হিয়ার মাঝে
writer. moyej uddin
ও বন্ধু লাল গোলাপি কই রইলারে এসো এসো বুকে রা......
-ঠাসসস ঠাসসস ঠাসসসস
-মাইরলো কেডা রে???(পিঠের মধ্যে চড়! সবাই তো গালে মারে)
-দোস্ত পিছে তাকা(রাফি)
পিছে তাকাতেই দেখি ওমা এ তো দেখছি রাগে ফুঁসতেছে। দেখে তো ভয় ই লাগতেছে.......
মনে মনে ভাবছি কোনো মেয়ের সাথে তো আমি কথা বলি না, ডিস্টার্ব করি না। ইনি এসে মাইর শুরু করছে কেনো?? সাহস করে বললাম
-আপনার কোন বারা ভাতে আমি ছাই দিয়েছি????(আমি)
-আমার না। আমার ফ্রেন্ড এর বারা ভাতে আপনি ছাই দিয়েছেন???(মেয়েটি। আর মেয়েটি বোরখা পড়া ছিলো মুখ দেখা যাচ্ছে না)
-কোন ফ্রেন্ড??
-এই যে ও(পাশে আর একটা মেয়ে ছিলো)
-হ্যা আমি তো তাকে কোনোদিন দেখি নি!
-দেখেন নি! তাহলে বললেন কিভাবে ও বন্ধু লাল গোলাপি???
-হা হা হা হা হা হা হা
-চোপপপপপ
-হা হা হা হা আমি তে গান গাইছিলাম
-হ্যা গান গাচ্ছিলি। তবে আমার এই ফ্রেন্ড কে দেখে
-না তাকে দেখে আমি কেন গান গাবো?
-ভালো করে দেখ ওর গায়ে লাল গোলাপি জামা...
-হা হা হা হা হা
-ঠাসসস ঠাসসসস। শয়তান ফাজিল লজ্জা করে না... (এটা বলে চলে গেলো।)
-আরে দোস্ত তুই কিছু বললি না!
-কি বলব। কিভাবে বুঝাবো?? ওর ফ্রেন্ড এর গায়ে তো লাল গোলাপি জামাই ছিলো।
-তবে দোস্ত আমি ভিষন অবাক
-কেন??
-কি মারটাই না মারলো তোকে।
-শো কাটা ঘায়ে নুন এর ছিটা না দিয়ে ওই মেয়ের খোঁজ লাগা..। আর হ্যা আমি ১০ দিন এর জন্য কলেজে আসতে পারবো না
-কই যাবি???
-কি জানি! মা বললো কোথায় যেনো যাবে।
-হুমমমম
-ওকে বায় তাহলে ভাল থাকিস
-ওকে বায়
পরিচয় টা দিয়ে নেই আমি শুভ ইন্টারমিডিয়েট ২য় বর্ষে পরি। আপাদত এতটুকুই। আর না।
বাড়িতে এসে দেখি মা রান্না করছে
-ও মা রান্না হইছে??
-না আর একটু
-এখনো আর একটু। এত কি রান্না করো??
-বেশি কিছু না। আসলে রান্না করতে দেড়ি হয়ে গেছে। আর স্কুল থেকে ফিরতেও লেট হইছে
(ওহ হ্যা আমার মা প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষিকা। আর বাবা কে আমি দেখি নাই। শুধু শুনছি আমার যখন ২ বছর তিনি ক্যান্সার এ মারা যান)
-হুমম ভালো। তুমি রান্না করো আমি গোসল করে আসি।
-ওকে যা
।
গোসল করতে করতে...
-ও বন্ধু লাল গোলাপি কই রইলা রে, এসো এসো বু......(আবার কলেজের কথা মনে পরে গেলো। ইসসস কি মার টাই না দিছে।)
গোসল শেষ করে। খাওয়া শুরু করলাম। আর মাকে জিজ্ঞাস করলাম
-মা
-হুমম বল
-কাল আমরা কই যাবো??
-আমার বাড়ি
-তোমার বাড়ি মানে??
-মানে তোর নানা বাড়ি
-নানা বাড়ি.!
-হুমমম। কাল সকালে রওনা দিবো তুই কি বলিস??
-....(আমি কোনো কথা বলতে পারছিনা। কারন মাকে এত করে বলছি যে আমার নানা বাড়ি কোথায়?? উনি তখন বলছে যে নাই)
-কি রে কথা বলিস না কেনো??
-মা খুশির ঠেলায় কথা বলতে পারছি না।
-কেনো??
-তুমি তো বলছো যে আমার নানা বাড়ি নেই। এখন আসলো কোথা থেকে??
-তোকে পরে বলব সব। তুই খেয়ে নে এখন। আর হ্যা তোর কাপড় গুছিয়ে নে
-আচ্ছা।
।
গলা দিয়ে তো আর ভাত নামতেই চাচ্ছে না। কোনোরকম খেয়ে ব্যাগ গোছাতে রেডি। ভাবছি যে মামা দেখতে কেমন কয়টা মামা আছে। নানা নানি বেচেঁ আছে কি না??? মামাতো ভাই বোন কয়টা আছে।
রাতে বিছানায় গিয়ে ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে যাই.....
সকাল বেলা....
-ওই শুভ ওঠ
-না মামী আরেকটু ঘুমাই
-কিরে তোর মামি আসলো কোথা থেকে?? ওই ওঠ
-আরে মা তু তু তুমি
-হ্যা আমি। কিন্তু তোর মামি কাকে বললি
-আসলে ঘুমে নানার বাড়ির সবাইকে দেখছিলাম..হি হি হি হি হি
-দাত না কেলিয়ে ওঠ এখন সকাল ১০ টায় ট্রেন
-এহহহ কি বলো ট্রেন এ যবো??
-হ্যা তাড়াতাড়ি খেয়ে রেডি হয়ে নে।
-ওকে। শোনো শোনো
-আবার কি??
-নানার বাড়ি কোথায়??
-রাজশাহী
-রাজশাহী!
-হুমমমম(মা চলে গেলো)
গাজীপুর টু রাজশাহী! ওয়াও ওনেক দূর। মা এত দূরে বিয়ে হলো কিভাবে?? না এসব চিন্তা করে লাভ নেই। তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নেই।
।
-রেডি হয়ে আমি আর মা ট্রেনে উঠলাম।আহহ কি ভালই যে লাগছে। প্রথম ট্রেন প্রথম প্রেম। ধুররর কি বলি। প্রথম ট্রেন প্রথম নানা বাড়ি।
আমি তো অনেক খুশি। কিন্তু মার একটু মন খারাপ। হয়তো বাবা নেই তাই।
সব কিছু দেখতে দেখতে বিকেল ৪ টায় রাজশাহী স্টেশন এ আর ৪:৩০ এর মধ্যে নানা বাড়ি।
-ও মা একি এটা বাড়ি নাকি রাজপ্রাসাদ! মা এই বাড়িটা কার??
-তোর নানার
-ধুরর কি বলো? তাহলে আমরা ওরকম জায়গায় থাকি কেনো??
-তুই বুঝবি না। আর বেশি কথা বলিস না। চুপচাপ আয়.....
-আচ্ছা.....
হঠাৎ কেউ একজন আমাদের থামতে বলল। একজন লোক বয়ষ ৪০ এর মতো হবে...
-কেমন আছিস???(লোকটি)
-হুমমম ভালো তুই কেমন আছিস??(মা)
-হুমমম ভালো।
-হঠাৎ এতদিন পর, মনে পড়লো আমাদের কথা...!
-হুমমম
-আয় ভেতরে আয়...
-ওমা উনি কে???
-শোন তোর ৪ টা মামা, আর তোর কোনো খালা নেই।
-হুমম বুঝছি তোমার কোনো বোন নেই।
-এত বেশি কথা বলিস কেন?? যেটা বলি সেটা শোন
-হ্যা বলো
-তোর ৩ টা মামার পর আমি হইছি।
-তোমাকে আর বলতে হবে না এটা তোমার ছোট ভাই। মানে আমার ছোট মামা
-হুমমম চুপচাপ আয় এখন
-আমি তো চুপ ই আছি। তবে একটা কথা ছোট মামা কিন্তু সেলফিস আছে
-কেনো??
