Caring Wife
writer. moyej uddin
নতুন বিয়ে করেছি, মনে হয় কোনো টাইম সিডিউল কে বিয়ে করছি। সবকিছু তার কথা মতো হতে হবে।
সকালে কখন উঠবো?? কি খাবো??
বিশ্বাস হচ্ছে না আপনাদের???
দেখুন অবস্থা.....
-এই ওঠো ওঠো(জান্নাত)
-না পরে।(আমি)
-এহহহ বল্লেই হলো, আমার রুটিন মোতাবেক তুমি প্রতিদিন ৬ টায় উঠবা আর ১ ঘন্টা হাটবা
-আমার কি ডায়াবেটিস হইছে??
-না তবে হতেও তো পারে, তাই না??
-যে শুকনো শরীর আমার ডায়াবেটিস হবে না তুমি টেনশন করো না।
-তুই উঠবি কি না???(রেগে গেলে জান্নাত তুই করেই বলে,কারন সে আমার ১ বছর এর বড়। বাবা মার পছন্দ না, বিয়ে করছি আমার পছন্দে)
-এই যে উঠছি তো, এমন করেন কেনো??(ভয়ে)
-হুমমম এখন যাবি ঠিক ১ ঘন্টা পর আসবি।
-এভাবে কেউ বরের সাথে কথা বলে??(রাগ করে)
-ওলে বাবা লে বলতা (বরটা) দেকি লাগ (রাগ) করছে।
-যাচ্ছি আর ফিরবো না।
-সেটা তো প্রতিদিন ই বলেন। কই একদিন তো দেরি করে আসতে দেখলাম না। সেই ঠিক সময়ে আসেন। আর এখন যান আমি রান্না করছি কেমন!
-ওকে
ধুররর প্রতিদিন সকাল সকাল ভাল লাগে না। ১ ঘন্টা পর যখন বাড়ি ফিরলাম....
-আসছো??(জান্নাত)
-হুমমম
-যাও গোসল করে আসো আমি খাবার রেডি করছি
-হুমম যাচ্ছি।
-২০ মিনিট সময় দেরী যেন না হয়
-ওকে ওকে
গোসল শেষ করে। খাওয়া দাওয়া হলো।
-তো ম্যাডাম আসি(আমি অফিস যাচ্ছি)
-হ্যা দেখে যাবে। আর এই যা মাস্ক নাও, রাস্তায় ধুলো অনেক এটা ব্যাবহার করবে।
-হুমমম আর কিছু বলবেন??
-হ্যা। দুপুরের খাওয়া সময় মতো খাবে। আর কাজ শেষে সঠিক সময়ে বাড়ি ফিরবেন মনে যেনো থাকে।
-হুমম বাই তাহলে
-ওকে বাই
হুহ ভেজাল যত্তসব,এটা মেয়ে না আর কিছু ধ্যাত....
অফিস টাইমে তো ঘন্টায় ঘন্টায় ফোন দিবে, তারপর কত রকমের আদেশ, কোনো মেয়ের সাথে কথা বলা যাবে না। আমার মোবাইলে কোনো মেয়ের নাম্বার সেভ করে রাখা যাবে না।
এভাবেই চলছিল....
একদিন একটা মেয়ে(অফিসের বস ফোন দেয়, তার নাম্বার মুখস্থ রাখছি সেভ করি নাই,কারন ওই যে উনি দেখলে তো খবর খারাপ করে দিবে)
তো ফোনটা জান্নাত ধরে....
-হ্যালো শুভ সাহেব আছেন??(বস)
-হ্যা আছে আপনি কে??(জান্নাত)
-আমি রাবে....(বলার আগেই ফোনটা কেটে দেয় জান্নাত)
আমি তো প্রতিদিন এর মতো সকালে হাটতে বের হইছি...বাড়ি ফিরে দেখি ম্যাডম গাল ফুলিয়ে বসে আছে..
-কি ব্যাপার ম্যাডম এর মন খারাপ কেনো??
-তোর কোন মেয়ের সাথে সম্পর্ক আছে??
-ছি ছি কি বলো?? তুমি থাকতে আমি সম্পর্ক করতে যাবো কেনো??
