব কস্ট হল। কিন্তু নিজেকে সামলে
নিলাম।
আমি জানি তুমি সিয়ামের কাছেই গেছ।
ভাল থাকো তারা।
দেখতে দেখতে ১ বছর কেটে গেল।
এখন শুধু home to office ar office to home.
তারার ও খোজ নেই নি।
সারাদিন অফিস এ পরে থাকি।
রাতে শুধু ঘুমাতে বাড়ি আসি।
ঘুম আর হয় কই।
সারারাত নির্ঘুম কাটে।
মাঝে মাঝে তারার চিঠি টা পরি।
আবার চোখে মুখে রাগ ফুটে উঠে। ভাংচুর
করি।
এই করেই দিন কাটছিল।
একদিন রাস্তায় চলার সময় দেখলাম সিয়াম
অন্য একটা মেয়ের সাথে।
কিরে ও কি তারাকে ছেড়ে দিল নাকি? ?
সিয়াম আমাকে দেখেও না দেখার মত পাশ
দিয়ে চলে যাচ্ছিল।
মেঘ - বাহ বাহ আর কত মেয়ে আছে তোমার
জিবনে। তারাকে ছেড়ে দিয়েছ নাকি??
অহহ বেচারি কোন টাকা দিতে পারেনি
তাইনা।
সিয়াম - তোমার মুখে তারার নাম টা শোভা
পায়না।
আর টাকা কি আমার কম আছে নাকি? ?
হয়ত তোমার মত বেশি না।
কিন্তু আমি তোমার মত ছোট লোক না।
মেঘ - মুখ সামলে কথা বল সিয়াম।
তোমাদের মত 3rd class মানুস দের আমার
চিনা আছে।
এই মেয়ে জানে তারার কথা আর তারা
জানে এই মেয়ের কথা।
:
সিয়াম চলতো।
মেঘ - হ্যা যাও যাও।
সবাইকে চিনা আছে।
ঠকবাজ।
: সিয়াম - শুনলে
লিলি কি বলল।
লিলি : বাদ দেও।
পাগল কিনা বলে আর ছাগলে কিমা খায়।
মেঘ - হা হা। তাই নাকি।
রিং পরাবে এক জন কে, ভালবাসবে একজন
কে আর বিয়ে করবে একজন কে। এটাই তো
পারো তোমরা।
লিলি :shut up. just shut up.
who the hell are you think of urself .
ha? ?
আর তখন থেকে দেখছি অকে অপমান করে
যাচ্ছেন।
অ আমার husband. don't u dare talk to him like
that.
i won't tolerate that.
do u understand that.
.
মেঘ - তা তোমার so called husband এর পাস্ট
জানো তো।
লিলি : আরে আপনি আমাকে অর পাস্ট কি
শুনাবেন।
পাস্ট তো শুনাব আমি আপনাকে।
তারার কথা বলছেন তাইনা।
আরে আপনি তো অর যোগ্য ঈ ছিলেন না।
অকে কখন বুঝেছেন।
আসছে আবার অদের নিয়ে কথা বলতে।
আরে ভালবাসা কি সেটাই তো জানেন না।
আসছে অকে ঠক বাজ বলতে।
সিয়াম : চল তো বাদ দেও।
লিলি : না সিয়াম উনাকে সব জানতে হবে।
তাহলে না উনি বুঝবে কি হারিয়েছে
জিবনে।
মেঘ - কি বলতে চাইছ।
লিলি - তো শুনুন কান খুলে অই দিন রাতে
আসলে কি হয়েছিল।
অইদিন রাতের ঘটনা (( তারা - আরে তুই
সিয়াম।
এইখানে কি করিস।
সরি আমি মেঘ কে ভাবছিলাম।
সিয়াম - আরে তুই এইখানে? ?happy birthday
dsto.
তারা - tnx yr. দেখ উনি কি সুন্দর করে আমার
জন্য surprise plan করেছে।
সিয়াম - ব্যপার কি? ?
তারা : উনি মনে হয় আজ উনার মনের কথা
আমাকে বলে দিবে। উফফ সেটার অপেক্ষা
করছি।
সিয়াম - আর তোর মনের কথা।
তারা - আমি রাজি এক পায়ে হাহাহা।
।তুই কি করিস এইখানে।
চলবে

#বস+বয়ফ্রেন্ড #season2
---------১৭--------
ওইদিন রাতের ঘটনা (( তারা - আরে তুই
সিয়াম।
এইখানে কি করিস।
সরি আমি মেঘ কে ভাবছিলাম।
সিয়াম - আরে তুই এইখানে? ?happy birthday
dsto.
তারা - tnx yr. দেখ উনি কি সুন্দর করে আমার
জন্য surprise plan করেছে।
সিয়াম - ব্যপার কি? ?
তারা : উনি মনে হয় আজ উনার মনের কথা
আমাকে বলে দিবে। উফফ সেটার অপেক্ষা
করছি।
সিয়াম - আর তোর মনের কথা।
তারা - আমি রাজি এক পায়ে হাহাহা।
।তুই কি করিস এইখানে।
সিয়াম - আরে লিলিকে নিয়ে এসেছি।
তুই তো জানিস অকে আমি কত পছন্দ করি।
কিন্তু বলতে ভয় পাই।
আজ ভেবেছি বলে দিব।
দেখ রিং টা কিনেছি।কিন্তু কিভাবে প্রপস
করব বল তো।
তারা - হুম এই কথা।
আমাকে প্রপস করে দেখা। আমি দেখি
তারপর বলছি।
সিয়াম - রিং পরিয়ে কেমন হল বল।
তারা - খুব ভাল। এবার লিলির কাছে যা।
সিয়াম - im just too happy.
.
তারা - যা এখন। পরে কথা হবে।
))
মেঘ - ইয়া আল্লাহ কি ভুল করেছি আমি।
লিলি তারা কই আমি অর কাছে যাব।
সিয়াম : কলার ধরে don't u dare. আমি কখনই
অকে তোমার কাছে আসতে দিবনা।
চলে আস লিলি।
মেঘ : সিয়াম আমি তোমার পায়ে পরি তারার
কাছে নিয়ে চল।
লিলি : কখনই না।
অ অনেক কস্ট পেয়েছে আর না।
আমি সাক্ষি আছি অর প্রতিটা কস্টের
রাতের।
মেয়েটা প্রতিটা রাতে চিতকার করে
কাদতো আপনার জন্য।
রাতে ঘুম থেকে জেগে উঠত মেঘ বলে
চিতকার করে।
খাওয়া দাওয়া সব ছেড়ে দিয়েছিল আপনার
জন্য।
আপনার ছবি বুকে জরিয়ে ছটপ্ট করতো।
অর প্রতিটা নির্ঘুম রাতের সাক্ষি আমি।
আমি এই আমি সব কিছুর সাক্ষি।
বিনা অপরাধে শাস্তি পেয়েছে অ।
আর এখন সত্তি জেনে শাস্তি পাবেন আপনি।
বলে আস সিয়াম।
মেঘ - তারা বলে চিতকার করে উঠলাম।
ফিরে আসো তারা।
.
বাসায় গেলাম।
তারার ঘরে ১বছর পরে তারার রুমে গেলাম
আমি।
ছটপ্ট করতে লাগলাম ।
।বাড়ির সব জায়গায় শুধু তারার স্মৃতি।
নাহ আমি আর এইখানে থাকতে পারবনা।
আমি বাংলাদেশ ছেড়ে চলে যাব।
আমি পারবনা এইখানে থাকতে
এই বারির সব জায়গায় তারার ছোঁয়া।
এইখানে আমি তারার সাথে খারাপ ব্যবহার
করেছি।
রনি রনি লন্ডন এর ২ টা টিকেট কাট।
সব গুছিয়ে নেও।
আমরা কাল কেই চলে যাব।
রনি - কিন্তু স্যার।
মেঘ - না যেতে চাইলে থাক।
আমি একাই যাব।
রনি - জি না।
আমি আপনার বডি গার্ড ।আমি আপনার
সাথেই থাকব।
মেঘ - আমল আংকেল আমি লন্ডন এ আসছি
কাল কে।
আমার guest house ready করুন।
আমল সাহেব - জি।
লন্ডন এ-
মেঘ - আংকেল ভাল আছেন?
আংকেল - তুমি হঠাত করে??
মেঘ - any pblm? ?
.
::::: নাহ।
সব তো তোমার ই।
এতদিন ধরে আমি দেখছিলাম এখন তুমি দেখ।
মেঘ - আমি ২-৩ দিন পর থেকে অফিস যাব।
: কোন সমস্যা নেই।
তোমার যখন ইচ্ছা।
পরের দিন।-
রনি তুমি থাক।
আমি হেটে আসি।
: জি স্যার।
মেঘ - একটা পার্ক এ যেয়ে বসলাম।
সামনে বাচ্চারা খেলা করছে।
একটা মেয়ে একটা বাচ্চার হাতে বেলুন
দিচ্ছে।
মুখটা দেখার চেস্টা কিরলাম। পারলাম না।
ফোন এল-
রনি - স্যার আপনি কই?
আমি কি গাড়ি পাঠাব।?
মেঘ - নাহ। আমি আসছি।
উঠে দাড়ালাম।
ধাক্কা খেলাম এক ছেলের সাথে।
ছেলে - I'm sorry man!
.
megh - no it's ok.
.no pblm.
.
বলে পাশে চোখ গেল
আমি তারাকে দেখলাম।
তারা! তারা এইখানে।
ডাক দেওয়ার আগেই taxi করে চলে গেল।
তারা এইখানে আছে।
আমাকে খুজে বের করতেই হবে।
২ সপ্তাহ ধরে অনেক খুজলাম।
অই পার্কেও গেলাম পেলামনা।
তাও খুজা ছাড়িনি।
অফিস যাওয়া শুরু করলাম।
এর মাঝেই তারা কে খুজি।
আংকেল - মেঘ আমরা একটা company এর
খোজ পেয়েছি অরা খুব সমস্যা তে আছে তাই
অটা খুব কম দানে ছেড়ে দিতে চাচ্ছে।
অইটা নিলে আমাদের লাভ ঈ হবে।
তুমি যদি বল নিতে পারি।
মেঘ - নিয়ে নিন।
কিন্তু অটা আমি দেখতে পারবনা।
আপনি দেখবেন।
আংকেল - অকে।
তুমি একদিন সবার সাথে দেখা করে আসলেই
হবে।
মেঘ - আর শুনুন একটা agreement এ sign করে
নিবেন।
যেখানে লিখা রহাকবে ৫বছর এর আগে কেউ
চাকরি ছাড়তে পারবেনা।
আংকেল - এটা কি বেশি হয়ে গেল না? ?
মেঘ - হলে হবে যারা থাকার তারা থাকবে
বাকিরা চলে যাবে।
যা বলছি করুন।
( তারা কে আর কোথায় খুজব আমি । কই
তুমি? ? কোথায় তুমি?? )
আংকেল - মেঘ চল নতুন অফিস এ ঘুরে আসবে।
মেঘ - হুম।
অফিসে -
মেঘ - hi guys.
im ur new md.
hope u r all well.
i hope u all will do ur best to prove urself
better.and
to take the company to the higher level.
thank u and nice to meet u all.now
go back to ur work.
.
আংকেল - মেঘ একটা কথা বলি বাবা রাগ
করনা।
মেঘ - না বলুন।
আংকেল - বাবা এটা নতুন অফিস।
এটাকে ঠিক position এ আনতে হলে অকেন
গাইড দিতে হবে।
এই বয়সে এটা আমি পারবনা।
তাএ চেয়ে বরং তুমি এটা সামলাও আমি
অইটা দেখি।
মেঘ - হুম। ঠিক।
অকে।
.
পরের দিন-
মেঘ - কেবিন এ বসে আছি।( চেয়ার ঊল্টা
দিকে ঘুরিয়ে)
: may i come in sir.
.
মেঘ : yes.
.
: sir im so sorry .
yesterday i was very sick that's why i couldn't
come.
hi sir im ur p.A.
my name is tara.
nice to meet u.
.
মেঘ - সামনে ঘুড়লাম।
'তারা '
তারা - আপ... আপনি .....
কথা বলতে পারছিলাম না।
চোখ দিয়ে পানি বেয়ে পরছিল।
রুম থেকে বেরিয়ে আসলাম।
মেঘ - তারা! তারা! শুন।
প্লিজ।
আমিও পিছে পিছে গেলাম।
তারাকে ধরে কই ছিলা এত দিন।
আমি তোমাকে কর খুঁজেছি জানো।
তারা - কি হচ্ছে সবাই দেখছে।
ছাড়ুন।
মেঘ : হাত ধরে কেবিন এ আনলাম।
তারা im sorry tara. im sorry.
please forgive me for the last time.
i promise I'll never hurt u again.please tara.
তারা - ছাড়ুন।
আমি এখনি চাকরি ছেড়ে দিব।
আমি আপনার মুখ দেখতে চাই না।
মেঘ - তারা প্লিজ শুন।
আমাকে শেষ বারের...
তারা - না না না।
আমি কিছু শুনতে চাইনা।
মেঘ ( তারাকে থামাতে হবে।
অর ক্ষমা পেতে হলে অকে এইখান থেকে
যেতে দেওয়া যাবেনা)
তারা stop.
maybe u forget something.