-আমাকে দেখে কিছু বলল না।
-তুই বুঝবি না। চুপ থাক একদম। আর আমার সাথে আয়.....
।
আমরা বাড়ির ভেতর প্রবেশ করলাম
ওরে বাবা কত্ত বড় বাড়ি। ভেতরে একদম রাজপ্রাসাদ এর মতো। ছোট মামা সবার নাম ধরে ডাকলো। কিছুক্ষনের মধ্যেই অনেক মানুষ জড়ো হয়ে গেলো। এত গুলো লোক থাকে এই বাড়ি! সবাই আমার আর মায়ের দিকে তাকিয়ে আছে...মনে হচ্ছে আমরা এলিয়েন....কিছুক্ষণ পর একটা বুড়ি এলো.....এসে মার দিকে একভাবে তাকিয়ে আছে....হঠাৎ মা বুড়িটাকে জড়িয়ে ধরে....
-কেমন আছিস তুই(বুড়িটা)
-ভালো না মা। (মা)
-এত দিন পড় মায়ের কথা মনে মনে পড়লো(তার মানে বুড়িটা আমার মায়ের মা। তার মানে আমার নানি)
-হুমমমম। বাবা কোথায়???
-নেই ৫ বছর আগেই চলে গেছে।
-মা আর নানি দুজনেই কান্না করছে...
।
-তোর বর টা কই???(নানি)
-ও হওয়ার ২ বছর পড়েই মারা যায়..(মা)
-তাহলে যে ছেলে দাড়িয়ে আছে ও কি তাহলে আমার নানু ভাই??
-হুমমম। এই শুভ এদিকে আয়।
-হুমমম নানু কেমন আছো??
-হ্যা ভালো।
বাহ বাহ মেয়েকে পেয়ে সব কিছু ভুলে গেলে!
এতদিনের রাগ কই গেলো তোমার?? (একটি লোক)
।।
হিয়ার মাঝে
Part :2
writer. moyej uddin
বাহ বাহ মেয়েকে পেয়ে সব কিছু ভুলে গেলে!
এতদিনের রাগ কই গেলো তোমার?? (একটি লোক)
ফিস ফিস করে বললাম..
-মা এই মক্কেল টা কে??(আমি)
-আরে এটা তোর বড় মামা। চুপপ থাকতে বলছি কিন্তু তোকে।(মা)
-মা কথা বলছো না কেনো??(লোকটি মানে আমার বড় মামা)
-...........(নানু কিছুই বলছে না শুধু কান্না করছে)
-ভাইয়া মা কি বলবে আমি বলছি। আসলে আমার ছেলেটা শুধু নানু বাড়ি নানু বাড়ি করতে তাই একটু নিয়ে এলাম...আমরা এখনই চলে যাবো।(মা)
মা বলে কি! তাই বলে এখনই চলে যাবো!
-শুভ চল যাই(মা)
-হুমমম(আমি)
হঠাৎ মা দাড়িয়ে গেলো...
-আবার দাড়ালে কেনো??(আমি)
পেছন ঘুরে দেখি বড় মামা আর নানু মায়ের হাত ধরে আছে....
-আর কত কাঁদাবি আমাদের????(মামা)
-আর চলে যাস না (নানু)
আবার কান্না শুরু করে দিছে তিনজনই। আর বাড়ির সবার চোখে পানি......
-হ্যা তোমরা শুধু কান্না করো। আর এদিকে আমার পেটে খুদায় চো চো করতেছে....
-হা হা হা হা হা (সবাই হেসে উঠলো)
-ভাই এটা আমার ছেলে শুভ(মা)
-হ্যালো মামা(আমি)
-যাক একটা মনের মতো ভাগনে পাওয়া গেছে......
বড় মামা একে একে বাড়ির সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দিলো।
-মামা একটা কথা
-হ্যা বল
-সবার বউ ছেলে মেয়ে আছে। তোমার বউ আছে কিন্তু ছেলে মেয়ে নেই কেনো????
-আরে একটা মেয়ে আছে ও কাল বাড়ি ফিরবে
-ওহহহহ
বড় মামি বলল
-শুভ তোমার তো খুদা লাগছে। এসো খাবে(মামি)
-না মামি ওটা আমি সবাইকে হাসানোর জন্য বলছি।
-ওহহহহহহ
।
তারপর নানু আমাকে একটা রুম দেখিয়ে দিলো। ফ্রেস হয়ে মাকে খুঁজতে লাগলাম
-মা মা
ইনি আবার কোথায় গেলো।
-এই যে মিস্টার(মেয়েলী কন্ঠ)
(ঘুরে দেখি মামাতো ভাই বোন গুলো আমার ফটো তুলছে)
-কি ব্যাপার তোমরা সবাই মিলে আমার ফটো তুলছো
-আরে আগে তো জানতাম না আমাদের কোনো ফুপাতো ভাই আছে। এখন পেয়েছি। তাই একটু ফটো তুলছি....
-হুমমম আচ্ছা তোমাদের সাথে তেমন ভালভাবে পরিচিত হই নাই।আড্ডা দিবো আর পরিচিত হবো।
-ওকে
সবাই মিলে মেজ মামির ঘরে গেলাম..
-ওই মেজ মামা কে তো দেখলাম না
-বাবা কয়েকদিনের জন্য বাইরে গেছেন(তার ছেলে বলল)
-ওহহহহ
তারপর আমরা অনেক আড্ডা দিলাম তিনজন ছেলে ২ জন মেয়ে ছেলেগুলোর নাম আকাশ, সুমন,রিফাত। আর মেয়ে দুটোর নাম
সাবিহা আর ঐশী।
কে কি করে সবার খোঁজ খবর নিলাম
একজন বলে উঠলো
-রিমি আপু থাকলে ভালো হতো
-রিমি কে??(আমি)
-বড় মামার মেয়ে
-ওহহ হ্যা মামা তো তাই বললো
হঠাৎ বড় মামির আগমন
-রাত ১১ টা বেজে গেছে। খাবি কখন???
-মামি তুমি যাও আমরা আসছি(আমি)
-হুমম তারাতারি আয়
তারপর খেয়ে ঘুমাতে গেলাম...
একটু পর আম্মু আসলো দেখতে
-কিরে ঘুমিয়ে পড়ছিস??
-হুমম অর্ধেক
-অর্ধেক মানে??
-মানে আধ ঘুম
-কথা এত পেঁচিয়ে বলিস কেনো
-আমি পেঁচিয়ে বলি না। তুমি বুঝতে ভুল করো তাই।
-ওকে ঘুমা
-না শোনো
-কি আবার.???
-তুমি এ বাড়ি থেকে আমার বাবার ওখানে গেলে কিভাবে???
-আজ না অন্যদিন
-না এখনই
-হুমম শোন আমাদের লাভ ম্যারেজ ছিলো। আমি বাড়ি থেকে পালিয়ে যাই। পরে বাড়িতে ফোন করে জানাই। তারা তখন মেনে নেয় না। একমাত্র মেয়ে বলে কথা। তাও পালিয়ে বিয়ে করছি। সেই থেকে আর এখানে আসা হয় নি
-হঠাৎ আসলে কেনো???
-তোর জন্য
-আমি তো আসতে চাই নাই
-বুঝবি না এখন পড়ে বুঝবি।
-হুমমম
-ওকে ঘুমা আমি তোর নানুর কাছে ঘুমাবো
-বাব্বাহ মা কে পেয়ে ছেলে কে ভুলে গেলে?? ওকে গুড নাইট যাও
-ওকে গুড নাইট। শয়তান একটা
সকালে উঠে দেখি মামাতো ভাই বোনেরা সবাই রেডি হচ্ছে
-কোথায় যাবে সবাই??
-রিমি আপুকে আনতে
-ওহহহ
-চলো আমাদের সাথে(সুমন)
-না যাও
-না না যেতে হবে (সবাই)
হুমমম চলো...
মামাদের অনেক গাড়ি। সবগুলোই ওনেক সুন্দর আর দামী। আমরা একটা গাড়ি নিয়ে স্টেশনে গেলাম।
প্রায় ১ ঘন্টা দাড়িয়ে থাকার পর ট্রেন আসলো.....
