Showing posts with label রাগী খালাতো ভাই যখন বর. Show all posts
Showing posts with label রাগী খালাতো ভাই যখন বর. Show all posts

24.2.24

রাগী খালাতো ভাই যখন বর

 রাগী খালাতোভাই যখন বর

&& মাহমুদ
পার্ট --১
@@@@@@@@@@@@@@@@
কীরে শরীর দেখাতে চাস,,,,,,তো এখানে কী করছিস,,,,,,গলিতো যা অনেক এ আছে,,,,,ভার্সিটির পরিবেশটা নষ্ট করিস না,,,,অবশ্য তোদের মতো মেয়েরা এ ছারা আর কী বা পারে,,,,,,😠😠
হঠাৎ এমন কথা শুনে পিছনে তাকালম,,,,,,দেখলাম শুভ্র ভাইয়া কথাটা বলছে,,,,,,নিজের চোখকেউ বিশ্বাস করতে পারছিলাম না,,,,,তাই কান্না করে দিলাম,,,,
(আমি শিশির আর যে আমাকে এতো গুলো কথা বললো সে শুভ্র ভাইয়া,,,উনি আমার খালাতো ভাই,,,ছোট বেলাই মা বাবা দূর্ঘটনায় মারা যায়,,,,,তার পর থেকেই আমি খালামুনি দের বাসাতে থাকি,,,,,
খালামুনি আর খালি আমাকে নিজের মেয়ের মতোই মানুষ করছে,,,,,,,,,,কারণ তাদের কোনো মেয়ে নাই,,,,,,,আমি এবার অনার্স ১ম বর্ষরে,,,,আর শুভ্র ভাইয়া ফাইনাল ইয়ারে
কীন্তু কোনো এক কারণে শুভ্র ভাইয়া আমাকে পছন্দ করে না,,,,,,,কেনো করে না সেটা আমি আজ ও জানি না,,,,,,)
এই একদম নেকা কান্না করবি না,,,,,,নিজের উড়না যখন শরীল এ রাখতে পারিস না,,,,তখন পরিস কেনো,,,,,😈😈
শুভ্র ভাইয়ার কথা শুনে নিজের দিকে তাকালাম,,,,,আর দেখলাম,,,,,উড়নাটা সরে গেছে,,,,,,,
আসলে ভাইয়া আমি খেয়াল করিনি,,,,,,,,😥
চুপ একদম চুপ আর একটা কথা বললে গাল লাল করে দেবো বেয়াদব মেয়ে😠😠😠
শুভ্র থাক ছেরে দে বুজতে পারেনি,,,,,আর বকা বকি করিস না,,,,,(কথাটা রাকিব ভাইয়া বললো,,,,,,,,,,শুভ্র ভাইয়ার বন্ধু)
শিশির তুমি ক্লাস এ যাও,,,,,,
আর এম মূহুর্ত ওখানে দারালাম না,,,,,ক্লাস এ চলে আসলাম,,,,,একটা ক্লাস করে বাড়িতে চলে আসলাম,,,,ভালো লাগছিলো না ক্লাস করতে,,,
কীরে মা আজ এতো তারা তারি চলে আসলি,,,,,,,
শরীল ঠিক আছে তো,,,,,😮😮
খালামুনি আমি ঠিক আছি,,,,,কীছু হয়নি এমনি ক্লাস করতে ভালো লাগছিলো না তাই চলে আসলা,,,,,,
ওও আচ্ছা যা তুই ফ্রেস হয়ে নে আমি খাবার দিচ্ছি,,,,খেয়ে একটু ঘুমা ঠিক হয়ে যাবে,,,,,
ঠিক আছে খালামুনি,,,,বলে রুমে চলে আসলাম,,,,,,খাওয়া দাওয়া করে সুয়ে থেকে ফোন ঘাটছিলাম,,,,,,,,,,
এমন সময় একটা অচেনা আইডি থেকে এসএমএস আসলো,,,,,
ছেলেটা:hi,,,,🤗
আমি:hi.....
কেমন আছো??
ভালো আপনি?
ভালো,,, তো আজ ক্লাস না করেই চলে গেলে কেনো???
জানো তোমাকে কতো মিস করছিলাম🙄রিপ্লে দিতে যাবো,,,,তখন দেখি আমাকে আমার আইডি থেকে লাথি দিয়ে বের করে দিলো😥
অনেক চেষ্টা করেও আর ঠুকতে পারলাম না বুজতে পারলাম না কী হলো এটা,,তাই ঘুমিয়ে গেলাম,,
শুভ্র ভাইয়ার চিৎকারে ঘুম থেকে উঠলাম,
উঠে দেখি বিকাল ৪:০০ টা বাজে,
এর মাঝেই শুভ্র ভাইয়া আবার ডাকালো
শিশিররররররররররররররর
দৌড়ে ভাইয়ার কাছে গেলাম,, গিয়ে দেখি খালামুনিও সেখানে আছে,।
আমি এক কণে চুপ করে দারিয়ে আছি,খালামুনি ভাইয়াকে জিজ্ঞাস করলো কী হয়েছে।
ভাইয়া খুব শান্ত গলাই বললো।
শিশির তোর ফোন কোথাই?
ঘরে ভাইয়া,কিন্তু কেনো?
তোকে এতো প্রশ্ন করতে বলেছি আমি? বেশি কথা না বলে যা ফোনটা নিয়াই৷
হুম,ভাইয়া এই যে ফোন।
ভাইয়া কোনো কথা না বলেই আমার ফোনটা নিয়ে আছার মারলো।
শুভ্র কী শুরু করছো কী হে,,কী শুরু করছো,,নিজের যখন যা মনে হবে তাই করবে তুমি।
শিশির এর ফোনটা কেনো ভাঙ্গলে?বলো কেনো ভাঙ্গলে?(খালামুনি খুব রেগে কথা গুলো বললো।আমি আগের মতোই চুপ চাপ দাড়িয়ে আছি।আসলে এখানে কী হচ্ছে আমি কীছুই বুজতে পারছি না সব মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে)
নিরাবতা ভেঙে শুভ্র ভাইয়া বললো।
আজ থেকে ও কোনো ফোন ব্যবহার করবে না।আমার যখন মনে হবে,ও ফোন ব্যবহার এর যোগ্য তখন আমি নিজেই ওকে ফোন কিনে দিবো।
কিন্তু ভাইয়া, আমার তো ল্যাপটপ নাই।
আমি আমার ফোনেই সব প্রোজেক্টের কাজ করতাম।
যখন যেটা তরকার হয়, আমার ফোন বা ল্যাপটব থেকে করে নিবি(বলেই চলে গেলো)
আমি আর খালামুনি তো অবাক যে কী না তার ঘরেই আমাকে যেতে দেই না।আজ তার কী হলো তার জিনিস আমাকে ব্যবহার করতে দেবে বলে গেলো,,
রাতের খাবার খেয়ে পড়তে বসলাম।পড়া শেষ এ ভালো লাগছিলো না তাই ছাদে গেলাম
দোলনায় বসে থাকতে থাকতে কখন ঘুমিয়ে পড়েছি যানি না।
সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি আমি আমার রুমে,
অনেক ভেবেও বের করতে পারলাম না আমি রুমে কী ভাবে এলাম।
ওদিকে খালামুনি বকা বকি করছে কলেজ এর দেরি হয়ে যাবে বলো।
চলবে.......