.
tara : what??
.
megh : this agreement.
look at this and read ir clearly.
.
তারা : উফফ আমি ভুলেই গেছিলাম।
সিট!
, মেঘ - তুমি চাইলেও পারবেনা চাকরি
ছাড়তে।
যতদিন না আমি বলছি।
তারা : তার মানে এই না আমি আপনার কথা
মত চলব।
আমি আপনাকে চিনিনা।
চিনতে চাই ও না।
got it.
u r my boss.
and behave like a boss.
not like a lover.
.
মেঘ - got it mam.
and i promise to u I'll make u mine again.
.
tara : we'll see that.
.
megh : ok sweethrt.
.
তারা : shut up.
.
megh : flying kiss দিলাম।
রেগে চলে গেল।
তারা তোমাকে যখন পেয়েছি একবার আর
যেতে দিবনা।
তোমাকে আবার আমি আমার করব। করবই।
বাসায় -
মেঘ - রনি আমি তারাকে পেয়েছি।
রনি - উনি এইখানে।
মেঘ - হুম।
তোমার কাজ হচ্ছে অ কই থাকে সেটা খুজে
বের করা।
চলবে

#বস+বয়ফ্রেন্ড #season2
---১৮---
ওর সম্পর্কীয় যাবতিয় তথ্য আমার চাই। ।
এই কাজ টা খুব সাবধান এ করবে
মেঘ - কি ব্যপার রনি খোজ পেলে।
রনি - জি স্যার।আপনার নিউ অফিস থেকে
তারা ম্যাম এর বাসা ৩০মিনিট এর পথ।
২ তালা বিল্ডিং।
১ তালা খালি।২ তালায় ম্যাম থাকে।
বারির মালিক অন্য জায়গায় থাকে।কিন্তু
স্যার owner ত বাড়ি বেচতে চায়।
মেঘ - রনি এক কাজ কর।
owner কে আমার সাথে দেখা করতে বল।
আমি কিনবো বাড়ি।
কিন্তু এইসব যেন তারা এখন টের না পায়।
রনি - জি স্যার।
আমি অফিসে গেলাম।
মেঘ - তারা!
তারা - জি।
মেঘ -আমার কেবিন এ আসো।
তারা - ( শুরু হয়ে গেছে।
কি ভাবছে যা খুশি করতে পারবে? ?
জিবনেও না। হুহ)
তারা - বলুন।
মেঘ - o hello! im ur boss.
এইভাবে কেউ বসের রুমে আসে? ?যাও
নক করে তারপর আবার আসো।
তারা - কিহ??
মেঘ - হুম। যাও যাও
তারা - অকে।
may i come in? ? sir
.
মেঘ - yes
. শুন গত ৬ মাসের রিপোর্ট রেডি করে আমার
কাছে জমা দিয়ে যাও।
তারা : অকে।
আর শুন ৩ দিনের মধ্যে!.
তারা : r u mad or what.
৩ দিনে কিভাবে সম্ভব ?
megh : that's not my pblm.
তারা : খাটাশ একটা।
মেঘ : কি বললা।
তারা :nothing.
.
উফফ এই ডায়নাসোর টা কইথেকে আবার উদয়
হল।
ভুলেই তো গেছিলাম তাকে।
আবার কেন আসল ফিরে।
মেঘ - রনি কাজ হয়ে গেছে? ??
রনি - জি স্যার done.
মেঘ - অকে।
এবার খেল শুরু।
তারা: উফফ একটা taxi অ যাচ্ছে না।
খুব ঠান্ডা লাগছে।
মেঘ - need some help? ?
তারা - জি না।
u can go.
মেঘ - খুব ঠান্ডা পড়ছে।
আর রাত ও অনেক হয়েছে।
if u want i can drop u.
তারা : i told u. i don't need ur hlp.
.
মেঘ - অকে অকে।
তারা - উফফ ঠান্ডা তে জমে গেলাম।
: hello mam. can i hlp u.
?
.
tara : sure.
pls drop me at this address.
.
: sure.
.
তারা : যাক একটা taxi ত পাওয়া গেল।
বাসায় চলে আসলাম ।
রাত তখন ১০ টা।
মেঘ : tnx.
: no its ok.
anyway i got my payment.
.
মেঘ - আমি জানতাম আমি যদি taxi ঠিক করে
দিতাম অ আসতো না।
তাই দুর থেকেই হেল্প টা করলাম।
তারা : যাক আজকে offday.
১দিনের জন্য হলেও অই গুন্ডা কে দেখতে
হবেনা।
কিরে বাইরে এত শব্দ কেন? ?
বারান্দা তে গেলাম।
o hello! what are you guys doing? ?
.
megh : im shifting here sweethrt.
tara : what!!!!!!!
মেঘ : হেহেহে।
অই অই আপনি এইখানেও? ?
আমি আজি owner এর সাথে কথা বলব।
মেঘ - তো বল।
তারা : আপনার কথা বলিনাই।
মেঘ - sweethrt u know something.
আমি এই বাড়িটা কিনেছি।
তারা : কিহ! !!
some one kill him.
.
megh : sweethrt!
tara : অই অই কি sweethrt sweethrt লাগাইছেন
আপনি।
দুর।
রুমে চলে আসলাম।
এখন আবার নিউ বাসা খুজতে হবে।
কে রে বেল বাজায়।
আপনি! ! কি চান।
মেঘ ; রুমে ঢুকে - কি আছে খেতে দেও।
তারা : হোটেল পাইছেন নাকি।
মেঘ : আচ্ছা যাও payment করে দিব।
তারা : আপনি বের হন এখনি।
মেঘ : তারা খুব ক্ষুদা লাগছে।
তারা : তো আমি কি করব। যান যান এখনি।
দিলাম বের করে।
হুহ।
ভাবলাম শান্তি তে কাজ করব।
কিন্তু সকাল সকাল উনি।
উফফ।
ও আল্লাহ ভুমিকম্প শুরু হল নাকি? ?
কান মাথা খায়ে দিল।
উফফ নাহ নিচে যেতেই হবে।
মেঘ - আরে তুমি!! আসো আস।
।তারা : গান থামান। নাহলে volume কমান।।
মেঘ : অকে অকে।
তারা : এত কাজ আর ৩ দিন টাইম।
মাইরালা। উফফ।
সারাদিন ঘরে বসে কাজ করলাম।
ছুটির দিন বরবাদ।
রাত ১ টা। নাহ এখন ঘুমাই।
কিসের শব্দ য়ে যেন ঘুম ভেংেগ গেল।
লাইট দিলাম।
আপ.. আপনি? ?
আপনি আমার ঘরে আসলেন কিভাবে? ??
মেঘ : ইচ্ছা থাকলে উপায় হয় ভুলে গেছ? ?.
তারা : কি চান আপনি।
মেঘ : চাই তো অনেক কিছু দিবা?
তারা : double meaning কথা আমার সাথে
বলবেন না বলে দিলাম।
মেঘ - তারা আমাকে কি মাফ করা যায় না? ?
১ বার শুধু ১ বার।
তারা : না যায় না।
আপনি আমার চরিএ নিয়ে কথা বলেছেন।
আমার ভালবাসাকে অপমান করেছেন আর
এখন আসছেন...
মেঘ - তুমি ত যানো আমি কেমন। আমার রাগ
কেমন।
তুমি তো আমাকে বুঝ। প্লিজ তারা।
।আমি আসলে সিয়াম কে?....
তারা : আপনি না হয় ভুল বুঝেছিলেন।
কিন্তু আমাকে ১বার সুযোগ দেন নি সব বলার।
আরে ভালবাসা থাকলে ভরসা তো করতেন।
সেটাও করতে পারেন নি আপনি।
আপনি যান আমি কিছু শুন্তে চাই না।
যান আপনি।
মেঘ : তারা শুন তারা .......
।তারা : দরজা বন্ধ করে দিলাম।
কেন কেন? ? কেম ফিরে এলেন।
আবার কেন???
নতুন করে ব্যথা দিতে কেন এলেন???
।মেঘ : তারা একবার দরজা খুল।
তারারারা।
তারা : উফফ রেডি হতে হতে দেরি হয়ে গেল।
দরজা খুলে - কি ব্যপার উনি এখানে
ঘুমাচ্ছেন।
এইযে এইযে শুনুন।
মেঘ - কি কি।
তারা : আপনি এখানে কেন।
মেঘ - অহহ যাচ্ছি।
মন খারাপ করে চলে আসলাম।
.
কি করা যায়।
এত মাফ করবেই না মনে হচ্ছে।
কি যে করি।
একটা surprise ডিনার প্লান করি দেখি কি
হয়।
তারা : কাজ শেষ।
যাক আজকের মত।
মেঘ - তারা চল।
তারা : আমি আপনার সাথে যাবব না।
মেঘ - আজ যেতেই হবে চল।
তারা - ছাড়ুন আমার হাত ছাড়ুন।
মেঘ - উফফ তুমি না
চুপ কর।
কোলে তুলে নিলাম।
তারা তুমি এত ভাড়ি হয়ে গেছ না।
তারা ; তো কোলে নিতে কে বলছে নামান।
মেঘ - নামাব। কিন্তু এখানে না।
গাড়িতে বসিয়ে জায়গা মত নিয়ে গেলাম।
তারা - কি ব্যপার এখানে নিয়ে আস্লেন
কেন? ?
মেঘ - তোমার পছন্দ হয়নি।
তারা - আপনার কোনকিছুইই আমার এখন পছন্দ
হয়না ।
so can i go now? ??
মেঘ - তারা এত রাগের কি আছে।
হ্যা আমি ভুল করেছি।
অনেক বড় ভুল
কিন্তু আমি ক্ষমাও তো চাচ্ছি।
১বার কি ক্ষমা করা যায়না।
তারা : না যায় না।
মেঘ - দেখ এই রিং টা তোমার জন্য
কিনেছিলাম।
তোমাকে পড়াবো বলে।অর
হাত ধরে অকে পরিয়ে দিলাম।
তারা - বাহ বাহ যখন ইচ্ছা হল ভালবাসবেন
যখন ইচ্ছা ভুল বুঝবেন।
বাহ আমার ইচ্ছার এখানে কোনদাম ই নেই।
bt im sorry mr. megh. i had enough.
রিং খুলে ছুড়ে ফেলে দিলাম।
মেঘ - তারা অনেকক হয়েছে।
আমি ক্ষমা চাচ্ছি আর তুমি।
তারা - আপনি ক্ষমার অযোগ্য।চলে
যাচ্ছিলাম
মেঘ - হাত ধরে তারা প্লিজ একবার আমার
কথাটা বুঝার চেস্টা কর।
তারা : leave me.
.
megh : no i won't.
first listen to me.
.
তারা - আপনার কথা শুনার কোন interest
আমার নেই।
মেঘ - এবার রাগ উঠে গেল।
আর control করতে পারলাম না নিজেকে।
চুলের মুঠি ধরলাম তারার।
হাত ঘুড়িয়ে তারার পিঠে শক্ত করে ধরলাম।
নিজের সাথে আটকালাম।
তারা তুমি কিন্ত ভুলে যাচ্ছ আমি যা চাই তা
নিয়েই ছাড়ি।
আর আমিতো তোমাকে ভালবাসি তোমাকে
আমি নিজের করেই ছাড়বো।
তারা - জোড় করে নাকি?
মেঘ - দরকার করলে তাই ই।
ভালই ভালই বলছি আমার কথা শুন।
তারা - let's see আপনি কি করতে পারেন।

#বস+বয়ফ্রেন্ড #season2
---১৯---
মেঘ -কি করতে পারি দেখবে। বলেই ঠোটে
কিস করে বসলাম। ।দেখলে কি ককরতে
পারি।
তারা - ঠোট মুছতে মুছতে আপ .. আপনি একটা।
মেঘ - কি একটা।
তারা - ছাড়বোনা আমি আপনাকে। ।
মেঘ - ছাড়াতে চায় কে? ?
তারা - দেখে নিব আপনাকে।
মেঘ - দেখ দেখ প্লিজ।
তারা - দিলাম এক চিতকার।
.
মেঘ - তারা! ! কান ফেটে গেল।
তারা - i hate u i hate u i hate u.
.
megh - bt i lovve u.
.
tara - to hell with ur love.
.
আমি বাসায় যাব।
মেঘ - আমিও যাব। চল।
তারা - আপনার সাথে যাব না।
মেঘ - জোর কিরে তুলে নিয়ে যাব
চুপ চাপ বস।
তারা - চুপ করে গাড়ি তে বসলাম।
বাসার সামনে গাড়ি থামল।
নেমে - আপনাকে দেখে নিব আমি হুহ। বলেই
দৌড়।
মেঘ - হেহেহে।
বাচ্চামি এখন গেলনা।
তারা - পাইছে কি আমারে হ্যা।
১ বছর পর এসে এখন আমাকে ভালবাসা
দেখানো হচ্ছে।
শয়তান, খাটাশ, বিড়াল।
মেঘ - আমি এত কিছু!?.
তারা - পিছনে ঘুড়ে- আপনি!?/
কিভাবে আসলেন!?