-ওই তো আপুউউউউ(ঐশী)
তাকিয়ে দেখি আমাদের এদিকে আসতেছে।
কাছে এসে সবার খোঁজ খবর নিলো
এবার তাকালো আমার দিকে...
- এ এ তুই এখানে কিভাবে??(সেই আপু)
-আপনি কি আমাকে আগে কখনো দেখছেন??
-দেখছি মানে! তোর থেকে বড় শয়তান আর একটাও নেই।
-ছি ছি কি বলেন। আমি আপনাকে কোনোদিন দেখি নাই।
-এই আপু তুমি কি বলো এগুলা??(আকাশ)
-দাদীমা আমাদের বলেছিলো। আমাদের একটা ফুপি আছে। তার ছেলে এই শুভ। আর ফুপিও আসছে(সাবিহা)
-ওহহহ তাহলে এই শয়তান টা ফুপির ছেলে!
-হুমমমমম(সাবিহা)
(আমি ভাবছি আমাকে শয়তান বলছে কেনো কি করছি আমি!)
তারপর আর চোখে তাকিয়ে চলে গেলো। আমি সবার পিছু পিছু হাটছি।
তারপর থেকে আর বেশি কথা বলছি না এখন.....
বাড়ি চলে এলাম। আপুটা মায়ের সাথে দেখা করলো। আপু তার রুমে যাচ্ছে আমি তার পিছু পিছু যাচ্ছি..
-এ তুই আমার পিছু পিছু কই যাস??
-আপনি আমাকে শয়তান বললেন কেনো??
-কাল যাকে লাল গোলাপি বলার কারনে যার হাতে মাইর খালি সেই মেয়েটি আমি...
-এহহহহহহহহ
-হ্যা
-কিন্তু আপনি আমায় অন্যায় ভাবে মারছেন আমাকে। আমি আপনার ফ্রেন্ড কে দেখে বলি নাই
-এখন কোনো কথা শুনতে চাই না।
-হুমমমমম।
।
কিছু না বলে চলে এলাম মায়ের কাছে..
-ও মা
-কি??
-আজ তোমার কাছে ঘুমাবো
-কেনো??
-জানি না খুব ইচ্ছা করছে
-আচ্ছা ঘুমা
আমি মায়ের কাছেই ঘুমিয়ে যাই....
সকালে উঠে দেখি আমার বুকের উপর কাগজ...
ভাবছি কাগজ কিসের। দেড়ি না করে পড়তে লাগলাম.....
শুভ,
আমার আজ বেশী খারাপ লাগছে। জানি না বাঁচবো কি না?? তোকে তো বলাই হয় নাই। আমার ব্রেইন ক্যান্সার হইছে। ডাক্তার বলেছে বাঁচবো না। আমি মারা যাওয়ার পর তুই কোথায় যাবি কি করবি। তাই তোকে এখানে নিয়ে এলাম....আমি আর লিখতে পাড়ছি না... ভালো থাকিস.....
ইতি
তোর মা
হিয়ার মাঝে
Part: 3
writer. moyej uddin
শুভ,
আমার আজ বেশী খারাপ লাগছে। জানি না বাঁচবো কি না?? তোকে তো বলাই হয় নাই। আমার ব্রেইন ক্যান্সার হইছে। ডাক্তার বলেছে বাঁচবো না। আমি মারা যাওয়ার পর তুই কোথায় যাবি কি করবি। তাই তোকে এখানে নিয়ে এলাম....আমি আর লিখতে পাড়ছি না... ভালো থাকিস.....
ইতি
তোর মা
এটা পরে আমার মাথা ঘুরে গেলো। মা মা ও মা। কই গেলো
বিছানা থেকে নিচে নামতে গিয়ে দেখি মা পড়ে আছে!
-নানুউউউউউউউউউউউউ(আমি)
আমার ডাকে নানু সহ বাড়ির সবাই চলে আসলো
-কি হইছে নানু ভাই
-ওই যে মা (আর কিছু বলতে পারলাম না)
নানু সাথে সবাই চিৎকার করে উঠলো। এখন কি হবে আমার?? কি করবো আমি?? কার সাথে ফাজলামি করবো?? আমার বিরক্তি কে সহ্য করবে?? না মা মারা যাই নাই। মা আছে তো।
আমি চুপ হয়ে বসে আছি কান্না করতে পারছি না।
আমি যাতে একা হয়ে না যাই সেই জন্য মা আমাকে এদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়ে গেলো???
আমি আর কান্না করতে পারলামা না।
পুরনো কথা গুলো মনে পড়ছে। কত আনন্দের ছিলো দিন গুলি।
বিকেলে মায়ের দাফন হলো। আমি সত্যি আর বিশ্বাস করতে পারছি না যে
আমার মা নেই! আমি হাটতে পাড়ছি না। পুরো শরীর থেমে গেছে। তারপর মাথা ঘুরে অজ্ঞান হয়ে যাই।
তারপর আমার আর কিছু মনে নেই...
রাত ৮ টায় আমার জ্ঞান ফেরে....
পাশে নানু বসে আছে।
-কিছু খেয়ে নে নানু ভাই
-আমি কোনো কথা বলতে পারছি না। মাথা দিয়ে ইশারা করলাম। না খাবো না।
তারপর থেকে আমি আর বেশি কথাই বলি নাই.......ঠিক মতো খাওয়া দাওয়া করি না। শুধু স্মৃতি গুলো ভাসছে চোখের সামনে......
।
প্রায় ১৫ দিন পর....
ভাবলাম এখানে আর থাকবো না আমি। নানু আর মামা কে গিয়ে কথা বলে বাড়ি চলে যাবো। যেখানে আমার মায়ের স্মৃতিগুলো বেশি আছে। তারপর বড় মামার কাছে গেলাম
-মামা
-হ্যা বল
-আমি চলে যাবে
-কই যাবি???
-আগে যেখানে ছিলাম
-ওখানে কি করবি কিভাবে থাকবি??খাবি কি??
-তার ব্যাবস্থা হয়ে যাবে।
কথা বলতে বলতে নানু চলে আসে
-নানু ভাই
-হ্যা নানু বলো
-কোথায় যাবে??
-আগে যেখানে ছিলাম সেখানে
-না। একটু অপেক্ষা করো। আছাদ আয় তো(আছাদ হলো বড় মামার নাম)
তারপর নানু আর মামা বাইরে গিয়ে
কিছুক্ষণ পর চলে আসলো
-নানু ভাই আমার একটা কথা রাখবে??
-হ্যা রাখবো। তবে আমি যে যাবো এটা মানা করতে পারবে না
-হ্যা আগে বলো আমার কথা রাখবে
-হ্যা বলো
-আমি আর আছাদ মিলে একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি
-কি সিদ্ধান্ত??
-তোমার আর রিমির বিয়ে দিবো
-আরে না নানু এটা তুমি এ সময় কি বলছো। আর কিছুদিন আগে আমার মা চলে গেছে। আমার মন ভালো নেই আমি বিয়ে করতে পারবো না। আর আমার কি বিয়ে করার সময় হইছে???
-শুভ তুমি না করো না। (মামা)
-মামা এটা কোনো ভাবে সম্ভব না
আমার ভালো কোনো ভবিষ্যৎ নেই।
-আছে। তোমার মা এ বাড়ির একমাত্র মেয়ে ছিলো। তার এ বাড়ি এবং সব সম্পত্তির উপর তোমার অধিকার আছে। (মামা)
-কিন্তু মামা
-কোনো কিন্তু না আমি বুঝে শুনেই সব করছি। আগামী সপ্তাহে তোমার বিয়ে।
-আমি এভা....
-আর যদি এর উপর কোনো কথা বলো। তাহলে মনে করবো তুমি আমার বোনের ছেলে না (মামা)
মামা নানু দুজনেই চলে গেল। এখন কি করবো?? মা তো বলেছে এখানে থেকে যেতে। মামাও তাই বলছে। তাহলে বিয়ে টা কি করবো??