রাগী খালাতো ভাই যখন বর
### মাহমুদ
@@@@@@@@@@@@@@@@@@@
পার্ট ---- ২
ওদিকে খালামুনি বকা বকি করছে কলেজ এর দেরি হয়ে যাবে বলো।
তাই তারা তারি রেডি হয়ে খাবার টেবিলে গেলাম।
টেবিলে বসে খাচ্ছি আমার সামনেই বসে আছে শুভ্র ভাইয়া, এই মানুষটাকে যতো দেখি ততো অবাক হয়।
এর মনে কখন কী চলে কেউ জানে না।
আমার তো মনে হয় উনি নিজেও জানে না।
কী সুন্দর দেখতে মানুষটা,
যাকে বলে একদম cute এর ডিব্বা।
ফর্সা চেহারা,হাইট হবে হয় তো ৬ ফুট,খোঁচা খোঁচা দারি,জিম করা বডি আর ঠোঁট এর নিচে একটা ছোট্ট তিল।
মনে হচ্ছে এই তিলটাই তাকে আরো বেশি সুন্দর করে তুলেছে।
এতো সুন্দর কেনো এই মানুষ টা?
ওই এমন ভাবে তাকিয়ে আছিস কেনো?আমাকে যে খাবার দিয়েছে তোকেও একই খাবার দিয়েছে,তো তাকিয়ে আছিস কেনো?আমার পেট খারাপ করাতে চাস নাকী?
উনার কথাই বেশ লজ্জা পেলাম।তাই কথা না বাড়িয়ে খাওয়াতে মনোযোগ দিলাম।
শুভ্র তুই আর শিশির তো একই কলেজে যাস দুজনে এক সাথে যেতে পারিস না?
ওকে সাথে নিয়ে যাবি।
মা লাইক সিরিয়াস?
আমি আর পারিনি ওকে নিয়ে যাবো তুমি ভাবলে কী করে?
বলে চলে যাচ্ছিলো,আবার ভিরে এসে আমার হাতে ওনার বাটন ✆ টা ধরিয়ে দিলো।
আজ থেকে এই ফোনটা সাথে রাখবি ওকে।
আমি শুধু মাথা নারলাম(তাকে হে বুঝালাম)
এই ভাবেই কেটে গেলো ৪ মাস।
আজ শুভ্র ভাইয়াদের বিদায় অনুষ্ঠান।
কলেজের সকলেই শাড়ি পড়বে।
আমরাও আজ শাড়ি পড়েছি।
খালামুনি দেখো তো আমাকে কেমন লাগছে?
ওরে বাপরে বাপ আমার মামুনিটারে এতো সুন্দর লাগছে কেনো?
পিছনে ঘুরে দেখি খালু কথাটা বললো,,,আমি গিয়ে খালুকে জোরিয়ে ধরলাম।
খালু সত্যি সুন্দর লাগছে আমাকে।
আমার মামুনিটা তো এমনি অনেক সুন্দর,,,, আজ শাড়ি পড়েছো আরো সুন্দর লাগছে।
হুম আমাদের মেয়েটাকে অনেক সুন্দর লাগছে।
thx খালামুনি।
মা আমি আসছি,বলেই তারা হুরা করে শুভ্র ভাইয়া বেরিয়ে গেলো।
কাউকে কীছু বলার সুযোগই দিলো না।
মামুনি চলো আজ তোমাকে আমি নিজে কলেজে দিয়ে আসবো।
সত্যি খালু😊
হুম সত্যি, পাগলি চলো।
তারপরে খালু আমাকে কলেজ এ দিয়ে গেলো।
ভিতরে গিয়ে দেখি অনেক সুন্দর করে সাজিয়েছে দেখতে দেখতে আমার বেস্টু নিশি আমার কাছে এলো।
কীরে শিশির আজ কাকে ঘায়েল করতে এতো সাজ গোজ করেছিস??ব্যপার কী রে?
আরে চুপ যা হারামি।তবে তোকে অনেক সুন্দর লাগছে নিশি।
হুম thx,তোকেও খুব সুন্দর লাগছে।
চল স্টেজ এর ও দিকে বসি।
পিছনের দিকে বসতে যাচ্ছিলাম এমন সময় একটা রাকিব ভাইয়া এসে বললো আপু তোমাদের জন্য সামনে সিট রাখা আছে তোমরা দুজন ওখানে বসো।
আমরাও আর কথা বাড়ালাম না।সামনে গিয়ে বোসলাম।
সামনে তাকাতেই শুভ্র ভাইয়া কে চোখে পড়লো।
কালো পাঞ্জাবি পড়েছে,কালো জিন্স,কালো সানগ্লাস, যাকে বলে একদম পারফেক্ট বয়।
সারা দিন অনেক মজা করলাম।মাঠের মাঝে আমি নিশি আর আমার বন্ধুরা মিলে গল্প করছিলাম এমন সময়
রাফি ভাইয়া (ফাইনাল ইয়ারের ছাত্র)এসে আমার সামনে একটা ফুল দিয়ে হাটু গেরে বসে বললো।
শিশির কীভাবে বলবো বলো তো?
অনেক কথা বলার আছে তোমাকে।
আচ্ছা শোনো না সকলের মতো বলতে পারবো না i love u।
আমি তোমাকে সত্যি ভালোবেসে ফেলেছি তাই বলবো।
Will you merry me?
Plz accept me.
আমি এমন পরিস্থিতিতে কী বলবো বুজতে পারছিলাম না।চুপচাপ দারিয়ে আছি।
কোথা থেকে শুভ্র ভাইয়া এসে আমার পাশে দারালো আর উনি যা বললো তাতে আমার মাথাই আকাশ ভেঙে পড়লো।
চলবে...?
আপনার মূল্যবান মতামত প্রকাশ করবেন ধন্যবাদ সবাইকে লাইক কমেন্ট দিয়ে পাশে থাকার জন্য

গল্প ---- রাগী খালাতো ভাই যখন বর
লেখক ----- মাহমুদ
পার্ট --- ৩
@@@@@@@@@@@@@@@@@@
কোথা থেকে শুভ্র ভাইয়া আমার পাশে এসে দারিয়ে খুব শান্ত গলাই বললো।
আরে রাফি,সব জেনে শুনে আসবি তো।
না জেনে ভুল যায়গাতে এসে পরলি।
মানে?
তুই কী বলতে চাস।
মানে তুই যাকে প্রেম নিবেদন করলি সে অলরেডি অন্য কারো।
রাফি একবার শুভ্রর দিকে তাকাই তো এক বার শিশিরের দিকে তাকাই।
কী বলতে চাস ডাইরেক্ট বল।
মানে শিশিরে বিয়ে ঠিক হয়ে আছে,,,,ওর পড়া শেষ হলেই ওর বিয়।
শিশির এতক্ষণ চুপচাপ এদের কথা শুনছিলো,,,,,
আর এখন তো রীতিমত শকট খেলে শুভ্রর কথাই।
ওর বিয়ে ঠিক হয়েছে আর ও নিজেই জানে না?
