24.12.23

ঘুমন্ত পরী

 ঘুমন্ত পরী

Part: 1
writer. moyej uddin
-আহহহহহহ উমমমমমম সকাল সকাল ঘুমটা ভাঙল তাহলে। ওমাহ একি????(একটা মেয়ে আমার রুমে ঘুমিয়ে আছে তাও আমার পাশে!)
-ই আল্লাহ পরী টরী নয় তো??চিৎকার দিবো?? না থাক দেখি যদি মানুষ হয়।
কিন্তু দেখতে তো পরীর মতো। এত সুন্দর মানুষ হবে না। কি করি এখন??
ডাক দিবো?? যদি কিছু বলে??
-এই যে পরী শুনছেন
-.......(কোনো কিছুই বলছে না)
-এই যে আপনি এখানে আসছেন কেনো?? পরী দেখলে আমার ভয় লাগে। আপনি চলে যান
(নাহ তাও কোনো কথা বলছে না। পানি দেই একটু)
-একটু পানি দিলাম মুখে কাজ হলো না। পুরোটা দিয়ে দিবো! ধুর পুরোটাই ঠেলে দিলাম
-ওই ওই ওই ওই কে রে পানি দিলো(পরী)
-লা ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নি কুন্তু মিনাজ যোয়ালিমিন....-লা ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নি কুন্তু মিনাজ যোয়ালিমিন.....(ভয়ে কাপতেছি)
-এই কাপতেছিস কেনো??
-আমি কিছু করি নাই। আমাকে মারবেন না। প্রথমে একটু পানি দিলাম উঠলেন না। তাই পরে সব পানি ঢেলে দিছি। আপনি এখান থেকে আপনার দেশে চলে যান।
-এই কি বলছিস আমার দেশে যাবো মানে??
-মানে আপনি তো পরী। পরীর দেশে চলে যান..
-হা হা হা হা হা হা হা
-হাসছেন কেনো??
-আরে হাদারাম আমি জান্নাত। তোর মামাতো বোন( জান্নাত আমার মামাতো বোন। আমার থেকে ২ বছরের বড়। আমি অনার্স ফাস্ট ইয়ার আর উনি থার্ড ইয়ার। তাকে আমি দেখলাম দীর্ঘ ৬ বছর পর। তাই চিনতে পারি নাই। এখন চিনলাম একটু দুষ্টামি করি)
-এহহহহ সত্যি??
-হ্যারে গাধা
-আমি কি আপনার হাত টাচ করতে পারি??
-হ্যা দেখ
-হুমমম ঠিক আছে (এত কিউট আহা মনে হয় গাল ধরে একটা টান দেই)
-কিরে কি ভাবিস
-আমি ভাবছিলাম আপনি পরী।
-গাধা একটা
-গাধা হই আর যাই হই। আপনি এত কিউট হইছেন কিভাবে???
-হা হা হা হা হা জানি না। এখান থেকে যা আমার খুব ঘুম পাচ্ছে...
-আমারও
-না বাছাধন আপনার আর ঘুমাতে হবে না আপনি যান
-না একটু ঘুমাই
-যাবি তুই???(ধমক দিয়ে)
-যাচ্ছি যাচ্ছি
যাক এতদিনে একটা বড় সরো ক্রাশ খাইলাম।শুধু ক্রাশ না এক দেখাতেই সব হয়ে গেছে। উফফ কি যে করব এখন। আগে যাই মামা মামির সাথে দেখা করি। ওহ হ্যা আপনাদের তো বলাই হয় নি তারা কি জন্য আসছে। আসলে আমার বড় বোনের বিয়ে। কাল আজ গায়ে হলুদ।
খাবার রুমে গিয়ে দেখি মামা মামি বাবা মা বসে আড্ডা দিচ্ছে...
-আসসালামু আলাইকুম মামা কেমন আছেন??
-আরে শুভ। কেমন আছিস??
-হ্যা মামা ভালো। মামি আপনি কেমন আছেন??
-হ্যা ভালো। এত শুকনো হয়ে গেছো কিভাবে??
-আসলে মামি আমি তো সবসময় এইরকমই থাকি।
(-সবাই হো হো করে হেয়ে উঠলো।)
-ও কি এখনো ঘুমাচ্ছে??(মামি)
(ওহ তার মানে ওনারাই তাকে আমার রুমে ঘুমাতে পাঠিয়ে দিছে। কি চমকান টাই চমকালাম সকালো
তবে আমার ভালই হইছে হি হি হি)
-হ্যা মামি আপু এখনো ঘুমাচ্ছে
-ওকে ডাক দিয়ে আনো
-মামি ডাক দিয়েছিলাম প্রথমেই।
আপু বলল আরও ঘুমাবে।
-ওহহহহ
-তাহলে আমরা এখন সকালের খাবার টা খেয়ে নেই।(মা)
সবাই একসাথে সকালের নাস্তা করলাম। জান্নাত আপু বাদে।
খাওয়া শেষ করে উঠে যাচ্ছিলাম...
-তুই কই যাস???(মা)
-একটু বাইরে যাবে
-না তোর কাজ আছে
-কি কাজ??
-এই খাবার টা নিয়ে জান্নাত কে দিবি আর ওর সাথে আজকে একটু থাকবি ওকে কিছু কাজ দিয়েছি। জান্নাত বললো শুভ যেন আমার সাথে থাকে।(যাক আজকের মতো সব আনন্দ শেষ)
-হুমমম খাবার দাও...
খাবার নিয়ে আমি আমার রুমে চলে গেলাম...আহা পরী টা দেখি এখনো ঘুমাচ্ছে....