উফফফ প্রচন্ড মাথা ব্যাথা করছে...
অনেক কথা বার্তার মধ্যে দিয়ে বিয়ে টা হয়ে গেলো। কিন্তু বড় আয়োজন করা হয়নি....
একটা রুমে আকাশ আর সুমন পাঠিয়ে দিলো। গিয়ে দেখি যার সাথে সদ্য বিয়ে হলো উনি বসে আছেন...
আমি বিয়ের আগে তার সাথে আর একটা কথাও বলি নি...
রুমের একটু ভিতরে ঠুকতেই
-ওই খানেই দাড়া(রিমি)
(এর আবার কি হলো। এখন তো কিছুই করি নি। এভাবে হুংকার ছাড়ছে কেনো!)
-কি হইছে??
-কি হইছে মানে? তুই আমাকে বিয়ে করলি কেনো??
-আরে মামা বলছে তাই
-তোর মামা বলেছে তাই বিয়ে করতে হবে???
-তো কি করবো??
-বিয়ের আগে একবারও আমার পরামর্শ নিলি না কেনো??
(ওহহহহ নো বিশাল একটা ভুল হয়ে গেছে)
-কি জন্য নিলি না বল(রিমি)
-আমি মামা কি অনেক বু...
-আমি কোনো বাহানা শুনতে চাই না..... ঠাসস ঠাসসসস ঠাসসসস ঠাসসস
(নিচের দিকে তাকালাম। জানি এখন কিছুই বলতে পারবো না)
-কিরে কথা বলিস না কেনো??(রিমি)
-আমি যে আপনাকে বিয়ে করেছি। সমস্যা কোথায় রাজি হচ্ছেন না কেনো??
-দুইটা কারন
-কি কি??
-তোকে আমার একদমই পছন্দ না। চেহারা টা দেখছিস তোর। আমার সাথে তোর কোনো ভাবেই ম্যাচ করবে না...
-আর
-আর আমি একজনকে ভালবাসি। তার সাথে আমার ২ বছরের রিলেশন....
(সত্যি ভুল হয়ে গেছে একটা। মামা কে এত করে বললাম বিয়ে করবো না। তাও কথা শুনলো না)
-ফিস ফিস করে কি বলিস??
-না মানে আপনি পালিয়ে গেলেও তো পারতেন
-হাতে সময় ছিলো না।
-আপনি এসে আমাকে বললেও তো পারতেন
-চোপপপপপপ। আমি সব বুঝি।
-না বোঝেন সব ভুলল
-কি বললি???
-না মানে এখন কি করবেন?? কিভাবে সমস্যা সমাধান করবেন???
-একটা উপায় আছে
-কি উপায়??
-আগে আমাকে কথা দে, যে আমার কথা রাখবি।
-হুমমম কথা দিলাম রাখব
-আমি যখনই বলব আমাকে ডিভোর্স দে। তখনই দিয়ে দিবি...কি দিবি না??
-হ্যা দিবো কিন্তু মামা....
-তোর যদি কোনো ভালবাসার মানুষ থাকতো। তুই কি তাকে ছাড়া থাকতে পারতি???
-না
-আমিও পারবো না। মরে যাবো
-না না মরতে হবে না। আপনি যখনই চাইবেন। আমি আপনাকে ডিভোর্স দিয়ে দিবো......
(রিমি কান্না করছে)(যা হবার হইছে ওকে একটু হাসানোর চেষ্টা করি)
-একটা কথা বলি??
-হুমম বল
-আমি আপনার বড় না ছোট
-১ মাস এর ছোট
-তাই আমাকে তুই করে বলতে হবে??
-তো কি করবো তুই ছোট তো
-তাহলে আমি কাল থেকে আপু করে বলব
-(একটু হাসি দিয়ে বলল).এই না না নাম ধরেই ডাকবি। আর সবার সামানে আমরা তুমি করে কথা বলব।
-আচ্ছা ঘুমান তাহলে রাত অনেক হলো
-তুই কোথায় ঘুমাবি??(স্বার্থর কারনে সবাই দরদ দেখায়)
-এই আছি উপরে যাবো একটু
-হুমমমম(ঘুমিয়ে গেলো)
কি মেয়েরে বাবা একটু রুমেও থাকতে বলল না.....
হিয়ার মাঝে
Part:4
writer. moyej uddin
-আচ্ছা ঘুমান তাহলে রাত অনেক হলো
-তুই কোথায় ঘুমাবি??(স্বার্থর কারনে সবাই দরদ দেখায়)
-এই আছি উপরে যাবো একটু
-হুমমমম(ঘুমিয়ে গেলো)
কি মেয়েরে বাবা একটু রুমেও থাকতে বলল না...
.......
কি আর করার,, বিশাল বড় বাড়ি কোথায় যাবো?? ছাদে যাবো?? না ভূতের ভয়....দরজায় দাড়িয়ে থাকি সেটাই ভালো হবে।
সকাল বেলা...
-ওই
-হুমম
-ওই ওঠ
-কে কে কে
-রাতে কি এখানেই ছিলি নাকি???(রিমি)
-হ্যা (দাড়িয়ে থাকতে থাকতে কখন ঘুমিয়ে গেছি যানি না)
-রুমে গেলেই পাড়তি
-রাতে তো বললেন না
-কি বলব হুমম?? তোর মুখ নেই??
-আছে তবে সাহস ছিলো না।
-হুমমম
-একটা কথা বলি
-হুমম বল
-এভাবে থাকতে আমার কষ্ট হয়।
-তাহলে কিভাবে থাকবি??
-তিনদিন আপনি উপরে ঘুমাবেন। তিনদিন আমি উপরে ঘুমাবো
-না তা হবে না। আমার রুম আমি ঘুমাবো সবসময় উপরে
-আচ্ছা(আর জোর করলাম না)
-(কিছুক্ষণ ভেবে রিমি বলল) ওকে তুই যা বললি তাই হবে
-(আমি শুধু মাথা নাড়ালাম)
-এখন আগে গোসল করে নিন(আমি)
-কেনো(রিমি)
-নয়তো সবাই সন্দেহ করবে
-হুমমমম
-আপনার পর আমি দিবো।
-ওকে
রিমি গোসল করে বেড়িয়ে আসলো। আমি তো দেখে হা হয়ে আছি...
-ওই ওভাবে তাকিয়ে আছিস কেনো??
-কই না তো
-আমি দেখলাম তো
-হুমম
-যা তুই গোসল করে নে
(মেয়েটা যেন কেমন শুধু তুই তুই করে কথা বলে। ভাল লাগে না।)
-ফিস ফিস করে কি বলিস(রিমি)
-কই না তো
-যা তাড়াতাড়ি গোসল করে নে। আমি রেডি হচ্ছি একসাথে খেতে যাবো।
-হুমমম
গোসল করে নিচে গেলাম
-কি নানু ভাই কেমন আছো???(নানু মিষ্টি হেসে)
-হুমমম ভালো(আমি)
-শুধুই ভালো??
-হুমমম
আরও অনেক হাসাহাসি হলো।
।
আর এভাবেই দিন কাটছিলো...
আমি রিমির থেকে দূরে দূরে থাকি।
যাতে তার কোনো সমস্যা না হয়...
একদিন বিকালে বাগানে দাড়িয়ে আছি.....
-ওই
(পেছনে তাকিয়ে দেখি রিমি ডাকছে)
আমি কাছে গিয়ে বললাম
-হ্যা বলুন
-তোর সাথে আমার ইমপরটেন্ট কথা আছে
-হ্যা বলে ফেলুন
-আমার বি এফ এর সাথে কথা হইছে।আগামী ১০ দিন এর মধ্যে আমরা বিয়ে করবো। তবে এভাবে না পালিয়ে বিয়ে করবো।
-হুমমম ভালো কথা। তা আমাকে কি করতে হবে???
-দুইটা কাজ করতে হবে....
-হুমম বলেন
-আমাকে ডিভোর্স দিতে হবে। আর এখান থেকে আমাকে ওর কাছে পৌছে দিতে হবে। কিভাবে দিবি সেটা আমি জানি না
-হুমমম। আমি জানি
-বল তো দেখি(রিমি আমার চোখে চোক রেখে কখনো কথা বলে নি। সবসময় অন্যদিকে চোখ ঘুরিয়ে কথা বলে)
-আগে আমার দিকে তাকান
-কেনো??
