Showing posts with label বাঁধন. Show all posts
Showing posts with label বাঁধন. Show all posts

24.12.23

বাঁধন

 বাঁধন

1st part

writer. moyej uddin
-কিরে দোস্ত কেমন আছিস??(রিমি)
-তোকে কত বার বলব তুই আমাকে দোস্ত বলে ডাকবি না। (শুভ)
-কেনো??
-আরে গাধি তুই তো আমার ভবিষ্যৎ
-ভবিষ্যৎ মানে??
-বুঝো না??
-না
-বউ হি হি হি
-হারামীর বাচ্চা তোরে আজ খাইছি...
-হে হে তুই একটা মানুষ হলি। তুই আমাকে খেতে পারবি???
-তোর ত্যারামি এখনই ছাড়াবো
-এই কান ধরলি কেন ছার ছার।
-আরও ফাজলামি করবি??
-না বাবু কখনো ফাজলামো করবো না
-দাড়া(এই বলে কান ধরে জোড়ে টান দিছে)
-আআআআআআআ
-ওই থাম(মুখ চেপে ধরে) আর একবার বেশী বুঝলে এইরকম শাস্তি পাবি।
-ওকে সরি ক্লাসে চল
-হুমম চল
যার সাথে কথা বলছিলাম সে হলো রিমি। গাধি টাকে আমি অনেক ভালবাসি। কিন্তু ও আমায় একটুও ভালবাসে না। না না ভালবাসা তো দূরে থাক। আমার দিকে ফিরেও তাকায় না।
সে যাই হোক আমি নাছোর বান্দা। রাজি করিয়েই ছাড়বো।
সেদিন এর মতো ক্লাস শেষ করে বাড়ি ফিরলাম.....
কিছুদিন পর.....
একটা ফুল একটা লাঠি নিয়ে যাচ্ছি প্রোপজ করতে। যদি মাইর দিতে আসে লাঠি দিয়ে ঠেকাতে হবে।
-আরে ও কার সাথে কথা বলছে(একটা ছেলের সাথে দাড়িয়ে কথা বলছে)
-যাই হোক প্রোপজ আজকে করবই। যা হবার হবে
-ওই রিমি এদিকে একটু শোন
-দাড়া একটু পর আসছি
-না এখনি আয়
আর কিছু বলল না রিমি। আমি তার কাছে এগিয়ে গেলাম।
ফুল সামনে এগিয়ে দিয়ে.... আই লাভ ইউ
-ঠাসসসস ঠাসসসস ঠাসসসস
-তোকে কত বার বলবো আমি তোকে ভালবাসি না। আর এই যে এই দেখ আমার ভালবাসা যাকে ছাড়া আমি বাঁচব না। (ছেলেটাকে দেখিয়ে দিয়ে বলল)
-আরে কুত্তা আমি তো ফান করতেছি। আর এই ফুলটা আমার গাছের ৪ টা ধরেছিল ৪ জনকে দিছি। তোকে দিছি সানজিদা কে দিছি আর ২ টা হারামী বন্ধু কাইরা নিছে....
-ওহহ সরি সরি আমি ভাবছি সত্যি বললি
-ধুররর গাধি। দেখেন ভাই আপনার রিমির গায়ে কত জোর গালে দাগ বসিয়ে দিছে
-সরি রে
-থাক আর বলতে হবে না। তোরা কথা বল বাই।
-ওকে
-ওহ হ্যা শোন
-কি??
-কোন দোকানের চাউলের ভাত খাস??
-কেনো??
-না মানে তোর গায়ে অনেক জোড় হি হি হি
-কুত্তা দাড়া
আমি নাই......(হুহ প্রথম কাউকে ভাললাগলো সেটাও বুকিং। বুকের ভেতর কেমন যেন ধক ধক করছে।
-কিরে তোর গালে দাগ কেনো??(সানভি)
-কই না তো
-দূর থেকো সব দেখছি
-আরে কি দেখছিস??
-তুই রিমি কে প্রোপজ করলি আর ও তোকে ৩ টা থাপ্পর মারছে
-আসলে....
-আমি যানি ওই ছেলেটা রিমির বয়ফ্রেন্ড
-আমি জানতাম না
-হুমমম। আমার ভাললাগছে না রে
-তোর ভাললাগার জন্য একটা সুখবর আছে
-কি??
