#অন্যরকম ভালোবাসা
writer : Lovely khanm
part : 1
আজকে আমার আকদ হয়ে গেলো,,,,আব্বু আম্মুর পছন্দ করা ছেলের সাথেই হয়েছে,,,,,
ছেলে দেখতে শুনতে ভালো,,, তার ছেয়ে বড় কথা হলো ছেলে প্রবাসী,,,
অনেক টাকা,,,গাড়ি আছে,,, চার তলা বাড়ি আছে,,,
প্রত্যেক মা বাবাই চাই তাদের মেয়েকে কোটি টাকা ওয়ালা ছেলের সাথে বিয়ে দিতে,,,,
যেনো মেয়ের কোনো কমতি না হয়,,,,মেয়ে সুখে থাকে,,,টাকার সাগরে ডুবে থাকতে পারে,,,,,
আমার আব্বু আম্মুও ব্যতিক্রম নয়,,,
ছেলের নাম ইফাদ,,,,,
অনার্স ফাইনাল না দিয়েই বিদেশ পাড়ি দিয়েছিলো,,,,,
.
আমার প্রায় ১০ বছরের বড়,,,
তার বয়সটা পারফেক্ট আছে তবে আমারটা কম,,,
আমিতো এবার ইন্টার পরীক্ষা দিতাম কিন্তু সেটা আর দেওয়া হলো না,,,,
পরীক্ষার আগেই আকদ করিয়ে দিলো,,,,
দুমাস পরেই সে চলে যাবে,,,,,
তারপর ছমাস পর দেশে আসবে আর আনুষ্ঠানিক ভাবে আমাকে তার ঘরে তুলবে,,,,,,
.
ওরা তিন ভাই এক বোন,,,,
আমার ননদের ও বিয়ে হয়ে গেছে,,,,নাম ইলা,,,
খুব ভালো ইলা,,,,
ইলা আর ইফাদের বড় ভাই সহ আমাকে দেখতে এসেছিলো,,,
পছন্দ করে গলায় চেইন,,,হাতে আংটি আর নাকফুল সহ পড়িয়ে দেয়,,,,,,,
কিন্তু তখন আমি নাক ফোড়াইনি,,,তাই সেটা হাতে দিয়ে দেয়,,,,
আমার বড় ভাসুর আমাকে দেখে দুই হাজার টাকা দিয়েছে আর ইফাদ মাত্র পাঁচশো টাকা,,,,,
ওর নাকি লজ্জা লাগছিলো,,,,
.
আকদের দিন ইফাদের বাসা থেকে আমার জন্যে শাড়ি গয়নাগাটি সব দিয়েছিলো,,,,,,
রাতে নাকি ওর ফ্রেন্ড সহ আসবে,,,,
আব্বু আম্মু সবাই ব্যস্ত ওদের জন্যে রান্না বান্না করতে,,,,,
আমরা দুই বোন দুই ভাই,,,,,,
বড় আপুর রিলেশন করে বিয়ে হয়,,,,
ঠিক রিলেশন না,,,,জিজু আগে থেকেই আপুকে পছন্দ করে রেখেছিলো,,,,পরে আব্বুকে প্রস্তাব দিলে আব্বু রাজি হয়না,,,,,
তারপর জিজু অনেক কষ্টে আব্বুকে রাজি করিয়ে আপুকে বিয়ে করে,,,,,,,,,,
.
আমাদের ফ্যামিলিতে রিলেশন করে আমার এক ছেলে কাজিন সুইসাইড করেছিলো,,,এহনান ভাইয়া,,,,ওর গার্লফ্রেন্ডের বিয়ে হয়ে যাচ্ছিলো শুনে এমনটা করছে,,,,,,,
ও ছিলো আমার ফুফির একটা মাত্র আদরের ছেলে,,,,,
ফুফিও এখন মানসিকভাবে অসুস্হ,,,,,,
.
অন্যদিকে ইরিন আপু এক স্যারের সাথে প্রেম করে পালিয়ে গেছে,,,,
আমার বড় মামার মেয়ে,,,,,
বাসায় জানাজানি হলে কেউ মেনে নেয়না,,,,, কারণ ছেলের বাড়ি অন্য জেলায়,,,,,,
তারপর আর কি সবার মুখে চুনখালি মাখিয়ে সে স্যারের হাত ধরে পালিয়ে যায়,,,,,,,,
.
মামা সবাইকে বলে ইরিন মরে গেছে,,,,,
এতো কিছু হবার পর কার সাধ্য প্রেম করার,,,,,
আমিতো এসব ব্যাপার থেকে ১০০ হাত দূরে থাকতাম,,,,
কোনে ছেলের সাথে কথাও বলতাম না,,,,
নিচু হয়ে কলেজে যেতাম আর নিচু হয়েই বাসায় আসতাম,,,,,
.
আমাকে পাত্র পক্ষ দেখার আগে আম্মু,,,আপু,,,নানু মামিরা সবাই বারবার জিঙ্গেস করছিলো কোনো রিলেশন আছে কিনা,,,বা এই বিয়েতে আমার মত আছে কিনা,,,,,
যদিও এতো তারাতারি আমার বিয়ে করার কোনো ইচ্ছে ছিলোনা,,,,,
আরো পড়ার ইচ্ছে ছিলো,,,,,,,
কিন্তু আব্বু আম্মুর কথা ফেলতে পারিনি,,,,রাজি হয়ে গেলাম,,,
.
আকদের দিন রাতে আমাকে ইফাদের ওখান থেকে দেওয়া শাড়ি আর গয়নাগাটি পড়িয়ে সাজিয়ে দিলো,,,,,
রাতে ইফাদ সহ প্রায় বিশ জন এলো আমাদের বাসায়,,,,,
সবাই খাওয়ার পর চলে গেলো,,,কিন্তু ইফাদ আর ওর দুইটা ফ্রেন্ড গেলোনা,,,,
আমাকে আমার রুমে একা রেখে সবাই বাইরে চলে গেলো,,,,
একটু পর নানু ইফাদকে নিয়ে আমার রুমে ঢুকিয়ে দিয়ে দরজা বন্ধ করতে বলে নিজেই দরজাটা লাগিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে গেলো,,,,
.
ইফাদ দরজা লক করতে গেলে দেখে দরজা লক করা যাচ্ছেনা,,,,
আমার দিকে তাকিয়ে বললো,,,,,দরজা লকড় করা যায়না???
আমি মাথা নাড়িয়ে বললাম না,,,,
অথচ দরজা লকড় করা যায়,,,,তবে একটু কষ্ট হয়,,,,
আমি জেনেও না বললাম,,,,
উনি দরজা কেনো লক করতে চাইছে,,,,
আজব তো,,,,
.
ভয়ে আমার পুরো শরীর অবশ হয়ে যাচ্ছে,,,,
চুপচাপ খাটে বসে আছি,,,,,ইফাদ ও আমার থেকে একটু দূরেই বসে আছে,,,,,,
ওকে দেখে বুঝা যাচ্ছে,,,,,বেচারা খুব নার্ভাস ফিল করছে,,,,,
বারবার হাত কচলাচ্ছে,,,,,
তোমার নাম কি????
.
আমি ::::::::::: আয়রা,,,,,,
ইফাদ আরেকটু আমার কাছে এসে বসলো,,,,,,
তারপর তোমার কি কি পছন্দ???
.
আমি ::::::::: চকলেট আর আইসক্রিম,,,,,তারপর আরো অনেক কিছু,,,,,,, আপাতত মনে আসছে না,,,,
.
ইফাদ যা যা প্রশ্ন করছে শুধু তারই উত্তর দিচ্ছি,,,,,,তাও এক কথায়,,,,,,,,,,
ইফাদ ::::::::::: আমার কি পছন্দ জানো???
.
আমি নিচের দিকে তাকিয়ে চুপ করে আছি,,,,বুকটা ধুকধুক করছিলো,,,,,,,,
ইফাদ আরেকটু আরেকটু করে আসতে আসতে আমার সাথে লেগে গেলো,,,,,,,,,
এবার আমার পুরো শরীর জমে গেছে,,,,
ইফাদ :::::::::::: তুমি,,,,,
.
আমি :::::::::::: জ্বি?????
ইফাদ :::::::: না কিছুনা,,,,
.
ইফাদ দাড়িয়ে গেলো,,,,,,পকেট থেকে ফোন বের করে বেলকুনিতে গিয়ে কার সাথে আরবীতে কথা বলছে,,,,,
তবে আমি এটা বুঝতে পারছি ইফাদ আমাকে নিয়ে কিছু বলছে,,,,আর ও এজন্য আরবীতে বলছে যাতে আমি কিছু বুঝতে না পারি,,,,
.
একটু পর ও আমার সামনে এসে বললো,,,,
আয়রা একটু দাড়াও তো দেখি তুমি আমার চাইতে কত খাটো,,,
আর আমি কতটুকু লম্বা,,,,,,
উনার কথা শুনে আশ্চর্য হলেও দাড়ালাম,,,,,,
উনি আমাকে অনেকটাই অবাক করে দিয়ে হুট করে জড়িয়ে ধরলেন,,,,,,,,,
উনার বুকের সাথে খুব জোরে চেপে ধরেছেন,,,,,
তখন আমার বুকের ভিতর তুফান চলছে,,,,,
এমন অনূভুতি যা কখনো হয়নি,,,,,,,
.
আমি নিশ্বাস ও ভালোভাবে ফেলতে পারছি না,,,,
একটু পর উনি আমাকে ছেড়ে দিয়ে আমাকে খাটে শুইয়ে দিলো,,,,,
আমার শাড়ির ফাকা অংশে হাত দিতেই আমি কেঁপে উঠলাম,,,,,,,
একটু উপুড় হয়ে যেই না ইফাদের মুখটা আমার কাছে আনলো আমি বললাম,,,,,,
এসব কি করছেন আপনি??????
.
ইফাদ লজ্জায় আমাকে ছেড়ে দিয়ে বেলকুনির পাশে গিয়ে দাড়িয়ে রইলো,,,,,,
হুট করে আমার এটা বলাতে ও খুব লজ্জা পেয়েছে,,,,,,
আমিও আর দাড়াতে পারলাম না ওর সামনে,,,,
রুম থেকে বেরিয়ে গেলাম,,,,
অন্য রুমে এসে হাপাচ্ছি,,,,,,
কাজিনরা এসে দুষ্টুমি করছে,,,,,
.
যখন ইফাদকে মিষ্টি খাওয়াচ্ছে নানু সবার সামনে বললো,,,,, ইফাদ আজ থেকে যাও,,,
এটা তোমারি তো ঘর,,,,
.
আমি নানুর দিকে তাকিয়ে চোখ বড় বড় করছি,,,,নানুটা বেশি বাড়াবাড়ি করে,,,,,,
ইফাদ ফিসফিস করে নানুকে বললো,,,,
আপনার নাতনী চাইনা আমি এখানে থাকি তাই থাকবোনা,,,,
চলে যাবো,,,
.
নানু ::::::::::: ও চাক বা না চাক তাতে কি,,,,তোমার মন চাইলে থেকে যাও,,,,,,,,
নয়তো তোমার বৌকে তুমি নিয়ে যাও যেখানে খুশি,,,,,
.
ইফাদ ::::::::::::: মন তো চাইছে থেকে যেতে,,,, কিন্তু থাকা যাবেনা,,,,তবে সময় করে আয়রাকে নিয়ে যাবো,,,,,,
.
নানু ::::::::::: বেশিদিন বৌয়ের কাছ থেকে দূরে দূরে থেকো না,,,,,
এতে গুণাহ হবে,,,,,
.
ইফাদ :::::::::: হুম,,,,
নানু আর ইফাদ দুজনেই মিটিমিটি হাসছে আমার দিকে তাকিয়ে,,,,,,,,,,,,,
তবে ইফাদ খুব লাজুক ভাবে তাকাচ্ছে,,,,,
.
সেদিন ইফাদরা চলে যায়,,,,
প্রায় দুইদিন পর বাসার ফোনে ইফাদ কল দেয়,,,,আম্মু এসে আমাকে ফোন দিয়ে বলে ইফাদ কল দিলো,,,,
নে কথা বল,,,,,,
.
ইফাদের সাথে কথা বলে জানতে পারলাম আমি নাকি পাষান,,,,
আমার নাকি কোনো মায়া নেই,,,,
সেদিন রাতের পর থেকে ইফাদ আমাকে ছাড়া ঘুমাতে পারে না,,,,
খেতে পারেনা,,,
সারাক্ষণ নাকি শুধু আমার চেহেরাটা ভাসে ওর চোখের সামনে,,,,,
সবসময় আমার ভাবনায় ডুবে থাকে,,,,,,
অথচ আমি একটাবারও ওর খবর নিলাম না,,,,
ফোন নাম্বারটাও দিইনি,,,,
নানুর কাছে এই দুইদিন ধরে কল দিতে দিতে ও পেরেশান হয়ে গেছে,,,,,
মামা না থাকলে নানু নাম্বার কিভাবে দেবে,,,,,
আজ দুইদিন কষ্টের পর আম্মুর নাম্বারটা পেলো,,,,,
নানুর থেকেই নিয়েছে,,,,
.
অনেক্ষণ আমার সাথে কথা বললো,,,
আমি শুধু হ্যা,,,না,,,জ্বি,,,হুম এসব বলছি,,,,,
ও গান শুনায় আমাকে,,,,
.
তোমাকে চাই আমি আরো কাছে,,,
তোমাকে বলার আরো কথাই আছে,,,,
আমি বলতে পারিনা মুখে তওবা তওবা,,,,,,,
দিলে শরম করে কি কি যেনো,,,,
জানিনা আমি,,,,
গানটা কখনো শুনিনি,,,
ইফাদের মুখেই প্রথম শুনলাম,,,,
এই মানুষটা মেয়ে পটাতে প্রচুর উস্তাদ,,,,,,,,
এতো সুন্দর করে কথা বলে,,,,
আমি জাস্ট শুনতেই থাকি,,,,
মন প্রাণ সব কেড়ে নিয়ে নেয়,,,,
.