-এমনি তাকান
-হুমমম বল(রিমির চোখে চোখ পড়ায় আমার বুকের মধ্যে মোচড় দিয়ে উঠলো)
-কি হলো বল(রিমি)
-ওহ হ্যা। প্রথমে আমরা হানিমুনের কথা বলে বাড়ি থেকে বের হবো। আর আপনাকে তার কাছে পৌছে দিয়ে আসবো।
-হুমমম। ও ফোন দিছে একটু কথা বলে নেই
-আচ্ছ....
রিমি চলে গেলো....মেয়েটা দেখতে খুব সুন্দর। দেখতে একটা হিরের টুকরো। আর আমি তো.. হুহ কয়লার খনি থেকে বের হয়ে আসা পিট কয়লা....ভাগ্য ভালো এই মেয়ের প্রেমে পড়ি নি। কিন্তু বুকের ভেতর যে মোচড় দিয়ে উঠলো! সেটার মানে কি??ভাবতে ভাবতে সন্ধ্যা হয়ে গেলো
বাগান থেকে সোজা রিমির রুমে চলে গেলাম।গিয়ে দেখি কান্না করছে।
-আসতে পারি??
-হ্যা আয়(চোখের পানি মুছে)
-কান্না করছেন কেনো??
-কই না এমনি
-সে কিছু বলছে আপনাকে??
-না এমনি কান্না করছি। কিছু হয় নি
-ওহহ একটা কথা শুনতে এলাম
-কি বল??
-আপনার আর ওনার সম্পর্ক হলো কিভাবে???
-ফেসবুকে
-এহহহহহহহহহহ(থ হয়ে গেলাম)
-এহহ করিস কেন?? সত্যি ফেসবুকে পরিচয়
-তার সাথে দেখা করছেন কোনো সময়???
-না।
-তাহলে এত বিশ্বাস নিয়ে তার কাছে যাচ্ছেন! সে কি ভালো??
-হ্যা অবস্যই ভালো। আর আমাকে অনেক ভালবাসে...
-হুমমম ভালো। তাহলে আমরা কবে যাচ্ছি হানিমুনে???
-হানিমুন মানে??
-না মানে আপনার উনির কাছে
-কাল
-কাল!
-হুমম
-কিভাবে সম্ভব??
-সব ভাবেই সম্ভব আমি সব ব্যবস্থা করে রাখছি। তুই শুধু আব্বুর কাছ থেকে অনুমতি নিবি।
-আমার জামা কাপড়??
-সব গুছিয়েছি আমি।
-হুমমম ৫জি
-কিইইই??
-কিছু না
-আমরা কিন্তু চট্টগ্রাম যাবো কাল
-উনি কি ওখানে থাকে নাকি??
-হুমমমম
-ওহহহ
রাতে মামার থেকে পারমিশন নিয়ে
সকাল বেলা সবাই কে বিদায় জানিয়ে বেড়িয়ে পরলাম....জানি না কপালে কি আছে..খুব ভয় আর খারাপ লাগছে। কিছু হলে কার কাছে যাবো আমি, মা তো নেই...
-এই চোখে পানি কেনো??(রিমি)
-এমনি(আমি)
স্টেশনে পৌছে গেলাম...
-এই যে ট্রেন আছে ৩ ঘন্টা লেট হবে(আমি)
-না লেট করা যাবে না। বাসে যাবে চল
-না বাসে আমার বমি হয়। ট্রেনে যাই
-না না বাসে যেতে হবে আর খুব তাড়াতাড়ি যেতে হবে
-ট্রেনে গেলেই ভালো হবে
-আর কোনো কথা শুনতে চাই না
কি আর করার বাসে যাচ্ছি। আমার বমি হয় তাই জানলার ধারে বসছি। আর রিমি তার উনির সাথে কথা বলছে। এখন মার কথা খুব মনে পড়ছে। নানু বাড়ি একসাথে এলাম। আর.....(এগুলো কথা ভাবতেছি তখনই)
হঠাৎ
-নাআআআআআআআআআআ
হিয়ার মাঝে
Part: 5
writer. moyej uddin
কি আর করার বাসে যাচ্ছি। আমার বমি হয় তাই জানলার ধারে বসছি। আর রিমি তার উনির সাথে কথা বলছে। এখন মার কথা খুব মনে পড়ছে। নানু বাড়ি একসাথে এলাম। আর.....(এগুলো কথা ভাবতেছি তখনই)
হঠাৎ
-নাআআআআআআআআ(রিমি)
-কি হইছে???
-তেলাপোকা
(এখন হাসবো না কান্না করবো বুঝতে পাড়ছি না)
-এখানে তেলাপোকা আসলো কোথা থেকে???
(বাসের সবাই এখন আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে)
-কই আমি তো দেখতে পাচ্ছি না
-এখানেই ছিলো শয়তানটা
-শয়তান কে???
-তেলাপোকা
-হা হা হা হা হা
-আমার ভয় লাগছে। আর তুই হাসতেছিস???
-ওকে ওকো হসবোনা
রিমির মুখের দিকে তাকিয়ে দেখি ভয়ে জড়ো সরো হয়ে আছে....আমি আর কিছু বললাম না। বাইরে তাকিয়ে প্রকৃতি দেখছি আবার...
-কিছু খাবো খুদা লাগছে(রিমি)
-কি??(আমি)
-খুদা লাগছে আমার কিছু খাবো
-ওহহহ। সামনে বাস স্টপিজ দিলে সেখান থেকে কিছু খেয়ে নিবো
-না এখন খাবো
-এখন বাস তো থামাবে না
-বললে থামাবে
-না বাসে কখনো উঠেন নাই???
-উহুহুম
-সেই জন্য তো।
-বাস থামলে কিছু খেয়ে নিবো আচ্ছা
-হুমমমমমম
।
সত্যি খুব বেশি খুদা লাগছে ওর। আমাদের বাস তখন ঢাকার কাছাকাছি। হেল্পার বলল ৫ মিনিট পর স্টপিজ দিবে।
।
একটু পর বাস থামলো। রিমি নিচে গিয়ে কিছু কিনে খাওয়া শুরু করলো
আমাকে একটু বলল না খাবেন কি না?? আমিও বলার সাহস পাচ্ছি না। কারন আমার কাছে একটা টাকাও নেই। খুদা আমারও খুব লাগছে।
-তুমি কিছু খাবে না??(রিমি)
(রিমি আমাকে এসে খেতে বলল! তাও আবার তুমি করে!)
-না খুদা নেই আমার খাবো না
-না খুদা আছো তুমি খেয়ে নাও
(আর না করলাম না)
খাওয়া শেষ করে বাসে উঠলাম। বাস আবার চলতে শুরু করলো। কেউ কোনো কথা বলছি না। আমি ভাবছি আমাকে হঠাৎ তুমি করে বলল কেনো?? কতো ভালো যে লাগছে তখন।
-এহমম এহমম(আমি)
-কিছু বলবে??(রিমি)
-হুমমম
-বলো
-আমাকে তুমি করে বলছেন কেনো?
-আসলে প্রথমে তোমার সাথে যখন দেখা হয় তখন গানের জন্য মারছিলাম। আর তুই করে বলছিলাম
আর পরে আমাকে বিয়ে করলে তার জন্য রাগে তুই করে বলছি। এখন আমাকে তার কাছে নিয়ে যাচ্ছো তোমার উপর সব রাগ শেষ তাই তুমি করে বলছি...
-ওহহ ভালো
-হুমমম
মাঝে মাঝে দুইএকটা কথা হতে হতে আমরা ঢাকা পৌছে গেলাম।
-এখন কি করবেন??(আমি)
-কমলাপুর স্টেশনে যাবো। আর ওখান থেকে চট্টগ্রাম ট্রেনে যাবো
-ওহহহহ। আপনার কাছে কত টাকা আছে??
-কেনো??
-না মানে একটাকাও নেই নেই আমার কাছে। যেতে তো সমস্যা হবে না??