-সামনে শুক্রবারে(.....) পার্কে আমরা পিকনিক করবো
-তোরা কর আমি পারবো না
-তুই করবি না তোর বাপ করবে
-আব্বু রাতে ৯ টায় ফেরে তখন বাসায় গিয়ে আব্বুকে বলে আসিস
-হারামী বল যাবি যাবি
-ওরে হারামজাদা আমি কি কোনোদিন মানা করছি???
-হুররেএএএএএ
শুক্রবারে.....
আমরা ১৪ জন পিকনিক করতে আসছি। রান্না হবে সন্ধ্যায়। সবাইকে যার যার কাজ বুঝিয়ে দেওয়া হলো।
আমি বলছি আমি কোনো কাজ করতে পারবো না। ভাললাগছে না।
কিছুক্ষণ আড্ডা দিয়ে পার্কের মধ্যে হাটা শুরু করলাম। এখন যে পার্কে আসছি। এই পার্কের শেষে একটা নদী আছে....একটা বেঞ্চে বসলাম।
রিমির কথা ভাবছি...একটু বেশী ভালবাসছিলাম। কি জন্য যে পেলাম না। এইসব কথা ভাবতে ভাবতে ৭:৩০ এর মতো বেজে গেলো।
এমন উঠতে হবে। না হলে ওরা আবার টেনশন করবে.....
বেঞ্চে বসা থেকে উঠে দাড়াব হঠাৎ কারও কান্নার আওয়াজ পেলাম..
-আরে ঝোপের ওইদিকে কে কান্না করছে?? ভুত টুত নয় তো। আল্লাহ বাচাই দাও আজকে। আর একা ঘুরবো না। আবছা আবছা অন্ধকারে ঝোপের দিকে তাকিয়ে কিছু বোঝা যাচ্ছিল না...একটু এগিয়ে গিয়ে লাইট মারলাম......
-নাআআআআ লাইট অফ করো।
-একি এ আমি কাকে দোখলাম?? রিমি কে! তাও আবার শরীরে একটা পায়জামা ছাড়া আর কিছু নেই! আমার হাত পা কাপছে.....
।।

বাঁধন
Part:2
নাআআআআআ লাইট অফ করো
-একি এ আমি কাকে দেখলাম?? রিমি কে! তাও আবার শরীরে পায়জামা ছাড়া আর কিছু নেই!
আমার হাত পা কাপছে.....আমি সাথে সাথে অন্য দিকে ঘুরে বললাম
-এগুলো কিভাবে হলো??
রিমি শুধু বলল আমি বিয়ের উদ্দেশ্য বাড়ি থেকে পালিয়েছি আর ও এসব করে আমাকে....(আর কিছু বলতে না পেরে কান্না করে দিলো)
-আমার শার্টের নিচে একটা টি শার্ট ছিল। ওটা খুলে দিলাম।
-এখন কি করবি(আমি অন্য দিকে ঘুরেই কথা বলছি)
-কি আর করবো মরে যাবো(হতাশ হয়ে)
-চুপপপ। মরা ওতো সোজা নাকি??? আর ওল্টা পাল্টা কথা বলবি না।
-তাছাড়া আর কি করবো??
-চল তোকে বাসায় দিয়ে আসি
-হুহ তাহলে ওরা আমাকে মেরে ফেলবে
-তাহলে কি করি এখন!
-তুই বাড়ি যা।
-তুই কই যাবি??
-ওই নদীতে...
রাগ কন্ট্রোল না করতে পেরে ওর কাছে গিয়ে ঠাসসস ঠাসসস করে ২ টা বসিয়ে দিলাম.....
রিমি কান্না করে আমাকে জড়িয়ে ধরে বলল আমার সব শেষ সব শেষ
-না রে কিছুই শেষ হয় নাই....চল এখন।
-কোথায় যাবো??
-আমার বাড়ি
-হুহ আমি চাই না আমার জন্য তুই বিপদে পড়িস।
-আমি যা বলছি তাই হবে। আর তোকে আমাকে নিয়ে টেনশন করতে হবে না।
-না থাক যাবো না তুই যা
-রাগাবি না বলে দিলাম।
-কি পরিচয়ে তোর বাড়ি যাবো??
-বউ পরিচয়ে বউ
কথাটা শোনার পর রিমি থ হয়ে দাড়িয়ে গেছে.....
