তোমার আড়ালে
writer. moyej uddin
-এই দেখে চলতে পারেন না?(একটা মেয়ে)
-দেখেই তো চলছি। আপনি তো অন্য দিকে তাকিয়ে ছিলেন আর ধাক্কা লাগল (আমি)
-কি বললেন?? আমি অন্য দিকে তাকিয়ে ছিলাম আর ধাক্কা লাগল??
-হ্যা তাই তো। আমি তো সোজা পথেই যাচ্ছি।
-দাড়া তোর সোজা পথ বাহির করতেছি...এই রবিন শিপন রিফাত এদিক আয়....(কয়েকটা ছেলে কে ডাকল)
-কি হইছে??(তারা)
-ও আমাকে জোর করে পাপ্পি দিছে এ্যাহ এ্যাহ এ্যাহ (মেয়টি)
-দেখেন আমি ওনাকে কিছু করি নি। উনি মিথ্যা কথা বলছেন
-উনি মিথ্যা কথা বলছে তাই না! তোর আজকে.....
(কি মাইর টাই না মারল)
-আর যেনো এরকম না হয়। হলে একদম কলেজ থেকে বাহির করে দিবো।(তারা)
-আমি তো তা....(আমি)
-কোনো কথা বলবি না যা এখান থেকে (তারা)
-এই এই সুন্দর ভিডিও হইছে এদিকে আয় (আর একটা মেয়ে)
(তার মানে ওরা আমার সাথে এরকম করল শুধু ভিডিও করার জন্য! হা কপাল। মাইর গুলো বেশি জোড়ে দেয় নাই। আস্তেই দিছে)
।
ইন্টারমিডিয়েট ২য় বর্ষের ১ম ক্লাস করতে আসছি আজ। প্রথম দিনেই এই অবস্থা না জানি সারা বছর কপালে কি আছে!
-কিরে দোস্ত আস্তে দেড়ি করলি যে!(রাত্রি)( রাত্রি ও আমার সাথেই পড়ে। ১ম বর্ষ থেকে ওকে চিনি। মেয়েটার সব কিছুই ঠিক ঠাক আছে কিন্তু রাগ অভিমান টা একটু বেশী। আর একটা কথা মেয়ের বাবার মাল কড়ি ভালই আছে ভাবছি ওগুলোর মালিক আমি হবো।))
।
-কি রে কি ভাবছিস ক্লাসে যাবি না?? (রাত্রি)
-ও হ্যা চল (আমি)
।
আপনারা আবার ভাইবেন না পর বাবার সম্পত্তির উপর আমার লোভ আছে। আমার লোভ তো ওর উপর। বান্দিটাকে বড্ড বেশী ভালবাসি। ও তো বোঝারই চেষ্টা করে না।
ক্লাস শেষ করে বাসায় ফিরছিলাম...তখন রাত্রি কে ডাকলাম
-ওই শোন শোন (আমি)
-কি (রাত্রি)
-আমাদের বাসায় চল
-কেনো??
-কেনো মানে? আজ আমাদের বাসায় খেয়ে তারপর বাসায় যাবি।
-না যাব না
-যাবি না মানে! যেতে হবে (হাত ধরে টানতে টানতে বাসার দিকে রওনা হলাম।
(রাত্রির সাথে পরিচয় হওয়ার কিছুদিন পরই আমার পরিবারের সাথে তার পরিবারের পরিচয় হয়। ও প্রায়ই আমাদের বাসায় যায়। কিন্তু আমি ওর বাসায় যাই না। এই নিয়ে কত রাগারাগি)
-মা মা(আমি)
-কি হইছে??(মা)
-দেখো কে আসছে
-কে আসছে??
-তোমার ছেলের বউ
-কি বললি???(রাত্রি)
-অন্য ছেলের বউ (আমি)
-ওহহ রাত্রি! আয় আয় তোদের জন্যই বসে আছি।
-আন্টি তুমি জানতে আমি আসবো??