-কিছু বললি???(আরে আপু তো দেখি এখন জেগে আছে)
-না মানে আপু। মা আপনার জন্য খাবার পাঠিয়ে দিয়েছে। আর আপনার সাথেই থাকতে বলেছে।
-হুমমম আমার কিছু শপিং করতে হবে। আর আপুর জন্য কিছু কিনতে হবে(জান্নার আপুর থেকে আমার আপু বড়। তাই তাকে আপু বলে ডাকে)
-হ্যা সমস্যা নেই। আমি সাথেই থাকবো
-হুমমমম। বাথরুমটা কোন দিকে
-ওই যে সামনে....
তারপর আপু খেলো আমি শুধু তাকিয়ে ছিলাম একভাবে। কত সুন্দর করে খায় আহা। আমি শুনছি যে কেউ যদি প্রেমে পরে তার প্রেমিক/প্রেমিকাস সবকিছুই ভালো লাগে।
তাহলে কি আমি????
ছি ছি কি ভাবছি উনি আমার ২ বছর এর বড়। আপু হয় আপু।(নিজের মনকে সান্তনা দিলাম)
খাওয়া শেষে....
-শুভ তুই রেডি হ। আমি আপুর সাথে দেখা করে আসি
-রেডি হয়ে কি করবো??
-আরে হাদারম এই মাত্র বললাম তো শপিং করতে হবে একটু।
-ওহহহ ওকে
-হুমমমম.......
নাআআআআআআ(আপু আমার উপরে পরে গেছে চিৎকার টা আমি দিছি)
-কত ভোল্টেজ এর শকড খাইছি জানি না। তবে এটুকু জানি এরকম মুহূর্ত আমি আগে কখনো অনুভব করি নাই.......
।।
ঘুমন্ত পরী
Part: 2
writer. moyej uddin
-তার উপর পরে গিয়ে কত ভোল্টেজ এর শকাড খাইছি জানি না। তবে এটুকু জানি এরকম মুহূর্ত আমি আগে কখনো অনুভব করি নাই....সেই সকালের ঘুমন্ত পরীর মতো লাগছে চোখ ফেরাতেই পারছি না।.....
-সরি সরি পা ফসকে গেছে(জান্নাত)
-না ঠিক আছে
-হুমম তুই রেডি হ কেমন
-আচ্ছা
আপু চলে গেলো। কিন্তু আমার অবস্থা একদম খারাপ। ধাক্কা টা আমার লাগে নাই। আমার মনে লাগছে।ভালবেসে ফেলছি কি করি এখন?? সময় অনুযায়ী বলে দেবো। এখন তো আগে শপিং করে আসি......
কিছুক্ষণ পর...
-এই শুভ হইছে তোর??(জান্নাত আপু)
-হ্যা হইছে।
-ওকে নিচে আয়
-হুমম আসছি
তারপর শপিং করলাম তার সাথে। আমি কোনো কথা বলি নাই। সে কিনছে আর আমি শুধু দেখছি। তার দিকেই তাকিয়ে আছি...
-আপুউউ
-কি??
-কিস খাবো
-কিহহহ???
-কিছু খাবো।
-ওহহহ কি খাবি??
-সিঙ্গারা। ওকে চল
খাওয়া দাওয়া শেষ করে বাসায় ফিরলাম। সন্ধ্যায় গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান হলো।সবসময় আপুর কাছেই ছিলাম....রাতে খাওয়া শেষে আমার কিছুই ভালো লাগছে না। জান্নাত আপুকে ভালবেসে ফেলছি....
তাকে এখন এই কথাটা বলা কি ঠিক হবে??? ধুরর যা আছে কপালে বলে দিবো।
আমার রুমে গিয়ে দেখি জান্নাত আপু রেস্ট নিচ্ছে....
-আপু আসতে পারি??
-ওহহ তুই। হ্যা আয় তোর রুম আসতে আবার পারমিশন লাগবে নাকি??
-না তুমি আছো তো তাই
-হুমমম
-ইয়ে মানে
-কি হইছে কিছু বলবি??
-হুমম।
-বল
-আজ সকালে তোমাকে ঘুমন্ত অবস্থায় থেকে ভালবেসে ফেলছি।
-এহহহহহ(আপু চমকে উঠছে)
-হ্যা
-এই কুত্তা আমি না তোর বড়
-তাই কি হইছে। ভালবাসা ছোট বড় দেখে হয় না
-বাব্বাহ মুভি দেখে দেখে ভালই ডায়লগ মুখস্থ হইছে তোর
-না। সত্যি আমি অনেক ভালবেসে ফেলছি
-কিন্তু আমি একজনকে ভালবাসি। তাস সাথে আমার ৩ বছরের রিলেশন
-ম ম মানে
-মানে আমি আর একজনকে ভালবাসি।
-ওহহহ সরি সরি। আমি বুঝতে পারি নাই।
-দেখ মন খারাপ করিস না
-আরে না ঠিক আছে। আর তুমি তাহলে রেস্ট নাও।
-তুই কই যাবি??
-বন্ধুদের সাথে ঘুমাবো
-আমি ভাবলাম তোর সাথে রাতে একটু গল্প করবো
-আজ না। অন্যদিন যাই এখন বাই গুড নাইট...
সেখান থেকে চলে এলাম। খুবই খারাপ লাগছে। কেনো যে বলতে গেলাম। না বলাই ভালো ছিলো।
সকালে ঘুম থেকে উঠে রুমে আসলাম। কারন একবার সেই ঘুমন্ত পরীর মুখ টা দেখতে.....কিন্তু একি আপু আগেই উঠেছে....যাহ আজ আর দেখা হলো না।
যাই সকাল সকাল গোসল করে নেই
সব মেহমান আসতে শুরু করছে।
বাথরুমে যেতেই
-আআআআআআআআ(জান্নাত)
-আআআআআআআআ(আমি)
-ও মা একি দেখলাম আমি(গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেছে)
গাধি আপুটা গোসল করছে। দরজা লক করে নাই। হায় আল্লাহ কি হবে এখন.....