-না রাগ করিস না। মিছি মিছি বউ
রিমি কিছুই বললো না শুধু চেপে চেপে কান্না করতেছে
-শোন আমি পার্কের গেটের বাইরে থেকে তোর জন্য একটা ড্রেস কিনে নিয়ে আসি। এই ড্রেসে তো আর বাড়িতে যাওয়া যাবে না.....
(-রিমি চুপ করেই আছে)
-আর হ্যা কথা দে আমি না আসা পর্যন্ত এখান থেকে যাবি না......
-এই শুধু শুধু এগুলো ভেজাল ঘারে নিস না।
-চুপপপপপ
-আচ্ছা(কিছুটা ভয় পেয়ে)
-এখানেই থাক এক পা নরবি না
-হুমমম
সানভি কে ফোন দিয়ে বললাম বাড়ি চলে আসছি...সাথে সাথে ও ফোন ওফ করে দিলো। হয়তো রাগ করছে। এখন রাগ ভাঙ্গানোর সময় নাই
আমি গিয়ে রিমির জন্য একটা ড্রেস কিনে আনি।
-এই তাড়াতাড়ি পরে নে,
-হুমমম ওই দিকে ঘোর
-ওহ হ্যা সরি
-হুমমম শেষ (রিমি)
-হুমমম চল এখন(শুভ)
-না গেলেই কিন্তু ভালো হতো
-আবার মুখের উপর কথা বলে
-ওকে চল
বাড়িতে গিয়ে.....
-মা ও মা (শুভ)
-কি হইছে(মা)
-আমি বিয়ে করেছি
-কি বলিস?? কাকে??
-এই রিমি এদিক আসো
-ওহহহহ ভালই দেখতে তো। কিন্তু তোর বাবা (মা)
-আমি জীবনেও মেনে নিবো না, কখনই মেনে নিবো না।(বাবা)
-বাবা আসলে....(শুভ)
-কোনো বাহানা চলবে না। আপনার সাথে আমি আর একটা কথা বলতে চাই না। আপনি বাড়ি থেকে বের হন(বাবা)
-বাবা শোনো....
বাবা কোনো কথা না বলে একটা লাঠি নিয়ে কিছুক্ষণ মারলো....
-এখনি বের হ বাড়ি থেকে।অনেক কিছু দিয়েছিস। আর দিতে হবে না যা এখান থেকে(বাবা)
মা শুধু দাড়িয়ে দাড়িয়ে দেখছিল। কিছু বলতে পারছিল না। কারন বাবার উপরে সে কথা বলে না।
এদিকে রিমি ভয়ে কাপতেছে। তাই বেশি দেড়ি না করে রিমি কে নিয়ে চলে এলাম আর বললাম
-ভালো থেকো তোমরা....
এখন কি করি রাত প্রায় ১১ টার মতো বাজে। রিমি মেয়ে মানুষ ওকে নিয়ে ঘোরাফেরা টাও ঠিক হবে না। সানভি কে ফোন দিবো?? না ওতো ফোন ওফ রাখছে...একবার ফোন দিয়ে দেখি।
হুমমম ফোন ওন করছে
-হ্যালো সানভি
-কোনো কথা বলবি না ফোন রাখ
-না ভাই শোন আমি খুব বিপদে পড়ছি
-কি বলিস কি হইছে???
(তারপর সব ওকে বললাম)
-আরে হারামি আগে বলবি না (সানভি)
-ভাই কিছু একটা কর
-হুম কোথায় আছ আছিস এখন??
-(.....) এই জায়গায়
-ওকে ২০ মিনিট দাড়া আমি সব ব্যাবস্থা করে আসছি।
-আচ্ছা তাড়াতাড়ি করিস একটু
-আমার খুব ভয় করছে(রিমি)
-কেনো??
-কি যে হবে বুঝতে পারছি না (মেয়েটা কান্না করতে করতে একদম নিস্তব্ধ হয়ে গেছে...)
-এই যে এই দিকে আয়(হাত দুটো বাড়িয়ে দিয়ে বললাম)
-ও দেড়ি না করে আমাকে জড়িয়ে ধরলো(এবার আর কান্না করলো না হয়তো তার নিরাপদ জায়গাটি সে পেয়ে গেছে)
।।
বাঁধন
Part: 3
-এই যে এই দিকে আয় (হাত দুটো বাড়িয়ে দিয়ে বললাম)
-ও দেড়ি না করে আমাকে জড়িয়ে ধরলো(এবার আর কান্না করলো না। হয়তো তার নিরাপদ জায়গাটি সে পেয়ে গেছে)
-একটা কথা বলি??(রিমি)
-হ্যা বল(শুভ)
-আমার খুব খুদা লাগছে
-হারামী আগে বলবি না। আচ্ছা আগে দেখি সানভি কি ব্যবস্থা করে.....
