Showing posts with label বেলকনিতে সেই দিনগুলো. Show all posts
Showing posts with label বেলকনিতে সেই দিনগুলো. Show all posts

28.12.23

বেলকনিতে সেই দিনগুলো

 বেলকনিতে সেই দিনগুলো

Write : Sabbir Ahmed
___________________________
শীতের দিনে বিকেল বেলা তেমন একটা সুখকর না। তবুও একটা লোক বেলকনিতে দাঁড়িয়ে আছে। দেখে মনে হচ্ছে শীতটাকে উপভোগ করছে। তার এমন হাব ভাব স্বভাবটা একটা মেয়ে পাশের বিল্ডিং থেকে খেয়াল করতো।
,,
মেয়েটা ছেলেটাকে দেখে ভাবতো, ছ্যাকা ট্যাকা খাইছে হয়তো তাই এমন ভাব। প্রতিদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত বেলকনিতে থেকে চলে যেতো৷ মেয়েটাও একই সময়ে চলে যেত।
,,
ছেলেটার নাম আবির, পড়া শেষে সবে মাত্র একটা চাকরি পেয়েছিলো, দুদিন চাকরি করে সেটাও হাড়িয়েছে। সারাদিন চাকরি খোঁজ করে শেষ বেলায় এসে বেলকনিতে দাঁড়িয়ে সময় কাটানোর কাজ। সে যে বিল্ডিং এ থাকে সেটা তার তাদেরই। কিন্তু তার অনেক শখ ভালো একটা চাকরি করবে।
,,
আর মেয়েটা খালার বাসায় বেড়াতে আসছে। তার খালা পাশের বিল্ডিং এ ভাড়ায় থাকেন। মেয়টার নাম অধরা, সে ভার্সিটিতে পড়ে। তার পরিবারেও বেশ ভালো অবস্থা। মেয়েটা অনেক স্মার্ট আর বন্ধুত্বসুলভ টাইপের।
,,
তো এই ভাবে চলছিলো দিন, অধরা শুধু আবির কে ফলো করেই যাচ্ছে। আবির তো আর জানে তার দিকে একজন তাকিয়ে থাকে।
,,
তো একদিন বিকেল বেলা আবির আনমনে বাইরে তাকিয়ে ছিলো। অধরাও তার দিকে তাকিয়ে রয়েছে। অধরা আজ আবির কে ডাকবে ভাবতেছে। কিন্তু কি বলে ডাকবে সেটা খুঁজে পাচ্ছে না৷
,,
বুকে সাহস জমা করে অধরা বলল..
-এই যে ভাই (অধরা)
-...(আবিরের কোনো সাড়া নেই। হয়তো খেয়াল করে নাই)
-এই যে ভাই এই
-...(আবির আগের অবস্থার মতোই)
-এই আগুন্তকঃ
-...........
-আরে ঐ ব্যাডা ঐ
,,
আবিরের চোখ এবার অধরাকে দেখলো। অধরা কে দেখা মাত্রই আবের মুখ হা করে তাকিয়ে আছে।
-ঐ নিচে আসেন তো আপনি (অধরা)
-আমি? (আবির)
-হ্যা ভাই আপনি একটু নিচে নামেন আমি আসছি
-কেনো?
-কথা আছে
,,
অধরার রাগি ভাবটা দেখে অাবির অবাক হয়ে গেলো। অচেনা একটা মেয়ে তার উপর রাগ দেখাচ্ছে! নিজের অজান্তেই কোনো ভুল হয়েছে কি না সেটা মনে করার চেষ্টা করলো আবির। কিন্তু কিছুই পেলো না। পাবেই বা কি করে? সে তো কিছুই করেনি।
,,
আবির অধরা দুজনই নিচে আসলো।
-আরে ভাই আপনার কি মাথা খারাপ? (অধরা)
-কি করেছি? (আবির)
-এই প্রতিদিন বিকেলে আসেন বেলকনিতে। এসে দাঁড়িয়ে থাকেন আর এক দৃষ্টিতে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকেন
-জ্বি
-জ্বি মানে?? কি! কি দেখেন হ্যা?
-কিছু না এমনি
-আর ডাকলে শুনেন না কেনো?
-আমি ভাবনাতে ছিলাম
-আরে রাখেন তো আপনার ভাবনা। পাগল ছাগল বেশি ভাবে
-আপনি আমার উপর এত রাগান্বিত কেনো?