-না কোনো সমস্যা নেই। অনেক টাকা আছে, আর..
-আর কি??
-এই সব টাকা তোমার কাছে রাখো।
-না আমি টাকা দিয়ে কি করবো?
-কিছু করতে হবে না রাখো
-হুমমম
-চলো এখন
-হুমম চলেন
মেয়েটা খুবই ভালো। আমার সাথে খারাপ ব্যাবহার করছে তাহলে ওই কারনে।
-তাড়াতাড়ি হাটেন একটু(রিমি)
-এই তো আসছি (আমি)
কমলাপুর স্টেশনে যেতে যেতে রাত প্রায় ১২ টার উপর বেজে গেলো।
-এত রাতে ট্রেন পাওয়া যাবে না মনে হয়(আমি)
-হুমমম জানি(রিমি)
-তাহলে কি বাসে যাবেন??
-না। এখানে থাকবো কাল সকাল ১০ টায় ট্রেন। ট্রেনেই যাবো।
-হুমমম
-হুমম না করে বসার জায়গা বের করো
-ওই যে ওইখান টায় বসি
-হুমম চলো
বসার পর....
-একটা কথা বলব(রিমি)
-হুমম বলেন
-আমার খুব ঘুম পাচ্ছে
-ঘুমান
-কোথায় ঘুমাবো??
-ব্যাগটা নিচে রেখে ঘুমান
-উফফ তুমি থাকতে আমি নিচে ঘুমাবো কেন
-তাহলে কোথায় ঘুমাবেন??
-তুমি সোজা হয়ে বসো থাকো। তোমার কাধে ঘুমাবো। আর কেনো নড়াচড়া করবা না।
আমার কাধে রাখল। এদিকে আমি ভয়ে ঘামছি। হার্টবিট অনেক বেড়ে গেছে। এই প্রথম কোনো মেয়ে আমার কাধে মাথা রেখে ঘুমাচ্ছে...
আমি আর ঘুমাতে পারলাম না। যে কথা বলছে। আবার যদি মাইর দেয়..
চুপচাপ বসে আছে ভোরের দিকে কাধটা লেগে গেছে.....
সকাল ৭ টার দিকে ম্যাডাম উঠলো
-গুড মর্নিং (রিমি)
-ব্যাড মর্নিং (আমি)
-কেনো?? কি হইছে??
-কাধ একদম ব্যাথা হয়ে গেছে
-তুমি সত্যি একটা গাধা
-কেনো কি করলাম?
-কিছু না। এখন একটু ফ্রেস হয়ে কিছু খেয়ে ট্রেনে উঠবো
-হুমম চলেন...
।
১০:২০ এ ট্রেন ছাড়লো। আমরা দুজন পাশাপাশি বসে আছি। রিমি এবার জানালার কাছে বসছে.....
বিকেল এর দিকে চট্টগ্রাম এর কাছাকাছি এসে গেলাম...
-শুভ(এই প্রথম রিমি নাম ধরে ডাক দিলো)
-হ্যা বলেন
-সামনের স্টেশনেই নামবো আমরা
-আচ্ছা সমস্যা নেই। আমি ব্যাগ নিয়ে রেডি আছি।
-হুমমম
।
রিমির মন অনেক খারাপ। খারাপ হওয়ার কারন কি?? হয়তো বাড়ির কথা মনে পড়ছে...
একটু পড়েই ট্রেন থেকে নামলাম
-আপনার উনি কি এখানে আপনাকে নিতে আসবে
-হ্যা ও তো তাই বলল
-ওহহ
-হুমমম
-এই যে আপনার ব্যাগ আর টাকাগুলো
-ব্যাগ টা দাও। আর টাকা গুলো রাখো
-না আমি টাকা নিয়ে কি করবো??
-তোমার কাছে টাকা নেই। এটা নিয়ে যাবে।
-আচ্ছা। আমি কি এখনি চলে যাবো(কথা বলতে পারছি না চোখে পানি চলে আসছে)
-কান্না করছো কেনো??
-কই না। চোখে কিছু পড়ছে হয়তো
-শোনো আমার কিছু করার নেই। বাবার জন্যই এসব হলো তোমার
-আরে না কি বলেন। আমার ভাগ্যে ছিলো তাই হইছে....
-হুমমমম
(রিমির চোখে পানি কেনো??)
-আপনি কান্না করছেন কেনো??(আমি)
-কই না তো (রিমি)
-ওই যে পানি
-চোখে কিছু পড়ছে হয়তো
-ওহহহ আসি তাহলে
-হুমমম দেখে যাবে। আর
-আর কি??
-সরি
-না সরি বলতে হবে না। যা হবার হইছে। আর ভালো থাকেন। তাকে নিয়ে সুখে থাকেন। বাই
(আর পিছনে তাকালাম না। এমনিতে সহ্য করতে পারছি না। নিজের বউকে আর একজনের হাতে দিয়ে এলাম। তাও আবার বউ এর কথা মতো। খুব কষ্ট লাগছে রিমি কে আমি ভালবেসে ফেলছি)
চট্টগ্রাম থেকে চলে এলাম গাজীপুর...
বাড়িতে এসে মাকে ডাকলাম
-মা মা
(ওহ মা তো নেই)







হিয়ার মাঝে
Part: 5
writer. moyej uddin
কি আর করার বাসে যাচ্ছি। আমার বমি হয় তাই জানলার ধারে বসছি। আর রিমি তার উনির সাথে কথা বলছে। এখন মার কথা খুব মনে পড়ছে। নানু বাড়ি একসাথে এলাম। আর.....(এগুলো কথা ভাবতেছি তখনই)
হঠাৎ
-নাআআআআআআআআ(রিমি)
-কি হইছে???
-তেলাপোকা
(এখন হাসবো না কান্না করবো বুঝতে পাড়ছি না)
-এখানে তেলাপোকা আসলো কোথা থেকে???
(বাসের সবাই এখন আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে)
-কই আমি তো দেখতে পাচ্ছি না
-এখানেই ছিলো শয়তানটা
-শয়তান কে???
-তেলাপোকা
-হা হা হা হা হা
-আমার ভয় লাগছে। আর তুই হাসতেছিস???
-ওকে ওকো হসবোনা
রিমির মুখের দিকে তাকিয়ে দেখি ভয়ে জড়ো সরো হয়ে আছে....আমি আর কিছু বললাম না। বাইরে তাকিয়ে প্রকৃতি দেখছি আবার...
-কিছু খাবো খুদা লাগছে(রিমি)
-কি??(আমি)
-খুদা লাগছে আমার কিছু খাবো
-ওহহহ। সামনে বাস স্টপিজ দিলে সেখান থেকে কিছু খেয়ে নিবো
-না এখন খাবো
-এখন বাস তো থামাবে না
-বললে থামাবে
-না বাসে কখনো উঠেন নাই???
-উহুহুম
-সেই জন্য তো।
-বাস থামলে কিছু খেয়ে নিবো আচ্ছা
-হুমমমমমম
।
সত্যি খুব বেশি খুদা লাগছে ওর। আমাদের বাস তখন ঢাকার কাছাকাছি। হেল্পার বলল ৫ মিনিট পর স্টপিজ দিবে।
।
একটু পর বাস থামলো। রিমি নিচে গিয়ে কিছু কিনে খাওয়া শুরু করলো
আমাকে একটু বলল না খাবেন কি না?? আমিও বলার সাহস পাচ্ছি না। কারন আমার কাছে একটা টাকাও নেই। খুদা আমারও খুব লাগছে।
-তুমি কিছু খাবে না??(রিমি)
(রিমি আমাকে এসে খেতে বলল! তাও আবার তুমি করে!)
-না খুদা নেই আমার খাবো না
-না খুদা আছো তুমি খেয়ে নাও
(আর না করলাম না)
খাওয়া শেষ করে বাসে উঠলাম। বাস আবার চলতে শুরু করলো। কেউ কোনো কথা বলছি না। আমি ভাবছি আমাকে হঠাৎ তুমি করে বলল কেনো?? কতো ভালো যে লাগছে তখন।
-এহমম এহমম(আমি)
-কিছু বলবে??(রিমি)
-হুমমম
-বলো
-আমাকে তুমি করে বলছেন কেনো?