২০ মিনিট পর.....
-শুভ কই রে তুই(সানভি ফোন দিয়ে)
-এই যে বড় গাছটার নিচে আয়
-ওহ হ্যা পেয়েছি
-কি ব্যবস্থা করলি??
-কি আর করবো?? আমার রুম টাই আজ তোদের। কিন্তু ৫ টার আগেই আবার রুম থেকে বেড় হয়ে আসতে হবে। না হলে খবর আছে।(সানভি)
-এই রিমি তোর কি কোনো সমস্যা হবে??? (শুভ)
-নাহ(রিমি)
-আচ্ছা খাওয়ার কিছু আছে??(শুভ)
-হুমম সমস্যা নেই আমি ব্যবস্থা করে রাখছি। কারন আমি যানি তোরা কিছুই খাস নাই(সানভি)
-দোস্ত অনেক ধন্যবাদ(শুভ)
-ধুরর পাগল। চল এখন
তারপর সানভিদের বাড়িতে গিয়ে সানভির রুমে গেলাম। সানভি আর একটা রুমে ছিলো।
সানভি কিছু খাবার রেখোছিলো সেগুলো খেয়ে রিমি ঘুমিয়ে গেলো খুব তাড়াতাড়ি। সারাদিন অনেক ঝড় গেছে। এখন ভাবছি সকালে উঠে কই যাবো....ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে যাই
ভোর ৫ টা সানভি এসে আমাদের ডাক দেয়....ওর কাছ থেকে আমরা বিদায় নিলাম.....
-এই এখন কি করি বল তো(শুভ)
-আমি তোকে এত করে বললাম। আমার মতো একটা বোঝা টেনে লাভ নেই শুধু শুধু টেনসন।(রিমি)
-আবার??
-তো কি হুমম। এত কিছু করিস কেন আমার জন্য??
-আমি যে তোকে....
-কি??
-আমি তোকে বাঁচিয়েছি তাই দায়িত্ব টা আমার ঘারে পড়ছে....
-হুমমম
-একটা আইডিয়া আসছে মাথায়
-কি আইডিয়া??
-আমরা শহরে গিয়ে দুজনই একটা কাজ করবো। আর একটা রুম নিয়ে থাকবো।
-এক রুমে??
-সমস্যা নেই। আলাদা ঘুমাবো।
-না একই সাথে ঘুমাবো
-কিন্তু
-কোনো কিন্তু না
-হাতটা দে তো
-কেনো??
-হাত ধরে হাটি ভাল লাগবে। আর নতুন জীবন শুরু করতেছি। একটা ব্যাপার আছে তো।
প্রায় তিন মাস পর....
এখন আমরা একটা বাসা ভাড়ায় থাকি। বাসার মালিককে মিথ্যা বলে ভাড়াটা নেওয়া হইছে...আমি আর রিমি এক রুমের মধ্যেই থাকি এক বিছানায় থাকি কিন্তু মাঝখানে একটা ছোট্ট ছেলে থাকে.....আরে মিয়া কোলবালিশ এর কথা বলছি।
আমরা দুজনই কাজ করি...এক মাস ভালভবেই চলে যায়....ভালভাবেই চলছিল সবকিছু হঠাৎ রিমি একদিন বলল....
-এভাবে আর কয়দিন??(রিমি)
-কিভাবে কয়দিন??(শুভ)
-এভাবে থাকবো কয় দিন?? বাড়ি থেকে তো আর মেনে নিবে না। আর আমার আর তোর বিয়ে হয় নাই। এভাবে কি সারাজীবন থাকা কি ঠিক হবে???
-তাহলে রুম আলাদা নিবো??
-আমি কি তাই বলছি??
-সেটা বোঝা যাচ্ছে
-আমি যেটা বুঝাতে চাচ্ছি সেটা তো বুঝবি না। আমি তো ইউজ একটা মেয়ে আমার মধ্যে আর কি আছে???