রাফির মতো শিশির এর চোখ ও বড় বড় হয়ে গেলো।
কিন্তু ভাইয়া আমার বিয়ে'''''''''(আর বলতে পারলো না)
শিশির আমি এ নিয়ে পড়ে কথা বলবো তোর সাথে,তুই আর এক মুহূর্ত এখানে থাকবি না।
সোজা বাড়ি চলে যাবি যা।
আমি ও আর কথা বাড়ালাম না, মনের মধ্যে হাজার টা প্রশ্ন নিয়ে বাড়িতে চলে আসলাম।
এভাবেই দিন যাচ্ছিলো।
শুভ্র ভাইয়া ও এখন বেশির ভাগ সময় বাড়িতেই থাকে, সব সময় বই এর মধ্যে মুখ গুজে থাকে।
একদিন সকলে নাস্তা করছিলাম,শুভ্র ভাইয়া আর খালুও আমার পাশেই বসে খাচ্ছিলো।
হঠাৎ খালু বললো,
দেখ মা আমরা ছোট বেলা থেকেই তোকে নিজের মেয়ের মতো মানুষ করেছি,
কোনো বাবা মা চাই না তার কলিজার টুকরোকে অন্য কারো হাতে তুলে দিতে।
কিন্তু মা নিয়তি বড় নিষ্ঠুর, নিজের কলিজার টুকরো মেয়েকেও অন্য কারো হাতে তুলে দিতে হয়।
আমাদের ও তাই করতে হবে।
।শুভ্রর বন্ধু রাফির বাবা কাল আমার অফিসে এসেছিলো।
রাফি নাকী তোকে খুব ভালো বাসে,
পরিক্ষা শেষ ও ওর বাবার বিজনেস টাতে জয়েন করবে,
আমরা তোকে জোর করবো না,,
তুই যেটা বলবি সেটাই হবে।
কথাটা শুনে কেনো জানি না আমার চোখ দুটো শুভ্র ভাইয়ার দিকে গেলো।
উনি খুব ভালোভাবে মনোযোগ সহকারে খাচ্ছে,
মনে হচ্ছে উনি খাওয়া ছারা আর কীছুই বুঝে না।
খুব কষ্ট হচ্ছে।কীন্তু কেনো কষ্ট হচ্ছে আমার?
কীরে মা কীছু বল?
খালু ছোট বেলা থেকে তোমরাই আমার বাবা মা তোমরা যেটা ভালো বোঝো সেটাই করো।
বলেই চলে আসলাম।
কেনো জানি না ওখানে থাকতে ইচ্ছে করছে না।খুব কান্না পাচ্ছে।
নিজের ঘরে এসে,কান্না করে দিলাম।
নিজেই নিজেকে প্রশ্ন করলাম।
আমার কষ্টের কারণ টা কী?
আর আমি কেনোই বা আশা করছিলাম শুভ্র ভাইয়া খালুকে মানা করে দেবে,
যে না শিশির এর এখন বিয়ের দরকার নেই?
🍁
তার মানে কী আমি মনে মনে শুভ্র ভাইয়া কে ভালোবেসে ফেলেছি।
কীন্তু শুভ্র ভাইয়া তো আমাকে দেখতেই পারে না,
তাহলে কী আমি তার অবহেলার ভালোবাসাতেই পরে গেলা।
শিশির কীরে মা দরজা বন্দ করে কী করছিস,কলেজ যাবি না?
খালামুনি আমি আজ কলেজ যাবো না।
তুমি যাও,আমাকে ডাকবা না আমি একটু একা থাকতে চাই।
দুপুরে খেতেও যাইনি।
শুভ্র তুই কী শিশির কে কীছু বলেছিস?
মেয়েটা সেই সকাল থেকে একা একা বসে আছে,কলেজ ও গেলো না,খাওয়া দাওয়াও করছে না।
মা ওর কীছু হলেই তোমরা আমাকে বলো কেনো?আজ সারা দিন তো ওর সাথে আমার দেখাই হয়নি।
শিশির মা দরজা টা খোল কী হয়েছে আমাকে বল।
কেউ কীছু বলেছে?
আচ্ছা বিয়ের কথা শুনে রাগ করেছিস?
মা দরজাটা খোল।
(দরজাটা খুলে খালামুনিকে ভিতরে আসতে দিলাম)
আমি বসে আছি খালামুনিও আমার পাশেই বসে আছে?
কীরে মা কী হয়েছে(মাথাই হাত দিয়ে)।
নিজেকে আর সামলাতে পারলাম না,
খালামুনিকে জোরিয়ে ধরে কান্না করে দিলাম।
এই পাগলি কী হয়ছে এভাবে কান্না করছিস কেনো।
আচ্ছা আমাকে বল। শুভ্র কীছু বলেছে,বলল.
(কান্না করতে করতেই বললাম)খালামুনি আমার মনে হয় আমি তোমার ছেলেকে ভালোবেসে ফেলেছি।
(দরজার কাছ থেকে খালু বলে উঠলো)
তা আমার মামুনিটা যে শুভ্র কে ভালোবাসে এটা কী শুভ্র জানে?
(আমি মাথা নারলাম)যার মানে না।
তাহলে তাকে তো জানাতে হবে।
কীন্তু খালু তোমার ছেলে তো আমাকে দুচোখে দেখতে পারে না।
হঠাৎ খালামুনি বলে উঠলো আমার কাছে একটা আইডিয়া আছে?
আমি আর খালু খালামুনির দিকে তাকালাম?
আজ শুক্রবার রাফি ভাইয়ার পরিবার থেকে সকলেই আমাকে দেখতে আসছে।😣
খালামুনি অনেক রান্না করছে আজ,
আমাকে আমার বান্ধবী নিশি একটা নীল শাড়ি পড়িয়ে দিয়েছে।
একটু পরেই তারা বাড়িতে এলো.
এখন আমি তাদের সামনে বসে আছি।
এখানে সকলেই আছে।
খালু,খালামুনি,শুভ্র ভাইয়া সকলেই আছে
(রাফি ভাইয়ার মা)
তা মা তোমার নাম কী?
নৌশিন আহমেদ শিশির।
রান্না বান্না করতে পারো?
আমি কীছু বলতে যাবো তার আগেই শুভ্র ভাইয়া বললো।
কেনো আন্টি ওকে দিয়ে কী শুধুই রান্না করাবেন নাকী?
শুভ্র ভাইয়ার কথাই ওনারা চুপ মেরে গেলো।
তার পরে আবার প্রশ্ন করলেন।
আচ্ছা মা বলতো,স্বামী আগে না পরিবার আগে?
এবার ও আমি কীছু বলার আগেই শুভ্র ভাইয়া বললো,
কেনো আন্টি বিয়ের পরের দিনই কী ওদের আলাদা করার চিন্তা করছেন নাকী?
ওনার কথাই খালু বললো।
চলবে.......??

রাগী খালাতো ভাই যখন বর
লেখক ---- মাহমুদ
পার্ট ---- ৪
@@@@@@@@@@@@@@@@@@@
ওনার কথাই খালু বললো।
শুভ্র কী হচ্ছে এই সব?বড় দের সম্মান করতে ভুলে গেছো নাকী?
খালুর কথাই কোনো উওর না দিয়ে উনি আমাকে বললো।
কীরে তুই এখানে এখন ও সং সেজে বসে আছিস কেনো? যা নিজের রুমে যা ।
(আমি এখন ও চুপচাপ বসে আছি দেখে উনি দাঁতে দাঁত চুপে বললো)
কীরে যাবি তুই, নাকী কোলে করে রুমে দিয়ে আসতে হবে
তুই যাবি নাকী কোলে করে দিয়ে আসতে হবে রুমে?
উনার এমন কথাই দৌড়ে নিজের রুমে চলে আসলাম।
কীরে শিশির শুভ্র ভাইয়া এমন করছে কেনো বলতো?(নিশি)
আমি কেমনে বলবো?উনি কেনো এমন করছে?
