#গল্প: পরিশেষে স্বামী স্ত্রী
পর্ব:০১
মেয়ে: প্লিজ তাড়াতাড়ি করুন ব্যাথা পাচ্ছি।
আমি আর ব্যাথা সহ্য করতে না পেরে কান্না করে দিলাম। আর উনি ওনার ইচ্ছা মত আমাকে ভোগ করতেই লাগলো। আর করবেই না কেন তিনিতো টাকা দিয়ে আমাকে কিনে নিছে 2 ঘন্টার জন্য। আরো কিছুক্ষণ তিনি আমাকে ভোগ করার পর। আমার শরীরের উপর উনার শরীর এলিয়ে দিলেন। আমার ঠোঁট জোড়া উনার ঠোঁট দিয়ে আঁকড়ে ধরল। আর আমার ঠোঁট জোড়া চুষতে লাগলেন। আমি কিছু উপায় না পেয়ে তার সাথে রেসপন্স দিতে লাগলাম। কারণ আমি এখন তার কাছে টাকায় বিক্রি হয়ে আছি। আর হাত দিয়ে তিনি আমার সারা শরীর স্লাইট করতে লাগলেন। আমার খুব বিরক্ত লাগতে ছিল। কিন্তু কিছু করার নেই। মুখ বুজে সব সহ্য করে নিতে হচ্ছে। আজ প্রথমবার শারীরিক সম্পর্ক করতেছি শুধু টাকার জন্য। জীবনে কখনো ভাবতে পারেনি টাকার জন্য নিজ ইচ্ছায় নিজের সব কিছু থেকে মূল্যবান জিনিসটা বিক্রি করে হবে।
মেয়ে: প্লিজ! এখন আপনার দেওয়া সময় আমি আপনাকে দিয়ে দিয়েছি। এখন আমাকে ছেড়ে দিন আর আমার টাকাটা দিয়ে দিন।
ছেলে: আর পাঁচ মিনিট সময় দাও আমি তোমাকে কিছু বকসিস দিয়ে দিব.???
মেয়ে: না প্লিজ! আমার ভাইয়াকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে হবে। না হলে আমার ভাইয়া বাঁচবে না। এই পাঁচ মিনিটের মূল্য আমার কাছে অনেক। প্লিজ! এরকম কিছু করবেন না আমাকে যেতে দিন।
ছেলে ওহ! এই নাও তোমার টাকা।
উনি 10 হাজার টাকা আমাকে দিয়ে দিলেন। কারণ আগে থেকেই আলাপ করে নিয়েছিল। আমাকে দুই ঘন্টা ওনার সাথে সময় কাটালে আমাকে 10000 টাকা দেবে। আমি ওনার রুমের বাথরুমে গিয়ে একটু ফ্রেশ হয়ে নিলাম। মুখে পানি দিয়ে হাত মুখ ধুয়ে পরিষ্কার করে নিলাম। জামা কাপড় পড়ে ওড়নাটা ভালোভাবে গলায় দিয়ে পেচিয়ে মাথায় ঘোমটা দিলাম। যাতে কেউ বুঝতে না পারে। কারণ উনি অনেক জায়গায় কামড় বসিয়ে দিয়েছেন। সেগুলো স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। আমি বাথরুম থেকে বেরিয়ে এসে দেখি উনি সবকিছু পড়ে রেডি হয়ে আছে হয়ত কোথাও যাবে।
মেয়েঃ আচ্ছা! আমি তাহলে আসি ভালো থাকবেন।
ছেলে: এই যে শুনেন.???
মেয়ে: প্লিজ! যা বলবেন একটু তাড়াতাড়ি বলেন। আমাকে যেতে হবে নয়তো আমার ভাইয়া টাকে বাঁচাতে পারবো না।
ছেলে: এত রাতে একা! আপনি এত সুন্দর একটা মেয়ে একা রাস্তা দিয়ে গেলে তো এলাকার বাজে ছেলেদের খপ্পরে পড়তে পারেন। তাই বলি কি.?? আপনি আমার সাথে আসেন। আমি আপনাকে গাড়ি করে নামিয়ে দিয়ে আসব।
মেয়ে: থাক লাগবে না.?? আমি একাই চলে যেতে পারবো।
আমার মনে মনে ঠিক ভয় হচ্ছে। বলা তো যায় না এই রাতের বেলায় কথাও কখনও বের হয়নি। তাই বাজে ছেলে দের খপ্পরেও কোনদিন পড়িনি। আজকে যদি পরী আর আমার ইজ্জত এর সাথে সাথে যদি আমার টাকাটা নিয়ে নেয় তাহলে এই টাকাটাও দিতে পারব না বাড়িতে।
ছেলে: আরে এ বুঝতেছেন না কেন.??? এই এলাকায় বাজে ছেলে পেলের অভাব নেই। তাই আপনাকে অফার করলাম যদি ইচ্ছা হয় আসেন নয়তো চলে যেতে পারেন.???
আমি আর কোন কিছু না ভেবে রাজি হয়ে গেলাম। কারণ এ নাকে ভয় পেয়ে আর কী হবে। আমার সবকিছুই তাকে দিয়ে দিয়েছি। তাই এনার সাথে যাওয়াই উত্তম হবে। নয়তো রাস্তায় খারাপ ছেলেদের খপ্পরে পড়লে আত্মহত্যা করা ছাড়া আর কিছু করতে পারবো না। তারপর আমি উনার গাড়িতে উঠে পড়লাম। চুপচাপ ফাঁকা রাস্তায় গাড়ি চলছে দুজনের মুখে কোনো রকম কথাবার্তা নেই। কিন্তু আমার খুব টেনশন হচ্ছে আমার ভাইকে বাঁচাতে পারবো তো। নাকি আমি ব্যর্থ হব। না না এসব আমি কি ভাবছি। আমার ভাই ঠিক হয়ে যাবে। আমি এসব ভাবছি হঠাৎ করে উনি আমাকে কিছু জিজ্ঞেস করলেন।
ছেলে: আচ্ছা আমাকে কি বলা যায় যে আপনার ভাইয়ার কি হয়েছে.???
মেয়ে: লিভারের সমস্যা হয়েছে অপারেশন করাতে হবে.???
ছেলে: মাত্র 10 হাজার টাকায় অপারেশন করাবেন আপনি কিভাবে.???
মেয়ে: মায়ের কিছু স্বর্ণ এর জিনিসপত্র ছিল সেগুলো বিক্রি করে দিয়েছি। তাতে কিছু টাকা হয়েছে 10 হাজার টাকা কম ছিল। কেউ ধার দিতে চায় না। কারণ আমার বাবা নেই যে ইনকাম করে তাদের ধার পরিশোধ করে দেবে। আমি এত করে সবাইকে বললাম যে আমি জব করি আপনাদের টাকা দিয়ে দেব এক মাসের ভিতরে। কিন্তু কেউ রাজি হলো না। অনেক কান্নাকাটি করেছি এবং তাদের হাতে পায়ে ধরেছি। তাও তারা রাজি হয়নি শেষ পর্যন্ত কোনো উপায় না পেয়ে











তখন ছেলেটি মনে মনে ভাবতেছে। ছিহহহ আমি এটা কি করলাম। আমি এতো বড় অমানুষ হলাম কি করে। একটা নিরীহ মেয়ের ইজ্জত নিয়ে নিলাম। তাও আবার টাকার বিনিময়ে। যদি একটা বার তার জীবনের কাহিনী শুনতে চাইতাম। তাহলে হয়ত আমি তার সাথে এরকম কিছুই করতাম না। আর আমিও এর আগে কোন মেয়েকে এরকমভাবে ছুঁয়ে দেখি নি।
ছেলে: প্লিজ! কান্না করবেন না। আপনি যদি এরকম ভাবে ভেঙে পড়েন তাহলে আপনার ভাইয়ের পাশে থাকবে কে.???
মেয়ে: তাও আমি আমার কান্না আটকাতে পারছিনা.?? কান্না করেই যাচ্ছি!! কেন জানি আজকে কান্না করতে খুব ভালো লাগতেছে.???
ছেলে: আপনার দেওয়া ঠিকানা মত আমি চলে এসেছি এখন কোন দিকে যাব.??
মেয়ে: সামনে গিয়ে ডানে একটা গলি পাবেন সেই গলির সামনে আমাকে নামিয়ে দেন।
ছেলে: আমরা এসে গেছি। এটাই কি আপনার সেই গলি.???
মেয়ে: হ্যাঁ! এটাই আমার বাসা। আর আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আমাকে এরকম উপকার করার জন্য।
ছেলে: আচ্ছা আপনার ভাইকে কোন হসপিটালে ভর্তি করা হয়েছে.???
মেয়ে: কুড়িগ্রাম সেবা ক্লিনিক।
ছেলেঃ আচ্ছা! আপনার ভাইয়ের নামটা বলবেন প্লিজ.???
মেয়ে: কেন.?? বলুনতো আপনি আমার বিষয়ে এত জানতে চাচ্ছেন.???
ছেলেঃ আরে বলেন না এমনি শুনলাম আর কি.?? নাম কি আপনার ভাইয়ের.???
মেয়ে: মিলন!
ছেলেঃ আচ্ছা আপনি বাসায় যান। আমি আমার বাসায় চলে যাচ্ছি। একটু ইম্পর্টেন্ট কাজ আছে তো। নয়তো আপনাকে বাসা অব্দি দিয়ে আসতাম।
মেয়ে: আর এ লাগবেনা। এইতো সামনে আমার বাসা। আচ্ছা ঠিক আছে বাই।
তারপর উনি দূরে চলে গেলেন আর আমি আমার বাসার ভেতরে প্রবেশ করলাম বাসার ভেতরে প্রবেশ করে দেখি মা খাবার টেবিলে বসে আছে হয়তো আমার জন্য অপেক্ষা করতেছে
মেয়ে: মা মা তুমি এখনও ঘুমাও নি এভাবে বসে আছো কেন.???
আম্মু: তোকে ছাড়া কখনো
পরবর্তী পোস্ট সবার আগে পাওয়ার জন্য
ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট দিয়ে সাথে থাকবেন .
পরিশেষে স্বামী স্ত্রী
পর্ব...(০২)
আম্মু: তোর আগে কি আমার খাবার গলা দিয়ে নামে।
মেয়ে: উফফ.!!! মা তুমি এই অসুস্থ শরীর নিয়ে এখানে বসে থাকার কি আছে.???
আম্মু: অনেক রাত হয়েছে এখন চুপচাপ আয় খেয়ে নে.???
তারপর মায়ের সাথে খাওয়া-দাওয়া শেষ করলাম।
আম্মু: কিরে মা টাকার যোগাড় করতে পেরেছিস.???
মেয়ে: হে মা এইযে নাও টাকা। কালকে সকালেই হসপিটালের ডাক্তারকে জমা দিয়ে আমার ভাইয়ের অপারেশন টা করিয়ে নেব।
একটু মুচকি হাসিতে দিয়ে মার সাথে কথাটা বললাম MA যদি সত্যিটা জানতে পারে তাহলে আমাকে কখনোই মেনে নেবে না।
আম্মু: তোর বাপ নেই। তাই তোকে এতো কষ্ট করতে হচ্ছে দিন নেই রাত নেই।
মেয়ে: মা প্লিজ কান্না করোনা এভাবে। তুমি তো জানো তোমার চোখের পানি আমার সহ্য হয় না।
আম্মু: আচ্ছা এখন খেয়ে ঘুমিয়ে পর। অনেক রাত হয়েছে আজকে অনেক খাটাখাটনি করেছো। আজকে তোর বুঝি অনেক ধকল গেছে। এখন তাড়াতাড়ি গিয়ে ঘুমিয়ে পড়। রেস্ট নে কালকে সকালে আবার হসপিটালে যেতে হবে।
মেয়ে: মা তুমি আবার বেশি রাত না জেগে তাড়াতাড়ি গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ো। কালকে সকালে একটু কাজ করতে হবে।
তারপর আমি মায়ের রুম থেকে এসে আমার রুমে আসলাম। এসে গলা থেকে ওড়না সরিয়ে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে দেখি অনেক জায়গায় দাগ হয়ে আছে। তার সেই স্পর্শ গুলা মনে পড়লেই ডুকরে কান্না করতে ইচ্ছে করে। দৌড়ে বাথরুমে চলে গেলাম। গিয়ে শাওয়ারটা ছেড়ে দিয়ে নিতে বসে পড়লাম। আর যেসব জায়গায় দাগ গুলো আছে। সেখানে সেখানে তিনি আমাকে স্পর্শ করেছে সেই জায়গাগুলো ঘষতে লাগলাম। আর কান্না করতে লাগলাম। এতদিন থেকে আমি এত কষ্ট করে নিজেকে ঠিক রেখেছি। কোনো প্রেম করিনি। সেই মেয়ে আজকে। আমি সবসময় একটা জিনিস চিন্তা করেছি প্রেম করবো না। বিয়ের পর স্বামীকে আমার সবটা দিয়ে ভালোবাসবো। কিন্তু আজকে আমার সেই স্বপ্নের মাটিচাপা দিতে হলো। তারপর রুমে এসেই ঘুমিয়ে পড়লাম। 30 মিনিট পর..
ছেলে: এরকম করো কেন। টাকা দিব তো তার বিনিময় তুমি তোমার সুন্দর দেহটা দাও.???
মেয়ে: প্লিজ!! না এরকম করবেন না। আমি যতই পিছে যাচ্ছি লোকটা ততই এগিয়ে আসতে লাগল।
ছেলে: তোমার না টাকা লাগবে। আমি দিব তো তার জন্য তুমি তোমার দেহটা দাও।
আমি কান্না করতেছি। আর পালানোর চেষ্টা করতেছি কিন্তু পারছিনা। লোকটা হঠাৎ করে আমার অরনা ধরে টান দিলেন। আমি খুব জোরে চিৎকার দিলাম। আর তখনই আমার ঘুম ভেঙ্গে গেল। ও তার মানে আমি স্বপ্ন দেখতে ছিলাম এতক্ষণ।
আম্মু: কিরে মা কি হইছে.???
মেয়ে: কিছু না আম্মু!!!
আম্মু: চিৎকার করলে যে.???
মেয়ে: একটা বাজে স্বপ্ন ছিল আম্মু।
আম্মু: ঘুমিয়ে পড়।
আমার গা কেমন সিউড়ি উঠতে লাগলো। আমার খুব ভয় হচ্ছে। যদি লোকটা সবাইকে বলে দেয় যে আমি দেহ বিক্রি করি তখন। না আমি এসব কি ভাবছি সব বাজে চিন্তা। আমি আর কিছুই ভাবতে পারছিনা মাথা ব্যাথা করতেছে। তাই ঘুমানোর চেষ্টা করতে লাগলাম। কখন যে ঘুমিয়ে গেছি মনে নেই। সকালবেলা...
মেয়ে: আম্মু সকাল হয়ে গেছে ওঠো.???
আম্মু: ও টের পাইলাম না আজকে.!!!
মেয়ে: তোমাকে কালকে রাতেই বলছি বেশি রাত জাগবে না। তুমি হয়তো রাত জাগছো নিশ্চয়ই। তার জন্য তোমার সকাল সকাল ঘুম ভাঙছে না.???
আম্মু: পাগলি মেয়ে কোথাকার!!! যখন মা হবি না তখন সন্তানের কিছু হলে বুঝতে পারবি যে মায়ের মন কি বলে।
মেয়ে: ওহহ! আম্মু সকাল সকাল মেজাজটা খারাপ করে দেবে না বুঝছো। আমি কত কষ্ট করে টাকা আনলাম যে ভাই কে তাড়াতাড়ি বাসায় নিয়ে আসব। আর এখন তোমার বকবক শুনতে হচ্ছে আমাকে তাড়াতাড়ি উঠ তো.???
আম্মু আর কিছু বলল না চুপচাপ ওঠে ওয়াস রুমে চলে গেল। ফ্রেশ হওয়ার জন্য। জানে যে এখন কিছু বললে আমি রেগে যাব। আমার ভাইকে নিয়ে আমার খুব চিন্তা হচ্ছে। আমার ভাইকে আমার মায়ের বুকে ফিরিয়ে দিতে পারব তো। আল্লাহ এমন কিছু আমাদের সাথে করিও না। যার জন্য আমার মায়ের বুকটা খালি না হয়। যে ভাইয়ের জন্য আমি আমার সবচেয়ে বড় সম্পদ বিক্রি করে দিয়েছি। সেই ভাইটাকে তুমি নিয়ে নিও না।