-আরে রাগবো না কি জন্য বলেন? আমি প্রতিদিন এসে আপনাকে দেখি আপনি আমাকে দেখেন না কেনো?
-সরি! বুঝলাম না
-ন্যাকামো করেন?
,,
হঠাৎ সেখানে উপস্থিত হলো অধরার খালাম্মা।
-কিরে তুই নিচে কি করিস?? আরে আবির! কেমন আছো?
-জ্বি আন্টি ভালো আছি
-খালাম্মা তুমি ওকে চেনো?
-হ্যাঁ ওকে আবার কে চেনে না।
-আমারও একই কথা পাগল ছাগল কে চেনে না সবাই চেনে
-কি হয়েছে তোমাদের
-না কিছু না তুমি যাও আমি আসছি
-অধরা শোন আবির কিন্তু এই বাসায় থাকে, আর বাসা টা তাদের নিজস্ব
-হ্যাঁ খালাম্মা বুঝেছি। তুমি বাসায় যাও আমি আসছি
,,
খালাম্মা চলে যাওয়ার পর...
-এই যে শোনেন আর কখনো যদি বেলকনিতে এসে আমাকে ডিস্টার্ব করেন তো আপনার বাবা কে বলে দিবো (অধরা)
-আরে আমি কখন আপনাকে ডিস্টার্ব করলাম?
-আপনি বেলকনিতে এসে দাঁড়িয়ে থাকলেই আমার ডিস্টার্ব হয়.. (অধরা চলে গেলো)
-এর বাসা কি মঙ্গল গ্রহে নাকি? এমন করে কেনো? (আবিরও চলে গেলো)
,,
পরদিন,
আবির বেলকনিতে এসে দাঁড়িয়েছে। অপরদিকে অধরা এই আসাতেই ছিলো। সে আসবে আর বকা দিবে। ঠিক তাই, অধরা বলল..
-এই যে ভাই,
-...(আবির দেখলো অধরা ডাকছে)
-আপনাকে না বলেছি আসবেন না
-এখানে না আসলে আমার ভালো লাগে না
-আজব! আপনি যাবেন? নাকি আমি আপনার বাসায় যাবো
,,
আবির আর দেড়ি করলো না ভেতরে চলে গেলো। অধরা তো খুব খুশি একটা ছেলেকে ভয় দেখিয়েছে আর ছেলেটাও বেশ ভয় পেয়েছে এটা মনে করে।
পরদিন আবির আর বেলকনিতে আসলো না। কিন্তু তার পরের দিন ঠিকিই আসলো। অধরাও তাকে ধরে ফেলল..
-এ আপনার কি ঘাড়ের রগ ত্যাড়া? মানে আপনাকে আমি আসতে মানা করলাম একদিন সেটা মানলেন আর আজকেই আবার আসছেন (অধরা)
-আমি কালকেই আসতাম। অসুস্থ ছিলাম তাই আসতে পারিনি (আবির)
-ওহহ আচ্ছা। কুমিরের যে অসুখ হয় আমি জানতাম না
-সমস্যা কি আপনার? আমার পেছনে এত লাগতে আসেন কেনো? আজব!
(আবির রাগ করে ভেতরে চলে যায়)
,,
পরদিন আবির বেলা অবেলায় বেলকনিতে আসা শুরু করলো। যখন অধরা না থাকে তখন আসে। অধরা বেলকনিতে আসা মাত্রই সে ভেতরে চলে আসে। ঐদিকে অধরার আর ভালো লাগছে না এরকম ব্যবহার এর জন্য সে সরি বলতে চায় সেটাও হচ্ছে না৷
,,
আবিরের সাথে দেখাই হয় না৷ এমন ভাব করছে মনে হয় লুকোচুরি খেলছে। অধরা সুযোগ এর অপেক্ষায় থাকে এভাবে দুই একদিন চলে যায়৷ তবুও সুযোগ আসেনা৷
,,
একদিন দুপুর বেলা আবির অধরা কে দেখতে না পেয়ে সেই সুযোগে বেলকনিতে দাঁড়িয়ে। আর এদিকে অধরা আবির বেলকনিতে আসা মাত্রই সে আবিরের বাসায় চলে আসে। এমনকি তার বাবা কে বান্ধবী পরিচয় দিয়ে রুম অব্দি চলে আসে।
,,
আর রুম পেড়িয়ে বেলকনিতে আসতেই..
