.
সন্ধ্যায় অফিস থেকে বাসায় এসে দেখি বউ অসময়ে শুয়ে আছে,,,
বউকে বললাম এ অসময়ে শুয়ে আছো
কেনো? এক কাপ চা বানিয়ে দাও না।
বউ প্রতিউত্তরে বলল তুমি কি আমাকে কাজের লোক মনে করো?
> আরে তোমাকে কাজের লোক মনে করব
কেন,,, এক কাপ চা বানিয়ে দিলে তুমি কাজের লোক
হয়ে যাবে নাকি।
((বউ))দেখ অফিস থেকে এসে এত ঘ্যান ঘ্যান করবা
না,, এগুলা আমার একদম ভালো লাগে না অসহ্য লাগে।
(আমি)আরে এভাবে কথা বলছো কেন তুমি,,
এক কাপ চা ঐ তো চেয়েছি,,,।
(বউ)তোমার চা তুমি নিজে বানিয়ে খাও?
(আমি)আসলে আজকে অফিসে কাজের অনেক
চাপ ছিল,,, এক মিনিটের জন্যও রেস্ট নিতে পারিনি,,,,
শরীরটা কেমন জানি বেতাল বেতাল করছে,,,, তাই
তোমাকে বলছিলাম এক কাপ চা বানিয়ে দিতে প্লিজ
বানিয়ে দাও না গো।
(বউ)তোমাকে বললাম তো আমি চা বানিয়ে দিতে
পারব না,, ভালো লাগতেছে না আমার।
(আমি)আচ্ছা ঠিক আছে সমস্যা নাই,,,, আমি চা বানিয়ে
খেয়ে নিব,,, বউয়ের কথা গুলো শুনে অবাক হচ্ছি,,
★আমি উঠে কিচেনে চলে গেলাম,,,, আর মনে
মনে ভাবতে লাগলাম,,, আমার বউ তো আগে এরকম
ছিল না, আগে বাসায় আসলে,, সর্বপ্রথম আমার টাই
কোট খুলে
দিতো,,, তারপর আমার হাতে তোয়ালা ধরিয়ে দিয়ে
বলতো যাও ফ্রেশ হয়ে আসো,,, চায়ের কথা
কখনো আমাকে বলা লাগত না,, তার আগেই আমাকে
চা বানিয়ে দিত?
★কিন্তু ইদানিং কেমন জানি হয়ে যাচ্ছে,"" কোন কিছুর
মাঝেই আমাকে সহ্য করতে পারে না,,, সারাদিন রুমে
শুধু শুয়ে থাকে,,, ঠিকঠাক রান্নাবান্নাও করে না,,,,
চায়ের কথা বললে আমাকে উল্টাপাল্টা কথা শুনিয়ে
দেই।।।
★১ বছর আমার পিছনে পাগলের মতো ঘুরে সে,
তার পর আমাকে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করেছে,,, আজ
আমাদের সংসার জীবন ৬ বছর চলছে,,, আমাদের
একটা ৫ বছরের ছেলে আছে নাম রিহান,,, কিন্টার
গার্টেনে লেখাপড়া করে,,, এই ছয় বছরে আমি
কখনো তার ভালবাসার অমর্যাদা করিনি,,, সর্বদা আমি
তাকে হাসিখুশি দেখার চেষ্টা করি,,,, কিন্তু ইদানিং সে
কেমন জানি পাল্টে যাচ্ছে,,,,, জানিনা তার এই পাল্টে
যাওয়ার কারন কি।।।
★ছয় বছর আগের কথা এখনো আমার মনে
আছে,,,, বিদেশ থেকে লেখাপড়া শেষ করে
একটা মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে জব করি,,,, জব করার
কিছুদিন পরে,,, বস আমার কাজের দক্ষতা এবং
পার্সোনালিটি দেখে অনেক খুশি হয়,,, তার কিছুদিন
পরে বস আমাকে ডেকে নিয়ে বলে,,, আজকে
থেকে আমি এ কোম্পানির ম্যানেজিং ডিরেক্টর?
★তারপর থেকে আমি নিয়মিত অফিস করতে লাগলাম,,,
বস বেশিরভাগ সময় দেশের বাহিরে থাকে,,, এজন্য
অফিসের সব কাজ আমাকে সামলাতে হয়?
★একদিন হঠাৎ করে বস একটি মেয়েকে নিয়ে
আসে,,, এবং বলে এই হল ইশিতা আক্তার ঝুমুর,,,
আজকে থেকে এই অফিসে কাজ করবে,,, তুমি
ওকে ওর কাজ দেখিয়ে দিবে...
আমি মেয়েটার দিকে তাকিয়ে দেখলাম,,, উচ্চতা
বেশ মোটামুটি ভালো,,, গায়ের রঙ ধবধবে ফর্সা,,,
জিন্সের প্যান্ট সাদা টি শার্ট,,, বাঁ হাতে একটা দামী
ব্র্যান্ডের ঘড়ি,,,, ডান হাতে আরো অনেক কিছু
আছে,,, মাথার চুল গুলো এক মুষ্টি করে রাবার দিয়ে
বাঁধা,,, সবকিছু মিলিয়ে পারফেক্ট,,, একদম স্টাইলিশ
মেয়ে? আমি মেয়েটাকে মেয়ের ডেকস
দেখিয়ে দিলাম।।
★অফিসে কিছু দিনের ভিতরে মেয়েটা সবার সাথে
পরিচিত হয়ে গিয়েছে,,, হয়তো মেয়েটা সুন্দর বলে,,, অফিসের অনেক ছেলে স্টাফের সাথে
দেখি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে হেসে হেসে কথা বলে।
★তার কিছুদিন পর থেকে আমার কিবিনে আসা যাওয়া শুরু
করলো,,, আমার অনুমতি নেই না,,, এসে নানান কথা
বলতে থাকে,,, এবং প্রায়ই বলে অফিস শেষ হলে
তাকে নিয়ে ঘুরতে যেতে।।
★কিন্তু আমি তার কোন কথা ই শুনি না।।
ইদানিং দেখি বাসা থেকে আসার সময় আমার জন্য খাবার
নিয়ে আসে,,, আমিও তার কথামতো তার রান্না করা খাবার
খাই।
★একদিন আমার কাছে এসে বলল তার বিয়ে ঠিক
হয়েছে,,, কিন্তু সে বিয়ে করবে না,,, আমি তার
কারণ জিজ্ঞাসা করলে,, সে বলে আমি তোমাকে
ভালোবাসি,, আমি তোমাকে ছাড়া অন্য কাউকে বিয়ে
করতে পারব না।।
কিন্তু আমি তাকে সাফ সাফ না করে দেই? কারণ এরকম
স্টাইলিশ মেয়ে দিয়ে আর যাই হোক কখনো সংসার
হই না,,, আমার ছোটবেলা থেকে ইচ্ছে,, গ্রামের
কোন সহজ সরল সোজা মেয়েকে বিয়ে করবো,,,
যার সংসারের প্রতি অবজ্ঞা চরম ভক্তি থাকবে,,, যে
নিজের পার্সোনালিটি নিয়ে ভাববে না,, সংসারের প্রতি
সব সময় মনোযোগ থাকবে,,,
★কিন্তু এই মেয়ে হাল ছাড়ার পাত্র না,,, আমার পিছনে
লেগেই আছে,,,, আমাকে ছাড়া নাকি কাউকে বিয়েই
করবে না।
★হঠাৎ একদিন বস আর আমি একটা নতুন প্রজেক্ট সাইন
করার জন্য এক জায়গায় যাচ্ছিলাম,,, গাড়িতে উঠতে
যাবো এমন সময় ঈশিতা আমার সামনে এসে
দাড়ালো,,, আমাকে আর স্যার কে অবাক করে
দিয়ে হাটু গেড়ে বসে আমাকে প্রপোজ করল।।
★কিন্তু আমি তার প্রপোজাল রিজেক্ট করে দেই,,,
তারপরে ঈশিতা কান্না করতে করতে বাসায় চলে যায়,,,,
স্যার আমাকে অনেক বুঝিয়েছে,,, আমি স্যারকে
বললাম স্যার এরকম মেয়েরা কখনো পরিপূর্ণভাবে
সংসারী মেয়ে হতে পারে না,,, স্যার আমাকে বলল তুমি একটু ভেবে দেখো তোমাকে ভালোবেসে
সংসারী হলেও হতে পারে,,, মেয়েটা যে
একবারে খারাপ তানা?
★আমি স্যারকে বুঝিয়ে বললাম স্যার স্বামী স্ত্রী
দুজন চাকরি করে,,, সে চাকরির সুবাদে স্বামী
স্ত্রী তাদের কর্মস্থলে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে
পরে,,, সংসারের দিকে কারোরই তখন মনোযোগ
থাকে না,,, সারাদিন ডিউটি করে সন্ধ্যায় বাসায় ফিরে
দুজনে টায়ার্ড হয়ে পড়ে,,, তাদের একজনের
মনের কথা আরেকজনের কাছে বলার মত সময় হয়
না,,,,, এক সময় তাদের না বলা কথাগুলো জমাট হয়ে
বুকে বাসা বাঁধতে থাকে,,, তারপরেও তাদের
ব্যস্ততার কারণে,,, তাদের বুকে জমানো কথাগুলো
বলতে পারে না,,, এক সময় দেখা যায় তাদের বন্ধন টা
হালকা হতে থাকে,,, হালকা হতে হতে হঠাৎ করে
একদিন বন্ধনটা ছিন্ন হয়ে যায়?
★তাই আমি বলি কি স্যার গ্রামের কোন সহজ সরল সোজা
মেয়েকে বিয়ে করবো,,, যে শুধু আমার সংসারটা
কে দেখবে,,, আর তার যাবতীয় সব দেখবাল আমি
করব?
★স্যার আর কোন কথা বলল না,,, তার কিছুদিন পরে
হঠাৎ করে আমি অসুস্থ হয়ে পড়ি,,, তিনদিন বিছানা
থেকে উঠতে পারিনা,,, ঈশিতা কারো কাছ থেকে
জানি খবর পেয়ে আমার বাসায় আসলো,,, এবং
আমাকে অনেক যত্ন করে সুস্থ করে তুললো,,,
তার যত্ন আদি দেখে আমি তার প্রতি দুর্বল হয়ে যায়,
তার পর একদিন তাকে রেস্তোরায় ডেকে এনে
বললাম যে,,,
আমার মনে হয় তোমাকে আমি আমার জীবনের সাথে জড়াতে
পারি,,,, কিন্তু একটা শর্তে,,, তুমি চাকরি করতে পারবে
না,,, তুমি শুধু আমার সংসার দেখবে,,,, আর তোমার
যাবতীয় সব দেখা শোনা আমি করব। রাজি থাকলে
বল,,,, সে আমার সব কথা শুনতে রাজি।
এরপর এক সাথে ছয়টা বছরের পথ চলা,,, বিয়ের এক
বছর পরে আমাদের কোল জুড়ে আমার ছেলে
রিহান আসে,,, আমি আমার বউয়ের কোন কিছুর
অপূর্ণতা রাখেনি,,, চাওয়ার আগেই সবকিছু এনে হাজির
করি,, করবই না বা কেন ,, আমার কম কিসের,,,, প্রতি
মাসে 80 হাজার টাকা বেতন পায়,,, নিজের ফ্ল্যাট
নিজের গাড়ি,,,
★বিয়ের আগে তাকে যেরকম ভেবেছিলাম,,,
বিয়ের পর সে ধারনা আমার ভেঙ্গে গেল,,, সে
পুরোপুরি সংসারী মেয়ে হয়ে গিয়েছে,,,
★আমি তার এই সংসারের প্রতি দায়িত্ব বদ্ধতা দেখে,,,
আমি তাকে অনেকটা ভালোবেসে ফেলেছি,,,,,
কিন্তু ইদানিং কেমন জানি হয়ে যাচ্ছে,,, আগের মত
সংসারের প্রতি আর দায়িত্ব বোধ করে না,, আমার
সাথে রাগ দেখিয়ে কথা বললে,,,, আমাকে সহ্য
করতে পারে না,,,, আমাকে আর আগের মত কেয়ার
করে না,,, সময় অসময় খালি বিছানায় শুয়ে থাকে,,,, জানিনা
তার এই পরিবর্তনের কারণ কি,, এসব কথা ভাবতে
ভাবতে এক কাপ চা নিয়ে বারান্দায় গিয়ে বসলাম।।।
★ চা এ চুমুক দিয়ে ছেলের রুমের দিকে খেয়াল
করলাম,,,, ছেলের রুম থেকে কান্নার আওয়াজ
আসছে,, আমি চায়ের কাপটা রেখে আমার ছেলের
রুমে গেলাম,,, দেখি পায়ে হাত দিয়ে কান্না
করছে,,,,, কি হয়েছে আব্বু।
(ছেলে)আমার না পায়ে প্রচণ্ড ব্যাথা করছে?
(আমি)কেন?
(ছেলে)আমি প্রতিদিন স্কুল থেকে হেঁটে বাসায়
আসি, সেজন্য আমার অনেক কষ্ট হয়।
(আমি)কি বলো তোমার আম্মু তোমাকে নিয়ে
আসে না।
(ছেলে)না?
(আমি)তোমার আম্মুকে বলোনি নিয়ে আসার জন্য?
(ছেলে)আমি আম্মুকে বলেছিলাম,,, আম্মু আমায়
অনেক বকেছে,,, এবং বলেছে তোর আব্বুকে
বলিস নিয়ে আসার জন্য।।
★ছেলের কথা শুনে খুব কষ্ট হচ্ছে,,
আমার একমাত্র ছেলে কোন কিছুর অভাব নাই,,, আর আমার
ছেলে প্রতিদিন হেঁটে বাসায় আসে??নাহ ঈশিতাকে
কিছু একটা বলতে হবে,,,
★আমি ছেলের রুম থেকে বউ এর রুমে
গেলাম,,, দেখি খাটের এক পাশ হয়ে শুয়ে আছে,,,
আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলাম,,, তুমি ইদানিং এরকম করছো
কেন,,,?
★সে পটারপট উত্তর দিল কিরকম করছি।
(আমি)তুমি সারাদিন বাসায় থাকো,, আমার ছেলেটার
প্রতিদিন হেঁটে হেঁটে স্কুল থেকে বাসায় আসতে হয় কেন।।
(বউ)তো আমি কি করবো।।
(আমি)কি করবো মানে,,, তুমি সারাদিন বাসায় থাকো
অতচ ছেলেটাকে স্কুল থেকে নিয়ে আসতে পারো না।।
(বউ)★আমার সব সময় ভালো লাগে না,,, তোমার
ছেলেকে তুমি প্রতিদিন স্কুল থেকে নিয়ে
আইসো?
(আমি)আর তুমি সারাদিন বাসায় কি করবে।।
(বউ)রান্নাবান্না ধোয়া পালা কে করে ।।
(আমি)ইদানিং তুমি ঠিকঠাকভাবে রান্না ওতো করো না।।
(বউ)দেখো তোমার সাথে এত প্যাচাল করতে
পারবো না,,, তোমার ছেলেকে তুমি নিয়ে
আসবে,, আমি নিয়ে আসতে পারবো না ব্যাস।
আমি বউকে আর কিছু বললাম না,,, আর কিছু বললে
হয়তো রেগে যাবে?
*আমি আমার ছেলেটার রুমে গেলাম,,, ইদানিং
ছেলেটার প্রতি অযত্ন হয়ে যাচ্ছে। তারপর
ছেলেটার পায়ে মলম দিয়ে মালিশ করে,, ঘুম
পাড়িয়ে আমার রুমে চলে আসলাম।।।
বিছানায় শুয়ে ভাবতে লাগলাম নাহ আমার ছেলেটাকে
এভাবে কষ্ট পেতে দেওয়া যায় না,,, কালকেই গাড়ির
ডাইভার এর ব্যবস্থা করবো?