মেঘ - তারা তুমি ভুলে গেছ ইচ্ছা থাকলে
উপায় হয়।
তারা - আজকে আপনাকে বলতেই হবে
কিভাবে আসলেন ঘরে।
মেঘ - বলব একটা শর্তে ।
তারা - কি সেটা।
মেঘ - গালে হাত দিয়ে ইশারা দিলাম।
একটা দেও তারপর।
তারা - গালে একটা ঘুসি মেরে দিলাম।
মেঘ - অ আল্লাহ।
তারা - আমার জানতে হবেনা। আপনি যান।
মেঘ - তারার ২ হাত ধরে অর পিঠে শক্ত করে
আটকালাম- কেন আবার প্রেমে পরে যাবে
তার ভয়ে? ?
তারা - মুখ ঘুরিয়ে জি না।
আবার! ? হাহ।
মেঘ - আমি কিস করলেও না? ?
তারা - নাহ। নাহ নাহ।
মেঘ : তারার গালের সাথে গাল লাগালাম।
তারা - কি কর....... বলেই থেমে গেলাম।
মেঘ - তারার নি:শ্বাস শুনতে পাচ্ছিলাম।
খুব ঘন হয়ে উঠছে।
আরেক গালে গাল লাগালাম।
তারা - চোখ বন্ধ করে আছি।
কথা বলার শক্তি ও পাচ্ছিনা।
মেঘ - ঘাড়ের সামনে মুখ নিলাম চুমু দিলাম।
তারা একটু নড়ে উঠল।
কিছু বললনা।
ঘাড় থেকে সরে গলাতে চুমু দিলাম।
নি:শ্বাস ঘন থেকে আরো ঘন হচ্ছে।
তারার দিকে তাকালাম।
লাল হয়ে গেছে।
তারা চোখ খুলল।
আমার চোখের দিকে তাকিয়ে আছে।
অর চোখের চাহুনিতেই আমি পাগল হয়ে
যাচ্ছি।
হঠাত।
তারা - আ আ আ আ আ ( চিতকার)
মেঘ - কি কি কি হল।
তারা - তেলাপোকা।
।আ আ আ আ আ
মেঘ - কথায়? ??
তারা - অই যে।
মেঘ - বাইরে ফেলে দিয়ে আসলাম।
তারা ; আপনি অ এবার ভাগেন যান যান।
বাইরে বের করে দিলাম।
মেঘ - দুর তেলাপোকা romance er ১৪-১৫
বানায় ছাড়ল।
অফিসে -
মেঘ - তারা! এই প্রজেক্ট টা তুমি দেখবে
এখন থেকে।
তারা - কিন্তু আমি একা!?
মেঘ - উহু হিয়া আর রোদ অ দেখবে যেহেতু
অরা বাংলাদেশি। তাই তোমার কাজ করতে
সুবিধা হবে।
তারা - অকে।
মেঘ - দাড়াও।
তারা - কি?
মেঘ - i love u.
.
tara - i hate u.
.
মেঘ - তাই নাকি? ?
তার জন্য ই তো আমার দেওয়া চেইন পড়ে
থাক এখন।
তারা - গলায় হাত দিলাম।
এটা তো জামায় ঢাকা উনি দেখলেন কি
ভাবে? ?
মেঘ : কি করে দেখলাম তাই ভাবছো??
হেহেহে কাল কে গলায় কিস করাএ সময়
দেখেছি।
তারা : আস্তে বলুন সবাই শুনতে পাবে।
তখন অরা ভুল ভাববে।
মেঘ - ভুলের কি আছে
i love u that's why i kissed u.
there is nothing wrong in it.
.
tara : yes there is.
i hate u hate u hate u.
বলে চলে আসলাম
মেঘ - তোমার hate u teo love u লুকিয়ে আছে।
i know.
তারা - উফফ।
হিয়া - কি হল।
তারা - কিছুনা।
হিয়া - তারা উনি কি আবার আগের মত শুরু
করেছেন নাকি?
দেখ আমি রোদ সব ই জানি।
কোনো হেল্প লাগলে প্লিজ আমাদের সব
জানাবি।
তারা - হুম।
তোরা ছাড়া এখন আর আমার আছেই কে।
ফোন আস্ল।
তারা - হ্যালো সিয়াম।
সিয়াম - কেমন আছিস? ?
তারা - এইত আছি।
সিয়াম - কথা এমন শুনা যাচ্ছে কেন?
কিছু হয়েছে।
তারা - না না।
হিয়া ( তারার থেকে ফোন নিয়ে)
সিয়াম ভাইয়া সর্বনাশ হইছে।
মেঘ তো এখানে।
সিয়াম - কিহ?
তারাকে ফোন দে।
তারা - বল।
সিয়াম - কি শুনলাম।
আমাকে বলিস কি কেন।
তারা - আমি আর তোদের প্যাঁরা দিতে চাই
না।
সয়াম - ১ থাপ্পড় খাবি।
জব ছেড়ে দে।
তারা - পারলে তো দিতাম ঈ।
কিন্তু ৫ বছর এর contract sign করা।
সিয়াম পরে কথা হবে রাখি।
সিয়াম - শুন শুন।
লাইন কেটে গেল।
.
তারাকে তো বলা হলনা মেঘের সাথে আমার
দেখা হয়ে ছিল।
আর অ অইখানে কিভাবে গেল জানা অ তো
হলনা।
তারা এখন কি করবে একা একা।
আমি কি যাব। ??
লিলি তুমি কি ভাব??
লিলি - সিয়াম অদের টা অদের ই দেখতে
দেও।
ভাল কিছু হলেও হতে পারে।
just w8 and watch.
.
সিয়াম - হুম।
মেঘ ; কি ব্যপার তারা কই?
তারা - অহ আল্লাহ don't u have eyes??
.
অহহ আপনি।
অবশ্য আপনার চোখ থাকাও যা না থাকাও
তা।
মেঘ- কি বললা।
তারা - ভুল কি কিছু বললাম।
মেঘ- ফাইল রেডি হইছে? ?
আজ কিন্ত শেষ দিন।
তারা - আজকে হাতে পাইলেই তো হল।
হিয়া - কিরে যাবিনা? ?
তারা - তোরা যা।
আমার কাজ আছে।
রোদ- গেলাম রে তারা থাক।
তারা - হুম।
মেঘ - কি ব্যপার তারা এখন আছে? ?
তাহলে যাওয়া যাবেনা অর অপেক্ষা করতে
হবে।
তারা - এই নিন।
রিপোর্ট রেডি।
মেঘ : well done tara.তুমি তো অনেক
fast হয়ে গেছ।
তারা - whtever.
im going home now.
কিরে দরজা খুলে না কেন।
মেঘ : কারন আমি switch টিপে door lock kore
diyechi.

#বস+বয়ফ্রেন্ড #season2
২০
মেঘ- কারন আমি switch টিপে door lock kore
diyechi.
তারা : কেন? ??
মেঘ - এমনি।
তারা : দেরি হয়ে যাচ্ছে door unlock korun.
.
মেঘ : করব যদি একটা কিস দেও।
তারা : কিহ?
পাগল নাকি।
জিবনেও না।
মেঘ - অকে তাহলে আনার সাথে এইখানেই
থাক।
তারা : আল্লাহ।
বসে থাকলাম চেয়ারে।
দেখছি উনি ফোন এ কথা বলতে বলতে
জানালার সামনে দাড়ালেন।
আমিও সুযোগ মত রিমোট টা নিয়ে দরজা খুলে
দিলাম দৌড়।
মেঘ - তারা! তারা! দাড়াও দাড়াও।
তারা - হায় আল্লাহ একটা taxi অ নাই।
অই রাক্ষস টার জন্য রাত তখন ১১ টা।
ভয় অ লাগছে।
ঠান্ডা অ লাগছে।
মেঘ - অই মেয়ে এত রাতে কি একা যেতে
পারবা।
দেখছ রাস্তা খালি গাড়িতে উঠো।
তারা : উপায় না পেয়ে উঠলাম।
মেঘ - গাড়িতে কত কথা বললাম কিন্তু তারা
কিছুই বলল না।
বাসার সামনে নেমে
তারা : tnx.
।চলে আসলাম।
মেঘ - পাগলি একটা।
কবে যে আমাকে মাফ করবে আল্লাহ জানে।
অফিসে -
মেঘ - good morning all.
all staff - good morning sir.
.
তারা : এইখানে sign লাগবে স্যার।
মেঘ - কোথায়।
তারা : এইখানে।
মেঘ : বুঝছিনা।
পাশে এসে দাড়িয়ে দেখিয়ে দেও।
তারা, ( জানিতো ইচ্ছা করে এমন করছে)
গেলাম পাশে দেখিয়ে দিলাম এইখানে।
মেঘ - অ একটু নিচু হতেই সুযোগ বুঝে আমিও
গালে চুমু দিয়ে বসলাম।
তারা - এটা কি হল।
মেঘ - কি হল?
তারা - disgusting.
চলে আসলাম
দিন দিন টর্চার যেন বেড়েই চলেছে।
কেবিন এ গেলে যখন তখন কিস করে বসবে,
জরিয়ে ধরবে। এভাবে কি তার সাথে পারা
যায়।
আর বাসায় তো আছে ই।
যখন তখন ঘরে ঢুকে যায় ।
আল্লাহ।
এত কিভাবে সহ্য করা যায়।
ফাইল দিয়ে উনার কেবিন থেকে বের হলাম।
উনি উনার সুযোগ মত কিস করে নিয়েছে।
এনি - wht is this tara.
.
tara ; wht.
?
.
anni - kane kane bollam.( did he kiss u again)
.
তারা - u saw it again??
.
anni - no.
ur lips are wet .
look.
.
tara - o Allah.
its nothing.
seriously.
জলদি করে আনার টেবিল এ এসে বসলাম।
অইদিন কিস করার সময় এনি দেখে
ফেলেছিল।
উনার আবার কি।
প্রব্লেম এ তো পড়লাম আমি।
এনি মনে করে উনি আমার বয়ফ্রেন্ড।
মনে না করার ই বা কি আছে।
যা দেখে তা দেখলে মানুষ তাই ভাববে।
জিদ্দে গেলাম উনার রুমে।
অই অই আপনি পাইছেন কি হ্যা।
মেঘ*- কি হল।
তারা - আপনি জানেন সবাই আপনারে আর
আমাকে নিয়া কত কথা বলছে।
মেঘ - কি বলে? ?
তারা - আপনি নাকি আমার বয়ফ্রেন্ড।
মেঘ - খারাপ কি বলছে? ?
আমিতো তোমার বয়ফ্রেন্ড ই।
তারা :কে কে বলছে।
মেঘ - আমি।
তারা; উফফফফ
কথা বলাই বেজার আপনার সাথে।
মেঘ - হেহেহে।
তারা - হাসবেন না।
দুর
চলে আসলাম।
হিয়া - কি রে রেগে আছিস কেন।
তারা - রাগবনা কি করব।
অই খাটাশ এর জালায় কি আর ভাল থাকার
যো আছে।
হিয়া - cool down. yr.
তারা - দুর তোর cool down my foot.
.
থাক গেলাম
হিয়া - কই।
অফিস টাইম শেষ হয়নাই।
তারা - ছাদে যাই হাওয়া খেয়ে আসি।
ছাদে -
মেঘ - ছাদে দেখি তারা দাড়িয়ে- আছে।
বাতাসে চুল উড়ছে।
শিতে কেপে কেপে উঠছে ।
শেষ বিকালের আলো গায়ে মাখাচ্ছে।
কি করছ তারা।
তারা - আপ্নাকে বলব কেন।
মেঘ - তারাকে ঘুরিয়ে নিজের দিকে
আনলাম।
তারা - ছাড়ুন।
মেঘ - চেঁচামিচি কিরলে তোমার ই লোছ।
সবাই আসবে আমাদের এই ভাবে
দেখবে।
তারা - চুপ হয়ে গেলাম।
মেঘ - তারা তোমাকে খুব সুন্দর লাগছে।
তোমার চীখে ডুবে যেতে ইচ্ছা করছে।
তারা - নটাংকি করার আর জায়গা পান না?
মেঘ - কথাটা শুনে রাগ উঠে গেল।
ধরলাম চুলের মুঠি।
তারা - ( ব্যথায়) আহহ।
মেঘ - তুমি আমার রাগ উঠাও কেন।
চুল হাতে নিয়ে কিস করলাম।তারপর
তারা চলে গেল।
তারাকে মানানো সহজ হবেনা।
একদম ই না।
রাস্তায় একদিন ইমুর সাথে দেখা।
ইমু - মেঘ তুই? ?
তুই লন্ডন এ ??
what a surprise! !! তারা কই?
নিশ্চয় honeymoon এ আসছিস।
মেঘ - আরে রাখ তোর আজাইরা প্যচাল।
ইমু - কেন কি হল।
তারা কই? ?
মেঘ - আগে কাহিনি শোন।
সব বললাম।
ইমু - ৪-৫ টা কিল ঘুসি দিলাম।
এর জন্যই তোকে বলে আসছিলাম রাগ টাকে
control কর।
আর তুই!! ভাল হইছে। তারা ভাল করছে।
এখন কি করবি? ?