তাড়াতাড়ি সেখান থেকে চলে এলাম
আজ আর গোসল করা হবে না। টেনশন এ শুধু ঘাম ঝরতেছে। দেখা হলে কি না কি বলে। যদিও আমার কোনো দোষ নেই। আমি তো আর জানি না ভেতরে কে আছে.....
সকালের খাওয়া টা তারাতাড়ি সেরে নিলাম....খাওয়া শেষে মা বলল
-খাবার টা জান্নাত কে দিয়ে আয়
-না মা আমি একটু বাইরে যাবো
-এটা দিয়ে তারপর বাইরে যা
-তুমি যাও
-আমার কাজ আছে। তুই গিয়ে দিয়ে আয়
-আচ্ছা(না করতে পারলাম না)
উফফ কি যে হবে এখন..
খাবার নিয়ে রুমে গেলাম...
আরে আপু মাথা নিচ দিক দিয়ে কান্না করতেছে কেনো
-আপু কান্না করছো কেনো
-হাত কেটে গেছে (দেখি হাতের একটা আঙ্গুল দিয়ে রক্ত পড়ছে)
-আরে কিভাবে কাটলো
-তুই যখন বাথরুমে ঠুকলি। তখন তাড়াতাড়ি কাপড় নিতে গিয়ে কিছু একটার সাথে কেটে গেছে
-ওহহ সরি সরি আসলে আমি বুঝতে পারি নি
-তোর তো দোষ নেই। আমি লক করতে ভুলে গেছি
-একটু অপেক্ষা করো
-কেনো??
-এমনি
(একটা কাপড় আর স্যাভলোন দিয়ে বেধে দিলাম)
-এই তুমি কি ছোট মানুষ যে কান্না করছো
-মা দেখলে বকা দিবে..
-মামি কে আমি বুঝিয়ে বলব। তুমি এখন খেয়ে নাও আমি যাি
-না শোন
-হ্যা বলো
-আমি হাত দিয়ে খেতে পারবো না
-তাহলে কি মামিকে ডাক দিবো?? তোমাকে খাওয়ায়ে দিবে।
-না। মা বকবে। তুই দে
-আমি!
-হুমম দিবি না??
-ওকে দিচ্ছি হা করো
-হাআআআ
-এত বড়ো কেউ হা করে??
-হুমম করে তুই দে
-হুমমমমম।
-সব টুকি প্লেটে ফালাস। আমার মুখে তো কিছুই যাচ্ছে না।
-আমি কাউকে কোনোদিন এভাবে খাওয়ায়ে দেই নাই....
-হুমমম ভাল করছিস...
-কেনো
-এমনি। এই তোর চোখে পানি কেনো?
-কই না তো......
।।
ঘুমন্ত পরী
Part: 3
writer. moyej uddin
-আমি কাউকে কোনোদিন এভাবে খাওয়ায়ে দেই নাই(আমি)
-হুমমমম ভাল করছিস(জান্নাত)
-কেনো??
-এমনি। এই তোর চোখে পানি কেনো??
-কই না তো
-না আমি দেখছি
-হয়তো পোকা টোকা পড়ছে।
-মিথ্যা নয় তো
-আরে মিথ্যা বলবো কেনো?? হা করো
-হুমমমমম
খাওয়া শেষ করে...
-আমি এখন আসি(আমি)
-কই যাবি??
-বাড়িতে অনেকেই আসবে। কাজ আছে। যাই এখন
-হুমমম যা
সেখান থেকে চলে গেলাম....
সারাদিন ব্যাস্ততায় চলে গেলো। সন্ধ্যায় আপুকে বিদায় দিলাম।
সারাদিন ব্যাস্ত থাকায় জান্নাত আপুর সাথে দেখা হয় নাই....
উফফফ খুব ক্লান্ত লাগছে...রুমে গিয়ে একটু রেস্ট নেই....
রুমে এসে ঘুমিয়ে পড়লাম
মধ্যরাতে আমার শরীর পর আরেকটা শরীর ভর করছে মনে হয়। এত ভার লাগছে কেনো??
ওমাহ! এতো দেখি জান্নাত আপু...আমার উপর পা তুলে দিয়ে ঘুমাচ্ছে...পা টা নামিয়ে দিলাম...
আমি তার দিকে তাকিয়ে আছি
তার চুল গুলে কপালের উপর এলোমেলো হয়ে আছে...হাত দিয়ে সরিয়ে দিতে ইচ্ছা করছে। যেই ভাবা সেই কাজ। হাত দিয়ে সরিয়ে দিলাম।
হঠাৎ দেখি আপু চোখ মেলেছে
-ঠাসসসস (আপু একটা চর মারল)
-আমি আসলে....
-ঠাসসসস(আরেকটা মারল)
অনেক রাগ করছে দেখছি। আমি তো শুধু চুল গুলো সরিয়ে দিলাম। তাই এই অবস্থা! আগে জানলে দিতাম ই না। চোখ বেয়ে পানি পরলো....
রাতটা বাইরেই কাটালাম....
পরদিন...
-কিরে তুই এখানে কেনো(মা)
-না মানে এই একটু আগেই এখানে বসছি। কখন যে ঘুমিয়ে গেছি বুঝতে পারি নাই।(আমি)
-হুমম যা ফ্রেস হ। তোর আপুর বাড়ি যেতে হবে। ১১ টায় বাস।
-আচ্ছা।
১১ টার দিকে বাস এসে হাজির। সবাই উঠলো। আমি দেখছি কেউ বাদ আছে নাকি???
জান্নাত আপু কই?? নিশ্চই রুমে ঘুমাচ্ছে এখনো।
আমি দৌরে রুমে গেলাম...দেখি এখনো ঘুমাচ্ছে....