আমার মনে হয় আমি জানি বুজলি শিশির।
কী জানিস বলে ফেল।
আমার মনে হয় শুভ্র ভাইয়া আর তোর মাঝে সামথিং সামথিং।
মানে?
মানে আমার মনে হয় শুভ্র ভালো তোকে পছন্দ করে,, তাই তোর বিয়ে হতে দেবে না।
সত্যি বলছি তুই(খুশি হয়ে) উম্মম্মম্মম্মম্মা
বিশ্বাস কর মাই জান তোর কথা যদি সত্যি হয় আমি তোকে,,,,তেলাপোকার সুপ খাওয়াবো,টিকটিকির মালাইকারি খাওয়াবো,ইঁদুরের ডিম খাওয়াবো।
ওয়া, ছি """'" তুই এই সব কী বলছিস মাথা ঠিক আছে তোর?এই গুলো কেউ খাই ছি।
বলেই ও রুম থেকে চলে গেলো।
আমি মনে হয় ভুল যায়গাতে ভুল কথা বলে ফেলেছি।
সে যায় হক তাতে আমার বাপের কী?🙄
পরের দিন যানতে পারলাম উনি নাকী ওদের বলেছে,,,,যা হবার আমার অনার্স কমপ্লিট এর পর হবে,
এখন যেনো এ বাড়িতে কারো কোনো বিয়ের কথা না বলা হয়।
বলেই চলে গেছেন।তাই রাফি ভাইয়ারাও চলে গেছে।
রাতে ডিনার করার সময় খালামুনি বললো?
রাফি বাড়িতে গিয়ে ফোন দিয়েছিলো,
ওরা শিশিরের পড়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করবে।
আর এতো দিন রাফি শিশিরের সাথে টুক টাক কখা বলতে চাই।
আমি বলে দিয়েছি কোনো সমস্যা নেই কথা বলতে পারে।আমি তো শিশিরের নাম্বারটাও দিয়েছি রাফিকে।
ছেলেটাকে আমার খুব ভালো লেগেছে।
তাই আমিও চাই আমার মেয়েটাকে ওর হাতে তুলে দিতে।
শুভ্র ভাইয়া শুধু বললো
মা তুমি তো বিদুৎ এর গতিতে ছুটছো,
এতো তারা কিসের? নাকী এখন ওকে তোমাদের বোঝা মনে হচ্ছে?
হতেই পারে,সারা জীবন তো আমাদের বাড়িতেই কাটিয়ে দিলো।
কথাটা শুনে খুব মন খারাপ হয়ে গেলো,মাথা নিচু করে বসে আছি।
তখনই ফোন টা বেজে উঠলো, খুব বিরক্ত লাগছিলো,ফোন এর দিকে তাকিয়ে দেখি রাফি ভাইয়া ফোন দিয়েছে।
কে ফোন দিয়েছে(খালামুনি)
রাফি ভাইয়া।
ওওও আচ্ছা যা রুমে গিয়ে কথা বল।
আমি ও রুমে চলে আসলাম।
রাফি:কেমন আছো বিন্দুশিশির?
আমি:ভালো।বাট ভাইয়া আমার নাম শিশির।
আমার কথাই উনি হাসলেন।
তারপরে বললেন
রাফি:জানি তোমার নাম নৌশিন আহমেদ শিশির,কিন্তু আমি তোমাকে ভালোবেসে বিন্দু শিশির ডাকতে চাই মানা করো না।
আমি আর কথা বারালাম না।
টুক টাক কথা বলে ঘুমিয়ে গেলাম।
এভাবে প্রায়ই রাফি ভাইয়া ফোন দিতো,
কথা বলার ইচ্ছা না থাকা সত্যেও কথা বলতে হতো।পরের পর্ব প্রো-ফাইলে দেওয়া আছে। দয়া করে পড়ে নিন।
একদিন রাতে সুয়ে থেকে রাফি ভাইয়ার সাথে কথা বলছিলাম।
লোকটা এদম খারাপ না।মানুষ কে খুব হাসাতে জানে।
আমিও তার কথাই হাসছিলাম এমন সময় শুভ্র ভাইয়া আমার হাত থেকে ফোন টা কেরে নিয়ে ভেঙে ফেললেন।
ওনাকে দেখে খুব ভয় পেয়ে গেলাম,
উনার চোখ দুটো আগুন এর মতে হয়ে আছে এমন ভাবে চেয়ে আছে যেনো এখনই আমাকে কাচা গিলে খাবে(আচ্ছা আমাকে যদি রান্না না করেই খাই তাহলে কী ওনার পেটে সমস্যা হবে,,,
হলে আমার বাপের কী😏)
কথা গুলো ভাবছিলাম এসন সময়
শুভ্র ভাইয়া আমার হাত দেয়ালের সাথে চেপে ধরে বলে উঠলেন?
আর কোনো দিন যদি কারো সাথে ফোনে কথা বলা দেখি তাহলে সেই দিনই হবে তোর শেষ দিন।
খুব সাহস করে বললাম।
কীন্তু ভাইয়া আমি তো আমার হবু স্বামীর সাথেই কথা বলছিলা।
কথাটা শেষ করার আগেই উনি আমার ঠোঁট দুটো দখল করে নিলেন।
আর সব রাগ যেনো আমার ঠোঁট এর উপর এ ছেরে দিচ্ছে।
উনি হঠাৎ এমন করবে কখন ও ভাবতে পারিনি।
কান্না করে দিলাম।।।।।
কীছু সময় পরে উনি আমাকে ছেরে দিয়ে চলে গেলো।
আর যাওয়ার আগে বলে গেলো শুভ্র শিশিরের গল্পের পাতাই থাকবে অন্য কেউ না।
কথাটা যেনো মাথাই থাকে।
বলেই চলে গেলেন।
যাওয়ার সময় বলে গেলে শুভ্র শিশিরের গল্পের পাতাই থাকবে অন্য কেউ না। কথাটা বলেই চলে গেলো।
আর আমি সেখানেই বসে পড়লাম।কখনও ভাবতে পারিনি শুভ্র ভাইয়া এমন করবে।
খুব কষ্ট হচ্ছিলো, কান্না করতে করতে কখন ওখানেই ঘুমিয়ে গেছি মনে নেই।
সকালে কীছুই খাইনি,আজ থেকে শুভ্র ভাইয়ার পরিক্ষা শুরু।
উনি সকালে নাস্তা করে পড়তে বসেছে।
আমি চুপটি করে ঘরের মাঝে বসে আছি।
কীছুই ভালো লাগছে না,
মাথার মধ্যে কীছু প্রশ্নও ঘুরছে।