মেঘ - তুই বল না কি করব।
ইমু - আমি কি জানি??
যা খুশি কর।
মেঘ - তুই আর রাগিস না প্লিজ।
টেনশন এ আছি এমনি তে।
ইমু - আগে তারার মন থেকে অভিমান এর মেঘ
কাটাতে হবে।
শোন এই ক্ষেত্রে জেলাসি ভাল কাজ করবে।
অকে জেলাস ফিল করাতে হবে
নেঘ - আর এই কাজে তুই হেল্প করবি
আমাকে।
ইমু - আমি? ??
কি কস।
মেঘ - হুম হুম।
মিনে আছে তারা তোকে দেখে আগে কত
রাগ হত।
তাই তুই এই কাজ করবি।
ইমু - অকে।
কাল কে অফিসে যাব আমি।
ঠিকানা দে ফোন এ পাঠিয়ে।
মেঘ - ইমুর কথা মত ইমুর জন্য কেবিন এর
বাইরে দাড়িয়ে আছি।
তারা - কিরে হিয়া উনি বাইরে দাড়িয়ে কি
করে।
হিয়া - কি জানি।
তারা - এই যে কি করছেন এইখানে
দাড়িয়ে??
মেঘ - যাই করি।
তারা - অকে যা খুশি করেন।
ইমু - হাই মেঘ. বলেই তারার সামনে মেঘ কে
জরিয়ে ধরলাম।
তারা - হ্যা হয়ে গেলাম।
মেঘ - কিরে কি করছিস ( ফিস্ফিস করে)
ইমু - চুপ থাক।
চল কেবিন এ।
হিয়া- কিরে এটা কি হল?
তারা - আমি কি জানি।
মেঘ - ইমু কি বুঝলি?
ইমু - বুঝলাম অভিমানকাটতে সময় লাগবে।
হিয়া - মেয়েটা কে রে?
তারা - উনার ফ্রেন্ড বলছিলাম না ইমুর কথা
এটা অই মেয়ে।
হিয়া - অমা।
এতদিন পর কি করে এইখানে।
তারা - আমি কি জানি।
হিয়া - তা চিল্লাচ্ছিস কেন।
তারা - এম্নি।
( বাহ বাহ এখন এবার ইমুরে জুটায়ছে) দুর
আমার কি।
মেঘ : ladies and gentleman im presenting imu
as our new employe in our office.
pls welcome her.
.
তারা - ( বাহ বাহ কি সুন্দর)
হিয়া - ব্যপার খানা কি হল।
তারা - আমারে প্রশ্ন করে কি হবে। আমি কি
জানি?
মেঘ - ইমু কে নিয়ে রুমে গেলাম।
কিরে তোর কথা মতই ত সব করছি সব ঠিক হবে
ত।
ইমু - হবে হবে।
মেঘ - তারাকে দেখিয়ে মাঝে মাঝে ইমু কে
জরিয়ে ধরি, হাত ধরি, হাসাহাসি করি।
আর তারা রেগে রেগে উঠে।
আস্তে আস্তে কাজ হচ্ছে।
আজ valentine day-
মেঘ - অফিসে যেয়ে দেখি সবাই সবাই কে
ফুল দিচ্ছে।
তারার টেবিল এর দিকে তাকালাম
ফুল দিয়ে টেবিল এ ভরে গেছে।
কিন্তু তারা কই।
হিয়া।
হিয়া - জি স্যার।
মেঘ - তারা কই?
হিয়া - কফি নিতে গিয়েছে।
মেঘ - আমিও গেলাম গিয়ে দেখি তারাকে
অন্য জন ফুল দিচ্ছে।
রাগ হচ্ছিল কিছু বলতে যাব তখনি ইমু হাত
ধরল।
তারা - ইমু মনে হল।
দেখলাম উনাকে উপরে নিয়ে যাচ্ছে।
আমিও গেলাম পিছে পিছে।
ইমু - তারাকি আছে এইখানে।
মেঘ - হুম।
ইমু - ড্রামা শুরু করি।
happy valentine day megh dr.
ummah.
.
রোদ- তারা নে ফুল তোর জন্য।
তারা - ফুল টা হাতে নিয়ে ৩-৪ টা বাএই
মারলাম রোদ এর মুখে ফুল দিয়ে।
তারপর চলে গেলাম।
( হাহ কত বড় সাহস । বাহ ভালই ত। ভালই
চলছে।
কি সুন্দর সবার সামনে গালে কিস করে)
লজ্জা নাই।
করলে রুমে যেয়ে কর।
সবার সামনে কেন।
হিয়া - কিরে কি বিড়বিড় করিস।
রোদ - অই এটা কি করলি।
সবার ফুল নিল আর আমার সময়।
তারা - সরি রে।
মেজাজ খারাপ ছিল।
মেঘ - হেহেহে দেখলি কি রেগে গেছে।
ইমু - হেহেহে হুম।
চলবে

#বস+বয়ফ্রেন্ড #season2
---২১----
রোদ - কি নিয়া এত রেগে ছিলি আমিতো
দেখলাম স্যার এর দিকে তাকায় ছিলি আর
আমারে বাড়ি মারলি।
হিয়া - অই তুই যা তো তারার সাথে আমার
কথা আছে।
রোদ - না আমি যামুনা।
তুই আমার সামনে বল।
তারা - উফ তোরা থামবি।
আমার মাথা ধরছে।
হিয়া - রোদ, তারা চল আজ পাব এ যাই।
রোদ - আমি রাজি।
তারা - হিয়া আমি কি কোন দিন গেছি অইসব
জায়গায় ??
হিয়া - আমার জন্য চল আজ।
আমিও যাই নাই তাই দেখার খুব ইচ্ছা প্লিজ
আজকেই first and last please.
রোদ - চল না তারা।
তারা - okey bt for the first and last tym.
.
hiya - done.
.
rod - let's go.
হিয়া - তুই না আসলেই পাগল।
অফিস টাইম শেষ হক আগে।
মেঘ - লুকিয়ে অদের কথা শুন ছিলাম।
ইমু অরা তো পাব এ যাবে শুনলাম।
ইমু - আমরাও যাব।
চল।
কাজ শেষ এ -
মেঘ - কিরে অরা বের হচ্ছে চল চল follow
করতে হবে।
হিয়া - অরে বাবা এত মানুষ।
tara - valentine ডে বুঝিস না।
সব কাপাল আসছে।
রোদ - আমার যে কবে girlfriend হবে।
হিয়া - চল অইখানে বসি।
মেঘ - কিরে এত ভিড়ে অদের কই পাই।
ইমু - অই যে অই দেখ।
মেঘ এখন কি করব? ?
ইমু - অদের সামান্য একটু সামনে চল।
মেঘ - কি হবে।
ইমু - চল তো।
মেঘ - কিরে কিরে জরায় ধরিস কেন।
ইমু - আরে তারাকে দেখাতে হবেনা।
নে আমাকে ধর।
মেঘ - কিহ।
ইমু - ছাগল ধর।
হিয়া - অ মোর আল্লাহ।
তারা - কি হল।
হিয়া - অইখানে দেখ।
তারা - জুস খাচ্ছিলাম মুখ থেকে সব পরে
গেল।
যা রাগ উঠছিল বলার বাইরে।
উঠে দাড়ালাম।
হিয়া - কিরে চলে যাচ্ছিস নাকি।
তারা - না।
boy : hello will u dance with me.
.
tara : why not.
sure.
মেঘ - ইমু দেখ তারা অন্য ছেলের সাথে।
আমি যাচ্ছ অর কাছে।
ইমু - আরে থাম।
মেঘ - নাহ আর না।
আমি যাচ্ছি।
তারার হাত ধরে চল এখান থেকে।
তারা - হাত ছাড়ুন ব্যথা লাগছে।
boy : hey man whts ur pblm.
.
মেঘ : look.
she's with me.
okey.
so I'm taking her with me. any pblm? ?
.
boy : no.
.
মেঘ - খুব শক্ত করে ধরে আছি তারাকে।
তারা - u r hurting me.
leave my hand.
মেঘ - অকে।
বলেই কোলে তুলে নিলাম।
গাড়িতে বসিয়ে দিলাম।
হিয়া - হায় রে।
তারা তু তো গায়া।
তারা - এটা কি হল।
মেঘ - চুপ।
গাড়ি থেকে তারাকে নামালাম।
চল আমার সাথে।
ঘরে নিয়ে গেলাম।
দেওয়ালে সাথে অকে শক্ত করে ধরলাম।
কি করছিলে??
তারা : আপনার কি তাতে।
মেঘ - তুমি জানো না আমার কি?
তারা - নিজে করলে দোষ নাই আমি করলেই
দোষ।
মেঘ - অহ এই কথা।
সোজাসোজি বল তুমি জেলাস ফিল
করছিলে।
তারা - jealous my foot.
মেঘ - তাই নাকি? ?
আচ্ছা আর কোনো দিন অইসব জায়গায় যাবা
না।
তারা - যাব যাব যাব।
মেঘ - কি বললে।
তারা - আপনার কি।
মেঘ - আমার কি দেখাচ্ছি বলেই কিস করে
বসলাম।
তারা - আপনি কথায় কথায় এমন কিস করে
বসেন কেন।
আমাকে পাইছেন কি।
মেঘ - i love you why don't u get it.u r just mine.
i want u in my life.
please tara come back to me.
.
তারা - নাহ।
বলেই ধাক্কা মেরে চলে আসলাম।
হাহ কি পাইছে কি?
বাপের সম্পদ পাইছে নাকি।
অফিসে -
হিয়া - এত দেরি হয়ে গেল কেন।
?
তারা - হেরে দেরি হয়ে গেল।
ঘুম থেকে উঠতে পারিনাই।
হিয়া - চোখ টিপে বললাম কেন রাতে কিছু
হইছিল?
তারা - তুই না।
শয়তান একটা।
মেঘ- তারা কেবিন এ আসোতো।
হিয়া - যাও দেখ কি বলে।
তারা - বলুন
মেঘ - এত লেট কেন।
তারা - sorry sir.
আর হবেনা।
মেঘ - u know আমি late জিনিস টা hate করি।
তারা - সরি।
মেঘ - যাও।
আর শুন একটু কম খাও দিন দিন তো মোটা হতে
যাচ্ছ।
তারা - আমি মোটা।
?
মেঘ - কাল কে কোলে নিয়ে তো আমার
কোমড় ব্যথা হয়ে গেছে।
তারা - তো নিতে কে বলছিল।
হুহ।
মেঘ - মেয়েদের মোটা বললে এত রাগে কেন।
আল্লাহ জানে।
তারা - আমি কোন দিক দিয়া মোটা।
উনার চোখ কানা
.
হিয়া - রেগে আছিস কেন?
তারা - আমি মোটা?
হিয়া - কে বলছে?
তারা - কে আবার অই রাক্ষস এ।
হিয়া - হেহেহে।
তুই মোটা হলে আমি কি।
কিন্তু তোকে এত দুর্বল লাগছে কেন?
তারা - না কিছু না।
ঘুম হয়নি কাল কে তাই।
হিয়া - চল কফি খেয়ে আসি।
তারা - চল।
হিয়া -- তারা কাজ শেষ চল এবার। -
মেঘ - তুমি যাও হিয়া তারা আমার সাথে
অকে।
তারা - না হিয়া দাড়া।
মেঘ - না বলছি তো।
তুমি যাও হিয়া।
তারা - আমি কেন আপনার সাথে যাব।
মেঘ - শাস্তি বাকি আছে।
তারা - কিসের?
মেঘ - দেরি করে আসছিলা যে তার।
বাসায় -
তারা - কি করতে হবে বলুন।
মেঘ - তারা কে জড়িয়ে ধরে দাড়াও ভেবে
নেই।
তারা - আগে ভাগেই হাত দিয়ে ঠোট
ডাকলাম।
মেঘ - কি হল এটা।
তারা - কিছুনা।
আপনি বলেন।
মেঘ - জি না ম্যাডাম আপনি যা ভাবছেন
সেটা করবনা।
রান্না ঘরে যেয়ে কিছু রান্না কর।
আমি ফ্রেশ হয়ে আসি।
ফ্রেশ হয়ে দেখলাম
তারা রান্না ঘরে।
মনে পরে গেল তারা তো রান্না পারেনা।
একদিন যে রান্না করছিল তা আর ভাবা
যায়না।
দেখি ফ্রিজ এ কিছু আছে নাকি।
নাহলে তারার খাবার খেয়ে মরতে হবে।
রান্নাঘরে যেয়ে দেখি তারা নুডলস রান্নার
প্রস্তুতি নিচ্ছে।
টমেটো কাটছিল।
পিছন দিক দিয়্র জরিয়ে ধরলাম।
তারা - আল্লাহ ভুত ভুত।
মেঘ - আমি ভুত না silly।
তারা তোমার আংগুল কেটেছে।
তাড়াতাড়ি আংগুল টা মুখে নিলাম।
মুভিতে যেমন নেয়।
হেহেহে হিরো সাজলাম আরকি।
তারা - নিজেরে কি হিরো ভাবেন।
ছাড়েন।
মেঘ - আচ্ছা হাতটা পানি দিয়ে ধুয়ে ব্যান্ডস
করে দিলাম।
তারা - আপনার জন্য হল এটা।
মেঘ - এত ভয় পেলে হয়।
।বসো এখানে।
তারা - কই যান।
মেঘ - আসছি।
রান্নাঘর এ যেয়ে নুডলস রান্না করে আনলাম।
নেও তারা খেয়ে নেও।
তারা - খেয়ে নিজের ঘরে গেলাম।
বারান্দা তে দাড়িয়ে ভাবছি তাকে কি
আরেকবার সুযোগ দেওয়া যায়? ?