★বউয়ের দিকে তাকিয়ে দেখি খাটের এক সাইডে
শুয়ে আছে,,, অনেকদিন ধরে রাতে তাকে কাছে টানার চেষ্টা করছি,,, কিন্তু সে আমার কাছে আসে
না,,,, আমিও কিছু মনে করি না,,, কারণ সব সময় তো
মানুষের শরীর স্বাস্থ্য ভালো থাকে না।।
★আজকেও তাকে কাছে পেতে ইচ্ছে
করছে,,, তাই হাতটা ধরে টান দিলাম,,, কিন্তু সে এক
ঝটকা দিয়ে হাতটা ছাড়িয়ে নিল,,,
(আমি)কি হলো এরকম করছ কেন,,, অনেকদিন
ধরে তো তোমাকে কাছে পাই না।।
(বউ)দেখো আমার এখন এগুলো ভালো লাগেনা।।
(আমি)কি বলো গত কয়েকদিন ধরে তোমাকে
কাছে টানছি,,, কিন্তু তুমি আমাকে ফিরিয়ে দিচ্ছ,,,
আজকে আবার কি হলো শরীর অসুস্থ।।।
(বউ) একটু বিরক্তি সুরে হ্যা।
(আমি)আচ্ছা ঠিক আছে তাহলে ঘুমিয়ে থাকো।।
★স্ত্রীকে কাছে পাওয়ার থ্রিব কামনা মনের ভিতর
মাটি চাপা দিয়ে,,, আমিও একপাশ হয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম??
★সকালে ঘুম থেকে উঠে সিদ্ধান্ত নিলাম,,,
আজকে আর অফিসে যাব না,,,, তাই সকাল 9 টায়
ছেলেকে রেডি করে স্কুলে পৌঁছে দিয়ে,বাসার দিকে রওনা দিলাম,, বাসার গেটের কাছে এসে
আমি তো অবাক হয়ে গেলাম,,, একটা সাইকেল বাসার
গেটে রাখা,, আর সাইকেল টা কার সেটা আমিও জানি,,,
সাইকেল টা হল সাব্বিরের,,, আমার ছেলের
প্রাইভেট মাস্টার,, কিন্তু সে এ অসময় আমার বাসায়
কেন,, আমি আস্তে আস্তে বাসার ভিতরে ঢুকতে
লাগলাম।।।বাসায় ঢুকে আমি অবাক হইয়ে গেলাম,আমার শরীর রাগে ফুলতে লাগল......
.
#বিঃদ্র যারা আগে এই গল্পটা পড়েছেন, তারা এড়িয়ে চলুন,শুধু শুধু কপি কপি করে চিল্লাইয়েন না,অযতা চিল্লা চিল্লি করলে ব্লক লিস্টে ঢুকে যাবেন,বিনা ভিসায়,অলরেডি অনেকে ঢুকে আছে ব্লক লিস্টে,শুধু কপি কপি করে চিল্লাইছে তাই।আর হা হইতো অনেকে গল্পটা পড়ে নাই তাদের জন্য দেওয়া, আমি না দিলে হইতো তারাও পড়তে পারতো না।আর পারলে একটা কাজ করেন, সব গুলা গল্পের মেইন লেখক এর নাম লিখে নিজের প্রফাইলে টাইমলাইনে দেন,দেখি কয়জন পারেন এই কাজটা করতে।সো অযতা চিল্লাচিল্লি না করে অন্যকে গল্প পড়তে উৎসাহিত করুন।ধন্যবাদ।
.
#চলবে_কি??
.
.
বাসার দিকে রওনা দিলাম,, বাসার গেটের কাছে এসে
আমি তো অবাক হয়ে গেলাম,,, একটা সাইকেল বাসার
গেটে রাখা,, আর সাইকেল টা কার সেটা আমিও জানি,,,
সাইকেল টা হল সাব্বিরের,,, আমার ছেলের
প্রাইভেট মাস্টার,, কিন্তু সে এ অসময় আমার বাসায়
কেন,, আমি আস্তে আস্তে বাসার ভিতরে ঢুকতে
লাগলাম।।।বাসায় ঢুকে আমি অবাক হইয়ে গেলাম,আমার শরীর রাগে ফুলতে লাগল......
.
কারণ আমার স্ত্রী আর সাব্বির বারান্দায় দাঁড়িয়ে
হেসে হেসে কথা বলছে।
(★)গত 15 দিন যাবত আমার সাথে মনে হয় এভাবে
হেসে এক মিনিটও কথা বলেনি,,, আমাকে দেখে
একটু অপ্রস্তুত হয়ে গেল,সাথে সাথে মুখের
হাসি বন্ধ হয়ে গেল,আমি মনে হয় আমি এসে
তাদের কথাবার্তার নির্ঘাত বারোটা বাজে দিয়েছি?
(★)সাব্বির আমাকে দেখে বলল আরে স্যার
কেমন আছেন।
(আমি)এইতো আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো?
তুমি কেমন আছো।
(সাব্বির) জি স্যার ভালো।
(আমি)তো এ অসময়?
(সাব্বির) আসলে স্যার এদিক দিয়ে একটু বাজারে
যাচ্ছিলাম,,, তাই ভাবলাম দেখা করে যাই।
(আমি)ভালো করেছো চলো ভিতরে চলো চা
খাবে।
(সাব্বির) না স্যার আজকে খাব না,, আজকে বাজারে
জরুরী একটু কাজ আছে।
(আমি)আচ্ছা ঠিক আছে তাহলে যাও।
★আমি আমার রুমে এসে ল্যাপটপ এ কিছু কাজ করব,,
এমন সময় আমার বউ এসে হাজির,,,
(বউ)কি হল আজকে অফিসে যাবানা।।
(আমি)নাহ আজকে ভালো লাগতেছে না,, অফিসের
কিছু কাজ আছে সেগুলো ল্যাপটপের সেরে
নেব।
★সাথে সাথে মুখটা কালো করে আমার রুম
থেকে চলে গেল,,, আমি ল্যাপটপ এর কাজ
রেখে,,, তার পেছন পেছন গেলাম,,, এবং তাকে
পেছন থেকে জড়িয়ে ধরলাম।
(আমি)কি হলো মুখটা কালো করে চলে আসলা কেন?
(বউ)এমনি?
(আমি) চলো আজকে তোমাকে নিয়ে শপিং করব।
(বউ) না আমার শপিং করতে ভালো লাগেনা।
(আমি) কি বলো আগেতো সাপ্তাহে একদিন
শপিংয়ে না গেলে আমার সাথে রাগ করে কথা
বলতে না আর ইদানিং কি হয়েছে তোমার।
কিচ্ছু হয়নি আমার শপিং করতে ভালো লাগে না তাই
শপিংয়ে যাব না।((( একটু বিরক্তি নিয়ে কথাটা বলল)))
(আমি) আচ্ছা ঠিক আছে তুমি না যেতে চাইলে
জোর করব না,,, রুমে এসে ল্যাপটপে কাজ শুরু
করে দিলাম,,,, দুপুর ২ টায় ছেলেকে স্কুল
থেকে বাসায় নিয়ে আসলাম
★দুপুরে খাওয়া-দাওয়া করে বউকে বললাম চলো
আজকে বিকেলে ঘুরে আসি,,,
বউ একরাশ বিরক্তি নিয়ে এমন ভাবে না করল,,, যেন
তাকে জাহান্নামে নিয়ে যাওয়ার কথা বলছি।।
(★)তাই বাধ্য হয়ে রুমে এসে বিছানায় গাটা এলিয়ে
দিলাম,,, বুঝিনা কি জন্য এখন সে সবকিছুর মধ্যে বিরক্তি
ভাব প্রকাশ করে,,,, কিছুক্ষণ পরে আমার ছেলে
আমার রুমে এসে বলতে লাগল,,,
(ছেলে) আব্বু আব্বু?
(আমি) কি হয়েছে বাবা।।
(ছেলে) স্যার এসেছে কিন্তু আজকে আমি
স্যারের কাছে প্রাইভেট পড়বো না।
(আমি) কেন বাবা।।
(ছেলে)আজকের সারা বিকাল তোমার সাথে
ঘুরবো।
(আমি) না বাবা সামনে তোমার পরীক্ষা,,, প্রাইভেট
না পড়লে পাশ করতে পারবা না,,, আরেকদিন তোমাকে
ঘুরতে নিয়ে যাব।
(ছেলে) না আমি আজকে যাব।।
★কি করব ছেলের জোরাজুরিতে বাধ্য হয়ে রাজি
হলাম,,, আসলে আমি এজন্য যেতে চাচ্ছিলাম না যে
আমার বউ ঈশিতা যাবে না।
★আমি ছেলেকে নিয়ে ড্রইং রুমে আসলাম,,,
এসে দেখি সাব্বির বসে আছে,,, আমি সাব্বিরকে
বললাম,,, সাব্বির আজকে ওকে নিয়ে একটু ঘুরতে
যাব,,, তুমি বরং আজকে চলে যাও,,, সাব্বির উঠে চলে
যাচ্ছে,,, পিছন থেকে আমর বউ সাব্বিরকে ডাক দিল,,
(বউ) কি হলো সাব্বির চলে যাচ্ছ কেন?
(সাব্বির) আজকে ভাইয়া রোহান কে নিয়ে নাকি
ঘুরতে যাবে,,, তাই চলে যাচ্ছি...
(বউ) আচ্ছা ঠিক আছে তো চা খেয়ে যাও..
(সাব্বির) না আজকে চা খাব না প্রতিদিনের তো
আসতে হয়.. পড়ে না হয় খাব...
★বিকাল 5 টা ছেলেকে নিয়ে ঘুরতে বের হলাম,,,,
বউকে অনেক করে বললাম আসার জন্য,,, ওর নাকি
শরীর ভালো লাগতেছে না,,, আসতে পারবে না,,,
কি করার তাই বাধ্য হয়ে ছেলেকে নিয়ে ঘুরতে
বের হলাম,,, জানিনা ওর ভিতরে এরকম পরিবর্তন কি
জন্য,,, আগে সাপ্তাহে একদিন ঘুরতে না নিয়ে
গেলে,,, দুদিন আমার সাথে রাগ দেখিয়ে কথা বলত
না...
আর এখন আমি নিজে বলি ঘুরতে যেতে,, সে
বিভিন্ন অজুহাত দেখায়...
★বাবা ছেলে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত ঘোরাঘুরি করলাম,,,
বাসায় এসে ছেলেকে বললাম পড়তে বসতে,,,
আমি আমার রুমে এসে দেখি বউ এমন ভাবে শুয়ে
আছে,,, স্বামী-স্ত্রীর দৈহিক মিলন করার পর যে
অবস্থা হয় সে অবস্থান,,, শাড়ি আওলা জাওলা করে
শরীরের পেছানো,,,, চুলগুলো
এলোমেলো,,,, ঠোটে লিপিস্টিক আঁকা বাঁকা
হয়ে আছে,,,, আমি তাকে বললাম তোমার এই
অবস্থা কেন...
★সে উঠে শাড়িটা শরীরে পেছাতে পেছাতে
বললো,,, আসলে তোমরা চলে যাওয়ার পর মাথাটা
প্রচন্ড ব্যথা করছিল,,, ব্যথার তাড়নাই কখন যে
আউলা যাওলা হয়ে ঘুমিয়ে পরেছি বলতে পারি না,,,,
★আমি তার চোখে বিন্দুমাত্র ঘুমের লক্ষণ
দেখতে পাইনি,,, মানুষ ঘুম থেকে ওঠার পর তার
চেহারায় ঘুমের একটা ভাব থাকে,, কিন্তু আমার
স্ত্রীর চেহারায় ঘুমের কোন ভাবে নাই,,, সে
আমাকে বানিয়ে বানিয়ে মিথ্যা বলেছে সে ঘুমিয়ে
ছিল।।
★রাতে খাওয়া দাওয়া করে ঘুমিয়ে পড়লাম,,,
আজকেও তাকে কাছে টানার চেষ্টা করেছি,, সে
একই কথা তার শরীর ভালো না,,, আমিও আর কিছু
বলতে পারি না,,, কারো ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে কিছু করা
যায় না।।
★সকালে উঠে ছেলেকে স্কুলে পৌঁছে
দিয়ে,, আমি অফিসে চলে গেলাম,,, সন্ধ্যায় বাসায়
এসে দেখি,,, ছেলে বারান্দায় বসে কান্না করছে,,,,
আমি ছেলের কাছে গিয়ে বললাম,,, কি হয়েছে বাবা
কান্না কর কেন?
★ছেলে আমাকে জড়িয়ে ধরে আরো
জোরে জোরে কান্না করতে লাগল,,, কান্না
করতে করতে হেচকি উঠে গেছে,, আমি
ছেলেকে বুকে জড়িয়ে বললাম,,, কি হয়েছে
বাবা
বল আব্বুকে বল।
★কিন্তু ছেলে হেঁচকি ওঠার কারণে কথা বলতে
পারছে না,,, আমি ছেলেকে কোলে নিয়ে
কপালে চুমু দিয়ে বললাম,,,কি হয়েছে বল আব্বুকে
তোমার আম্মু মেরেছে,,,
★ছেলে কান্না করতে করতে,,, মাথা নাড়িয়ে বলল
হ্যা?
★কোথায় মেরেছে দেখি,, ছেলে বাম গালটা
দেখালো,,, আমি তো এতক্ষণে খেয়াল করি
নাই,,,,গালে পাঁচ আঙ্গুলের দাগ পড়ে গেছে,,,
ছোট বাচ্চাকে এত জোরে থাপ্পড় মারে,,, আমি
ছেলেকে বললাম তুমি কি করেছো,, যে তোমাকে এত জোরে থাপ্পর দিয়েছে,,,
(ছেলে) আমি কিচ্ছু করিনি আব্বু,,,
★তুমি কিছু না করলে তোমাকে এত জোরে
থাপ্পর মারবে কেন,,, তুমি নিশ্চয়ই বড় ধরেন কোন
দুষ্টামি করেছো
(ছেলে) না আব্বু আমি কোন দুষ্টামি করি নি,, আমি
সত্যি কথা বলছি।।
★আচ্ছা ঠিক আছে চলো,, আমি আমার
ছেলেকে নিয়ে রুমের ভিতরে গেলাম,,,
যেয়ে দেখি বউ শরীরে চাদর দিয়ে শুয়ে
আছে,,, আমি তো বুঝতে পারি না অসময়ে শুয়ে
থাকার মানেটা কি,,,
★বউ আমার আসা টেরপেয়ে বিছানা থেকে
উঠতে যাবে,,,, আমি বউয়ের দিকে তাকিয়ে তো
আমার চোখ ছানাবড়া,,,, বউয়ের শাড়ি সম্পূর্ণ ভাবে
খোলা,,,, বুকে অন্য কোন কাপড় নেই,,, চেহারা কি
রকম এক ফ্যাকাশে দেখা যাচ্ছে,,,।।।। আমি এগুলার
কথা জিজ্ঞাসা না করে বউকে বললাম,,,
তুমি ছেলেটা কে এভাবে থাপ্পর দিয়েছে
কেন?