ছেলে: এইযে নার্স!! গত কয়েক দিন যাবত মিলন নামে কোন প্রেসেন্ট আছে.???
নার্স: হ্যাঁ!!! আছে তবে আপনি রোগীর কি হন। আর আমার জানামতে রোগীর শুধু মা আর বোন আছে তাহলে আপনি কে.???
ছেলে: আমি মিলনের ভাইয়া লাগে। আইমিন আমি ওর বোনের স্বামী।
নার্স: ও আচ্ছা!! আসেন আমি আপনাকে রুম দেখিয়ে দিচ্ছি।
ছেলে: আমাকে রুম দেখিয়ে দিতে হবে না এখানে সব থেকে ভালো ডাক্তার কে.??? আমাকে সেই রুমে নিয়ে চলুন।
নার্স: আপনি এসেছেন রুগী দেখতে তাহলে ডাক্তার দেখিয়ে কি করবেন.???
ছেলে: আমি বুঝতেছি না আপনি এত কথা বলেন কেন.??? আপনি এই হসপিটালে নার্স। তাহলে আপনাকে আমি যেটা বলতেছি আপনার দায়িত্ব আমাকে সঠিক জায়গামতো পৌছে দেওয়া।
নার্স: ওকে আমার সাথে সাথে আসুন। এইখানে একটু দাড়ান আমি স্যারের সাথে কথা বলে আসি।
ছেলে: একটু তাড়াতাড়ি করবেন প্লিজ.???
নার্স: ওকে!!! স্যার আপনার সাথে কেউ একজন দেখা করতে চায় মিলন নামে পেশেন্ট এর ব্যাপারে।
ডক্টর: আচ্ছা!!! পাঠিয়ে দেন দেখি কে তিনি.???
তারপর নার্স বাহিরে এসে অচেনা লোকটাকে ভিতর পাঠিয়ে দিলেন।
ডাক্তার: জি বলুন!! আমি আপনার জন্য কি করতে পারি.???
ছেলে: আপনাদের হসপিটালে যে মিলন নামের রোগী ভর্তি আছে তার অপারেশন করুন এখন। আর যত টাকা লাগবে আমি দিব।
ডক্টর: কিন্তু আপনি কে.??? আর আপনি মিলনের জন্য এত টাকা দিচ্ছেন বা কেন.?? আমি তো আপনাকে চিনলাম না। আর এই রোগীকে যে ভর্তি করিয়াছে আমার জানামতে তার মা আর বোন আছে আর কেউ নেই তাহলে আপনি কে.???
ছেলে: আমি রোগীর দুলাভাই। এখন কত টাকা লাগবে বলুন আমি চেক দিয়ে যাচ্ছি। আর এখানে যে আমি এসেছি। আমি টাকা দিয়েছি অপারেশন করার জন্য। এসব কাউকে বলবেন না। শুধু বলবে একজন অচেনা মানুষ এসে দিয়ে গেছে। কারণ আমাদের মাঝে এখন একটু ঝামেলা চলছে। তাই এসব গোপন রাখাই ভালো। আমি চাইনা ছেলেটার কিছু হোক। আর ছেলেটা কিছু হয়ে গেলে আপনার হসপিটালে আর কখনো রোগী আসবে না এটা মাথায় রাখবেন।
ডক্টর: আপনি কি আমাকে ভয় দেখাচ্ছেন। নাকি হুমকি দিচ্ছেন কোনটা.???
ছেলে: আমি আপনাকে কোনটাই দিচ্ছি না। প্লিজ!! কাজটা করুন তাড়াতাড়ি। নয়তো ছেলেটাকে না বাঁচালে তার পরিবারের কি অবস্থা হবে একটু ভেবে দেখছেন তার মায়ের কোল খালি হয়ে যাবে।
ডক্টর: জি!!! আমি সব ব্যবস্থা করতেছি। আপনি একাউন্টে টাকা জমা দিয়ে আসতে পারেন। আর হ্যাঁ এখানে একটু বলে দেন।
ছেলে: ওকে!! আমি আপনার সাথে ফোনে কন্টাক করব। কিন্তু এই কথাটা উনা দের কাউকে বলবেন না.???
ডক্টর: ওকে!!
এইদিকে;
মেয়ে: আম্মু একটু জলদি করো লেট হয়ে যাচ্ছে তো।
আম্মু: এইতো আমি রেডি চল!!!
যখনই হাঁটতে যাব তখনই ব্যথা অনুভব করলাম। কারণটা বুঝলাম না। আমি তো কাল পর্যন্ত ঠিক ছিলাম এবং আজ সকালে উঠে ছিলাম। তাহলে এমন ব্যথা হচ্ছে কেন.???
আম্মু: কিরে মা এইভাবে হাটিস ক্যান.??? পায়ে ব্যথা পাইছ.???
মেয়ে: না আমি ঠিক আছি। তুমি চলোতো।
আম্মু: আজকে তোর বাবা নেই বলে তোর উপর দিয়ে বড় ঝড় বয়ে যাচ্ছে তাই না। খুব কষ্ট হচ্ছে তোর তাই নারে মা।
মেয়ে: ওহহ মা তুমি সবসময় বেশি বোঝো।
আম্মু: আমি কিছু বললেই তুমি রেগে যাস কেন বুঝিনা। আমাকে তো বলবি তোর কি হইছে তাইনা.???
মেয়ে: আমার কিছু হয় নাই তুমি আমাকে নিয়ে চিন্তা করো না। আর লেট হয়ে যাচ্ছে এমনিতেই।
তারপর আম্মু সহ আমি একটা রিক্সা ভাড়া করে হসপিটালে চলে আসলাম।
মেয়ে: আম্মু তুমি যাও আমি রিকশাভাড়া মিটিয়ে আছি।
আম্মু: ওকে তাড়াতাড়ি আসবি.???
তারপর রিকশাওয়ালাকে 50 টাকা দিলাম। তাকে ধন্যবাদ জানালাম। সঠিক সময়ে পৌঁছে দেওয়ার জন্য। রিক্সাওয়ালা কিছু না বলে সুন্দর একটা হাসি দিয়ে চলে গেলেন। আমি হাসপাতালে ঢুকে দেখি আম্মু নার্সের সাথে তর্ক করতেছে। কিন্তু বিষয়টা কি বুঝলাম না। বিষয়টা ঠিকমত বুঝতে আমিও ওইখানে চলে আসলাম।
মেয়ে: কি হইছে আম্মু এরকম তর্ক করতেছো কেন ওনার সাথে.???
আম্মু: দেখ নারে মা নার্স কি বলতে চাইছে.???
মেয়েঃ আচ্ছা কি হয়েছে আমাকে একটু বলবেন প্লিজ.???
নার্স: আপনার ভাইয়ের এখন অপারেশন চলছে.!!
মেয়ে: কি অপারেশন চলতেছে মানে.???
আমি বেশ অবাক হলাম যে ডক্টর টাকা ছাড়া আমার ভাইকে হসপিটালে নিতে যাচ্ছিল না। সেই ডক্টর আমার ভাইকে ফ্রী অপারেশন করবে। এটা কিভাবে হতে পারে.???
নার্স: আপনার স্বামী একটু আগে এসেছিল। তিনি টাকা জমা দিয়ে গেছেন। আর ডাক্তার সাহেবের সাথে কথা বলছেন। তাই আপনার ভাইয়ের অপারেশন চলতেছে.???
আমি অবাক এর উপর অবাক হচ্ছিলাম কারণ আমার স্বামী!!! আমারতো এখনো বিয়েই হয়নি আমার স্বামী আসবে কথা থেকে। আর তার থেকে বড় কথা হইলো লোকটা কে হতে পারে.???
মেয়ে: আপনার কি মাথা গেছে নাকি.?? আমাকে দেখে মনে হয় আমি বিবাহিত মহিলা.???
নার্স: আমি অনেক বার লোকটা কে জিজ্ঞেস করেছিলাম। যে আপনি পেশেন্টের কি হন.?? লোকটা বেশ গভীর ভাবে আমাকে ধমক দিয়ে বলে তোমাকে যেটা করতে বলছি সেটাই করো.???
মেয়ে: বাহ! বাহ! আপনাকে ধমক দিলো আর আপনি সোজাসাপ্টা মেনে নিলেন। আমাদের একটু জানানোর প্রয়োজন বোধ করলেন না.???
নার্স: দেখুন আমি এত কথার উত্তর দিতে পারব না.?? লোকটা ডক্টর অমল স্যারের সাথে কথা বলেছেন.???আর তিনি এখন আপনার ভাইয়ের অপারেশন করতাছে.!!!
আম্মু: ওনার সাথে এভাবে বকাঝকা না করে চলনা অপারেশন থিয়েটারের সামনে গিয়ে বসি.?? ডক্টর সাহেবের হলে তার সাথে কথা বলে দেখি আসলে বিষয়টা কি.???
মেয়ে: আমার ভাইয়ের যদি কিছু হয় না আমি আপনাদের বিরুদ্ধে মামলা করব.???
আম্মু: চুপ থাক এসব কথা বলতে নেই। আল্লাহকে ডাক আল্লাহর যা চাইবে তাই হবে.???
তারপর আম্মু আমাকে টেনে অপারেশন থিয়েটারের সামনে চেয়ারে নিয়ে গিয়ে বসালো।
আম্মূ: এত টেনশন করিস না তো.??? যেটা ভাগ্যে লেখা আছে সেটাই হবে।
আমি ঠিক বুঝতে পারতেছি আম্মু যতই আমাকে টেনশন মুক্ত থাকতে বলছে। কিন্তু আম্মু নিজেই অনেক টেনশনে আছে। আসলে মায়েরা কখনো সন্তানের অমঙ্গল চায়না। আমাকে ঠিক থাকতে বলছে অথচ নিজের ভিতরে কতটা ক্ষতবিক্ষত হচ্ছে সেটা হয়তো আমি অনুভব পর্যন্ত করতে পারতেছিনা।
মেয়ে: আমাকে সত্যি করে একটা কথা বলবা.??
আম্মু: পাগলি মেয়ে!!! দেখো কি বলে, আচ্ছা বল.??
মেয়ে: তুমি আমাদেরকে খুব ভালোবাসো তাই না.??
আম্মু: পাগলি মেয়ে!! কি যাতা বলতেছিস.??
কথাটা বলে আম্মু কান্না করে দিল। আমি স্পষ্ট বুঝতে পারতাছি আম্মুর মনের ব্যথা কতটা। কিছুক্ষণের মধ্যে ডাক্তার সাহেব বেরিয়ে এলেন।
ডাক্তার: তাহলে আপনারা এসেছেন।
আম্মু: আমার ছেলের এখন কি অবস্থা ডাক্তার সাহেব.??
ডাক্তার: এখন আপনারা অনেক চিন্তা মুক্ত রাখতে পারেন। 24 ঘণ্টার মধ্যে জ্ঞান ফিরে আসবে।
আম্মু: আল্লাহর কাছে কোটি কোটি বার শুকরিয়া আলহামদুলিল্লাহ!! এই শুনছিস রেমা আমার ছেলে ভালো হয়ে যাবে.???
আম্মু খুশিতে কান্না করে ফেলল!!!
আম্মু: ডাক্তার সাহেব আমি কি এখন আমার ছেলেটাকে একটু দেখতে পারি.???
ডাক্তার: এখন দেখতে পাবেন না.?? একটু পর আপনার ছেলেকে কেবিনে শিব করা হবে সেখানে গিয়ে দেখতে পারবেন।
আম্মু: ও আচ্ছা!!!
ডাক্তার: আপনারা এখানে একটু অপেক্ষা করুন.??একটু পর নার্স আপনাদের ডেকে নিয়ে যাবে।
মেয়ে: ডাক্তার আংকেল আপনার সাথে আমার কিছু কথা ছিল জরুরী.???
ডক্টর: হ্যাঁ!! বল মা কী বলতে চাও....
চলবে.... পর্বঃ০২
গল্পঃ পরিশেষে স্বামী স্ত্রী
পর্বঃ০৩
আমিঃ অপারেশন চলতেছে মানে,,
আমি বেশ অবাক হলাম যে ডক্টর টাকা ছাড়া আমার ভাইকে, হসপিটালে নিতে চাচ্ছিল না সেই ডক্টর আমার ভাইকে ফ্রি অপারেশন করাবে এটা কিভাবে হতে পারে
নার্স ঃ আপনার স্বামী একটু আগে এসেছিল তিনি টাকা জমা দিয়ে গেছেন,,আর ডাক্তার সাহেবের সাথে কথা বলছেন তাই আপনার ভাইয়ের অপারেশন চলতেছে,,
আমি অবাক এর উপর অবাক হচ্ছিলাম কারণ আমার স্বামী,, আমারতো এখনো বিয়েই হয়নি আমার স্বামী আসবে কোথা থেকে আর তার থেকে বড় কথা হইলো লোকটাকে হতে পারে
আমিঃ আপনার কি মাথা গেছে নাকি আমাকে দেখে কি মনে হয় আমি বিবাহিত মহিলা
নার্স ঃ আমি অনেকবার লোকটাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম যে আপনি পেশেন্টের কি হন
লোকটা বেশ গভীর আমাকে ধমক দিয়ে বলে তোমাকে যেটা করতে বলছি সেটাই করো
আমিঃ বাহ বাহ আপনাকে ধমক দিলো আর আপনি সোজাসাপ্টা মেনে নিলেন আমাদের একটু জানানোর প্রয়োজন বোধ করলেন না তাই না,,
নার্স ঃ দেখুন আমি এত কথার উত্তর দিতে পারব না লোকটা ডক্টর উমর স্যারের সাথে কথা বলেছেন, আর তিনি এখন আপনার ভাইয়ের অপারেশন করতাছে,
আম্মুঃ উনার সাথে এভাবে বকাঝকা না করে চলনা অপারেশন থিয়েটারের সামনে গিয়ে বসি ডক্টর সাহেবের হলে তার সাথে কথা বলে দেখি আসলে বিষয়টা কি
আমিঃ আমার ভাইয়ের যদি কিছু হয় না আমি আপনাদের বিরুদ্ধে মামলা করব
আম্মুঃ চুপ থাকত এসব কথা বলতে নেই আল্লাহকে ডাক আল্লাহর যা চাইবে তাই হবে
তারপর আম্মু আমাকে টেনে অপারেশন থিয়েটারের সামনে চেহারা নিয়ে গিয়ে বসালো
আম্মুঃ এত টেনশন করিস না তো যেটা ভাগ্যে লেখা আছে সেটাই হবে
আমি ঠিক বুঝতে পারতেছি আম্মু যতই আমাকে টেনশন মুক্ত থাকতে বলছে কিন্তু আম্মু নিজেই অনেক টেনশনে আছি
আসলে মায়েরা কখনো সন্তান অমঙ্গল চায়না
আমাকে ঠিক থাকতে বলছে অথচ নিজের ভিতরে যে কতটা ক্ষতবিক্ষত হচ্ছে সেটা হয়তো আমি অনুভব পর্যন্ত করতে পারতেছিনা
আমিঃ আম্মু আমাকে সত্যি করে একটা কথা বলবা
আম্মুঃ পাগলি মেয়ে দেখো কি বলে আচ্ছা বল
আমিঃ তুমি আমাদেরকে খুব ভালোবাসো তাই না
আম্মুঃ পাগলি মেয়ে কি যাতা বলতেছিস মার ফোন তো আমাকে ভালবাসবে না তো কাকে ভালবাসবে
কথাটা বলে আম্মু কান্না করে দিল আমি স্পষ্ট বুঝতে পারতাছি আম্মুর মনের ব্যথা কতটা
কিছুক্ষণের মধ্যে ডক্টর সাহেব বেরিয়ে এলেন
ডক্টর উমরঃ তাহলে আপনারা এসেছেন যাইহোক ভালোই হলো
আম্মুঃ আমার ছেলের এখন কি অবস্থা ডক্টর সাহেব
ডক্টর ওমর ঃ এখন আপনারা অনেকটাই চিন্তামুক্ত থাকতে পারেন 24 ঘন্টার মধ্যে জ্ঞান ফিরে আসবে
আম্মুঃ আল্লাহর কাছে কোটি কোটি বার শুকরিয়া আলহামদুলিল্লাহ
আম্মুঃ এই শুনছি রে মা আমার ছেলে ভালো হয়ে যাবে
আম্মু খুশিতে কান্না করে ফেলল
আম্মুঃ ডক্টর সাহেব আমি কি এখন আমার ছেলেকে একটু দেখতে পারি
ডক্টর ওমর ঃ এখন দেখতে পাবেন না একটু পর আপনার ছেলেকে কেবিনের শিফট করা হবে সেখানে গিয়ে দেখতে পারবেন
আম্মুঃ অহহ
ডক্টর ওমর ঃ আপনারা এখানে একটু অপেক্ষা করুন একটু পর নার্স আপনাদের ডেকে নিয়ে যাবে
আমিঃ ডক্টর আঙ্কেল আপনার সাথে আমার কিছু কথা ছিল জরুরী
ডক্টর ওমরঃ হ্যাঁ বলো মা কী বলতে চাও
আমিঃ আপনি তো প্রথমে টাকা ছাড়া আমার ভাইকে আপনাদের হসপিটালে নিতেই চাচ্ছিলেন না আর এখন,, আপনি আমাদের কাছে টাকা না নিয়েই অপারেশনটা করলেন, আমি না কিছুটা বুঝতেছি না ব্যাপারটা কি আমাকে একটু খুলে বলবেন
ডক্টর ওমর ঃ আসলে মা আমার এখানে কিছু করার নেই উর্দ্ধতন কর্মকর্তা দের আদেশ আমাদের মানতে হয়,, আমরা এখানে চাকরি করি আমাদের নিজস্ব প্রতিষ্ঠান না,, আর তুমি বললা না টাকা ছাড়া অপারেশন করলাম কিভাবে আমাদের কাছে টাকা জমা হওয়ার পর তোমার ভাইয়ের অপারেশন টা হয়েছে
আমিঃ টাকাটা দিলো কে,,, আর হঠাৎ করে এত টাকা আমার ভাই জন্য দিবে টা কে
ডক্টর ওমর ঃ দেখো মা এটা আমি বলতে পারব না
আমি বেশ অবাক হলাম
আমিঃ কিন্তু কেন আঙ্কেল
ডক্টর ওমরঃ শুধু এটা জেনে রাখো তোমার আপন কেউ টাকাটা দিসে আর আমি তার নাম ঠিকানা বা পরিচয় তোমাকে এখন দিতে পারবো না যদি তিনি অনুমতি না দেন তো
আমিঃ উনি অনুমতি দিবে মানে
ডক্টর ওমর ঃ আসলে আমি তাকে কথা দিয়েছি আর আমি কথা দিলে কথা রাখার চেষ্টা করি,, আমি এখন আসছি একটু পর নার্স এসে আপনাদের কেবিনে নিয়ে যাবে
ডক্টর আঙ্কেল আরেকটুকু কানাইয়া দাঁড়ালেন না চলে গেলেন তার নিজের কেবিনে
আম্মুঃ যে আমার এত বড় উপকার করছে আমি দোয়া করি তার জন্য সবসময় মঙ্গল হয়
আমিঃ হ্যা মা এত বড় উপকার যে করছে তার তো মঙ্গল কামনা করা আমাদের উচিত
এতক্ষণ তো ভালোই ছিলাম এখন একটু ব্যাথা ব্যাথা অনুভব হচ্ছে আর ব্যাথা অনুভব হতেই আমার গতকাল রাতের কথা মনে পড়ে গেল
আম্মুকে তো এই কথা বলাও যাবে না বললে আম্মু আমার মুখটা দেখতে চাইবে না
কি করবো ভেবে পাচ্ছিনা
আমিঃ আম্মু তুমি এখানে একটু বসো আমি একটু আসি
আম্মুঃ এখনোও তুই কোথায় যাবি
আমিঃ আম্মু আমি একটু বাথরুমে যাব
ammu: ওকে
আম্মুকে মিথ্যা কথা বলে আমি একটু গাইনি ডক্টর এর সাথে দেখা করতে গেলাম
ওনার সাথে কথা বলে,, কিছু পরামর্শ সাথে একটা মেডিসিন লিখে নিলাম,,
যাতে করে খুব তাড়াতাড়ি ব্যাথাটা দূর হতে সাহায্য করে নয়তো আম্মুর চোখে খুব জলদি ধরা পরবো
টাকা মানুষ কে কত কিছু করতে বাধ্য করে গতকাল আমি এই সময় একজন ভার্জিন ছিলাম আর আজকে এই সময় আমি একজন নষ্ট মেয়ে আসলে নিয়তির পরিহাস কোন দিকে যায় বোঝা বড় মুশকিল,,,
হয়তো এই খবরটা যদি কেউ জানতে পারে তাহলে এইব সমাজে আমি আর মুখ দেখাতে পারবো না
আমি এসব ভাবতেছি আর আনমনে আসতেছি হঠাৎ করে কে জানি আমার হাত ধরে টান দিলেন
আমিঃ আরে আপনি এখানে কিভাবে
উনিঃ তার আগে বলেন এখন আপনি কেমন আছেন
আমিঃ আমার ভালো থাকা না থাকা সেটা পুরোটাই নির্ভর করে আমার ভাইয়ের উপর আর আমার মায়ের উপর তারা দুজন ভালো থাকলে আমি ভালো থাকি,,,
উনিঃ এত খেয়াল রাখেন আপনার পরিবারের উপর
আমিঃ যদি তাদের খেলনা রাখি তাহলে আমি পৃথিবীতে বেঁচে থাকব কি নিয়ে
উনিঃ আপনার সাথে যুক্তিতে হয়তো আমি পারবো না কারণ আপনি অনেক যুক্তি দেখাতে পারবেন
আমিঃ আপনি বললেন না তো এখানে কেন এসেছেন
উনিঃ এসেছিলাম একটু কাজ ছিল,,
আমিঃ অহ
উনিঃ আচ্ছা আপনি কি আমারও টাকার জন্য দেহ বিক্রি করবেন
আমিঃ কেন কিনবেন বুঝি
চলবে..............
গল্পঃ পরিশেষে স্বামী স্ত্রী
উনিঃ আচ্ছা আপনি কি আবারও টাকার জন্য দেহ বিক্রি করবেন
আমিঃ কিনবেন নাকি আবারো
উনিঃ সেরকম কিছু না
আমিঃ আপনি মনে হয় নিত্যনতুন দেহের শাধ ভোগ করতে খুব পছন্দ করেন,,
উনিঃ আমি কি একবার ওই কথা বলছি যে আমি মেয়েদের দেহ কে খুব পছন্দ করি
আমিঃ না তা বলেননি কিন্তু আপনি যেহেতু আবার জিজ্ঞেস করতেছেন তাই ভাবলাম আপনি হয়তো নিত্যনতুন দেহকে খুব পছন্দ করেন
উনিঃ আচ্ছা আপনি এইরকম উদাসীন কথাবার্তা বলেন কেন
আমিঃ কই আমার কথা তো উদাসীন মনে হচ্ছেনা তাহলে আপনার কাছে মনে হওয়ার কারণটা কি
উনিঃ উফফফফ আপনার ফোন নাম্বারটা দিন তো
আমিঃ সরি আমি অপরিচিত কাউকে আমার ফোন নাম্বার দেই না