না না কি ভাবছি।
একদম না।
সকালে অফিসে -
রোদ - কিরে মাথায় হাত দিয়ে বসে আছিস
কেন।
তারা - কিছুনা এমনি।
হিয়া - তোকে অসুস্থ লাগছে।
ছুটি নে।
তারা - নাহ দরকার।
হিয়া - দরকার আছে কয়েকদিন ধরেই দেখছি।
মেঘ - কাল কের ফাইল টা দিয়ে যাও।
তারা - এই নিন।
মেঘ - u r looking sick.
r u ok??
.
tara - im fine.
.
মেঘ - কথা বলতে বলতেই তারা অজ্ঞান হয়ে
গেল।
তারারারারা??
কোলে নিয়ে বের হলাম।
all staff- sir is she ok.??
wht happened? ?
.
ইমু - কিরে কি হল।
মেঘ - কথা বলার সময় নাই।
আমি হাসপাতাল এ যাচ্ছি তুই অফিস দেখ।
মেঘ - doctor.
how's she?
anything serious?
.
doc- no no my boy.
she's fine.
just low pressure .
she's weak.
she's sleeping now.
she's need some rest for days.
after that she will be absolutely fine.
.
megh - tnx doc.
.
doc - its ok.
.
তারা - চোখ খুলে ঝাপ্সা ঝাপ্সা দেখছি।
হিয়া তুই? ?

#বস+বয়ফ্রেন্ড #season2
----২২----
তারা - চোখ খুলে ঝাপ্সা ঝাপ্সা দেখছি।
হিয়া তুই? ?
হিয়া+রোদ- ঠিক আছিস?
তারা - আমি এইখানে?
হিয়া - তোকে বলছিলাম ছুটি : নে শুনিস না
কথা।
pressure low তোর।
অনেক weak।
doctor বলল।স্যার কি চিন্তা করছিল জানিস??
বাইরে আছে।
তারা - দেখলাম উনি রুমে ঢুকছে রুমে। ।
রোদ- হিয়া চল স্যার আসছে।
হিয়া - গেলাম থাক।
মেঘ - অর পাশে বসলাম।
এখন কেমন আছ।
তারা - আগের থেকে ভাল।
মেঘ - তুমি এত weak তাহলে ছুটি নিলে না
কেন?
তারা - আমি নাকি মোটা হয়ে যাচ্ছি। ছুটি
নিলে তো আরেক কথা শুনাতেন। ।
মেঘ - তাই তুমি diet করা শুরু করে দিলা? ।
তারা - হুম।
মেঘ - seriously? ??
r u mad or what.
ami just fun korchi.
Allah.
why u r so dumb? ??
.
নেও এটা খাও।
তারা - খাব না।
মেঘ - আমি কিন্ত জোর করে খাওয়াব। সেটা
তোমার ভাল লাগবেনা।নেও হা কর। ।
তারা -খেয়ে নিলাম চুপ করে।
মেঘ - নেও ওষধ নেও।
তারা - না না না না আমি ওষধ খাব না।
তিতা লাগে।
মেঘ - তুমি কি বাচ্চা হা কর। তারা হা কর
বলছি।
তারা : মুখ হাত দিয়ে ধরে রাখলাম। মেঘ -
দাড়াও দেখাচ্ছি মজা।
তারা - দেখলাম উনি ওষধ টা উনার মুখে
নিচ্ছেন।
কি ব্যপার আপনি খাবেন নাকি হাহাহা খান
খান।
কিছু বুঝার আগেই উনি ঝরের বেগে কি
করলেন কিছুই বুঝতে পারলাম না। থু থু।
মেঘ - হে হে। ঠিকি বলেছ ওষধ টা আসলেই
তিতা ছিল।
তারা - এটা কি করলেন আপনি?
মেঘ - কি করলাম ।
ওষধ খাওয়া লাম।
তারা - এটা কোন style? খাওয়ানোর? ।
তারা - তুমি খাচ্ছিলে না কি করব। আমি
একটা মুভিতে দেখেছি
তারা - কি দেখছেন।
মেঘ - নায়ক বেহুশ থাকে। নায়কা এখন ওষধ
খাওয়াবে কি করে নায়ক কে।
তখন নায়কা নিজের মুখে ওষধ নিয়ে নায়কের
মুখের সাথে লাগিয়ে নায়ক কে ওষধ
খাওয়ায়।
ki romantic ! তাই আমিও তাই করলাম আর কি।
তারা - আপনি আপনি।
হুহ মুখ ঘুরালাম।
মেঘ - আমি কুলি করে আসি। আসলেই তিতা
ছিল।
তারা - আমি ফিক করে হেসে দিলাম। ।
মেঘ - কত দিন পর সেই হাসি।
মেঘ - রুমে এসে দেখি তারা ঘুম। বসে
থাকলাম অর পাশে। তাকিয়ে আছি। চোখের
পলক পর তে চায় না।
হাত ধরে বসে আছি।
তারা - চোখ খুলে দেখলাম উনি নেই। আমার
২ চোখ উনাকে খুজছে।
মেঘ - কাকে খুজছ?
তারা - না না কাউকে না।
মেঘ -
আমাকে?
তারা - না ( চিতকার দিয়ে)
মেঘ - হেহেহে নেও খাবার খেয়ে নেও।
অনেক রাত হয়েছে।
তারা - মুখ ঘুরিয়ে আপনি খেয়েছেন।? । মেঘ -
খেয়ে নিব।
তুমি খাও।
তারা - আমি জানি খাবেনা। কিন্তু বলতেও
পারছিনা।
তারা - খাবনা আমি।
।ক্ষুদা নাই।
মেঘ - কেন?
তারা - এমনি।
মেঘ -( আমি জানি আমি খাই নি বলে) আচ্ছা
আমি তুমি এক সাথে খাই? ।
তারা - তাকালাম তার দিকে। লজ্জা নিয়ে
তারা - লাগবেনা।
আপনি খান।
মেঘ - আচ্ছা ঠিক আছে আমিও খাবনা। ।
তারা - আচ্ছা আচ্ছা খাচ্ছি। হা করলাম।
মেঘ - আমি খাইয়ে দিব? ?
তারা - কথাটা শুনে বাশ পরল মাথায়। না থাক
দেন আমি খাচ্ছি।
মেঘ - না না আমি দিচ্ছি।
মেঘ - সকালে তোমাকে ছেড়ে দিবে। ।
তারা - বিল কত?
মেঘ - ২ টা কিস।
তারা - আরো একটা বাশ পরল মাথায় ।
মেঘ - হেহেহে।
ঘুমাও।
সকালে -
গাড়িতে -
মেঘ - ২-৩ দিন তোমার ছুটি।
নো অফিস।
তারা - বাসায় একা একা কি করব? ।
মেঘ - কে বলেছে তুমি একা।
আমি থাকব তো তোমার সাথে।
তারা - এবার বাশ ঝাড় টাই মাথায় পরল।
কি? ??
মেঘ - yes.
thn it's ur place no mine?
.
tara - wht?
.
megh - আরে তুমি কি আমার ঘরে থাকবা
নাকি তোমার ঘরে আমি যাব কোন টা? ।
তারা - একটাও না।
মেঘ - আমি কি তোমাদের কথা শুনব বলে মনে
হয়?
তারা - জিবনে শুঞ্ছেন? ?
মেঘ - শুনব বিয়ের পর।
তারা - কার বিয়ে।
মেঘ - তোমার আর আমার।
তারপর আমাদের একটা মেয়ে বাবু হবে। নাম
রাখব মেঘা।
তারা - আপনি বাবুর নাম ও ঠিক করে
ফেলছেন?
মেঘ - হেহেহে হুম।
তারা - সপ্ন দেখতে থাকেন।
মেঘ - সেতো দেখি ই।
আরো কত কিছু দেখি।
তারা - কি দেখেন।
মেঘ- বলব।
তারা - হুম।
মেঘ - লজ্জা পাবে না তো।
তারা - হুহ আর বলতে হবেনা। বুঝছি।
মেঘ - হেহেহে।
বাসায় আসলাম-.
তারা - bye.
megh - bye কিসের আমি তাহলে তোমার
ফ্লাটে যাব?
তারা - আপনি কি serious?
.
megh - of course.
.
তারা - উফফফ।
না আমি আসছি।
ব্যাগ নিয়ে আসি।
মেঘ - অকে।
তারা - দরজা খোলা অথছ কেউ নেই ব্যপার
কি।
রনি - mam how r u.
.
tara - fine.
কেমন আছ তুমি।
রনি - জি ভাল।
আপনি এই রুমে বসুন স্যার বাইরে গেছে। ।
তারা - অকে।
।উনার রুম টা একবার দেখে আসি। রুমের
দরজা খুলেই চোখ কপালে উঠল। তার খায়েএ
পিছনের দেওয়ালে আমার ছবি অনেক বর
ফ্রেম এ।
কিন্ত্ এই পিক কবে তুলল। ?? এটাতো যেদিন
১ম শাড়ি পরেছিলাম সেদিনের ছবি।
মেঘ - জি একদম ঠিক।
অইদিনের ঈ।
তোমার অজান্তেই তুলেছি।
তারা - হুহ।
মেঘ - পিছন থেকে তারাকে জরিয়ে ধরলাম।
তারা - যখন তখন শুরু হয়ে যায় আপনার তাইনা।
মেঘ - এখন তো বাসায় আছি কে দেখবে। ।
তারা - না আপনি ছাড়ুন ছাড়ুন, , আরে ছাড়ুন। ।
মেঘ - wht a annoying mouth!
বলেই মুখ সামনে ঘুরিয়ে কিস করে বসলাম। ।
তারা - হাতে খামছি লাগায় দিলাম নখ
দিয়ে।
মেঘ - ও আল্লাহ! !
তারা - ভাল হইছে।
আর করবেন?
মেঘ - করব মানে দাড়াও দেখাচ্ছি মজা।
এবার ওর হাত ২ টা শক্ত করে ধরলাম। এবার
কি হবে তারা? ?
তারা - এই এই ভাল হচ্ছেনা কিন্তু। ।
মেঘ - খামছি দেওয়ার আগে মনে ছিল না? ?
আর এটা আমি আমার বিল নিচ্ছি।
.চলবে

#বস+বয়ফ্রেন্ড #season2
-----২৩----
মেঘ - wht an annoying mouth!
বলেই মুখ সামনে ঘুরিয়ে কিস করে বসলাম।
তারা - হাতে খামছি লাগায় দিলাম নখ
দিয়ে।
মেঘ - ও আল্লাহ! !
তারা - ভাল হইছে।
আর করবেন?
মেঘ - করব মানে দাড়াও দেখাচ্ছি মজা।
এবার ওর হাত ২ টা শক্ত করে ধরলাম।
এবার কি হবে তারা? ?
তারা - এই এই ভাল হচ্ছেনা কিন্তু।
মেঘ - খামছি দেওয়ার আগে মনে ছিল না? ?
আর এটা আমি আমার বিল নিচ্ছি।
তারা - কিসের বিল।
মেঘ - অইখানে বলেছিলাম মনে নেই।
তারা - আমি টাকা দদিয়ে দিচ্ছি ছাড়ুন।
মেঘ - টাকা নিব না।
আমি।
এইটাই নিব।
১হাত দিয়ে শক্ত করে অর ২হাত অর পিটগের
সাথে লাগিয়ে দাড়িয়ে আছি।
আরেক হাত দিয়ে অর গাল ধরে যা করার শুরু
করে দিলাম।
তারা ১মে বাধা দিচ্ছিল কিন্তু পরে শান্ত
হয়ে দাড়িয়ে থাকল।
আমি দেকগ্লাম তারা চোখ বন্ধ করে আছে।
আস্তে করে হাত টা ছেড়ে অকে আরো শক্ত
করে জরিয়ে ধরলাম।
হঠাত করে খেয়াল করলাম তারা হাত দিয়ে
শক্ত করে আমার চুল ধরে আছে।
আরেক হাত দিয়ে আমার জেকেট।
কত ক্ষন এইভাবে ছিলাম জানিনা।
তারাকে ছেড়ে অর দিকে তাকালাম এখনো
চোখ বন্ধ করে আছে।
ঠোট ২টা ভিজে আর লাল হয়ে আছে।
হাত দিয়ে মুছে দিলাম।
তারা চোখ খুলল।
তারাকে কোলে নিলাম।
তারা - কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন।
মেঘ - কানের কাছে মুখ নিয়ে ফিস্ফিস করে
বললাম we need fresh air now sweethrt.