বউ-- তোমার ছেলে দিনদিন বাঁদর হচ্ছে,,, আমার
একটা কথা শুনেনা,, দুষ্টমির শেষ চূড়ায় পৌঁছে
গিয়েছে এজন্য থাপ্পড় দিয়েছি।।
★কি এমন দুষ্টুমি করেছে যে এত জোরে
থাপ্পর দিয়েছো। ছেলেটার গালে পাঁচ
আঙ্গুলের দাগ পড়ে গিয়েছে।।
(বউ) কী দুষ্টমি করেছে তোমার ছেলেকে
জিজ্ঞাসা কর,,
★ছেলের দিকে তাকিয়ে দেখি ছেলে ভয়
নিয়ে ওর আম্মুর দিকে তাকিয়ে আছে,,, ওর আম্মু
ওর দিকে তাকিয়ে আছে,,, আমি ছেলেকে বললাম
কি দুষ্টুমি করেছ বাবা,,, কিন্তু আমার ছেলে কোন
উত্তর দেয়না,,, ওকে দেখে বোঝা যাচ্ছে ও
অনেক ভয় পাচ্ছে,,
★আমি ছেলেকে কিছুক্ষণ আদর করে ঘুম
পারিয়ে দিলাম,,, তারপর বউয়ের রুমে এসে বললাম,,,,
কি হয়েছে তোমার,,, কি সমস্যা।
(বউ) কেন কি করেছি আমি।
★তুমি এ অসময় এলোমেলো হয়ে শুয়ে
থাকো কেন,,, কাপড়ের ঠিক থাকে না কোন কিছু
ঠিক থাকে না,, তোমার শরীর যদি অসুস্থ হয় তাহলে
আমাকে বলো,,, তোমাকে হসপিটাল এ নিয়ে যাব।।।
(বউ) আমার এরকম কিছু হয় নাই যে আমাকে
হসপিটালে যেতে হবে,,, মাঝে মাঝে ভালো
লাগেনা তাই ঘুমিয়ে থাকি,,, তাতে সমস্যা কি??( রাগ এবং
বিরক্তি নিয়ে)
★আমি আর কিছু বললাম না,,, রাতে খানার
সময় ছেলেকে ঘুম থেকে ডেকে তুললাম,,,
ছেলে আমাকে কিছু বলতে যাচ্ছিল,,, কিন্তু তার
আগেই আমার বউ চলে আসে,,, আমিও সেরকম
আর গুরুত্ব দিইনি,,,
★পরপর দু'দিন চলে গেল,, এই দুই দিন প্রতিদিন
সন্ধ্যায় বাসায় এসে দেখি,,,, বউ আওলা জাওলা হয়ে
শুয়ে থাকে। কাপড় চোপড় কোন কিছুই ঠিক থাকে
না,,, আমিও তেমন কিছু বলি না,, হয়তো ভেবে নেই
অসুস্থ।
★এর পরের দিন ভোরের সিক্ত সকাল শুরু হওয়ার
আগেই নিঝুম ধারায় বৃষ্টি পড়তে লাগলো,,, বৃষ্টি
মনে হয় পৃথিবীকে অন্ধকারাছন্ন করে তার জল
দিয়ে ভাসিয়ে নিয়ে যাবে সাগরের পট ভূমিকাতে,,,
আস্তে আস্তে রাত তার অন্ধকার কাটিয়ে,,
ভোরের আলো কে নিমন্ত্রণ জানিয়ে,, অন্ধকার
হারিয়ে যাচ্ছে শূন্য কোন এক অজানা পথে,, তার
সাথে সাথে বৃষ্টির ও বেগ কমতে লাগলো,,, যখনই
ভোরের রবি উঁকি দেবে,,, তখনও ঝিরঝির করে
বৃষ্টি পড়তে লাগলো,,,
★আজকে মনে হয় আর অফিসে যাওয়া হবে না,,,
সকালে ঘুম থেকে উঠে এক কাপ চা বানিয়ে
ছেলের রুমে গেলাম,,, ছেলে গভীর ঘুমে
আচ্ছন্ন,, ঘুমন্ত অবস্থায় ছোট বাচ্চাগুলোকে এত
সুন্দর কেন লাগে৷,, মনে হয় বিছানার মাঝখানে
কোন এক পদ্ম ফুল ফুটে আছে,,,, আমি আস্তে
করে ছেলের কপালে একটা চুমু খেলাম,,,
★সাথে সাথে ছেলের ঘুম ভেঙ্গে গিয়েছে,,,
তারপর আমাকে জড়িয়ে তার পাখির মত ছোট্ট ঠোঁট
দিয়ে বলতে লাগলো।
ছেলে) আব্বু আজকে তো বৃষ্টি আজকে আমি
স্কুলে যাব না,,, আমি ছেলেকে জড়িয়ে ধরে
কপালে চুমু দিয়ে বললাম ঠিক আছে আব্বু।
★সকাল 9 টা সূর্য তার আলো দিয়ে পৃথিবীকে
আলোকিত করতে মেঘের সাথে তুমুল যুদ্ধ
লেগে গিয়েছে,,, হয়তো অল্পক্ষণের জন্য
মেঘের জয়ী হবে,,, আবার অল্প কিছুক্ষণের
জন্য সূর্যর জয়ী হবে,,,, অদল বদল করে মেঘ
আর সূর্য আজকের দিনটাকে গুড় অন্ধকার আর
আলো মিলে ফ্যাকাসে করে ফেলেছে,,,,,
★সকালে নাস্তা করে ছেলেকে নিয়ে ঘুমের
দেশে হারিয়ে গেলাম,,, বেলা ১২ টায়
মোবাইলের টিং টিং কোন শব্দে ঘুম ভেঙ্গে
গেল,,, ফোনটা রিসিভ করার সাথে সাথে বস বলতে
লাগলো। কোথায় তুমি তাড়াতাড়ি অফিসে আসো,,,,
★নিজের অনিচ্ছা শর্তেও বসের জরুরি তলবে হালকা
রোদ বৃষ্টির মাঝে বেরিয়ে পড়লাম,,, অফিসে
গিয়ে শুনি আমাদের নতুন কনট্রাকের এর সব
কাগজপত্র ওলট পালট হয়ে গিয়েছে,,,, এগুলো ঠিক
করে আগামী তিন ঘন্টার ভিতরে,,, বসের হাতে
পৌঁছাতে হবে তা না হলে ক্যানসেল দিস কন্টাক্ট,,,
সবাইকে যার যার কাজ দ্রুত শেষ করার কথা বলে আমি
আমার কেবিনে এসে কাজ শুরু করে দিলাম,,, যে
কাজ বাকি আছে মনে হয় না আগামী তিন ঘন্টার
ভিতরে শেষ করা যাবে। তারপরও চেষ্টা করতে
হবে তা না হয়তো কন্টাক ডিল অন্য কোন
কোম্পানির হাতে চলে যাবে।
★আমি খুব মনোযোগ সহকারে কাজ করতে শুরু
করলাম,,, সময়ের দিকে খেয়ালই নাই সময় তার নিজস্ব
গতিতে ঠিকই চলতে লাগলো,,, ঘড়ি দিকে একবার
চোখ বুলিয়ে নিলাম দুপুর ২.৪০ তারপর রানিং কাজ চলতে
লাগলাম,,
★হঠাৎ করে পাশে রাখা মোবাইলে দুইটা টং টং শব্দ
শুনতে পেলাম,,, কাজে এতটাই বিভোর যে কে
মেসেজ দিয়েছে সেদিকে খেয়াল করার
মনোভাব তৈরি হয়নি।
★যখন পুরো কাজ কমপ্লিট হয়েছে,,, তখন
মোবাইলটা হাতে নিলাম,,, মোবাইলের স্ক্রিনের
দিকে তাকিয়ে দেখি,,, আমার খুব পরিচিত নাম্বার
থেকে একটা মেসেজ,,, আর সেই পরিচিত ব্যক্তি
টা হল আমার ওয়াইফ,,, মেসেজটা সিন করে পড়তে
লাগলাম,,,, জান তুমি কোথায়,,,, আজকে আসবানা,,,,
আজকে তো বৃষ্টি হচ্ছে,, প্রচুর মজা হবে,,,
তাড়াতাড়ি চলে আসো,,, আমি তোমার অপেক্ষায়
বসে আছি।
★আমার ওয়াইফ আমাকে এ মেসেজ দিয়েছে,,, এ
মেসেজ টু আমার ছয় বছরের বিবাহ জীবনে
কখনো দেইনি,,, আর এক মিনিটও বিলম্ব না করে,,,
গাড়ি নিয়ে বাসার দিকে রওয়ানা দিলাম,,,
গাড়িতে বসে ঘড়িতে একবার খেয়াল করলাম ৪.৫০,,,
পেটে প্রচন্ড খিদে লেগেছে,,, এতক্ষণ
কাজের চাপে খিদের কথা ভুলে গিয়েছিলাম,,, গাড়ি খুব
স্পিডে চালিয়ে,গেটের সামনে এসে জুড়ে হার্ট
ব্রেক কসলাম,,,, পরে গাড়ি থেকে নেমে
সামনে একটা সাইকেল রাখা দেখতে পেলাম,,, আর সাইকেলটা নিশ্চয়ই
সাব্বিরের,,,
সকালে অফিসে যাওয়ার আগে সাব্বিরকে ফোন
করে জানিয়ে দিয়েছি,,,,, যে আজকে বৃষ্টি
আজকে তোমার আসার দরকার নাই,,, আমার ছেলে
আজকে প্রাইভেট পড়বে না। তাহলে সাব্বির কেন
আসলো? বুকের ভিতর ধুক ধুক করতে শুরু করে
দিয়েছে।
★গাড়িটা গেটের কাছে রেখে আস্তে আস্তে
ভিতরে ঢুকলাম,, হালকা ঝিরঝির বৃষ্টি,, কোথায় থেকে
যেন একটা কান্নার আওয়াজ আমার কানে ভেসে
আসছে বারান্দার দিকে তাকিয়ে তো আমি থমকে
দাঁড়ালাম।।।
#বিঃদ্র যারা আগে এই গল্পটা পড়েছেন, তারা এড়িয়ে চলুন,শুধু শুধু কপি কপি করে চিল্লাইয়েন না,অযতা চিল্লা চিল্লি করলে ব্লক লিস্টে ঢুকে যাবেন,বিনা ভিসায়,অলরেডি অনেকে ঢুকে আছে ব্লক লিস্টে,শুধু কপি কপি করে চিল্লাইছে তাই।আর হা হইতো অনেকে গল্পটা পড়ে নাই তাদের জন্য দেওয়া, আমি না দিলে হইতো তারাও পড়তে পারতো না।আর পারলে একটা কাজ করেন, সব গুলা গল্পের মেইন লেখক এর নাম লিখে নিজের প্রফাইলে টাইমলাইনে দেন,দেখি কয়জন পারেন এই কাজটা করতে।সো অযতা চিল্লাচিল্লি না করে অন্যকে গল্প পড়তে উৎসাহিত করুন।ধন্যবাদ।
.
#চলবে_কি??
.
গাড়িটা গেইটের কাছে রেখে আস্তে আস্তে
ভিতরে ঢুকলাম,, হালকা ঝিরঝির বৃষ্টি,, কোথায় থেকে
যেন একটা কান্নার আওয়াজ আমার কানে ভেসে
আসছে বারান্দার দিকে তাকিয়ে তো আমি থমকে
দাঁড়ালাম।
আমার ছেলে বারান্দার এক কোনায় বসে কান্না
করছে,,,, আমি তাড়াতাড়ি ছেলের কাছে যেতে
লাগলাম,,, ছেলে আমাকে দেখে দৌড়ে আমার
কোলে এসে পরল,,, আমি তাকে পরম মমতায়
জড়িয়ে নিলাম,,,, তারপর বললাম,,, কি হয়েছে আব্বু তুমি
এভাবে কান্না করছো কেন,, আজকেও তোমার
আম্মু তোমায় বকেছে।
না?
তাহলে কান্না করছ কেন।।
আম্মু না।
হ্যা বল?
আম্মু না অনেক খারাপ,, অনেক পচা,
কেন কি করেছে তোমার আম্মু।
আম্মু না প্রতিদিন বিকেলে স্যারের সাথে রুমে
শুয়ে থাকে,,, আমি কিছু বললে আমাকে মারে,,,
কি বলছো তুমি এগুলা?
হ্যাঁ আমি সত্যি বলছি,,, এখনো আম্মুর রুমের স্যার
আছে।।।
ছেলের মুখে এমন কথা শুনে আমার সারা শরীর
কাঁপতে লাগলো,,, এদিকে খিদের তাড়নাই জান যায় যায়
অবস্থা,,, এমন সময় নিজের ছেলের মুখে এমন
কথা শুনে আমার পা যেন মাটির সাথে আটকে গিয়েছে।
আমি কাঁপা কাঁপা পায়ে দরজার দিকে যেতে লাগলাম,,
দরজার কাছে যেতেই একটা মেয়ে মানুষের
গোঙ্গানির আওয়াজ শুনতে পেলাম,,,,, দরজায় একটা
ধাক্কা দিলাম,,, কিন্তু দরজা ভিতর থেকে লক লাগানো,,,,
আমি আস্তে আস্তে জানালার কাছে গেলাম,,, জানালার
পর্দাটা হালকা সরাতেই,, আমার মাথায় যেন আকাশ
ভেঙ্গে পড়লো,,,, আমার পায়ের নিচ থেকে
মনে হয় মাটি সরে গেল,,,
বুকের ভিতরে মনে হচ্ছে কেউই একটা বড়
হেমার নিয়ে এলোপাতাড়ি বারি দিয়ে যাচ্ছে,,,, কি
দৃশ্য দেখলাম আমি,,, নিজের চোখকে বিশ্বাস
করতে পারছি না,,, আমার স্ত্রী এবং সাব্বির দুইজন সম্পূর্ণ
কাপড় বিহীন অবস্থায়,,, একজনের উপর একজন
লেপ্টে আছে,,,, এবং আমার স্ত্রী ওর মাথার চুলে
ধরে ওকে উৎসাহ দিচ্ছে।
আমি আর কিছু ভাবতে পারছিনা,,, আমার মাথা দিশেহারা পাখির
মত ঘুরতে লাগলো,,,, জানালার কাছ থেকে দৌড়ে
গিয়ে আমার ছেলেকে জড়িয়ে ধরলাম,,,
আর জোরে জোরে কাঁদতে লাগলাম,,,।
আব্বু তুমি কাঁদছো কেন?
আমি কোন কথার জবাব দিচ্ছি না,
আমি ছেলেকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে আছি।
জানো আব্বু আজকে না আমি লুকিয়ে লুকিয়ে
আম্মুর মোবাইল নিয়ে আসি,,,
তারপর তোমার নাম্বার আর স্যারের নাম্বার এক করে
দিই,,, তুমি যেন বুঝতে পারো,,,
আমি অবাক হয়ে ছেলের কথা শুনে ছেলের
দিকে তাকালাম,, কি নিষ্পাপ ফুলের মত চেহারা,,, একটা
পাঁচ বছরের ছেলের মাথায় কতটুকু বুদ্ধি,,, ঠিক আমার
মত হয়েছে,,, কলেজে থাকতে আমাকে সবাই
জিনিয়াস বলে ডাকতো?