-এই চল (আমি হাত ধরে টেনে নিয়ে যাচ্ছি)
-কই যাচ্ছিস??
-আয় বুঝতে পারবি
কাজী অফিসে নিয়ে সোজা বিয়ে করে ফেললাম। রাস্তায় কোনো কথা বলি নাই। ও শুধু হা করে তাকিয়ে ছিলো।
বাসায় আসার পর...
-আমাকে বিয়ে করলি কেনো??
-তখন যে তুই কথাগুলো বললি তখনই আমি বুঝতে পারছি।
-আমার মধ্যে তো কিছু নেই। কি দিবো তোকে???
-কিছু দিতে হবে না। মন থেকে যদি একবার প্রোপজ করিস তাহলে একটা সারপ্রাইজ দিবো।
-কি সারপ্রাইজ??
-আগে প্রোপজ কর
-ভালবাসি তোমাকে। এখন কি দিবি দে
-আমি ওর কানের কাছে গিয়ে বললাম। একটা বাবু দিবো হুমমম
-যা শয়তান।
তারপর যা হয় আর কি...(সেটা আপনদের শুনতে হবে না)
সকাল বেলা.....
-হ্যালো ম্যাডাম (শুভ)
-আর একটু ঘুমাই(রিমি)
-কাজে যেতে হবে না?
-আর একটু প্লিজ। তুই যা গোসল করে নে আমি আসছি।
-আমার দিকে তাকা তো
-কি হইছে(একটু রেগে)
-আমাকে তুই করে বলছিস কেনো?? শুধু তুমি করে বলবি
-নিজেই তুই তুই করছো
-ওকে সরি। ওঠো এখন
-তুমি আগে গোসল করে আসো তারপর আমি
তারপর কিছু না বলে,কোলে নিয়ে সোজা গোসল খানায়।
-আজ আমি তোকে গোসল করিয়ে দিবো(শুভ)
-ইয়ে মানে। আমি তো(রিমি)
-কোনো মানে টানে নেই। দেখি রিমি কান্না করতেছে।
-এই কান্না করছো কেনো??
-প্রথমে ভুল মানুষ কে মন আর দেহ দুটোই দিয়েছি।
-ওইসব কথা আমার সামনে বলবা না আগেই তো বলে দিয়েছি....
-হুমম সরি। গোসল করাও(লজ্জায়। একটা হাসি দিয়ে)
-হুমম আগে একটু দিয়ে নেই
-আবার?
-হুমমমম
গোসল করা শেষে রিমি বলল
-আজ আর কাজে যেতে হবে না। এখন রান্না করি। কিছু খেয়ে বিকাল পর্যন্ত গল্প করবো। তারপর একটু ঘুরতে যাবো.....
-কাজে গেলে ভালো হতো
-ওকে যাও(মন খারাপ করে)
-কি যে মহাবিপদ(মনে মনে বললাম)
-মনে মনে আমাকে বকা দিতে হবে না। তুমি কাজে যাও
-হে আমার আত্মা পাখি মানা করার পর আমি কোথায় যাবো??
-হুমমমমম
-ও একটু দূরে ছিলো। টেনে কাছে নিয়ে বললাম তুমি তো আমার সব। আর কপালে একটা চুমু দিলাম। ও আবার সেদিন এর মতো জড়িয়ে ধরে আছে কিন্তু কান্না করছে না। হয়তো এভাবে থাকতেই ওর ভালোলাগে। থাকুক কিছুক্ষণ এভাবে......
বিকালে আমরা রেডি হচ্ছি ঘুরতে যাওয়ার জন্য
-এই আমরা আবার নতুন করে প্রেম করবো(রিমি)
-মানে??
-মানে প্রেম করবো তোমার সাথে
-তো আমাকে কি করতে হবে??
-আজ আমার সাথে তোমার প্রথম দেখা হবে। তুমি পার্কে আগে যাবে। তারপর আমি যাবো
-না একসাথে যাই
-ঘুরতে যাওয়া লাগবে না।
-ওকে ওকে আমি আগেই যাচ্ছি।
-আর হ্যা হাতে যেনো কিছু থাকে
-কি থাকবে??
-সেটা তো জানি না। তবে প্রথম দেখা করলে যা সবাই দেয় তাই দিতে হবে...
-আবার যে কি পাগলামো শুরু করলে
-থাক লাগবে না
-কথায় কথায় রাগ করতে নেই। ওকে যাচ্ছি এদিকে আসো। একটা ইয়ে দিয়ে দেই....