উনি কী আমাকে ভালোবাসে,নাকী উনার বাড়িতে থাকি বলে ওনার সম্পত্তি ভাবে।
খালামুনি রান্না করছে আমি টিভি দেখছে,শুভ্র ভাইয়াও পরিক্ষা দিয়ে বাড়ি চলে আসছে, মনে হয় সুয়ে আছে।
খালামুনির কাছে শুনলাম ওনার পরিক্ষা খুব ভালো হয়েছে।
এই ভাবে দেখতে দেখতে উনার পরিক্ষা শেষ হয়ে গেলো,এর মাঝে রাফি ভাইয়া মাঝে মাঝে আমাদের বাড়িতে আসতেন,
আমাকে খালু ফোন কিনে দিতে চাইছিলো,আমি নেইনি।
আজ শুভ্র ভাইয়ার রেজাল্ট দেবে কিন্তু ওনার মাঝে বিন্দু মাত্র চিন্তা নেই।
খুব নরমালি চলা ফেরা করছে।
খালামুনি তো টেনশনে শেষ।
মা এমন করছো যে আমি প্রতি বছর ফেল যায়, এবার ও যাবো আজিব।
একটু শান্ত হও।
হঠাৎ রাফি ভাইয়া আসলো হাতে মিষ্টি নিয়ে।
রাফি ভাইয়া ফাস্ট ক্লাস পাইছে।সেটা শুনে তো খালামুনি আরো চিন্তাই পড়ে গেলো।
একটু পড়ে ভাইয়ার ও রেজাল্ট জানা গেলো।
ভাইয়াও খুব ভালো রেজাল্ট করছে,,উনি ও ফাস্ট ক্লাস পাইছে।
এই খুশিতে খালামুনি আজ রাতে বাড়িতে একটা ছোট খাটো পাটির আয়োজন করে সেখানে আমাদের কাছের কীছু কীছু আপন জন,আর শুভ্র ভাইয়ার ক্লাস মেটরা সকলেই।
সন্ধার সময় আমি রেডি হচ্ছিলাম,এমন সময় দরজার কাছ থেকে কেউ বলে উঠলো সং সেজে কাকে দেখাবি।আর কোথাই যাবি।
আর হে আজকের পাটিতে যেনো তোকে না দেখি।
কোথা থেকে খালামুনি এসে এই কথার জন্য বকা বকি করছে।
মা আমি কোনো কথা শুনতে চাই না এই পাটিতে ও থাকবে না ব্যস।
খালামুনি কীছু বলার আগেই আমি বলরাম।ভাইয়া চিন্তা করেন না আমি যাবো না।
খালামুনি প্লিজ কথা বাড়িও না ভালো লাগছে না।
খুব অপমানিত লাগছে,আজ আমার মা,বাবা বেঁচে থাকলে হয়তো শুভ্র ভাইয়া আমার সাথে এমন করতে না।
ওদিকে পাটি শুরু হয়ে গেছে।
আমি ঘরে সুয়ে আছি একটুও ভালো লাগছে না।
এমন সময় খালু আর খালামুনি আসলো আমার রুমে খালু আমার মাথাই হাত রাখতেই তাকে জোরিয়ে ধরে কান্না করে দিলাম।
আচ্ছা তোমরাই বলো তো আমি কী এতো আমি কী খুব খারাপ যে আমাকে একটুও ভালোবাসা যাই না।
খালামুনি তুমি তো সেদিন বললে তোমার কাছে একটা প্লেন আছে(আমি যদি ভাইয়ার সামনে অন্য কারো সাথে মিশি কথা বলি তাহলে ভাইয়াও তার মনের কথা আমাকে বলে দেবে।কিন্তু দেখো উনি আমাকে দেখতেই পারে না)
শিশির আমরা একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি আশা করি তুই আমাদের সিদ্ধান্ত মত দিবি।
চলবে.........?

গল্প ---- রাগী খালাতো ভাই যখন বর
লেখক ----- মাহমুদ
&&&&&&&&&&&&&&&&&&&&&&&&&&&&
পর্ব ----- ৫
শিশির আমরা একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি আশা করি তুই আমাদের সিদ্ধান্ত মত দিবি।
আমি খালু,খালামুনির দিকে তাকালাম?
আমরা চাই সামনের সপ্তাহে তোর আর রাফির বিয়ে দিতে।
আমরা চাই না শুভ্র তোকে নিয়ে আর একটা কথাও বলুক।
বলেই আমাকে পাটিতে নিয়ে গেলো।
রাফি ভাইয়ার পাশে দার করিয়ে খালু বললো।
তোমাদের সকলের জন্য এটা শুখবর আছে, আমরা আর রাফির বাবা,মা মিলে ঠিক করেছি সামনের সপ্তাহে শুক্রবার রাফি আর শিশিরের বিয়ে,
তোমাদের সকলের দাওয়ার রইলো।
কথাটা শুনেই সকলে একরসাথে হাত দালি দিতে লাগলো।
আমি আর চোখে শুভ্র ভাইয়ার দিকে তাকালাম,,, উনি এক কোনে একা দারিয়ে আছে।
আজ আমার গায়ে হলুদ,আর কাল বিয়ে।
সকলেই এসেছে।সকলের মুখেই হাসি আছে শুধু আমার মুখে নেই।আমি যে শুভ্র ভাইয়া কে বড্ড ভালোবাসে ফেলেছি। পারবো না ওই মানুষ টাকে ছাড়া থাকতে।
কিন্তু মানুষ টা একটুও ভালোবাসে না আমাকে।
ওই দিকে শুভ্র ভাইয়া সব কাজ করছে এমন সময় রাকিব ভাইয়া এসে ওনার কাথে হাত রাখলেন
শুভ্র:ওহ তুই কখন এলি।
রাকিব:এই তো মাত্র। তো কেমন আছিস?
শুভ্র:কেমন আছি মানে আমি তো ভালোই আছি।দেখ বিনদাস বিয়ের কাজ করছি
(রাকিব ভাইয়া আর কীছু না বলেই শুভ্র ভাইয়াকে নিয়ে তার রুমে চলে গেলে)
রাকিব:কেনো করছিস এমন?তুই কী বুজতে পারছিস না তুই জীবনের কী হারাতে বসেছিস।
শুধু মাত্র তোর ভুলের জন্য আজ তোর ভালোবাসা অন্য কারো হচ্ছে।বুজতে পারছিস তুই?