হঠাৎ কোনো একটা আজগুবি কথা শুনলে আমি বলি ওরে আল্লাহ,,,,,
তখন ও বলে কখন হবে এক বালিশে দুই কল্লাহ,,,,,,
মানে মাথা,,,,
জাস্ট ফান করে বলে,,,,
ওর সাথে কথা বলতে আমার খুব লজ্জা লাগে,,,,,,,,,,,
জানিনা কেনো এতো লজ্জা লাগে,,,,,,,,,
হঠাৎ কোনো একটা আজগুবি কথা শুনলে আমি বলি ওরে আল্লাহ,,,,,
তখন ও বলে কখন হবে এক বালিশে দিই কল্লাহ,,,,,,
মানে মাথা,,,,
জাস্ট ফান করে বলে,,,,
ওর সাথে কথা বলতে আমার খুব লজ্জা লাগে,,,,,,,,,,,
জানিনা কেনো এতো লজ্জা লাগে,,,,,,,,,
.
ইফাত সবসময় শুধু কল দেয়,,,
কথা তো শেষ হয়না,,,
কথা বলতে বলতে দিন পার হয়ে রাত নামে,,,,,
রাত পর হয়ে সকাল,,,,
তারপরও ফোন রাখতে চাইনা,,,,
চার্জ নাই বললেও কাজ হয়না,,,
বলে চার্জে লাগিয়ে কথা বলো,,,
এদিকে বাসার ফোন মানে আম্মুর ফোন,,,,,,,
আপু,,,ফুফি,,,মাসি,,খালা,,, মামা,, এমনকি আব্বুও যখনি কল দেয় দেখে বিজি,,,,,
তারা সবসময় বিজি দেখে বলে ইফাদ তোকে মোবাইল দেয়নি,,,,
বৌয়ের সাথে তো দিন রাত চব্বিশ ঘন্টা কথা বলে,,,,
মোবাইল দিতে পারেনা,,,,,
কত কাজে ফোন দিই আর দেখি ফোন বিজি,,,,,,
.
এগুলাতো রাগ করে বলেনা,,,দুষ্টুমি করেই বলে,,,,
ইফাদ আমাকে সবসময় বলে চলো কক্সবাজার থেকে কদিন ঘুরে আসি,,,,
.
কিন্তু আমি রাজি হইনা,,,,
মানুষটা আমাকে এতো দূরে কেনো নিয়ে যেতে চাইছে,,,
মতলব ভালো না,,,,
তাই না করে দিই,,,
বলি আমি যাবোনা,,,,
ইফাদ অনেক রোমান্টিক রোমান্টিক কথা বলে,,,,
কিন্তু আমি কিছুই বলি না,,,,
লজ্জায় মরে যাই আমি,,,,
.
ইফাদ বলে স্বামির সাথে রোমান্টিক কথা বলতে লজ্জা কিসের,,,
আমরা আমরাই তো,,,,
তুমি আমার আমি তোমার,,,,
.
আকদের দুদিন পর আপুর সাথে পার্লারে গিয়ে নাক ফুঁড়িয়ে আসলাম,,,,,
নাকফুলটা পড়িয়ে দিলো আপু,,,
খুব ব্যাথা করছিলো,,,,
.
ইফাদ এতো করে বলে বাইরে ঘুরতে নিয়ে যাবে কিন্তু আমি কোনো ভাবেই রাজি হইনা,,,,,
একদিন খুব আবদার করছিলো,,,,
যে আমাকে ওর এক ফ্রেন্ডের সাথে মিট করাবে,,,,,
ওর ফ্রেন্ডের নাকি ক্যান্সার ধরা পড়ছে,,,
বেশিদিন বাচবে না,,,
আমাকে আর ওকে যেতে বলছে ওদের বাসায়,,,,,
যদি দুপুরে লাঞ্চের পর বের হই তো বিকেলে বাসায় দিয়ে যাবে,,,,
.
কারণ আমার এক কথা আমি বাইরে কোথাও থাকবো না,,,,,
ইফাদ বললো,,,
ওকে তুমি যেমন বলবা ঠিক তাই হবে,,,,
.
পরদিন দুপুরে লাঞ্চের পর ইফাদ গাড়ি নিয়ে এসেছে আমাকে নিতে,,,,,
আম্মু আপুরাতো খুব খুশি,,,,,
আপু নিজেই আমাকে রেড়ি করে দিলো,,,,,,,,
আপু লুকিয়ে আমাকে কিছু একটা দিলো,,,,,
আর বললো ইফাদকে ওখানে গিয়ে দিবি,,,,,,
আমিও বুঝেও সব না বুঝার মতো নিয়ে হ্যা বললাম,,,,,,
.
গাড়ির ডোর ইফাদ খুলে দিলো,,,,
ইফাদ নিজেই ড্রাইভ করছে,,,,
ইফাদকে দেখে আমি কিছুই বলতে পারছি না,,,,
অথচ ফোনে একটু হলেও কথা বলতাম,,,,
অন্তত কিছুটা ফ্রি হয়েছিলাম,,,,
কিন্তু সামনা সামনি সব শেষ,,,,
লজ্জায় নিচের দিকে তাকিয়ে আছি,,,,
ইফাদ যে একটু পরপর আমাকে দেখছে সেটা বুঝতে পারছি,,,,
ইফাদ :::::::::::: কেমন আছো আয়রা???
.
আমি :::::::::: জ্বি ভালো,,,,
.
ইফাদ ::::::::::: আমকে জিঙ্গেস করবা না আমি কেমন আছি???
.
আমি :::::::::::: ওহ হ্যা,,,, আপনি কেমন আছেন???
.
ইফাদ :::::::::: কেমন আর থাকবো,,,,
দেখোনা ঘুমাতে পারিনা,,,,,,
তোমাকে ছাড়া একটুও ভালো নেই,,,,
.
ইফাদের এমন কথা গুলো আমার লজ্জাটা যেনো আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে,,,,,,,,,,,,
.
ইফাদ :::::::::: কিছু খাবে???
আমি :::::::::::: না খাবোনা,,,,একটু আগেই তো লাঞ্চ করলাম,,,,,
.
কোন বন্ধুর বাসায় নিয়ে যাচ্ছে আল্লাহই জানে,,,,
যেতে যেতে প্রায় সন্ধ্যে হয়ে গেছে,,,,
প্রচুর জ্যাম ও ছিলো,,,
জ্যামেও ঘন্টা খানেক পার হয়ে গেছে,,,,
একটা দুতলা বাড়ির সামনে গাড়ি থামলো,,,,,,
ইফাদ আমাকে নামতে ইশারা করে ডোর খুলে দিলো,,,,
.
আমরা গাড়ি থেকে নামলে একটা লোক এসে গাড়িটা চালিয়ে ওদিকটা নিয়ে যায়,,,,,,
বোধহয় পার্ক করছে,,,,
গাড়ির ডিকি থেকে একটা ব্যাগ এনে বাড়িতে ঢুকে যায়,,,,,
.
আমি ব্যাগ দেখে অবাক হলাম,,,,
আমিতো কোনো ব্যাগ আনিনি তাহলে নিশ্চয় এটা ইফাদের ব্যাগ,,,
আমরাতো চলে যাবো তাহলে কেনো ও ব্যাগ আনলো,,,,
.
আমি :::::::::: ইফাদ আমি বাসায় কখন যাবো,,,,,
সন্ধ্যে হয়ে গেলো যে,,,,
.
ইফাদ ::::::::::: টেনশন করোনা,,,,
যে কোনো একটা ব্যবস্হা করবো,,,,
.
আমি :::::::::: ভ্রু কুচকে মানে???
.
হঠাৎ একটা ছেলে এসে ইফাদকে জড়িয়ে ধরে,,,,,
আরে দোস্ত,,,,,
তুই এমন শুকিয়ে গেছিস কেনো???
.
ইফাদ :::::::::::: আরে দুর কি বলিস
আকাশ,,,,,
আমি কেনো শুকিয়ে যাবো,,,,,
তুই তো আরো বেশি শুকিয়ে গেছিস,,,,,
.
দুজনেই হাসাহাসি করছে,,,,
এদিকে আমার প্রাণটা যাবার উপক্রম,,,,
যতো লেইট হচ্ছে,,,
অন্ধকারটা ঘনিয়ে আসছে,,,,
বাসায় যাবো কখন,,,,
.
আকাশ ::::::::::: আমাকে দেখিয়ে,,,
ইফাদ এটা নাকি ভাবী???
.
ইফাদ ব্লাশিং হয়ে,,,হুম,,,
.
আকাশ ::::::::::: মাশাআল্লাহ ভাবীতো খুব সুন্দর,,,,,
তোদের দুজনকে মানিয়েছে,,,,
কো ভাবীর কোনো ছোট বোন নেই???
.
ইফাদ :::::::: নাতো কেনো??
.
আকাশ :::::::::: ভাবী এতো সুন্দর ভাবীর বোনও নিশ্চয় সুন্দর হবে,,,
আর তার সাথে আমার সেটিং করিয়ে নিতাম আর কি,,,,
যাক কপাল খারাপ,,,,
আরে আমি কেমন পাগল দেখতো নতুন ভাবী এসেছে,,,
আর আমি কিনা তোদের বাইরে দাড় করিয়ে রেখেছি,,,,
চল ভেতরে চল,,,,
.
আমরা ভেতরে বসলাম,,,,
আকাশের ভাবীটা অনেক ভালো,,,
আমার সাথে খুব ফ্রি ভাবে কথা বলছেন,,,,,,
আবার দুষ্টুমিও করছেন,,,,
বেশি ফ্রি আমার ভালো লাগে না,,,,
.
যা কখনো ভাবিনি তাই হলো,,,
ভাবী জোর করে আমাদের রেখে দিলো,,,,,,,
আমিও কিছু বলতে পারলাম না,,,,
আর ইফাদ তো এই সুযোগটার অপেক্ষায় ছিলো,,,,,,
.
যদি ইফাদ একটু ফোর্স করে বলতো তাহলে ওরা আমাদের রাখতে পারতো না,,,,,
এখানে থাকতে হবে শুনে আমি কিচ্ছু মুখে দিতে পারছিনা,,,,
কেমন জানি একটা ভয় ভয় ফিল হচ্ছে,,,,
.
ভাবীটা আমাকে এটা ওটা নিয়ে দিচ্ছে,,,
কিন্তু আমি খেতে পারছি না,,,,
আর ইফাদ সেতো আকাশের সাথে হেসেঁ হেসেঁ দিব্যি মজা করে খাচ্ছে,,,,
.
ভাবী ::::::::: ইফাদ তুমিকি ভুলে গেছো তোমার বৌ যে খেতে বসেছে,,,
আয়রা তো কিছুই খাচ্ছে না,,,,
ওরে একটু দেখো না,,,
.
ইফাদ আমার প্লেটে খাবার তুলে দিয়ে বললো,,,,
কি হলো আয়রা,,,
খাচ্ছোনা কেনো,,,,
খেয়ে নাও নয়তো রাতে আবার ক্ষিধে লাগবে,,,,,
ভাবী হেসেঁ বললো,,,,
দেখলে তো আয়রা তোমার স্বামি কত চিন্তা করে তোমায় নিয়ে,,,,,
রাতের জন্যে খাবার রুমে দিয়ে দিবো,,,
তোমার এতো টেনশন করতে হবে না ইফাদ,,,,,
ভাবী মিটিমিটি হাসছে,,,,
.
আমার মনে মনে প্রচন্ড রাগ হচ্ছে,,,,
আমি কিছুই খাইনি,,,,,
ইফাদের সাথে কথাও বলছিনা,,,,
রুমে ফল ফ্রুটস,,,,তারপর পানির জগ আর একটা বক্স করে পায়েস রেখে গেলো ভাবী,,,,,
কিন্তু ভাবী যা বলে গেলো পুরো মেজাজটাই খারাপ হয়ে গেছে,,,,,
ভাবী ::::::::::: আয়রা একটা কথা মনে রেখো,,,,
ইফাদ তোমার স্বামি,,,,
ওর পুরোপুরি অধিকার রয়েছে তোমার উপর,,,,,,
তুমি ওকে অধিকার থেকে বঞ্চিত করো না,,,,
ও খুব চাপা স্বভারের,,,,মনে মনে কষ্ট পেলেও সেটা কাউকে বলবে না,,,,
তাই ও যা চাইবে তাই দিবে,,,,
ছেলে তো বুঝতে পারছো,,,
একটা মেয়েই পারে একটা ছেলেকে কন্ট্রোল করতে,,,,
সো ওকে কাছে আসতে বাধা দিওনা,,,,
.
আমার গা ঘিনঘিন করছে ভাবীটার কথা শুনে,,,,
ভাবীটাকে ভালোভাবে চিনিনা জানিনা,,,,
তারপরও এসেছে আমাকে আলগা পিরিতি দেখাতে,,,,
কি লুচু মাইন্ডের মহিলা,,,,,
বলে কিনা নিজেকে উজাড় করে দিতে,,,,,,,,
জানিনা কেনো আমার এতো রাগ লাগছে,,,,,,
রুমে বসে বসে রাগে ফুসছি,,,,
সব ইফাদের প্ল্যান,,,,,
সব ছেলেই একরকম,,,,,
.
একটু পর ইফাদ রুমে এসে দরজা লাগিয়ে আমার পাশে এসে বসলো,,,,,,,,,,,,,,
আমি ::::::::::: আপনিকি এই রুমে থাকবেন?????
.
ইফাদ ভ্রু কুচকে,,,,
হ্যা এই রুমে থাকবো কেনো???
.
আমি :::::::::: ওর পাশ থেকে সরে,,,,
আমি কখনো কোনো ছেলের সাথে একা রুমে এভাবে থাকিনি,,,,
.
ইফাদ :::::::::::: কোনো ছেলে এক কথা আর আমি তোমার স্বামি,,,,
আমরাতো আলাদা থাকতে পারিনা,,,,
এতে সবাই কি বলবে,,,,
.
ইফাদ :::::::::: কি হলো,,,তুমি এতো রিয়েক্ট করছো কেনো,,,
তোমার যদি ভালো না লাগে আমরা কালকেই চলে যাবো,,,,
.
আমি :::::::::: হুম তাতো যাবোই,,,
কিন্তু আমি আপনার সাথে এক বিছানায় ঘুমাতে পারবোনা,,,,
আপনি উপরে ঘুমাবেন আমি নিচে,,,
নয়তো আমি উপরে আর আপনি নিচে,,,,,,,,
.