-তাহলে এই নাম্বার থেকে ফোন দিয়ে তোকে খুঁজলো যে..
-দেখি নাম্বার টা
-এই যে
-হাইরে এটা তো বস এর নাম্বার
-আমি যানি না! তোর বস নাকি প্রেমিকা! কয়টা বউ প্রেমিকা লাগে তোর???
-ঠাসসস ঠাসসসসস ঠাসসস ঠাসসসস( দুই গালে চারটা বসিয়ে দিলাম)
-(ও হা করে তাকিয়ে আছে আমার দিকে, চোখে পানি এসে গেছে)
-এটা আমার বস এর নাম্বার। তোর কারনেই বস এর নাম্বার সেভ করতে পারি না।
-......(কোনো কথা নেই)
-তুই কি মনে করিস আমাকে?? আমি খারাপ আমি লুজার?? তুই খারাপ তোর মনে সন্দেহ বেশী। ভালবাসলে তুই এত সন্দেহ করতে পারতি না।
-.....(কোনো কথা বলছে না শুধু চোখ দিয়ে পানি পড়ছে তার)
-তুই থাক আমি অফিসে গেলাম
-খেয়ে যাবে না (কান্না করে)
-তুই খা আমার খাওয়া লাগবে না
-না একটু খেয়ে যাও
-আমার আর একটা ব্যাপার এ তুই নাক গলাবি না, আমার যা ইচ্ছা আমি তাই করবো।
-এই যে মাস্ক টা নিয়ে যাও। বাইরে ধুলো অনেক
-তুই মাস্ক দিয়ে ঘরে বসে থাক। আমার কথা চিন্তা করতে হবে না তোর...
তারপর অফিসে চলে গেলাম। ধুররর মেজাজ টাই খারাপ করে দিছে। বসকে কোনোরকম বুঝিয়ে। সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরলাম..
-আজ এতো তাড়াতাড়ি আসলে যে?(জান্নাত)
-সেটাও কি তোর যানতে হবে??
-না থাক শুনবো না
-নাস্তা করে যাও
-না খাবো না
তারপর সে কিছু বললো না
...
ঘুমানোর সময়
-কিছু খেলে ভালো হতো(জান্নাত আমার পাশে শুয়ে থেকে বলছে)
-বলছি না খাবো না
-একটু খেয়ে নাও(মাথায় হাত দিয়ে)
-এই আমি তোকে বারন করছি আগেই আমার কোনো ব্যাপার এ নাক গলাবি না... আমার যা ইচ্ছা তাই করবো। আর আমাকে এখন টাচ করলি কেন?? সকালে যেন তোর মুখ না দেখি বলে দিলাম.....
-(জান্নাত আর কিছু বলছে না শুধু কান্না করেই চলছে)
-মনে মনে ভাবছি বেশি বেশি হয়ে গেলো মনে হয়। লাস্ট এর কথা টা বলে ভুল করে ফেলছি.....
এখন থাক সকালে রাগ ভাঙ্গাবো নি...
সকাল বেলা
-আহহহহহহহ উমমমমমম....হয় আল্লাহ ৯ টা বাজলো কিভাবে?? আরে জান্নাত তো আমাকে ডেকো দিলো না। জান্নাত কোথায়??
-জান্নাত জান্নাত.... (কয়েকবার ডাকলাম কোনো সারা শব্দ নেই)
।।
Caring Wife
part :2
writer. moyej uddin
আল্লাহ ৯ টা বাজলো কিভাবে??? আরে জান্নাত তো আমাকে ডেকে দিলো না। জান্নাত কোথায়???
-জান্নাত জান্নাত.... (কয়েকবার ডাকলাম কোনো সারা শব্দ নেই)
গেলো কোথায়??? মা মা
ও মা
-কি হইছে কি??
-জান্নাত কোথায়??
-ও তো বাড়ি চলে গেছে। কেনো তুই জানিস না??
-না মানে হ্যা
-হুমমম ওর বাবা অসুস্থ। তুই ওর সাথে যেতে পারলি না??