-হ্যা শুভ বলল। আজ দুপুরে তুই আমাদের এখানে খেতে চাইছিস। আমি রান্না করলাম।
-....(রাত্রি আমার দিকে তাকিয়ে দাত কটমট করতেছে)
- মা মা মা দেখো দেখো খুদায় রাত্রির মুখের কি অবস্থা হইছে
-কই না তো(রাত্রি)
-তোদের খেতে দিচ্ছি ফ্রেস হয়ে আয়
।
খেতে বসে
-মা ও মা বড় মাথা তা ওই দিকে যাচ্ছে কেনো?? এই দিকে আসবে এই দিকে
-চুপপপপ তোকে যা দিয়েছি সেটাই খা
-না আমার ওই বড় মাথাটা চাই
-আন্টি ওকে দিয়ে দাও এটা (রাত্রি)
-না তুমি খাও। এই শুভ চুপ চাপ খা এখন।
-আচ্ছা(আমি)
।
খাওয়া শেষে
-আজ মিথ্যা বলে আনলি কেনো??(রাত্রি)
-আমার ইচ্ছা হইছে তাই (আমি)
-তুই তো কখনো আমাদের বাসায় যাস না
-যাবো যাবো বর সেজে যাবো
-শোন তোর সাথে কিছু কথা আছে। কাল একটু তাড়তাড়ি কলেজ যাবি। আর ক্লাস করবো না
-........(আমাকে নিয়ে ঘুরতে যাবে নাকি??)
-কিরে কি ভাবিস??
-এহ হ্যা যাবো যাবো সক্কাল সক্কাল যাবো
-হুমম বাই তাহলে
-আমি এগিয়ে দিবো
-না তুই থাক
-ওকে দেখে যাস
-হুমমম
।
ওকে বিদায় দিলাম। মনে মনে একটু খুশি খুশি লাগছে। কাল কলেজ যাবো প্রোপজ করবো ঘুরতে যাবো। ইয়াহু
পরদিন
-আসতে তাও ২ মিনিট লেট(রাত্রি)
-কি করব বল। ঘুম থেকে উঠতে দেড়ি হইছে।
-হুমম চল এখন
-কই যাবি???
-রিক্সা ডাক একটা
-...(আহা অনেক দিনের আশা পূরন হলো)
-কিরে ডাক
-হুমমম দাড়া একটু
।
রিক্সায় উঠে একটা পার্কে নামলাম। আমি শুনেছি মেয়েরা প্রপোজ করলে পার্কেই করে। তার মানে ও আমাকে.... হি হি হি
আমরা একটা বেঞ্চে বসলাম। দুজনেই চুপচাপ বসে আছি....
-কি যেন বলবি বল(আমি)
-একটু ওয়েট কর বলতেছি (রাত্রি)
-এখানে আর ওয়েট করার কি আছে?
-আছে
-ধুররর তুই বলে দে যে তুই আমাকে ভা.....
-হাই(একটা ছেলে)
-তুমিও আসতে দেড়ি করলে??(রাত্রি)
-সরি সরি আর ভুল হবে না (ছেলেটি)
-ঠিক আছে(রাত্রি)
।
-শুভ একটা কথা (রাত্রি)
-হুমম বল
-ও রাকিব ওকে আমি ভালবাসি
-সত্যি????
-হ্যা সত্যি
-আমাকে আগে বলিস নাই তো
-এখন তো বললাম
-আমি জানি তুই আমাকে ভাল....(রাত্রিকে বলতে দিলাম না)
-আমি জানি আমি তোর ভাল ফ্রেন্ড
-হ্যা কিন্তু। তুই একটা উপকার করে দিবি???
-কি বল
-আমাদের দুজনের কথা বাবার কাছে একটু বলবি।
-কি বলব??
-বিয়ের কথা
-হুমমম
-প্লিজ প্লিজ বল না
-হুমমম। তোরা বললেই তো হয়
-মেনে নিবে না
-কেনো??
-রাকিবের টাকা পয়সা নেই তাই
-তো আমি কিভাবে বলব এ কথা। আমার কথাও তো মেনে নিবে না
-আমি জানি না। আর ওকে ছাড়া আমি বাঁচব না
-হুমমমমম
-কি হুমম হুমম করছিস??
-তোরা পালিয়ে বিয়ে কর
-পালিয়ে তো বিয়ে করতে চাইছিলাম কিন্তহ রাকিব একদম সাদামাটা ছেলে আর ভিতু ও পালাতে পারবে না।
-হুমমমমম
-দেখ আমার কথা শুনে কান্না করছে।
-হুমমমম (সত্যি ছেলেটা কান্না করছে)
(এখন কি করি। আমি যে ওকে ভালবাসি সেটা ও বুঝতে পারছে আগেই। কিন্তু আমি...ধুররর অত ভেবে লাভ নেই।)
-কি হলো কি ভাবছিস???(রাত্রি)
-সমাধান খুঁজতেছি(আমি)
-কিছু পেয়েছিস??
-হুমমম
-কি??
-এখনই আমার সাথে চল তোরা দুজনই
-কই যাবি???