উনিঃ দেখুন ভালই ভালই বলছি ফোন নাম্বারটা দিয়ে দিন
আমিঃ আজব তো আপনি এসব কি বলতেছেন আমি তো আপনাকে চিনিনা আপনাকে আমার ফোন নাম্বার দেবো কেন
উনিঃ আমি কিছু শুনতে চাই না আমি শুধু আপনার ফোন নাম্বারটা চাইছি আর আপনি সোজাসাপ্টা দিয়ে দেন নয়তো
আমিঃ না হয় আমি আপনার কাছে ভুল করে আমার দেহটা বিক্রি করে দিয়েছি তাই বলে কি আমি আপনার কাছে আমার সবকিছু বিক্রি করে দিয়েছি আমার চিন্তা ভাবনা আমার ইচ্ছা অনিচ্ছা সবকিছু
উনিঃ যদি বলি তাই
আমিঃ এরকম আজব কথাবার্তা বলা বাদ দিন আর আপনি এখান থেকে আসতে পারেন
উনিঃ ভালো ভাবে কথাটা বললাম তাই গায়ে লাগতেছে না এখন কি আমি খারাপ ব্যবহার করব আপনার সাথে
আমিঃ আচার্য আপনি এরকম করতেছেন কেন তাও আবার এইরকম একটা হসপিটালে
উনিঃ হাহাহহা আমি আপনার ফোন নম্বর চাইছি আপনি ফোন নাম্বারটা দিলে আমি এখন থেকে চলে যাবো
আমিঃ নাহ আমি আপনাকে আমার ফোন নাম্বার দিতে পারবো না
উনিঃ ভেবে বলতেছেন তো
আমিঃ হ্যা
আমি ওখান থেকে চলে আসতে নিলাই লোকটা আমার হাত টেনে ধরে
আমিঃ কি হলো এরকম অভদ্র তার মতো কাজ করতেছেন কেন
উনি কিছুই না শুনে শুধু আমাকে ওনার কাছে টেনে নিচ্ছে
আমিঃ উফফফ আপনি কিন্তু এটা মোটেও ঠিক করছেন না এটা হসপিটাল
আমার কথাগুলো মনে হয় উনার মাথার উপর দিয়ে চলে যাচ্ছে তার কান অব্দি মনে হয় পৌঁছাচ্ছে না
উনার বুকের সাথে আমাকে একদম মিশিয়ে নিলেন
আমিঃ আমি কিন্তু এবার চিৎকার করতে বাধ্য হব
উনি তাও কিছু বলছেন না উনার মত উনি কাজ করেই যাচ্ছে
একবার পিটে স্লাইড করতেছে তো একবার পেটে স্লাইড করতেছে আমার একদম অসহ্য লাগতেছে
আমিতো ব্যথার জন্য দাঁড়িয়ে থাকতে পারতাছিনা কোমর ব্যথা বেড়েই চলছে
আমিঃ আপনি কি পাগল হয়ে গেছেন নাকি
উনি তাও কোন কথা বলতেছেন না
আমি আমার সর্বশক্তি দিয়ে ওনাকে সরানোর চেষ্টা করতেছি কিন্তু তাও পারতেছি না কারণ আমার শক্তির কাছে উনার শক্তি অনেক বিশাল
আমি কান্না করে দিলাম ওনার এরকম ব্যবহার দেখে আমি ভাবতে পারিনি উনি এখানে এরকমটা করবে আমার সাথে
আমার কান্না শব্দ শুনে উনি আমাকে ছেড়ে দিয়ে কিছুটা দূরে গিয়ে দাঁড়ালেন
আমি আর আমার রাগটাকে কন্ট্রোল করতে না পারায় ওনাকে স্বজরে একটা থাপ্পর মারলাম
নিজেকে কি ভাবেন আপনার না হয় কোটি কোটি টাকা আছে আপনি চাইলেই দিনে 10 থেকে বারোটা মেয়েকে ব্যবহার করতে পারেন
আমরা গরীব মানুষ আমাদেরও তো টাকা পয়সা নেই অভাবে পড়ে নিজের সবচেয়ে বড় সম্পদ সেটা ক বিক্রি করে দিছি আর সব থেকে বড় কথা আপনি আমাকে টাকা দিয়েছেন আমার দেহ ভোগ করেছেন তাহলে এখন আপনি আমার সাথে এরকম জোর করতেছেন কেন আমি তো বলেই দিয়েছি আমার নাম্বার আপনাকে দিতে পারবো না আর আপনি যেটা আমার সাথে করলেন ছি এটা আমি কখনো ভাবতে পারিনি ,, আরে আমি কাকে কি বলছি যে টাকা দিয়ে নিত্য নতুন মেয়েকে ভোগ করে তার ভিতর মনুষ্যত্ব থাকতে পারে না এটা আমার জানা উচিত ( কান্না করতে করতে কথা গুলো বলে ফেললাম আসলে মানুষ যে নিজেকে কিভাবে টাকার কাছে সবকিছুই মূল্যহীন)
উনিঃ শুনুন
আমিঃ আমি আর কিছু শুনতে চাই না আপনি এখন আমার চোখের সামনে থেকে যাবেন
কথাটা বলে আমি ওখান থেকে চলে আসলাম উনি পিছন থেকে অনেকবার ডেকেছেন বাট আমি এইরকম বেয়াদব মানুষের সাথে কথা বলতে চাই না
আমি আম্মুর কাছে গিয়ে বসলাম
আম্মুঃ কিরে মা এতক্ষণ কোথায় ছিলি আর তোর চোখে পানি কেন
আমিঃ আসলে আম্মু আমার একজন পরিচিত বন্ধুর সাথে দেখা হয়েছিল তো তার সাথে কথা বললাম আর চোখে মনে হয় কিছু পড়েছে তাই পানি চলে এসেছে
আম্মুঃ তুই কি আমার থেকে কিছু লুকাতে চাচ্ছিস
আমিঃ আরে আম্মু তুমি কি বলো তোমার থেকে আমি কী লুকাবো
আম্মুঃ দেখ মা তোর মনের ভিতরে কি চলছে আমি জানিনা তবে শুধু একটা কথা মনে রাখবে যা করবে ভেবেচিন্তে করবে
আমিঃ আম্মু তুমি শুধু শুধু চিন্তা করতেছো আমাকে নিয়ে তোমাকে কোন চিন্তা করতে হবে না চলো ভাইয়াকে দেখে আসি
ammu: যদি কোন সমস্যা হয় মায়ের কাছে লুকাবি না
আমিঃ আরে আম্মু তোমার কাছে লুকাবো এমন কোন কথা আছে নাকি আমার পেটে আমার পেটে যা থাকে সব তো তুমি জানো
নার্স : আপনার ভাইয়াকে কেবিনের শিফট করা হয়েছে এখন দেখতে পারেন তাকে কিন্তু তার সাথে এখন কথা বলতে পারবেন না 72 ঘণ্টা পর তার সাথে কথা বলতে হবে আপনাদের
আমিঃ থ্যাংক ইউ নার্স আর সরি
নার্স: সরি বলতে হবে না আমাদের বুঝা উচিত ছিল এটা এখন জান দেখে আসুন আপনাদের অপেক্ষার প্রহর শেষ
তারপর আম্মু আর আমি কেবিনে গেলাম গিয়ে দেখি আমার ভাইটা শুয়ে আছে কি সুন্দর লাগতেছে তাকে
এইদিকে,,,
উনিঃ হ্যালো শামীম একটা মেয়েকে তুলে আনতে হবে
শামীমঃ তোর আবার মাথা কি ঢুকলো মেয়েকে তুলে আরবি মানে
উনিঃ তোকে যেটা বলছি সেটাই কর আর সবাইকে বলে দে আজকে আমি বিয়ে করতে যাচ্ছি রাতে
শামীমঃমানে তোর মাথা ঠিক আছে নাকি গেছে মাল খেয়ে
উনিঃ আমি একদম ঠিক আছি,, তোকে যেটা বললাম সেটা কর তাড়াতাড়ি,,,,
চলবে
পরিশেষে স্বামী স্ত্রী
উনিঃ হ্যালো শামীম একটা মেয়েকে তুলে আনতে হবে
শামীমঃ তোর আবার মাথা কি ঢুকলো মেয়েকে তুলে আরবি মানে
উনিঃ তোকে যেটা বলছি সেটাই কর আর সবাইকে বলে দে আজকে আমি বিয়ে করতে যাচ্ছি রাতে
শামীমঃমানে তোর মাথা ঠিক আছে নাকি গেছে মাল খেয়ে
উনিঃ আমি একদম ঠিক আছি,, তোকে যেটা বললাম সেটা কর তাড়াতাড়ি,,,,
শামীমঃ ভালো করে ভেবে দেখ এইসব কাজ করা ঠিক হবে না পুলিশ কেস পর্যন্ত হতে পারে
উনিঃ তুই আমার রাগ সম্পর্কে ভালো ভাবে জানিস আমার মাথাটা এখন গরম আছে আর আমি যেটা করতে চাই সেটা করি তুই তো সেটাও ভালো করে জানিস তাহলে এরকম ন্যাকামি না করে আমি যেটা বলছি সেটা কর নয়তো তোকে আজকে আমি
শামীমঃ ওকে তোমার যা ইচ্ছা তাই হবে কিন্তু এর মাঝে আমাকে টানবি না,,,
উনিঃ তার মানে তুই আমাকে এই কাজটা করতে সাহায্য করবি না তাইতো
শামীমঃ আমি কি বলছি যে আমি সাহায্য করবো না
উনিঃ দেখ এই রকম প্যাঁচায় কথা বলবি না সরাসরি বল এখন কি আমাকে সাহায্য করবি কিনা
শামীমঃ ওকে সাহায্য করবো এখন মেয়ের ছবি পাঠা ঠিকানাটা দে
উনিঃ মেয়েটার ছবি তো আমার কাছে নাই আর ঠিকানাটা আছে
শামীমঃ এইরকম বোকার মতো কথা বলবি না তুই ঠিকানা দিবি আর আমি যাকে তাকে তুলে আনব সেটা তোর মনের মানুষ হবে না আবার তাকে রেখে আসবো আবার আর একটা কে তুলে আনব সেটা হবে না আবার তুলে আনব সেটা হবে না আমার তুলে আনব আমি কি এক এক করে ওই এলাকার সব মেয়েকে তুলে আনবো নাকি
উনিঃ তুই গাধার মতো কথা বলা বন্ধ কর আমি যাব তোর সাথে বুঝছিস আর আমি যাকে দেখিয়ে দেবো তাকাই তুলে আনতে হবে অন্য কাউকে না
শামীমঃ আর তুলে আনার পর যদি মেয়েটা বিয়ে করতে রাজি না হয় তখন
উনিঃ বিয়ে করতে রাজি হবে না মানে 100 বার রাজি হবে জোরপূর্বক বিয়ে করবো আমি
শামীম ঃ তাতে কি মেয়েটা তোকে মন থেকে ভালবাসবে ওই মেয়ের মনে তোর জন্য শুধু থাকবে ঘৃণা আর কিছু থাকবে না বুঝছিস এখনো ভেবে দেখ ব্যাপারটা
উনিঃ ওই তুই আমাকে জ্ঞান দিবি না যেটা করতে বলতেছি সেটাই কর আর আমি বাসায় যাচ্ছি সন্ধ্যায় তোর সাথে দেখা হচ্ছে
শামীমঃ অন্তত আঙ্কেল আন্টি কে বলিস যে তুই বিয়ে করতে যাচ্ছিস
উনিঃ আপাতত কাউকে জানাবো না শুধু তুই আমি আর মেয়েটা আর অন্য কেউ জানবে না
শামীমঃ মানে তুই কি লুকিয়ে বিয়ে টা করতে চাচ্ছিস
উনিঃ কিছুটা সেরকমই
শামীম: আচ্ছা তোর যেটা মন চায় সেটাই কর আমি তোকে বোঝাতে পারব না তোকে বোঝাতে গেলে আমি পাগল হয়ে যাব
উনিঃ আচ্ছা বায় সন্ধ্যায় দেখা হচ্ছে
শামীম: ওকে
তারপর আমি ফোন কেটে দিয়ে বাড়ি গেলাম
এইদকে,,
আমিঃ আম্মু তুমি বাসায় যাও আমি ভাইয়ের সাথে রাতে থাকবো
আম্মুঃ আরে পাগলি মেয়ে কি বলিস আমি থাকবো তুই বাসায় গিয়ে থাক
আমিঃ আর আম্মু না তোমার এখানে থাকতে কষ্ট হবে ,, আর আমি এটা কখনোই চাইনা যে আমি থাকতে আমার মা কষ্ট করবে
আম্মুঃ আরে পাগলি মেয়ে চুপচাপ থাক বাসায় যা আমি থাকতে পারবো
আমিঃ আম্মু তুমি বোঝার চেষ্টা করো তোমার শরীরের অবস্থা খারাপ তুমি বাসায় যাও আমি এখানে থাকতে পারব
আম্মুঃ আমি তোকে আদেশ করতেছি তুই এখন বাসায় যাবি আর আমি এখানে থাকবো
আমিঃ উফফফ আম্মু
আম্মুঃ আর কোন কথা হচ্ছে না
আমিঃ ওকে তাহলে আমি বাসায় যাচ্ছি
টেবিলে সবকিছু রাখা আছে সময়মতো ভাইয়াকে ওষুধ খাইয়ে দিয়ো আর তুমিও ঠিকমতো ঘুমিয়ে পড়ো রাত জেগো না আবার
আম্মুঃ আচ্ছা তোর কথাই হবে এখন তুই বাসায় যা সন্ধ্যা হয়ে যাচ্ছে
আমি: এখন ছেলেকে পাইছো তো মেয়েকে তাড়িয়ে দিচ্ছো তাই না
আম্মুঃ এখন কোন বকা দেওয়ার ইচ্ছা নেই আমার তাই চুপচাপ আছি যদি বকা শুনতে না চাস তাহলে বাসায় গিয়ে রেস্ট নে কাল সকাল সকাল চলে আসিস
আমিঃ ওকে আমার লক্ষি আম্মু উম্মম্মম্মা
আম্মুর গালে একটা পাপ্পি দিয়ে বেরিয়ে পরলাম
আম্মুঃ হাহাহা পাগলি মেয়ে আমার,,,আজকে যদি তোর বাপ বেঁচে থাকত তোকে একটু কষ্ট করতে হত না রে মা
হসপিটাল থেকে বেরিয়ে দেখি রাস্তায় কোন রিক্সা দেখা যাচ্ছেনা সন্ধ্যা সময় তো তাই
সচরাচর এখানে সন্ধ্যা সময় এসে রিক্সা পাওয়া যায় কিন্তু আজকে কেন জানি রিক্সা দেখতে পাচ্ছি না
উফফফ কেমনটা লাগে একটা রিক্সা ও নেই এখন হেঁটে যেতে হবে
ভাবতেই কান্না পাচ্ছে এমনিতেই ব্যথা তার উপর যদি এতটা পথ হেটে যাই না জানি সকালে ঘুম থেকে উঠতে পারবো কিনা
এই ওই দিক দেখতে লাগলাম কোন রিক্সা দেখা যায় কিনা কিন্তু না হয়ত আমার ভাগ্যটাই খারাপ ধুর
আর কিছু না ভেবে হাঁটা শুরু করলাম দেখি সামনে গিয়ে রিক্সা পাই কিনা
রাস্তার এক্সাইড দেখতে যাচ্ছি তার রাস্তা দিয়ে কত রঙের গাড়ি চলাচল করতেছে
সন্ধ্যার সময় তো তাই পরিবেশটা একটু মজাদার লাগছে আমার কাছে
ইচ্ছে করতেছে আমি এই প্রকৃতির সাথে মিশে যাই তাহলে থাকবে না কোন কষ্ট থাকবে না কোন দুঃখ,,, আসলে মানুষ এমন একটা প্রাণী যাকে সবকিছুর সাথে মানিয়ে চলতে হয়
শত কষ্টের মাঝেও নিজের জীবনকে বাঁচিয়ে রাখতে প্রতিনিয়ত আমরা কত কিছুই না করতেছি শুধু ভালোভাবে বেঁচে থাকার জন্য আর শান্তিতে দুবেলা দুমুঠো ভাত খাওয়ার জন্য
আমরা মানব জাতি কতই আজব তাই না কিছু কিছু বড় লোক আছে যারা গরীবদের পেটে লাথি দেয়,,, হয়তো আমি যেমন দারিদ্রতার কারণে জামা সবথেকে বড় সম্পত্তি বিক্রি করে দিয়েছি,, পতিতালয় যে মেয়েগুলো আছে তারা হয়তো পেটের দায়ে ওই সব কাজ করতে বাধ্য হয়,,, আসলে প্রতিটা পতিতা নারীকে জিজ্ঞেস করলে তার অতীত টা জানতে চাইলে,,, তার মুখ থেকে শুনতে হবে না থাক করুন কাহিনী যেটা আপনার মনকে নাড়া দিতে বাধ্য করবে
আনমনে এসব ভেবেই যাচ্ছি আর রাস্তার এক সাইডে হেঁটে যাচ্ছি হঠাৎ করে একটা গাড়ি আমার সামনে এসে দাঁড়ালো আমি অনেকটা ভয় পাইছি হঠাৎ করে এরকম গাড়ি সামনে এসে দাড়াইছে তো তাই বুকে একটু থু থু দিলাম
গাড়ি থেকে দুইজন মুখজ পরলোক নেমে পড়ল
আমি পরিবেশটা গুলো বুঝতে পারলাম তাই দৌড়ার দিতে যাব তখন ঐ লোক দুটো আমাকে ধরে ফেললেন
আমিঃ প্লিজ আমাকে ছেড়ে দিন আমি তো আপনাদের কোন ক্ষতি করেনি ( আর জোরে জোরে চিৎকার করতে লাগলাম বাচাও বাচাও বাচাও কে কোথায় আছে আমাকে একটু সাহায্য করো)
কিন্তু কেউ আমার চিৎকারে সারা দিল না লোকদুটো আমাকে গাড়িতে তুলে নিলেন
আমি গাড়িতে অনেক চিৎকার করতে লাগলাম এবং বাইরের মানুষ কে ডাকতে লাগলাম আমাকে বাঁচাও
১ম লোকঃ এখন কি করবো এরকম করে চিৎকার করতে লাগলে তো পুলিশের হাতে ধরা খেয়ে যাব আমরা
২য় লোকঃ ঐ কাপড়টা দে আর ওর মুখে কাপড় টা ভালো ভাবে বেঁধে দে যাতে যেনও আওয়াজ বের না হয়
দ্বিতীয় লোকটা কন্ঠটা আমার কেমন জানি চেনা চেনা লাগতেছে
আমার দুপুর কার ঘটনাটা মনে পড়ে গেল তাহলে কি
না এটা হতে পারে না কখনোই না
একটা লোক এতটাই খারাপ হতে পারে
চিন্তায় আমার মাথা ফেটে যাচ্ছে আমার সাথে এখন কি হতে যাচ্ছে,, হয়তো আজকের পর আমি এই পৃথিবীতে নাও থাকতে পারি
আসলে গরিব মানুষদের বেচে থাকা আর না থাকা দুটোই সমান,,
চলবে,,
গল্পঃ পরিশেষে স্বামী স্ত্রী
তারপর আমাকে কালো কাপড় দিয়ে মুখ বেধে দিল
আমি আর কোন রকম শব্দ করতে পারতেছি না শুধু উহ আহ শব্দ বের হচ্ছে মুখ দিয়ে
আর গাড়িটা প্রচুর গতিতে চলতেছে মনে হচ্ছে যেকোনো সময় এক্সিডেন্ট হবে
আমার হাত এমন ভাবে বেঁধেছে খুব ব্যথা হচ্ছে ব্যথা সহ্য করতে না পেরে কান্না করে দিলাম,,
কান্না করা ছাড়া আমার আর কোনো উপায় হচ্ছে না কি করব আমার তো জীবনটাই শেষ আজকের পর হয়ত আমি কালকে সকালেএ সূর্য দেখতে পাবো না ,,, আমি মারা গেলে আমার মা আর ভাই টাকে কে দেখবে ,, এটা মনে পড়তেই আমার বুক ফেটে যাচ্ছে কি হিবে আমার মা আর ভাই এর,,
কিছুক্ষণ পর গাড়িটা দাঁড়ালো
শামীমঃ ভিতরের সবকিছু রেডি আছে,, তুই ভাবীকে নিয়ে আয়
উনিঃ জলদি ভিতরে যা সবাইকে বল কনে এসে গেছে আর কাজি কে বল সবকিছু রেডি করতে
এসব উনারা কি কথাবার্তা বলতেছেন কাজী বিয়ে কোনে আমার তো সব মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে,,
এখানে আবার কার বিয়ে হতে যাচ্ছে আর আমাকে যদি বিয়ে বাড়িতে নিয়ে আসবে তাহলে এইভাবে বেঁধে তুলে আনতে যাবে কেন
ভালো ভাবে তো আনতে পারত, না, নিশ্চয়ই এখানে কোন রহস্য আছে না হলে আমাকে এইভাবে নিয়ে আসতে যাবে কেন আর ভাইয়াটা পুলিশের ভয় পাচ্ছেন কেন
না আর কিছু ভাবতে পারতেছিনা এসব কি হচ্ছে আমার সাথে একদিকে তো আমার মা আর ভাইয়া টেনশনে আমার মাথা ফেটে যাচ্ছে,
আমাকে গাড়ি থেকে জলদি নামিয়ে উনি উনার ঘাড়ে তুলে নিলেন যেভাবে কিডনাপার রা কাউকে কিডন্যাপ করে নিয়ে যায়
আমাকে ঘাড়ে তুলে নিয়ে এত তাড়াতাড়ি তিনি বাড়িটার ভিতরে ঢুকে গেলেন আমার খুব ভয় হচ্ছে আমি খুব লাফালাফি করতেছি কিন্তু কোন প্রকার শব্দ করতে পারতেছি না কারণ আমার মুখ বাঁধা
ভিতরে প্রবেশ করে আমিতো অবাক
কি হতে যাচ্ছে এখানে
আর এসব কি এখানে তো দেখতেছি পুরাই বিয়ের ফাংশন
উফফফ না আর কিছুই ভাবতে পারতেছি না কি হবে আমার সাথে এখানে
উনিঃ কাজি সাহেব আপনি সবকিছু তাড়াতাড়ি শুরু করুন
কাজিঃ আরে বাবা বিয়ে জিনিসটা একটু ধিরে হয় তুমি এত তারা দিচ্ছ কেন
উনিঃ এই শামীমের বাচ্চা তুই কাকে নিয়ে এসেছিস
উনার এই রকম লাগবে তবে আমিতো ভয়ে চুপসে গেলাম কারণ লোকটাকে যখন আমি প্রথম দেখেছিলাম তখন থেকেই ভেবে নিয়েছি এই লোকটা বদমেজাজি আর তার ব্যবহার গুলো তো আমার জানা আছে কি রকম ব্যবহার
শামীমঃ কাজি সাহেব আমরা কিন্তু আপনাকে কন্ট্যাক্ট করে এনেছি আপনি যত তাড়াতাড়ি পারবেন বিয়ের কাজ সম্পূর্ণ করে ওখান থেকে চলে আসবেন