আমি ছেলের কপালে একটা চুমু দিয়ে,,, আবারো
তাকে জড়িয়ে ধরলাম।
আমার ছেলে আস্তে আস্তে আবারো বলতে
লাগলো,,, জানো আব্বু ঐদিন আমি কোন দুষ্টামি করি
নি,,, স্যার আমাকে না পড়িয়ে,, আম্মুর রুমে চলে
গেল,,, পরে আমি যেয়ে দেখি আম্মুর বিছানায় স্যার শুয়ে আছে। আমি
রুমে গেলে আম্মু আমাকে জোরে গালে থাপ্পড়
মারে,, এবং বলে তোর আব্বুকে যদি এ কথা বলিস
তাহলে তোকে মেরে ফেলবো,,,
আমি আমার ছেলের কথা শুনে,,, আমার পায়ের রক্ত
মাথায় উঠে গেল,,,
পরক্রিয়ার জন্য নিজের ছেলেকে মারার কথা মানুষ
বলে,তা এখন আমি বিশ্বাস করছি, আমি এখন বুঝতে পারছি কেন ঐদিন আমার ছেলে এতটা ভয় পেয়েছিল,,,, আমাকে বলতে
যেয়ে ও কেন বলতে পারেনি।
যে মা পরকীয়ার জন্য নিজের ছেলেকে
মেরে ফেলার হুমকি দিতে পারে,,, তারছেয়ে জঘন্যতম খারাপ মা আর ২য় টি নেই? আমি পকেট থেকে মোবাইলটা বের করে,,
আমার গাড়ির ড্রাইভার কে ফোন করলাম।
১০ মিনিটের মধ্যে আমার বাসায় আসার জন্য,,, ১০ মিনিট
পরে ডাইভার আমার কাছে আসলে,,, আমি
ড্রাইভারকে বললাম,,, আমার ছেলেটাকে ওর দাদুর
কাছে গ্রামের বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে আসবি?
তারপর আব্বুকে ফোন দিয়ে বললাম,,, রিহান
আসছে,,, রিহানকে মেইন রোড থেকে
এগিয়ে নিয়ে যেও,, আর কোন কথা না বলে
ফোনটা রেখে দিলাম।
তারপর আমার ছেলেটাকে বুকে জড়িয়ে কিছুক্ষণ
দুই গালে চুম্বন করলাম,,, তারপরে তাকে গাড়িতে
বসেই দিয়ে বললাম,,, বাবা তোমার দাদু এসে
তোমাকে রাস্তা থেকে এগিয়ে নিয়ে যাবে,,,
ওইখানে একদম দুষ্টুমি করবে না।
আব্বু তুমি যাবা না।
হ্যা আব্বু পরে আসবো তুমি যাও।
ড্রাইভারকে দিয়ে ছেলেকে নিজের গ্রামের
বাড়িতে বাবা-মায়ের কাছে পাঠিয়ে দিলাম,,, তারপর
আবারো আস্তে আস্তে জানালার কাছে গিয়ে
দাঁড়ালাম,,, জানালার পর্দাটা হালকা তুলতে,,, আবারো
পুনোরাই সেই দৃশ্য ই দেখলাম,,,
একজনের উপর একজন লেপ্টে আছে,,, আর
আমার স্ত্রী ওকে হাত দিয়ে উৎসাহ দিচ্ছে,,,
বারবার মনে হচ্ছে আমি কোন দুঃস্বপ্ন দেখছি নাতো,,,
স্বপ্ন কেটে গেলে কি সব আবার আগের মত হয়ে
যাবে,,, আমার চোখ জেনো কোনোমতেই
বিশ্বাস করতে পারছে না,,, কিভাবে বিশ্বাস করবে,,,,
একটা মেয়ে একটানা এক বছর একটা ছেলের
পিছনে পাগলের মতো ঘুরে,,, তাকে
ভালোবেসে বিবাহর মত পবিত্র বন্ধনে আবদ্ধ করে,,,
ছয়টা বছর লাগামহীন টানা সংসার করে।তাদের সে সংসার আলোকিত করে যদি একটা
পুত্রসন্তান আসে,,,, সে পুত্রসন্তান টা যদি কথা বলতে পারে,,, তাকে পৃথিবীর মধুর ডাক মা বলে ডাকতে পারে।
সে সন্তান এবং স্বামীর অগোচরে আরেকজন
পর পুরুষ নিয়ে নিজের বিছানায় আনন্দ খেলায়
মেতে উঠে,,, তাহলে কি করে তার সেই স্বামী
নিজের চোখকে বিশ্বাস করাবে?
আমি এখনো পর্দার ফাক দিয়ে তাকিয়ে আছি,,, সাব্বির
আমার স্ত্রীর শরীরের উপর থেকে উঠতে
চাচ্ছে কিন্তু আমার স্ত্রী ওকে দুইহাত দিয়ে শক্ত
করে জড়িয়ে ধরে আছে।
এমন কোন রাত নাই যে তাকে আমি কাছে টানার
চেষ্টা করি নাই,,, প্রতিবারই আমাকে ফিরিয়ে
দিয়েছে,,, শুধু পরকীয়ার জন্য,,, শুধু তাই নয় আমার
নিষ্পাপ ছেলেকে মারার হুমকি দিয়েছে এই
পরকিয়ার জন্য,, আমি এর শেষ দেখে ছাড়বো।
আমার সারা শরীর রাগে ফুলতে লাগল,,, সমস্ত রক্ত
যেন খুব দ্রুত গতিতে মাথায় উঠতে লাগলো,,,,
নিজেকে নিজে কন্ট্রোল করতে পারছি না,,,
হঠাৎ করে রূমের দিকে খেয়াল করলাম।।
দুজনে উঠে দাঁড়িয়েছে,,, এবং সাব্বির মেঝেতে
রাখা জামা গুলো পরিধান করেছে,, আর ফিসফিসিয়ে কি
জানি আমার বউকে বলছে,,, আর সেই কথা শুনে
আমার স্ত্রী মদু হাসছে।।।
.
️ #বিঃদ্র গল্প পড়ে দেখি সবাই কেটে পরেন,ব্যাপার কি বলেনতো?প্লিজ কেউ কেটে পরবেন না,আপনানাদের মতামত আমাকে উৎসাহ দেয় পরবর্তী পর্ব দেওয়ার। আর সব সময় কিছু গঠনমূলক কথা লিখে কমেন্ট করলে খুশি লাগে।
ধন্যবাদ ইতিঃ #তানিম_চৌধুরী)
.
ওরা দরজা দিয়ে বাহিরে বের হবে,,,
আমি তাদের বের হবার আগে ছাদে ওঠার সিঁড়ির
মধ্যে দাঁড়িয়ে পড়লাম,,,
হঠাৎ করে দরজা খোলার শব্দ শুনলাম,,,
সাব্বির রুম থেকে আগে বের হচ্ছে,,, আর আমার
স্ত্রীর শরীরে কাপড় পেছাতে পেছাতে সাব্বির
এর পিছনে যাচ্ছে।।।
বাহিরে হালকা ঝিরঝিরে বৃষ্টি,,, সেই বৃষ্টিতে ভিজে
আমার সারা শরীর একাকার হয়ে যাচ্ছে,,, পেটের
খিদে কোথায় জানি হারিয়ে গেছে বলতে পারব না।
আমার সমস্ত শরীর রাগে কঠোর মোটর করতে
লাগলো।।।
উঠানের মাঝখানে সাব্বির আর আমার স্ত্রী দাঁড়িয়ে
আছে,,, সাব্বির বার বার মুখ নিয়ে যাচ্ছে আমার
স্ত্রীর মুখের কাছে,,, আমার বউ আহ্লাদী হয়ে
ওকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিচ্ছে,,, কয়েকবার ধাক্কা
দেওয়ার পরে সাব্বির আমার স্ত্রীর ঠোটে চুম্বন
দিলো,,, এ দৃশ্যটা দেখে নিজেকে কন্ট্রোল
করতে পারছি না,,, হাতের মধ্যে সমস্ত শক্তি এনে জোরে দেওয়ালে এক ঘুসি মারলাম।।
সাথে সাথে হাত দিয়ে রক্ত পড়তে লাগলো,,, কিন্তু
আমার সেদিকে কোন খেয়াল নাই,,,,
সাব্বির গেটের কাছে গিয়ে সাইকেলে উঠলো,,,
আমার স্ত্রী এখনো উঠানে দাঁড়িয়ে আছে,,,
সাব্বির হঠাৎ করে সাইকেল থেকে নেমে দৌড়ে
এসে আমার স্ত্রীকে জড়িয়ে ধরে একনাগাড়ে
চুমু দিতে লাগল,,,
আমি তাদের কথার স্পষ্ট আওয়াজ শুনতে পাচ্ছি,,, সাব্বির
বলছে,,,, এই চলো না আর একবার হয়ে যাক।
না না আজকে আর না ও চলে আসবে?
সাব্বির এ কথা শুনে ওর হাতে থাকা ঘড়ির দিকে
তাকালো,,, তারপর বলতে লাগলো,,, তোমার
হাজব্যান্ড তো সন্ধ্যা ৭ টায় আসবে এখন তো মাত্র
ছয়টা বাজে।
চলো না আরেকবার হয়ে যাক,,, এ কথা বলে সাব্বির
আমার স্ত্রীকে কোলে তুলে নিল,,, আর আমার
স্ত্রীর সাথে সাথে ওর গলা জড়িয়ে ধরলো
তারপর রুমে গিয়ে ঠাস করে দরজাটা বন্ধ করে দিল।।
আর নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারছি না,,,
জোরে জোরে চিৎকার করতে লাগলাম আর
আল্লাহ্কে ডাকতে লাগলাম,, হে আল্লাহ্ আমার
রাগকে নিয়ন্ত্রণ করার শক্তি দাও,,, না কোনোভাবে
রাগ কে নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছি না।
রক্তমাখা হাত নিয়ে আবারও শরিলের সমস্ত শক্তি দিয়ে জোরে দেওয়ালে ঘুসি
মারলাম,,, সাথে সাথে হাত দিয়ে অঝোর ধারায় রক্ত
পড়তে লাগলো।।
সে রক্ত সিঁড়ি দিয়ে গড়িয়ে নিচে পড়ছে,,,
আমার মনে হচ্ছে শরীরের সমস্ত রক্ত যদি
চলে যাই,,, তারপরও আমার কোন রকম কষ্ট হবে না।
সিঁড়ির থাপের উপরে বসে,,, রক্তমাখা হাত দিয়ে
দেওয়ালে আস্তে আস্তে থাপ্পর দিচ্ছি ,,, নিজের রাগকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছি,,, কিন্তু দৃশ্য
গুলো যখন চোখের সামনে ভেসে ওঠে,,,
তখন রাগ আমার কন্ট্রোল থাকেনা, সীমার বাহিরে চলে
যেতে থাকে,,, আল্লাহ্কে ডাকতে থাকি,,, আর
রাগকে দমানোর ব্যর্থ চেষ্টা করে যাচ্ছি।।
সন্ধ্যা ছয়টা ৪৫ ওরা রুম থেকে বের হলো,,, আমি
তখন অব্দি সিঁড়ির মধ্যে বসে আছি,,, সাব্বির রুম
থেকে বের হয়ে সাইকেলে গিয়ে উঠে
বসলো,,, তারপর হাত দিয়ে একটি চুমু ইমোজি উপহার
দিল।
আর আমার স্ত্রী মুচকি হেসে রুমের ভিতরে
চলে যেতে লাগল,,,,
আমি আমার গায়ের কোড টা খুলে,, ভিতরের সেন্টু
গেঞ্জি দিয়ে,, রক্তমাখা হাত টা ভালো ভাবে বেঁধে
নিলাম,,,, তারপর আস্তে আস্তে রুমের দিকে
প্রবেশ করতে লাগলাম,,, রাগ আর কষ্ট মিশ্রিত হয়ে
আমাকে যেন অবশ করে তুলছে,,,, রুমে
প্রবেশ করে দেখি,,, শাড়ির আঁচলটা গায়ে
পেচিয়ে বিছানার এক সাইডে শুয়ে আছে,,, যেন
নিষ্পাপ একটা মেয়ে,,, অনেকদিন যাবত রোগে
আক্রান্ত হয়ে বিছানায় শুয়ে আছে???
হঠাৎ করে আমার আসার শব্দ শুনে বিছানা থেকে
ঘুরে তাকালো,,,, আমাকে দেখে হতভম্ব হয়ে
গেল??
কাঁপা কাঁপা গলায় বলতে লাগলো,,, কখন এসেছো,,,
আমি তার কথার কোন জবাব দিচ্ছি না,,, আমার চোখ
দিয়ে রাগে ধোঁয়া বের হচ্ছে,,
গলাটা শুকিয়ে কাঠ হয়ে আছে,,, মুখ দিয়ে যেন
কোন কথা বের হতে চাচ্ছে না।
আমার স্ত্রী আমার এই অবস্থা দেখে,, কাঁপা কাঁপা
গলায় বলতে লাগলো কি হয়েছে তোমার এ
অবস্থা কেন পানি খাবে,,, আমার কোন কথার উত্তর না
পেয়ে,,,
তারপর বিছানা থেকে উঠে আমাকে এক গ্লাস পানি
এগিয়ে দিল।
আমি স্ত্রীর দিকে এখনো আমি ক্ষিন দৃষ্টি নিয়ে
তাকিয়ে আছি,,, শাড়ীটা এখনো ভালোভাবে
শরীরে পেছানো হয় নাই,,, আমার তাকানো
দেখে আমার স্ত্রী একটু ভয় পেতে লাগলো,,,
আমি তাকে দেখছি সে মদূ মদূ কাঁপছে আমি তার হাত
থেকে গ্লাসটা নিয়ে শরিলের সমস্ত শক্তি দিয়ে জোরে ফ্লোরে আছাড়
মারলাম,,, তারপর দৌড়ে ডাইনিং টেবিলে গিয়ে এক মগ
পানি গলা দিয়ে ডগ ডগ করে ঢালতে লাগলাম,,, পুরো
এক মগ পানি খেয়ে মনের তৃষ্ণার্ত আত্মাকে শান্তি
করলাম,,,, তারপর আবার রুমের ভিতরে প্রবেশ
করলাম,,,, দেখি সে বিছানার একপাশে বসে আছে,,,
আমি গিয়ে তার হাত ধরলাম এবং বললাম চল বিছানায়,,
সে অবাক হয়ে বলতে লাগল কি করছো তুমি,,,
আমার এগুলো করতে ভালো লাগে না,,,, সাথে
সাথে চুলের মুঠি ধরে একটা থাপ্পর দিলাম,, থাপ্পর এর
কারণে ঠোঁট ফেটে রক্ত পড়তে লাগলো।।
আমার স্ত্রী আমার এই বেসামাল অবস্থায় দেখে,,,
ভয়ে চুপসে গেল,,, আমি বলতে লাগলাম,,, কি করে
তোর এগুলা করতে ভাল লাগবে,,, প্রতিদিন নিজের
স্বামীকে দূরে সরিয়ে দিয়ে পর পুরুষ নিয়ে
বিছানায় লেপ্টে থাকিস,,, তুই এরকম জঘন্য কাজ করবি
আমি ভাবতে ও পারেনি,,,।।
আমার কথা শুনে আমার স্ত্রী ভয়ে কাঁপতে
কাঁপতে বলতে লাগলো,,, কি আবোল তাবোল
বকছো আমি কার সাথে বিছানায় লেপ্টে ছিলাম।
একথা শুনার পর আমার আরো রাগ উঠে গেলো,,,
চুলের মুঠি ধরে আরো একটা থাপ্পড় দিলাম,,, থাপ্পড়
খেয়ে ছিটকে বিছানায় গিয়ে পড়ল,,, আমি তার কাছে
গিয়ে এক টানে তার শরীর থেকে শাড়িটা খুলে
ফেললাম, আমার স্ত্রী ভয়ে কোন কথা বলছে না,,,
তারপর বিছানার সাথে হাত গুলো চেপে ধরে
নিজের পবিত্র ভাবে বিবাহ করা স্ত্রীর সাথে
জোরপূর্বক ধর্ষণের খেলায় মেতে উঠলাম।
আমার কাজ শেষ হওয়ার পরে তার চুলের মুঠি ধরে
বিছানায় উঠে বসালাম,,,, তারপর কাপড় গুলো গায়ে ঢিল
মেরে বললাম,,,, আজকই তোর জীবনের শেষ
দিন,,, সাথে তোর ওই প্রেমিক নাগরের ও।
আমি স্ত্রীর চোখের দিকে তাকিয়ে দেখলাম তার
চোখে দুনিয়ার সমস্ত ভয় এসে জড়ো হয়েছে।
ভয়ে একদম চুপসে খাটের এক কোনায় বসে
আছে,, আমি গিয়ে আবারও তার চুলের মুঠি ধরলাম,,,
এবং বলতে লাগলাম,,, কি অপরাধ আমার,,, কি অপরাধ
করেছিল আমার নিষ্পাপ ছেলেটা,,, কেন তুই এমনটা
করলি,,, সাথে সাথে আমার স্ত্রী পা দুটো জড়িয়ে
ধরে কান্না করতে লাগল,,, আমার ভুল হয়ে গেছে
আমাকে ক্ষমা করে দাও,,, আমি আর কখনো এরকম
করবো না সত্যি বলছি।।
তোর মতন বিশ্বাসঘাতককে যদি ক্ষমা করি,,,, আল্লাহ্
তাআলা আমাকে ক্ষমা করবে না,,,, তুই কেন এমনটা
করলি,,, কিসের অভাব আমার,,,, টাকা পয়সা বাড়ি গাড়ি সবই
আছে,,, তারপরও তুই কেন এমন করলি। তোকে
আমি ভালোবাসি নি,,, সময় দেয়নি,,, কথা বল আমার কথার
উত্তর দে""" আর নাহয় তোকে আমি আজকে
এখানেই মেরে ফেলবো।।।
.