ইফাদ :::::::::: আচ্ছা ঠিকাছে,,,,,
এখন তুমি ফ্রেশ হয়ে কিছু খেয়ে নাও,,,,
ব্যাগ থেকে আমাকে একটা প্যাকেট বের করে দিলো,,,,,,,
.
আমি ::::::::: কি এটা???
.
ইফাদ ::::::::::: এটা ড্রেস,,,,
আমি দুবাই থেকে এনেছি,,,,,
.
আমি প্যাকেটটা হাতে নিয়ে ওটা খুলে খুব অবাক হলাম,,,,
এটা ড্রেস,,,,
এটাকেতো আমরা নাইটি বলি,,,,
ইফাদের দিকে তাকিয়ে,,,,
এটাকে ড্রেস বলে???
ফ্লোরে ছুড়ে মারলাম প্যাকেটটা,,,,
.
ইফাদ :::::::: আরে কি করছো তুমি,,,
এটাতো ড্রেস,,,,
ওখানের মেয়েরা পড়ে,,,,
আমার ভালো লেগেছে তাই নিয়েছি,,,,
তুমি পড়ো তোমাকেও ভালো লাগবে,,,,
.
আমি :::::::::: ছি ছি,,, এমন পাতলা ড্রেস আমি পড়বো না,,,,
এটা পড়েও যে না পড়েও সে,,,,
আর এমন ড্রেস ওখানের মেয়েরা পড়ে এখানের মেয়েরা না,,,,,,
.
ইফাদ ড্রেসটা এনে আবারো আমার হাতে জোর করে দিয়ে বললো,,,
প্লিজ এমন করোনা,,,,
তুমি এটা পড়ো,,,
আমি জাস্ট একটা বার তোমায় দেখবো,,,,,,
আর আমিতো তোমার স্বামি তোমাকে তোমার স্বামি দেখবে বাইরের কেউতো দেখবে না,,,,
প্লিজজজজজ
অন্তত আমার এই ইচ্ছে টুকু পূরণ করো,,,,,,,
ও খুব কাকুতি মিনুতি করছিলো,,,
তাই আর না করলাম না,,
আমার স্বামি হয় এটাতো করতেই পারি,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
ইফাদ ড্রেসটা এনে আবারো আমার হাতে জোর করে দিয়ে বললো,,,
প্লিজ এমন করোনা,,,,
তুমি এটা পড়ো,,,
আমি জাস্ট একটা বার তোমায় দেখবো,,,,,,
আর আমিতো তোমার স্বামি,,,, তোমাকে তোমার স্বামি দেখবে বাইরের কেউতো দেখবে না,,,,
প্লিজজজজজ
অন্তত আমার এই ইচ্ছে টুকু পূরণ করো,,,,,,,
ও খুব কাকুতি মিনুতি করছিলো,,,
তাই আর না করলাম না,,
আমার স্বামি হয় এটাতো করতেই পারি,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
.
ও এতো করে বলছিলো আমি আর না করতে পারলাম না,,,,,
বেচারা আমার সব কথা মেনে নিয়েছে আমিকি জাস্ট ওর একটা আবদার মানতে পারবো না,,,,
এটাকি হয়,,,,
.
আমি ওয়াশরুমে যাচ্ছি চেইঞ্জ করতে,,,,,,,,
ইফাদ আমার সামনে এসে পথ আটকিয়ে বললো,,,,
কোথায় যাচ্ছো???
.
আমি :::::::: কোথায় যাচ্ছি মানে,,,
চেইঞ্জ করতে ওয়াশরুমে যাচ্ছি,,,,
.
ইফাদ ::::::::::: চেইঞ্জ করতে কি ওয়াশরুমে যেতে হয়,,,,
এখানে করলে কি কোনো প্রবলেম হবে??
.
আমি বিষম খেয়ে,,,,
মানে,,,,
আমি এখানে চেইঞ্জ করবো,,,মানে আপনার সামনে,,,,
কি বলছেন এসব,,,,
.
ইফাদ ::::::::::: আমি তোমার স্বামি,,,,চেইঞ্জ করতেই পারো,,,,,
.
আমি :::::::::: হোয়াটএবার,,,,
ওকে আমি চেইঞ্জ করবো না,,,,
.
ইফাদ :::::::: মানে???
.
আমি ::::::::: মানে খুব সোজা,,,ড্রেসটা পড়বো না,,,,,
.
ইফাদ ::::::::::: প্লিজ প্লিজ এমন করোনা,,,,,,,,
আমার হাত ধরে আবারো ঢং করছে,,,,
আচ্ছা ঠিকাছে,,,
তুমি ওয়াশরুমে গিয়ে চেইঞ্জ করো,,,,
তোমার যেমনি ইচ্ছা তেমনি করো,,,
আমি কিচ্ছু বলবো না,,,
একটাবারের জন্যে হলেও ড্রেসটা পড়ে আসো,,,,,,
.
আমি ::::::::::: মনে মনে,,,,আব আয়ি না মাজা,,,,
হুম যাচ্ছি,,,,
ওয়াশরুমে গিয়ে কাপড়টা পড়লাম,,,,
হায় খোদা,,,,,
জিবনেও এমন ড্রেস পড়িনি,,,,
এই ড্রেসের কোনো ওড়না নেই তাই আমি আগের ড্রেসের ওড়না পড়েই বের হলাম,,,,,,
.
ইফাদ মোবাইলে কারো সাথে কথা বলছিলো,,,,
আমাকে দেখার সাথে সাথে কান থেকে ফোন নামিয়ে ফোনটা কেটে দিয়ে হা করে আমাকে দেখছে,,,,,,
.
আমি ওড়না দিয়ে ঢাকার চেষ্টার করছি,,,,,,,,,
একটা কথা আমার খুব ভালোভাবেই মাথায় এসেছে,,,,,
আমি ইফাদের সাথে আসার পর থেকে আম্মু একটা কলও দেয়নি,,,,
নিশ্চয় আম্মু জানে,,,,,,
আগেতো নানু বাসায় গেলে তিন চারবার কল দিবেই দিবে,,,,,,
.
আমাকে দেখে ইফাদের চোখ সরাতেই পারছে না আমার থেকে,,,,
ওর এভাবে চেয়ে থাকাটা খুব লজ্জায় ফেলে দিচ্ছে আমাকে,,,,,
ও ধীরে ধীরে আমার দিকে এগিয়ে আসছে,,,,,
আর আমি পিছিয়ে যাচ্ছি,,,,,
ও কয়েক পা এগিয়ে এসে আমাকে টেনে ওর সাথে জড়িয়ে নিলো,,,,,
আমি বুঝতে পারছি কি হতে চলেছে,,,,
.
আমি ওকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে বললাম,,,,,
ইফাদ এমন তো কথা ছিলো না,,,,
আপনি আমার সাথে চিট করছেন,,,,
.
ইফাদ ::::::::::::: তুমি এমন করছো কেনো,,,,দেখো আয়রা এটা কিন্তু বেয়াদপি,,,,,
তুমি আমার স্ত্রী,,,তোমাকে আমি টাচ করতেই পারি,,,,
এখানে চিট করার কি আছে,,,
.
আমি ::::::::::::: আপনি আমাকে বিকেলে বাসায় দিয়ে আসবেন বলে এখানে এনেছেন,,,,,
যদি এমনটা করবেন জানতাম তাহলে কখনোই আপনার সাথে আসতাম না,,,,
.
ইফাদ ::::::::::::: আচ্ছা ঠিকাছে,,,,
এরপর থেকে সব জানিয়ে আনবো,,,,
আবারো আমাকে টেনে ওর কাছে নিয়ে গেলো,,,,
আমাকে জড়িয়ে ধরলো,,,,,
আমার কোমড়ে স্লাইড করতে লাগলো,,,,,,,,,
আমি ওকে আবারো ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিই,,,,,,,
আমি খাটের উপর শুয়ে পড়ি ও এসে আমার পাশে শুয়ে আমাকে টাচ করে,,,,
ও টাচ করার সাথে সাথে আমি নিচে নেমে শুই,,,,
ইফাদও নিচে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে,,,,,,,
এমন করতে করতে প্রায় ভোরে হয়ে গেলো,,,,,,
বাইরে আজান হচ্ছে,,,,,,
.
এক পর্যায়ে ইফাদ আমাকে বশ করতে না পেরে খুব রেগে যাই,,,,,,
খাটের তত্তার উপর খুব জোড়ে দুইটা ঘুষি মারে,,,,,,
ওর হাতে খুব ব্যাথা লেগেছে,,,,,
ও আমার দিকে খুব রাগি দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলো,,,,,,
আমিও অপরাধীর মতো অন্যদিকে ফিরে আছি,,,,,,
ইফাদ চাইলে আমাকে জোর করতে পারতো কিন্তু সে করেনি,,,,,
কেনো করেনি জানিনা,,,,
.
তবে ও যে খুব রেগে গেছে ওর চেহেরা দেখেই বুঝা যাচ্ছে,,,,,
ভাবী আকাশ ওরা অনেক কথাই বলছে কিন্তু ইফাদ কোনো উত্তর দিচ্ছে না,,,,,
তবে যতটুকু পারা যায় স্বাভাবিক হতে চেষ্টা করছে,,,,,,,,
.
ইফাদ আমাকে আমাদের বাসায় ড্রপ করে দিয়ে চলে গেলো,,,,,,
বাসায়ও এলোনা,,,,,,
পুরো রাস্তায় আমার সাথে একটা কথাও বলেনি,,,,,,
দুইটা দিন কোনো ফোন টোন দেয়নি,,,,
ফোন দিলেও জাস্ট আম্মুর সাথে কথা বলে আমাকে খুজেও না,,,,
কেনো জানি ইফাদকে মিস করছিলাম,,,,,,,,,
বড্ড বাড়াবাড়ি করে ফেলেছি,,,,,,
.
দুদিন পর ইফাদের ফ্রেন্ড আকাশ আমাকে কল করে বলে,,,,,,
ভাবী নিজের বৌকে টাচ করা কি অন্যায়??????
নিজের বৌয়ের সাথে একটু রোমান্স করা কি চিট?????
জানেন ইফাদ কতোটা কষ্ট পেয়েছে আপনার বিহেভিয়ারে,,,,,
একটা ছেলে কতোটা কষ্ট পেলে কাদেঁ আপনি জানেন,,,,
আপনার এতটুকু আইডিয়া আছে,,,,
.
আপনি অনেক বড় ভুল করছেন,,,,
ইফাদকে কল দিয়ে সরি বলেন,,,,
ও দুইটা দিন রাগে কিচ্ছু খাইনি,,,,
শুধু পানি আর শুকনা খাবার ছাড়া,,,,
তাও আমি জোর করে খাওয়ায়ছি,,,,,
আপনি ওকে কল দেন,,,,,
আপনার কাছে রিকোয়েস্ট,,,,
আর আমি যে এসব বললাম ওকে সেটা বলবেন না,,,,,,
অভিমান করলে সেটা ভাঙ্গাতে হয়,,,,
বেস্ট অফ লাক ভাবী,,,,,
.
আরেকটা কথা,,,,এরি মধ্যে জানতে পারলাম ইফাদ আমার সাথে মিথ্যে বলেছে,,,,
আমাকে মিথ্যে বলে আকাশের বাসায় নিয়ে গিয়েছিলো,,,,,
আকাশের কোনো ক্যান্সার ছিলো না,,,
ইফাদটা এমন শয়তান,,,, নিজের বেস্ট ফ্রেন্ডকে নিয়ে এতবড় মিথ্যে কথাটা বলতে পারলো,,,,,
.
আকাশের কথা শুনে আমারো অনেক খারাপ লাগছে,,,,
ইফাদকে এতোটা কষ্ট দিলাম আমি,,,,,
ওকে সরি বলে ক্ষমা চেয়ে নিবো,,,,,
.
নয়তো আম্মু এসব জানলে আমায় আস্ত রাখবে না,,,,,
রাতে ইফাদের কাছে কল দিবো কি দিবো না,,,,
ভাবতে ভাবতে কল দিয়ে দিলাম,,,,,,,
বুকটা থরথর করে কাঁপছে,,,,,,,
.
ওপাশ থেকে ইফাদের কন্ঠটা শুনে আমার হার্টবিট এপাশ ওপাশ করছে,,,,,
ও ভেবেছিলো আম্মু,,, তাই রিসিভ করেই সালাম দিলো,,,,,
আমিও পাল্টা সালাম দিলাম,,,,
.
আমার কন্ঠ শুনেই ও চুপ হয়ে গেলো,,,,,,,,,,,
আমি :::::::::::: ইফাদ আ'ম সরি,,,,,
আ'ম রিয়েলী সরি,,,,
প্লিজ আমায় ক্ষমা করে দিন,,,,
আর এমন হবেনা,,,,
.
ইফাদ ::::::::::: রাখছি আমি,,,,
.
আমি :::::::::: প্লিজ ফোন রাখবেন না,,,,,,,
আমায় কি ক্ষমা করা যায়না,,,,,,
আর কত কষ্ট দিবেন নিজেকে এন্ড আমাকে,,,,,,
খুব কষ্ট দিচ্ছে যে আমাকে আপনার অভিমানটা,,,,,
.
ইফাদ ::::::::::::: হুম সরি এক্সেপ্ট করা হবে,,,,,,,
তবে একটা শর্ত আছে,,,,,
.
আমি ::::::::: কি শর্ত???
.
ইফাদ ::::::::::: কালকে আমরা শপিংয়ে যাবো,,,,,,
.
শপিংয়ে যাবার কথা শুনে আমার তো খুশিতে নাচতে ইচ্ছা করছে,,,,,
ওয়াও শপিং,,,,
.
আমি :::::::::::: ওকে ঠিকাছে,,,,
এখন বলেন আপনি কেমন আছেন???????
.
ইফাদ ::::::::::::: এখন আমি খুব জোশে আছি,,,,,তুমি কেমন আছো জানু???
.
আমি ::::::::::: হুম ভালো আছি,,,,
.
ইফাদ গান ধরলো,,,,,
.
কি মায়া লাগাইলি মোরে,
বাঁধলি কোন প্রেমের ডোরে,
কেন তোরে ভুলতে পারিনা।
যতই চাই থাকতে ভুলে,
ততই তোরে মনে পড়ে,
তোরই স্মৃতি মোছা তো যায়না।
.