কাজিঃ তাই বলে একটা মেয়েকে এইভাবে তুলে এনে আপনারা বিয়ে করতে পারেন না
উনিঃ ওই কুত্তার বাচ্চা তুই কি আমার হাতে এখানে মরতে চাস নাকি বেঁচে তোর ছেলে-মেয়ের মুখ দেখতে চাস
যদি বেচে বাসায় ফিরতে চাস তো তাড়াতাড়ি বিয়ের কাজ শুরু কর নয়তো তোকে এখানে পুঁতে ফেলবো
অরে বাবারে এটা দেখি আস্ত একটা ডেবিল
এই লোকটা মনে হয় খুনখারাপি তো সেরা
উফফফ আমি কেন যে ওই কাজটা করতে গেলাম ওই রাতে না হলে আমাকে কখনোই এরকম কিছু সম্মুখীন হতে হতো না।
কাজি সাহেব চুপচাপ বিয়ে পড়াতে লাগলাম
কাজিঃ মিয়াজি পাড়া নিবাসী,, মোঃ আবদুস সাত্তারের দ্বিতীয় পত্র,, মোঃ মাহিন আল ইসলাম
এক টাকার দেনমোহর ধার্য করিয়া,, সরকার পাড়া নিবাসী মৃত মোঃ ছলিম মিয়ার প্রথম কন্যা ,, মোছাম্মদ দীপা সুলতানা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করা হইল,, বলো মা কবুল
আমিঃ চুপ করে আছি কারণ এখনো আমার মুখে কাপড় দিয়ে বাঁধা
কাজিঃ বলো মা কবুল
আমিঃ আমি এত চিৎকার করে বলতে চাই যে আমি এই বিয়ে করতে পারবোনা কিন্তু আমার মুক্ত বাধা শব্দ বের হচ্ছে না
মাহিনঃ কী হলো ভালোই ভালোই কবুল বলবা নাকি আমার আঙুলটা বাকা করতে হবে আবার
শামীমঃ কিরে কেউ এভাবে বিয়ে করে
মাহিনঃ শালা তুই চুপ থাক আমার বিয়ে আমি যেভাবে ইচ্ছা সেভাবে করবো তুই কোন কথা বলবি না চুপচাপ বসে তামাশা দেখ
শামীমঃ আমি এত বিয়ে বাড়িতে গেছি এত বিয়ে দেখছি কোনদিন দেখি নাই যে মেয়ের মুখে কাপড় বাঁধা মেয়ে কথা বলতে পারবে না কিন্তু বিয়ে হবে হাহাহাহহাহাহহা
কাজিঃ তাইতো আমি তো এতোক্ষণ খেয়ালই করি নাই যে মেয়ের মুখে এখনো কাপড় বাঁধা আচ্ছা মিয়া আপনি আপনার বউকে ভালো করে দেখবেন না আপনার জ্ঞান কি সব উধাও হয়ে গেছে বিয়ের জন্য পাগল হয়ে গেছেন তাই না হাহাহহাহ
সবাই কি হাসাহাসি করতেছে এদিকে আমার কান্না কেউ দেখার মতো কেউ নেই হয়তো এখানে আমি যতই না না বলি না কেন কিছু না কিছু হবে আমাকে বিয়ে করবে আজকে রাতেই
মাহিনঃ উফফফফফ
তারপর আমার মুখ থেকে কাপড়টা সরিয়ে নিলো আর আমি জোরে জোরে নিঃশ্বাস নিতে লাগলাম কারণ এতক্ষণ থেকে ভালোভাবে নিঃশ্বাস নিতে পারেনি আর কিছুক্ষণ থাকলে হয়তো মরেই যেতাম
মাহিনঃ এই মেয়ে এখন সোজাসাপ্টা কবুল বলে দে যদি তোর ভাইয়েরা তোর মায়ের
আমিঃ মানে আপনি এতটা জঘন্য
মাহিনঃ ভালোই ভালোই বলতেছি নয়তো তোর ভাইয়া তোর মা কালকে সকালের সূর্য টা দেখতে পারবে না
আমিঃ ছি একটা মানুষ এতটা খারাপ হতে পারে এতটা জঘন্য হতে পারে আপনাকে না দেখলে হয়তো বুঝতাম না
মাহিনঃ এখন চুপচাপ কবুল বল যত তাড়াতাড়ি কবুল বলবি ততো তোর মা আর ভাইয়ের জন্য মঙ্গল হবে কারন এখন তারা অনেক কষ্টে আছে
আমিঃ মানে কি বলতে চাচ্ছেন আপনি আমার মা আর ভাই ওর যদি কিছু হয় তো আমি আপনাকে মেরে ফেলবো
মাহিনঃ শামীম ভিডিও ফুটেজ ওকে দেখা নয়তো কবুল বলবে না হাহাহা
এসব আমি কি দেখতেছি আমার মা আর ভাইয়া সুন্দর ঘুমিয়ে আছে কার কয়েকজন লোক বন্দুক হাতে তাদের দিকে তাক করে আছে হয়তো আমি কবুল না বললে আমার মা আর ভাই এই দুনিয়াতে বেঁচে থাকতে পারবে না
এইসব দেখার পর আমি নিস্তব্ধ হয়ে গেছি আমার পুরো দুনিয়াটা যেন ওলটপালট হয়ে যাচ্ছে এইসব দেখার আগে যদি আমি মরে যেতাম বা আমাকে ধর্ষণ করে মেরে ফেলতেও তাই সহ্য হতো কিন্তু প্রতিনিয়ত ধর্ষণ হতে হতো না ওই পশু টার হাতে আমাকে,,,
মাহিনঃ কবুল বলবি নাকি তোর পুরো ফ্যামিলি কে মেরে ফেলবো
আমি বাধ্য হয়ে কবুল বলেই দিলাম
কবুল বলে দিও কান্না করতে লাগলাম কারণ এখন আমার নিত্য সঙ্গী হবে কান্না প্রতিদিন রাতে ধর্ষণ করবে ওনার ইচ্ছা মত আমাকে ভোগ করবে ছেড়ে দিবে
সংক্ষেপে বিয়েটা সম্পন্ন করে কাজি চলে গেলেন
মাহিনঃ শামীম তুই এখন বাসায় যা আর এই খবরটা কাউকে জানাবি না এখন
তার মানে উনি আমাকে এখানে লুকিয়ে বিয়ে করলেন যাতে যেন প্রতিদিন ধর্ষণ করতে পারে বৈধ ধর্ষণ
শামীমঃ তবে মেয়েটার উপর অতিরিক্ত কিছু করিস না যাতে বেঁচে থেকেও মরার মত থাকতে হয়
মাহিনঃ তুই এখন চুপচাপ চলে যান আর আমি আমার বউকে কিভাবে রাখব কিভাবে দেখব কিভাবে আদর করবো সেটা একান্তই আমার ব্যবহার
শামিমঃ তোর এই বদমেজাজি রাগের কারণে একদিন তোকে পস্তাতে হবে সেই দিনেই শামীম এর কাছে এসে তোকে কান্না করতে হবে দেখে নিস কথাটা মিলিয়ে নিস
মাহিনঃ মাহিনের কখনো এরকম সময় আসবে না হাহাহা
শামীম ভাই আর কোন কথা না বলে চুপচাপ ওখান থেকে চলে গেলেন জানে এখানে কথা বলা তাঁর বৃথা হবে
শামীম ভাই চলে যাওয়ার সাথে সাথে উনি আমার হাত ধরে একটা রুমের দিকে নিয়ে যেতে লাগলেন বুঝতে পারলাম এখন আমাকে ভোগের শিকার হতে হবে,
মাহিনঃ ঠাসসসসসস তোর সাহস কত বড় তুই আমাকে ফোন নাম্বার দিস নাই
আমি শুধু অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি ফোন নাম্বারের জন্য এতকিছু
মাহিনঃ এখন ফোন নাম্বার না তোকে আমি প্রতিদিন এই ধর্ষণ করব
আমি আর কান্নাটা আটকে রাখতে পারলাম না
মাহিনঃ তোর এই রকম ন্যাকা কান্নার কোন মূল্য আমার কাছে নেই তুই শুধু আমার কাছে ভোগের পণ্য
কথাটা বলে উনি আমার বুক থেকে ওড়নাটা টেনে নিলেন আমি আমার দুই হাত দিয়ে আমার বুক ঢেকে রাখলাম
মাহিনঃ উফফফ কি লজ্জা কি লজ্জা লজ্জাবতী রে তোর লজ্জা আমি বের করতাছি দাঁড়া হাহাহাহহাহা
ওনার মুখ থেকে এরকম নোংরা কথা গুলো আমার কলিজায় কেটে যাচ্ছে উনার প্রতিটা কর্তা যেন আমার গায়ে কাঁটার মত জ্বালা দিতে লাগলো
মাহিনঃ আজকে আমি তোকে সব কিছু খুলে তোর সাথে ডান্স করব হাহাহহা
কথাটা বলে উনি আমার দিকে এগিয়ে আসতে লাগল আর আমি পিছিয়ে যেতে লাগলাম আমি কখনোই ভাবতে পারিনি জীবনে এরকম একটা সময় আমার সামনে এসে দাঁড়াবে আর আমি
আমার কান্নাটা চার দেয়ালের মাঝে বন্দী
চলবে,,,,,,,
গল্পঃ পরিশেষে স্বামী স্ত্রী
আমিঃ প্লিজ আপনি একটু শান্ত হয়ে বসেন প্লিজ
অনেক কষ্ট এ কথাটা মুখ দিয়ে বের করলাম
উনার রাগ দেখে আমি পুরোটাই স্তব্ধ হয়ে গেছি কি হচ্ছে আমার সাথে এখানে
মাহিনঃ কেন এত তাড়াতাড়ি পর দেমাগ শেষ হয়ে গেল
আমিঃ আমি আমার কিসের জন্য দেমাগ দেখাবো আপনাকে আমার যা কিছু ছিল সব তো আপনি লুটে নিয়ে ছিলেন
মাহিনঃ হাহাহা আমি তোর দেহ লুটে নিয়েছিলাম এটাই বলতে চাচ্ছিস তুই তাই না
আমিঃ আসলে আপনি আপনার রাগটা একটু কন্ট্রোল করেন আর শান্ত হয়ে বসে আমার কথা গুলো শুনেন প্লিজ
মাহিনঃ পর কোনো কথা শোনার আমার সময় নেই এখন থেকে তুই শুধু,, আমার কথা মত চলবি নয়তো আমি কখন কি করে বসবো সেটা নিজেও জানিনা
কথাটা বলে উনি আমার হাত ধরে টেনে আমাকে বিছানায় ফেলে দিলেন,,,
আমিঃ প্লিজ এরকম কিছু করবেন না আমার কিছু সমস্যা আছে
মাহিনঃ তাতে আমার কি হয়েছে
আমিঃ আপনি বোঝার চেষ্টা করুন এখন আমি আপনাকে সেই সুখটা দিতে পারবো না
আর একটা মেয়ের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কিছু করলে সেটা ধর্ষণ এর শামিল হবে আপনি একটু বুঝুন এখনতো আমি আপনার বউ তাই না,,,
মাহিনঃ হাহাহহাহা তুই কোনদিন আমার বউ হওয়ার যোগ্য সেলিনা আর হবিও না বুঝছিস আমি তো তোকে শুধু ভোগ করার জন্যই বিয়ে করছি
আমি কখনো এটা আশা করিনি ওনার মুখ থেকে আর আমি এর থেকে ভালো কিছু আশা করতে পারি না আমার মত মেয়ের সাথে এরকমটাই হয় সম্ভব,,, ze meye সামান্য 10000 টাকা জোগাড় করতে পারে না তার জন্য দেহ বিক্রি করতে হয় সেই মেয়ের সাথে আর কি হতে পারে,,, এখন তো আমার কোন কথার মূল্য থাকবে না,,
তারপর উনি আমার উপর শুয়ে পড়লেন
আমার ঠোঁটে তাঁর ঠোঁট দুটো ডুবিয়ে দিয়ে ননস্টপ কিস করতে লাগলেন,, আমার খুব বিরক্ত লাগতেছে কারন এখন আমার এসব সহ্য হচ্ছে না,,, আমি ওনাকে এতো সরানোর চেষ্টা করতেছি কিন্তু আমি তার শক্তির সাথে পেরে উঠতে পারতাছিনা,,
আমার ঠোট থেকে উনার ঠোঁট দুটো সরিয়ে আমার গলায় উনার ঠোঁট দুটো ডুবিয়ে দিলেন এবং ননস্টপ কিস করতে লাগলেন
উনার প্রতিটা স্পর্শ আমার অসহ্য লাগতাছে ইচ্ছা করতাছে যদি আমার শক্তি থাকতো তাহলে ওনাকে এখানে মেরে ফেলতাম কিন্তু আমি তোর সাথে এখন পারবো না
আস্তে আস্তে যখনই আমার জামা পিন খুলতে লাগলেন
আমিঃ প্লিজ এরকম কিছু আজকে আমার সাথে করবেন না আমি খুব অসুস্থ আপনি বোঝার চেষ্টা করেন,,,,জোরে জোরে কান্না করতেছি আর কথাগুলো উনাকে বলতেছি
কিন্তু আমার কথাগুলো উনার কান অব্দি পৌঁছাচ্ছে না
উনার দুই হাত দিয়ে আমার সারা শরীর স্লাইড করতে লাগলেন এবং এইটা আমার খুব বিরক্ত লাগছে আমি জোরে জোরে কান্না করতে লাগলাম
আমি উনাকে ভালোবাসিস না করেই যাচ্ছি কিন্তু উনি আমার কোন বাধাই মানতেছে না ওনার মত উনি আমাকে ব্যবহার করতে লাগলেন
উনি আমাকে ওনার ইচ্ছা মত ভোগ করতে লাগলেন আর আমি ব্যাথায় বার বার চিৎকার করে কান্না করতাছি
কিন্তু আমার কান্নার কোন মূল্য নেই উনার কাছে উনি ওনার মত কাজ করে যাচ্ছে তার আমার ব্যাথা তে কলিজাটা মনে হয় ফেটে যাচ্ছে
আমার মনে হচ্ছে এই আমি মরে যাব,, এত ব্যাথা পাচ্ছি যে আমি এক সময় অজ্ঞান হয়ে গেলাম
যখন আমার জ্ঞান ফিরল তখন দেখি আমি একদম ঠিক আছি
আমার শরীরে কোন ব্যাথা অনুভব হচ্ছে না বা আমি কোন রকম অসস্তি বোধ করতেছি না
এটা কিভাবে সম্ভব এত তাড়াতাড়ি আমি এতটা সুস্থ ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলাম রাত তিনটা বাজে,, আমাকে যখন এই রুমে নিয়ে আসা হয়েছিল তখন রাত নয়টা বেজে ছিল আর এখন রাত তিনটা বাজে তারমানে আমি অনেকক্ষণ থেকে ঘুমিয়ে আছি
আমি রুমের চারদিকে তাকিয়ে দেখলাম কোথাও উনা কে দেখা যাচ্ছে না ব্যাপার কি আমাকে একা ফেলে উনি কি চলে গেলেন নাকি
আর আমাকে এখানে এমন ভাবে এনেছে আমি রাস্তাঘাট কিছুই চিনি না এখন আমি কোথায় যাব
আমি শরীরের দিকে তাকিয়ে দেখি আমার শরীরে শুধু একটা চাদর মোড়ানো আর কিছুই নেই
এটা দেখেই আমার মনে পড়ে গেল সেই নির্যাতন আর আমার চোখ বেয়ে পড়তে লাগল পানি
আমি দৌড়ে বাথরুমে চলে গেলাম
শাওয়ারটা ছেড়ে দিয়ে দুই হাত দিয়ে সারা শরির ঘষতে লাগ্লাম যাতে করে ওই অমানুষ তার স্পর্শ আমার শরীরে না থাকে
যতই ঘষতেছি ততই কষ্ট গুলো আমার মনে পড়তেছে আর ততই আমি কান্না করতেছি
কান্না করতে করতে ফ্লোরে বসে পড়লাম আর আমার চোখের পানির সাথে শাওয়ারের পানির সাথে এক হয়ে গড়িয়ে যাচ্ছে
......
এইদিকে
আরে মেয়ে টা আবার কই গেল এখানে রেখে গেলাম,,
অই তো এই এলাকার রাস্তাঘাট কিছুই চেনে না কোথায় যাবে উফফফ আমি এখন টেনশন এ বাচিনা কেন যে একা রেখে বাইরে গেলাম
দৌড়ে বের হয়ে সব খানে খুঁজতে লাগলাম কিন্তু কোথাও পাচ্ছি না
তারপর আবার বাসায় ফিরে আসলাম বাসায় সব রুম চেক করলাম কিন্তু কোথাও নেই
উফফফফ বাথরুমে তো যাইতে পারে বাথরুম চেক করলাম না
আমার মাথাটাও না এখন মনে পাগল হয়ে যাবে কয়েকদিন পর আমি যে কেন এই সব করতেছি নিজেও জানিনা
দৌড়ে রুমে চলে গেলাম রুমে গিয়ে দেখি এখনো রুমের ভিতরে আসেনি আর বাথরুম থেকে সাওয়ারের আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে
তারপর আমি দরজা ধাক্কাতে লাগলাম
মাহিনঃ এই মেয়ে দরজা খুল বলতেছি
হঠাৎ করে দেখিয়েছে দরজায় কেউ ধাক্কাধাক্কি করতেছে তার মানে উনি হয়তো রুমে চলে এসেছেন
এইবার কি হবে আমি তো কোন কাপড়ে নিয়া আসি নাই এখানে এখন আমি বেরোবো কিভাবে
আমিঃ প্লিজ আপনি একটু শান্ত হন আমি বাথরুমে আছি বেরোবো একটু পর
মাহিনঃ এতক্ষণ কেউ বাথরুমে থাকে তাড়াতাড়ি বের হন
আমিঃ এই যে শুনছেন আমাকে একটু হেল্প করবেন
মাহিনঃ বলেন দেখি কি করতে পারি
উনার মুখ থেকে আপনি ডাক্ শুনে মনে হচ্ছে উনার এখন মনে হয় কোন রাগ নেই
আমিঃ আসলে আমার গায়ে কিছু নেই আই মিন কোন কাপড় নিয়ে আমি বাথরুমে প্রবেশ করেনি যদি আমার কাপড় টা দিতেন
মাহিনঃ আপনার কাপড় ধুয়ে শুকাতে দেওয়া হয়েছে এখন এখানে কোন মেয়ে মানুষের কাপড় নেই এখন কি হবে
আমিঃ ওকে থাক তাহলে আমি সকাল পর্যন্ত বাথরুমেই কাটিয়ে দেই এখানে বসে থাকি আমি আপনি ঘুমিয়ে থাকেন
মাহিনঃ সারারাত ঐখানে থেকে ঠান্ডা লেগে যাবে আর যখন আপনার জ্বর হবে অসুখ হবে আপনার ফ্যামিলির জন্য সেবা করবে কে আপনাকে দেখবে কে আপনার ভাইকে দেখবে কে
আমিঃ আমার পরিবারকে নিয়ে আপনার এত টেনশন করতে হবে না বুঝছেন
মাহিনঃ তারমানে আপনি এখন বাথরুমের ভিতরে আছেন তাই সাহস দেখাচ্ছেন তাইনা
উফফফফ আর বেশি কিছু বলা যাবে না বলা তো যায়না সাইকো একটা দরজা ভেঙে ফেলতে পারে আবার
মাহিনঃ এই নিন আমার শার্ট একটা প্যান্ট পড়ে নিন
আমিঃ মানে আপনার প্যান্ট কি আমার হবে তার থেকে বড় কথা আপনার শার্ট আপনার প্যান্ট আমি পড়বো কেন
মাহিনঃ ওকে কিছুই করতে হবে না এমনিতেই বেরিয়ে আসেন আমি তো আর অন্য কেউ না আপনার স্বামী তো তাই না তাড়াতাড়ি চলে আসেন
উফফফ কি বেহায়া মানুষ মুখে কিছুই আটকায় না
মন তো চাচ্ছে এখন এ গিয়ে খুন করে ফেলি কিন্তু এখন কিছুই করা যাবে না কিছু করতে গেলে হয়তো আমার ফ্যামিলিকে হারাতে হবে
মাহিনঃ কি করতাছেন আমার অফার গ্রহণ করবেন নাকি না
আমিঃ আচ্ছা দেন দেখি
কোন উপায় না পেয়ে রাজি হয়ে গেলাম কারণ সারারাত তো আর বাথরুমে থাকা সম্ভব না
তারপর দরজা আলত ফাক করে উনার শার্ট প্যান্ট নিয়ে নিলাম
নিয়ে তো নিলাম গায়ে পড়ে দেখি সব সব ডিলা হলো এখন কি হবে হাঁটবো কিভাবে আমি
হাত দিয়ে প্যান্ট ধরে রাখলাম ধরে আস্তে আস্তে হেঁটে বাইরে আসলাম
আমি বাইরে আসার সাথে সাথেই উনি যেটা করলেন সেটা আমি কখনো কল্পনা করতে পারিনি যে ওনি এরকম কাজ করবেন আমার সাথে ,,,,,
চলবে....
# পরিশেষে স্বামী স্ত্রী
হাত দিয়ে প্যান্ট ধরে রাখলাম ধরে আস্তে আস্তে হেঁটে বাইরে আসলাম
আমি বাইরে আসার সাথে সাথেই উনি যেটা করলেন সেটা আমি কখনো কল্পনা করতে পারিনি যে ওনি এরকম কাজ করবেন আমার সাথে ,,,,,
আমি বাথরুম থেকে বের হতেই উনি আমাকে কোলে তুলে নিলেন
আমিঃ আজব তো আমি হাট তে পারিনা নাকি নাকি আমি ছোট বাচ্চা যে আপনি কোলে তুলে নিলেন
মাহিনঃ উফফফ বেশি রকম বকবক করলে ফেলে দেবো কিন্তু কোল থেকে
না না এই মানুষের বিশ্বাস নেই তাই আমি উনার গলা শক্ত করে জড়িয়ে ধরলাম যাতে করে চাইলেও আর ফেলে দিতে পারে না
মাহিনঃ হাহাহাহাহা ভয় পাচ্ছেন তাইতো
আসলে ওনার মতলবটা কি আমি বুঝতে পারতেছি না একটু আগে আমার সাথে যেটা অত্যাচার করল আর আমিও তার সাথে এত নরমাল ব্যবহার করতেছি আর আমি চাইলেও রুড ব্যবহার করতে পারতেছি না তার সাথে ব্যাপারটা কি
মাহিনঃ থাক এসব নিয়ে ভাবার সময় পাইবেন এখন একটু বিছানায় শুয়ে থাকেন
আমিঃ আমার কিছু জানার ছিল আশাকরি আনসার গুলো আপনি দিবেন