-ইয়ে মানে আমার কাজ আছে। পড়ে গিয়ে দেখে আসবো।
জান্নাত নিশ্চই মিথ্যা বলেছে। কাল রাতে বকুনী টা একটু বেশি হয়ে গেছে। অফিস শেষে তাহলে শশুর বাড়ি যেতে হবে।
-কি ভাবিস?? (মা)
-না কিছু না। তুমি খাবার দাও আমি আসছি।
-আচ্ছা আয়....
-হুমমম
খাওয়া শেষ করে ফোন দিলাম...
-হ্যালো জান্নাত
-.......(কোনো কথা বলছে না)
-সরি
ফোনটা কেটে দিলো। কপালে যে কি আছে।
কাজ শেষ করে শশুর বাড়ি গেলাম।
যাওয়ার সময় একটা গোলাপ নিয়েছি।কারন রাগ ভাঙ্গাতে হবে তো।
-আসসালামু আলাইকুম বাবা কেমনে আছেন??
-আলহামদুলিল্লাহ। তুমি কেমন আছো?
-আলহামদুলিল্লাহ ভালই আছি
-আরে দুলাভাই যে। কেমন আছেন(শালিকা)
-জ্বি ভালো। তুমি??
-হ্যা ভালো। আম্মা কোথায়??
-এই যে আসছি। কন্ঠ শুনেই বুঝতে পারছি তুমি আসছো। তা তোমার মা কেমন আছে??
-হ্যা মা ভালই আছে।
-তা বেশি আসো না কেনো হুমম
-কাজের অনেক চাপ থাকে তো তাই।
-হুমম তা দুলাভাই আসেন
-কোথায়??
-উপরে আসেন।
-হুমম
-কি হুমম হুমম করছেন?? আসেন আগে আপনার খবর আছে।
-এহহ বলে কি।( নিশ্চই জান্নাত বলে দিয়েছে সব)
এই যে আপু এই ঘরে সকাল থেকে বসে কান্না করছে। কি করবেন করেন। আমি আপনাদের জন্য খাবার নিয়ে আসি।
-হুমমমমমম
-এএএ হুমমমমম(ভেংচি কেটে চলে গেলো।)
জান্নাত শুয়ে আছে। আস্তে আস্তে কান্না করতেছে বোঝা যায়। তার কাছে গেলাম। ও এখনো টের পায় নি যে আমি আসছি।
-এই যে মহারাণী
(বলার সাথে সাথে ঘুরে তাকালো। একবার দেখে আবার বালিশে মুখ গুঁজলো।)
-সরি। আমি বেশি বেশি করে ফেলছি।
-আপনি এখানে আসছেন কেনো?? কে আস্তে বলছে??(জান্নাত)
-আমার শশুর বাড়ি আমি আসছি। কে আবার আসতে বলবে!
-আসতে হবে না যান আপনি
-এভাবে তাড়িয়ে দিচ্ছো। ওকে যাচ্ছি আর আসবো না।
-দাড়ান বলার সাথে সাথে চলে যেতে হবে তাই না???
-তো কি করবো বলেন। আপনি তো...
-কোনো বাহানা শুনতে চাই না আপনার কাছে।
-আচ্ছা।
-চুপ করে বসে থাকেন আমি আসতেছি
-আচ্ছা(খুব নম্র ভাবে বললাম)
একটু পর দেখি অনেক খাবার নিয়ে আসছে। দেখেই তো আমি অবাক
-এত খাবার কার জন্য??
-আপনার জন্য
-কিহহ! আমি আসবো এটা বলেছে কে?
-বলতে হয় না। আমি বুঝি
-তো খাওয়া শুরু করেন
-না
-কেনো??
-কি দিয়ে খাবো??
-হাত দিয়ে খান
-ইচ্ছে করছে না। থাক খাবে না নিয়ে যান।
-আপনার বাহানা আমি বুঝি। আমার হাত দিয়ে খাবেন তাই না???
-জ্বি না।
-তাহলে??
-তাহলে দেখেন কি করি??
(তার হাত ধরে জোর করে পাশে বসালাম।)
-হা করেন(আমি)
-না
-হ করো বলছি
- না খাবো না বলছি তো
-উম্মম্মাহহহহহ। এখন হা করো
(তারপর একটু খেয়ে নিলো। কান্না করতেছে এখন)
-আমি না হয় একটু বেশি বলে ফেলেছি তাই এভাবে না বলে চলে আসতে হবে???(আমি)
-না আসলে আমি....(জান্নাত)
-থাক কিছু বলতে হবে না এখন। এই বলো ভালবাসি। এই তোমার ভালবাসা তাই না??