ওর খালি গলায় গান খুব ভালো হয়,,,,,
মন ছুয়ে যায়,,,,
গান শুনতেও আমার ভালো লাগে,,,,
ইফাদ আমাকে কত করে বলে একটা গান শোনাওনা আয়রা,,,,
আমিতো তোমাকে কত গান শুনাই,,,,
তুমি একটা শুনাইলে কি হয়,,,,
.
আমার এতোটা লজ্জা করে আমি ইফাদের সাথে রোমান্টিক কথাও বলিনা,,,,
আর গান তো অনেক দূরের কথা,,,
ওকে নিজেকে টাচ পর্যন্ত করতে দিই না,,,,,,,,
জানিনা আমি এমন কেনো,,,,,,
অনেক সময় মনে হয়,,,,
ইফাদ আমাকে ঘুরতে নিয়ে যাক,,,,
আমার সাথে সারারাত কথা বলুক,,,
আমি যা বলবো তাই করুক,,,
কিন্তু আমাকে টাচ না করুক,,,,
.
কিন্তু এটা যে অসম্ভব,,,,
কতদিন আর নিজেকে সামলিয়ে রাখবো,,,,,,
ইফাদ চাই আমি ওর সাথে ফ্রি ভাবে কথা বলি,,,,
ওর সাথে টাইম স্পেন্ড করি,,,,
আর ভালোবাসা শেয়ার করি,,,,
.
পরদিন খুব লেইট করে ঘুম থেকে উঠি,,,,,,,,,
পাশে ইফাদকে দেখে লাফিয়ে উঠি,,,,,
একি সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে কাকে দেখছি,,,,
স্বপ্ন হবে হয়তো,,,,
ইফাদ আমার দিকে তাকিয়ে আছে,,,,
.
আমি চোখ কচলিয়ে আবারো তাকায়,,,
হুম সত্যিই তো ইফাদকে দেখছি,,,
সারারাত কথা বলার পর ভোরের দিকে ঘুমিয়েছি,,,,,
আর উঠেছি এখন মানে দুপুর তিনটা,,,,,,,,,,,
ইফাদ এই সময় এখানে কিভাবে????
.
ইফাদ আমার গালে চট করে চুমু দিয়ে বললো,,,,
তুমি স্বপ্ন দেখছো না,,,
সত্যিই দেখছো,,,
দুপুর তিনটা বাজে,,,
কখন শাওয়ার করবা,,, কখন লাঞ্চ করবা আর কখন আমরা বের হবো,,,,
.
আমি ::::::::::: এদিক ওদিক ওড়নাটা খুজছি,,,,,
ইফাদ খাটের ওপাশ থেকে ওড়না নিয়ে আমাকে দিলো,,,,
তোমার কি মনে নেই,,, আজকে আমাদের শপিংয়ে যাবার কথা ছিলো,,,,,
.
আমি ওড়না গায়ে জড়িয়ে,,,,
ওহ হ্যা,,,
আমিতো ভুলেই গেছিলাম,,,
.
ইফাদ ::::::::::: জলদি করে রেড়ি হয়ে নাও,,,,,,
লাঞ্চটা বাইরে করবো,,,
.
আমি :::::::::::::: ওকে,,,,
.
শাওয়ার সেরে রেড়ি হলাম,,,,
আমার পছন্দের গোলাপি কালারের গোল ড্রেসটা পড়লাম,,,,,
সাজুগুজু শেষের মুহুর্তেই ইফাদ রুমে এলো,,,,
আয়রা তোমার শাওয়ার নিতে এতোক্ষণ লাগে,,,,,
এতোক্ষনে তো এভারেস্ট ও পাড়ি দেওয়া যাবে,,,,,,
.
আমি :::::::::::: মেয়েদের এমনি একটু আধটু লেইট হয়,,,,
আর আমি তেমন সময় নেইনা,,,,
.
ইফাদ :::::::::: অবাক হয়ে,,,
তুমি সময় নাওনা,,,,
ভেরি ফানি,,,,
.
আমি নাক ফুলিয়ে,,,,জ্বি না আমার তেমন সময় লাগে না,,,,
আমি রেড়ি,,,,,
ইফাদ :::::::::: ওকে চলো,,,,,
.
আম্মু আর আপু হাসিঁ মুখেই আমায় বিদায় দিলো,,,,
আম্মুকে ইফাদের সামনেই বললাম,,,
আমরা ডিনার এখান করবো,,,,
তুমি সব রেড়ি রেখো আম্মু,,,,
.
ইফাদ চুপ করে গাড়িতে চলে গেলো,,,,
আম্মু বললো,,,,
মানে ডিনার এখানে করবি???
.
আমি ::::::::::: মনে হয়,,,,
জানিয়ে দিবো তোমায়,,,,
ওকে আসি তাহলে,,,,
.
আমি ইফাদের সামনে কথাটা বলেছি এজন্যে,,,, ও যেনো আমাকে কোথাও নিয়ে না যাই,,,,
বাবাগো বাবা ছেলেদের বিন্দুমাত্র বিশ্বাস নেই,,,,,
.
ইফাদ গাল ফুলিয়ে রেখেছে,,,,
মনে মনে না জানি আমাকে কি করছে,,,
হয়তো মেরে ভর্তা বানাচ্ছে,,,,,
.
আমি :::::::::::: কি হলো আপনার হঠাৎ চুপ যে,,,,,
ইফাদ জোর পূর্বক হেসেঁ,,,,,
কই কিছু নাতো,,,,,
ইফাদের আবার রাগ বেশি,,,,
তবে আমাকে রাগটা দেখায় না,,,,
.
দুজনে রেস্টুরেন্টে গেলাম,,,,,
কর্ণারের টেবিলে বসলাম,,,,
ইফাদ :::::::::: কি খাবে বলো???
.
আমি ::::::::::: আপনি যা খাবেন,,,,,
.
ইফাদ ::::::::::: যেহেতু দুজনে লাঞ্চ করিনি সেহেতু বিরিয়ানি খেলে মন্দ হয়না,,,,
কি বলো তুমি????
.
আমার তো বিরিয়ানি খুব পছন্দ,,,,,
ওয়াও বিরিয়ানি,,,,
হুম চলবে,,,,
.
ইফাদ দুটো বিরিয়ানি অর্ডার করলো,,,,,,,,,,,
প্লেট গুলো অনেক বড়,,,,আর বিরিয়ানিও দিয়েছে এত্তোগুলা,,,,
আমিতো খেতেই পারবো না,,,,
ওর সামনে ধীরেধীরে খাচ্ছি,,,,
বাসায় হলে তো গপগপ করে খেতাম,,,,
যদি এখন ওর সামনে গপগপ করে খায় তাহলে তো ইজ্জত শেষ বলবে,,,,,
এতো দেখি আস্ত একটা রাক্ষসী,,,,,
.
ইফাদের খাওয়া শেষ,,,,ও আমার প্লেটে চার ভাগের তিন ভাগ খাবার দেখে বললো,,,,,
কি হলো???
বিরিয়ানি কি ভালো লাগছে না??
নাকি অন্য কিছু অর্ডার করবো??
.
আমি ::::::::: না না খুব ভালো লাগছে,,,
তবে বেশি হয়ে গেছে,,,
খেতে পারছি না,,,
.
ইফাদ আমার এসে আমার পাশে বসে নিজের হাতে আমাকে খাইয়ে দিচ্ছে,,,,
আমার খুব লজ্জা লাগছে,,,
ও মুখের সামনে ভাতের গ্রাস ধরে বললো,,,,,,
হা করো,,,
.
আমি এদিক ওদিক তাকিয়ে দেখছি কেউ দেখছে কিনা,,,,,,
.
ইফাদ ::::::::::: আয়রা এদিক ওদিক কি দেখছো,,,,
এখানে তোমাকে কেউ দেখছে না,,,
সবাই এখানে খেতে এসেছে,,,,
দেখি হা করো,,,,
.
আমি হা করলে ও খাইয়ে দেয়,,,,,
খুব মনে পড়ছে আব্বুর কথা,,,
আব্বু ও আমাকে খাইয়ে দিতো,,,,
ইফাদের হাতে খেতে বিরিয়ানির স্বাধটা আরো দ্বিগুণ বেড়ে গেছে,,,,,,,,,,
চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
অনেকে জানতে চেয়েছেন আকদ মানে কি??
আকদ হচ্ছে যখন আপনি তিন কবুল বা রাজি আছেন বলে পুরোপুরি অন্যের হয়ে যান,,,,ইসলামের দৃষ্টিতে আকদ হওয়ার পরেই তো আপনারা স্বামি স্ত্রী,,,,,, একে অপরের জন্যে বৈধ।
অন্য জেলার কথা জানিনা তবে আমার এখানে ফাস্ট আকদ হয় তারপর অনুষ্টান করে বরের বাসায় নিয়ে যায়।
আমি হা করলে ও খাইয়ে দেয়,,,,,
খুব মনে পড়ছে আব্বুর কথা,,,
আব্বু ও আমাকে খাইয়ে দিতো,,,,
ইফাদের হাতে খেতে বিরিয়ানির স্বাধটা আরো দ্বিগুণ বেড়ে গেছে,,,,,,,,,,
.
তারপর ইফাদ আমাকে নিয়ে খুব বড় শপিং মলে নিয়ে গেলো,,,,
ইফাদ :::::::::::: তোমার যা যা নিতে মন চায় তুমি নিয়ে নিবা,,,,,
সংকোচ বোধ করার দরকার নেই,,,,
.
আমি :::::::: হুম নিবো,,,,
মনে মনে,,,,নিবো মানে,,,,সব নিবো,,,
তুমি শুধু দেখতে থাকো বাবু,,,,
.
আমার যা যা পছন্দ হচ্ছে ইফাদ সব নিয়ে দিচ্ছে,,,,
প্রায় অনেক গুলা ড্রেস,,, জুতো,, ব্যাগ আর কসমেটিকস নিলাম,,,,,
বিল পে করে আসার সময় অন্য দোকানে দুইটা ড্রেস আমার খুব পছন্দ হলো,,,
কিন্তু ইফাদকে বলিনি,,,
এতো টাকার শপিং করলাম,,,,
বলতে লজ্জা লাগছে,,,
নিশ্চয় ইফাদ মনে মনে বলবে,,,,
মেয়ে দেখি আমায় পথে বসাবে,,,,,
.
কেনো জানি ড্রেস গুলা থেকে আমার চোখ সরছে না,,,,,,
ইফাদকে বললাম,,,
চলেন তো এদিকটা একটু দেখি,,,,
যে দুটো ড্রেস পছন্দ হয়েছে সেগুলা ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখছি,,,,,
.
ইফাদ ::::::::::: পছন্দ হয়েছে???
নিলে নাও,,,
.
আমি সৌজন্যতা দেখিয়ে,,,,
না না আমার লাগবেনা,,,,,
এমনিতে কতগুলা ড্রেস নিয়েছি,,,
কত টাকার শপিং করলাম,,,,
.
ইফাদ ::::::::::: তো কি হয়েছে,,,,
আমার সব তো তোমার,,,,
এই ভাইয়া দুটোই প্যাক করে দেন,,,
.
দোকানি ::::::::: জ্বি কোন দুটো প্যাক করবো???
.
ইফাদ :::::::::: আমার ওয়াইফ যে দুটো ড্রেস টাচ করেছে,,,,
আর শুনো আয়রা তুমি যা যা টাচ করবে তোমায় কিন্তু সব নিয়ে দিবো,,,,,
.
আমি :::::::::: হেসেঁ বললাম,,,,
এতো টাকা আছে আপনার???
.
ইফাদের হাতে সব প্যাকেট,,,
ও এক হাতে প্যাকেট নিয়ে অন্য হাতে ওয়ালেট থেকে দুটো ডেবিট কার্ড আমাকে দিয়ে বললো,,,,
এগুলা তোমার,,,
আমার কাছে আরো দুটো আছে,,,,
সব গুলাতে যথেষ্ট পরিমাণ টাকা রাখা আছে,,,,,,
তুমি যেমন ইচ্ছা তেমনি শপিং করতে পারবা,,,,,,
.
আমি :::::::::: না না আমার লাগবে না,,,
আমি কি করবো এসক কার্ড দিয়ে,,,,
আপনার কাছেই রাখুন,,,,
.
ইফাদ ::::::::::: তোমার কাছেই রাখো,,,
কাজে লাগবে,,,,
চুপচাপ ব্যাগে রাখো,,,,
.
আমি আইসক্রিম দেখে ইফাদকে বললাম আমাকে আইসক্রিম নিয়ে দিতে,,,,
আইসক্রিম নিয়ে খেতে খেতে গাড়ির দিকেই যাচ্ছি,,,,,,
.
পাশ দিয়ে কয়েকটা বখাটে ছেলে আমাকে ক্রস করার বাহানায় ধাক্কা খেলে আমার হাত থেকে আইসক্রিম পড়ে যায়,,,,
আর আমিও,,,,,
পায়ে একটু ব্যাথা পায়,,,,
ইফাদ শপিং ব্যাগ গুলো মাটিতে রেখে ছেলে গুলাকে মারতে দৌড় দেয়,,,,
ইফাত খুব রেগে গেছে,,,
কারণ ও ব্যাপারটা পুরোপুরি বুঝে গেছে,,,
.
বখাটেরা ইচ্ছে করেই গায়ের সাথে ধাক্কা খেয়েছে,,,,
এসব তো অহরহ হচ্ছে,,,,
পুরুষরা এমনি,,,,
মেয়ে দেখলেই তাদের শরীরে জ্বালা উঠে,,,,,,
মেয়েদের শরীর দেখলে বাজে বাজে কমেন্টস করতে ইচ্ছে করে,,,
শরীরের সাথে ধাক্কা খেতে মনচায়,,,,,,
.
এমন বাজে মানুষদের জন্যে বাসা থেকে বের হওয়া যায় না,,,,,
আবার সব ছেলেরা এমন না,,,,
.
একবার হয়েছে কি আমাকে আব্বু বা ভাইয়া রোজ কলেজে ড্রপ করে,,,,
হঠাৎ দুজনের কাজ পড়াতে আমি একাই কলেজে আসি,,,,
তাও আব্বু আম্মুর নিষেধ করা সত্তেও বাসে করে,,,,
.