শুভ্র:😔
রাকিব:চুপ করে থাকিস না শুভ্র। তুই নিজেও জানিস শিশির তোকে কতো টা ভালোবাসে।
আর আমি নিজেও জানি তুই তোর থেকে বেশি শিশির কে ভালোবাসিস তাহলে কেনো এমন পাগলামি করছিস।
(এবার আর শুভ্র ভাইয়া রাকিব ভাইয়া কে জোরিয়ে ধরে কান্না করে দিলো)
শুভ্র:(কান্না করতে করতে) বিশ্বাস কর রাকিব আমি ওকে ছাড়া থাকতে পারবো না।আমি যে ওকে খুব ভালোবাসি।আমি জানি আমি ওর সাথে খারাপ ব্যবহার করি।কিন্তু বিলিভ মি আমি ওকে নিজের চেয়েও বেশি ভালোবাসি।
আমি যে অন্য সকলের মতো নিজের ভালোবাসা প্রকাশ করতে পারি না।
আমি আজ বড্ড অসহায় নিজেকে আজ খুব ছোট মনে হচ্ছে।
আমি আর নিতে পারছি না রাকিব বিলিভ মি, আমার দম বন্দ হয়ে আসছে,নিশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে মনে হচ্ছে আমার প্রাণ ভোমরাটা কেউ কেরে নিয়ে যাচ্ছে।
রাকিব:দেখ পাগলামি করিস না,ছেলেদের কান্না করতে নেই জানিস না।আর তুই তো স্ট্রগ,তোকে তো আমি কখনও ভেঙে পড়তে দেখিনি।তাহলে আজ এমন করছিস।
আমার কথা শোন তুই এখন গিয়ে শিশির কে সব বলে দে। বলে দে যে তুই ওকে ভালোবাসিস।
শুভ্র:আমি পারবো না। আমি পারবো না ওকে আট কাতে।
রাকিব:ঠিক আছে আমি শিশির কে সব বলছি (ওঠে আসতে নিলেই শুভ্র হাত ধরে আবার বসিয়ে দিলো)
রাকিব:কী হলো হাতটা ছার।
শুভ্র: নারে হতে দে বিয়ে।আমি জানি আমি ওকে খুশি রাখতে পারবো না কারণ আমার রাগের কারণে আমি আমার ভালোবাসা প্রকাশ করতে পারিনি।আমি জানি আমার এই রাগের কারণে আমার সাথে বিয়ে হলে ও সুখি হবে না।
আমি যে আমার রাগ টাকে কন্ট্রোল করতে পারি না। হোক না ও রাফির রাজ্যের রানি।আমি জানি রাফি ওকে খুব ভালোবাসবে।
চল এ বার, বাইরে অনেক কাজ আছে (বলেই চোখ মুছেই বাইরে বেরিয়ে গেলেন।রাকিব ভাইয়াকে কীছু বলার সুযোগ দিলেন না)
আজ আমার বিয়ে।চারে দিকে ফুলের ছরা ছরি।
ছোট্ট বাচ্চারা দৌড়া দৌড়ি করছে।
আমাকে একটু আগে পার্লার এর মেয়ে গুলো সাজিয়ে দিয়ে গেছে।
হঠাৎ একজন চিৎকার করে বলে উঠলো,,,,,,,
হঠাৎ একজন চিৎকার করে বললো বর এসেছে, বর এসেছে।
কথাটা যেনো আমার বুকে তীরের মতো লাগলো।
এই জায়গাটাতে তো আমি আমার শুভ্র ভাইয়া কে চেয়ে ছিলাম যাকে আমি আমার সব টা দিয়ে ভালোবাসতে চেয়েছিলাম।
নিজের অজানতেই চোখ দিয়ে পানি পরলো।
বিয়ের লোক জনদের খাওয়া দাওয়া শেষ।
নিশি:শিশির,রাকিব ভাইয়া ফোন দিয়েছে তোর সাথে দু'মিনিট কথা বলতে চাই।
এই নে কথা বল।
রাকিব:hlw শিশির?
শিশির:হুম ভাইয়া বলেন।
রাকিব:দেখো আমি জানি তুমি শুভ্র কে ভালোবাসো তাহলে রাফি কে কেনো বিয়ে করছো?
শিশির:ভাইয়া এক হাতে তালি বাজে না,আর না এক তরফা ভালোবাসা হয়।আমি ওনাকে ভালোবাসি কিন্তু উনি আমাকে একটুও ভালোবাসে না।(বলেই কান্না করে দিলাম)
রাকিব:কে বলেছে ও তোমাকে ভালোবাসে না।ওর দিকে একবার তাকিয়ে দেখো ঠিক বুজতে পারবে।পাগলটা তোমাকে নিজের চাইতেও বেশি ভালোবাসে শুধু প্রকাশ করতে পারে না।
জানো একটু আগে ও কান্না করছিলো।কারণ ও তোমাকে চিরদিনের জন্য হারিয়ে ফেলছে।
কীন্তু ও তাও কীছুই বলছে না কারণ ও চাই তুমি সুখে থাকো।
দেখো বড় ভাই হিসেবে একটা সাজেশন দি।শুনবে কী না শুনবে এটা তোমার বেপার।
নিজেদের ভালোবাসাটাকে হারিয়ে যেতে দিও না।
বলেই ফোন টা কেটে দিলো।
আমি শুধু কান্না করছি কী করবো কীছুই মাথাই আসছে না।এখন যে আমার হাতে কীছুই নেই।আর একটু পরেই আমি অন্য কারো।
কাজি এসেছে বিয়ে পড়াতে,
আমাকে বার বার বলছে বলো মা কবুল।আমি কীছুই বলতে পারছিনা,সব কথা যেনো গলাতে বেঝে আছে।আজ নিজেকে সব চেয়ে বেশি অসহায় মনে হচ্ছে।
আবার ও কাজি বলে উঠলো বলো মা কবুল।
এবার আমি খুব জোরেই বলে উঠলাম।
এই বিয়ে আমি করতে পারবো না।
সকলে যেনো আমার কথাই চমকে উঠলো।
খালু আমার কাছে এসে বললো কী বলছিস তুই এই সব,মাথা ঠিক আছে তোর।
আমি খালুর দিকে একবার তাকিয়ে,শুভ্র ভাইয়ার দিকে হাটা ধরলাম,সকলে অবাক চোখে আমাকে দেখছে।
শুভ্র ভাইয়ার কাছে গিয়ে নিজের সব শক্তি দিয়ে তাকে খুব জোরে একটা থাপ্পর মারলাম।
সকলে যেনো এবার আরো অবাক হলো।
এবার সকলের সামনেই শুভ্র ভাইয়া কে জোরিয়ে ধরে কান্না করতে করতে বললাম।
এতোই যখন ভালোবাসো তাহলে অন্য কারো হাতে তুলে দিচ্ছেন কেনো?আমি কী খুব পঁচা যে আমাকে এই বুকটাতে আগলে রাখতে পারছেন না।
শুভ্র ভাইয়া ও কীছু বুজতে পারছে,হঠাৎ এমন হওয়ায় উনিও কীছু বলতে পারছে না।
আমি আবার ও বলতে শুরু করলাম।
ভাইয়া তুমি আমাকে ছাড়া থাকতে পারলেও আমি যে থাকতে পারবো না।তিলে তিলে শেষ হয়ে যাবো। তার থেকে তুমি নিজেই আমাকে শেষ করে দাও।
এখানে এই সব কী হচ্ছে(রাফি ভাইয়ার বাবা)আমরা কী এখানে সিনেমা দেখতে এসেছি।
রাফি ভাইয়া কীছু না বলে, আমাদের কাছে এসে শুভ্র ভাইয়া কে বললো?
শুভ্র তুই কী শিশির কী ভালোবাসিস?
শুভ্র ভাইয়া কীছুই বললো না,শুধু মাথাটা নিচু করে রইলো।
বাসর ঘরে বসে আছি আমি।এই রাতটা নিয়ে অনেকর নাকী অনেক স্বপ্ন থাকে।আমার ও আছে।জানি না পুরণ হবে কী না?
চলবে...........?

গল্প ---- রাগী খালাতো ভাই যখন বর
লেখক ----- মাহমুদ
পার্ট --- ৬
@@@@@@@@@@@@@@@@@@
এখানে এই সব কী হচ্ছে(রাফি ভাইয়ার বাবা)আমরা কী এখানে সিনেমা দেখতে এসেছি।
রাফি ভাইয়া কীছু না বলে, আমাদের কাছে এসে শুভ্র ভাইয়া কে বললো?
শুভ্র তুই কী শিশির কে ভালোবাসিস?
শুভ্র ভাইয়া কীছুই বললো না,শুধু মাথাটা নিচু করে রইলো।
বাসর ঘরে বসে আছি আমি।এই রাতটা নিয়ে অনেকের নাকী অনেক স্বপ্ন থাকে।আমার ও আছে।জানি না পুরণ হবে কী না?