-হে ব্রো(অধরা)
আবির এদিক ওদিক তাকালো, কিন্তু কাউকে দেখতে পেলো না৷
-এই যে আমি আপনার পেছনে (অধরা)
,,
আবির পেছনে তাকিয়ে দেখে অধরা দেয়ালে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
-আরে আ আ আপনি এখানে ঢুকলেন কিভাবে? বের হন এখনি, আব্বা আম্মা দেখলে কি বলবে (আবির)
-আমি তাদের কাছ থেকে পারমিশন নিয়েই আসছি(অধরা)
-আপনি এখানে কি জন্য আসছেন??
-অস্থির হচ্ছেন কেন ব্রো কুল কুল। সরি বলতে আসছি।
-কেনো??
-আপনাকে অনেক জ্বালিয়েছি। তো কাল আমি বাসায় চলে যাচ্ছি তাই সরি বলতে আসলাম
-আপনি ওখানে থাকেন না?
-না আমি খালার বাসায় আসছি।
-তাহলে উনিই আপনার খালা?
-হ্যাঁ৷ তো সরি
-না ঠিক আছে
-থাকেন আমি আসি এখন
-বসেন কিছু খেয়ে যান
-নাহহ অন্য কোনোসময়
-আচ্ছা
-হুমম থাকেন আপনি আর বিরক্ত করবো না
,,
অধরা চলে যাবে কিন্তু আবিরের বাবা মা তাকে যেতে দিলো না। এখান থেকে খাইয়ে তারপর ছাড়লো। আর শেষে বলল অধরাকে বাসায় দিয়ে আসতে। অধরা তো বলেছে তাদের বাসার ঠিকানা খালা বাসায় যে আসছে সেটা আর বলেনি।
এখান থেকে অধরাদের বাসাও তেমন দূরে। বিশ মিনিট এর পথ। আবির আর অধরা বাইরে আসলো।
দুজন কথা বলতে বলতে খালার বাসায় চলে আসলো।
-আচ্ছা আপনি ভেতরে যান তাহলে(আবির)
-আপনি ভেতরে আসেন (অধরা)
-না এখন আর ভেতরে যাবো না
-আরে আসেন এখন বাসায় গেলে বিপদে পড়বেন।
-কেনো?
-আমি বলেছি আমার বাসা অনেক দূরে। আর আপনাকে দায়িত্ব দিয়েছে আমাকে বাসায় রেখে আসতে তো এখন যদি বাসায় যান তো কি বলবেন তখন??
-আপনি শুধু ভেজাল বাঁধিয়ে দেন
-হ্যাঁ আমি এইরকমই
,,
অধরা আবির কে ভেতরে নিয়ে গেলো। বাসার লোকজনদের তো অাবির আগে থেকেই চিনতো। তাদের সাথে কথা বলল। তারপর অধরা আবিরকে বেলকনিতে নিয়ে যায়।
-হাহ এই সেই জায়গা যেখানে থেকে আপনাকে আমি জ্বালিয়েছি তাই না?? (অধরা)
-হুমমম (আবির)
-ওহ হ্যা আমাদের পরিচয় টাই তো হয়নি। আমি অধরা
-আবির
,,
পরিচিত হবার পর অধরা বলল..
-আপনি তো আমার বড়। অনেক বেয়াদবি করে ফেলেছি (অধরা)
-আরে না ঠিক আছে। তবে আমি এখন উঠি (আবির)
-চলে যাবেন??
-হুমম
-ওকে
,,
আবির বাসায় চলে গেলো। আবির চলে যাওয়ার পর পরই।
অধরার খালাম্মা আসলো..
-তুই ছেলেটার সাথে কই গিয়েছিলি?? (খালাম্মা)
-কোথাও যাইনি তো ওদের বাসায় গিয়েছিলাম (অধরা)
-কি বলিস! ওদের বাসায় তো এখন যা পরিস্থিতি
-কেনো খালাম্মা কি হয়েছে?
-তোকে বলা হয়নি তবুও বলি। এই যে আবির ছেলেটা সে তো বেশিদিন বাঁচবে না
-মানে!!!