বাসে নাকি ছেলেরা খুব খারাপ বিহেভ করে,,,,,
কিন্তু সেদিন আমি লায়লার চক্করে পড়ে বাসে উঠি,,,,
আমি বোরকা নেকাব পড়েই কলেজে যেতাম,,,,,,
সেদিন ও বোরকা পড়ে ছিলাম,,,,
বাসের কন্টাক্টার একটা শয়তান,,,,
তাকে লায়লা কয়েকবার জিঙ্গেস করলো সিট খালি আছে কিনা,,,,
জানোয়ারটা সিট খালি নেই জেনেও বললো সিট খালি,,,,
.
আমরা উঠে দেখি সব সিট ভর্তি আর অনেক ছেলে দাড়িয়েও যাচ্ছে,,,,
নেমে যেতে চাওয়ার আগেই বাস স্টার্ট দিয়ে দিলো,,,,
কন্টাক্টারকে কিছুক্ষণ বকে দিলাম,,,,
সে আরো বড় গলায় কথা বলে,,,,
একটু পর সিট খালি হইবো আফা,,,,
.
আমরা যে পাশে দাড়িয়ে ছিলাম তখন সেখানে কোনো ছেলে ছিলোনা,,,
কিন্তু যেইনা একটু পর পিছেন ফিরে দেখি,,,,,,
দুইটা ছেলে আমাদের পিছনে,,,,
একজনকে একজন কি যেনো ইশারা করছে,,,,
.
আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করে লাইলার সাথে চেপে দাড়ালাম,,,,,
গাড়ি একটু ঝাকুনি দিলে ছেলেটা পড়ে যাবার বাহানায় আমার সাথে ঘেসে যায়,,,,,,,
আমার প্রচন্ড রাগ হচ্ছিলো,,,,
হঠাৎ আমার অনূভব হলো,,,
কেউ বোরকার উপরেই আমার কোমড়ে হাত রেখেছে,,,,,
.
হ্যা পিছনে দাড়িয়ে থাকা দুটো ছেলের মধ্যে একটা আমার কোমড়ে হাত দিয়েছে,,,,,,
সাত পাঁচ না ভেবেই খুব জোড়ে একটা থাপ্পর বসিয়ে দিলাম,,,,,
দেখে অনেক ভদ্র মনে হয়েছিলো,,,
তবে কারেক্টারলেস,,,,,
.
আমি ::::::::::: শয়তান,,,জানোয়ার তোর কি মা বোন নেই,,,
এসব করতে উঠিস বাসে,,,,
অভদ্র কোথাকার,,,,
.
ছেলেটা উল্টো আমার সাথে রেগে যায়,,,
বলছে,,,,
গাড়ির ঝাকুনিতে একটু আধটু ধাক্কা তো লাগবেই,,,
তাই বলে থাপ্পড় মারবেন,,,,
এতো সতী হলে বাসে উঠেন কেনো,,,,
.
আমি ::::::::::: আমি বাসে উঠি আর যেখানেই উঠি তাতে তোর কি,,,
মেয়ে দেখলেই হাত দিতে মনচায় তোদের তাইনা,,,,
.
ছেলেটা আমার সাথে বাড়াবাড়ি করছে,,,
তারপর বাসের অনেক মানুষ মিলে ছেলেটাকে কয়েকটা মাইর দিয়ে বললো,,,,,,,
সব দোষ তোর,,,
কখন থেকে দেখছি,,,,
তুই ওখান থেকে এদিকে কেনো এলি,,,,,
খুব মজা লাগে না এসব করতে,,,
.
এবার ছেলেটার পাশ যে আরো একটা ছেলে ছিলো সে বললো,,,,
দোস্ত তোকে আমি বারবার নিষেধ করেছিলাম,,,,
এমন করিস না,,,
তারপরও তুই আমার কথা শুনলি না,,,,
এবার দেখ মজা করতে গিয়ে কি হলো,,,
.
একটাকে অনেক মারলো,,,
আর বাস থামিয়ে দুটোকেই নামিয়ে দিলো,,,,
যেই ছেলেটা মাইর খেয়েছে,,,
সে আমাকে এমন ভাবে দেখছে যেনো আমায় কাচাঁ চিবিয়ে খাবে,,,,,
.
সেদিন যদি অন্যরা আমায় সাপোর্ট না করতো তবে কি যে হতো,,,,,
তাই সব ছেলে এক না,,,,
কয়েকজন বা দশ বিশজনের জন্যে তো আমরা সব ছেলেকে খারাপ বলতে পারি না,,,,,,
.
এদিকে ইফাদ কয়েকটা মাইর বসিয়ে দিলো বখাটে গুলোকে,,,
শুধু ইফাদ না,,,,
আরো অনেকে মিলে,,,
শপিংয়ে আসা অনেক মেয়েকেই নাকি ওরা এমন করে,,,,
তাই আজ সুযোগটা হাত ছাড়া করলো না,,,,,
.
ইফাদ ওদিক থেকে এসে আমাকে বললো,,,,তুমি ঠিকাছো তো??
.
আমি :::::::::: হ্যা আমি ঠিকাছি,,,
কিন্তু আপনি শুধু শুধু ঝামেলা করতে গেলেন কেনো,,,,
কথা গুলো বলতে বলেত দাড়াতেই পায়ে ব্যাথা লেগে আমি আবারো বসে যাই,,,,
.
ইফাদ :::::::::: বলছো ঠিকাছো এদিকে আবার দাড়াতে পারছো না,,,,
মানে কি,,,,
আমাকে এতোগুলা মানুষের সামনে কোলে তুলে নিলো,,,,,
.
আমি :::::::::: ইফাদ করছেন কি আপনি,,,
আরে সবাই দেখছে তো,,,,
নামান আমাকে,,,,
.
ইফাদ আমাকে কোলে নিয়েই গাড়ির দিকে যাচ্ছে,,,,,
সবাই দেখছে তো দেখুক তাতে কি,,,
আমি আমার বৌকে কোলে নিয়েছি,,,,
কে কি বলবে,,,,
আমরা কি প্রেমিক প্রেমিকা নাকি,,,
যে লুকিয়ে তোমায় কোলে নিবো,,,,,
.
আমি :::::::::: তাই বলে সবার সামনে,,,
এভাবে,,,
আমার তেমন লাগেনি তো,,,,
সামান্য একটু,,,,
.
ইফাদ আমাকে গাড়িকে বসিয়ে দিয়ে সিট বেল্ট লাগিয়ে বললো,,,,,
কতটুকু লেগেছে দেখেছি তো,,,,
তাইতো এভাবে এনেছি,,,,,
ওয়েট করো আমি প্যাকেট গুলা নিয়ে আসি,,,,
.
ইফাদ নিচে ফেলে রাখা শপিং ব্যাগগুলো নিয়ে পিছনের সিটে রেখে আবার গাড়ি স্টার্ট দিলো,,,,,
একটু পর গাড়ি থামালো একটা ফার্মেসীর সামনে,,,,,
আমাকে বসতে বলে ও ফার্মেসীতে ঢুকলো,,,,,
মিনিট দুইএক পরেই ফিরে এলো,,,,
.
সন্ধ্যে হয়ে গেলে আমি ইফাদকে বললাম,,,
আমরা বাসায় কখন যাচ্ছি????
এখন তো সন্ধ্যেও হয়ে গেছে,,,,
.
ইফাদ :::::::::: ঠোটঁ কামড়ে,,,,,
হুম সন্ধ্যে তো হয়েই গেলো,,,,
বাসায় তো নিয়ে যাবো,,,
টেনশন করোনা জান,,,,,
.
ইফাদের কথার মধ্যে আমি যেনো কিছু একটার গন্ধ পাচ্ছি,,,,
ছেলেটার মতলব ভালো ঠিকছে না,,,,,,,,,,,,,,
কোথায় যে নিয়ে যাচ্ছে আমায় বুঝতেও পারছি না,,,,,,,
গাড়ি চলতেই আছে,,,,
একটা সময় আমি ঘুমিয়ে পড়লাম,,,,
.
ঘুম ভাঙ্গলো ওর ঝাকুনি পেয়ে,,,,,
আমি :::::::::: আমরা বাসায় এসে গেছি নাকি,,,,,,
.
ইফাত ::::::::: হুম এসে গেছি তো,,,
নামো গাড়ি থেকে,,,,,
.
গাড়ি থেকে নেমে আমি পুরো অবাক,,,,
ইফাদ আমাকে কোথায় নিয়ে এসেছে,,,,,,,,,
এটাতো আমার বাসা না,,,
এটাতো একটা হোটেল,,,,
.
আমি ইফাদকে বললাম,,,,
এটাতো আমার বাসা না,,,
এখানে কেনো এনেছেন???
.
ইফাদ ::::::::::: আয়রা অনেক টায়ার্ড আমি,,,,,সব কথা পরে হবে আগে চলো একটু রেস্ট নিই,,,
ও আর কিছু না বলেই হাটা দিলো,,,,
আমিও ওর পিছন পিছন যাচ্ছি,,,,
.
ইফাদ দুই তলায় একটা রুম নিলো,,,
তবে দশ মিনিটের মতো আমাদের ওয়েট করতে হবে,,,,,
কিন্তু কেনো সেটা জানিনা,,,,
.
প্রায় বারো মিনিট পর আমাদের রুমে নিয়ে গেলো,,,,
আমি রুমে ঢুকে আরেক টাসকি খেলাম,,,,,,,
রুমটাকে ফুল দিয়ে বাসর রুম সাজিয়ে দিয়েছে,,,,,
ইফাদের দিকে জিঙ্গাসু দৃষ্টিতে তাকালে ও ইগনোর করে,,,,,
ওর মুখে একটা রাজ্যের হাঁসি বিরাজ করছে,,,,,
.
আমি ::::::::::: ইফাদ এসবের মানে কি???
আপনি আমাকে বাসায় নিয়ে যাবেন বলে এখানে কেনো এনেছেন???
.
ইফাদ :::::::::::: তুমি এতো ন্যাকা কেনো হ্যা,,,
কিচ্ছু বোঝনা,,,,
বাসায় কেনো নিবো,,,
তুমি আমার বৌ আমি তোমাকে যেখানে ইচ্ছা সেখানে নিয়ে যেতে পারি,,,,,
.
আমি ::::::::: হুম পারেন,,,,
কিন্তু
ইফাদ :::::::::::: কিন্তু টিন্তু সব পরে,,,,
কোনো কিন্তু শুনতে চাইনা,,,,
তারপর সে পকেট থেকে একটা কাগজ মোড়ানো প্যাকেট আমাকে দিয়ে বললো,,,,,,
এটা খাও,,,
গ্লাসে পানিও ঢেলে দিলো,,,,
.
আমি একটু অবাক হলাম,,,,
এটা কি???
.
ইফাদ ::::::::::: মেডিসিন,,,,
নাও খেয়ে নাও,,,
.
আমি ওর হাত থেকে প্যাকেটটা নিয়ে খুলে দেখে খুব শকড় খেলাম,,,,
ইফাদ কি গাধা নাকি,,,,
কি বেক্কল বাবারে,,,
এটা কি খাবার জিনিস,,,
ছি ছি,,,
এটা আমাকে খেতে বলছে কেনো??
.
ইফাদ রেগে বললো,,,
কি হলো আয়রা,,,, আজো কি আমার কথা শুনবা না,,,,
খেতে বললাম খাচ্ছোনা কেনো???
বেয়াদপি করছো তোমার স্বামির সাথে,,,,,,,,,
.
আমি কি হাসবো নাকি কাদঁবো বুঝতে পারছি না,,,,
জিবনে এতো বড় গাধা আমি কখনো দেখিনি,,,,,
যেই জিনিস ইউজ করে সে জিনিস আমাকে খেতে বলছে,,,,,
.
আমি ::::::::::: পাগল নাকি আপনি,,,,
কিসব যা তা আমাকে খেতে বলছেন,,,
এগুলা কি খাওয়া যায়,,,,
যদি খাওয়া যায় তবে আপনি খান আগে,,,
ওর হাতে দিতেই প্যাকেটটা ও দেখে সেখানে আর দাড়ালো না,,,,,
লজ্জায় মাথা নিচু করে রুম থেকে বেরিয়ে গেলো,,,,,
.
আমিতো হাসতে হাসতে শেষ,,,,
ইফাদ একটা গাধা,,,,
কাগজে মোড়ানো ছিলো বলে বুঝতে পারেনি,,,,,,
নয়তো এমন বোকামি কখনো করতো না,,,,,,,
.
আমি ততক্ষণে ফ্রেশ হয়ে একটা নিউ ড্রেস পড়লাম,,,,,
শাড়ি পড়িনি,,,,
এটা সামলাতে আমার খুব কষ্ট হয়,,,,
আর বিভিন্ন জায়গা দেখা যায়,,,,
একটা ছেলের সামনে খুব আনইজি ফিল হয়,,,,,,
.
আমি চুল আচড়াচ্ছিলাম,,,,
এমন সময় ইফাদ রুমে ঢুকলো,,,,,
.
দুজনের মধ্যে চোখাচোখি হলো,,,
আমি চোখ নামিয়ে নিলেও ও ঠিকিই তাকিয়ে আছে আমার দিকে,,,,,,
এমন ভাবে তাকিয়ে আছে ইফাদ আমার দিকে আমি লজ্জায় ওর দিকে তাকাতে পারছি না,,,,,
ও ধীরে ধীরে আমার কাছে আসতেই আমি ওকে ক্রস করতে চাইলেই ও আমার হাত ধরে ফেলে,,,,
একটানে বুকের সাথে ঝাপটে ধরে,,,,,,
ইফাদের হৃদস্পন্দন আমি স্পষ্ট ভাবে শুনতে পাচ্ছি,,,,,,
কিন্তু আমার হৃদস্পন্দন যে থমকে গেছে,,,,,,,,
ওর স্পর্শ আমাকে কাঁপিয়ে তুলছে,,,,,
অসম্ভব এক আকর্ষণ আমায় ঘিরে ধরছে,,,,,,,
.
শুধু বড় বড় নিশ্বাস আসছে ভেতর থেকে,,,,,,
কেমন ছটপটানি লাগছে,,,,,
ওর কাছ থেকে সরতে পারলেই বাচি,,,,
.