তারা লজ্জা পেল।
ছাদে -
মেঘ - তারা আমরা নতুন ভাবে শুরু করতে
পারিনা??
এক বার ভেবে দেখনা।
আমি তোমাকে ভালবাসি বলেই তো over
react করেছি।
তুমি কি বুঝতে পারছনা।
তারার হাত টা ধরলাম।
তারা - আমি নিচে যাচ্ছি।
আমার ভাল লাগছেনা।
মেঘ - তারা দাড়াও।
।এই মেয়ে কি আমাকে মাফ করবেনা
কোনোদিন অ।
আমি কি আমার ভালবাসা ফিরে পাবোনা
কখনো।
নাহ হার মানলে চলবেনা।
নিচে গেলাম।
তারা! তারা!
কিরে সাড়াশব্দ নাই কেন কই গেছে।
অর রুমে গেলাম।
অহ শাওয়ারে গেছে।
তারা - বাইরে বের হলাম।
বাহ বিছানায় খুব সুন্দর একতা গাউন দেখতে
পেলাম।
লং এন্ড ব্লাক।
সো নাইছ।
নিশ্চয় উনি রেখে গেছে।
কিন্তু আমি পরবো না।
হুহ।
কারন রাগ দেখানোর জায়গা লাগবে তো।
অন্য জামা পরলাম।
রুম থেকে বের হলাম।
মেঘ - তারাকে দেখে মেজাজ টাই খারাপ
হল এত ভাল একতা জামা দিলাম আর অ
গেঞ্জি আর জিন্স পরে বের হল।
অই মাইয়া আমার জামা চোখে পরেনি?
তারা - নাহ।
মেঘ - তাই আচ্ছা আমি দেখাচ্ছি।
টেনে রুমে নিয়ে গেলাম।
গাউন হাতে নিয়ে তারার দিকে দিলাম।
নেও পড়।
তারা - না।
মেঘ - পড় বলছি।
তারা - না না না।
মেঘ - পড়বেনা?
ঠিক আছে আমি পড়িয়ে দিচ্ছি বলেই হাত
বাড়াতেই
তারা - হাত থেকে জামা নিয়ে পড়ছি পড়ছি।
মেঘ - গুড।
রেডি হয়ে আস।
তারা - রেডি হয়ে বাইরে আসলাম।
মেঘ - তারার গলায় সেই চেইন টা।
দেখা যাচ্ছে।
তারা - কি করছেন।?
মেঘ - এটা পুরান হয়ে গেছে।
তারা - এটা খুলবেন না।
বলে সরে গেলাম।
মেঘ - কেন?
তারা - আমি না বলেছি তাই।
মেঘ - আচ্ছা।
চল।
তারা- কই?
মেঘ - চল ঘুড়ে আসি।
তারা - তাড়াহুড়া করতে যেয়ে গায়ে জেকেট
পরিনি শীতে অবস্থা খারাপ।
হাত দিয়ে হাত ডলছি।
মেঘ - শীত লাগছে।
নেও এটা পড়।
তারা - লাগবেনা
মেঘ - অকে।
বাইরে থেকে ডিনার করে বাসায় ফিরলাম।
তারা - হাচি দিতে দিতে জিবন শেষ।
ঠান্ডা লেগে গেছে।
মেঘ - নেও কফি খাও।
তারা - কফি মুখে নিয়ে এসে গেল হাচি।
সামনে তাকিয়ে দেখি সব উনার মুখে যেয়ে
পড়ছে।
sorry sorry sorry.
মেঘ - তারারারা।
তারা - আমি সোজা রুমে যেয়ে দিলাম দরজা
বন্ধ করে।
মেঘ - শাওয়ার নিয়ে বের হলাম।
রুমের দরজা লাগাতে যাচ্ছিলাম দেখলাম
তারা আস্তে আস্তে বাড়ির মেইন দরজা
খুলছে।
তারা!
তারা - কি কি কি কে কে।
মেঘ - কি করছ?
তারা - কি কি কিছুই না হেহে।
রুমে যেতে নিচ্ছিলাম।
মেঘ - দাড়াও দাড়াও।
পালিয়ে যাবে কই?
তারা - হুহ।
আরে আরে কই নিয়ে যান।
মেঘ - রুমে ঢুকিয়ে দিলাম।
বাইরে দরজা বন্ধ করে দিলাম।
থাক এবার।
তারা - ভাল হচ্ছেনা কিন্তু।
খুলুন খুলুন।
শুনছেন।ঘরের সব ভাংচুর করলাম যেন দরজা
খুলে।
রনি - স্যার কি হইছে।
মেঘ - যা খুশি করুক।
তুমি যাও।
সকালে -
মেঘ - এখন দরজা খুলুলে হুদাই রাগ দেখাবে।
থাক।
তারা - সকাল শেষ হয়ে দুপুর হল।
আমার ক্ষুদা লাগছে আর কুত্তাটা দরজা
খুলছে না।
মেঘ - হাতে খাবার নিয়ে দরজা খুললাম।
কু ক্ষুদা লাগছে?
নেও খাও।
তারা - খাবনা।
যান ভাগেন।
মেঘ - অকে।
আমি খাটে বসে খাচ্ছিলাম।
আর অকে দেখছিলাম।
তারা - পেটে ইদুর রেস করছে আর উনি
আমাকে দেখিয়ে খাচ্ছেন।
কুত্তা বিলাই,
উনার সাননে যেয়ে দাড়ালাম।
হাত থেকে প্লেট নিয়ে নিলাম।
বসে খাওয়া শুরু করলাম।
মেঘ - আরে এটা আমার ......
তারা - আরেক প্লেট এনে খান।
মেঘ - অর খাওয়া দেখছি।
পানি এনে দিলাম।
তারা খেয়ে নিল।
মেঘ - নেও।
তারা - না না না ওষধ খাব না।
মেঘ - কাল কের মত খাওয়াব?
তারা - না না চুপ করে খেয়ে নিলাম।
হুহ শান্তি নাই।
মেঘ - রনি বাইরে যাচ্ছি ও যেন কোরহাও না
যায় দেখে রেখ।
রনি - জি স্যার।
২ঘন্টা পর-
মেঘ - তারা! তারা!
রনি - ছাদে স্যার।
তারা - ছাদে বসে গান শুন ছিলাম।
পাশে উনি বসলেন।
আমি সরে গেলাম উনি আবার সরে আসলেন।
মেঘ - সরে যেয়ে লাভ নাই।
কি গান শুনছ?
কানে দিলাম একটা নিয়ে।
বাহ কি সুন্দর গান।
সন্ধা হচ্ছে চল নিচে।
তারা - আপনি যান।
আমি থাকব।
মেঘ - এমনি ঠান্ডা লাগছে আরো বেড়ে
যাবে।
তারা - লাগবেনা।
মেঘ - কথা শুন না কেন।
কোলে তুলে নিলাম।
তারা - আপনি শুনেন কোন কথা?
মেঘ - তোমার টা শুনব না।
আমার বাবু হক তারপির অর টা শুনব।
তারা - হুহ যে হলইনা তার কথা বলছে।
।বিয়ে হবার খবর নাই আর বাবু।
মেঘ - চল এখনি বিয়ে করে ফেলি।
তারা - অ হ্যালো থামুন।
আপনারে বিয়া?
হুহ।
মেঘ - তুমি কি আমাকে মাফ করবানা?
তারা - না।
মেঘ - তাতে কি তুমি তো আমার ই।
আমি জোর করে বিয়ে করব তোমাকে, তুলে
নিয়ে যাব তোমাকে হাহ।
তারা - গুন্ডা একটা।
মেঘ - হুম তাই ই।
তারা -( আমি আবার নতুন করে তার প্রেমে
পরেছি) তাকে এখনি জানাতে চাই না।
আমার ইগো মাঝখানে চলে আসছে।
মেঘ - কি ভাবছ।
তারা - কিছুনা।
মেঘ - সোফায় বসিয়ে দিলাম।
পাশে বসে টিভি দেখতে লাগলাম।
তারা - উঠে যাচ্ছিলাম।
মেঘ - কোথায় যাচ্ছ।
তারা - আসছি।
রান্নাঘর এ গেলাম উনি পাস্তা খুব পছন্দ
করতেন।
সেটাই রান্না করলাম।
মেঘ - বাহ কি সুন্দর ঘ্রান।
কিন্তু কোথা থেকে আসছে।
তারা - নিন।
মেঘ - দেখতে তো ভালই লাগছে কিন্তু খেতে
কেমন হবে কে জানে।
ভয়ে ভয়ে মুখে দিলাম।
তারা এটা তুমি রান্না করছ
?
তারা - হুম।
মেঘ - সত্যি?
তারা - হুম।
মেঘ- এত ভাল কিভাবে শিখলা।
তারা - তো আপনার কি মনে হয় আমি এত দিন
বাইরের খাবার খেয়ে আছি?
মেঘ - না মানে বিলিভ হচ্ছেনা।
তারা - হুহ।
মেঘ - যাক বউ আমার রান্না শিখে গেছে
তারা - আবার শুরু করছেন।
?
দুর
চলবে

#বস+বয়ফ্রেন্ড #season2
----২৪----
তারা - ঘরে যেয়ে দরজা বন্ধ করে দিয়ে
ঘুমিয়ে গেলাম।
মেঘ - তারা! তারা ! দরজা খুল ।
খাবানা? ??
কিরে দরজা খুলেনা কেন?
তারা! তারারারা! .
তারা - আরে ঘুমাইতেও দিবেন না?
মেঘ - সরি কিন্তু খাবানা??
তারা - নাহ ভাল লাগছেনা।
মেঘ - আচ্ছা ঘুমাও।
সকালে -
তারা - রেডি হয়ে নেই।
বাসায় আর ভাল লাগছেনা।
মেঘ - কোথায় যাচ্ছ।
অফিসে? ??
তারা - হুম।
মেঘ - কিন্তু।
তারা - আমি ভাল আছি এখন।
আপনি যদি যেতে চান তো আসুন।
মেঘ - অকে রেডি হয়ে আসি।
অফিসে -
all staff - r u ok now tara? ?
.
tara - I'm ok.
how r u all guys? good to see u again.
.
all - we r fine.
.
হিয়া - তারা তুই এখন ঠিক আছিস তো।
তারা - হ্যা রে বাবা।
tension নিস না।
রোদ- good to see u again tara.
তারা - same here.
মেঘ - ok guys listen to me I'm throwing a small
party, at my place tomorrow.
please all do come.
.
all - yes sir.
.
তারা - হঠাত কিসের জন্য?
রোদ - কে জানেরে।
তারা - এই প্রজেক্ট এর ফাইল টা একটু চেক
করুন।
মেঘ - হুম রাখ।তারা শুন partyrr arrangements এ
আমাকে hlp korbe?
tara - ok.
ইমু - hi tara.
all ok now?
.
tara - yes.
all ok.
.
ইমু - মেঘ আমি partyrr sob arrangements করে
দিচ্ছি তোকে চিন্তা করতে হবেনা।
মেঘ - কিন্তু আমিতো তারাকে...
ইমু - অকে দেখতে হবেনা।
আমি আছি তো তোর সাথে।
তারা তুমি যাও।
তারা- ( হুহ)
অই মেয়েই যদি সব দেখবে তাহলে আমার
দরকার কি।
?
মেঘ - রাগ হলনাতো।
ইমু - কি বিড়বিড় করছিস?
মেঘ - নাহ কিছু না।
হিয়া- anything wrong sweetie.
.
tara - no yr.
it's nothing
.
হিয়া - চেহারা অন্য কথা বলছে।
তারা - না কিছু না।
হিয়া - অকে।
সন্ধায় -.
তারা - বাসায় আসলাম।
দেখলাম নিচে বাসা সাজানো হচ্ছে।
দরজা খোলা ঘরে গেলাম।
উনি আজ আগেই চলে এসেছে ইমুর সাথে।
হুহ তাতে আমার কি?
ইমু বা মেঘ কাওকে তো দেখতে পাচ্ছিনা।
বাহ সাজানো খুব সুন্দর হচ্ছে।
রনি - আরে ম্যাম আপনি?
তারা - রনি স্যার কই?
রনি - অই রুমে।
তারা - অকে।
দরজা টা খুললাম।
এটা কি হচ্ছে ইমু স্যার এর কোলে? ?
মেঘ - ইমু এখনি তো পরে যেতি তোরে উপরে
উঠতে কে বলছিল বল তো।
ছাগল।
ইমু - সরি।
মেঘ - আরে তারা তুমি।?
আসো আসো।
তারা - না it's ok.
মেঘ - আরে দাড়াও।
দেখ arrangements কেমন হচ্ছে? ?
তারা - ভাল।
আমি যাই।
মেঘ - হাত ধরে থাকনা প্লিজ।
তারা - আচ্ছা।
হাত ছাড়িয়ে।
মেঘ - আচ্ছা দেখনা এইখানে কোন পর্দা টা
সুন্দর লাগবে।
তারা - maybe this one.
.
imu - no dear tara i think that one.
এই তোমরা এইটা লাগাও।
মেঘ - কিন্তু।
ইমু - আরে রাখ তোর কিন্তু।
মেঘ - তারার দিক তাকালাম।
অর মন টা খারাপ দেখলাম।
কিন্তু ইমু তো ....