.
#চলবে_কি??
.
আমি গিয়ে আবারও তার চুলের মুঠি ধরলাম,,,
এবং বলতে লাগলাম,,, কি অপরাধ আমার,,, কি অপরাধ
করেছিল আমার নিষ্পাপ ছেলেটা,,, কেন তুই এমনটা
করলি,,, সাথে সাথে আমার স্ত্রী পা দুটো জড়িয়ে
ধরে কান্না করতে লাগল,,, আমার ভুল হয়ে গেছে
আমাকে ক্ষমা করে দাও,,, আমি আর কখনো এরকম
করবো না সত্যি বলছি।।
তোর মতন বিশ্বাসঘাতককে যদি ক্ষমা করি,,,, আল্লাহ্
তাআলা আমাকে ক্ষমা করবে না,,,, তুই কেন এমনটা
করলি,,, কিসের অভাব আমার,,,, টাকা পয়সা বাড়ি গাড়ি সবই
আছে,,, তারপরও তুই কেন এমন করলি। তোকে
আমি ভালোবাসি নি,,, সময় দেয়নি,,, কথা বল আমার কথার
উত্তর দে""" আর নাহয় তোকে আমি আজকে
এখানেই মেরে ফেলবো।।।
আমার স্ত্রী ভয়ে মাথা ঝাকি দিতে শুরু করলো।
কিসের অভাব তোর, কিসের অভাব আমি পুরন করিনি বল,,
--সব করেছো।
তাহলে তুই কেন এমনটা করলি,, আমার কথার পটাপট জবাব
দে,,, তা না হলে আমি তোর মুখ সুই সুতা দিয়ে
সেলাই করে দিব।
তোকে আমি সময় দিই নি।
হ্যা দিয়েছো?
ভালো ভালো দিনে আমি তোকে উপহার দেইনি।
হ্যা দিয়েছো?
তোকে আমি অফিস বাদ দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে
এবং শপিং করতে নিয়ে যাইনি,,।
হ্যা নিয়েছো।
আজও পর্যন্ত আমার বিয়ের ছয় বছরের জীবনে,,
তুই যা চেয়েছি সব দেয়নি।
হ্যা দিয়েছো।
তাহলে তুই কেন এ মনটা করলি,, আমার বিশ্বাসটা কেন
ভাঙলি,,, কেন আমাকে আমার সন্তানকে নিঃস্ব করলি,,
একবার আমাদের সন্তানের কথা ভাবলিনা। তুই ভাববি কি
করে,,, তোর মতো জঘন্য নারী পৃথিবীতে
মনে হয় না, আর একটা আছে,,, তুই পরক্রিয়ার জন্য,,
আমার একমাত্র ছেলে কে মারার হুমকি দিয়েছিস,,,,,
আমার ছেলেটা তোর ভয়ে কিছু বলতে
পারেনি আমাকে,,, তোর মত মেয়েকে যদি
আগুনের জ্যান্ত পুড়িয়ে ফেলি তবুও আমার মনের
ক্ষুপ কমবে না।
আমার ভাবতেই অবাক লাগছে,, তোর মত মেয়ে এ
কাজ করবে, আমি কখনও কল্পনাও করিনি,,, টানা ১ বছর তুই
আমার পিছনে পাগলের মত ঘুরলি,,, তোকে আমি
পাত্তা ই দেইনি,, তুই আমার পায়ে ধরে তোর
ভালোবাসা ভিক্ষা চেয়েছিস,,, তোর সেই
ভালোবাসার কাছে আমি হেরে তোকে আমি আমার
জীবন সঙ্গিনী করে নিয়েছি,,,
কোন কিছুর অপুরন আমি রাখিনি,,, রানীর মত জীবন
তোকে আমি দিয়েছি,,,
আর তুই সেই ভালোবাসার মানুষকে ঠকিয়ে পর পুরুষ
নিয়ে দিন দুপুরে বিছানায় শুয়ে থাকিস,,, এমন কোন
রাত্রি বাদ যাই নাই,,, আমি তোকে কাছে টানার চেষ্টা
করিনি,,, তুই পরকিয়ার জন্য বারবার আমাকে ফিরিয়ে
দিয়েছিস।
আমি কিছু মনে করিনি হয়তো ভেবেছি তুই অসুস্থ,,
কিন্তু তুই আমার গোপনে আমার অগোচরে
আমাকে দূরে সরিয়ে দিয়ে,,, পর-পুরুষকে নিয়ে বিছানায়
আনন্দ করেছিস।
পর পুরুষ তোকে এত সুখ দিতে পারে,,, আমি
তোকে সুখ দিতে পারিনি,,,, প্রতিটা সময় প্রতিটা
ক্ষণে তোকে আমি কাছে টানার চেষ্টা করেছি,,,
কিন্তু তুই নিজের স্বামীকে বাদ দিয়ে,,, পর
পুরুষকে কাছে টানিশ,,, আমি কিসে ব্যর্থ তুই আমাকে
বল,, তুই যদি আমার একটা ব্যর্থতা দেখাতে পারিস,,, আমি
তোকে তোর ওই নাগরের হাতে তুলে দিব। কি
হল কথা বল বলছি।
.
️ #বিঃদ্র গল্প পড়ে দেখি সবাই কেটে পরেন,ব্যাপার কি বলেনতো?প্লিজ কেউ কেটে পরবেন না,আপনানাদের মতামত আমাকে উৎসাহ দেয় পরবর্তী পর্ব দেওয়ার। আর সব সময় কিছু গঠনমূলক কথা লিখে কমেন্ট করলে খুশি লাগে।
ধন্যবাদ ইতিঃ #তানিম_চৌধুরী)
.
না তোমার কোন ব্যর্থতা নাই।
তাহলে কেন এমনটা করলি।আজকে তোর আর
তোর ওই নাগরের এমন অবস্থা করব যে,,, তোরা
কখনো কল্পনাও করতে পারবি না।
আমার কথা বলা শেষ করার সাথে সাথে আমার
স্ত্রী,,, আমার পা জড়িয়ে ধরে চিৎকার করতে
লাগলো,,, প্লিজ আমাকে ক্ষমা করে দাও আমি ভুল
করে ফেলেছি,,
আর কখনো জীবনে এরকম করবো না।
আমি সত্যি বলছি তুমি যে ভাবে বলবা আমি সেভাবে
শুনবো।
আমি এক ঝটকায় পা টা সরিয়ে নিয়ে আসলাম,,,
তোদের মত মেয়েকে আমি ভালো করে চিনি,,,
যে মেয়ে নিজের পেটের সন্তান কে
পরকীয়ার জন্য জন্য মেরে ফেলার হুমকি দিতে
পারে,,,সে মেয়ে
একজন পুরুষ দিয়ে সন্তুষ্ট না,,, বহু পুরুষ গামি,,, তাকে
যদি ছেড়ে দেই সে আরো বেপরোয়া হয়ে
উঠবে,,,,, আর তুই তো আরো জঘন্য,,, কারণ তুই
আমার পিছনে একটা বছর পাগলের মত ঘুরেছিস
আমাকে পাবার জন্য,,, সে তুই তোর ভালোবাসা
মানুষকে ভুলে তোর দেহ মন সঁপে দিয়েছিস
একজন পর পুরুষকে,, তোর মতো মেয়েকে
যদি আমি ছেড়ে দিয়ে,,, তাহলে তুই কেয়ামত
পর্যন্ত সঠিক রাস্তায় আসতে পারবি না..,
আমি তোমার পায়ে ধরে শপথ করে বলছি,, আমি
সঠিক রাস্তায় চলে আসব।
আমি আমার বউয়ের আকুতি মিনতি দেখে আমার
আরো রাগ উঠে গেলো,, চুলের মুঠি ধরে
আরো দুইটা থাপ্পড় দিলাম, সে থাপ্পড় খেয়ে
জুরে জুরে চিল্লাতে লাগলো,,, আমি ওর চুলের
মুঠি ধরে বললাম,,, যা গোসল করে আয়,,, কিন্তু সে
ভয়ে কাঁপতে লাগলো,,, আমি ওর চুলের মুঠি ধরে
ওয়াশ রুমে ঢুকিয়ে দিলাম।।
দু মিনিট পরে ওয়াশ রুম থেকে বের হয়ে কাপতে
কাপতে খাটে বসে পড়ল,,, আমি আবারও গিয়ে ওর
চুলের মুঠি ধরলাম,,, এবং বললাম,, সুন্দর একটা শাড়ি পর,,,
ভালোভাবে সাজগোজ কর,,, তারপর আমি যে
ভাবে বলবো,,, সেভাবে তোর নাগরকে ফোন
করে আসতে বল,,, আমি বাসায় আছি সে কথা যদি
তোর মুখ দিয়ে বের হয়েছে,, তাহলে তোর
জিব্বা আমি কেটে ফেলে দিব,,
সে বলতে লাগল আমি পারবো না।
এ কথা শোনার পরে আমার রাগ যেন পর্বতের
শেষ চুড়ায় উঠে গিয়েছে।
চুলের মুঠি ধরে ইচ্ছে মত কয়েকটা থাপ্পর দিলাম,
থাপ্পড় খেয়ে ভয় কাঁপতে কাঁপতে সাজগোজ
করতে লাগলো।
সাজ গুজ পরিপূর্ণ হলে,,, তারপর ওকে মোবাইল
দিয়ে বললাম,,, তোর নাগর কে ফোন করে বল
আসতে,,, বল যে আমি আজকে আসবো না,,, আমি
আমার ছেলেকে নিয়ে নিজের গ্রামের বাড়িতে
গিয়েছি,, তাড়াতাড়ি বল আসার জন্য।
আমার স্ত্রীর ভয়ে ভয়ে তার হাত থেকে
মোবাইলটা ফেলে দিল,,, আমি আবারও চুলের মুঠি
ধরে মোবাইলটা তার হাতে দিলাম,,, এবং বললাম আমি
তোকে যা যা বলেছি সে গুলো সব বলে ওকে
এখানে নিয়ে আয়।
আমার স্ত্রী ওকে ফোন দিয়ে,, আমি যা যা
শিখিয়ে ছিলাম সব বলল।
তারপর দরজাটা খোলা রেখে ওকে বললাম তুই
বিছানায় ওয়েট কর একদম এখান থেকে নড়বি না,, তা না
হলে তোকে আমি সত্যি সত্যি,,,
তারপর আমি একটা মাংস কাটার ধারালো ছুরি নিয়ে ওয়াশ
রুমে প্রবেশ করলাম?
বাহিরে ঝিরঝির করে বৃষ্টি পড়ছে,,, আকাশের মেঘ
কিছুক্ষণ পরে পরে জুড়ে গর্জন করছে মনে
হচ্ছে কিছুক্ষণ পরে অঝোর ধারায় বৃষ্টি নামবে,,,
সেই বৃষ্টির সাথে মনে হয় আমার সংসার নিয়ে দেখা
স্বপ্নগুলো সব হারিয়ে যাবে।। হারিয়ে যাবে
ভালবাসার উপর থেকে বিশ্বাস।
সকাল থেকে ঝিরঝির বৃষ্টি,,, দিনটা কে বেসামাল
করে তুলেছে,, সে সাথে আজকের দিন টা
আমাকে আরো এক কালো অন্ধকারে নিয়ে
গেছে,,, আমার জীবন টাকে নিঃস্ব করে
দিয়েছে,,, ভালোবাসার নামে বেইমানি করেছে।
আর হয়তো কখনো সে অন্ধকার থেকে বের
হয়ে রুপালি স্বপ্ন দেখতে পারবো না।
আমার মাথা রাগে এতটা গরম হয়ে আছে যে,,,
শরীরের প্রতিটি পশমের গোড়া দিয়ে ঘাম বের
হচ্ছে,,, যখনই চোখ দুটো বন্ধ করি তখন সেই
দৃশ্যটা শুধু আমার চোখের সামনে ভেসে ওঠে,,,
সাব্বির আমার স্ত্রীকে কোলে নিল আর সে
সাথে সাথেআহ্লাদী হয় তার দুই হাত দিয়ে সাব্বিরের
গলাটা জড়িয়ে ধরল,,, এই দৃশ্যটা যখন আমার চোখের
সামনে ভেসে ওঠে,, তখন নিজেকে কন্ট্রোল
করতে পারিনা,,, এতটা রাগ শরীরে এসে জমা
হয়েছে,, দুনিয়ার যেকোন দানব যদি আমার সামনে
আসে,, তাকে আমি খুবই তুচ্ছ মনে করব।
ওয়াশ রুমের দরজাটা অল্প ফাঁক করে ধারালো ছুরি টা
হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছি,,, আর অপেক্ষা করছি
সেই জানোয়ারের,,, যে আমার এবং আমার
ছেলের জীবনটা ধ্বংস করে দিয়েছে,,, ধ্বংস
করে দিয়েছে একটা সুন্দর সংসার,, তার অপেক্ষার
প্রহর গুনতে লাগলাম।
হঠাৎ করে দরজা একটা আওয়াজ হলো,,, মনে হয়
আমার শিকার এসে গেছে,,, হ্যা সাব্বির এসেছে,,
দরজায় কারো আওয়াজ পেয়ে আমার স্ত্রী বিছানা
থেকে উঠে দাঁড়ালো,,, আর সাব্বির সাথে সাথে
দরজা দিয়ে ভেতরে ঢুকে আমার স্ত্রীকে
জড়িয়ে ধরে পাগলের মত চুমু দিতে লাগল,,, আর
বলতে লাগলো,,, হেই তুমি এত সুন্দর করে
সেজেছ আমার জন্য,,, তুমি ওই সময় আমাকে
যেতে দিলে কেন,,, আগে যদি বলতে তোমার
স্বামী আজকে আসবে না,,, তাহলে কষ্ট করে
আমার আর যাওয়ার দরকার ছিলনা,,, রাতটা তোমার সাথে
কাটিয়ে সকালে চলে যেতাম,,, তোমাকে কিন্তু
আজকে খুব সুন্দর লাগছে,,, চলো আজকে সারারাত
তোমাকে মন ভরে আদর করবো।। আমার
স্ত্রীর ভয়ে কোন কথা বলছে না,,,সাব্বির আমার
স্ত্রীর ঠোট জোড়ার সাথে ওর ঠোট জোড়া
লাগিয়ে আমার স্ত্রীকে জড়িয়ে ধরে বিছানায়
পড়ে গেল।।
এ দৃশ্য দেখে আমি নিজেকে আর কন্ট্রোল
করতে পারছি না,, বারবার ধাঁরালো ছুরি টার দিকে তাকাচ্ছি,,
আর মনে মনে ভাবছি,, এক কুপে কি দুনো টার
কল্লা আলাদা করতে পারবো??