একটু পরেই দরজা খোলার শব্দে ও দিকে তাকালাম।কেনো জানি না খুব ভয় লাগছে।
এমন কেনো করলি শিশির(গম্ভীর গলাই কথাটা বললো শুভ্র ভাইয়া)
(হে আমার শুভ্র ভাইয়ার সাথেই বিয়ে হয়েছে।
রাফি ভাইয়া যখন প্রশ্ন করলো শুভ্র ভাইয়া কে ভাইয়া কোনো কথাই বলেনি।
তখন রাফি ভাইয়া বললো তার মানে শিশির যা বললো সব সত্যি।
তারপরে এক প্রকার জোর করেই রাফি ভাইয়া আমার আর শুভ্র ভাইয়ার বিয়ে টা দিয়েছে।
কারণ রাফি ভাইয়ার বাবা অনেক ঝামেলা করছিলো।তখন রাফি ভাইয়া খুব সুন্দর ভাবে তার বাবাকে বললো।
বাবা জোর করে হয় তো আমি শিশির কে বিয়ে করতে পারবো। কিন্তু বিয়ের পরে কী আমি সুখে থাকতে পারবো?নাকী শিশির সুখে থাকবে বলো?আর না শুভ্র ভালো থাকবে।
কারণ ওরা দুজন দুজন কে ভালোবাসে। আর আমার ভালোবাসাটা এক তরফা।
এক তরফা ভালোবাসা দিয়ে আমি তিনটা জীবন নষ্ট করতে পারবো না বাবা।তার পরে আর তার বাবা কীছু বলেনি,রাফি ভাইয়া নিজে দারিয়ে আমাদের বিয়েটা দিয়েছে।)
অবাক চোখে তাকিয়ে ভাইয়াকে বললাম
আমি কী করেছি ভাইয়া?
কী করেছিস তুই জানিস না?(ধমকের সুরে)
কেনো আমার জীবনটাকে নষ্ট করলি,আমি তো তোকে দেখতেই পারিনা। সারাটা জীবন আমি কী ভাবে তোর সাথে থাকবো? বল কী ভাবে থাকবো।আর আমি তোকে ভালোবাসি?এতো বড় মিথ্যা কথাটা কেনো বললি?
আমি কোনো কথা না বলে তাকে জোরিয়ে ধরলাম,তার বুকে মাথা রেখে বললাম।
অনেক হয়েছে আর নাটক করতে হবে না।আমি জানি আপনি আমাকে ভালোবাসেন।আর আমি এটাও জানি আমি আপনাকে যতোটা ভালোবাসি তার থেকেও আপনি আমাকে বেশি ভালোবাসেন।
একটু আগে তো কান্নাও করলেন এখনি ভুলে গেলেন😏
শুভ্র ভাইয়া খুব অবাক হয়ে বললেন।
মা নে,তো কে কে বলছে আমি তোর জন্য কান্না করেছি।
রাকিব ভাইয়া আমাকে সব বলেছে।আর হে তোমার ভালোবাসতে হবে না আমার ভালোবাসা দিয়ে আমাদের জীবন ভরিয়ে দেবো,আর তোমার রাগটাকেও ভালোবাসাই রুপ দান করবো দেখে নেবেন।
এবার কথা না বাড়িয়ে একটু জোরিয়ে ধরো না ভাইয়া প্লিজ।
ভাইয়া আর কথা না বাড়িয়ে আমাকে খুব শক্ত করে নিজের বুকের সাথে মিশে নিলো।আর বললো।
পারবি সারা জীবন আমার রাগটাকে ভালোবেসে আমার পাশে থাকতে।
হুম খুব পারবো।আচ্ছা ভাইয়া একটা আবদার করবো রাখবে প্লিজজজজজ।
হুম বল।
একবার বলো না, তোকে ভালোবাসি শিশির, প্লিজ একবার বলো।
পাগলি😚হুম খুব ভালোবাসি তোকে শিশির খুব ভালোবাসি,তাই তো তোকে কারো সাথে সয়তে পারি না😣তোকে কারো সাথে কথা বলতে দেখলে মাথাই রক্ত উঠে যেতো,,খুব রাগ হতো তোর উপর,যখন অন্য ছেলেদের সাথে কথা বলতি ফেসবুকে কারো সাথে কথা বলতি খুব রাগ হতো তাই তো,তোর আইডিটাই নষ্ট করে দিয়েছি।
তার মানে সে দিন তুমি আমার আইডিটা নষ্ট করেছো🙄🙄আর কীছুই বলতে পারলাম না,ভাইয়া আমার ঠোঁটে নিজের ঠোঁট টা বসিয়ে দিলো।তারপরে বিছানাই সুয়ে দিলো।
১ মিনিট🤔
আপনারা এখন ও চেয়ে চেয়ে কী দেখছেন হে।শুভ্র শিশিরের বাসর ঘরে উকি না দিয়ে নিজেরাই বিয়ে করে নেন।টাটাটাটা😚😘😍😎
সকালে ঘুম থেকে উঠে নিজেকে শুভ্র ভাইয়ার বাহু ডরে আবিষ্কার করলাম।ঘুমন্ত অবস্থায় ওনেকে আরো অনেক বেশি সুন্দর লাগছিলো।নিজেকে আর সামলে রাখতে পারলাম না ওনার ঠোঁটের নিচের তীলটা তে একটা উম্মা দিলাম😉😉
তখনই শুভ্র ভাইয়া বলে উঠলো,শিশির বউ আমার সারা রাত ঘুমাতে পারিনি এখন একটু ঘুমাতে দে। বলেই জোরিয়ে ধরলেন।
ওনার কথাই খুব লজ্জা পেলাম তার মানে উনি জেগে ছিলেন।ইস নিজের উপর নিজেরি খুব রাগ হচ্ছে এখন।
এতো চিন্তা করতে হবে না,আমি তোরি স্বামী যতো ইচ্ছা আদর করতে পারিস এবার চুপ থাক আর ঘুমাতে দে।
চলবে.....?

গল্প ---- রাগী খালাতো ভাই যখন বর
লেখক ---- মাহমুদ
শেষ --- পার্ট
@@@@@@@@@@@@@@@@@@@@
এতো চিন্তা করতে হবে না আমি তোর স্বামী যতো ইচ্ছা আদরে করতে পারিস এবার একটু ঘুমাতে দে।
একটু পরে উঠে ফ্রেস হয়ে রান্না ঘরে গেলাম গিয়ে দেখি খালামুনি রান্না করতেছে।
আমি খালামুনিকে পিছন থেকে জোরিয়ে ধরলাম।
কীরে ঘুম ভাঙলো।
হুম কী রান্না করো।
অনেক কীছু,শুভ্র কী করে?উঠে নাই এখন ও?
না তোমার ছেলে নাক ডেকে ঘুমাচ্ছে।
হুম যা এই চা টা তোর বর কে দিয়ে আই😉
খালামুনি আগে আমাকে কীছু খেতে দাও খুদা লাগছে।
ওই খালামুনি কীরে মা বল মা।
না খালামুনিটাই বেস্ট।
হুম ভালো, আমি কে যে আমাকে মা বলে ডাকবি,আমি তো তোর কেউ না।আপন হলে ঠিক মা বলে ডাকতি।
এই তো এবার ড্রামা শুরু করে দিলে।আচ্ছা যাও মা বলেই ডাকবো,এবার খেতে দাও না গো মা।
হুম😚☺☺আগে শুভ্র কে চা টা দিয়ে আসেন।তার পরে সকলে এক সাথে খাবো।
ওই ভাইয়া উঠো।
হুম,
ওইই উঠো বলতেই এক টানে বিছানায় নিয়ে জোরিয়ে ধরে ঘারে মুখ গুজে দিলো।
এটা কী হলো উঠো না প্লিজ আমার খুব খুদা লাগছে।
হুম আমি আছি তো, বলেই ঠোঁট দুটো দখল করো নিলো।আমি ও তার ডাকে সারা দিলাম।
একটু পরে,
কীরে সারা রাতেও লজ্জা ভাঙাতে পারলাম না😉
এই তোমার মুখে কী কীছুই আটকাই না।ছারো দরজা খোলা যে কেউ চলে আসবে।
শুভ্র ভাইয়া আরো জোরিয়ে নিলো নিজের সাথে। তাতে আমার কী আমি আমার বউ কে জোরিয়ে ধরেছি বুজলি।
আচ্ছা শুভ্র ভাইয়া, তুমি আমাকে একটুও দেখতে পারতে না,তাহলে কখন এতো ভালোবাসলে?