ইফাদ আমার কোমড়ে হাত দিতেই আমি আরো কেঁপে উঠলাম,,,,,
আমার মুখটা উপরের দিকে ধরে ওর ঠোটঁ জোড়া আমার কাছে আনছে,,,,
আমি বাধা দেওয়ার আগেই ও আমার হাত ধরে বললো,,,,
আজ কিন্তু আর ছাড়ছি না,,,,
আমার অধিকারটা আমি নিয়েই ছাড়বো,,,,,,
.
আমাকে কিছুই বলতে দিলো না,,,
আমার ঠোঁট জোড়া সে নিজের দখলে নিয়ে নিলো,,,,,,
তারপর আমাকে নিয়েই তার নতুন পথে যাত্রা শুরু করলো,,,,,
ইফাদকে আর থামাতে পারলাম না,,,,
আমি জানি আজ শত চেষ্টা করেও ওকে আমি আমার কাছ থেকে দূরে সরিয়ে দিতে পারবো না,,,,
ও আমাকে কাছে টেনে নিবেই নিবে,,,,
.
এটা জোর পূর্বক হলেও এটা ওর অন্যরকম ভালোবাসা,,,,,
যা আমার কাছে অনেক দামী,,,,
এটার অপেক্ষাই ছিলাম মনে হয়,,,,,
এতো যে সুখ পাবো কখনো ভাবতেই পারিনি,,,,,,
ইফাদ আমাকে এতোটা ভালোবাসবে এটা কল্পনার বাইরে ছিলো,,,,,
ইফাদ আমার অনেক কেয়ার করে,,,,,
.
সকালে ইফাদ আমার ঘুম ভাঙ্গালো,,,,
আমি ওর বুকের উপর শুয়ে ছিলাম,,,,
ইফাদ ::::::::::: এই জান উঠোনা,,,,,
কত বেলা হয়ে গেছে,,,,
আর কত ঘুমাবা,,,,,
.
আমি :::::::::::: উফফফ,,,আম্মু এমন করছো কেনো???
একটা কি সুন্দর স্বপ্ন দেখছি,,,,
ভেঙ্গে দিওনা যাওতো,,,,,,,,,,,,
আমি :::::::::::: উফফফ,,,আম্মু এমন করছো কেনো???
একটা কি সুন্দর স্বপ্ন দেখছি,,,,
ভেঙ্গে দিওনা যাওতো,,,,,,,,,,,,
.
ইফাদ মুচকি হেসেঁ আমার কপাল থেকে চুল সরিয়ে চুমু একে দিয়ে বললো,,,,
আমার জানুটা একদম ন্যাকা,,,,
তুমিযে তোমার বাসায় নও তোমার স্বামির বুকের উপর ঘুমিয়েছো,,,,
ভুলে গেছো নাকি???
.
আমি ধড়পড়িয়ে উঠে দেখি ইফাদ,,,,
রাতের কথা মনে পড়তেই লজ্জায় চোখ নামিয়ে ফেলি,,,,,
ওর চোখে চোখ রাখতে লজ্জা করছে,,,,
.
ইফাদ এসো একসাথে শাওয়ারটা করে নিই,,,,,,
আমি টাওয়াল নিয়ে দৌড়ে ওয়াশরুমে ঢুকে দরজা লক করে দিলাম,,,,,
বুকটা ধুকধুক করছে,,,,,,
এমনিতে লজ্জায় মরে যাচ্ছি,,,
আবার কিনা একসাথে শাওয়ার নিবে,,,
হুহহহ শখ কতো,,,,
.
আমি এভাবে ঢুকে যাওয়াতে ইফাদ রাগ করেছে,,,,
টাওয়াশ পেছিয়ে দরজা আধো খুলে ইফাদকে ডেকে বললাম শাড়িটা দিতে,,,,,,
.
ও শাড়ি দিবার বাহানায় আমাকে টেনে ওয়াশরুম থেকে বের করে আনলো,,,,,
ইফাদ আমাকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরলো,,,,,
আমার যে কি লজ্জা লাগছিলো,,,
ইফাদ কানে কানে বললো,,,,
খুব লজ্জা লাগছে বুঝি,,,
আমার লজ্জাবতীটার??
.
আমি ::::::::::: ইফাদ আমার খুব ক্ষিধে পেয়েছে,,,,
যান শাওয়ারটা সেরে আসেন,,,,
ইফাদ :::::::::: উফফফ তুমি না রোমান্টিক মুডটাই নষ্ট করে দাও,,,,,
একটু রোমান্টিক হলে কি হয় হ্যা,,,
.
আমি ::::::::::: যখন সময় হবে তখন হবো,,,,,,
আগে আপনি যানতো,,,
.
ইফাদ ::::::::::: ওকে লজ্জাবতীটা যাচ্ছি,,,
তবে একটা তো নিতেই পারি,,,
.
আমি ইফাদকে ঠেলে ওয়াশরুমে ঢুকিয়ে দরজা বন্ধ করতে করতে বললাম,,,,
আপনি একটু বেশি রোমান্টিক,,,,
.
আমি শাড়ি পড়ে হালকা সাজুগুজু করলাম,,,,,,
এমন সময় ইফাদ চুলের পানি ঝাড়তে ঝাড়তে ওয়াশরুম থেকে বের হলো,,,,
.
আমাকে দেখে মুচকি মুচকি হাসছে,,,,,
ওর হাসিঁ দেখে আমার লজ্জা লাগছে,,,,
ইশশশশ সবই দিলাম কিন্তু কাজলটা দিতে ভুলে গেছি,,,,,
ব্যাগেই তো ছিলো,,,,
ইফাদ আমার পেছনে এসে দাড়ালে আমি ঝিম মেরে সোজা হয়ে দাড়িয়ে যাই,,,,
ও আমাকে ওর দিকে ঘুরিয়ে বললো,,,
উপরের দিকে তাকাও,,,,,
.
আমি :::::::: কিন্তু কেনো???
.
ইফাদ কাজলটা দেখিয়ে,,,,
এটা খুজছিলে তাইতো,,,,
এসো আমি কাজলটা পড়িয়ে দিই,,,,
.
আমি ::::::::::: আপনি পারবেন না,,,,
আমার চোখে পানি চলে আসে,,,
.
ইফাদ ::::::::::: পানি আসবে না,,,
আমি সাবধানে পড়িয়ে দিবো,,,,,
দেখি উপরের দিকে দেখে থাকো,,,,
পলক ফেলো না,,,,
ইফাদ খুব সাবধানে আমাকে কাজলটা পড়িয়ে দিলো,,,,
চুল থেকে টপটপ পানি পড়ছে দেখে সেটাও মুছে দিলো,,,,
সব শেষে ইফাদ আমাকে মাথা থেকে পা পর্যন্ত দেখে বললো,,,
কিছুতো একটা কম কম লাগছে,,,,,
.
আমি ::::::::::: কি,,, সবই তো পড়লাম,,,,
তাহলে,,,,
.
ইফাদ কিছু একটা ভেবে রুম থেকে বেরিয়ে গেলো আমাকে ওয়েট করতে বলে,,,,,
মিনিট খানেকের ভেতর রুমে এলো একটা টকটকে লাল গোলাপ নিয়ে,,,,
.
গোলাপটা আমার চুলে লাগিয়ে দিচ্ছে নিজেই,,,,
আমি :::::::::::: আপনি এটা আনতে গিয়েছিলেন,,,,,
আমিতো আরো কিনা কি ভেবেছি,,,,
.
ইফাদ :::::::::::: কি ভেবেছো??
.
আমি :::::::::: কিছুনা,,,,,
.
ইফাদ :::::::::: এবার পারফেক্ট লাগছে তোমাকে,,,,,,,
চলো তোমার না খুব ক্ষিধে পেয়েছে,,,,
.
আমি :::::::::: হুম পেয়েছে তো,,,,,
চলেন,,,,
তারপর আমরা সারাদিন এদিক সেদিক ঘুরলাম,,,,,
আইসক্রিম,,, ফুচকা এসব খেলাম,,,,
শিশু পার্কে গেলে রাইডও করলাম,,,,,,
খুব খুব মজা করলাম সেদিন,,,,,
.
শেষে ট্রেনে চড়লাম,,,যেটা একটা অন্ধকার গুহা অতিক্রম করবে,,,
আর সেখানে থাকে ভুত,,,,,
ভয় দেখায় আর কি,,,,,
.
যখনি ট্রেন গুহায় ঢুকলো,,,,,অমনি আমি ইফাদকে ভয়ে জড়িয়ে ধরলাম,,,,,
.
ইফাদ ::::::::: এই মেয়ে করছো কি,,,,
এতো মানুষের সামনে জড়িয়ে ধরলে যে,,,,
.
আমি ::::::::::::: আরো জোরে চেপে ধরে,,,,,
ইফাদ আমার অন্ধকারে ভীষণ ভয় লাগে,,,,,
.
ইফাদ ::::::::::: গতকাল তো লজ্জায় শেষ হয়ে যাচ্ছিলে,,,,,আর আজকে ভয়ের ঠেলাই লজ্জা শরমও ভুলে গেছো,,,,
.
আমি ইফাদের কথা কানে নিলাম না,,,,,
ভয় লাগছে,,,,,
ট্রেনের জানালা দিয়ে অনেক হাত ঢুকিয়ে দিচ্ছে,,,,,,
মানে ভয় দেখাচ্ছে আর কি,,,,,
.
একজন তো প্রচুর রেগে গেলো,,,,
হাত ধরে মোচড় দিয়ে বললো,,,
এগুলাকে কে এসব করতে বলে ,,,,
মানুষকে ভয় দেখাস না,,,,
এবার বুঝ মজা কি???
.
ইফাদের সাথে সারাটা দিন কাটাতে আমার যে কি ভালো লাগছিলো,,,
সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে ওর টেককেয়ারটা,,,,,
আমার প্রতি এতোটা কেয়ারিং না হলেও চলতো,,,,
আমি কি খেতে পছন্দ করি,,,কি করতে পছন্দ করি,,,,
কোথায় যেতে পছন্দ করি ও সব কিছুই জেনে নিলো,,,,
আমাকে বাদাম খোসা ছাড়িয়ে খেতে দিলো,,,,,
আমি যেখানে যেখানে যেতে বলছি আমায় সেখানে সেখানে ঘুরতে নিয়ে গেলো,,,,,,
আমাকে ভালোবাসবে এমন একটা মানুষ যে পাবো সেটা কখনো ভাবিনি,,,,
আমাকে অনেক ভালোবাসে ইফাদ,,,,
.
আমার আকদের ঠিক দুমাস পরেই ও দুবাই চলে যায়,,,,
সেদিন ছিলো আমার খুব কষ্টের দিন,,,,
বুক ফেকে কান্না আসছিলো,,,
ওকে ছাড়তেই ইচ্ছে করছিলো না,,,,
ইফাদকে যে অনেক বেশি ভালোবেসে ফেলেছি,,,,
ও আমাকে জড়িয়ে ধরে ফুপিয়ে কেদেঁছিলো,,,, কিন্তু আমি দেখার আগেই চোখের পানিটা মুছে নিলো,,,
যাতে আমি না দেখি,,,
.
ভালোবাসার মানুষটাকে ছাড়তে মন চাইছিলো না,,,
মনে হচ্ছে বুকের ভেতর থেকে কেউ কলিজাটা ছিড়ে নিয়ে যাচ্ছে,,,,
আমি যে ইফাদের জন্যে এভাবে কাদঁবো সেটা ভাবতেও পারিনি,,,
ওর জন্যে আমার এতোটা কষ্ট লাগবে আমি এখন সেটা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি,,,,,,
.
ইফাদের সাথে কাটানো দুইটা মাস আমার জন্যে ছিলো স্বর্গ সুখের মতো,,,,
পুরো জিবনের সব সুখ যেনো ও ভরিয়ে দিয়েছে,,,,
জিবনটা ওর রঙ্গে রাঙ্গিয়ে দিয়েছে,,,,
ও খুব শক্ত করে আমাকে জড়িয়ে ধরেছিলো,,,,,
আমি জানি ওর কতোটা কষ্ট হচ্ছে আমাকে ছেড়ে যেতে,,,,
কিন্তু প্রকাশ করতে পারছেনা,,,,
.
ওকে এয়ারপোর্টে ড্রপ করে আসার সময় আমি সারাটা পথ কেদেঁছি,,,,
কেনো এমনটা হলো,,,
ভালোবাসার মানুষটা দূরে যেতেই জিবনটা অন্ধকার হয়ে গেলো,,,,
ফ্লাইটে উঠার পরও ও আমার সাথে কথা বলেছে,,,,
.
আয়রা একটু পর প্লেন উপরের দিকে উঠতে শুরু করবে তখন কিন্তু আপনা আপনি লাইন ডিসকানেক্ট হয়ে যাবে,,,
জান আমার,,, কাদবেনা কিন্তু,,,
তুমি কাদঁলে যে তোমার ইফাদের কষ্ট হবে,,,,,,
লক্ষিসোনাটা,,,,লজ্জাবতীটা আমার,,,,
দুবাই এয়ার পোর্টে নেমেই তোমায় কল দিবো,,,,
নিজের খেয়াল রাখবা,,,,
মিস ইউ সোনা,,,,
.
আমি কিছুই বলতে পারছিনা,,,কাদাঁর জন্যে,,,,
মিস ইউ টু ইফাদ,,,,,
.
ইফাদ ::::::::::: জান কেদোঁনা,,,,নয়তো আমি চলে,,,,,,,,,,
এতোটুকু বলতেই লাইনটা কেটে গেলো,,,,,,,
.
আমার যে কি কষ্ট লাগছে,,,
ওর সাথে সারারাত কথা বলে কাটিয়ে দিতাম,,,,,
কত স্মৃতি জড়িয়ে আছে আমাদের,,,,
মাঝে মাঝে সকালে ঘুম থেকে উঠেই ইফাদকে দেখে চমকে যেতাম,,,,
আমাকে পিক করতে বাসায় চলে আসতো,,,,,
বাসায় আসার পর থেকে শুধুই ওর কথা মনে পড়ছে,,,,
বারবার আমাদের সেলফি গুলো দেখছি,,,,,,
.