.
.
#চলবে_কি??
.
আগে যদি বলতে তোমার
স্বামী আজকে আসবে না,,, তাহলে কষ্ট করে আমার আর যাওয়ার দরকার ছিলনা,,, রাতটা তোমার সাথে কাটিয়ে সকালে চলে যেতাম,,, তোমাকে কিন্তু
আজকে খুব সুন্দর লাগছে,,, চলো আজকে সারারাত তোমাকে মন ভরে আদর করবো।। আমার স্ত্রীর ভয়ে কোন কথা বলছে না,,,সাব্বির আমার
স্ত্রীর ঠোট জোড়ার সাথে ওর ঠোট জোড়া
লাগিয়ে আমার স্ত্রীকে জড়িয়ে ধরে বিছানায় পড়ে গেল।। এ দৃশ্য দেখে আমি নিজেকে আর কন্ট্রোল
করতে পারছি না,, বারবার ধাঁরালো ছুরি টার দিকে তাকাচ্ছি,,
আর মনে মনে ভাবছি,, এক কুপে কি দুনো টার কল্লা আলাদা করতে পারবো??
আমি শামুক গতিময়তায় পায়ে বিছানার দিকে এগিয়ে যেতে লাগলাম, যখন আমি সাব্বিরের বস্ত বিহীন
শরিলের উপর হাত খানা রাখলাম,,সাব্বির এতটাই আতঙ্কে
পিছনে ফিরে তাকাল যে,,,, মনে হচ্ছে ওর চোখ দুটো যেন বেরিয়ে আসবে,,,
সাব্বির আমাকে এবং আমার হাতে ধারালো ছুরি দেখে
ভয়ে কাপঁতে কাপঁতে বলতে লাগলো,,স্যার আপনি,,
আমি আমার বাসায় থাকবো না,,তোর মত জানোয়ার থাকবে,, (আমি)
((সাব্বির)) স্যার আমার ভুল হয়ে গেছে,,আমাকে ক্ষমা করে দেন,,, আমার কোন দোষ নাই স্যার,,সব দোষ
আপনার স্ত্রীর, আপনার স্ত্রী আমাকে আগে এগুলো করার জন্য আহবান জানিয়েছে,,
((আমি))ওরতো শাস্তি দেবো ভয়ানক শাস্তি,,, এমন
শাস্তি দেবো যে,,, ওর ভিতরে থাকা আত্মাটা ও কেঁপে উঠবে,,,
((আমি))আগে তোর পালা,,সাথে সাথ সাব্বির আমার
পায়ে ধরে বলতে লাগলো, এই কাজ আর জীবনে করবে না
প্রতিজ্ঞা করতে লাগলো,,,,
((আমি))জীবন থাকলে তো করবি,,,একথা বলে আমি
সাব্বিরের বস্ত বিহীন শরীরে ধারালো ছুরি টা
দিয়ে জোরে একটা টান দিলাম,,,সাথে সাথে ফিনকি দিয়ে রক্ত পড়তে শুরু করলো,, সাব্বির ব্যথায় কুঁকড়ে উঠলো,,,
সাব্বির নিজেকে বাঁচানোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা
করতে লাগলো,,,দৌড়ে রুম থেকে বাহি হয়ে
যেতে লাগলো,,,সাথে সাথে ধারালো ছুরিটা দিয়ে
আরেকটা টান দিলাম,,সাব্বির এবার মেঝুতে পড়ে
গেছে,,, আমি যখন সাব্বিরের শরিলে আরেকটা টান
দিতে যাবো,,,সাব্বির হাত দিয়ে ছুরিটা ধরে ফেললো,,,সাথে সাথে সাব্বিরের দেহ থেকে
হাতটা বিচ্ছিন্ন করে ফেললাম,,, সাব্বিরের এই পরিণতি
দেখে আমার স্ত্রী জোরে জোরে
চিল্লাতে লাগলো,,, আমি আমার, হৃদয় আত্মা কাঁপিয়ে এত জোরে ধমক দিয়েছি যে,,২ মিনিট পর্যন্ত
আমার সেই ধমকের সাউন্ড টা রুমে রয়ে গেছে,,,,
আমি একটা চেয়ার এনে ধারালো ছুরিটা হাতে নিয়ে
সেই চেয়ারটায় বসলাম,,,তার পর সাব্বির এবং আমার
স্ত্রীকে কাছে আনলাম,,,এবং সাব্বির কে লক্ষ
করে বললাম,,
তুই কি ওকে ভালবাসিস,,
সাব্বির অসহ্য ব্যথা নিয়ে বলল, না,
তাহলে ওর সাথে এই রকম কুকর্ম করলি কেন,,,সাব্বির
কোন কথা বলছে না,,,ওর শরিলের রক্ত দিয়ে আমার
রুমের মেঝু ভেসে যাচ্ছে,,, কি হল কথা বল,,,
সাব্বির অনেক কষ্টে বললো,,,ওনাকে আমার
কাছে সুন্দর লাগতো,,ভাল লাগতো,,,
তার মানে তোর মনে ধরেছে,,,মনের ব্যাপার সমস্যা নাই,,মন এখন একটা চাইবে কিছুক্ষণ পর
আরেকটা চাইতে পারে,,আবার এক সময় ঠিক ও হয়ে
যেতে পারে,,এই মনের ব্যাপারটা কোন অপরাধ না,,,
তাহলে স্যার আমাকে ক্ষমা করে দেন,,আমার
জীবটা ভিক্ষা দেন,,,আমি আপনার পায়ে ধরে বলছি
আর কখনো এরকম করবো না,,,
হ্যা ক্ষমা করে দেব,,যেহেতু মনের ব্যাপার,,
আমি আমার স্ত্রী কে লক্ষ্য করে বললাম তুই ওর
সাথে এই কুকর্ম কেন করলি,,,আমার স্ত্রী ভয়ে
কোন কথা বলছে না আমি ধমক দিয়ে বললাম পৃথিবীতে যদি আরো কিছু সময় নিশ্বাস নিতে চাস
তাহলে আমার প্রশ্নের জবাব দে,,
.
️ #বিঃদ্র গল্প পড়ে দেখি সবাই কেটে পরেন,ব্যাপার কি বলেনতো?প্লিজ কেউ কেটে পরবেন না,আপনানাদের মতামত আমাকে উৎসাহ দেয় পরবর্তী পর্ব দেওয়ার। আর সব সময় কিছু গঠনমূলক কথা লিখে কমেন্ট করলে খুশি লাগে।
ধন্যবাদ ইতিঃ #তানিম_চৌধুরী)
.
আমার স্ত্রী ভয়ে কাঁপন তোলা গলায় বললো,,
ওকে আমার ভাল লাগতো,,
আমি তার প্রতি উত্তরে বললাম তার মানে ওকে
তোর মনে ধরেছে তাইতো,,,
আমার স্ত্রী মাথা ঝাকি দিয়ে বললো হ্যা??
কাউকে মনে ধরাটা অপরাধ না,,কিন্তু তোর মনে ধরার
তো একটা সীমাবদ্ধতা আছে,, দাড়ি কমা আছে,,,কারন
তুই কোন মুক্ত আকাশে নিজের ইচ্ছে মত ডানা
মেলে উড়ে বেড়ানোর পাখি না,, বিবাহর মত পবিত্র
বন্ধনে কারো সাথ আবদ্ধ হয়ে কারো মনে এবং
ঘরের শিকল বন্দি পাখি,,কারো স্ত্রী কোন এক
সন্তানের মা,,, তোর কাউকে মনে ধরতে পারে
না,,যদি ও বা কাউকে মনে ধরে এবং ভাল লাগে তাহলে সে
ব্যক্তিটা টা হবে শুধু তোর স্বামী,,,এর বাহিরে যদি
তোর স্বামীকে বাদে কাউকে মনে ধরে,,ভাল
লাগে,,,তাহলে তোর স্বভাব এবং চরিত্র খারাপ,,আর
যাদের স্বভাব এবং চরিত্র খারাপ,,,তারা যতো প্রধবৃত্তি
হোক না কেন,,জীবনে যতো উন্নতি করুক না
কেন,, তাদের স্বভাব এবং চরিত্র তাদের কাছ থেকে
কখনো বিতারিত এবং গাফেল হয় না,,,আজ তোর এমন
অবস্থা করব যে,, তোর ভিতরে থাকা আত্মাটা ও
তোকে দেখে শিহরিত হয়ে উঠবে,,,
পরক্ষণে সাব্বির গঙ্গানি কন্ঠে বলতে লাগলো,,,
স্যার আপনি বলেছেন আমাকে ক্ষমা করে
দিবেন,,আমার মনে ধরেছে,,আমার কোন অপরাধ
নাই,,,
হ্যা ক্ষমা করে দিব,,তার আগে একটা সত্য কথা বল,,,তুই
এর আগে যত জায়গায় টিউশনি করেছিস, আর কত
জনের সাথ এই কুকর্মে লিপ্ত হয়েছিস,,,,, সত্যি
করে বলবি,,, আর না হয় এই দুনিয়াতে নিশ্বাস নেওয়ার
জন্য আর এক মিনিটও সময় পাবি না
স্যার সত্যি বললে আমাকে ক্ষমা করে দিবেন
তো,,
হ্যা দিবো,,,
আরো দুই জায়গায়,,,
তার মানে আমার স্ত্রীকে নিয়ে তিনজন তাইতো,,
সাব্বির ভয়ে ভয়ে হ্যা শব্দ উচ্চারণ করলো,,
তাহলে তো তোর এটাকে মনে ধরা বলে না,,,
এটাকে বলে স্বভাব এবং চরিত্র খারাপ,,,আর স্বভাব এবং
দুশ্চরিত্র লোক কখনো সঠিক রাস্তায় আসতে পারে না,,তুই ও কখনো ঠিক রাস্তায় আসতে পারবিনা,,,তাই
আজ তোর জীবনে ইতি টানবো,,,একথা বলে
আমি সাব্বিরের দেহ থেকে আরেক টা হাত বিচ্ছিন্ন
করে ফেললাম,,সাব্বির দুহাত বিহিন মেঝুতে পড়ে
আছে,,আর জোরে জোরে চিৎকার
করছে,,সে চিৎকার শুনে আমার রাগ আরো বেরে
গেল,,,এক এক করে সাব্বিরের ২টা পা ও শরীর
থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেললাম,,,
হাত পা বিহিন সাব্বির মেঝুতে পড়ে আছে,,আর
অসহ্য যন্ত্রণায় আকাশ বাতাস কাপিয়ে চিৎকার করছে,,,
কিন্তু সে চিৎকার বিল্ডিং এর দেওয়াল ভেদ করে
মানুষের হৃদয় পর্যন্ত পৌঁছাতে পারছে না,,, কারণ
বাহিরে তখন অঝোর ধারায় ঝুম ঝুম বৃষ্টি পড়তে
লাগলো,,সেই বৃষ্টির সাথে ভয়ংকর শব্দ করে বিদ্যুৎ
চমকাচ্ছে ,,, পৃথিবীর কোন মানুষ জানতে পারছে
না,, এই কালো ভয়ঙ্কর অন্ধকারে বৃষ্টিধারা রাতে
রাস্তার পাশে একটা দুই তলা বিল্ডিং এর ভিতরে কি হতে
চলছে,বা কি হচ্ছে,, সাব্বিরের সেই ভয়ানক আত্মচিৎকার যদি
কেউ শুনত,, তাহলে কোন পুরুষ যিনার কাজে লিপ্ত
হতো না,,, কোন নারী পর পুরুষের সাথে কুকর্ম
অশ্লীল খেলায় মেতে উঠতে পারত না,,,
আমার স্ত্রীর দিকে তাকিয়ে দেখি,,,আমার স্ত্রী
সাব্বিরের এই ভয়ানক অবস্থা দেখে জুরে জুরে
চিল্লাতে লাগলো আর লাফাতে লাগলো,,,তা
দেখে আমার একটা কথা মনে পড়ে গেল আমার
বাড়ি পল্লী এলাকায় সবুজ শ্যামলে ঘেরা এই সোনার
বাংলার প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য রয়েছে পল্লী
এলাকাতে,, যে দিকে তাকাবে সেদিকেই অপরূপ
সৌন্দর্যে মুগ্ধ মহিমায় তোমাকে শিহরিত করে
তুলবে,,কোন এক আষাঢ়ের বৃষ্টিধারা রাতে
বন্ধুদের মনে কামনা জাগলো মাংস খাবে,,,কিন্তু এত
রাত মাংস কোথায় পাবে,,, এক বন্ধু পরামর্শ দিল
ব্যাঙের মাংস খাওয়া যায়,,আমি তা শুনে সাথে সাথে বুমি
করে দিলাম করণ মুরগির মাংস ই আমাকে ভালো
ভাবে না ভেজে দিলে খেতে পারি না,,আমার
জীবনে আজো পর্যন্ত সিদ্ধ ডিম খাই নি,,, কারণ
সিদ্ধ ডিমের ভিতর লবণ-মরিচ কিছুই ঢুকে না,, বন্ধুরা কুচু
পাতা মাথা দিয়ে, এককাইট্টা হাতে বেরিয়ে পড়ল,,,আমি
কৌতুহল হয় ওদের পিছনে যেতে লাগলাম,,, ওরা ধান
ক্ষেতে অল্প পানির মধ্যে গিয়ে একটা বড়
ব্যাঙকে গাই দিয়ে ধরলো,,,যখন ব্যাঙের দুটা রান
আলাদা করে ফেলল,,,তখন ব্যাঙটা অসহ্য যন্ত্রণায়
জোরে জোরে ডাকতে লাগলো,,, ব্যাংগের
সেই আত্মচিৎকার এবং ভয়ানক পরিণতি দেখে পাশে
থাকা বেঙগুলি জোরে জোরে চিল্লাতে
লাগলো এবং লাফাতে লাগলো,,,আমার স্ত্রী
সাব্বিরের এই পরিণতি দেখে সেই ব্যাগের মতো
জোরে জোরে চিল্লাতে লাগলো এবং লাফাতে
লাগলো,,,, হঠাৎ করে লক্ষ্য করে দেখি.....
.
.
#চলবে_কি??
.