মাহিনঃ কোনো রকম কথা না বলে সুন্দর ভাবে শুয়ে রেস্ট নিন আর যদি একটা কথা বলেন তো আবারও শুরু করে দেবো
আমিঃ এই না না আমি সুন্দর ভাবে ঘুমিয়ে পড়তেছি তাও আবার ওইসব করিয়েন না
মাহিনঃ এই তো লক্ষী মেয়ে তাহলে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়েন
আমিঃ আপনি কি চুরি করতে যাবেন নাকি
মাহিনঃ মানে
আমিঃ কই আমিতো কিছুই বলিনি আপনি হয়তো কানে একটু বেশি শুনেন তাই হয়তো সমস্যা হচ্ছে আপনার
মাহিনঃ বেশি রকম ন্যাকামি করার চেষ্টা করবেন না তাহলে এতে বিপরীত হয়ে যাবে আর আমার রাগ উঠলে আমি কন্টোল করতে পারি না এটা আমি আপনাকে অনেক আগেই বলে দিয়েছি
আমিঃ আচ্ছা আপনার এত রাগ কেন আপনাকে ছোটবেলায় আপনার আম্মু মনে হয় তেতো জিনিস বেশি খাওয়াই ছিল
মাহিনঃ এই মেয়ে আমাকে ভয় লাগতাছে না এত বকবক করতেছেন কেন বুঝতেছিনা রাত অনেক হয়েছে আপনি রেস্ট নেই এমনিতেই নিজের শরীরের কোনো খোঁজ পায়না অল্প একটু জ্ঞান হারিয়ে ফেলে তার আবার বকবক আছে
আমিঃ আমি আপনাকে আগেই বলেছিলাম আমি ওর জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না যে আপনার ওইটা সহ্য করার মত ক্ষমতা আমার ছিল না তখন আমি আপনাকে বলে দিয়েছিলাম আর আপনি সেটা না শুনেই কাজ শুরু করে দিয়েছেন তখন আমি কি করবো
মাহিনঃ তখন আমি কি করবো
আমিঃ আপনি যেটা খুশি সেটাই করেন কিন্তু আমার কথা আপনি রিপিট করবেন না
মাহিনঃ আপনি যেটা করিস সেটাই করেন কিন্তু আমার কথা আপনি রিপিট করবেন না
আমিঃ আমি কিন্তু সত্যি সত্যি এবার রেগে যাব রেগে গেলে আমি কি করে বসি আমি সেটা নিজেও জানিনা
মাহিনঃ আমি কিন্তু সত্যি সত্যি এবার রেগে যাব আমি রেগে গেলে কি করে বসি সেটা নিজেও জানিনা
আমিঃ উফফফফ আপনার সাথে কথা বলে আমার ভুল হয়েছে
মাহিনঃ উফফফফ আপনার সাথে কথা বলাই আমার ভুল হয়েছে
কী মহা ঝামেলায় পড়লাম রে বাবা এইরম একটা ঘারতেড়া মানুষের সাথে আমার জীবন পার করতে হবে না জানি আরো কত কি আছে আমার ভাগ্যে
মাহিনঃ আচ্ছা অনেক হয়েছে এখন ঘুমিয়ে পড়েন সকালে আবার আপনাকে হসপিটালে দিয়ে আসতে হবে আমাকে
আমিঃ জি না আপনাকে আমার সাথে যেতে হবে না আপনি চুপচাপ এখানে থাকবেন আর আমাকে গাড়ি ভাড়াটা শুধু দিবেন আমি চলে যেতে পারব একা
মাহিনঃ এখন আর আপনি একা না যে যেটা খুশি সেটাই করে বেড়াবেন এখন একটা কথা মাথায় রাখুন আপনার স্বামী আছে আর তার থেকে আপনাকে পারমিশন নিতে হবে যে কোন কাজ করতে গেলে
আমিঃ আমার স্বামীর প্রয়োজন নেই এখন যে স্বামী শুধু তার ভোগ করার জন্য বউকে বিয়ে করে ওই রকম স্বামী আমার লাগবে না
মাহিনঃ এইবার কিন্তু বেশি বেশি হয়ে যাচ্ছে আমি রেগে গেলে কি করব সেটা তো ভালো করে জানেন আপনি
আমিঃ কি আর করতে বলেন সর্বোচ্চ আমাকে নির্যাতন করবেন টর্চার করবেন একটু আঘাত করবেন আপনার যা খুশি তাই করবেন তাইতো এর থেকে তার বেশি কিছু করতে পারবে না সর্বোচ্চ মেরে ফেলতে পারবেন
মাহিনঃ ঠাসসসস এত বেশি বুঝলে আমার মাথা খারাপ হয়ে যাবে বুঝছেন
আমিঃ হ্যাঁ আপনি এটাই তো করতে পারেন তাছাড়া তো আর অন্য কিছু করতে পারে না কান্না করে দিলাম
মাহিনঃ এত রাতে কান্না করা অফ করেন আর ঘুমিয়ে পড়েন এমনিতে শরীর অসুস্থ আপনার অনেক
আমিঃ আমার শরীর অসুস্থ থাকে সুস্থ থাকে সেটা আমি দেখব আপনাকে দেখতে হবে না শুধু আপনাকে আমি বিছানায় সময় দিতে পারলেই আপনার হবে তাই তো আচ্ছা আমি যথেষ্ট চেষ্টা করব আপনাকে বিছানায় সময় দেওয়ার
মাহিনঃ প্লিজ হাতজোড় করে বলতেছি আর একটা কথা না তাহলে আমি কি করে বলব সেটা নিজেও জানিনা আর আমার রাগের উপর আমি একটু কন্ট্রোল করতে পারি না আর আমি রেগে গেলে যে কি করে বসি জানি না প্লিজ হাতজোড় করে বলতেছি আপনি শুয়ে পরেন আর ঘুমিয়ে পড়েন কান্নাটা বন্ধ করেন
আমি আর কিছুই বললাম না বালিশে মুখ গুঁজে দিয়ে কান্না করতে লাগলাম কারণে এই লোকটাকে বিশ্বাস করতে নেই
আমি তোকে কখনোই মেনে নিতে পারব না মন থেকে যার ব্যবহার এইরকম তার সাথে কখনো ভালোবাসা নামক বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া যায় না
কান্না করতে করতে কখন যে ঘুমিয়ে গেছি সেটা আমি নিজেও জানিনা যখন আমার ঘুম ভেঙ্গে গেল তখন দেখি চারিদিকে পাখির ডাকাডাকি এর আওয়াজ শোনা যাচ্ছে আর সকালকার সোনালী রোদ্দুর জালানা ভেদ করে আমার মুখে এসে পড়তেছে,,,,
সকালের আবহাওয়াটা বেশ চমৎকার খুব ভালো লাগতেছে এখন
বিছানা থেকে উঠে গা মরা মরি দিলাম একটু গায়ে ব্যথা অনুভব হচ্ছে উঠতে ইচ্ছা করতেছে না
তাই আবার শুয়ে পড়লাম কাথাটা গায়ে টেনে নিয়ে
কাঁটাটা বুকের মধ্যে ভালো হবে আঁকড়ে ধরে শুয়ে আছি চোখ বন্ধ করে হঠাৎ করে রুমে কারো আসার শব্দ পেলাম ,, চোখটা আলতো খুলে দেখলাম ওই লোকটা
মাহিনঃ এইযে সকাল হয়ে গেছে আপনার কি ঘুম হয়েছে নাকি আরো কিছুক্ষণ ঘুমাবেন
আমি চুপচাপ চোখ বন্ধ করে আছি কোন সাড়া দিচ্ছে না তার কথায়
মাহিনঃ আপনি কি এখনো ঘুমিয়ে আছেন নাকি ঘুমের ভান ধরে আছেন
আমি তাও কোন কথা বলতেছি না
তারপর দেখি উনি আমার পাশে বসে হাতের আঙ্গুলের ভিতর উনার হাতের আঙ্গুল দিয়ে মুষ্টিবদ্ধ করে নিলেন খুব শক্ত করে
আমি একটু ব্যাথা পেলেও চুপচাপ শুয়ে আছি কোনরকম রেসপন্স দিলাম না কারন একটু রেসপন্স দিলে উনি বুঝে যাবেন যে আমি জেগে আছি
তারপর উনি ওনার বাঁ হাত দিয়ে আমার চুলগুলো কানের উপর দিয়ে গুযে দিচ্ছে
হয়তো আজকের এই অনুভূতিটা অন্য রকম হতে পারতো যদি তিনি আমার সাথে এরকম খারাপ ব্যবহার না করে আমাকে ভালোবাসা দিয়ে আগলে রাখতেন তাহলে
কিন্তু এখন উনার জন্য আমার মনে কোন রকম ভালোবাসা নেই আছে শুধু ঘৃণা
একটু পরে উনি উনার ঠোঁট দুটো দিয়ে আমার কপালে আলতো স্পর্শ করে দিলেন আরে স্পর্শটা এমনভাবে করেছেন আমার সারা শরীর কেঁপে উঠলো
আমিও চোখ বন্ধ করে থাকতে পারলাম না চোখটা খুলে ফেললাম
আমিঃ কি হচ্ছে এসব
মাহিনঃ তারমানে আপনি এতক্ষণ ঘুমের ভান ধরে ছিলেন তাই না
আমিঃ এটা একান্ত আমার ব্যাপার আপনাকে বলতে যাব কেন
মাহিনঃ আচ্ছা আমাকে বলতে হবেনা আপনার কাপড় গুলো শুকিয়ে গেছে এই যে এনে দিলাম তাড়াতাড়ি পড়ে নিন আমি একটু বাইরে আছি আর একটু পরেই গাড়ি আসবে হসপিটালে যেতে হবে আপনার ভাইকে আনতে
আমিঃ জি না আমি আপনার সাথে যাচ্ছি না আমি একাই যাবো আর আপনি আমার সাথে যাবেন না
মাহিনঃ কেন আমি গেলে সমস্যা কি
আমিঃ চিন্তা করবেন না আমি আমার ফোন নাম্বার আপনাকে দিয়ে যাচ্ছি,,, আপনার যদি আমাকে ভোগ করার ইচ্ছে হয় তো চলে আসেন আমাকে ফোন আমি সবকিছু রেডি রাখবো
মাহিনঃ প্লিজ এখন আমি এসব কথা নিয়ে কোনো আলোচনা করতে চাচ্ছি না
আমিঃ আপনার ইচ্ছা আপনার ফোনটা দিন আমি আমার ফোন নাম্বার দিয়ে দিচ্ছি
মাহিনঃ ফোন নাম্বার লাগবে না আমি তোমার সাথে যাচ্ছি এটাই ফাইনাল
আমিঃ ও আমাকে বিশ্বাস করতে পারতেছেন না তাইতো মনে করতেছেন হারিয়ে যাব
মাহিনঃ সেরকম কিছু না উল্টাপাল্টা ভাববেন না প্লিজ
আমিঃ আমি কখনো উল্টাপাল্টা ভাবিনা আমি যা ভাবি ভালো কিছু ভাবি আর আমার ভাবনাটা সত্যি হয়
মাহিনঃ আমি আগেই বলছি আপনার যুক্তির সাথে আমি কখনো যুক্তিতে পারবো না তাই আমি বাইরে যাচ্ছি আপনি আপনার কাপড়টা পড়ে নিন
কথাটা বলে উনি বাহিরে চলে গেলেন আর আমি উঠে ওয়াশ রুমে চলে গেলাম
তারপর উনার দাওয়া শার্ট আর প্যান্ট টা খুলে আমার কাপড় গুলো পড়ে নিলাম
আর ওনার শাটার প্যান্টটা ভালোভাবে ধুয়ে বাইরে শুকাতে দিকে রুমে আসলাম
রুমে আসার পর আমি পুরাই অবাক কারণ এইটুকু সময়ে এরা কিভাবে হতে পারে আমিও না স্বপ্ন দেখতাছি এটা কখনো সম্ভব হতে পারে না,,,
চলবে........
# পরিশেষে স্বামী স্ত্রীর
রুমে আসার পর আমি পুরাই অবাক কারণ এইটুকু সময়ে এটা কিভাবে হতে পারে আমিও না স্বপ্ন দেখতাছি এটা কখনো সম্ভব হতে পারে না,,,
আমিঃ এসব কি হচ্ছে এখানে আপনার কি মাথা টাথা ঠিক আছে নাকি পুরাই পাগল হয়ে যাইতাছেন আপনি দিন দিন বুঝতাছিনা এসব কি করতেছেন আপনি
মাহিনঃ আচ্ছা আমাকে কি আপনি এতটাই ঘৃনা
করেন যে আমি আপনার সাথে হসপিটালে গেলে আপনার সমস্যা হবে
আমিঃ দেখুন আপনি যতই যাই করুন না কেন আপনার তো বিশ্বাস হচ্ছে না আমি মেনে নিয়েছি চলেন আমার সাথে চলেন আমি কিছুই বলবো না,,, আপনি হয়তো আমাকে বিশ্বাস করতে পারেন না আপনি হয়তো ভাবছেন যে আমি যদি এখান থেকে যাইতে পারি হয়তো আপনার হাত ছাড়া হয়ে যাব বা পালিয়ে যাব আর আপনার রাতের সুখ দিতে পারবো না তাইতো
মাহিনঃ সবসময় আপনি বিছানার কথাটা টেনে আনেন কেন আর সবসময় আমাকে রাগাতে কি আপনার খুব ভালো লাগে তাইনা
আমিঃ আমি আর কোন কথা বাড়াতে চাই না কারণ অনেকটা লেট হয়ে যাচ্ছে আমাকে খুব তাড়াতাড়ি হসপিটাল পৌঁছাতে হবে
মাহিনঃ চলেন বাইরে গাড়ি আছে শুধু আপনার জন্য অপেক্ষা করতেছি
আমি আর কিছু বললাম না চুপচাপ গাড়িতে গিয়ে বসলাম
তারপর ওনি গাড়ি চালাতে লাগলেন উদ্দেশ্য হসপিটাল
গাড়ি চলতেছে দুজনের মাঝে নীরবতা কারো মুখে কোন কথা নেই
উনি বার বার আড়চোখে আমার দিকে তাকাচ্ছেন হয়তো কিছু বলতে চান কিন্তু সাহস পাচ্ছে না এখন বলার
আমি ওনার দিকে না তাকিয়ে বাইরের দিকে তাকিয়ে পরিবেশটাকে উপভোগ করতে লাগলাম
আমিঃ আপনি আমার সাথে হসপিটালে প্রবেশ করবেন না বাইরে গাড়িতে বসে থাকবেন গেটের সামনে
মাহিনঃ আচ্ছা আমি ভিতরে গেলে কি আপনার খুবই প্রবলেম হবে আপনি আমার সাথে এরকম ব্যবহার করতেছেন কেন আমি বুঝতেছি না আমিতো চাচ্ছি যে আপনার সাথে নরমাল ব্যবহার করে থাকতে কিন্তু আপনি আমাকে বাধ্য করতেছেন আমার রাগটা তোলার জন্য
আমিঃ এখন আর আমি আপনাকে ভয় পাইনা আপনি রাগ করে কি করবেন আমাকে ভোগ করবেন আমাকে অত্যাচার করবেন টর্চার করবেন এর থেকে তো আর বেশি কিছু করবেন না তাই এখন আমি আর আপনার রাগকে আর ভয় পাইনা
মাহিনঃ ওকে আপনার যা খুশি তাই হবে আমি চুপ করি আর আপনি চুপ থাকেন দয়া করে আমার রাগকে আমাকে কন্ট্রোল করতে হবে নয়তো আমি এখন কি করবো নিজেও জানিনা যদি আপনি আর একটা কথা বলেন তো
উনি আর কিছু বললেন না চুপ হয়ে গেলেন আমিও চুপ করে আছি কারণ বুঝতে পারতেছি উনার চোখ দেখলে বোঝা যাচ্ছে অনেক টা রেগে আছে এখন আর কিছু বলা ঠিক হবে না নিজের বিপদ নিজেই ডেকে আনা ঠিক হবে না
কিছুক্ষণ পর গাড়ি গিয়ে হসপিটালের সামনে দাঁড়ালো আমি গাড়ি থেকে নেমে সোজা হসপিটালের ভিতরে প্রবেশ করলাম উনার দিকে ফিরেও তাকাম না একবারের জন্য
আমি খুব দ্রুত হাট তে লাগলাম কি জানি আমার মা আর ভাইয়া কেমন আছে
এক রাতের জন্য আমার জীবনটা ওলট-পালট হয়ে গেছে এখন আর আমি সেই আগের দিপা নেই এখন অনেকটা পরিবর্তন আমার মাঝে
নিজেকে যথেষ্ট ঢেকে রাখার চেষ্টা করতেছি কারন মা একটু হলেই টের পেয়ে যাবে তাই নিজেকে সর্বোচ্চ সতর্কতায় মাধ্যমে রাখতেছি মা যেন এখন কিছু বুঝতে না পারে,,
আমি আমার ভাইয়ের কেবিনের প্রবেশ করে দেখে যে মা রুমে নেই ভাইয়া শুয়ে আছে
আমি যে ভাইয়া মাথার কাছে বসে পড়লাম আর ভাইয়ের চুলগুলো একটু হাত দিয়ে নেড়ে দিতে লাগলাম
আমার স্পর্শ পেয়ে মনে হয় ভাইয়ের ঘুম ভেঙ্গে গেল
মিলমঃ কিরে আপু তুই এত সকাল-সকাল এইখানে
আমিঃ পাগল ভাই আমার তোকে ছাড়া কি আমার এক মুহূর্তও ভালো কাটে তুই বল
মিলনঃ জানিস আপু তোকে আমি খুব মিস করতেছিলাম মন থেকে খুব করে চাচ্ছিলাম যে তুই তাড়াতাড়ি চলে আয় এই দেখ তুই এখন আমার সামনে চলে এসেছি এখন আমার খুব ভালো লাগতেছে জানিস
আমিঃ হ্যাঁরে ভাই আমারও অনেক ভালো লাগতেছে তোর মুখ থেকে আপু ডাক্ টা শুনে কলিজা ঠান্ডা হয়ে গেল
মিলনঃ আচ্ছা আপু আমি বাড়ি যাচ্ছি কবে
আমিঃ খুব তাড়াতাড়ি যাচ্ছি আমরা বাসায় তুই একটু রেস্ট নে আমি দেখি আম্মু কোথায় আম্মুর সাথে কথা বলে তোর জন্য কিছু নিয়ে আসি
মিলন: ওকে আমার লক্ষী আপু
আমি আমার ভাইয়ের কপালে একটা চুম্বন এঁকে দিয়ে বাহিরে গেলাম আম্মু কে খুজতে লাগলাম আম্মু কে দেখলাম দুজন নার্সের সাথে কথা বলতেছে
আমিঃ কি হয়েছে আম্মু এখানে কি কথা বলতেছ
আম্মুঃ তেমন কোন কথা না তুই এসে গেছিস যা সকাল থেকে মিলন তোর নাম নিতে নিতে আমার কানটা ঝালাপালা করে ফেলেছে ওর সাথে দেখা করে
আমিঃ আমি মিলনের সাথে দেখা করে আসলাম তোমাকে খুঁজতে তুমি দেখে রুমে নাই তাই তোমাকে খুঁজতে বের হলাম আর দেখি তুমি এখানে কথা বলতেছ
আম্মুঃ এইতো আমি এইমাত্র আসলাম রুমের ভিতরেও তো খারাপ লাগতে ছিল তাই একটু বাইরে হাঁটতে আসলাম
আমিঃ তোমার কোন সমস্যা হচ্ছে না তো সমস্যা হলে তুমি বাসায় চলে যাও আমি এখানে আছি সমস্যা নেই
আম্মুঃ আমার কোন সমস্যা হচ্ছে না তুই একটু দোকান থেকে কিছু নিয়ে আয়তো মিলনের জন্য সকাল থেকে কিছু খেতে পারেনি এখনো
আমিঃ তুমি রুমে যাও আমি নিয়ে আসতেছি
তারপর আম্মুকে রুমে পাঠিয়ে দিয়ে আমি বাইরে আসলাম একটু
বাহিরে এসে দেখি উনি গাড়ি সাথে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে সানগ্লাস চোখে দিয়ে
পাশ দিয়ে যে মেয়েটা যাচ্ছে সেই মেয়ে উনার দিকে একটু আড়চোখে তাকিয়ে তারপর যাচ্ছে আর কিছু মেয়েতো কথা বলাবলি করতেছে ওনাকে নিয়ে
১ম মেয়েঃ ইসস দেখ দেখ ছেলেটা কি হ্যান্ডসাম তাইনা
২য় মেয়েঃ হুম্ম রে আমার যদি এরকম একটা বয় ফ্রেন্ড থাকতো তাহলে খুব তাড়াতাড়ি তাকে বিয়ে করে সংসার শুরু করে দিতাম
১ম মেয়েঃ চল না একটু ছেলেটার সাথে কথা বলে আসি
২য় মেয়েঃ ওকে চল দেখি একটু ট্রাই করে আসি যদি সিঙ্গেল হয় তাহলে নাম্বার চাইব
লুচ্চা মেয়ে কোথাকার অন্যের স্বামীর দিকে তাকাতে তোদের লজ্জা করেনা তুই নাম্বার নিবি দারা তোকে দেখাচ্ছি মজা
আমি মেয়ে দুইটার ঐখানে না যেতে মেয়ে দুইটা উনার কাছে চলে গেল
১ম মেয়েঃ এই যে মিস্টার আপনি এই এলাকায় নতুন বুঝি
মাহিনঃ হ্যাঁ আমি এখানে নতুন কিন্তু আপনি কে আপনাকে তো চিনতে পারলাম না আর আপনি আমার সাথে
২য় মেয়েঃ আচ্ছা কথা বলতে কি চেনা পরিচিত হওয়া লাগে আস্তে আস্তে চেনা পরিচিত হয়ে যাব তাই না
মাহিনঃ কিন্তু আমি আপনাদের সাথে চেনা পরিচিত হতে যাবো কোন দুঃখে বা আপনারা তো আমার কোন আত্মীয় না যে আপনাদের সাথে আমি পরিচিত হয়ে যাব
১ম মেয়েঃ এই ছেলে এত অ্যাটিটিউড কিসের হুম একটু ভালোভাবে কথা বললে কি হয়
মাহিনঃ আচ্ছা আপু বলেন কি শুনতে চান
২য় মেয়েঃ আপু মানে আমরা কি আপনার সিনিয়র হবো যে আপনি আমাদের আপু বলে সম্মোধন করতেছেন আমাদের নাম বলে সম্বোধন করেন
মাহিনঃ আরে আপু আমি তো আপনাদের নামে জানি না বা আমিতো ,জানিনা আপনার আমার সিনিয়র না জুনিয়ার তাহলে আপনাদের কি বলা উচিত বউ 