-এই আপু আপু ওঠেন
-কোনো কথাই বলছে না। শরীরে হাত দিবো না যদি আবার মাইর দেয়।
-এই আপু আপু এই আপু
নাহ কিছুই তো বলছে না
-এই আপু(একটু ধাক্কা দিলাম)শরীর টা বেশ গরম লাগলো। একি আপুর তো জ্বর।
দৌরে মার কাছে গেলাম
-মা জান্নাত আপুর তো জ্বর আসছে। উঠতেছে না। মনে হয় এই অবস্থায় যেতে পারবে না। মামি কে বলো থেকে যেতে
-তোর মামা মামি তো মাইক্রো তে চলে গেছে
-তাহলে এখন কি হবে??
-তুই থাক।
-না আমি যাবো
-তাহলে আমি থাকি??
-না তোমার যেতে হবে
-তাহলে তুই থাক। একলা বাড়িতে কি ওকে রেখে যাওয়া সম্ভব??? তুই থাক
-আচ্ছা ঠিক আছে দেখে যেয়ো আর ফোন করো।
বাস ছেড়ে দিলো। আমি আবার রুমে চলে এলাম। আপু এখনো জেগে ওঠে নাই। ঔষধ না খেলে তো কাজ হবে না। তাই প্রথমে রান্না করে নিলাম।
আবার ডাকলাম উঠলো না।
মাকে ফোন দিলাম...
-হ্যালো মা
-হ্যা বল
-আপু তো উঠছে না
-জলপট্টি করছিস??
-না
-জলপট্টি করিয়ে কিছু খাওয়াবি। তারপর ঔষধ খাওয়াবি ঠিক আছে।
-আচ্ছা ঠিক আছে। রাখি
-হুমমমম
জলপট্টি করে দিলাম। কপালে আবার হাত দিয়ে দেখি ওনেক গরম। প্রায় ১ ঘন্টা জলপট্টি করার পর একটু জেগে উঠলো....
আমি দেড়ি না করে কিছু খাবার আর ঔষধ নিয়ে এলাম। আর বললাম এগুলো খেয়ে নিন...
আপু কথা বলতে পারছে না। তারপর আমি খাওয়ায়ে দিলাম। ঔষধ দিলাম। তারপর ঘুমালো। আমি অনেক্ষন তার পাশে বসেছিলাম। ২ বার আমার উপর বমিও করছে....
এখন বিকাল ৫ টা বাজে আমি বাইরে দাড়িয়ে আছি....
-এই শুভ(বাসার ভেতর থেকে আওয়াজ আসলো)
দৌরে গেলাম
-কক কি হইছে আপু?? কিছু লাগবে??
-আমার একা একা ভাললাগছে না
-তুই আমার কাছে আয়। আর মাথায় হাত বুলিয়ে দে....
মনে মনে ভাবছি মাথায় হাত দেওয়াতে ২ টা চর দিছে। সেটা মনে হয় সে ভুলে গেছে....এখন নিজেই বলছে।
কি আর করার তার পাশে শুয়ে মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছি......
হঠাৎ সে
জড়িয়ে ধরলো
-কি করছো আপু??
-কিছু না।
-তাহলে ছাড়ো
-না আমার এইরকমই ভাললাগছে
-না মানে আমি তো..
-কোনো কথা না। বললাম তো আমার এই রকমই ভাললাগছে
ধীরে ধীরে আমাকে জোড়ে ঝাপটে ধরতেছে...
-আপু কি করছো??
-কিছু না চুপ থাকো বেশি কথা বলবা না। আমার ভালো লাগছে না। এইরকম করে জড়িয়ে ধরে রাখতে ভাল লাগছে। তাই তুমি কোনো কথা বলতে পারবে না
-কিন্তু আমার তো সমস্যা
-সমস্যার উৎস কিন্তু একদম উচ্ছেদ করে দিবো
-না না ঠিক আছে........
।।
।।
ঘুমন্ত পরী
Part: 4
writer. moyej uddin
-আপু কি করছো??
-কিছু না চুপ থাকো বেশি কথা বলবা না। আমার ভালো লাগছে না। এইরকম করে জড়িয়ে ধরে রাখতে ভাল লাগছে। তাই তুমি কোনো কথা বলতে পারবে না
-কিন্তু আমার তো সমস্যা
-সমস্যার উৎস কিন্তু একদম উচ্ছেদ করে দিবো
-না না ঠিক আছে........
তখন সন্ধ্যা ৭ টার মতো বাজে। আপু ঘুমাচ্ছে তখনও। আমাকে ছেড়ে দিয়েছে। কপালে হাত দিয়ে দেখলাম জ্বর নেই। যাক বাচা গেলো।
আর একটু পর। বাবা মা আর সবাই চলে আসবে.... আমি আবার বাইরে গেলাম....
একি বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে! বৃষ্টি আসবে মনে হয়। আবার রুমে গেলাম। বাবা ফোন করে বললো ওইখানে ঝড় হচ্ছে আসতে একটু লেট হবে....
আপু দেখি উঠে পরছে...
-গুড ইভিনিং(আমি)
-গুড ইভিনিং(জান্নাত আপু)
-হুমম এখন কেমন লাগছে??
-খুব ভালো
-হুমমম। তুমি কিছু খা.....
ঠাসসসসসসসসসসসস(কি ভাবছেন?? মাইর দিছে?? আরে না জোরে বিদ্যুৎ চমকাইছে)
(আপু শুয়ে ছিলো একদম উঠে দাড়িয়েছে)
-এই এই শুভ এদিকে আয় আমার খুব ভয় করছে...
(আমি কাছে গেলাম। তারপর হাত এর মধ্যে হাত দিলো)
-ওহ হ্যা যেটা বলছিলাম কিছু খাবে??