-শশুর বাড়ি। আমার না তোর বর এর হি হি হি হি।
-হুমম চল
।
-শশুর মসাই ও শশুর মসাই(আমি)
-কেএএএ????(রাত্রির বাবা)
-আরে নিচে আসেন
-কি হয়েছি কি?? এভাবে ডাকছো কেনো??
-মাথা ঠান্ডা করেন। কয়েকটা কথা শুনাবো আপনাকে। আর হ্যা কথা শুনে রাগবেন। রেগে যাবেন তো হেরে যাবেন।
-বেশি কথা না বলে কি হয়েছে সেটা বলো।
-আপনার মেয়ে একটা ছেলেকে ভালবাসে। ছেলেটির নাম রাকিব। একদাম ভদ্র সাদামাটা খাঁটি ছেলে।আপনার মেয়ে রাকিব কে ছাড়া বাঁচবে না। এখন আপনি যদি রাকিব এর সাথে বিয়ে না দেন। এই ধরেন দুই দিন। দুই দিন এর মধ্যে আপনার মেয়ে উপরে চলে যাবে। তাই না রাত্রি???
-হুমমমমম(রাত্রি)
-কিছু বলছেন না কেনো শশুর মশাই
-আচ্ছা ছেলেটা নিজেকে প্রতিষ্ঠিত হোক তারপর।
-না না সেটা হবে না। এখনই বিয়ের ডেট দিতে হবে
-পরে বিয়ে দিলে সমস্যা কোথায়??
-সমস্যা আছে সেই জন্যই তো বলছি
তোমার আড়ালে
Part: 2
writer. moyej uddin
-পরে বিয়ে দিলে সমস্যা কোথায়??(রাত্রির বাবা)
-সমস্যা আছে দেখেই তো বলছি এখন বিয়ে দিতে। শশুর মশাই আপনি বাংলা মুভি দেখেন???
-কেনো??
-আপনাকে বুঝাতে সুবিধা হবে
-হুমমম দেখি
-হুমম পরে বিয়ে দেওয়ার কথা বলে। আপনি মেয়েকে অন্য জায়গায় জোর করে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবেন। বা আপনি এই ছেলেটাকে মারার চেষ্টা করতে পারেন।
-তোমার স্পর্ধা তো কম নয়।
-আমি জানি।
-আচ্ছা আমি ব্যাপার টা দেখছি
-দেখছি মানে এখন দেখতে হবে
-আরে গাধা ওর বাড়ির লোকের সাথে কথা বলতে হবে তাই না।
-যাক মেনে নিছেন তাহলে
-হুমমম। কিন্তু তুমি আমায় একটা কথা বলো তো
-কি কথা??
-তুমি আমাকে শশুর মশাই বলে ডাকো কেনো??
-ওটা আপনি বুঝবেন না। আমার ভাল লাগে তাই ডাকি....
-ওহহহ
-আন্টি কোথায়???
-ঘুমাচ্ছে মনে হয়
-রাত্রি, রাকিব
-হুমমম
-তোমরা এখন থাকো। এখন আমি যাই
-কোথায় যাও হ্যা(রাত্রির মা আসছে। বলতে না বলতেই)
-বাসায় যাচ্ছি আন্টি। একটু কাজ আছে....
-এমনিতে তুমি আসো না। তারপর আজকে একটা সম্পর্ক ঠিক করে দিলে। তাও আবার আমাকে না জানিয়ে।
-তাহলে আপনি আড়াল থেকে সবকিছুই শুনছেন???
-হুমমম
-আসলে আন্টি আপনি খুব ভালো। আর বুদ্ধিমতি, আমি জানি আপনাকে বুঝাতে হবে না।
-হুমমমম চাপার জোড় আছে তোমার।
-আমার চাপার দিকে খেয়াল না করে মেয়ের জামাই এর দিকে খেয়াল করুন। আর কথা বলে সব জেনে নিন।
-তো রাকিব আসি।
-থ্যাংক ইউ ভাই
-হুমম
-ওই রাত্রি গেলাম
-না দাড়া একটু কথা আছে তোর সাথে
-আবার কি??
-রাকিব তুমি বাবা মার সাথে কথা বলো। আমি একটু আসছি
-হুমমম(রাকিব)
।
বাসার বাইরে...