-ওর ক্যান্সার হয়েছে৷ ডক্টর বলেছিলো মাস দুয়েক বাঁচতে পারে, এখন তো দুই মাস প্রায় ফুড়িয়ে এলো কি যে হয়
,,
অধরা কেমন চুপ হয়ে গেলো। খালা চলে গেলো। সে দৌড়ে গিয়ে বেলকনিতে দাঁড়ালো। কখন আবির আসবে তার অপেক্ষা করতে লাগলো৷
আবির আসলো সেই বিকেলের শেষ ভাগে। অধরাও তার সাথে সাথে এসে হাজির...
-আপনার আসতে এত সময় লাগলো?? (অধরা)
-আমি ঘুমিয়েছিলাম তাই লেট হয়েছে (আবির)
,,
অধরা আর কি বলবে বুঝতে পারে না। শুধু তাকিয় তাকিয়ে দেখে। আবির তো লজ্জায় শেষ। আবির তো আর বুঝতে পারছে না যে অধরা তার অবস্থার কথা জেনে ফেলেছে। আবির লজ্জায় আর সেখানে থাকতে পারছে না৷ ভেতরে চলে যাবে তখনই অধরা ডেকে বলল
-যাবেন না শোনেন (অধরা)
-কিছু বলবেন?? (আবির)
-...(অধরা মাথা নাড়িয়ে মানা করে।)
শেষে আবির চলে গেলো। অধরার মন খারাপ হয়ে গেছে। সময় যাচ্ছে তো তার কথা ভেবে ভেবে আরও সময় খারাপ হচ্ছে। পরে খালার কাছে আরও জানতে পারে আবিরের চাকরি করাটা খুব শখ তাই শরীরের এ অবস্থা নিয়েও চাকরি খুঁজছে।
,,
পরদিন অধরা আর বাসায় গেলো না। আবিরের জন্য থেকে গেলো। অধরা আবির কে ডেকে নিয়ে দুপুরর পর হাঁটতে বের হলো।
দুজন হাঁটছে বাসার আশে পাশেই..
-আপনি গেলেন না কেনো?? (আবির)
-...(অধরা চুপ)
-কোনো সমস্যা হয়েছে কি? (অধরা)
-আপনি আমাকে বলেননি কেনো আপনার শরীর ভালো নেই
-আপনাকে কে বলল আমার শরীর ভালো নেই?? ভালো দেখেই তো হাঁটছি।
-আমি খালাম্মার কাছে থেকে সব শুনেছি
-ওহহ তাহলে আর মিথ্যে বলে লাভ নেই। আমি আর মাত্র কয়েকদিন এর মেহমান। তবে জানেন কি আমার মনে হয়না আমি মারা যাবো
-আমি আপনাকে কিছু কথা বলব
-বলেন
-আমি আপনাকে ভালবেসে ফেলেছি অনেক আগেই ভাবছি যে যাওয়ার সময় আপনার কনটাক্ট নাম্বার নিয়ে যাবো। আর এখন শুনি...
-আপনার মাথা ঠিক আছে?
-সব ঠিক আছে আমার
-আচ্ছা আমি বাসায় যাই আমার কাজ আছে
,,
অধরা আবিরের হাত ধরলো।
-হাত ছেড়ে দেন, সবাই দেখছে (আবির)
-আপনি এখান থেকে যাবেন না (অধরা)
-ওকে হাত ছাড়েন
-...(অধরা আবিরের হাত ছেড়ে দিলো)
,,
-শোনেন সত্যি ভালবেসে ফেলেছি সেই জন্যই ওমন করেছি (অধরা)
-জ্বি ভালো (আবির)
-আপনি আমার দিকে তাকাচ্ছেন না কেনো??
-না মানে এমনি, আমার ভালে লাগছে না বাসায় যাবো
,,
অধরা আবিরকে আর আটকালো না।
আবিরের এরকম চলে যাওয়ার কারন এখানে ভালবাসার সম্পর্ক টা যেন না আসে। মেয়েটা শুধু শুধু কষ্ট পাবে।
,,
বিকেলে দুজের আবার দেখা হয় সেটা বেলকনিতে। যে যার যার অবস্থানে দাঁড়িয়ে। আবির অন্যদিকে তাকিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। হঠাৎ আবিরের ফোনে রিং বেজে উঠলো। আবির রিসিভ করতেই...
-এদিকে ঘুরেন আমি ফোন করেছি (অধরা)
,,
আবির বুঝতে পেরে অধরার দিকে তাকালো। অধরা ফোনে বলল..
-আমি আজ সন্ধ্যায় চলে যাচ্ছি বাসা থেকে কল করেছিলো আজকেই যেতে হবে (অধরা)
-হুমমম (আবির)
-আপনার কিছু বলার নেই?