আমাদের একান্ত মুহূর্তের সময় ও আমার মুখের সাথে মুখ লাগিয়ে সেলফি তুলেছে,,,,,
আমার ঘুমন্ত অবস্হায় ও সেলফি তুলেছে,,,,,,
আমি হাই তোলার সময় ও একটা সেলফি তুলে,,,
সেখানে আমি হা করে থাকি,,,
এটা দেখিয়ে ইফাদ আমাকে জ্বালাতো,,,
বলতো এতো বড় হা করে ছিলা,,,
ভাগ্যিস মশা ঢুকে যায়নি,,,,
.
আমিতো সারাটা রাত ঘুমাইনি,,,
শুধু বালিশ ভিজিয়েছি,,,,
ভোর চারটার দিকে ফোন আসলে আমি তড়িহড়ি করে রিসিভ করি,,,,
এটা নেটের নাম্বার,,,
মানে বাইরের দেশের,,,
.
ইফাদ কল দিয়েছে,,,
আমার জানটা কেমন আছে???
.
আমি কেদেঁ কেদেঁ,,,,
আপনাকে ছাড়া আপনার জানটা একটুও ভালো নেই,,,
আই মিস ইউ সো মাচ ইফাদ,,,,
এন্ড লাভ ইউ অনেক গুলা,,,
.
ইফাদ ::::::::: লাই ইউ টু এন্ড মিস ইউ সোনাটা,,,,,
আমি এখন দুবাই এয়ারপোর্টে,,,
মামা এসেছে আমাকে রিসিভ করতে,,,,
বাসায় গিয়ে আমার সোনাটাকে কল দিবো,,,,
আচ্ছা আগে এটা বলো,,,
তুমি খেয়েছো???
.
আমার মুখ দিয়ে কিছুই যাচ্ছেনা,,,,
যদিও মুখ দিয়ে জোর পূর্বক কিছু দিই কিন্তু গলা দিয়ে নামবে না,,,,,
যখন ইফাদের ফোন পেলাম আমার মন শান্তি,,,,
ও একন ঠিকমতো বাসায় পৌছালেই হলো,,,,,
.
আমি আমতা আমতা করে বললাম,,,হুম খেয়েছি তো,,,
.
ইফাদ ::::::::::: এই মেয়ে তুমি কি ভেবেছো,,,,,
তোমার সাথে আমার ফোনের সম্পর্ক,,,
নো নো শুধু এটা না,,,
তোমার সাথে আমার মনের সম্পর্ক,,,,
আমি সব বুঝতে পারি,,,,
আমার জান পাখিটা যে কিছুই খাইনি আমি জানি,,,,
তুমিকি চাও তোমার ইফাদ কষ্ট পাক???
.
আমি ::::::::::: কক্ষনো না,,,,
কোনোদিনও না,,,
.
ইফাদ ::::::::::: তাহলে কেনো ইফাদের জানকে কষ্ট দিচ্ছো,,,
তুমি কষ্ট পেলে তোমার ইফাদ কষ্ট পাবে,,,,,,
তুমি কখনো আর এমন করবে না,,,
ঠিকমতো খাওয়া দাওয়া করবে,,,,
আমি যে পৌছেছি সেটা আব্বু আম্মুকে বলে দিও,,,,
এখন রাখি সোনা,,,
মামা দাড়িয়ে আছে,,,
জান কিছু খেয়ে নাও,,,
.
আমি ::::::: ওকে খোদা হাফেজ,,,,
ফি আমানিল্লাহ,,,,
.
আমার মনটা এতোক্ষণে শান্তি হলো,,,
কলিজায় পানি এলো,,,
প্রতিদিন ইফাদ ইমুতে ভিডিও কল দেয়,,,,,,,
ওর সাথে সারাটা দিনের বেশির ভাগ সময় কথা বলে কাটায়,,,,
ওর নিজের ফ্রুটস এন্ড ক্লথ শপ থাকায় আমাকে বেশি সময় দিতে পারে,,,,
.
দুজনে কত ভালোবাসার গল্প করি,,,,
কত রোমান্টিক কথা বলে ইফাদ,,,
আমার মন প্রাণ সবকিছু জুড়ে শুধু ইফাদ আর ইফাদ,,,,
.
ইফাদের ফ্রেন্ড আমাকে অন্য নাম্বার থেকে কল দিয়ে ট্রাই মারে,,,
ইফাদের সাথে নাকি চ্যালেন্জ করেছে,,,
আমাকে পটাবে,,,
কিন্তু কিছুই হলো না,,,
আননোয়ান নাম্বার দেখলে আমি সাথে সাথে ব্লক করি,,,,
এতে ইফাদ খুব খুশি,,,
ওকে আমি সব বলি,,,
ও জিঙ্গেস করে,,,,
কি খেয়েছি,,,,,,,কি করছি,,,
আবার ভিডিও কলে শুধু আমাকে দেখে থাকে,,,,
বলে চুপ আমি আমার লজ্জাবতীটাকে দেখবো,,,
তুমি কোনো কথা বলবা না,,,,
.
ওর সাথে কথা বলতে বলতে আমি বালিশে মুখ গুজে কাদিঁ,,,,,
তখন ইফাদ বলে,,,,
এই সুইটহার্ট,,,,কাদছো কেনো,,,,
তুমি এভাবে কাদলে আমিকি এখানে থাকতে পারবো বলো,,,,
এমন করেনা লক্ষিটি,,,,
বলো আমারও কি তোমায় ছাড়া থাকতে মন চাইছে,,,
ইচ্ছে করছে এখনি তোমার কাছে চলে যাই,,,,
তোমাকে খুব শক্ত করে বুকের সাথে চেপে ধরি,,,,
.
তোমার তো ওখানে আব্বু আম্মু ভাই আত্নীয় স্বজন সবাই আছে,,,
কিন্তু আমার একানে কে আছে বলো,,,,
আমিতো তোমাকে দেখেই দিন পার করছি,,,,,,
খুব তারাতারি চলে আসবো ইনশাআল্লাহ,,,,,
আর দেশে এসেই জানটাকে একেবারে নিজের কাছে নিয়ে আসবো,,,,
আর কিন্তু ওকানে থাকেত দিবো না,,,,
সোজা আমার বাসায় নিয়ে আসবো,,,,
.
আমি ::::::::::: আপনি একটা গুন্ডা,,,,
আমাকে তুলে নিয়ে যাবেন,,,
আমার বুঝি সবাইকে ছেড়ে যেতে কষ্ট হবেনা???
.
ইফাদ ::::::::::: কষ্ট একটু হলেও সমস্যা নাই,,,,,,
আদর আর ভালোবাসা দিয়ে সব ভুলিয়ে দিবো,,,,
তখন শুধু আমাকেই খুজবে,,,,
শুধু আমার বুকের মাঝে পড়ে থাকবে,,,,
.
ইফাদের ফোন বিজি পেয়ে খুব রাগ লাগছিলো,,,
ও ইমুতে কার সাথে কথা বলছে,,,,
পরে ও ফোন দিলে বলে ওর ফ্রেন্ডের সাথে কথা বলছিলো,,,
.
আমার খুব কষ্ট লাগলো,,,
ওর এমন কোন ফ্রেন্ড যে আমার চাইতেও বেশি,,,,
আমাকে ওয়েট করিয়ে কার সাথে কথা বলে,,,,,
.
দুদিন এমনটা হলো,,,,
আমাকে ঠিকিই কল দেয় তবে আম। ওকে বিজি পেলেই আমার মেজাজ বিগড়ে যাই,,,,
ওকে হাজারটা প্রশ্ন করি,,,
ও এর ফ্রেন্ডকে আমার নাম্বার দেয়,,,
.
ওর ফ্রেন্ডের সাথে কথা বলে আমার আরো বেশি রাগ লাগে,,,
বিয়ের আগে মেয়ে ফ্রেন্ড সমস্যা নাই,,,
কিন্তু বিয়ের পর মেয়ে ফ্রেন্ড কেনো থাকবে???
আর যদিওবা থাকে তাহলে কেনো তার সাথে ভিডিও কলে কথা বলতে হবে,,,
.
ইফাদের সাথে কথা কাটাকাটি হলো,,,
একটা মেয়ের সাথে কিসের কথা,,,
হোক সে ফ্রেন্ড,,,,
বাট আমার পছন্দ না,,,
ইফাদ এটাকে পাত্তাই দেয় না,,,
বলে কথা বললে কি সমস্যা,,,
আমিকি প্রতিদিন ওর সাথে কথা বলি,,,
.
কিন্তু কাশপিকে আমার মোটেও সহ্য হয়না,,,,,
আমি কাশপির সাথে কথা বলিনা,,,ওকে থ্রেড দিয়ে বলি,,,
ইফাদের সাথে যেনো আর কথা না বলে,,,,,,,,
তারপর ব্লক করি,,,
.
জানিনা কাশপি ইফাদকে কি আনাপ সানাপ বুঝিয়েছে,,,,
ইফাদ আমার সাথে খুব রেগে গেলো,,,
.
তুমিকি বুঝোনা,,,,এসবের মানে কি আয়রা,,,,,
তোমার মাইন্ড এতো নিচু কেনো???
এমন নিচু মাইন্ড নিয়ে কি চলা যায়,,,
কাশপি আমার জাস্ট ফ্রেন্ড এর বেশি কিছু না,,,
হয়তো মাঝে মাঝে কথা বলি,,,
তাই বলে তুমি ওকে থ্রেড দিবা,,,,
আয়রা তুমি আমাকে ওর কাছে নিচু করে দিলা,,,,
কাশপি কি ভাবছে তোমার সম্পর্কে,,,,,
আমি তোমার কাছ থেকে এটা কখনো আশা করিনি আয়রা,,,,,
.
সেদিন ইফাদের কথা গুলো তীরের মতো আমার বুকে বিঁধেছিলো,,,,
কতোটা কষ্টে নিজেকে সামলে ছিলাম,,,,
বুকটা যন্ত্রনায় ফেটে চৌচির হয়ে যাচ্ছিলো,,,,,,
.
পরে ইফাদ ফোন দিলে আর ধরলাম না,,,,,,,
অনেকবার ও ফোন দিয়েছে,,,
ও কাশপির জন্যে আমাকে এতো কথা শুনিয়েছে,,,,
কথা বলবোনা ওর সাথে,,,,,,,,,,,,,,
পরে ইফাদ ফোন দিলে আর ধরলাম না,,,,,,,
অনেকবার ও ফোন দিয়েছে,,,
ও কাশপির জন্যে আমাকে এতো কথা শুনিয়েছে,,,,
কথা বলবোনা ওর সাথে,,,
.
অনেক অভিমান করেছি,,,
ও কেনো বুঝেনা আমায়,,,,
ও কোনো বুঝেনা,,, কোনো মেয়ের সাথে ও কথা বললে আমার কষ্ট হয়,,,
আমার বুকটা ফেটে যায়,,,,
.
শেষে আম্মুর ফোনে কল দিয়ে বলে আমাকে দিতে,,,,
আমি আস্মুর সামনে ফোনটা হাতে নিয়ে এদিকটা এসে ফোন কেটে দিই,,,,
.
ও মেসেজ দিয়ে বারবার সরি বলছিলো,,,,,,,
বাট এ সরিটা আমি এক্সেপ্ট করতে পারছিলাম না,,,,,
ও কিভাবে আমাকে এতো কথা শুনালো,,,,,,,
আমি চাইনা আমার ভালোবাসার মানুষটা অন্য কোনো মেয়ের সাথে কথা বলুক,,,,
ইফাদ আমার স্বামি,,,,
ও শুধু আমার,,,,
আর আমার সাথেই কথা বলবে,,,
এখানে ফ্রেন্ড নামের থার্ড পার্সন আসার কোনো মানে হয় না,,,,,
.
ভালোবাসা,,,খুনসুটি,,,ঝগড়া আর মান অভিমানের ভিতরে কেটে গেলো চারটা মাস,,,,,
আমি এখন অনেকটা দৈর্য্যশীল হয়ে উঠেছি,,,,,
ইফাদকে বুঝতে শিখেছি,,,,
ওর মনের মতো নিজেকে করতে চেষ্টা করছি,,,,,,
হঠাৎ একদিন ও কল করেনা,,,,
ওকে কল দিয়েও পাইনা,,,
.
আমিতো চিন্তায় শেষ হয়ে যাচ্ছিলাম,,,,,,,,,,,
এদিকে আম্মু বাসায় অনেক সুস্বাদু রান্না বান্না করছে,,,,,
আম্মুকে জিঙ্গেস করলে বলে স্পেশাল কেউ আসবে,,,,,
কিন্তু কিছুই বুঝতে পারছি না,,,,
এমনিতে কাজিনদের আসার কথা ছিলো,,,,,,
.
আমি ট্রাই করেই যাচ্ছি,,,,,
ইফাদের ফোন সুইচড অফ বলছে,,,,
গতকাল রাত থেকে ওর সাথে কথা হয়না,,,,,,
আমার খুব কান্না পাচ্ছে,,,,
কাউকে লজ্জায় বলতেও পারছি না,,,
লুকিয়ে লুকিয়ে কাদঁছি,,,,,
.
ঠিক সন্ধ্যের দিকে আমার কাজিনরা সবাই আসলো,,,,
মেহমান এসে বাসা ভর্তি হয়ে গেলো,,,,
আমাকে নিয়ে কত মজা করছে,,,
ইফাদের কথা জিঙ্গেস করছে,,,
ওর কথা বলে আরো বেশি মজা করছে,,,,,,,
বেলুন দিয়ে পুরো বাসা সাজিয়ে দিয়েছে,,,,,
সবার কাছে জিঙ্গেস করছি,,, এতো সাজানো হচ্ছে কেনো,,,
কিন্তু কেউ উত্তর দেয়না,,,
বলে এমনিতে,,,
.
আম্মু আমাকে শাড়ি পড়িয়ে দেয়,,,
নিনতি আপু আমাকে সাজিয়ে দেয়,,,,
আমি কিছুই বুঝতে পারছিনা,,,
এসব কেন করছে,,,,
আর আমাকে কেনো শাড়ি পড়িয়ে সাজানো হলো,,,
আজ তো আমার বার্থডে নয়,,,,
তাহলে,,,,,
.