১ম মেয়েঃ আপনিও তো দেখি অনেক মজাদার একজন লোক কথা বলে ভালো লাগলো
মাহিনঃ আপনাদের সাথে কথা বলা ভালো লাগলো
২য় মেয়েঃ আচ্ছা মিস্টার আমি কি আপনার ফোন নাম্বারটা পেতে পারি
মাহিনঃ জি
আমিঃ বাহহহহহ কি সুন্দর ফ্রি মুভি দেখতে ছিলাম তাই না,
আমার কথা শুনে উনি ভীষণ খেয়ে গেলেন বুঝতে পারলাম না হয়তো উনি আমাকে এইভাবে আসাটা মেনে নিতে পারে নি
মাহিনঃ আপনি এখানে
আমিঃ হ্যাঁ যখন একটা কারণে এসেছিলাম কিন্তু এসে যেটা দেখতে পেলাম ভালোই হলো আপনার আর একটা রূপ দেখতে পেলাম আমি
মাহিনঃ দেখুন আপনি যেটা দেখছেন সব ভুল দেখেছেন
আমিঃ থাক মিস্টার আপনি কথা বলেন আমি আসতেছি
মাহিনঃ এইযে শুনুন আপনার দেখার মাঝে ভুল আছে আমার কথাটা সম্পূর্ণ শুনুন তারপর আপনি এই ভাবে রাগ করে থাকবেন বুঝেছেন
আমিঃ আমি আপনার কথা শুনতে চাচ্ছি না অতএব এখন আপনি আমার কথা মত চলবেন না আপনি এখানে দাঁড়িয়ে থাকেন আর ওই মেয়েটার সাথে কথা বলেন আমি যেখানে যাচ্ছি যাইতে দেন আর আমার পিছনে একদম আসবেন না
তারপর আমি ওনাকে পাত্তা না দিয়ে চলে আসতে লাগলাম
হঠাৎ করে পিছনে তাকিয়ে দেখি
উনি মেয়ে দুটোর সাথে যেটা করলেন সেটা আমি কখনো কল্পনা করতে পারিনি,,, একটা মানুষ এতটা খারাপ হতে পারে ছি,,,
এটা আপনি কিভাবে করতে পারলেন 