-হ্যা কিন্তু পরে আগে মেঘ ডাকা থেমে যাক তারপর
-না এই আমি যাবো আর আসবো
-আচ্ছা তাড়াতাড়ি আসবি কিন্তু।
-হ্যা আসবো।
আমি দরজার কাছে যেতেই কারেন্ট চলে গেলো!
-শুভওওওওওওওওওওওও-শুভওওওওওওওওওওওওও(জান্নাত আপু)
দেরী না করে মোবাইলের আলো জালিয়ে তার কাছে গেলাম
-এই তো আমি আসছি
আমাকে দু হাত দিয়ে একদম জড়িয়ে ধরছে..আর বলছে
-তোকে বললাম যাস না
-আচ্ছা যাবো না।
-হুমমম
-আপনি বড় হইছেন তাও ভয় করেন কেনো??
-জানি না। এ লাইট অফ কর
-না একদম অন্ধকার হয়ে যাবে তো
-অন্ধকারই ভালো। লাইট অফ কর
-তাহলে আমাকে ছাড়েন।
-না এত কথা বলিস কেন লাইট অফ করতে বলছি অফ কর
-হুমমমম।
বাইরে প্রচন্ড ঝড় হচ্ছে
এখন রুমের মধ্যে একদম অন্ধকার। আমার কেমন যেন অসস্তি লাগছে। তাই আপু কে বললাম
-এখন ছাড়ো। তোমার বি এফ আছে। ধরলে তাকেই ধরবা
-বেশি কথা কিন্তু আমি একদম পছন্দ করি না (এইটা বলে আরও জোড়ে জরিয়ে ধরলো)
মনে মনে বলছি,,, ভালবাসে একজন কে আর জড়িয়ে ধরেছে আর একজনকে.....
-একটা কথা বলি(আমি)
-হুমম বল কিন্তু বি এফ সম্পর্কে জানতে চাইবি না
-আচ্ছা।
-হুমম কি বলবি বল
-আমাকে এভাবে জড়িয়ে ধরে লাভ আছে আপনার???
-লাভ না থাকলে কি জড়িয়ে ধরেছি???
-না মানে আপনি তো..
-আর কোনো কথা না চুপপপপ
-হুমমমমম
কি যে সমস্যা। আমার তো বুকের ভেতর ধক ধক ধক ধক করেই চলছে...
কিছুক্ষণ পর আপু আমাকে ছেড়ে দিলো....আমি আপুর জন্য খাবার আনতে গেলাম...তাকে খাওয়া দিয়ে। ঔষধ দিলাম।
-আমি বাইরে গেলাম
-আজ এখানে ঘুমাবি না??
-না বাইরে থাকতে হবে।
-কেনো??
-কাজ আছে। আপনি ঘুমান গুড নাইট। আর ওরা একটু পরেই এসে যাবে
-ওকে গুড নাইট....
পরদিন সকাল বেলা....
-শুভওওওও শুভওওওওও(জান্নাত)
-কি হইছে মামনি(মা)
- ফুপি শুভ কোথায়??
-ও একটু বাজারে গেছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই চলে আসবে
-না ওকে এখনই দরকার
-কেনো কি করবে
-তুমি বুঝবে না। তুমি কাজ করো যাও....
আমি ঘন্টা খানেক পর বাসার ভেতর ঢুকেই দেখি। জান্নাত আপুর মন খারাপ....আর আমাকে দেখা মাত্রই দৌরে চলে আসলো....
-কোথায় ছিলি??
-একটু বাজার এ গিয়েছিলাম
-চল আমার সাথে (হাত ধরে টেনে নিয়ে যাচ্ছে)
-কোথায় নিয়ে যাচ্ছো??
-তোর রুমে
-কেনো??
-গেলেই বুঝবি
/
রুমের মধ্যে যাওয়ার পর আপু দরজা আটকে দিলো, আমার খুব ভয় হচ্ছে মারবে টারবে নাকি???? আল্লাহ সহায় হও...
আপু ধীরে ধীরে কাছে এসে বলল
-হাত উঁচু কর
-কেনো??
-যা বলছি তাই কর
-হুমমম(হাত দুটো উপরে তুললাম)
তারপর.....

ঘুমন্ত পরী
Part: 5
writer. moyej uddin
রুমের মধ্যে যাওয়ার পর আপু দরজা আটকে দিলো, আমার খুব ভয় হচ্ছে মারবে টারবে নাকি???? আল্লাহ সহায় হও...
আপু ধীরে ধীরে কাছে এসে বলল
-হাত উঁচু কর
-কেনো??
-যা বলছি তাই কর
-হুমমম(হাত দুটো উপরে তুললাম)
-আবার জড়িয়ে ধরলেন কেনো?? কি শুরু করছেন
-আমার এই খানেই থাকতে ভালো লাগে। এ খানেই বাসা বানাবো আমি।
-লাগবে না ছাড়েন(রাগ করেই বললাম)
-তুই আমার উপর রাগ দেখালি? তোর সাহস তো কম না।
-ক ক কি কি করবেন?? কিছুই করতে পারবেন না। আর এভাবে আমাকে ধরবেন না।
-কেনো???
-সমস্যা হয়
-কিসের সমস্যা??
-আপনি ধরলে আমারও ধরতে ইচ্ছা হয়
-ওহহহহ এই শয়তানি বুদ্ধি। আমি তো ধরতে দিবো না আমার বি এফ আছে।
-গেলাম আমি (তাড়াতাড়ি সেখান থেকে চলে এলাম)
সারাদিন আর আপুর সামনে যাই নাই। কি আজব মেয়েরে বাবা। মাথায় কি সব ঘোরে আল্লাই যানে।
সন্ধ্যা বেলা....
-এই যে ঘুঘু (আপু)
(আবার দেখা হয়ে গেলো!)