-আসলে প্রথমে তোমার সাথে যখন দেখা হয় তখন গানের জন্য মারছিলাম। আর তুই করে বলছিলাম
আর পরে আমাকে বিয়ে করলে তার জন্য রাগে তুই করে বলছি। এখন আমাকে তার কাছে নিয়ে যাচ্ছো তোমার উপর সব রাগ শেষ তাই তুমি করে বলছি...
-ওহহ ভালো
-হুমমম
মাঝে মাঝে দুইএকটা কথা হতে হতে আমরা ঢাকা পৌছে গেলাম।
-এখন কি করবেন??(আমি)
-কমলাপুর স্টেশনে যাবো। আর ওখান থেকে চট্টগ্রাম ট্রেনে যাবো
-ওহহহহ। আপনার কাছে কত টাকা আছে??
-কেনো??
-না মানে একটাকাও নেই নেই আমার কাছে। যেতে তো সমস্যা হবে না??
-না কোনো সমস্যা নেই। অনেক টাকা আছে, আর..
-আর কি??
-এই সব টাকা তোমার কাছে রাখো।
-না আমি টাকা দিয়ে কি করবো?
-কিছু করতে হবে না রাখো
-হুমমম
-চলো এখন
-হুমম চলেন
মেয়েটা খুবই ভালো। আমার সাথে খারাপ ব্যাবহার করছে তাহলে ওই কারনে।
-তাড়াতাড়ি হাটেন একটু(রিমি)
-এই তো আসছি (আমি)
কমলাপুর স্টেশনে যেতে যেতে রাত প্রায় ১২ টার উপর বেজে গেলো।
-এত রাতে ট্রেন পাওয়া যাবে না মনে হয়(আমি)
-হুমমম জানি(রিমি)
-তাহলে কি বাসে যাবেন??
-না। এখানে থাকবো কাল সকাল ১০ টায় ট্রেন। ট্রেনেই যাবো।
-হুমমম
-হুমম না করে বসার জায়গা বের করো
-ওই যে ওইখান টায় বসি
-হুমম চলো
বসার পর....
-একটা কথা বলব(রিমি)
-হুমম বলেন
-আমার খুব ঘুম পাচ্ছে
-ঘুমান
-কোথায় ঘুমাবো??
-ব্যাগটা নিচে রেখে ঘুমান
-উফফ তুমি থাকতে আমি নিচে ঘুমাবো কেন
-তাহলে কোথায় ঘুমাবেন??
-তুমি সোজা হয়ে বসো থাকো। তোমার কাধে ঘুমাবো। আর কেনো নড়াচড়া করবা না।
আমার কাধে রাখল। এদিকে আমি ভয়ে ঘামছি। হার্টবিট অনেক বেড়ে গেছে। এই প্রথম কোনো মেয়ে আমার কাধে মাথা রেখে ঘুমাচ্ছে...
আমি আর ঘুমাতে পারলাম না। যে কথা বলছে। আবার যদি মাইর দেয়..
চুপচাপ বসে আছে ভোরের দিকে কাধটা লেগে গেছে.....
সকাল ৭ টার দিকে ম্যাডাম উঠলো
-গুড মর্নিং (রিমি)
-ব্যাড মর্নিং (আমি)
-কেনো?? কি হইছে??
-কাধ একদম ব্যাথা হয়ে গেছে
-তুমি সত্যি একটা গাধা
-কেনো কি করলাম?
-কিছু না। এখন একটু ফ্রেস হয়ে কিছু খেয়ে ট্রেনে উঠবো
-হুমম চলেন...
।
১০:২০ এ ট্রেন ছাড়লো। আমরা দুজন পাশাপাশি বসে আছি। রিমি এবার জানালার কাছে বসছে.....
বিকেল এর দিকে চট্টগ্রাম এর কাছাকাছি এসে গেলাম...
-শুভ(এই প্রথম রিমি নাম ধরে ডাক দিলো)
-হ্যা বলেন
-সামনের স্টেশনেই নামবো আমরা
-আচ্ছা সমস্যা নেই। আমি ব্যাগ নিয়ে রেডি আছি।
-হুমমম
।
রিমির মন অনেক খারাপ। খারাপ হওয়ার কারন কি?? হয়তো বাড়ির কথা মনে পড়ছে...
একটু পড়েই ট্রেন থেকে নামলাম
-আপনার উনি কি এখানে আপনাকে নিতে আসবে
-হ্যা ও তো তাই বলল
-ওহহ
-হুমমম
-এই যে আপনার ব্যাগ আর টাকাগুলো
-ব্যাগ টা দাও। আর টাকা গুলো রাখো
-না আমি টাকা নিয়ে কি করবো??
-তোমার কাছে টাকা নেই। এটা নিয়ে যাবে।
-আচ্ছা। আমি কি এখনি চলে যাবো(কথা বলতে পারছি না চোখে পানি চলে আসছে)
-কান্না করছো কেনো??
-কই না। চোখে কিছু পড়ছে হয়তো
-শোনো আমার কিছু করার নেই। বাবার জন্যই এসব হলো তোমার
-আরে না কি বলেন। আমার ভাগ্যে ছিলো তাই হইছে....
-হুমমমম
(রিমির চোখে পানি কেনো??)
-আপনি কান্না করছেন কেনো??(আমি)
-কই না তো (রিমি)
-ওই যে পানি
-চোখে কিছু পড়ছে হয়তো
-ওহহহ আসি তাহলে
-হুমমম দেখে যাবে। আর
-আর কি??
-সরি
-না সরি বলতে হবে না। যা হবার হইছে। আর ভালো থাকেন। তাকে নিয়ে সুখে থাকেন। বাই
(আর পিছনে তাকালাম না। এমনিতে সহ্য করতে পারছি না। নিজের বউকে আর একজনের হাতে দিয়ে এলাম। তাও আবার বউ এর কথা মতো। খুব কষ্ট লাগছে রিমি কে আমি ভালবেসে ফেলছি)
চট্টগ্রাম থেকে চলে এলাম গাজীপুর...
বাড়িতে এসে মাকে ডাকলাম
-মা মা
(ওহ মা তো নেই)







হিয়ার মাঝে
END PART
writer. moyej uddin
চট্টগ্রাম থেকে চলে এলাম গাজীপুর...
বাড়িতে এসে মাকে ডাকলাম
-মা মা
(ওহ মা তো নেই)
ঘরের ভেতর ঠুকলাম। খুব ফাকা ফাকা লাগছে। সবকিছুই রয়েছে শুধু মা নে.....
-শুভ আসছো???(পাশের বাসার একটা চাচা)
-হ্যা চাচা আসছি
-তোমার মা কই??
-মা তো নেই
-মানে!
-মা নেই চাচা।
-হুমমম। মন খারাপ করো না।
-হুমমম
-কি করবে এখন??
-জানি না। আপনি বলেন কি করবো??
-আচ্ছা কয়েকটা দিন যাক তারপর বলব। আর কয়েকটাদিন আমার ওখানে খেয়ো।
-হুমমম আমার একটা কাজ এর ব্যবস্থা করে দিয়েন।
-হ্যা দিবো কয়েকটা দিন যাক
-আচ্ছা
-হুমম রাতে খাবার পাঠিয়ে দিবো। খেয়ে নিয়ো
-হুমমমম
(চাচা চলে গেলো)
রিমির কথা ভাবছি। মেয়েটাকে যে কোথায় রেখে আসলাম। ধুররর ভাল জায়গায়ই আছে। আমি কাজ করবো আর একটু লেখাপড়া চালিয়ে যাবো।
।
১০ দিন ঘর থেকে বের হই নি। চাচা এসে বলল এভাবে ঘরে থাকলে তোমার আরও খারাপ লাগবে তার থেকে তুমি কলেজে যাও।
চাচা ঠিকই বলছে। কলেজে যেতে হবে। কাল একবার কলেজে যাবো।
।
সকাল বেলা কলেজে গেলাম। তেমন পরিচিত কাউকে দেখতে পাচ্ছি না। কিছুক্ষণ পর দেখি রাফি আসছে..