আমার স্ত্রী সাব্বিরের এই পরিণতি দেখে, সেই ব্যাগের মতো
জোরে জোরে চিল্লাতে লাগলো এবং লাফাতে লাগলো,,,, হঠাৎ করে লক্ষ্য করে দেখি সাব্বিরের ঠোঁটে
এখনো আমার স্ত্রী লিপস্টিক লেগে আছে,,,আমি ধারালো ছুরিটা দিয়ে সাব্বিরের দুইটা ঠোঁট
কেটে ফেললাম,,,সাব্বিরের প্রাণ যায় যায় অবস্থা,,,
কিন্তু খাছা ছেড়ে প্রাণটা এখনো বের
হচ্ছে না,,,আমি ধারালো ছুরিটা সাব্বিরের কন্ঠনালী
বরাবর চালিয়ে দিলাম,,,সাথে সাথে শরিলে থাকা শেষ
রক্তবিন্দু ফিনকি দিয়ে পড়তে লাগলো,,,সাব্বির এখনো ইহকাল ত্যাগ করেনি,,,ওর বিমর্ষ বডিটা এখনো
মেঝেতে পড়ে লাফাচ্ছে,,,হয় তো ইয়াং এবং যুবক
বয়সের ছেলে দেখে এতক্ষণ পর্যন্ত বেঁচে আছে,,
গ্রাম গঞ্জে যখন হঠাৎ করে মেহমানের আগমন
ঘটে,, গ্রাম গঞ্জের বাজার থাকে অনেক
দূরে,, ফ্রিজে ও তেমন থাকে না মানুষের কাছে বা সবার বাসায়
ফ্রিজ নাই,, গৃহকর্তা কোন কিছুর উপায় না পেয়ে,,তার
পুষা পালিত লাতা মুরগি টাকে ২ ৩ জনে দাওয়া করে
ধরে,, সাথে সাথে জবহ করে উঠানে ফেলে
দেয়,, কিছুক্ষণ আগে আদার খাওয়া মুরগিটা কে যখন
সদ্য জবাই করে উঠানে ফেলে দেই তখন মুরগিটা
অনেকক্ষণ পর্যন্ত থাপড়াতে থাকে,,,কারন ২ মিনিট
আগে ও মুরগীটা জীবিত ছিল,,,সাব্বির ও কিছুক্ষণ
আগে আমার স্ত্রীকে নিয়ে বিছানায় আনন্দ
খেলায় মেতেছিল,,,আর ২ মিনিট পর সেই মুরগীর করে মত জবাই করে দিলাম,,, তাই অনেকক্ষণ পর্যন্ত
লাফাচ্ছে,,, সাব্বিরের সেই বীভৎস দেহর লাফালাফি
দেখে সাব্বিরের বুকে ছুরিটা পুতে জুড়ে এক টান
দিয়ে নাভি পর্যন্ত নিয়ে আসলাম,,, ওর শরীরের ভিতরের প্রতিটি অঙ্গ প্রথঙ্গ দেখা যাচ্ছে,,,
কিছুক্ষনের ভিতর সাব্বিরে ভিতরে পোষা পাখিটা এই সুন্দর দুনিয়ার মায়া ত্যাগ করে,পরকালে পাড়ি
জমিয়েছেন,,,
প্রিয় পাঠক পাঠিকারা আমার সাথে পড়ুন,,
ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন
সাব্বিরের টুকরো টুকরো বডিটা একটা বস্তার ভিতর ভরলাম,,
তার পর ধারালো ছুরিটা হাতে নিয়ে আমার স্ত্রীর সামনে দাঁড়ালাম,,আমার স্ত্রী আমার চেহেরা
বীভৎস অবস্থা দেখে,,,১ মিনিটের জন্য ভূমিকম্প আসলে যেভাবে বড় বড় দালান গুলো কাপ্তে
থাকে মানুষগুলো স্টেট হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে
পারে না,,আমার স্ত্রী ও সেই ভূমিকম্পে কাপন
তোলা বিল্ডিং এর মত কাপতে লাগলো, এবং আমার পায়ে এসে লুটিয়ে পড়লো আর জোরে জোরে চিৎকার করে বলতে লাগল আমাকে ক্ষমা
করে দাও, আমি জীবনে আর এরকম করবো না,,
আমি তার প্রতি উত্তরে বললাম তোর জীবন
থাকলে তো,,আর এরকম করবি কেমনে,আজকে এই যে তোর জীবনের শেষ দিন,,,
আমার স্ত্রী বলতে লাগলো আমি তোমার পায়ে ধরে শপথ করে বলছি, আর কখনো কোন পর পুরুষের দিকে তাকাবো না,,, আমাকে একটিবারের
জন্য ক্ষমা করে দাও,,,
.
️ #বিঃদ্র গল্প পড়ে দেখি সবাই কেটে পরেন,ব্যাপার কি বলেনতো?প্লিজ কেউ কেটে পরবেন না,আপনানাদের মতামত আমাকে উৎসাহ দেয় পরবর্তী পর্ব দেওয়ার। আর সব সময় কিছু গঠনমূলক কথা লিখে কমেন্ট করলে খুশি লাগে।
ধন্যবাদ ইতিঃ #তানিম_চৌধুরী)
.
তোকে ক্ষমা করার প্রশ্নই আসে না,, অসম্ভব,, তোর মতো বিশ্বাসঘাতক কে ক্ষমা করব আমি,,, যে
পরকীয়ার জন্য নিজের সন্তানকে মেরে ফেলার হুমকি দিতে পারে,,,
আমাকে শুধু একটা বার সুযোগ দাও,,, আমি আজীবন তোমার পায়ের কাছে পড়ে থাকবো,,
তোকে কিভাবে সুযোগ দেই বল,,তোকে
সুযোগে দিলে,, তুই সে সুযোগ কাজে লাগিয়ে আমাকে এবং আমার ছেলেকে শেষ করে পালিয়ে যেতি,,তোকে কোন সুযোগ দেওয়া যাবে না,,,
যে মহিলা পরকীয়ার জন্য নিজের পেঠের
সন্তানকে মেরে ফেলার হুমকি দিতে পারে,,সে মহিলার কাছে স্বামী তো কিছু না,তুই পরকিয়ার জন্য আমাকেও মেরে ফেলার চেষ্টা করতি,,,আমি ভুল করে ফেলেছি,,,আমার জীবনটা ভিক্ষা
দাও,, আমি আল্লাহ্ এর নামে শপথ করে বলছি আমি ভালো হয়ে যাব,,
ছিহঃতোর ঐ পাপি মুখে আল্লাহ্ এর নাম নিবিনা,,,তুই ভুল
করলে তোকে ক্ষমা করে দিতাম,, কিন্তু তুই আমার
সাথে বিশ্বাসঘাতকতা কথা করেছিস,,, করছিস ভালবাসার
নামে বেঈমানি,, আর বেঈমানের শাস্তি হলো
মৃত্যু,,, খুব ভয়ানক মৃত্যু,,,,,
মাহা মনীষী চার্নক্য বলেছিলেন,, ক্ষমা তাকে করো যে ভুল করেছে,,, কিন্তু তাকে কখনো ক্ষমা করো না,, যে তোমার সাথে বেঈমানি করেছে,,,
তুই আমার সাথে বেইমানি করেছিস,,,আর তোর
বেইমানির শাস্তি হলো মৃত্যু , খুব কঠিন যন্ত্রণা দিয়ে মৃত্যু হবে তোর,, তুই তো জাহান্নামি,,এখন
এই মুহূর্তে তুই মারা গেলে আল্লাহ্ তায়ালা তোকে
হাবিয়া দোজখের নিক্ষেপ করবে,,, আল্লাহ্ তায়ালার বানানো ৭ দোজখের মধ্যে সব চেয়ে কঠিন এবং
ভয়ানক আজব হলো হাবিয়া দোজখ,,,,আল্লাহ্ তায়ালা
পবিত্র কুরআনে লজ্জাস্থান হেফাজত কারী মহিলা
কে জান্নাতি বলে ঘোষণা করেছেন,,
(((সুরা মুমিন ৫)))
অন্য আয়াতে যিনাকারি মহিলা এবং যেনার পরিবেশ সৃষ্টিকারিনী মহিলা সম্পর্কে কঠিন আজাব ও শাস্তির কথা
ঘোষণা করেছেন,
((সূরা নূর: ২))))
তোর কপাল ভালো এতক্ষণ পর্যন্ত তুই দুনিয়াতে নিঃশ্বাস নিচ্ছিস,,, আজরাইল হয়তো কোন কারণে
ব্যস্ত ছিল,,,কিন্ত এই মুহূর্তে আজরাইল তোর সামনে এসে হাজির হবে,,আর তোর মত পাপিষ্ট যেনাকারির রুহটা অনেক যন্ত্রণা দিয়ে বের
করবেন,,, মৃত্যুর যন্ত্রণা যে কতো কঠিন এখন তুই উপলব্ধি করতে পারবি,,,,
মৃত্যুর যন্ত্রণার একটা ব্যাখ্যা
করি তোকে,,হয়রত ঈসা (আঃ)একদি রাস্তা দিয়ে
হেঁটে যাচ্ছেন,,,দেখলেন রাস্তার পাশে অনেক পুরনো একটা কবর,,,উনি কবরের পাশে দাঁড়ালেন এবং
বললো
(((কুম বিসনিল্লাহ,, আল্লাহ্ এর হুকুমে কবর থেকে উঠো) এমনি কবর থেকে একজন মানুষ উঠলো,,
হয়রত ঈসা (আঃ) জিজ্ঞাসা করলেন,(( ও মা আনতা ওমা ইছমোকা,))
তোমার নাম কি,, তোমার পরিচয়
কি,,,কবর থেকে উঠা ব্যক্তি জবাব দিলো,,আমার নাম
ছাম,,,আমি দাউদ (আঃ)ছেলে! দাউদ (আঃ) এর ছেলে ছাম,
(( আঃ))ও একজন নবী,, মানে কবর থেকে উঠা
ব্যক্তিটা ও একজন নবী
ঈসা (আঃ)বললেন আপনি তো আল্লাহ্ এর একজন নবী,,
ছাম (আঃ)বললেন হ্যা
ঈসা( আঃ)আবার ও বললেন,,আপনি কি কবরে যে অবস্থায় শুয়ে ছিলেন,, ঐ অবস্থায় শুয়ে থাকতে চান,
নাকি আবারও দুনিয়ায় আসতে চান,, যদি দুনিয়াতে আসতে চান,,তাহলে আমি আল্লাহ্ এর দরবারে ফুরিয়াত
করবো,,আল্লাহ যেন আপনাকে আবার দুনিয়ায়তে পাঠাই,,,
হয়রত ছাম (আঃ)বললেন আমি যদি আবার ও দুনিয়ায় আসি,,আজরাইল কি আবার ও আমার জান কবজ করবে,,,
হয়রত ঈসা( আঃ) বললেন,,আপনি আল্লাহ্ এর একজন পয়গম্বর আপনি আজরাইলকে এতো ভয় পান কেন,,
হয়রত ছাম( আঃ)বললেন হে নবি ঈসা আপনার সাথে
তো এখনো আজরাইলের দেখা হয় নাই,, আপনি কি
বুঝবেন,,আজ থেকে সারে হাজার বছর আগে আমি
ছাম মৃত্যু বরণ করেছি আজও পর্যন্ত মরনের কষ্ট ভুলতে পারি নাই,,
কয়েক হাজার বিষাক্ত কাঁটা,আমার
পেটের ভেতরে ঢুকিয়ে,, সমস্ত রগের মধ্যে এবং নাড়িভুঁড়ির মধ্যে পেচিয়ে কয়েক হাজার লোকের জোড়ে এক টান মারলে যতটুকু কষ্ট
অনুভব করতে পারবো,,আমি ছাম তার চেয়ে নয় গুন বেশি কষ্ট অনুভব করছি,,,,দুনিয়াতে যত নবী রাসুল এসেছে সবাই নিষ্পাপ তাদের কোন গোনাহ নাই,, একজন নবী হয়ে যদি
এতটুকু মৃত্যুর যন্ত্রনা অনুভব করতে পারে,,,তাহলে তোর মত পাপিষ্ট জিনা কারিনী,,যে স্বামীর হক নষ্ট করে,,, স্বামীর অগোচরে পর পুরুষ কে বিছানায় এনে অশ্লীল খেলায় মেতে ওঠে,,,তোর কতটুকু মৃত্যুর যন্ত্রনা হবে ভেবে দেখ তুই,,,
আমার স্ত্রী আমার কথা শুনে আমার দু পা জড়িয়ে
ধরে জোরে জোরে চিৎকার করতে লাগলো
আর বলতে লাগলো,, আমাকে একটা বার ক্ষমা করে
দাও,,,আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়ার একটা সুযোগ দাও,,
তোকে কোন ক্ষমা করা যাবে না আল্লাহ্ এর কাছে গিয়ে ক্ষমা চেয়ে নিস,,,কথা বলে আমি ধারালো
ছুরিটা দিয়ে আমার স্ত্রী শরীরের জোড়ে একটা টান
দিলাম,,,সাথে সাথে আমার স্ত্রী ব্যথায় কুঁকড়িয়ে উঠলো,,,,আমি ধারালো ছুরিটা দিয়ে আবার ও।।।
আগামি পর্বে শেষ হবে,কেমন হচ্ছে মতামত দিবেন।
.
.
#চলবে_কি??
.