-কি বলব?
-তাই তো কি বলবেন।
-ফোন কেটে দেন, আর নাম্বার কোথায় পেয়েছেন?
-সেটা আপনি জেনে কি করবেন?
-কিছু না
-আমি আপনাকে সত্যি ভালবাসি
-দেখেন অন্য কিছু বলার থাকলে বলেন না হলে ফোন কেটে দেন
-হুমম ঠিক আছে। আমি এখনই চলে যাবো
-হুমম শোনেন এটাই হয়তো আমাদের শেষ দেখা ভুল ত্রুটি মাফ করবেন। আর হ্যাঁ ভালবাসি ভালবাসি এইগুলো কি হ্যা? আপনার পুরো জীবন আছে এখন এসে কি সব আবল তাবল বলতেছেন।
-আমি ঠিক বলছি তো
-না আপনি ঠিক বলেননি
-হুমম আজ আমাদের শেষ কথা তাই না? (অধরা কান্না করে দেয়)
-এই যে এই এভাবে কান্না করতেছেন কেনো?
-আপনাকে আর দেখতে পাবো না
,,
আবির কিভাবে অধরাকে থামাবে বুঝতে পারে না। এবার আবির বলল..
-ভালবাসেন তাই না?? (আবির)
-হুমম(অধরা)
-ভালবাসার মানুষকে এইভাবে বিদায় দেওয়াটা কি ঠিক হবে?
-কি করবো আমি?
-আপনার সাথে আমার পরিচয় বেলকনিতে। তো আপনি আপনার ভালবাসাটা যদি বেলকনিতে রেখে যেতেন তো আমি খুশি হতাম
-আপনি কে যোগাযোগ করতে মানা করতেছেন??
-হুমম ভালবাসাটা বেলকনিতে রেখে গেলেন আমি দেখলাম
,,
অধরা কাঁদো কাঁদো কণ্ঠে বলল..
-কি রেখে যাবো বলেন?? (অধরা)
একটা ফুলের টব (আবির)
-হুমমম
-এটাই আমাদের শেষ কথা আর দেখা। যদি ভালবাসা বাঁচাতে চান তো আমার সাথে আর কথা বলা যাবে না। আমি আপনার ঐ রেখে যাওয়া টব টাকে পাহারা দিবো। বেলা শেষে এসে একবার দেখে যাবো
-হুমম বুঝেছি আপনি কি চাচ্ছেন
-এই তো গুড গার্ল
-আমার যাওয়ার সময় হয়েছে
-আচ্ছা ঠিক আছে ভালো থাকবেন। (আবির সালাম দিয়ে ফোনটা কেটে দেয়)
,,
অধরা আর আবিরকে দেখতে পায়না। অধরা একটা টব নিয়ে এসে বেলকনিতে রেখে দেয়। আর সবাইকে বলে যায় এখান থেকে এটা যেন কেউ না সড়ায়। সন্ধ্যার পর অধরার বাবা আসলো। অধরা বের হলো তার বাসার উদ্দেশ্যে। অধরা বাইরে এসেও বার বার আবিরের বাসার দিকে তাকাচ্ছিলো যদি একটা বার তাকে দেখতে পায়। কিন্তু সে কপাল আর হলো না।
অধরা গাড়িতে উঠলো। গাড়ি যত দূর যাচ্ছিলো তার ভালবাসাড দূরত্ব টা ততই বাড়ছিলো। এরকরম ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ভালবাসা সৃষ্টি না হওয়াই ভালো। এইসব ভালোবাসা গুলো বেশ কষ্ট দেয়৷ অধরা গাড়িতে যাচ্ছে আর ভাবছে হয়তো কোনো একদিন খবর আসবে তার বেলকনিতে থাকা ভালবাসাটা আর বেঁচে নেই। ভালো থাকুক এরকম ছোট ছোট অনুভূতি গুলো যেগুলো কখনো পূর্ণতা পায় না।
,,
,,
,,
,,
,,
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,END,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,

অদৃশ্য পরী

  ----দেবর সাহেব, তো বিয়ে করবে কবে? বয়স তো কম হলোনা ৷ ----আপনার মত সুন্দরী কাউকে পেলে বিয়েটা শীঘ্রই করে ফেলতাম ৷ -----সমস্যা নাই তো, আমা...