-আমি তো ঘু ঘু না
-না ঘুঘু তুই
-নাআআআ
-কিরে তোর মেজাজ খারাপ
-জানি না
-বলবি না!
-না বলব না
-কিরে তুই আমার মুখের উপর কথা বলিস। আমাকে মেজাজ দেখাস!
-কই মেজাজ দেখাইলাম!
-এই যে এখন দেখাইলি
-ওকে আমি আপনার সামনে না আসলে তো আর রাগ দেখাতে পারবো না। আমি দূরে দূরেই থাকবো।
-চুপপপপপপ। আর তুই তো আমাকে তুমি করে বলিস। আপনি করে বলছিস কেনো??
-জানি না(বলেই চলে গেলাম)
রাত ৯টার মতো বাজে......
-এই জান্নাত ভাত খেতে আয়(মা)
-না ফুপি শুভ আসুক তারপর
-ও মনে হয় আসবে না। পাশের বন্ধুর বাড়িতে গেছে।
-কিহহহহ। ওকে ডেকে আনো। আর ও না আসলে আমি খাবো না
-কি যন্ত্রনা! ও আসবে না মনে হয়
-আসবে। আর ফোন দাও এখনি।
-আচ্ছা দিচ্ছি..
-হ্যালো শুভ(মা)
-হ্যা বলো
-একটু বাসায় আয় তো
-কেনো
-জান্নাত তোকে ডাকছে
-মা আমি ঘুমিয়ে গেছি। আমার ঘুম পাচ্ছে খুব। সকালে দেখা করবো (ফোনটা কেটে দিলাম)
এহহহ অন্যা একজনেরর বউ আমাকে যেতে বলবে তাই আমি যাবো। যত্তসব।(মনে মনে বললাম)
-ফুপি কি বললো
-এখন না সকালে দেখা করবে।
-ওর নাম্বার টা দাও তো
-হুমম নে...০১৭.....
-আবার ফোন দিলো কে???(আমি)
-হ্যালো(আমি)
-হুমমম আসবে না কেনো?
-কে বলছেন?? আর কোথায় যাবো?
-ওই কুত্তা আমি জান্নাত
-ওহ হ্যা। আসলে আপু আমার ঘুম পাচ্ছে এখন রাখি সকালে কথা হবে।
-ফোন কাটো আর যাই করো। আমি কিন্তু খাই নাই রাতে। আর খাবো না
-খাবেন না কেনো??
-তুমি আসো। আর আমাকে খাইয়ে দিতে হবে
-এই আপনি আমাকে তুমি করে বলছেন কেনো???
-সেটা কি তোকে বলতে হবে?? তোকে আসতে বলছি আয়...
-না যাবো না
-প্লিজ আসো। না হলে কিন্তু আমি খাবো না
-না খেলেন রাখি।
ধুররর অন্যের বউ এর টর চর আমাকে সহ্য করতে হয়। ভালো লাগে না। ভালবেসে ফেলছি কি আর করার যাই দেখি
কি করি এখন। আমি না গেলে তো খাবেই না। উফফ বাসায় যেতে হবেই।
বাসায় গিয়ে হাতে কিছু খাবার নিয়ে আমার রুমে চলে গেলাম...গিয়ে দেখি রুমের দরজা খোলা। আর সে উপর হয়ে শুয়ে গুন গুন আওয়াজ করছে।
কান্না করতেছে! নাকি গান গাইছে! আল্লাই যানে
-এই যে আসছি। আর খাবার ও আনছি উঠেন(আমি)
খুব তাড়াতাড়ি উঠে বসলো। আর কিছু বলল না নিচের দিক মাথা দিয়ে আছে। আমার খাবার নিয়ে বললাম খেয়ে নিন...আমি দাড়িয়ে দেখি।
-না খাইয়ে দিতে হবে
-না দিলে হয় না!
-(কোনো কথা বলল না)
বুঝছি নিজের বউ হলে একটা কথা ছিলো। অন্যের বউকে এভাবে...
-হা করেন(আমি)
-উহু (জান্নাত)
-এই না বললেন খাবেন। আমি ঘুম বাদ দিয়ে চলে আসছি। হা করেন
-না। আগে আমাকে বলো হা করো
-উফফফ
-তোমার কষ্ট হচ্ছে তুমি বলতে তাই না! খাবো না যাও
-ওকে ওকে হা করো
-হাআআআ
-আবাী এত্ত বড় হা
-তো কি হইছে দাও
(একটু হাসলাম)
-হাসছে কেনো??(জান্নাত)
-এমনি (আমি)
-হাসবা না
-ওকে ওকে
খাওয়ার মাঝখানে আমাকে বললো তুমি খাইছো??
ওহ নো আমার তো মনেই নেই যে রাতে খাই নাই।(মনে মনে)
-না খাই নাই।নিচে গিয়ে খেয়ে নিবো
-না আমার খাওয়া হইছে। প্লেট টা আমার কাছে দাও
-কেনো
-এত এত কেনো কেনো করো কেন?? দিতে বলছি দাও
(প্লেট হাতে দিলাম)
-নাও হা করো(জান্নাত)
-না মানে আমি নিচে গিয়ে খেয়ে নিবো
-তোকে হা করতে বলছি না?(রেগে গিয়ে)
-ওকে হআআআআআ
-আমার থেকে তেমার হা ই বড়
হা হা হা হা হা (দুজনেই হেসে উঠলাম)
এখন ভাবছি আপু এমন করছে কেনো?? আপু কি আমাকে ভালবাসে?? নাহহ কি ভাবছি! আপুর তো বি এফ আছে।
আপুর দিকে তাকালাম দেখি চোখে পানি...