-থ্যাংক ইউ(রাত্রি)
-আমি কিছুই করি নাই। শশুর মশাই কে থ্যাংক ইউ দে যা
-আমি জানি তুই আমাকে ভালবাসিস
-কে বলছে। তোকে ভালবাসি না। আর দুনিয়ায় মানুষ পেলাম না তোকে ভালবাসব
-তুই ভেঙ্গে পরিস না
-কি সব বলছিস তুই। আর যা রাকিব কিন্তু ভয়ে হিসু করে দিবে হি হি হি
-যা শয়তান।
-হুমম যাচ্ছি। আর বিয়ের কার্ড দিতে হবে না। আমি এমনিতেই চলে আসব
-ওকে বায়
-ওকে ভাল থাকিস।
।
এখন কষ্ট হলেও বলে বা প্রকাশ করে কোনো লাভ নেই। আমি ওর বিয়ে দেখতে পারবো না। আর বাসায় থাকলে বিয়েতে যেতেই হবে...কি যে করি....
বাসায় এসে
-মা মা
-হ্যা বল
-তোমার সাথে কিছু কথা আছে...
-আমারও তোর সাথে কিছু কথা আছে।
-হ্যা বলো
-আমরা ঢাকায় যাচ্ছি। আর ওখানেই থাকবো
-ওহহ সেই মিলে গেছে আমিও এটা বলতেই চাইছিলাম। বাবা ফোন করছিলো??
-হুমমমম
-তাহলে কাল সকালে রওনা দিবো। তুমি কি বলো
-ওকে
।
পরদিন সকালে ঢাকার উদ্দেশ্য রওনা হলাম। আগের সিম কার্ড টা চেন্জ করলাম। পুরোনো জিনিস ধরে রেখে লাভ নেই। এমনি তেই সহ্য করতে পারছি না। রাত্রির কথা খুব মনে পড়ছে। ধুরর ওর তো আমার কথা মনে নেই। আমি মনে করতে যাবো কেন??? তাও বার বার মনে পড়ে।
।।।
।।।
প্রায় ৭ বছর পর.....
-মা মা
-কিইইইই
-অতো জোড়ে কিইইই বলো কেন??
-তুই জোড়ে মা মা বলিস কেন?? আমার কি কান নষ্ট হয়ে গেছে??
-না শোনো। এখন তো অফিস ছুটি। তাই ভাবছি আমরা আগে যেখানে থাকতাম। সেখান থেকে একটু ঘুরে আসবো।
-তো তুই যা
-তুমি চলো সাথে। একা একা কোথায় থাকবো
-শোন আমরা যে বাসায় ভাড়া থাকতাম। ওইখানেই যাবি। আর ওই বাসার মালিক তোকে যদি না চিনে। তোর আব্বুর পরিচয় দিবি।
-ওকে তাহলে আজকেই যাই
-তোর ইচ্ছা
-তাহলে সব কিছু গুছিয়ে দাও
-আমার অনেক কাজ তুই গুছিয়ে নে
-মাআআআআ
-পারবো নাআআআ
।
সেদিন সকালের নাস্তা করেই রওনা হলাম...
৭ বছর আগের কথা মনে পড়ছে। রাত্রি হয়তো আমাকে ভুলেই গেছে। ওর বাচ্চা হয়েছে মনে হয়। ছেলে নাকি মেয়ে?? ওর বাসায় কি যাওয়া ঠিক হবে??? আগে যাই দেখি। পরে সেসব নিয়ে চিন্তা করা যাবে।
।
ওরে বাবা সব চেন্জ। আমরা যেখানে থাকতাম বাড়িটা খুঁজে পাচ্ছিনা। শহরে অনেক পরিবর্তন আসছে। কিছুই চিনতে পারছি না। কি করি এখন। উপরের দিক তাকিয়ে হাটছি।
-হ্যালো কাকু উপরে কি দেখো??(একটা বাচ্চা মেয়ে)
-........(দেখতে খুবই কিউট)
-কথা বলতে পারো না???(মেয়েটি)
-হ্যা বলতি পারি তো
-হা হা হা হা হা
-হাসছো কেনো??
-এমনি। উপরে কি দেখো??
-বাসা খুঁজতেছি
-হা হা হা হা। উপরে বাসা??
-হুমমমমম
-তুমি কি এখানে নতুন??
-হুমমম
-আমাদের বাসায় রুম ভাড়া দেওয়া হবে চলো
-না আমার এখানে পরিচিত একটা লোকের বাসা আছে সেখানে উঠবো।
-ওকে থাকো তাহলে
(কি মেয়েরা বাবা চেনে না যানে না কাকু কাকু করলো। আর কি ঘোল টাই না খাওয়ালো)
নাহ ওই বাসা টা কিছুতেই খুঁজে পাচ্ছি না। বিকেল হয়ে এলো। একটা ব্রিজ এর উপর দাড়িয়ে আইসক্রিম খাচ্ছি..