আব্বু আম্মু সবাই বিজি,,,,
ওরা কি যেনো বলাবলি করছে,,,
কাজিনরাও কি ফুসুর ফুসুর করে হাসাহাসি করছে,,,,
আমাকে দেখে কাজিনরা বলছে,,,
আয়রা তোকে না যা লাগছে বলার মতো না,,,,,
সে দেখেই চোখ ফেরাতে পারবে না,,,,
.
আমি অবাক হয়ে বললাম,,,,
কে???
কার কথা বলছো তোমারা????
আমাকে কি কিছু বলবে???
আমি কিছুই বুঝতে পারছি না যে,,,,
প্লিজ বলো কেউ,,,,
.
নিনতি আপু আমার কানের কাছে বেলুন এনে টুস টুস করে ফুটালে আমি ভয় পেয়ে যাই,,,
তারপর
পার্টি স্পে দিয়ে সবাই মজা করছে,,,,
একজন আরেক জনের মাথায় মুখে সবখানে স্প্রে করছে,,,,
আমাকে স্প্রে করতে চাইলে আমি পালিয়ে ছাদে চলে আসি,,,,,
কেউ দেখেনি আমাকে,,,,
এসে হাপাচ্ছি,,,,,
হঠাৎ পিছন থেকে কেউ চোখ ধরলো,,,,
.
আমি ভয় পেয়ে গেলাম,,,,
বুকটা ধুকধুক করছে,,,,
স্পর্শটা খুব চেনা চেনা মনে হচ্ছে,,,,
আর স্মেলটা অনেক কাছের মনে হচ্ছে,,,,
.
কে,,, কে বলছি???
.
সসসসসসসস,,,,আমি ভুত,,,,
কি ভয় করছে বুঝি,,,,
.
আমার কানের কাছে কন্ঠটা বেজে উঠলো,,,
এতো ইফাদের কন্ঠ,,,,,
চোখ থেকে হাত সরিয়ে ঘুরে দেখি আমার ইফাদ মুচকি হাসিঁ দিয়ে দাড়িয়ে আছে,,,,,,,,,,
সারপ্রাইজটা কেমন লাগলো লজ্জাবতীটা,,,,,
.
আমি ইফাদের বুকে ঝাপিয়ে পড়লাম,,,,,,,,,
সুখে আমার চোখ দিয়ে পানি চলে এলো,,,,,,
ইফাদ আপনি???
.
আপনি এখানে আমি বিলিভ করতে পারছিনা,,,,,
আমাকে চিমটি দিন,,,
.
ইফাদ আমার পেটে আলতো করে চিমটি দিয়ে বললো,,,,
সত্যিই আমি এসে গেছি,,,
আর তুমি তোমার ইফাদের বুকে,,,
.
ইফাদকে খুব শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বললাম,,,,
আপনাকে আর কোথাও যেতে দিবোনা,,,
আমার ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ করে রাখবো,,,,
.
ইফাদ :::::::::: আমার লজ্জাবতীটাকে আজ অনেক কিউট লাগছে,,,
একদম স্টবেরীর মতো,,,,
লজ্জায় আরো লাল হয়ে গেছে,,,
এখন কিন্তু টুপ করে খেয়ে নিবো,,,,
.
আমি লজ্জায় ইফাদের বুকে মুখ লুকালাম,,,,,,
.
সেদিন যে ইফাদ আসবে সবাই জানতো শুধু আমি ছাড়া,,,,
আমাকে জানাতে নিষেধ করেছিলো,,,,
আমাকে সারপ্রাইজড করার জন্যে,,,,
সত্যিই আমি সারপ্রাইজড হয়ে ছিলাম,,,,
.
এখন বাসর ঘরে বসে অপেক্ষা করছি ইফাদের জন্যে,,,,
ইফাদ রুমে ঢুকলে ওকে সালাম করি,,,,
.
আমি :::::::::: কিছু খেতে দিবেন না আমাকে????
.
ইফাদ লাজুক হেসেঁ,,, মাইর দিবো কিন্তু,,,,
এভাবে লজ্জা দিলে,,,
ওটাতো মিসটেক ছিলো,,,
বুঝতে পারিনি,,,
.
আমি ::::::::::: হুম সেটাই তো,,,
আমিও তো ভাবছিলাম,,,
একটা মানুষ এতো গাধা হয় কেমনে,,,
.
আচ্ছা আমি গাধা,,,,,, তাইনা,,,
দাড়াও গাধি,,,
তোমাকে মজা দেখাচ্ছি,,,,,
আমাকে ধরতে চাইলে আমি এদিক ওদিক পালাই যেনো আমাকে ধরতে না পারে,,,,,
.
ইফাদ আমাকে ধরে ফেলে,,,,,
তারপর দুজনে আরো কিছুক্ষন কথা বললাম,,,,
আমি ইফাদের পাসপোর্ট আর টিকিটটা নিয়ে বললাম,,,,,
আপনাকে আর যেতে দিবোনা,,,
সব ছিড়ে ফেলবো,,,,
.
ইফাদ :::::::::::: হায় হায় বলে কি,,,
এসব ছিড়লে আমি যাবো কেমনে,,,
আর না গেলে যে আমার জান পাখিটাকে কি খাওয়াবো,,,,
তোমার সব চাহিদা পূরণ করতেই তো যেতে হবে,,,,
চার পাঁচটা ডেবিট কার্ড কি এমনি এমনি বানিয়েছি,,,,,
সব তোমার জন্যে,,,,
তুমি তোমার ইচ্ছে মতো খরচ করবে,,,
.
আমি ::::::::::::: আমার টাকা,,, কার্ড এসব কিচ্ছু চাইনা,,,
আমার শুধু আপনাকে চাই,,,
আপনার ভালোবাসা চাই,,,,
আপনি দূরে থাকেন এতে আমার কতো কষ্ট হয় জানেন,,,,,
আমি আপনাকে ছাড়া থাকতে পারিনা,,,,,,,,,
.
ইফাদ ::::::::::::::: এই পাগলী দূরে গেলে কি ভালোবাসা কমে যাই,,,,
ভালোবাসা আরো বাড়ে,,,,
কখনো কমে না,,,,,
তোমার সারাটা দিন কাটে আমার ভাবনায় আর আমার সারাটা দিন কাটে তোমার ভাবনায়,,,,,,
দুজন দুজনকে কত মিস করি,,,,,
কাছে পাবার স্বাধ জাগে,,,,,,,
হয়তো কখনো কথা কাটাকাটি হয়,,,, মান অভিমান হয়,,,,
দুজন একে অপরের সাথে কথা না বলে নিরবে ছটপট করতে থাকি,,,,,
হয়তো কখন প্রিয়জনকে কাছে পাবো সেই আশায় বসে থাকি,,,,,
আমরা প্রবাসী আমরা কখনো আমাদের কষ্টটা দেখাতে পারিনা,,,,,
বলতে পারিনা,,,,
নিরবে চোখের জল ফেলে সেটা হজম করি,,,,,
.
আমাদের কষ্টের কথা কাউকে বলতে নেই,,,,,
পরিবার প্রিয়জনকে ছেড়ে যেতে যে কি পরিমাণ কষ্ট হয় যদি সেটা দেখাতে পারতাম বুঝতে,,,,,
সারা দিন কাজে ডুবে থেকে রাতে যখন বাসায় আসি,,,,
বুকটা হাহাকার করে উঠে,,,,,
তোমাদের জন্যে মনটা খুব জ্বলে,,,,,
তারপরও কষ্টটা বুকে নিয়ে পথটা পাড়ি দিতে হয়,,,,,
.
যখন তোমার সাথে কথা বলি সব কষ্ট মুছে যায় তোমার হাসিঁ মাখা মুখটা দেখে,,,,,,
তোমার হাসিঁর শব্দ শুনে প্রাণটা ভরে যায়,,,,,
মনে মনে এই শান্তনাটা পাই,,,,
যে আমার এই ত্যাগের বিনিময়ে হলেও আমার জান পাখিটা,,,আমার পরিবার সুখে আছে,,,,
তখন আর কোনো কষ্ট লাগেনা,,,,
মনে সুখ লাগে,,,,
.
ইফাদের কথা শুনে আমার খুব কান্না পাচ্ছে,,,,
ও এতো কষ্ট নিয়ে প্রবাস জিবন কাটায়,,,,,,,,
শুধু আমাকে সুখী দেখার জন্যে দিনের পর দিন কঠোর পরিশ্রম করে,,,,
আর আমি কিনা ওর সাথে ঝগড়া করি,,,
রাগ দেখায়,,,,
ছি ছি আমি কেমন,,,,
ওকে বুঝার চেষ্টা করিনা,,,
.
সরি ইফাদ আপনাকে আমি অনেক কষ্ট দিয়েছি,,,,
আমাকে ক্ষমা করে দিন,,,,
আপনি যদি আমাকে ক্ষমা না করেন তবে আল্লাহ আমাকে ক্ষমা করবে না,,,,
যতটুকু পারি আপনাকে সুখে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করবো,,,,
.
আপনার সব কষ্ট ভাগাভাগি করে নিবো,,,,,,,
এখন থেকে আমিও আপনার জিবনের অংশ,,,,
সুখ দুঃখ সব দুজনে মিলে শেয়ার করে নিবো,,,,,,
আপনি নিজের মধ্যে কোনো কষ্ট চেপে রাখবেন না,,,,,
আপনি যেমনি হোন না কেনো,,,
তবুও আপনি আমার স্বামি,,,
আমি শুধু আপনাকেই ভালোবাসি,,,
হয়তোবা আমাদের ভালোবাসাটা অন্যরকম,,,,,,
.
কাছে থাকলেই কি শুধু ভালোবাসা হয়,,,,
দুরে থাকলেও ভালোবাসা যায়,,,
ভালোবাসাটা কখনো কমে না,,,,,
ইফাদের সাথে দুষ্টু মিষ্টি খুনশুটি নিয়েই চলছে আমাদের সুখের সংসার,,,,,
ও ছয় মাস পর পর দেশে আসে,,,,
চার পাঁচ মাস থেকে আবার চলে যায়,,,,,
আমাদের কোল জুড়ে এলো এক রাজকন্যা,,,,,,,
যার নাম ইফাদ রেখেছে ইফরা,,,,
ইফাদে ইফ,,,,আর আয়রার রা,,,,
ইফরা,,,,,
.
ইফাদ হয়তোবা আমাদের মা মেয়েেক সময় কম দিতে পারে কিন্তু ইফাদের ভালোবাসাটা কখনো কমেনি,,,,
ও আমাদের প্রচন্ড ভালোবাসে,,,,,,
ইফরার সাথে সারাক্ষণ কথা বলে,,,
আর ইফরা তার বাবাকে এটা আনবে,,, ওটা আনবে,,,,
পুতুল পাটাবে,,,আম্মুর জন্যে একটা বড় পুতুল আনবে,,,,
.
ইফাদ আমাকে শুনিয়ে শুনিয়ে মেয়েকে বলে,,,,,
আম্মুর জন্যে কোনো পুতুল লাগবে না,,,
আম্মুর জন্যে আমি আছি,,,
তবে তোমার জন্যে নতুন একটা সত্যিকারের পুতুল আনবো কি বলো ইফুমনি,,,,,
.
বাবা মেয়ে এসব বলাবলি করে হাসেঁ,,,,,
আমিতো ইফরাকে বকতেও পারিনা,,,,মেয়েকে বকলে তার বাবাকে বলে দেয়,,,,
আর ইফাদ মেয়েকে শান্তনা দিয়ে বলে,,,
বাবা এসে আম্মুটাকে বকবো,,,
এমন মজা দেখাবো আম্মুটা লজ্জায় তোমাকে মুখ দেখাতে পারবে না,,,,
.
বাবা মেয়ের এসব কথা শুনে আমি না হেসেঁ পারিনা,,,,
ইফাদের চোখের মনি ইফরা,,,,
মেয়ের জন্যে চার পাঁচ মাস পর পরই দেশে চলে আসে,,,,,
ইফাদ দেশে আসলে আমাদের মা মেয়ের কত কেয়ার করে,,,,
নিজে রান্না করে আমাদের খাওয়ায়,,,,
.
ইফাদ দেশে আসলে আমাদের সবখানে বেড়াতে নিয়ে যায়,,,,,
অনেক মজা করি আমরা,,,,
ইফাদ যে আমাদের কতোটা সুখে রেখেছে বলার বাইরে,,,,
দুরে থেকেও ভালোবাসাটা কখনো কমে না,,,,,
আরো বাড়ে,,,
ঠিক আমাদের ক্ষেত্রেও এমন,,,,,
.
ইফাদ আমাকে আর ইফরাকে দুবাই নিয়ে যাই,,,,
বেড়ানো প্লাস হানিমুন দুটোই একসাথে,,,,,,,,
ইফাদ আমাদেরকে সুখে রাখার জন্যে প্রবাসে থাকে আর আমরা কি ওর সুখের জন্যে এতোটুকু করতে পারবো না,,,,
.
দুজন দু প্রান্তে,,,,,
তবে ভালোবাসাটা অভিরাম,,,,,
দুরে থাকা সত্তেও একজনকে একজন কাছে অনূভব করা,,,,
তাকে কল্পনা করা কতো যে সুখের,,,,,
সেটা একজন আমার মতো স্ত্রী বলতে পারবে,,,,
আমার আর ইফাদের ভালোবাসাটা অন্যরকম,,,,,,,
প্রবাসীদের ভালোবাসাটা অন্যরকম,,,
যেটা সবাই বুঝতে পারে না,,,,
যারা বুঝতে পারে তারাই সুখী হয়,,,
আর যারা বুঝতে পারে না,,,
তারা কষ্ট বুকে চেপেই জিবনটা পার করে দেয়,,,,,,
তবে সেটা প্রকাশ করার মতো নয়,,,,
সেটা শুধু অনুভব করতে হয়,,,,,,,,,
সুখে থাকুক সকল প্রবাসীরা,,,,
আর সুখে থাকুক তাদের পরিবার,,,,,
ভালোবাসা অভিরাম তাদের জন্যে,,,
যারা নিজ দেশ,,, পরিবার,, প্রিয়জনকে ছেড়ে তাদের সুখের জন্যেই প্রবাসে জিবন কাটায়,,,,,,,,
@@@$$$সমাপ্ত$$$@@@