আচ্ছা তারা কোন flavor এর ice-cream আনবো
vanilla, strawberry or chocolate.
.
tara - vanilla maybe.
মেঘ - অকে।
ইমু - আরে দুর chocolate ভাল হবে।
রনি chocolate তা আনবা।
মেঘ - আরে তারা vanilla পছন্দ করে।
ইমু - আচ্ছা অর জন্য vanilla baki sobar jonno
chocolate.
তারা - im going.
মেঘ - কি হল।
তারা - সব যখন ইমু করছে আমার কি দরকার।
আমাকে জিজ্ঞেস করার কি ছিল।
অকেই সব জিজ্ঞেস করেন।
মেঘ - কিন্তু?
তারা - bye.
.
মেঘ - আরে...
উফফ এ আবার কোন জালা।
ইমু তুই এটা ঠিক করলিনা।
।তারা কস্ট পেল।
ইমু - কিন্তু আমিতো।
আরে রাখ তো কাল কে সব ঠিক হয়ে যাবে।
তারা - আর ভাল লাগেনা।
মুখে বলবে আমাকে ভালবাসে কিন্তু তাহলে
এখন ইমুর সাথে কি করে? ??
আজব।
শয়তান মেয়েটা নিজের ইচ্ছামত চলাচ্ছে
উনাকে।
আর উনিও
হাহ।!
ছিহ!
সকালে -
মেঘ - আজ অফিস বন্ধ দিয়েছি সবার।
তাই শান্তি তে থাকা যাবে আজ।
যাই একবার আমার জানপাখি কে দেখে
আসি।
কিরে এত সকালে দরজায় তালা দেওয়া।
কই গেছে?
সকাল, দুপর,বিকাল শেষ হয়ে গেল।
ফোন অ অফ ব্যপার কি?
কিরে উপরে আওয়াজ হল।
তারা এসেছে?
মেঘ - তারা! তারা!
তারা - আপনি?
মেঘ - কোথায় ছিলে এতক্ষন।
তারা - আপনার কি?
মেঘ - থাক এখন আর রাগ দেখাবনা।
আমার tension হচ্ছিল।
তারা - আমার জন্য নাকি ইমুর জন্য।
মেঘ - তারা এটা কিন্তু ঠিক না।
আমি তোমার কথা বলছি।
আচ্ছা রেডি হয়ে নিচে আসো আমি যাই।
হিয়া - কিরে সবাই নিচে চলে এসেছে তুই
রেডি হইস নি কেন? ?
তারা - আমি যাব না। তোরা যা।
রোদ - তুই না গেলে আমিও যাব না।
তারা - আমার ভাল লাগছেনা।
মেঘ - কি ব্যপার রেডি হউ নি কেন?
নেও এটা পরে নিচে আসো।
তারা - হাত থেকে নিয়ে ফেলে দিলাম।
আমি যাব না।
।আপনি যান।
মেঘ - রাগ উঠালে কিন্তু ভাল হবেনা।
হিয়া - স্যার স্যার আমি রেডি করে আনছি।
আপনি যান।
মেঘ - make it hurry.
.
hiya - ok.
sir.
.
কিরে কি হইছে?
তারা - দেখলি দেখলি তোরা কেমন করে
আমার সাথে।
হিয়া - আচ্ছা হইছে।
রোদ নিচে যা আমি অকে রেডি করে আনি।
রোদ - হুম।
হিয়া - তারাকে রেডি করতে করতে বললাম-
তুই না এবার একটু রাগ দেখানো কমা।
উনাকে একটা সুযোগ দে।
দেখ তুইও তো উনাকে ভালবাসিস।
সেটা তো আমিও জানি আর তুই ও।
চল নিচে।
তারা - উনার বাসায় ঢুকতেই
সবাই বলে উঠল।
happy birthday to u.
happy birthday to u tara.
তারা - আমিতো অবাক।
আজ আমার জন্মদিন আর আমার ই মনে নেই।
আর এই পার্টি আমার জন্য??
হিয়া - জি ম্যাম।
তোমার জন্য।
স্যার প্লান করেছে।
হেহেহে।
মেঘ - তারা নেও কেক টা কাটো।
কেক কাটলাম।
সবাই কে খাইয়ে দিলাম।
হিয়া - সস্যার কে খাওয়ালিনা?
তারা - প্লেটে দিলাম।
নিন।
মেঘ - প্লেট টা নিয়ে রেখে দিলাম।
চলে গেলাম রুমে।
আমাকে খাইয়ে দিলে কি হত।
ইমু - কি হলরে?
মেঘ - কিছুনা।
ইমু - একটা হেল্প করবি।
মেঘ - বল।
হিয়া - its not right.
ঠিক করলিনা এটা।
তারা - কি?
হিয়া - দেখ উনি কেক না খেয়ে চলে গেল।
এটা কি ঠিক করলি?
উনি এত প্লান তোর জন্য করল।
আর তুই সামান্য কেক টা খাওয়ায় দিলিনা?
নে ধর যা স্যারের কাছে।
তারা - কেক নিয়ে উনার রুমের দিকে
গেলাম।
তারপর যা দেখলাম আসা করিনি।প্লেট টা
হাত থেকে পরে গেল।
মেঘ - আরে তারা অইখানে কেন ভিতরে
আসো।
তারা - ভুল সময় চলে এসেছি তাইনা।
মেঘ - তারা দাড়াও দাড়াও।
হিয়া - কিরে তারা এভাবে চলে যাচ্ছে
কেন?
রোদ - পিছে পিছে স্যার অ।
হিয়া - ব্যপার টা কি হল?
রোদ - অই দেখ ইমু চল জিজ্ঞাস করি।
হিয়া - কি হল আবার?
ইমু - মেঘ আমার গলার চেইন এর হুক
লাগাচ্ছিল।
এটা বাকা হয়ে গেছে তাই আমি একা
লাগাতে পারিনা।
আর মেঘ কে বললাম দাত দিয়ে চেপে দিতে
যেন খুলে না যায়
বাস তারা সেটাই দেখেছে।
ভুল বুঝল।
।আমি যাই অর কাছে।
হিয়া - w8 don't go.
let them solve their pblm alone.
.
ইমু - কিন্তু ব্যপার্ টা বেড়ে গেলে?
হিয়া - আমরা তো আছি।
ইমু - অকে।
মেঘ - তারা! প্লিজ তুমি কান্না করোনা।
জান তুমি ভুল ভাবছ।
আমি তোমাকে বলছি কি হয়েছে।
তারা - আপনাকে বলতে হবেনা।
আমি জানি মুখে যত ই আমার কথা বলুন কিন্তু
আপনি ইমুকে....
মেঘ - না একদম ই না জান। আমি শুধু তোমাকে
ভালবাসি।
তুমি যা ভাবছ একদম ঠিক না।
তারা - কোন টা ঠিক কোন টা ঠিক না আমি
জানি।
এটা আজকে থেকে না ইমু অফিস আসার পর
থেকেই দেখছি।
মেঘ - তারা! জান! তুমি ভুল করছ অঅই গুলা শুধু
তোমাকে...
তারা - আমি শুন তে চাই না কিছু বের হন
আপনি বের হন।
মেঘ - জান! জান! আমার কথা শুন একবার।
তারা - না বের হন।
মেঘ - বাস অনেক হইছে চুপ একদম চুপ।
আমি এত বুঝানোর চেস্টা করছি কিন্তু তুমি।
" শুন তারা তুমি সেই একি ভুল করছ যেটা আমি
দেড় বছর আগে করেছিলাম তোমাকে আর
সিয়াম কে নিয়ে ভুল ভেবে।
তুমি
আজ সেটা ই করছ আমি শুধু অর চেইন টা ঠিক
করছিলাম গলার that's it.আর কিছুনা।
আমি যেমন তোমাকে সুযোগ দেইনি আগে
তাই এতদিন তোমাকে ভুল বুঝে তোমার
থেকে দুরে থাকতে হয়েছে।
কিন্তু এখন তুমি আমাকে ভুল বুঝছ।
সেটাই করছ যা আমি করেছিলাম।
কিন্তু আমি তোমাকে সব সত্যি টা বলে দিয়ে
গেলাম।
আর হ্যা তোমাকে খুব জালিয়েছি।
আর জালাবো না।
জোড় করে তোমাকে পেতে চাইনা।
অনেক তো চেস্টা করলাম
তুমি হয়তো আমার কপালে নেই।
যাও যেখানে খুশি যাও, অফিস, বাড়ি সব
ছেড়ে দেও।
আমি কিচ্ছু বলবনা।
কিন্তু এটাও তোমার গলায় থাকতে দিবনা
বলেই অর গলার চেইন্টা খুলে নিলাম।
তারা - অবাক হয়ে গেলাম।
উনি চলে গেলেন।
উনার শেষ স্মৃতি টাও নিয়ে চলে গেলেন।
যেটা দেখে আমি ১ টা বছর পাড় করেছি।
অইখানে বসে পড়লাম।
কান্না আজকে আর বাধ মানল না।
মেঘ - guys party is over.
u all can go now.
.
ইমু - কি হল।
হিয়া - সব ঠিক আছে তো।
আমি তারার কাছে যাই।
রোদ - আমিও।
ইমু - কিছু বল আমি যাব উপরে?
মেঘ - নাহ যেতে হবেনা।
তুই বাড়ি যা।
i need some rest.
.
imu - oke.
kichu lagle bolis.
.
megh - ok.
.
হিয়া - হইছে হইছে বাস বাস থাম এবার আর
না তারা প্লিজ অসুস্থ হয়ে যাবি কান্না
থামা।
রোদ - তারা প্লিজ কথা শুন।
তারা - আমি আমি কি করব? হিয়া খুব কস্ট
হচ্ছে আমার।
সকালে -
তারা - ঘুম ভাংল।
কিরে হিয়া রাতে যাস নি।
হিয়া - তুই কাল কে অজ্ঞান হয়ে গেলি কি
করে যাই তোকে
চলবে..

#বস+বয়ফ্রেন্ড #season2
Part: ২৫&শেষ
.
অই দেখ রোদ অ যায়নি।
বাইরে নাক ডেকে ঘুমাচ্ছে।
ফ্রেশ হয়ে খেয়ে নে।
তারা - ভাল লাগছেনা।
হিয়া - তারা তুই তোর জিদ এর জন্য ২ টা
জিবন নস্ট করছিস তোর আর স্যারের।
তুই সেই ভুল টা কিরছিস যেটা উনি করেছিল।
একটু ভেবে দেখ তারা।
তুই জানিস তুই তাকে ছাড়া ভাল থাকবিনা।
তারা তুই তাকে আরেক বার চান্স দে।
সব রাগ ঝেড়ে ফেল।
ভালবাসাকে জায়গা দে মনে রাগ কে না।
আমি যাচ্ছি তুই ভাব।
কিছু লাগলে ফোন দিস।
অই রোদ চল।
রোদ - গেলাম।
কিছু হলে ফোন দিস।
হিয়ার কথা গুলা ভেবে দেখ।
তারা - আসলেইতো।
আমি কেন আমার জিদ কে priority দিচ্ছি।
আমি কেন তার মত ভুল করছি।আমাকে মাফ
চাইতে হবে তার কাছে।
রেডি হয়ে অফিস গেলাম।
হিয়া - কিরে তুই অফিসে?
তারা - স্যার কই?
হিয়া - আসেনি।
সন্ধায় -
তারা - কিরে উনি তো আজ এলেন না।
রোদ - Bangladesh ফেরত গেল নাতো।
হিয়া - আরে দুর চুপ কর।
তারা - বাসায় তালা দেওয়া।
বাসায় অ নেই।
রাতে ঘুম হলনা
সকাল-
তারা - কি ব্যপার রাতে আসেন নি?
অফিসে -
তারা - অফিসে যেয়ে দেখি উনি নেই।
অনেক ক্ষন পর আসলেন।
আমাকে একবার দেখলেন অ না।
কয়েক বার কিরহা বলার ট্রাই করিলাম
কিন্তু উনি আমাকে ignore করছেন।
রুমে গেলাম ফাইল দেওয়ার বাহানায় তাও
আমার দিকে তাকাল না পর্যন্ত।
কি করা যায়??
কিছু ত একটা করতে হবে।
নাহলে তাকে আমি হারিয়ে ফেলব।
সন্ধায় -
মেঘ - বাসায় আসলাম।
উফফ ভাল লাগছেনা কিছুনা।
ঘুমিয়ে পরি।
নিজের রুমে গেলাম
একি ঘর এমন সাজানো কেন মোম, ফুল দিয়ে।
কে করল এটা?
পিছন থেকে মনে হল কে যেন জরিয়ে ধরল।
: i love you.
i love you.
i love you so much megh.
.
মেঘ - ( তারা! অবাক হলাম কারন এই ১ম অ
আমাকে নাম ধরে ডাকল তার উপর I love you!
যেটা এতদিন ধরে শুনতে চাচ্ছিলাম।)
তারা এখন আর কিছু হবেনা।
তুমি ফিরে যাও।
তারা ; আমি ফিরে যেতে আসিনি।
আপনার কাছে একেবারের জন্য ধরা দিতে
এসেছি।
আমাকে ক্ষমা করে দিন।
মেঘ - এতদিন আমি ক্ষমা চেয়েছি দিয়েছ? ?