এমন সময়...
-ও কাকু(পেছন ফিরে দেখি আবার সেই মেয়েটি)
-হে কি অবস্থা এখন কোথায় যাওয়া হচ্ছে??
-পড়তে যাচ্ছি
-হুমমমম
-তা তুমি বাসা পেয়েছো???
-না গো
-কত করে বললাম আমাদের বাসায় চলো। ওখানে রুম ভাড়া দেওয়া হয়
-......(ভাবছি কি করবো)
-কি হলো??
-ওকে চলো
-হুমম
-এই না না তুমি পড়তে যাচ্ছো। পড়ে আসো তারপর যাই
-না আজ আর পরবো না
-আচ্ছা একটা কথা বলি
-হুমম বলো
-আমাকে তুমি প্রথম দেখে কাকু ডাকলে। আর এভাবে তোমার বাসায় নিয়ে যাচ্ছো...
-কাকু তোমাকে দেখে মনে হয় তুমি বোকা। যেভাবে উপরের দিকে তাকিয়ে ছিলে। তাই ভাবলাম আমাদের বাসায় নিয়ে যাই।
-কিহহহহহ আমি বোকা??
-দেখে তো তাই মনে হয়
-....হাইরে কপাল
-কিছু বললে
-না চলো
।
পিচ্চি টা যে বাসার সামনে নিয়ে এলো। বাসা টা নতুন।
-নানু নানু (পিচ্চি টা ডাকতে ডাকতে একটা রুমের মধ্যে চলে গেলো)
-কি হইছে নানু
-আমাদের বাসায় নতুন ভাড়াটিয়া ধরে আনছি।
-তোমাকে কে আনতে বলছে??
-উনি বোকা তো বাসা খুঁজে পাচ্ছিল না তাই নিয়ে আসছি
-চলো দেখি তো
।
-আসসালামু আলাইকুম(আমি)
-ওয়া আলাই কুমুসসালাম
-আসলে আমি.....(আরে এ তো দেখছি রাত্রির মা)
-তুমি শুভ না???
-জ্বি আন্টি। কেমন আছেন??
-ভালো। তুমি কোথায় ছিলে এতদিন??? কোনো খোঁজ খবর নেই।
-আমি ঢাকায় ছিলা...
-কে আসছে মা??(রাত্রি)
-দেখ শুভ আসছে
-হাই কেমন আছিস??(আমি)
-.........(কোনো কিছু না বলে উপরে চলে গেলো)
-এর আবার কি হলো???(আমি)
-এর জন্য তুমি দায়ী(আন্টি)
তোমার আড়ালে
END PART
writer. moyej uddin
-কে আসছে মা??(রাত্রি)
-দেখ শুভ আসছে
-হাই কেমন আছিস??(আমি)
-.........(কোনো কিছু না বলে উপরে চলে গেলো)
-এর আবার কি হলো???(আমি)
-এর জন্য তুমি দায়ী(আন্টি)
-আমি আবার কি করলাম??
-ওর কাছ থেকেই শুনো
।
আমি দেড়ি না করে ওর রুমে গেলাম।
-ওই সরি সরি আমি তোর বিয়েতে থাকতে পারি নি। আমি সহ্য করতে পারব না তাই....
-থাক বলতে হবে না
-হুমম। তোর বর কই??
-নাই
-কেনো??
-বিয়ে হলে তো বর থাকবে তাই না
-বিয়ে হয় নাই মানে! আংকেল কি তাহলে ২ নাম্বারি করছে আমার সাথে??
-না আপনার আংকেল ঠিকই ছিলো??
-আংকেল ঠিক ছিলো। বর নেই। তাহলে মেয়ে আসল কোথা থেকে??
-আল্লাহ দিছে
-কিভাবে দিলো??
-শোনেন তাহলে
-হুমম
-বাবা একদিন বাজার করতে গিয়ে রাস্তায় মেয়েটাকে পায়... তারপর আমার কাছেই রেখে দেই...
-ওহহ আর বিয়ে হয় নি কি জন্য
-উফফ আমি কি ওই ছেলেটাকে ভালবাসি?? আমি ভালবাসি আরেক জনকে তাই বিয়ে হয় নি
-কাকে??