পাগলি "হে এটা সত্যি প্রথম প্রথম তোকে আমি দেখতে পারতাম না,কিন্তু ধীরে ধীরে খারাপ লাগাটা ভালোবাসা হয়ে গেছে।
আর এটা বুজতে পারলাম যখন তুই ক্লাস 9 এ পাড়িস। মনে আছে তোর? তখন তোর খুব জ্বর হয়েছিলো,বাবা,মা নানু বাড়ি ছিলো বাড়িতে তুই আর আমি ছিলাম তখন।তুই জ্বরে কান্না করছিলি,বিশ্বাস কর নিজেকে তখন পাগল পাগল লাগছিলো,কী করবো ওতো রাতে কীছুই মাথাই আসছিলো না।
অনেক রাত পযর্ন্ত তোর মাথাই জল পট্টি দিলাম,তাতেও কীছু হচ্ছিলো না তুই শীতে কাঁপছিলি। তখন হঠাৎ বিছানাই সুয়ে তোকে বুকে জোরিয়ে ধরে ঘুমিয়ে গেছিলাম।সকালে তুই ওঠার আগেই আমি উঠে পরি যেনো তুই কীছু বুজতে না পারিস। প্রো-ফাইলে নতুন গল্পের লিং-ক দিয়েছি। পড়তে পারেন।
তার পরেই বুজতে পারলাম
i'm in love with you.
তার পরে থেকে তোকে চোখে চোখে রাখতাম।তোর ধারের কাছেও কাউ কে আসতে দিতাম না।
এতোই যখন ভালোবাসো তাহলে এতো কষ্ট দিতে কেনো।
সত্যি বলতে আমি নিজেও জানি না কেনো এমন করতাম।আচ্ছা বাদ দে আর করবো না। এখন শুধু ভালোবাসবো আর আদর করবো😉
সকালে নাস্তা করে, সকলেই কাজে লেগে পড়লো,কারণ আজ কে আমাদের বউ ভাত।এভাবেই কেটে গেলো অনেক গুলো দিন। এখন শুভ্র ভাইয়া খুব বিজি থাকে তার কাজ মানে আমার সতিনকে নিয়ে।
তবে এতো চাপের মাঝে কখনও আমার খেয়াল রাখতে ভোলেনি।আমাদের বিয়ের প্রায় ২ বছর হলো।
কদিন হলো শরীলটা ভালো লাগছে না,তাই আজ বাড়িতে কাউকে না জানিয়ে ডাক্তার এর কাছে গেলাম।
আর জানতে পারলাম,আপনারা মামু আর খালামুনি হচ্ছেন।
আর আমার শুভ্র হচ্ছে বাবা,কী খুশি লাগছে বলতে পারবো না।
রাতে শুভ বাড়িতে ফিরতে অনেক টা রাত করলো।
এসেই শিশির কে জোরিয়ে ধরে বিছানায় নিয়ে সুয়ে পড়লো।
এইই কী করছো হে, মাত্র এলে যাও আগে ফ্রেস হয়ে নাও।
হুম একটু পড়ে, খুব ক্লান্ত লাগছে, আগে ক্লান্তি টা দূর করে দাও একটা পাপ্পি দিয়ে তাহলে যাবো।
সব সময় ফাজলামো ছারো আর ফ্রেস হয়ে আসো,আমি খাবার দিচ্ছি।
রাতে সুয়ে আছি শুভ্রর বুকে। এই স্থানটা জেনো খুব নিরাপদ, এখানে কোনো ভয় নেই,চেন্তা নেই,আরামে থাকতে পারি সারা জীবন।
ওই একটা কথা বলতাম।
হুম বলো, আমার বউ একটা কেনো হাজার টা বলো।
আমি হালকা উঠে শুভ্রর কানে কানে বললাম।
আমি মা আর তুমি বাবা হতে চলেছো।
কথাটা শুনে শুভ্র লাভ দিয়ে সোয়া থেকে বসে পড়লো,
কীছু সময় আমার দিকে চেয়ে থেকে বললো।
সত্যি😮
হুম
খুশিতে উনি পাগলের মতো লাফা লাফি করছিলো,
,
,
,
,
সামিয়া শোনো, আমি কিন্তু এবার মারবো তোমাকে,এতো ফাজিল হয়ছো কেনো হে।
ও দিদান আমাকে বাতাও,তোমার থেলের বউ আমালে শেষ করে দেবে(সামিয়া)
ওই শিশির একদম এ দিকে আসবি না বলে দিলাম,আমার দিদি ভাই খুব ভালো ও একটুও দুষ্ট না ওকে,,,তাই ওকে মারা কথাটা ভুলে যা।
তখনই শুভ্র হাজির হলো,,,,বাবা কে দেখেই মেয়ে দৌড়ে বাবার কলে উঠলো।
সামিয়া মা আমার কী হয়েছে,মামুনি বকছে কেনো।
দেখো না বাবাই আমি কীছুই করিনি,শুধু বলেছি আজ স্কুলে যাবো না,আর মামুনি আমাকে বকছে।আজ আমরা ঘুরতে যাবো।
ও এই ব্যপার,ওকে আজ আমরা ঘুরতে যাবো যাও তুমি রেডি হয়ে নাও।
তোমাদের যা মন চাই করো আমি কীছুই বলবো না।
আমার কথা কী কেউ শোনো তোমরা।বলেই রুমে চলে আসলাম।শুভ্র ও পিছু পিছু এসে আমাকে জোরিয়ে ধরে বললো।পাগলি এতো রাগ করো কেনো,সামিয়া তো ছোট, বলেই আদর করতে লাগলো তখনই সামিয়া এসে হাজির।
বাবাই তুমি খুব পঁচা শুধু মামুনিকে আদর করো,আমাকে একটুও করো না বলেই মুখ ফুলিয়ে বসে পড়লো,
ওলে বাবারে তাই নাকী?বলেই সামিয়ার কপালে একটা চুমু দিয়ে দিলাম,সাথে সাথে আমাকে রিটান দিয়ে দিলো।(হে সামিয়া আমার আর শুভ্রর মেয়ে,খুব দুষ্টু)
এভাবেই আমাদের সুখে দুখে দিন কাটছে,
আমরা খুব ভালো আছি আপনারাও ভালো থাকবেন।
আল্লাহ হাফেজ 🤗
ইতি টানলাম।টাটাটা.
(সমাপ্ত)

অদৃশ্য পরী

  ----দেবর সাহেব, তো বিয়ে করবে কবে? বয়স তো কম হলোনা ৷ ----আপনার মত সুন্দরী কাউকে পেলে বিয়েটা শীঘ্রই করে ফেলতাম ৷ -----সমস্যা নাই তো, আমা...