-না সত্যি আমি ভালবাসি অনেক(জড়িয়ে ধরেছে)
-আচ্ছা তোমার জন্য একটা সারপ্রাইজ আছে(আমি)
-কি??
-আগে দরজা টা লাগিয়ে দিয়ে নেই
-হুমমম
ফুলটা হাতে নিয়ে ওর কাছে গেলাম।
-তোমাকে প্রথম দেখেই ভালবেসে ফেলেছি(আমি)
-বাংলা মুভি দেখে আসছো তাই না
-না। আমি বলছি
-তাই! তাহলে আজ আমাকে প্রথম দেখলে??
-হুমম আমার কাছে তুমি প্রিতটা দিন ই নতুন। মনে হয় আজ ই প্রথম দেখা হলো
-হুমমমমমম
-কি হুমমমম। এখন আমাকে কিছু দাও
-কি দিবো??
-কাল যেটা মিস হয়ে গেছে
-কি মিস হয়ে গেছে??
-জানো না??
-না
-কাল রাতে আমার উপর অনেক রাগ হইছিলো তাই না???
-হুমমমম
-কতো টুকু রাগ হইছিলো
-সেটা পরিমান করা যাবে না
-তো আমাকে কি ক্ষমা করা যায় না
-চুপপপ একদম। বউ এর কাছে স্বামী অনেক বড় কিছু। আমার কাছে মাফ চাইতে হবে না। তবে...
-তবে কি??
-বোঝো না?
-না
-কাল যেটা মিস হইছে ওইটা
-ওহ ওইটা
-হুমম
দাড়াও দেখাচ্ছি.......
কাল কি মিস হয়ে গেছে সেটা ভাবতে থাকুন আর পরবর্তী পার্টের জন্য অপেক্ষা করুন....
।।
।।
Caring Wife
End part
writer. moyej uddin
তবে....(জান্নাত)
-তবে কি???(আমি)
-বোঝো না??
-না
-কাল যে মিস হইছে ওইটা
-ওহ ওইটা
-হুমমম
-দাড়াও দেখাচ্ছি
-কি???
-আরেকটু কাছে আসো
-হুমম তারপর
-তারপর....(যা হয় আরকি)
পরদিন সকাল বেলা..
-রাগ তো পুরোপুরি ভাঙ্গছে তাই না??
-না রাগ আছে শর্ত আছে। মানলে আমি শশুর বাড়ি যাবো। না হলে যাবো না
-এক এক করে সব বলেন শুনি
-হুমমম শোনেন
-না ওয়েট
-আবার কি??
-আমার কাছে এসে বলেন।
-হুমমম
-হ্যা এখন বলেন
-হুমমম আমার আগের রুটিন চালু করতে হবে।
-কিছু পরিবর্তন করলে ভালো হতো
-কোনো পরিবর্তন চলবে না।
-ওকে ওকে তারপর
-বাড়িতে এসে অফিস এর কোনো কাজ করতে পারবা না। এখন যেভাবে নিয়ে শুয়ে আছো। এভাবেই আমাকে সময় দিতে হবে
-কোনো কোনো সময় তো কাজ থাকবেই।
-সেটা বিবেচ্য বিষয়
-হুমমম তারপর
-এখন যে বাড়িতে আছেন। মানে আমার বাবার বাড়ি। এখানে যখন বলবো নিয়ে আসতে হবে।
-আর??
-মাঝে শপিং ঘুরতে যাওয়া এগুলো তো আছেই।
-ওহহ আর কিছু আছে??
-হুমম আর একটা আছে
-কি??
-প্রিতিদিন একই ধরনের রোমান্স করতে পারবো না। নতুন নতুন রোমান্স করতে হবে
-হ আমি তো নায়ক(মনে মনে)
-কিছু বললে
-না তো
-ওহ হ্যা এইরকম ফিস ফিস করে কথা বলা যাবে না। আমার বিরক্ত লাগে।
-বলা শেষ??