উল্টা। যাক আর কিছু শুনতে চাচ্ছিনা।
তারা - আমি কান ধরছি প্লিজ।
মাফ করে দিন।
মেঘ -
রুম থেকে বের হয়ে গেলাম সোফায় এসে
বসলাম।
তারা - উফফ কি রাগ রে বাবা।
পাশে যেয়ে বসলাম।
ঘাড়ে মাথা রাখলাম।
আমি সরি বলছিতো।
শুনন না।
আপনি আর রাগ হয়ে থাকবেন না।
।কানে ধর লাম
মেঘ - উঠে দাড়ালাম তুমি চলে যাও আমি ......
তারা - উঠে দাড়িয়ে আদর করা শুরু করলাম।
আর তার কথা বন্ধ হয়ে গেল।
মেঘ - অনেক ক্ষন ধরে তারা আদর করে
যাচ্ছে নিজেকে আর control করতে পারলাম
না।
তারাকে জরিয়ে ধরলাম।
তারা - I love you soo much.
.
megh - love you too.
love you too.
.
তারা - একটু উচু হয়ে তার গালে চুমু দিলাম।
মেঘ - এইখানে দিলে হবে?
তারা - তাহলে চোখ বন্ধ করেন।
মেঘ - তুমি এবার আমাকে তুমি করে বলা শুরু
করো।
তারা - হুম।
তাহলে তুমি চোখ বন্ধ করো।
মেঘ - চোখ বন্ধ করলাম.
।তারা - নাকেরর উপর একটা কামোড় লাগায়
দিলাম।
মেঘ - তবে রে তারা দাড়াও দাড়াও বলছি।
তারা - হেহেহে।
মেঘ - পাইছি এখন কই যাবা।
তারা - এই এই ছাড় ভাল হবেনা কিন্তু।
মেঘ - আচ্ছা যাও লাগবেনা।
তারা - রাগ করে আবার। উফফ।
কলার ধরে উচু হয়ে চোখ বন্ধ করে
চুমু দিয়ে বসলাম।
মেঘ - চুমু দিতে দিতেই তারাকে কোলে তুলে
নিয়ে রুমে গেলাম।
দরজা বন্ধ।
( বাকিটা ইতিহাস । সবাই জানে। তাই বলার
দরকার নাই) ।
সকালে -
মেঘ - ঘুমন্ত
তারাকে দেখছি ।
কি অপুর্ব।
অরে তারা জাগছে মনে হচ্ছে।
।ঘুমের ভান করে শুয়ে থাকলাম।
তারা - ভাল হইছে ও এখনো উঠেনি।
আমি ভাগি।
তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে অফিসে চলে আসলাম।
মেঘ - ঘুমের ভান করে শুয়ে থাকতে থাকতে
কখন ঘুমিয়ে গেছিলাম জানিনা।
উঠে দেখি ১১ টা বাজে।
তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে উপর এ গেলাম
অমা তারা চলে গেছে আগেই।
আমি বেরিয়ে পড়লাম।
হিয়া - কিরে তোকে এত খুশি খুশি লাগছে
কেন?
কিছু হইছে।
তারা - না তো কিছুই হয়নি।
হিয়া - তারা তুই কি আমাকে বোকা ভাবিস?
আমি জানি কিছু তো হইছে।
রোদ - পিছন থেকে হিয়ার মাথায় দিলাম
বাড়ি।
হিয়া - কিরে তুই বারি মারলি কেন?
রোদ - মন চাইছে তাই।
হিয়া - ১ টা শয়তান পোলা।
রোদ - হ তাই ই।
তা তোরা কি নিয়ে কথা বলছিলি?
হিয়া - তোর জানতে হবেনা।
চুপ থাক।
মেঘ - অফিসে এসে দেখলাম তারা হিয়ার
সাথে কথা বলছে।
আমি কেবিন এর সামনে দাড়িয়ে- দাড়িয়ে-
দেখছি।
staff - sir why r u standing here.
.
মেঘ - oh no reason.(মাথা চুলকাতে চুলকাতে)
u can go.
দেখলাম তারা আমার দিকে তাকিয়ে আছে।
ইশারা দিয়ে বললাম রুমে আসতে।
রুমে গেলাম।
কিরে কখন আসতে বলেছি এখনও খবর নাই।
উফফ ফোন দিচ্ছি তাও দেখে না নাকি? ?
হিয়া - নে ধর স্যার কে ফাইল টা দিয়ে আয়।
তারা - তুই যা।
হিয়া - যা না প্লিজ।
তারা - বললাম না তুই যা।
হিয়া - ( মনে হয় অইদিনের জন্য যেতে চাচ্ছে
না)
আচ্ছা আমি যাচ্ছি।
মেঘ - ফোন কই রাখছেরে?
মেজাজ খারাপ হয় না এখন?
মেসেজ দেই।
।'অইফোন ধর না কেন '
তারা - ' অফিসে আছি জানোনা? '
মেঘ -
' অই তোমাকে না কখন আসতে বলছি কই তুমি '
তারা -' না আমি আসবনা '
মেঘ - প্লিজ জান তোমাকে দেখতে ইচ্ছে
করছে '
হিয়া - স্যার আসব।
মেঘ - হুম কি কাজ হিয়া?
হিয়া - স্যার ফাইল টা দেখুন।
মেঘ - রেখে যাও।
হিয়া - জি।
তারা - ' বাইরে এসে দেখে যাও'
মেঘ - 'এটা কিন্তু ঠিক না সোনা'
তারা - ' আমি গেলেই দুস্টুমি করবে তুমি আমি
জানি।
'
মেঘ - ' করবনা সত্যি।'
তারা -' ঠিক তো'
মেঘ -' হুম '
হিয়া - কি ব্যপার অইখানে দেখলাম স্যার
ফোন টিপছে এইখানে তারা '
দুর আমি কি ভাবছি এরা ঝগড়া ছাড়া আর
কিছু পারে নাকি।
।হিয়া - কই যাইস?
তারা - স্যারের কেবিন এ।
হিয়া - আমি যেতে বললাম গেলিনা এখন কি
কাজ।?
তারা - দরকার আছে।
হিয়া ( ইমু কে জানাতে হচ্ছে ব্যপারটা world
war 3 na hoye zay.)
.
তারা - কিরে আমাকে আসতে বলে ও কই।
মেঘ - পিছন থেকে জরিয়ে ধরে বলিলাম
এইখানে
তারা - তুমি কিন্তু বলেছিলে দুস্টুমি
করবেনা।
মেঘ - আর তুমি মেনে নিলে??
হেহেহে।
তারা - তুমি কি ভুলে যাচ্ছ অফিসে আছি
আমরা।
কেউ দেখে ফেললে।
মেঘ - কে আসবে আমার পারমিশন হাড়া
এইখানে।
তারা - উফফ ছাড়তো।
মেঘ - ছাড়ার জন্য কি আসতে বললাম।
তারা - ভাল হবেনা কিন্তু।
আরে আরে আবার কোলে নিচ্ছ কেন।
মেঘ - তুমি না অনেক কথা বল।
চুপ করে থাকো।
তারাকে টেবিল এর উপর বসালাম।
আমি চেয়ারে বসে তারার কোলে মাথা
রাখলাম।
i love u tara.
আমি এইদিন টার জন্য কত অপেক্ষা করেছি
জানো।
তারা - লাভ ইউ টু।
মেঘ - তাহলে এভাবে কস্ট দিচ্ছিলে কেন?
তারা - আর ১ বছর তুমি কি করেছ?
মেঘ - হেহেহে।
তারা - হাসছ কেন।
মেঘ - এমনি।
তারা - আচ্ছা অনেক হয়েছে সোরো আমি
যাই।
মেঘ - এত সহজ নাকি যাওয়া আগে ট্যাক্স
দেও।
তারা - আবার শুরু করে দিলা।
না দিবনা সরো।
মেঘ - জান ১ টা অন্তত ১ টা দেও।
নাহলে কাজ করতে পারবনা।
তারা - না দিবনা।
সরো তুমি।
মেঘ - আমি কিন্ত জোড় করে নিব।
।তুমি একটুও romantic না
ইমু - বাহ বাহ এইখানে এইসব হচ্ছে।
২জনেই তাকালাম।
মেঘ - তারাকে নিচে নামালাম টেবিল
থেকে।
তারা - না মানে তুমি যা ভাবছ।
মেঘ : সেটা না হেহেহে।
হিয়া - আমরা ভাবলাম world war 3 হচ্ছে
কিন্তু এখানে তো অন্য কিছুই চলছে।
ভুল সময় চলে আসলাম তাহলে।
চালিয়ে যা।
তারা - কুনই দিয়ে মেঘের পেটে দিলাম গুতা
' তোমার জন্য হল।
মানা করেছিলাম না '
বলে বেরিয়ে আসলাম।
মেঘ - ইমু তুই না সবসময় wrong time e entry নিস।
ইমু হিয়া হাসতে হাসতে চলে গেল।
অরা যখন জেনেই গেছে এখন অন্য একটা কাজ
করতে হবে।
কেবিন থেকে বের হলাম।
তারার কাছে গেলাম।
হাটু গেড়ে বসলাম।
সবাই তাকিয়ে আছে আমার দিকে
কি করছি ভাবছে।
তারা - অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি।
মেঘ - tara i want 2 of us to be a family.
will u marry me? ??
.
আশে পাশের থেকে সবাই হইচই শুরু করে দিল
আর বলল tara say yes, say yes.
তারা - what took you so long. to ask me
yes yes.
i will i will.
.
সবাই হাত তালি দিল।
আনন্দে সবাই হইচই করতে লাগল।
তারার হাতে সেই রিং টা পরিয়ে দিলাম।
পরের দিন বিয়ে টা সেরে ফেললাম।
অফিসের সবাই সাক্ষি হিসেবে ছিল।
ছোট খাট একটা পার্টিতে দিলাম।
সবাই চলে যাওয়ার পর রুমে ঢুকলাম।
ভাবলাম বউ আমার ১ হাত ঘোমটা দিয়ে বসে
থাকবে আমি সেটা তুলব আদর করব।
কিন্তু একি বউ আমার
শার্ট
আর প্যান্ট পরে দারিয়ে আছে।
তারা! একি পরে আছ।
বলতে বলতে তারা আমাকে বিছানায় ফেলে
দিয়ে আমার উপর উঠল।
তারা - আমি নাকি রোমান্টিক না।
এখন দেখাচ্ছি রোমান্টিক কাকে বলে কত
প্রকার আর কি কি।
বলেই লাইট অফ ( বাকিটা যার যার মমত বুঝে
নেন। বলতে পারবনা)
# ৪_বছর_পর -
তারা - মেঘা! মেঘা! মামনি দাড়াও।
দারাও বলছি।
এই শুনছ! মেঘ! শুনতে পারছ?
তোমার মেয়েকে তুমি সামলাও আমি
পারবনা।
মেঘ - এই তো আমার সোনামণি।
মেঘা- pappa!
.
মেঘা - mamma কে জালাচ্ছ কেনো।
তারা - নেও অকে রেডি করে দেও।
মেঘ - মেঘা কে রেডি করে দিলাম।
দৌড় দিয়ে চলে গেল।
তারা দেখি মুখ ঘুরিয়ে দারিয়ে আছে।
কি হল সোনা। জরিয়ে ধরলাম।
তারা - ছাড় তো।
যেমন বাপ তেমন মেয়ে
২ টাই জালিয়ে খায়।এখন একটু অ ভালবাসে
না আমাকে।
মেঘ - কে বলেছে জান।
i love you a lot.
তারা - হুহ।
মেঘ - তারার কপালে চুমু দিয়ে জরিয়ে
ধরলাম।
তারা - হইছে আর আদর করতে হবেনা চল
দেরি হিয়ে যাচ্ছে।
মেঘ - আমার মামনিটা কই গেল।
মেঘা সোনা কই গেল।
মেঘা- pappa.
দৌড়ে এসে কোলে উঠল।
গাড়িতে -
মেঘ - মেঘা তুমি pappa ar mammar মধ্যে
কাকে বেশি ভালবাসো?
মেঘা- pappa! আমি পাপ্পাকে বড় হয়ে বিয়ে
করব।
তারা - এহ pappa শুধু আমার।
আমি কাউকে দিবনা।
মেঘা- আমাল ( আমার)
তারা - আমার আমার।
মেঘ - ২জনই আমার বুকে মাথা দিয়ে আমার
জন্য ঝগড়া করছে আর আমি হাসছি।
দোয়া করবেন এইভাবেই যেন সারা জিবন
কাটাতে পারি।
(শেষ)
সবাইকে ধন্যবাদ।

No comments:

Post a Comment

অদৃশ্য পরী

  ----দেবর সাহেব, তো বিয়ে করবে কবে? বয়স তো কম হলোনা ৷ ----আপনার মত সুন্দরী কাউকে পেলে বিয়েটা শীঘ্রই করে ফেলতাম ৷ -----সমস্যা নাই তো, আমা...