- ছি ছি কি বলো বিয়ের আগে এসব করতে নেই...আজ আমার তোমার প্রথম দেখা...
-হায় আল্লাহ এ মেয়ের মাথায় যে কি ঘুরতেছে....
তারপর আমি বাসা থেকে বের হয়ে একটা ফুল কিনলাম....
আর পার্কে বসে আছি রিমির জন্য।
ওর পাগলামো গুলোর কথা মনে করে হাসতেছি মিটিমিটি....
হঠাৎ........
।।
বাঁধন
End part
তারপর আমি বাসা থেকে বের হয়ে একটা ফুল কিনলাম.....
আর পার্কে বসে আছি রিমির জন্য।
ওর পাগলামো গুলোর কথা মনে করে হাসতেছি মিটিমিটি....
হঠাৎ বাবা এসে সামনে দাড়াল
-বাবা তুমি এখানে(শুভ)
-মাফ করে দে আমায় (বাবা)
-ছি এগুলো কি বলো। দোষ করেছি তো আমি।
-তোর মা ১ মাস আগে মারা গেছে রে
-ক ক ক কিভাবে??
-স্ট্রোক করছিলো। তুই নাম্বার চেন্জ করছিস কেনো?? তোকে অনেক খুঁজা খুঁজি করা হয়ছে কিন্তু পাই নাই।
-সব কিছু তো শেষ
-যা হবার হইছে। বাড়িটা ফাকা এখন বৌমাকে নিয়ে চল।
-হুমমমম ও আসবে কিছুক্ষনের মধ্যেই
-তুই কান্না করিস না এখন (চোখ বেয়ে পানি পড়ছেই)
-হুমমমমমমমম
কিছুক্ষণ পর রিমি আসলো। ওকে সব বললাম। সে যাওয়ার জন্য রাজি হলো। প্রথম এ মানা করছিল। কোনো ভাবে যদি তার বাড়ির লোক যানতে পারে তাহলে খবর আছে।
আমরা আমাদের বাড়িতে চলে গেলাম। সবকিছুই এখন স্বাভাবিক...
একদিন একটা লোক বাড়িতে এসে রিমি কে ডাকছিলো..
-কে?? কাকে চাই(শুভ)
-রিমি আছে??(লোকটি)
-জ্বি আছে
-একটু ডেকে দিন
-আপনি ওর কে হন??
-ও দেখলেই বুঝতে পারবে...
-রিমি রিমি বাইরে আসো তো(শুভ)
-কি হইছে(রিমি ভেতর থেকে বলল)
-বাইরে আসো। তোমাকে একজন ডাকছে।
-ওকে ওয়েট
রিমি কিছুক্ষন পর আসলো। লোকটিকে দেখার পর রিমি একদম থমকে যায়...
-বাবা তুমি!(রিমি)
(ওহ তাহলে এটাই আমার শশুর মসাই)
-তুই ওভাবে চলে না এলেও পাড়তি। আমাদের এত কঠোর ভাবিস কেনো??
-বড় আপুর বিয়েতে তোমরা যে ব্যাবহার করছো সেটা দেখে আমার ভয় করে।
-ওহহ সেটা তো অন্য বিষয় ছিলো
-হুমমম। আমি এখানে তুমি জানলে কিভাবে??
-একদিন পাশের বাড়িতে এসে তোকে দেখতে পাই।
-ওহহহ তুমি বসো।
-না যাই এখন
-না আংকেল বসেন(শুভ)
-ওই কি হয় তোমার??(রিমি চোখ রাঙিয়ে বলল)
-জিভে কামর দিয়ে বললাম। সরি সরি আব্বা হয়। আব্বা বসেন...
কিছুক্ষণ পর বাবা আসলো তারা অনেক কথাবার্তা বললো। শেষে তারা দুজন মিলে একটা সিদ্ধান্ত নিলো। তারা আমাদের বিয়ের অনুষ্ঠান করতে চায়। আমি আর রিমি রাজি হই।
শশুর মসাই আজই রিমিকে নিয়ে যেতে চায়। তাই রিমি কাপড় গুছাচ্ছে..
-না গেলেই তো হয়(শুভ)
-একবারে কি যাচ্ছি নাকি??(রিমি)
-ঠিক তা নয়। থাকবো কিভাবে আমি??