-হুমম আপাদত শেষ
-হুমমমম
-এখন বলো এগুলো কথা রাখতে পারবে কি না??
-ভাবছি
-কি ভাবছো
-ওকে আমি কিছু সময় নিলাম। সকালের নাস্তার পর বলি।
-ওকে। তাহলে নাস্তা করে নেই
খাবার টেবিলে....
-এই এই আরেকটা কথা মনে পড়ছে
-আরও আছে??
-হুমমমম
-বলো
-মাঝে মাঝে আমাকে রান্না করে খাওয়াতে হবে।
-হুমমমমম অবশ্যই তোমাকে রান্না করে খাওয়াবো নাতো কাকে রান্না করে খাওয়াবো বলো(দাত কটমট করে বললাম)
-হুমম তাই তো। তুমি তো আমার গুলুমুলু
-হুমম গুলুমুলু
-এখন খাও
-ওকে বাবু
(মনে মনে ভাবছি আমার পছন্দে বিয়ে করে আজ এই অবস্থা।)
-কিছু ভাবছো??
-না তো
-তাহলে বসে আছো কেনো?? খাও
-ওহ হ্যা খাচ্ছি তো(একটু হেসে)
খাওয়া শেষে রুমে গেলাম।
জান্নাত তার কাপড় গোছাচ্ছে..
-এই শুনছো??(জান্নাত)
-হ্যা বলো
-এদিকে আসো
-হুমমমম
-এগুলো গুছিয়ে দাও
-আমাকেই দিতে হবে??
-হুমমম দাও।
-এই যে নাও(গুছিয়ে দিলাম)
//
-তো চলো এখন (জান্নাত)
-না তুই থাক তোর যাওয়া লাগবে না
-এভাবে কথা বলছো কেনো??
-তুই তোর শর্ত স্বপ্ন ইচ্ছা নিয়ে থাক। তোর যাওয়া লাগবে না
-তুমি কি....
-চোপপপ। থাক তুই। একটা কথাও বলবি না। এহহহ শর্ত নিয়ে আসছে।তোর শর্ত অন্য কাউকে গিয়ে বল আমাকে না। বুঝছিস....(এই বলে ব্যাগ হাতে চলে গেলাম সেখান থেকে)
-জান্নাত হা করে তাকিয়ে যাওয়া দেখছে। কিছু বলতে পারছে না। জান্নাত ভাবছে তাহলে কি তার ইচ্ছা গুলে ভুল ছিলো??? এটা ভেবে সে বিছানায় বালিশে মুখ গুঁজে কান্না করছে..........
-এই ওঠো(তাকিয়ে দেখে আমি)
-আহহহহ তুমি আবার এখানে কেনো। এই না বললে নিয়ে যাবে না
-আরে গাধি আমি হিসু দিতে গিয়েছিলাম। সেখানে কি তেমাকে নিয়ে যাওয়া যাবে??
-না। তবে বললে যে আমার স্বপ্ন শর্ত ইচ্ছা আমার কাছেই থাক..
-হ্যা ওগুলো নিয়ে কি বাথরুমে যাওয়া যাবে??
-না।
-তাই বলে এভাবে কান্না করতে হবে?? ছি ছি ছি। তুমি ভাবলে কিভাবে তোমাকে রেখে চলে যাবো?? তুমি তোহ আমার সব তোমার ইচ্ছা গুলো তো আমারই ইচ্ছা তাই না...
জান্নাত জড়িয়ে ধরে জোরে জোরে কান্না করছে......
ও ভাবছে আমি ওর উপর রাগ করছি। ওর কোনো ইচ্ছা আমি মেনে নিবো না। কিন্তু পাগলি জানে না যে ওর ইচ্ছা গুলো আমার কাছে কতো দামি......
-কান্না থামাও চলো এখন
-না আরেকটু
-আরেকটু!
-হুমমম
-ওকে কান্না করে ভিজিয়ে দাও তবে দেখো নাকের ওটা যেনো শার্টের সাথে না লাগে.......ছোট্ট খুকি তো তুমি। একটুতেই বেরিয়ে আসে ওটা...
-শয়তান.......
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,END,,,,,,,,,,,,,,,,,,
No comments:
Post a Comment