-ওই রাফি (আমি)
-আরে দোস্ত হারামী বান্দর চোরার ঘরে চোরা। হাওয়া হয়ে গিয়েছিলি??
-না। কেমন আছিস??
-হুমম ভালো। তবে তোর চোখের নিচে কালো হয়ে গেছে যে।
-কই না তো
-বাল আমি কি মিথ্যা বলতেছি! কান্না করলে এমন হয়। কি হইছে বল তো
-আচ্ছা চল আগে বসি
-হুমমমম
একটা জায়গায় বসে....
-হ্যা এখন বল(রাফি)
-এত্ত লাফালাফি করিস কেন। বলছি শোন.... আমি আর মা যে নানু বাড়িতে গেলাম তখন......(পুরো ঘটনা বললাম রাফি কে)
রাফি দেখছি কান্না করছে...
-কিরে হালা কান্না করিস কেন??(আমি)
-চুপপপ শালা এত কিছু হয়েছে একটুকুও জানলি না।
-হুমমম
(দুজনই চুপ হয়ে বসে আছি)
হঠাৎ রাফি আমার দিকে অবাক চোখে দিকে তাকাল
-কিরে ওভাবে তাকিয়ে আছিস কেনো??(আমি)
-পিছনে তাকা একবার
-কেনো?? পেছনে কি আছে??
-তোর বউ
-তোর মাথা ঠিক আছে?? ও চট্টগ্রাম
-না দেখ তুই বোরখাওয়ালি মেয়ে দাড়িয়ে আছে....
পেছনে তাকাতেই দেখি সত্যি তো। তাও আবার লাঠি নিয়ে দাড়িয়ে আছে..
-আরে এটা তোর জি এফ হবে মনে হয়। রিমি তো চট্টগ্রাম(আমি)
-না(রাফি)
-মাইর এর ভয়ে না না করিস কেন??ভাবি আপনি ওকে ঠিক মতো পেটন দেন (মেয়েটাকে বললাম)
-ভাই আমার জি এফ এটা না (রাফি)
আজব মেয়েটা কোনো কথা বলছে না। চুপচাপ দাড়িয়ে আছে..
-এই যে আপনি কি চান??
(মেয়েটা কোনো কথা না বলে মুখোশ টা খুলে ফেলল)
-রি রি রি রিমি তুমি সরি আপনি এখানে!!!(আমি)
-তো কোথায় থাকবো???
-না মানে আপনাদের তো বিয়ে করার কথা। হয়ে গেছে??
-তোর লজ্জা করে না। তোর বউকে আর একজনের কাছে দিয়ে আসতে(রিমি)
-কি বলছেন এগুলা (আমি)
-এই যে আপনি দাড়িয়ে আছেন কেনো?? এখান থেকে যান। আমার আর ওর কথা আছে যান (রিমি)
-হুমম যাচ্ছি যাচ্ছি
(রাফি চলে গেলো। আমি ওর চলে যাওয়া দেখছি)
-আমার দিকে তাকা(রিমি)
-জ্বি বলেন
-তোর বউকে অন্য জায়গায় দিয়ে আসলি কেনো???
-আপনি তো বললেন যে, আপনাকে যদি আপনার বি এফ এর কাছে না দিয়ে আসি তাহলে আপনি আত্মহত্যা করবেন তাই তো এই কাজ করলাম
-.......(রিমি আমার দিকে তাকিয়ে আছে)
-ওভাবে তাকিয়ে আছেন কেনো?? আমার ভয় করে। আপনি যা যা বলছেন তাই করছি। আমার কি কিছু ভুল হইছে????
-হ্যা অনেক বড় ভুল হইছে
-কি ভুলল
-আমার চোখের ভাষা তুই বুঝতে পারিস নাই
-এগুলো কি আবল তাবল বলছেন
-না ঠিক ই বলছি
(এগিয়ে এসে খুব আস্তেই আমাকে জড়িয়ে ধরলো আর বলল)
-আমার পরীক্ষায় তুমি এ+ পাইছো
-মানে??
-উফফফ আগে বলতে দাও তো
-হুমম বলেন
-আমার বি এফ নেই। আমি নানুর বাড়ি গিয়েছিলাম। আর সবগুলো কথা ছিলো মিথ্যা। ফোনের ওপাশে আমার মামাতো বোন কথা বলতো।
-তাহলে আমাকে যে মাইর দিলেন। বকা দিলেন এগুলো কি জন্য??
-আরে গাধা বিয়ের পর তো অনেক সহ্য করতে হবে। তাই পরীক্ষা করে দেখলাম। কত টুকু সহ্য করতে পারো
।
-না আমি সহ্য করতে পারবো না আমি ডিভোর্স পেপার শিগ্রই দিয়ে দিবো
-কি বললি তুই??
-না মানে
-আর একবার বললে জিভ টেনে ছিড়ে ফেলবো।
-হুমমম
-আর আপনি করে বলো কেনো?? আমি তো তোমার বউ
-হুমমম আর বলবো না
-হুমমমম
-এখন কোথায় যাবে??
-আমার শশুর বাড়ি।বাবা বাড়ি যাবো না। এখানেই থাকবো
-সত্যি??
-হুমমম
-তাহলে চলো এখন বাড়ি যাই
।
বাড়ি চলে এলাম খুব ভালো লাগছে এখন। মনে হচ্ছে সব কিছু আবার ঠিক হয়ে যাবে....
-এই তাহলে আমার শশুর বাড়ি??
-হুমমম। থাকতে পারবে??
-পারবো না
-তাহলে তো সমস্যা
-সমাধান আছে
-কি??
-তোমার বুকের মধ্যে থাকবো
-আর আমি??
-হিয়ার মাঝে হি হি হি হি
-একটা কথা বলি
-হুমম বলো
-লাভ ইউ
-এখন উত্তর দিতে পারবো না। আগে কয়েক দিন ওয়েটিং এ রাখি তারপর এক্সপেক্ট করবো
-এমনি তে কিন্তু অনেক কষ্ট দিয়েছো।
-ও বাবা তার মানে তুমি আমাকে সত্যি সত্যি ভালবেসে ফেলছো
-হুমমম তা নয়তো কি
-ইয়াহুউউউউ উম্মাম্মাম্মাহহহহহহ
-এটা কি হলো
-যা হবার তাই হলো। এই কথাটা শোনার জন্যই অপেক্ষা করছিলাম
-তুমি তো আমাকে ভালবাসো না
-না সোনাপাখি ট্রেনের মধ্যে কি আমি এমনি এমনি কান্না করছিলাম??
-তাহলে আমার জন্য??
-হুমমম রে পাগল
-আমাকে ছেড়ে যাবে না তো
-না কখনো যাবো না
-যদি যাও
-জড়িয়ে ধরে রাখবা যেতে দিবা না
-হুমমম
-এই পাগল চুপ কেনো???
-এমনি
-একটু জড়িয়ে ধরো তো
-হুমমমম
-এত আস্তে কেউ ধরে??
-এখন হইছে??
-এই ছাড়ো ছাড়ো মরে যাবো তো
-না যাবে না
-উম্মম্মম্মাহহহহহহহহ
-দাড়াও দেখাচ্ছি আমাকে পাপ্পি দেওয়া
-তো কি করবো?? আমার বউকে আমি পাপ্পি দিবো যা ইচ্ছা তাই করবো
-এই যা ইচ্ছা তাই মানে!
-মানে মাইর দিবো হি হি হি
-হুমম আমিও দিতে জানি
-হুমমম একটা কথা
-হুমমম বলো।
-আমার মতো পিট কয়লা কি সত্যি তুমি ভালবাসো??
-চুপপপ ভালবাসি কি না দেখাচ্ছি
-কি করবা??
-ওই দিন যেটা করতে দেই নি সেটা
-কোন দিন আর কি করতে দাও নাই
-একটু পরেই বুঝতে পারবে...উম্মাম্মাম্মাহহহহহহহহহহহহ
(আমি দুঃখিত আর লজ্জিত আর কিছু বলতে পারবো না আমি হি হি হি)
.............END..............