-কান্না করছো কেনো(আমি)
-তুমি বুঝবা না
-না বলো
-একটা পাগলকে ভালবাসি তো। সে তো আমার ভালবাসা বোঝে না
-আপু তুমি তাকে ভালভাবে বুঝিয়ে বলো
-এত কিছু করলাম তাও যদি সে না বুঝে। তখন খুব খারাপ লাগে...
-হুমমম ঠিককক। খাওয়া তো শেষ এখন যাই তাহলে??
-না এখানে ঘুমাবে আজ।
-ছি ছি না
-ছি ছি কেনো??
-একদিন ছিলাম। তোমার জ্বর ছিলো। আর আজ তুমি সুস্থ। একা থাকতে পারবে। আমি যাই
(আমার কাছে এসে কলার ধরে বিছানায় ফেলে দিলো আর বললো
-তুই ওই পাশে থাকবি আমি এই পাশে। আর মাঝখানে বালিশ দিবো। তাও তোকে থাকতে হবে
-আমি থেকে কি করবো
-গল্প করবো
-না আমার ঘুম ধরছে অনেক
-কোনো বাহানা চলবে না
(আপু কথা বলতে বলতে আমাদের দূজনের মাঝখানে বালিশ দিয়ে দিলো)
-এই শোনো(জান্নাত)
-হুমমম বলেন
-ওই তুমি করে বলো
-আচ্ছা বলো
-ধরো তুমি কাউকে পছন্দ করো। সে যদি তোমায় সকালে বলে যে আমিও তোমাকে পছন্দ করি তখন কি করবা?
-শোনো আমি যাকে পছন্দ করি সে কোনোদিন এই কথা বলবে না
-তাই! এত বিশ্বাস?
-হুমমমম
-ওকে। এখন আমার মাথা টা হাত বুলিয়ে দাও একটু ঘুমাই
-পারবো না
-লাভ আছে কিন্তু হুমমম
-কি লাভ??
-তোমার ঘুমন্ত পরীর দিকে তাকিয়ে থাকতে পারবে আর.....
-আর কি?? আর তুমি জানলে কিভাবে আমি তোমাকে ঘুমন্ত পরী বলি???
-কিছু না আর কোনো কথা না। আমি চোখ বন্ধ করলাম....
(জান্নাত চোখ বন্ধ করলো। আমি তার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছি। আমি অনিচ্ছা সত্ত্বেও এমনটা করছি। কারন আমি তাকে ভালবাসি অনেক। কিন্তু আপু এমন করছে কেনো জানি না)
যাই হোক আমি তো ঘুমন্ত পরীর মুখটা দেখতে পারবো। দেখতে দেখতে কখন যে ঘুমিয়ে গেছি জানি না.....

ঘুমন্ত পরী
END PART
writer. moyej uddin
(জান্নাত চোখ বন্ধ করলো। আমি তার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছি। আমি অনিচ্ছা সত্ত্বেও এমনটা করছি। কারন আমি তাকে ভালবাসি অনেক। কিন্তু আপু এমন করছে কেনো জানি না)
যাই হোক আমি তো ঘুমন্ত পরীর মুখটা দেখতে পারবো। দেখতে দেখতে কখন যে ঘুমিয়ে গেছি জানি না.....
সকাল বেলা জেগে উঠে দেখি জান্নাত এখনো ঘুমাচ্ছে..এখন আবার সেই প্রথম দিনের মতো লাগছে...আবার তার প্রেমে পরে গেলাম....
হঠাৎ করেই আপু চোখ খুলে... আমি তো তার দিকেই তাকিয়ে ছিলাম...চোখে চোখ পড়ার পর আমি চোখ সরিয়ে নিলাম........
-কি ব্যাপার কতক্ষণ তাকিয়ে ছিলি??
-এই মাত্রই তাকাইছি। বেশিক্ষন হয় নি।
-হুমমম তোকে একটা কথা বলা হয় নি
-কি কথা???
-আমরা আজ বিকেলেই চলে যাচ্ছি।
-না
-না মানে
-মানে আমি তো শুনি নাই। মামি তো কিছু বলল না। বিয়ে তো পুরো শেষ হয় নাই।
-তুই কাল রাতে ঘুমানোর পর। রুমে মা এসে আমাকে বলে যায়।
-আমি এখন কি করবো(মনে মনে)
-কিছু বললি??
-না মানে। কিছুনা
-যা বলার বলে ফেল। আমি এখন থেকেই রেডি হবো।
-একটা কথা
-দারা কথা বলবি ঠিক আছে। তবে কথার মধ্যে কান্না কাটি চলবে না।
-হুমমম বলছি
-বল
-আমি সত্যি তোমাকে ভালবাসি। তোমার থেকে তোমার ওই চোখকে বেশী ভালবাসি।
-আমি যদি বলি বাসি না
-আমি জানি না। আমি কি করবো।
-কি করবি
-মরে যাবো
ঠাসসস ঠাসসসস দুটো চর মেরে আমার ঠোঁট আর তার ঠোঁটের সাথে মিলিয়ে দিলো
-আমার বি এফ নেই তোমাকে মিথ্যা বলছি। আর আমি তোমাকে ভালবাসি।
-সত্যি???😱😱
-হুমমমমম
-প্রথমে বললে না কেনো??
-প্রথমে ভাবছিলাম। তোমার হয়তো আবেগ কিন্তু পরে বুঝলাম ভালবাসো। আর আমিও তখন বুঝলাম তোমাকে ছাড়া আমার চলবে না
-কখন বুঝলে???
-ওই যে আমার যেদিন জ্বর হলো সেদিন। যানো সেদিন কত্ত যে ভাল লাগছে আমার। ওই দিন ই তোমাকে ভালবেসে ফেলছি.....