চলবে....
পরিশেষে স্বামী স্ত্রী
উনি মেয়ে দুটোর সাথে যেটা করলেন সেটা আমি কখনো কল্পনা করতে পারিনি,,, একটা মানুষ এতটা খারাপ হতে পারে ছি,,,
এটা আপনি কিভাবে করতে পারলেন 



মাহিনঃ ঠাসসসস,ঠাসসসস কুত্তার বাচ্চা আমি তোদেরকে বলছিলাম না তোরা আমার সাথে কথা বলবি না তোরা এখান থেকে চলে যা তোদের জন্য এখন আমাকে ভুল বুঝতাছে তোদের মত মেয়েকে তো আমি
১ম মেয়েঃ অই কুত্তার বাচ্চা তুই আমাকে চিনিস তুই আমাকে থাপ্পর মারলি এখন যদি আমি ইচ্ছা করি তোকে আমি এখানে মেরে ফেলতে পারি তুই আমাকে জানিস আমি কে
মাহিনঃ তুই কে রে তোর কত শক্তি আছে যা ফোন দিয়ে ডাক তোর বাপকে যদি আমাকে কিছু করতে পারে তারপর বলিস ভাগ এখান থেকে
২য় মেয়েঃ আপনি মোটেই কাজটা ঠিক করলেন না এজন্য আপনাকে পস্তাতে হবে
মাহিনঃ এখান থেকে যাবি নাকি পিটাইতে পিটাইতে মেরে ফেলবো এখান থেকে যা আমি আমার রাগ কন্ট্রোল করতে পারি না তাই ভালই ভালই বলছি এখান থেকে চলে যা
আমি এখন থেকে দাঁড়িয়ে দেখতেছি মেয়ে দুটো যাচ্ছে না ওখানে দাড়িয়েই আছে
আর উনার সাথে কথা কাটাকাটি করতেছে আমি বুঝতে পারলাম উনি এখন প্রচুর রেগে আছেন কখন যে কি করে বসবে পরে আবার
আমি আর ওখানে দাঁড়িয়ে না থেকে ওনাদের কাছে চলে গেলাম
আমিঃ নিজেকে কি মনে করেন আর আপনি এতটা নিচু মনের হতে পারেন কিভাবে,, না হয় মেয়ে দুটো আপনার সাথে কথা বলতে এসেছে তাই বলে আপনি উনাদের সাথে এরকম ব্যবহার করতে পারেন না এটা ঠিক না,,,
মাহিনঃ আপনি যেটা করবেন আমার সাথে সেটা ঠিক? আর আমি কিছু করলে সেটা অন্যায় তাই না
আমিঃ আমি সেরকম কিছু বলতেছি না এখন আপনি আমার সাথে আসেন
আর আপুরা আমি অনুরোধ করে বলতেছি প্লিজ কিছু মনে করিয়েন না ওনার একটু রাগ বেশি তো তাই আপনাদের সাথে এরকম ব্যবহার করে ফেলছে প্লিজ উনাকে ক্ষমা করে দিন আর আপনারা যে কাজে এসেছ সেই কাজে চলে যান কিছু মনে করবেন না প্লিজ আপুরা
তারপর মেয়ে দুইটা চলে গেল কিন্তু যাওয়ার আগে বলে গেল যে ওনাকে ছাড়বে না
আমিঃ এখন আপনার মন শান্তি হয়েছে তাইতো এখন আসেন আমার সাথে যদি কখনো বিপদে পড়েন তখন কেউ আপনাকে সাহায্য করতে যাবে না আপনার এই রাগের কারণে বুঝছেন
মাহিনঃ আমি কারো কাছ থেকে সাহায্য চাইবো না বুঝছেন আমি যদি মরে যাই তো যাবো তাও কারো কাছ থেকে সাহায্য চাই না আমি
আমিঃ আচ্ছা আপনি এরকম কেন বুঝিনা আপনার এত রাগ কেন
মাহিনঃ দেখুন এটা রাস্তা এখানে এসব নিয়ে সমালোচনা না করাই ভালো আপনি ভিতর যান আমি এখানে আছি আর আপনার কতক্ষণ লাগবো বাহিরে আসতে
আমিঃ সঠিক জানিনা ওর সাথে কথা বলতে হবে কবে রিলিজ দিবে আমার ভাইকে
মাহিনঃ আপনি দোকান থেকে ঘুরে আসুন আমার একটু কাজ আছে আমার হস্পিটালের ভেতর আমার একটু কাজ আছে
আমিঃ হসপিটালের ভিতরে আপনার আবার কিসের কাজ
মাহিনঃ আমার একটু সমস্যা হচ্ছে আমি একটু ডাক্তার সাথে কথা বলবো আপনি আসেন আমি ডক্টর সাথে কথা বলে আসি
আমিঃ কেন আপনি তো ঠিক আছেন আপনার কি হলো
মাহিনঃ উফফফফ এতো প্রশ্ন করলে কি চলে আপনি জানতো আমি একটু ডাক্তারের সাথে কথা বলে আসি
তারপর আমি আর কিছু না বলে চুপচাপ দোকান থেকে কিছু ফলমূল কিনে নিতে গেলাম আর উনি হসপিটালের ভিতরে প্রবেশ করলেন
মাহিনঃ আসসালামুয়ালাইকুম আঙ্কেল কেমন আছেন
ডক্টর ওমর ঃ এইত বাবা ভালো আছি তুমি কেমন আছ
মাহিনঃ আপনাদের দোয়ায় ভালোই আছি আঙ্কেল আর আমি যে ব্যাপারে এসেছি আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন
ডক্টর উমর : হ্যাঁ বাবা তোমার কথামতো তো সব করলাম এখন রিলিজ নিয়ে তুমি কথা বলতে চাইছো তাই তো
মাহিনঃ হ্যাঁ আর আপনি কিভাবে বুঝতে পারলেন যে আমি রিলিজ নিয়ে কথা বলতে এসেছি
ডক্টর ওমর ঃ না আমার মনে হল তাই বললাম হাহাহাহাহাহা
মাহিনঃ আচ্ছা আঙ্কেল তো আর কত টাকা দিতে হবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে
ডক্টর বেশি না বাবা অল্প কিছু টাকা দিলেই হয়ে যাবে মাত্র 20 হাজার টাকা হলেই এনাফ
মাহিনঃ এই নেন টাকাটা আর এটা গোপনে থাকে যেন এখনো প্রকাশ করার দরকার নেই আমি এখন আসি ভালো থাকবেন
ডক্টর ওমরঃ আচ্ছা বাবা কখনো কোনো সাহায্য লাগলে বলিও যথেষ্ট চেষ্টা করব
মাহিনঃ ধন্যবাদ আঙ্কেল ,,,
আমি দোকান থেকে কিছু ফল মুল নিয়ে আসলাম এসে কেবিনের ভিতরে প্রবেশ করে দেখি আম্মু আর ভাইয়া কথা বলতেছে
আমিঃ তো আমার ভাইয়াটার এখন কেমন লাগতেছে
মিলনঃ জ্বী আপু অনেক ভালো লাগতেছে আমি কবে বাড়ি যাবো
আমিঃ এখন আর বাড়ি যাওয়া হচ্ছে না তোমাকে কয়েক দিন রেস্টে থাকতে হবে নয়তো তুমি বাসায় গিয়ে বাঁদরামো শুরু করে দিবে তখন আবার রোগ বেশি হবে তখন তোমাকে নিয়ে টেনশন করতে হবে তাই তুমি এখানে ধৈর্য ধরে দুই একটা দিন রেস্ট এ থাকো তাহলে আর কখনো তোমার সমস্যা হবে না
মিলনঃ ওকে আমার লক্ষ্মী আপু তুমি যা বলবে আমি তাই শুনবো
আম্মুঃ ফলগুলো আমাকে দে আমি দিয়ে কেটে দেই ওকে
আমিঃ ওকে আম্মু
আম্মুঃ তোকে এইরকম দেখাচ্ছে কেন মা তোর কি কিছু হয়েছে রাতে
আমিঃ আরে আম্মু তুমিও না সবসময় একটু বেশি বেশি ভাবো তাইনা আমার কিছুই হয়নি আমি একদম ঠিক আছি তোমার চোখে তো সবসময় আমাকে সন্দেহ লাগে তাইনা
ammu: আরে তুই সবসময় এরকম ব্যবহার করিস কেন আমার সাথে আমি কি তোকে কিছু জিজ্ঞেস করতে পারি না
আমিঃ আরে আম্মু আমি তো বললাম আমি ঠিক আছি,,
আম্মুঃ আচ্ছা তুই এখন একটু বাসায় যা তো মা
আমিঃ আমি তো একটু আগে আসলাম বাসা থেকে এখন আবার বাসায় যাইতে বলতেছো
আম্মুঃ আরে মা এখন একটু বাসায় যা তুই আমি তোর ভাইয়ের সাথে আছি এখানে সমস্যা হচ্ছে না আমার সব ঠিক আছে দুজন নার্স আছে সবসময় দেখাশুনা করে তুই একটু বাসায় যা বাসা একটু ভালোভাবে গুছিয়ে নিস এ কয়েক দিন থেকে তো বাসায় ভালো রকম কোনো কিছু করা হয় না তুই একটু বাসায় যা
আমিঃ ওকে যাচ্ছি এখন আবার না গেলে কথা শুনতে হবে তোমার নানা ধরণের কথা শুনতে হবে তার থেকে আমি এখন চলে যাই আবার বিকেলে আসবো
আম্মুঃ ওকে যা আর রাস্তায় দেখেশুনে চলাফেরা করিস একটু মা বলা তো যায় না এখনকার বকাটে ছেলে পেলেদের কথা
আমিঃ ওসব নিয়ে তোমাকে একদম টেনশন করতে হবে না আমি আসতেসি তাহলে
তারপর কেবিন থেকে বেরিয়ে ভাবতে লাগলাম কাল থেকে তো বাসায় যাওয়া হয়না আম্মুকেব তো মিথ্যা কথা বললাম এখন একটু বাসায় গিয়ে দেখতে হবে বাসাটা একদম ফাঁকা পড়ে আছে
তারপর আমি বাহিরে গিয়ে দেখি উনি আগের মত গাড়িতে হেলান দিয়ে হেডফোন কানে লাগিয়ে গান গান শুনতেছে
আমাকে বাইরে আসতে দেখে কান থেকে হেডফোন খুলে আমার দিকে এগিয়ে আসলেন
আমিঃ গাড়িতে উঠেন আমার বাসা নিয়ে যান আমাকে
উনি কিছু বললেন না চুপচাপ গাড়িতে বসে গাড়ি চালাতে লাগলেন আর আমি ওনার পাশের সিটে বসে বাইরের দৃশ্য দেখতেছি আর উপভোগ করতেছি
আমিঃ আচ্ছা আপনি তো আমাকে একটি বারের জন্য জিজ্ঞাস করলেন না আমি কেন আপনাকে আমার বাসায় যাইতে বললাম
মাহিনঃ আমার এখানে প্রশ্ন করার কি আছে আপনি বাসা যাইতে চাইতেছে না আমিও আপনাকে বাসায় নিয়ে যাইতেছি
আমিঃ তাও জিজ্ঞেস করবেন না কেন বাসায় যাচ্ছি
মাহিনঃ আমার না এখনো কোনো কথা বলতে ইচ্ছা করতেছে না একটু চুপ থাকবেন,,
তারপর দুজনের মাঝে নীরবতা চুপচাপ গাড়ি চলতে লাগল আমাদের দুজনের মাঝে কোন কথাবাত্রা হয়নি কিছুক্ষণ পর আমরা আমাদের বাসায় পৌঁছে গেলাম
আমিঃ নেমে বাসার ভিতরে আসেন
মাহিনঃ না আমি গাড়িতে আছি আপনি যান ভিতরে যান আমি গাড়িতে বসে আছি
আমিঃ আমার এখন কোথাও যাচ্ছি না এখানে থাকতে হবে কিছুক্ষণ তারপর হসপিটালে যাব তাই বলতেছি এখন বাসায় আসেন
তারপরও উনি নেমে সোজা হয় আমার পিছু পিছু বাসায় আসলেন,,
বাসার ভিতরে প্রবেশ করার পর উনি আমাকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরলেন বুঝতে পারলাম না হঠাৎ এরকম করার কি আছে
উনার ঠোঁট দুটো আমার ঘাড়ে গভীরভাবে বসিয়ে দিলেন,, এবং একের পর এক কিস করতে লাগলেন
উনি আমাকে ঘুরিয়ে আমার ঠোঁট জোড়া উনার ঠোঁট দিয়ে আঁকড়ে ধরলেন
আমি শুধু অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি ছি এসব কি হচ্ছে এতক্ষণ তো ভালোই ছিল এখন আবার কি হলো ওনার
উনি হঠাৎ করে ওনার হাত দিয়ে আমার পেটে স্লাইড করতে লাগলেন
চলবে......
পরিশেষে স্বামী-স্ত্রী
উনার ঠোঁট দুটো আমার ঘাড়ে গভীরভাবে বসিয়ে দিলেন,, এবং একের পর এক কিস করতে লাগলেন
উনি আমাকে ঘুরিয়ে আমার ঠোঁট জোড়া উনার ঠোঁট দিয়ে আঁকড়ে ধরলেন
আমি শুধু অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি ছি এসব কি হচ্ছে এতক্ষণ তো ভালোই ছিল এখন আবার কি হলো ওনার
উনি হঠাৎ করে ওনার হাত দিয়ে আমার পেটে স্লাইড করতে লাগলেন
আমিঃ আপনি ঠিক আছেন তো নাকি এ সব কি করতেছেন
আমার কথা মনে হয় উনার মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে তাই কোন রেসপন্স দিচ্ছে না আমার কথায় উনি ওনার মত সব কাজ করে চলছে
আমার খুব বিরক্ত লাগছে কিছু বলতে পারতেছি না,,, সইতে ও পারতেছি না এমন অবস্থায় পড়ে গেছি না পারি ধরতে না পারি ছাড়তে
আমি আর সহ্য করতে না পেরে জোড়ে একটা ধাক্কা দিলাম আর আমার ধাক্কায় টাল সামলাতে না পেরে নিচে পড়ে গেলেন
উনি মনে হয় এতক্ষণ একটা ঘোরের মাঝে ছিলেন আমার ধাক্কা খেয়ে উনি একটু সোজা হয়ে দাঁড়ালেন এবং মাথাটা নীচু করে ফ্লোরের দিকে তাকিয়ে আছে আমার দিকে তাকাচ্ছেন না ব্যাপারটা বুঝলামনা ওনার হয়েছেটা কি
আমিঃ আপনি ঠিক আছেন তো নাকি আপনার কি কিছু হয়েছে আমাকে একটু শেয়ার করবেন
মাহিনঃ হ্যাঁ আমি একদম ঠিক আছি আমার কিছু হয়নি
আমিঃ তাহলে হঠাৎ করে এরকম অদ্ভুত কান্ড করার কি আছে
মাহিনঃ আসলে
আমিঃ কি আসলে বলতেছেন আপনার হয়েছে টা কি আমাকে বলবেন একটু নাকি আমাকে বলা যায় না আপনার কি হয়েছে আর আমি তো আপনার সম্পর্কে কিছুই জানিনা আজ পর্যন্ত শুধু আপনার নামটা জানি আর কিছু জানি না
মাহিনঃ সময় হলে সব জানতে পারবেন এখন কি করতে এসেছেন সেই কাজগুলো তাড়াতাড়ি করে নিন
আমিঃ আপনাকে আমি কোনদিনও বুঝতে পারব না আমি বুঝে গেছি যে আপনি কখন কি করবেন সেটা আমার ধারনার বাইরে থাকবে আপনাকে বোঝা বড় দায়
মাহিনঃ আরে সেরকম কিছু না এখন বলুন আমাকে কিছু হেল্প করতে হবে করতে হলে করি না হলে আমি গাড়িতে গিয়ে বসে থাকি
আমিঃ পা ভেঙ্গে হাতে ধরিয়ে দেবো এক পা এখান থেকে নরলে আমি কি আপনাকে বলতেছি যে আপনাকে আমাকে সাহায্য করতে হবে না আপনি গাড়িতে গিয়ে বসে থাকেন এত গাড়ি গাড়ি করেন কেন গাড়িতে কি আপনার বউ আছে নাকি গাড়িতে যে গাড়ি ছাড়া আপনার কিছু ভালো লাগেনা
মাহিনঃ আর এসব কি বলতেছেন আপনার কি মাথা গেছে নাকি গাড়িতে বউ থাকবে মনে
আমিঃ তাহলে গাড়ি কি আপনার চোরে নিয়ে যাবে যে গাড়িকে সব সময় চোখে চোখে রাখতে হবে আপনার কোটি কোটি টাকা দামের গাড়ি হারিয়ে গেলে আর কিনতে পারবেন না তাই তো
নাকি আমাদের গরিব ঘরে আপনার মন টিকছে না আচ্ছা তাহলে গাড়িতে গিয়ে বসে থাকেন
মাহিনঃ আপনি না সব সময় বেশি বোঝেন যার ফলে আমার রাগটাই আমি কন্ট্রোল করতে পারি না বুঝছেন
আমিঃ আপনার রাগ ধুয়ে আপনি পানি খান আপনার রাগকে আর আমি ভয় পাই না বুঝছেন মিস্টার এখন আপনি আমাকে হেল্প করবেন আমি যেটা বলবো সেটাই করতে হবে নয়তো পা ভেঙ্গে হাতে ধরিয়ে দেবো
মাহিনঃ এসব কি কথা বাত্রা হচ্ছে আমার কিন্তু
আমিঃ আমাকে একটু আদর করতে ইচ্ছা করতেছে করেন এই যে আমি আপনার সামনে এগিয়ে আসলাম নেন যেটা ইচ্ছে করে নেন
মাহিনঃ উফফফফ আচ্ছা সব বাদ দেন এখন বলেন কি করতে এখানে এসেছি আমরা
আমিঃ কালকে রাতে চোর ঢুকে ছিল কিনা তাই একটু দেখবো আর অনেকদিন থেকে ঘর গোছগাছ করা হয় না ঘর গুলো একটু গোছগাছ করব ভালোভাবে পরিষ্কার করব দেন গোসল করব তারপর নাস্তা করব তারপর একটু আড্ডা দেবো তারপর হসপিটালে যাব
মাহিনঃ চুরে আর কি আর নিয়ে যাবে বলেন যদি কিছু নিয়ে গিয়ে ত থাকে তো আমি এনে দিচ্ছি
আমিঃ থাক আমি ভালো করে জানি আপনার অনেক টাকা আছে এখন দেখি আমার বাসায় কি কি আছে না নাই আর আপনাকে অযথা টাকা খরচ করতে হয় না আমার টাকা আছে আমি কিনে আনতে পারব আর আমার বাসায় তেমন কোনো দামি জিনিস নাই যেটা চলে নিয়ে যাবে এখন আমার সাথে সাথে আসুন একটু ঘর গুলো দেখি
মাহিনঃ আচ্ছা আপনি এরকম কোটা মার্কা কথা বলেন কে সবসময় আমাকে বুঝি না একটু ভালোভাবে কথা বলেন আমি তো ভালোভাবে কথা বলতে চাই আপনার সাথে
আমিঃ ওর। চোরের মায়ের বড় গলা আপনার কথা আমার মাথা ঘুরাইতাছে
মাহিনঃ উফফফফ আপনি এসব কি আজব ধরনের কথাবার্তা বলেন না মাঝে মাঝে আমি কিছুই বুঝতে পারিনা
আমিঃ ওকে আপনাকে কিছুই বুঝতে হবে না এখন আমার সাথে আসেন ঘরগুলো গোছাতে হবে আপনি আমাকে সাহায্য করবেন বিছানার গুছিয়ে তার পর রুম ঝাড়ু দিতে তারপর কাপড় চোপড় গুছিয়ে রাখতে সব কিছুতেই হেল্প করবেন চলেন
মাহিনঃ জো আজ্ঞা মহারানী
তারপর ওনাকে সাথে করে একটা রুমে প্রবেশ করলাম রুমে প্রবেশ করে দেখি সবকিছু অগোছালো হয়ে পড়ে আছে কোন কিছু গোছালো নেই
এই যে আপনি বিছানাটা গুছিনো শুরু করে দেন আর আমি কাপড় গুলো গুছিয়ে রাখি
আমার বলা কথামতো উনি বিছানায় গোছাতে গেলেন কিন্তু দেখতে পাচ্ছে উনি ভালোমতো গোছাতে পারতেছে না হয়তো কোনদিন এরকম কাজ করেনি আজকে প্রথম করতেছে
উনার কান্ড দেখে আমার খুব হাসি হচ্ছে অনেকবার এটা করতেছে ওটা করতেছে কিন্তু গোছাতে পারতেছে না শেষমেষ আমার দিকে অসহায় দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল
আমিঃ কি পাচ্ছেন না তাইতো আপনার দ্বারা কিছুই করা সম্ভব না শুধু আপনি রাগ করে উল্টাপাল্টা কাজেই করতে পারবেন তাছাড়া অন্য কোন কাজ হবে না আপনার দ্বারা বুঝতে পারছেন এখন আপনি
মাহিনঃ আরে বাবা এতো ঝাড়ি দেওয়ার কি আছে আমিতো চেষ্টা করলাম কিন্তু পারলাম না আমি তো এত বড় হয়েছি এখন ঐসব কাজ করিনি সব কাজ আম্মু করে দেয় নত বুয়া এসে করে দেয়
আমিঃ সেটাই তো বললাম আপনাকে দিয়ে আমার কোন কাজই হবে না বুঝছেন
আমিঃ এই যে দেখুন এই ভাবেই এইসব কাজ করতে হয় দেখে দেখে শিখে নিন ভবিষ্যতে কাজে লাগবে আপনার যে বউ হয়ে আসবে তাকে একটু সাহায্য করতে পারবেন
মাহিনঃ আমার ভবিষ্যতে বউ মানে বুঝলাম না কথাটা
আমিঃ এসব নিয়ে আমি এখন কোন কথা বলতে চাচ্ছি না এখন যেটা কাজ করতে এসেছি আমি সেটাই করি
তারপর কিছু বললেন না চুপচাপ আমার সাথে আমাকে হেল্প করতে লাগলেন এক এক করে তিনটা রুম ছিল 3: টাই গুছিয়ে রাখলাম
সব রুম গোছ গাছ করে দুজনে প্রায় ক্লান্ত হয়ে গেছি তাই শেষ রুমটা ভালো করে গুছিয়ে দুজনে বিছানায় গা এলিয়ে দিলাম
বিছানায় শুয়ে দুজনেই জোরে জোরে নিঃশ্বাস নিচ্ছে আমি হঠাৎ করে ওর দিকে আড়চোখে তাকিয়ে দেখি উনি আমার দিকে হা করে তাকিয়ে বুঝতে পারলাম না এভাবে তাকিয়ে থাকার কারণ কি
হঠাৎ করে দেখলাম আমার ওরনা নেই তাড়াহুড়ো করে ওরনা টা ঠিক করে ওনার মাথায় একটা চাটি মারলাম
মাহিনঃ উফফফফ এটা কি হলো আমি আপনাকে এত সাহায্য করলাম তার বদলে অন্য কিছু নয় মাইর পেলাম এটা কিন্তু ঠিক হল না
আমিঃ আপনি অন্য কিছুর যোগ্য না শুধু মাইর খাওয়ার যোগ্য
মাহিনঃ এখন আবার কি করতে হবে
আমিঃ কেন হাঁপিয়ে গেছেন নাকি আপনি না পুরুষ কোন কাজের না বুঝতে পারছেন
মাহিনঃ মানে কি বুঝাতে চাচ্ছেন আপনি
আমিঃ কচু