-ওলে আমাল বাবুতা। ৩ টা দিন থাকতে পারবে না???
-৩ টা দিন কম হলো নাকি অনেক দিন।
-হুমমম মসাই এখন একটু কষ্ট করেন তারপর একবারে এসে আর যাবো না।
(ওকে কাছে টেনে নিয়ে বললাম)
-আমরা যে বাধঁনে আটকা পড়ছি। এটা কখনো ভেঙে যাবে না তো
-নারে পাগল কখনোই যাবে না। আর তুমি অনেক শক্ত করে গিট্টু দিয়েছো।তোমার ভালবাসার গিট্টুতে বাঁধন ছিড়বে না....
-তাই যেন হয়।
-এখন তাহলে আসি
-না দাড়াও।
-কি??
-কয়েকটা ইয়ে দিয়ে যাও
-যাহ এখন না বিয়ের আগে এসব করতে নেই
-ওই ওই.....(তারপর যা হয় আরকি সেটা না বলাই ভালো)
-এই এবার যেতে হবে(রিমি)
-হুমম চলো
তারপর রিমি কে ওর বাড়ি পর্যন্ত এগিয়ে দিয়ে এলাম। এখন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নিতে হবে...তিন দিনের মধ্যে সব আত্মীয় স্বজন কে দাওয়াত করা হলো। রিমি আমাকে ফোন দিয়ে কান্না করতে আর বলতো..আমাকে এসে একটু দেখে যাও। আমি ওকে বলতাম...ওরে পাগলি আমি যখন বললাম তখন আমাকে বুঝিয়ে সুজিয়ে রেখে গেছো এখন বোঝো।
অনুষ্ঠানেরর দিন সকালে...
-হ্যালো রিমি (শুভ)
-হ্যা বলো
-কি করো??
-সাজতেছি
-খুব দেখতে ইচ্ছা করছে
-হুমম আর তো কয়েক ঘন্টা ওপেক্ষা করো।
-হুমম তাছাড়া আর কি করার। ওকে এখন রাখি। আর কিন্তু ফোন দিবো না। একদম সরাসরি কথা বলবো।
-হুমম ঠিক আছে
-ওকে বাই
-ওকে।
সেদিন রাত ৮ টায়। খবর আসলো..
-বাবা বরের গাড়ি এক্সিডেন্ট করে নদীতে পরে গেছে গাড়ির ভেতর যারা ছিলো কেউ বেঁচে নেই....(রিমির ভাই)
-রিমি কথা টা শুনে বলল। আরে ভাইয়া কি বলো ও আসবে। আমাকে ও বলেছে। ও কখনো আমায় ছেড়ে যাবে না। আমার ওর ভালবাসার বাঁধন অনেক শক্ত। ও একটু পরেই আসবে।
- না রে ও আর আসবে না(রিমির বাবা)
-আরে দেইখো ও আসবে
-না ও আসবে না। ও মারা গেছে
-ও তাও আমাকে বলে যাবে..এসব কথা বলতে বলতে রিমি নিস্তেজ হয়ে যায়
-(রিমি আর কিছু বলতে পারে না)
-আচ্ছা বাবা আমি একটু ঘুমাই। ও আসলে আমায় ডেকে দিয়ো। আর হ্যা ও বলেছে আমার জন্য ও কি যেনো আনবে। তোমরা কেউ ওটা দেখবে না। আমি শুধু দেখবো হুমম।
আর ও আসুক। আমি ওকে বলেছি একটু তাড়াতাড়ি আসতে। আর উনি দেরী করতেছেন।
আমি ঘুমাবো এখন কেউ আমাকে ডাকবে না। ও এসে আমাকে ডেকে তুলবে হুমমম
তারপর রিমিও একদম জীবনের মতো ঘুমিয়ে যায়....রিমি অভিমান করেছে
শুভ এসে তাকে ঘুম থেকে উঠাবে।
শুভও আর কখনো আসবে না। রিমিও জেদ ধরেছে ও না আসলে সে চোখ খুলবে না 😭
......................END......................

অদৃশ্য পরী

  ----দেবর সাহেব, তো বিয়ে করবে কবে? বয়স তো কম হলোনা ৷ ----আপনার মত সুন্দরী কাউকে পেলে বিয়েটা শীঘ্রই করে ফেলতাম ৷ -----সমস্যা নাই তো, আমা...