-হুমমমমমম।
-হুমম হুমম না করে এখন ব্যাপার টা ফুপরি কাছে জানাও
-না আমার ভয় করে
-তোর বিয়ে করতে হবে না। ফুপির কাছে বলতেও হবে না। বিকালে যাওয়ার কথা। আমি এখনি চলে যাবো।
-না না বলবো
-কিন্তু মার সামনে গিয়ে কি বলবো?
-আমার হাত ধরে নিয়ে বলবা যে। আমি জান্নাত কে ভালবাসি। আমি ওকে বিয়ে করতে চাই....
-যদি মাইর দিতে আসে
-আমি তো আছি রে পাগলা...
-হুমম। তুমি তো আমার বড়। যদি মেনে না নেয়!
-তখন দেখা যাবে
-চলো এখনি বলবা
-এখনি???
-হুমমম
-আচ্ছা চলো
জানি না কি হবে। আল্লাহ রক্ষা করো।
সবাই সকালের খাওয়ার জন্য খাওয়ার টেবিলে বসে আছে...
-এখন না পড়ে বলব
-এখন বললে আমাকে পাবেন। না বললে নাই
-উফফফ বলতেছি
-হুমমম বলো সবাই কে
বুকে সাহস নিলাম একটু......
-মা বাবা মামা মামি শোনো তোমাদের সাথে আমার কিছু কথা আছে(আমি)
-কি কথা???(সবাই)
-ওই হাতটা ধরো(জান্নাত)
-হুমমম ধরছি(আমি)
-এই যে আপনারা দেখছেন আমি যার হাত ধরছি। তাকে আমি ভালবাসি। অনেক ভালবাসি। তাকে আমি বিয়ে করতে চাই.....
(সবাই চুপ কেউ কিছু বলছে না। সবাই আমার দিকে ড্যাপ ড্যাপ করে তাকিয়ে আছে)
একটু পরেই...
-হা হা হা হা হা হা হা হা হা (সবাই একসাথে হেসে উঠলো)
-হাসছেন কেনো আপনারা(আমি)
-ওরে পাগল তোর সাথে জান্নাত এর বিয়ে ওনেক আগে থেকেই ঠিক হয়ে আছে।(মা)
-এহহহহ...
-এএএ না হ্যা(ফুপি)
-কবে ঠিক হলো??
-তোর বউ কে জিঙ্গাস কর(মা)
জান্নাত এর দিকে তাকালাম দেখি মিটি মিটি হাসছে....
আমি বললাম..
-আমি এ বিয়েতে রাজি না আমি বিয়ে করতে পারবো না। আমাকে না জানিয়ে বিয়ে ঠিক করা হইছে...
-মা ফুপি আমি একটু ওকে নিয়ে যাই। একটু পরে এসে খাবো
-হুমমম তাড়াতাড়ি আসিস
আমাকে কলার ধরে টানতে টানতে রুমে নিয়ে গেলো...
-বিয়ে করবি না কেনো??
-এমনি
-তোর ব্যাট স্ট্যাম্প কিছু আছে ঘরের ভেতরে??
-হ্যা কেনো??
-তোর মথায় ফাটাবো আমি
-না না বিয়ে করবো। তবে আমাকে সত্যি কথাটা বলতে হবে।
-হুমমম বলবো।
-হুমম বলো
-আমি তোমার আপুর বিয়ের আগের দিন যখন আসি। তখন ফুপি আমাকে দেখে বলে। আমাদের জান্নাত তো অনেক সুন্দর হইছে....আমার ছেলের বউ হলে ভালই হতো। তখন বাবা বলে...সমস্যা নেই এটা তোমার ছেলের বউ আজকে থেকেই....আমি আর কিছু বললাম না। কারন বাবা মা কে আমি খুব ভয় করি....পরে আমি বললাম। আমার বর কোথায় তাকে একটু দেখি। তার কথা শুধু শুনছি দেখি নি। সেই ৬ বছর আগে দেখা হইছে একবার। ফেস ও ভুলে গেছি...(জান্নাত)
-তারপর কি হলো??(আমি)
-তারপর ফুপি তোমার রুম দেখিয়ে দিলো। আর আমি এসে তোমার পাশেই ঘুমাই
-ওহহহ
-আমি একটা কথা বলি(জান্নাত)
-হ্যা বলো
-ঘুম অবস্থায় তোমাকে দেখতে অনেক কিউট লাগে বাট
-বাট কি???
-এখন দেখতে আবুল আবুল লাগছে..
-কথা নেই যাও
-বাব্বাহ ইনি দেখি আবার রাগ ও করতে জানে
-হুমম জানি তো
-দেখি এদিকে তাকাও
-না
-তাকাও বলছি
-হুমমম
-এ পর্যন্ত আমি তোমাকে সবসময় জরিয়ে ধরেছি তুমি আমাকে একবারও জড়িয়ে ধরো নি...একবার জড়িয়ে ধরে বলো ভালবাসি
আর দেরি না করে জড়িয়ে ধরে বললাম
-ভালবাসি
-এই আস্তে ধরো
-না। এই আরেকটা কথা মনে পড়ছে আমার
-কি কথা??
-তখন যে বললা আজ চলে যাবা
-ওটা তো তোমাকে বোকা বানানোর জন্য মিথ্যা বলছি
-এহহহহহহহহহহহহহ
-হুমম পাগল
-দাড়াও দেখাচ্ছি মজা
-কি দেখাবে শুনি
-আরও জোড়ে জড়িয়ে ধরবো
-মরে যাবো তো
-মরবে না
হি হি হি হি (দুজনেই হেসে উঠলাম)
.............END.............






No comments:

Post a Comment

অদৃশ্য পরী

  ----দেবর সাহেব, তো বিয়ে করবে কবে? বয়স তো কম হলোনা ৷ ----আপনার মত সুন্দরী কাউকে পেলে বিয়েটা শীঘ্রই করে ফেলতাম ৷ -----সমস্যা নাই তো, আমা...