-বলা যাবে না
-না বল
-না
-প্লিজ প্লিজ বল
-হুমম বলব পরে
-না এখন বল
-উফফ এখানে একটা মিসটেক হইছে যেটা শুনলে তুই আফসোস এ মরেও যেতে পারিস
-কি বলিস!
-হুমম রে
-তাহলে বল
-ওকে শোন তাহলে....পার্কে তোর সাথে যার পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলাম। ওটা আমার মামাতো ভাই। আমি তোকে ভালবাসি। এটা না বলে তোকে বড় সারপ্রাইজ দিতে চাইছিলাম।
-কি সারপ্রাইজ
-আগে বলতে দে পুরোটা
-হুমম বল
-বিয়ে টা হতো আমার আর তোর। আর ওটা ছিলো একটা নাটক। আমি বাসার সবাইকে আগেই জানিয়েছিলাম। কিন্তু তুই ই তো চলে গেলি। আর হ্যা আন্টিও একথা জানতো
-তাহলে মা আমাকে নিয়ে ঢাকায় আসলো কেনো??
-আন্টি আমাকে ফোন দিয়ে বলল, তোমাদের বিয়ে টা কয়েক বছর পরেই হোক। আমি বললাম কেনো?? আন্টি বলল তোমার শশুর এর ইচ্ছা তাই।
-তাহলে এই ব্যাপার
-হুমমম আর তুই যে আজ এখানে আসছিস তাও আমি জানি
-কিভাবে???
-আন্টির সাথে কথা হয়।
(আমি তো থ হয়ে দাড়িয়ে আছি)
-কিরে(রাত্রি)
-.....
-ওই(রাত্রি)
-হ্যা হ্যা বল
-কি হলো
-তাহলে এত বছর কষ্ট করলাম কি জন্য??
-জানি না।
-তাহলে এখন বিয়ে টা হোক
-জীবনেও না
-কেন???
-আমি এখন আরেকজনকে ভালবাসি।
-এহহহহ
-হ্যা
-না আমি তোকে ভালবাসি
-এতদিনে ভুলে গেছিস
-না ভুলি নি
-তাহলে প্রমান দে
-প্রমান তো দিতে পারবো না
-তাহলে হবে না। আর তুই এখানে কি জন্য যেন আসছিলি??
-বাসা ভাড়ার জন্য। আমাদের এখানে বাসা ভাড়া দেওয়া হয়না আপনি আসতে পারেন
-কোনো ভাবেই সম্ভব না
-তাহলে আর থেকে কি হবে?? ভাল থাকেন বাই
-শোন এটা বলে দৌড়ে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে মারতে লাগল আর বলল
তুই তো কিছুই বুঝিস না। অভিমান করছি তাও বুঝিস না। আমি তোকে এত্ত ভালবাসি তাও বুঝিস না...
-তাহলে এখন বিয়ে হবে তো??
-জানি না
-আমি কি সেদিন বুঝছি যে তুই আমাকে সারপ্রাইজ দিবি
-তা তো বুঝবি না
-হুমমম তাহলে আমাকে ছেড়ে দে চলে যাই
-ঠ্যাঙ ভেঙ্গে ফেলব
-তাহলে যাবো না
-না
-তাহলে মা কে ফোন দিয়ে আসতে বলি।
-কেনো??
-তার ছেলের বউকে নিয়ে যাবে সেই জন্য।
-তারা কাল ই আসবে
-মানে??
-মানে আন্টির সাথে কথা হইছে কাল আসবে
-তাহলে বিয়ে হবে ইয়াহুুুু
-খুশি হয়ে লাভ নেই
-কেনো
-বিয়ে টা হোক ৭ বছরের মজা বুঝাবো তোকে
-কি বুঝাবি??
-জানি না
-দূরে রাখলি কেনো। আমাকে ফোন করে সব বললেই তো পারতি
-ভালর জন্যই দূরে রাখছি
-ভাল হয়নি
-হ্যা হইছে
-কি ভালো হইছে??
-তুই জব করিস আমিও করি। আর ভালবাসাটাও একটু বেড়েছে
-হুমমমম। একটা কথা বলি
-হুমম বল
-আমার খুব কান্না পাচ্ছে তোকে জড়িয়ে ধরে একটু কান্না করতে পারি??
-হুমম আয়
-



















-হইছে আর কান্না করতে হবে না
-উম্মাম্মাহহহহহহহ
-এই কি করলি
-উম্মাম্মাম্মাহহহহহহ
-এই দাড়া দাড়া তোর খবর আছে রে কুত্তা.....

।।
।।
।।.........END.........