আমার স্ত্রী আমার কথা শুনে আমার দু পা জড়িয়ে
ধরে জোরে জোরে চিৎকার করতে লাগলো আর বলতে লাগলো,, আমাকে একটা বার ক্ষমা করে দাও,,,আল্লাহ্'র কাছে ক্ষমা চাওয়ার একটা সুযোগ দাও,,
তোকে কোন ক্ষমা করা যাবে না আল্লাহ্'র কাছে গিয়ে ক্ষমা চেয়ে নিস,,,কথাটা বলে আমি ধারালো
ছুরিটা দিয়ে আমার স্ত্রী শরীরের জোড়ে একটা টান
দিলাম,,,সাথে সাথে আমার স্ত্রী ব্যথায় কুঁকড়িয়ে
উঠলো,,আর জোরে জোরে চিল্লাতে
লাগলো,,আমাকে ক্ষমা করে দাও,,,একটা বারের
জন্য ক্ষমা করে দাও,,আমি জীবনে আর এরকম
করবো না,,,
আমি আমার স্ত্রীর কোন আকুতি-মিনতি শুনছি না
মরণের নিশা আমাকে চেপে ধরেছে,,, আমি ধারালো ছুরি টা দিয়ে আরেকটা পোছ দিব,,এমন সসময় আমার
স্ত্রী হাত দিয়ে ছুরিটা ধরে ফেললো,,,হাত থেকে টপ টপ করে রক্ত পরছে,,,আমি ছুরিটা টান
দিয়ে এনে,,এক কুপে আমার স্ত্রীর দেহ
থেকে হাতটা বিচ্ছিন্ন করে ফেললাম,, আমার স্ত্রী মেঝেতে পরে গিয়েছে,,এক হাত দিয়ে আমার
একটা পা জরিয়ে ধরে আছে,,,আর বলছে আমাকে
তুমি একটা বার সুযোগ দাও,,,আমি আমার স্ত্রীর কোন কথায় শুনছি না, একটা পা হেছকা টান দিয়ে এনে দেহ
থেকে পা টা আলেদা করে ফেললাম,,,
আবার আমার স্ত্রী আকুতি মিনতি সুরে বলতে
লাগলো,,তুমি আমাকে একটা বার সুযোগ দিয়ে দেখ,,,আমি আল্লাহ্'র কসম করে বলছি আমি ভাল হয়ে
যাবো,,,তুমি আমার একটা হাত একটা পা কেটেফেলেছো,,,আমার বাকি একটা হাত একটা পা দিয়ে সারা জীবন তোমার সেবা করবো,,,তোমার পায়ের কাছে পতে থাকবো,,,তিন বেলার চেয়ে এক বেলা খাবার দিও,,,,
তোকে যদি আমি ছেড়ে দেই,, তুই আমার সামনে
আমার ছেলের সামনে মুখ দেখাবি কি ভাবে,,,আমার বাকিটা জীবন বোরকা পরে গোপন ঘরে
বন্দি হয়ে থাকবো,, আর আল্লাহ্'র কাছে ক্ষমা
চাইবো আমার পাপের জন্য,,
আমার স্ত্রীর বাঁচার জন্য আকুতি মিনুতি দেখে আমার
একটু করুনা হলো,,,কারন এই ৬ বছরের সংসারের
জীবনে তাকে অনেকটা ভালবেসে ফেলেছি,,,
হঠাৎ করে মুয়াজ্জিনের আল্লাহু আকবর আযানের
ধ্বনি আমার কানে এসে লাগলো,,, প্রকৃতির পরিবেশ
তখন নীরব,,, বাহিরে তখন অজর ধারায় বৃষ্টি নাই, টিপ
টিপ করে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি পড়ছে,,, সেই সাথে ঠান্ডা
বাতাসে পরিবেশটাকে শান্ত করে তুলছে,,,জানালার
পর্দার ফাক দিয়ে ঠান্ডা বাতাস রুমের ভিতরে প্রবেশ
করছে,,সে ঠান্ডা বাতাস আমার উত্তাপ্ত গরম মাথাকে
হিম সিতল করে তলছে,,,আমি আসতে আসতে অবশ
হয়ে যাচ্ছি,,, আমার হাত থেকে ছুরিটা পরে গেল,,,,আমি আমার স্ত্রীর হাত পা বিহীন শরীরের
পাশে বসে কান্না করে বলতে লাগলাম,,তুই কেন
এমনটা করলি,কিসের অভাব ছিলো আমার,,,তোর যদি কাউকে ভাল লাগতো,,তাহলে আমাকে বলতি,,,আমি
তোকে ওর হাতে তুলে দিতাম,,,কিন্তু তুই কেন
নোংরা খেলায় মেতে উঠলো,,
আমার স্ত্রীর কথা বলার কোন শক্তি নাই, রক্ত দিয়ে
আমার মেজো ভেসে যাচ্ছে,,আমি তারাতারি ওকে
গাড়িতে তুলে হসপিটাল নিয়ে গেলাম, ওর
ট্রিটমেন্টের সব টাকা দিয়ে আমি গ্রামের বাড়িতে
চলে আসলাম,,,
এর পর একটানা ৬টা মাস অধিবাহিত হয়ে গিয়েছে,,,প্রথম
একটা মাস আমার ছেলে ওর আম্মুর জন্য কেদে
কেদে খানা পানাহা ছেড়ে দিয়েছে,,, সারাক্ষণ শুধু
আম্মু আম্মু বলে ডাকে,,,আমার ছেলেটার মধ্যে সেই আগের চঞ্চলতা নেই,, অনেকটা শুকিয়ে
গিয়েছে,,, আস্তে আস্তে,
ওর মার কথা ভুলিয়ে ওকে স্বাভাবিক করার চেষ্টা
করেছি,,,এখনো মধ্যে রাতে আম্মু বলে চিৎকার
দিয়ে উঠে,,,
আব্বু আম্মু আমাকে অনেক বুঝিয়েছে,,আরেক টা
বিয়ে করার জন্য,,,কিন্ত না আমি আর কোন মেয়েকে বিশ্বাস করি না,,আমার ছেলেকে নিয়ে
আমি অনেক ভাল আছি,,
আজ আমার ছেলের জন্মদিন,,,ওর ৬বছর পরিপূর্ণ
হল,,,ছেলেকে নিয়ে হেনা হামিদ প্লাজায় শপিং করতে গেলাম শপিং করা শেষ করে গাড়ির কাছে
আসা মাত্রই আমার ফোনটা বাজতে লাগলো ফোন
রিসিভ করে দেখি আমার এক বন্ধু,,
আমার ছেলে আমার বা হাতটা ধরে দাড়িয়ে আছে,,,
.
#বিঃদ্র গল্প পড়ে দেখি সবাই কেটে পরেন,ব্যাপার কি বলেনতো?প্লিজ কেউ কেটে পরবেন না,আপনানাদের মতামত আমাকে উৎসাহ দেয় পরবর্তী পর্ব দেওয়ার। আর সব সময় কিছু গঠনমূলক কথা লিখে কমেন্ট করলে খুশি লাগে।
ধন্যবাদ ইতিঃ (#তানিম_চৌধুরী)গল্পের মাঝে বিরক্ত করার জন্য দুঃক্ষিত।
.
বন্ধুর সাথে কথা বলতে বলতে খেয়ালই নেই কখন
ছেলে হাত ছেড়ে দিয়েছে,,,ছেলের কথা
খেয়াল আসতেই,,ফোন রেখে দিয়ে,
ছেলেকে খুঁজতে লাগলাম,,,
হঠাৎ খেয়াল করে দেখি রাস্তার মোড়ে একজন
মহিলা আমার ছেলেকে জড়িয়ে ধরে কপালে
নাকে গালে চুমু দিচ্ছে আর অজর নয়নে কান্না
করছে,,,আমার ছেলেও মহিলাটিকে জরিয়ে ধরে
কান্না করছে,,,
আমি মহিলাটির কাছে গিয়ে বললাম,,,কি করছেন
ছাড়োন আমার ছেলেকে,, আমি ছেলেকে
ধরে টেনে নিয়ে আসতে চাইলাম,,,
কিন্তু আমার ছেলে এবং মহিলা কেউ কাউকে
ছাড়ছেনা,,,মহিলা বলতে লাগলো,, প্লিজ আমার
ছেলেকে নিয়েন না,,,আমি মহিলার কন্ঠ সুর শুনে
থমকে দাঁড়ালাম,,, কন্ঠটা খুব পরিচিত লাগছে এই কন্ঠের
সাথে যেন আমার কোথায় পরিচিত,,,
আমি মহিলাটির কাছে গিয়ে দাঁড়ালাম সাথে সাথে মহিলা
আমার পায়ে পড়ে গেল এবং বলতে লাগল প্লিজ
আমার ছেলেকে নিয়েন না,,,
আমি মহিলাকে বললাম আপনার ছেলে মানে,,,মহিলা
আমার দিকে মাথা তুলে তাকালো,,,কিন্তু মহিলার মুখে
পর্দার কারনে চিনতে পারছিনা,,,মাথা থেকে পা অব্দি কালো বোরকা দিয়ে ডাকা,,,
মহিলা এবার মুখের পর্দাটা সড়ালো,,,আমি মহিলার দিকে
তাকিয়ে পৃথিবীর সবচেয়ে আশ্চর্যজনক জিনিস টা
মনে হয় দেখলাম এ যে আমার স্ত্রী যাকে এখন
অব্দি ডিভোর্স দেওয়া হয়নি,,,আমার স্ত্রী তার এক
হাত দিয়ে আমার পায়ে ধরে বলতে লাগলো,,
আমাকে ক্ষমা করে দেন, আমি জানি আমি ক্ষমার
যোগ্য না,,,
আমি আপনার সাথে অনেক বড় অন্যায় করেছি,,, কিন্তু
আপনি মাফ না করলে যে আল্লাহহ্তালা আমাকে মাফ
করবেন না,,, জানেন এখন আমি কোন পুরুষের
দিকে তাকায় না,, খুব ভয় পাই,,, আল্লাহ্' দরবারে সারাক্ষণ
কাদি আমার ব্যভিচারের জন্য,,, আমার পাপের জন্য,,,
জানি না আল্লাহ তায়ালা আমাকে ক্ষমা করবে কিনা?
কোনদিন,,, আমি আপনার পায়ে ধরে বলছি,,আমার
ছেলেটাকে ৫ মিনিটের জন্য আমার কাছে
দেন,,আমি কখনো আমার ছেলেকে মন ভরে
আদর করতে পারিনি...একথা বলে জোরে জোরে কান্না করতে লাগলো?
আমি আর কোন কথা বললাম ,,ওখান থেকে একটু
দুরে চলে আসলাম,,,আমি বুঝতে পারছি আমার চোখ
দিয়ে পানি পড়ছে,, হায়রে মানুষ স্বামী সন্তান
টাকাপয়সা বাড়ি গাড়ি সবই ছিল রানীর মত জীবন
পেয়েছিল,,, আজ সে রাস্তার মোড়ে হুইল
চেয়ারে বসে ভিক্ষা করে তার কৃতকর্মের জন্য,,,
ছেলের দিকে তাকিয়ে দেখি,,তার মাকে জরিয়ে
ধরে কান্না করছে,,,তার মা ও বুকের সাথে জরিয়ে
ধরে কান্না করছে,,,
আমি ৪_ ৫ মিনিট পর আমি আমার ছেলেকে টেনে
আনার চেষ্টা করলাম,,,কিন্তু কেউ কাউকে
ছাড়ছেনা,,আমি একটু জোর করেই ছেলেকে
টেনে নিয়ে যাচ্ছি,, কিন্তু ছেলে জোরে
জোরে চিৎকার করতে লাগলো,,,বলতে
লাগলো,,আমি আম্মুর কাছে যাবো,,আমাকে
ছেড়ে দাও আমি আম্মুর কাছে যাবো,,,ঐ দি্কে
মহিলা ও চিৎকার করছে,, প্লিজ আমার ছেলেকে
নিয়ে যায়েনা না,,,
আমি কোন কথায় শুনলাম না,,,ছেলেকে নিয়ে বাসায়
চলে আসলাম,,,বাসায় আসার পর থেকে ছেলের
চিৎকারের মাত্রা আরো বেড়ে গেল,,, ছোট্ট
বাচ্চা চিৎকার করতে করতে কয়েকবার জ্ঞান হারিয়ে
ফেলেছে,,,
আব্বু আম্মু বলতে লাগলো,,বাবা যে অন্যায় করে
নিজের ভুল বুঝতে পারে,, তাকে ক্ষমা করে
দেওয়া উচিত,,, ক্ষমা করা হলো মহৎ কাজ,,,,,ক্ষমাকারী ব্যক্তি কে আল্লাহ্ তাআলার অনেক পছন্দ
করেন,,, তুই বৌমাকে নিয়ে আয়,,
তার কৃতকর্মের শাস্তি সে পেয়ে গেছে, তোর
সন্তানের দিকে তাকিয়ে ওকে নিয়ে আয়,,,
বাবা মা আর সন্তানের দিকে তাকিয়ে,,ওকে খুঁজে
নিয়ে আসলাম,,,
তার পর ৬টা মাস চলে গেল,,,আমার স্ত্রী মনে হয়
এই ছয়টা মাস বিছানায় পিঠ লাগাই নাই সারাক্ষণ জায়নামাজে
দাঁড়িয়ে গভীর রাতে কান্নাকাটি করে তার কৃতকর্মের জন্য,তার পাপের জন্য,,, পাশের রুম থেকে আমি তার
কান্নার আওয়াজ স্পষ্ট শুনতে পাই,,এই ৬টা মাস আমি
আমার স্ত্রীর মুখ একবারে জন্য ও দেখিনি,,বা সেও আমার
সামনে আসেনি,,,
ইদানিং ওর কান্নার আওয়াজ আরো বেড়ে গেল,,,
আশে পাশের লোক পর্যন্ত গভীর রাতের ওর
কান্নার আওয়াজ শুনতে পাই,,, গভীর রজনীতে
আমার পায়ের কাছে এসে কাঁদে আমি বুঝতে পারি,
তার চোখের পানিতে আমার পা ভিজে যাচ্ছে,,,কান্না
করতে করতে অনেক সময় জ্ঞান হারিয়ে
ফেলে,,
আব্বু আম্মু আমাকে প্রতি নিয়ত বুঝাচ্ছে,,,ওর
কৃতকর্মের জন্য আল্লাহ্'র কাছে দিনরাত কান্না কাটি
করছে খাওয়া দাওয়া ছেড়ে দিয়েছে,,আল্লাহ তাআলা
হইত ওর আকুতি মিনুতি কান্নাকাটি দেখে ওকে মাফ
করে দিয়েছে,,,তুই ও বাবা ওকে মাফ করে দে,,,
আমি মসজিদের সব চেয়ে বড় হুজুরের কাছে
চলে গেলাম,,হুজুর বললো,,কেউ যদি তার
কৃতকর্মের জন্য তার পাপের জন্য আল্লাহ্'র কাছে
ক্ষমা চাই কান্নাকাটি করে তাহলে আল্লাহ্ তালা নিশ্চয়ই
মাফ করে দেন,,,
আল্লাহু তায়ালা বলেন হে বান্দা তোমার গোনাহ্ যদি
আকাশের মেঘমালা পর্যন্ত পৌঁছে যায়,,, আর তুমি যদি
আমার কাছে তওবা কর,, গভীর রাতে কান্নাকাটি
করো,,, আমার কাছে মাথা নত কর,,, তোমার নিজের
ভুল স্বীকার করো,,আর কখনো এরকম করবে
আমার নামে কসম করে প্রতিজ্ঞা করো,,, তাহলে
আমি আল্লাহ্ সুবহানুতায়ালা তোমার সেই পাপ
আকাশে মেঘলা মালা পর্যন্ত গুনাহ ও মাফ করে দিব।
,,,
তার পর পরিবারের সবাইকে নিয়ে বায়তুল্লাহ্
তোয়াফে চলে গেলাম,,,
কাবা শরিফের সামনে আমার স্ত্রী কান্না করতে
করতে কয়েকবার জ্ঞান হারিয়ে ফেললো,,,,
জ্ঞান ফেরার পর আবার অঝোর নয়নে কান্না
করতে থাকে আর বলতে থাকে,,,হে আল্লাহ্
আমার মত পাপি ব্যভিচারিণী আসমান এবং জমিনের
মধ্যে একটাও নাই,,,আমি অনেক বড় পাপি,,,আমি আমার
স্বামীর হক নষ্ট করেছি,,, শয়তানের ধোখাই পড়ে
ব্যভিচারে লিপ্ত হয়েছি,,,,আমি জানি আমি ক্ষমার
যোগ্য না,,,,তোমার কাছে আমি কোন মুখে ক্ষমা
চাইবো,,,তোমার কাছে যে ক্ষমা চাইতে ও যে
আমার লজ্জা করে,,,,কিন্তু তুমি ছাড়াতো আর ক্ষমা কারি
কেউ নাই,,,, তুমি যদি আমাকে তাড়িয়ে দাও আমি কার
কাছে যাব,,,তুমি ছাড়া যে আর দয়ালু কেউ নাই,,আল্লাহ্
তুমি তোমার দরবার থেকে আমাকে তারিয়ে দিয়েও না,,, আল্লাহ্ তোমার কাছে আমি পানাহা চাই, ,, তোমার
কাছে আমি ক্ষমা চাই,,,,,এভাবে কান্না করতে করতে
মিনিট পাঁচেক পরে পরে জ্ঞান হারিয়ে
ফেলে,,,,,বায়তুল্লাহ তোয়াফ শেষ করে,তাকে
নিয়ে চলে গেলাম সিঙ্গাপুর,,, পৃথিবীর সবচেয়ে
উন্নত হসপিটালে,সেই খানে নেওয়ার পর তাকে ট্রিটমেন্ট করার পর একটা আলগা পা আর একটা আলগা হাত লাগানো হয়,এখন সে আগের মত হাটতে পারে সব কিছু করতে পার আল্লাহ্ এর রহমতে,সংসারটা আবার ভালোবাসায় ভরে উটলো,আগের মত, রঙ্গের এই দুই দিনের দুনিয়ায় এসে,,,, রংতামাশার খেলায় তুমি
গেছো মিশে, পাপ পর্নে ভরা জীবন
তোমার,,, করেছো যিনা-ব্যভিচার, আরো করেছো সকল পাপের শোমিচার,,,সময় থাকতে
ডাকো মাওলাকে,,,আজরাইল আসি বার আগে,,আর না
হয় সময় পাবে না তুমি, মওলাকে ডাকি বার,,
.
.
-------#সমাপ্ত-------
.