মাহিনঃ 







আমিঃ এই না না এখন রাগে আবার কিছু করিয়েন না





মাহিনঃ কেন করলে কি হবে



আমিঃ প্লিজ না না
তারপর উনি আমার কোন কথা না শুনেই একটা অঘটন ঘটিয়ে ফেললেন
চলবে ...
পরিশেষে স্বামী স্ত্রী
পর্বঃ১২
দেখেন এখন এসব কিছু হচ্ছে না এখন তাড়াতাড়ি উঠেন আর আমি রুম গুলা ঝাড়ু দেবো
মাহিনঃ উফফফফ সব সময় এত কাজ কাজ কাজ কাজ করলে কি চলবে
আমিঃ না সারা দিন আপনার সাথে আমি রোমান্স করি তাহলে সুন্দর চলবে তাই না
মাহিনঃ আপনি এত আনরোমান্টিক কেন বলেন তো আমার মতো রোমান্টিক হতে পারেন না
আমিঃ আমার আর খেয়ে দেয়ে কাজ নাই রোমান্টিক হই আমি,,,,আপনি থাকেন আপনার মত বেয়াদব,,,, 

বেয়াদব কথা ভাবলেই জিভে কামড় দিলাম এটা আমি কি বললাম ধুর
মাহিনঃ আচ্ছা জান তাহলে আপনি আপনার কাজগুলো সেরে আসেন আমি একটু রেস্ট নেই আমার কিছু ভালো লাগতেছে না
আমিঃ একা একা শুয়ে থাকলে আরো খারাপ লাগবে এর থেকে ভালো আপনি আমার সাথে সাথে আসুন তাহলে দুজনে গল্প করতে করতে কাজ গুলো করবো আমার কাজ করতে ভালো লাগবে আর আপনার খারাপ মনটা ভালো হয়ে যাবে
মাহিনঃ আমার মন খারাপ তাতে আপনার সমস্যা কি আমার মন খারাপ থাক,, তাই ভালো আপনি তো সেটাই চান আমার মন সারা দিন খারাপ থাক, আমি আপনার সাথে কথা না বলি বা আমি আপনাকে ডিস্টার্ব না করি আপনি এটাই তো চান তাই না?
আমিঃ দেখেন এরকম ছোট বাচ্চাদের মতো বারবার ঝগড়া লাগাবেন না আমার সাথে প্লিজ ;!
মাহিনঃ নিজের ছোট বাচ্চা আমাকে বলে ছোট বাচ্চা ""
আমিঃ আমাকে কোন দিক থেকে আপনার ছোট বাচ্চা মনে হয় বলুনতো 

মাহিনঃ তাহলে আমাকে আপনার কোন দিক থেকে ছোট বাচ্চা মনে হয় 

আমিঃ উফফফ আপনি এত ঝগড়া শিখেছেন কোথা থেকে 

মাহিনঃ আপনার থেকেই শিখতেছি আস্তে আস্তে বুঝতে পারছেন ম্যাডাম 

আমিঃ তাহলে আমি আপনার শিক্ষক তাইতো তাহলে শিক্ষককে এখন থেকে সম্মান দিয়ে কথা বলবেন বুঝতে পারতেছেন 

মাহিনঃ আচ্ছা ম্যাডাম দিবনি অনেক অনেক সম্মান দেবো এখন চলেন এরকম ঝগড়া করলে আপনার বাসার কাজ কিছুই হবে না 

তারপর অনেক খুন ছুটি চললো আমাদের মাঝে খুনসুটির সাথে সাথে আমাদের কাজও শেষ হয়ে গেল বাসা একদম পরিষ্কার করে ফেললাম দুজনে 

এখন বাজলো আরেক ঝামেলা উনি নাকি টিউবওয়েলে গোসল করতে পারেন না,, এখন পরলাম আমি মহাবিপদে এত বড় মানুষটি বলে কিভাবে গোসল করতে হয় তা নাকি জানেনা 

মনডা চাইতাছে মাথায় তুলে একটা আছাড় দিয়ে মেরে ফেলি

সব ঝামেলা এখান থেকেই শেষ হয়ে যাবে কিন্তু দুঃখের বিষয় আমার অতটা শক্তি নেই যে ওনাকে মাথার উপর তুলে নিচে ফেলে দিব





আমিঃ আচ্ছা আপনি এত বড় হয়েছেন কিভাবে বলুন তো আমি একটু শুনি
মাহিনঃ কি আজব মার্কা প্রশ্ন করতেছেন আপনি যেভাবে বড় হয়েছেন দিনে দিনে আমিও ঠিক সেইভাবে বড় হয়েছি 

আমিঃ তাহলে আমি টিউব ওয়েল গোসল করতে পারলে আপনি পারেন না কেন 

মাহিনঃ সেটা আমাকে জিজ্ঞেস না করে আমার আম্মুকে জিজ্ঞেস করে নিজে 

আমিঃ মানে

মাহিনঃ আমার আম্মু কেন আমাকে টিউব ওয়েলে গোসল করায়নি আমি বড় হয়েছি টিউব অয়েল কোন দিন গোসল করিনি 

আমিঃ ও মোর আল্লাহ তুমি উপর থেকে দড়ি ফালাও মুই এহান থেকে উপরে ওঠা যায় 

তারপর অনেক কষ্ট করে বালতিতে পানি তুলে ওনাকে গোসল করিয়ে দিলাম ,, আমি এই প্রথম কোনো পুরুষ মানুষকে গোসল করিয়ে দিলাম লজ্জা লজ্জা লাগতে ছিল,, কিন্তু কিছু করার নাই লজ্জার মাথা খেয়ে গোসলটা করিয়ে দিলাম 



আমিঃ এই যে আপনার গোসল করানো শেষ এখন আপনি রুমে গিয়ে আপনার জামা কাপড় গুলো পড়ে নেন আমি এখন গোসল করব 



মাহিনঃ এটা আবার কেমন কথা আপনি আমার গোসল করানো দেখলেন আমি আপনার গোসল করানো দেখব না এটা কেমন কথা 





আমিঃ কিইইইইইইইইওঅঅঅঅ



মাহিনঃ এত চিৎকার করার কি আছে আমিতো সাধারণ একটা কথা বললাম তার জন্য এত রেগে যাওয়ার কি আছে বাবা চিৎকার করার কি আছে 

আমিঃ আপনার কাছে খুব সাধারন মনে হচ্ছে কিন্তু আমার কাছে অনেক কঠিন মনে হচ্ছে তাই আমি চিৎকার করছি আর আপনি এখন বাহিরে যাবেন এটাই ফাইনাল 

মাহিনঃ যদি বাহিরে না যাই তাহলে 

আমিঃ প্লিজ আমি আপনানার পায়ে পড়ি আপনি এখন বাইরে যান আমাকে শান্তি মত গোসল করতে দেন

মাহিনঃ আমি বাহিরে যাচ্ছি না যেতে পারি তবে আমার একটা শর্ত আছে যদি শর্ত পালন করতে পারেন তাহলে বাহিরে যাব আমি 



আমিঃ উফফফফ এখন আবার কিসের শর্ত লাগাবেন,,,আচ্ছা বলেন শুনি যদি মনের মত হয় তাহলে মানবো না হলে আজকে গোসল করব না 

মাহিনঃ আমাকে এখন একটা পাপ্পি দিতে হবে এবং সেটা ঠোটে

আমিঃ না এটা আমার পক্ষে কখনোই সম্ভব হবেনা এর থেকে আমি গোসল না করে চলেন বাইরে চলেন

মাহিনঃ যদি গোসল না করেন তাহলে পাঁচটা পাপ্পি দিতে হবে 



আমিঃ কিইইইইওঅঅঅঅ

মাহিনঃ জিইইইইইইইইই

আমিঃ এটা কেমন কথা গোসল করলে একটা গোসল না করলে পাঁচটা আজব ধরনের কথাবার্তা বাদ দিয়ে আপনি এখান থেকে চলে যান 

মাহিনঃ আমি কোথাও যাচ্ছি না এখন যদি রাজি থাকেন তো বলেন কোনটা করবেন আপনার ইচ্ছা একটা না 5 টা 



উফফফফ কী মহা ঝামেলায় পড়ে গেলাম রে বাবা এইরকম তারা মানুষ আমি জীবনে কখনো দেখিনি 

মাহিনঃ এত কি ভাবতেছেন কোনটা করবেন

আমিঃ আচ্ছা এখান পাপ্পি দিব কিন্তু পাপ্পি পাওয়ার পর আমার দিকে না তাকিয়ে বাহিরে চলে যেতে হবে 

মাহিনঃ ওকে

তারপর লজ্জা শরমের মাথা খেয়ে উনার ঠোঁটের মধ্যে আমার ঠোঁটদুটো ঢুকিয়ে দিলাম এবং কেমন জানি একটা অনুভূতি ফিল হচ্ছে এর আগে যেটা কখনো ফিল হয়নি আজকে কেন জানি হচ্ছে 

কিছুক্ষণ পর ঝটপট করে অনেক ঠোঁট থেকে আমার ঠোঁট টা সরিয়ে নিলাম এমনি এমনি অন্যদিকে ঘুরে তাকালাম উনি বাইরে চলে গেলেন একটা মুচকি হাসি দিয়া 

তারপর আমি গোসল শেষ করে বাইরে আসলাম বাহিরে এসে দেখি উনি সবকিছু পড়ে রেডি আছেন হয়তো এখন যাওয়ার জন্য রেডী হচ্ছে 

আমিঃ একই আপনি সব দেখি পরে রেডি হয়েছেন কোথাও যাচ্ছেন নাকি 

মাহিনঃ কোথাও যাচ্ছেন নাকি মানে আপনি যাচ্ছেন না 

আমিঃ মাত্র গোসল শেষ করলাম কিছু খাওয়া দাওয়া করি তারপর একটু রেস্ট নিয়ে তারপর যাবো 

মাহিনঃ আজকে বাসায় এখনও খাওয়া দাওয়া হচ্ছে না আমরা রেস্টুরেন্টে গিয়ে খেয়ে নেব তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে বেরিয়ে আসে 

আমিঃ এই না টাকা খরচ করার কি দরকার আমরা তো বাসায় রান্না করে খেতে পারি তাইনা 

মাহিনঃ টাকা খরচ করার কি দরকার নাই 

আমিঃ আচ্ছা আমি যাচ্ছি খুব তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে আসতেছি আপনি একটু বসেন 

এখন আর ঝগড়া করার কোন ইচ্ছা নাই কিছু বললেই ঝগড়া লেগে যাবে তাই যেমন আছি তেমন থাকাই ভালো
তারপর আমি রুমে গিয়ে কাপড় গুলো চেঞ্জ করলাম
নীল রঙের একটা জামা পড়লাম কপালে টিপ দিলাম হাল্কা সাজলাম
তারপর রুম থেকে বেরিয়ে আসলাম
রুম থেকে বেরিয়ে আমি যাই ওনার কাছে আসলাম মনে যেটা করলেন আমার সাথে আমি কখনোই ভাবতে পারিনি উনি এরকম কাজ টা আমার সাথে এখন করবে
চলবে...