writer. moyej uddin
১
.
যাহ! আজও ঘুম থেকে উঠতে দেরি করে
ফেললাম।
আবার দেরি হয়ে যাবে অফিসে যেতে।
আবারো অই রাক্ষস টা বকাবকি করবে।
বাবা! বাবা!
তোমাকে বলেছিলাম না ডাক দিতে?
দিলে না কেন।( কথা গুলা চিতকার করে
বলছিল { তারা})
।
বাবা- কয়শ বার ডেকেছি জানিস?
মরার মত ঘুমালে কি ডাক শুনা যায়?
।
তারা - গেলাম আমি।
আজ আর নাস্তা করার টাইম নাই।
।
বাবা- টিফিন বক্সে করে নিয়ে যা।
।
তারা- আমি বাচ্চা না বাবা।
বায়।
।
।(তারার সম্পকে বলি- একে বারে বদের
হাড্ডি। শয়তানি বুদ্ধি ভড়া মাথায় ।
পড়ালেখায় যেমন ভাল কাজে তেমন
ফাকিবাজ।৩ মাসের ১দিন ও বাদ যায়নি বকা
খাওয়ার।দেখতে খুব মিস্টি।চুল গুলা কমড়ের
নিচ পর্যন্ত।বাকি আস্তে আস্তে জানানা
যাবে )
।
বাসে-
আজ ও সিট পেলাম না।
(এই শহরে কি মানুষ এর অভাব আছে?
যেখানেই যাই সেখানেই মানুষ।
চারিদিক এ মানুষ খালি কিলবিল কিলবিল
করছে।)
।
ওই ছেলে ধাক্কা মারো কেন?
থাপ্রায় দাত ফেলে দিব।
।সঠিক সময় বিয়ে হলে আমার তোমার বয়সি
বাচ্চা থাকত। বুঝলা।হুদাই ঝারলাম।সকালের
রাগ এর উপর।
।
অজানা- দেখেন আপু আমার দোষ নাই অই
পিছনের ছেলেটা আমাকে ধাক্কা দিচ্ছে
তাই আপনার উপর যেয়ে পড়ছি।
আপনি শুধু শুধু কথা শুনাচ্ছেন।
।
তারা- হইছে হইছে বুঝলাম।
( এমনি বাসা থেকে লেট।
আবার বাস পেতে লেট।
আবার জ্যাম তো আছে ই।
৩০মিনিট এর রাস্তা ২ঘন্টা লাগে।
।
অরে ১১ টা বেজে গেছে।
ঘড়ির দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে বল ছিলাম ।
অফিসে ঢুকতেইই খেলাম ধাক্কা।
ওই মিয়া চোখ কই থাকে।
বাসায় রেখে আসছ নাকি? ??
।
মেঘ - তারাহ! ( চিতকার করে)
।
তারা- ইয়ে মানে ইয়ে im im im im so so so.
.
মেঘ - কি im im so so করছ।
।
তারা- im sorry sir.( কাদো কাদো কন্ঠে)
।
মেঘ -নিজে ফোনে চোখ দিয়ে অন্যের দোষ
দেখো
।
now follow me.
.
tara- yes sir.
তারা দোয়া দুরুদ সব মনে কর। আল্লাহ ছাড়া
কেউ তোরে আজ বাচাতে পারবেনা।
।
(megher সম্পকে জানা যাক।হিরো কিন্তু সেই
level er handsome + angry young man.Londonএ
higher degree পরতে গিয়েছিল
।চুল গুলা ছোট আর খাড়া খাড়া।এক কানে
ছোট কাল টপ পড়া!অফিসের সব মেয়ের
ক্রাশ।শুধু তারা ছাড়া।সেটা ককেন সেটা
মনে হয় সবাই বুঝেছে)
।
কাহিনী তে আসি-
।
স্যারের রুমে -
মেঘ - এই অফিসের সব চেয়ে লেজি, অপদার্থ
হচ্ছে তুমি।
তুমি যদি আমার স্যারের মেয়ে না হতে
তোমাকে এইখানে জব দেওয়া তো দুরের
কথা অন্য অফিসেও দিতে মানা করতাম।
nonsense.
।
তারা- দেখুন আপনি আমার বাবাকে দেখে
জব দেন নি।
আমার শিক্ষাগত যোগ্যতা আছে তাই
দিয়েছেন।
।
মেঘ - তাই নাকি?
আজ পর্যন্ত কোন কাজ টা ঠিক মত করেছ
তুমি?
সেটা ছাড়ো আজ পর্যন্ত
সঠিক সময়ে অফিসে এসেছ??
।
তারা- ( ইচ্ছামত ঘুম কে বকা ঝকা করতে
লাগ্লাম।
সাথে বাবাকেও)
।
মানে স্যার রাস্তা তে যে জ্যাম...
।
মেঘ - থাক প্রতিদিন ১কথা শুনতে ভাল
লাগেনা।
অন্য সবাইও আসে তোমার মত বাহানা
দেখায়না।
।
তারা - im sorry sir. আর হবেনা।
।
মেঘ - আবার সেই এক কথা ।তোমার বাবাকে
আমি খুব শ্রদ্ধা করি।
তাই তোমাকে tolerate করছি।
যাও(ধমক দিয়ে)
।
তারা- ঠাডা পরুক তোর উপর।গোসল করতে
গেলে পানি শেষ হয়েযাক।হুহ
।
হিয়া- কিরে বকা খাওয়া শেষ?প্রতিদিন
লেট হয় কি করে বলতো।
।
তারা- তুই জানিস না রাতে একটা মুভি না
দেখলে আমার ঘুম আসেনা।
তাই তো লেট হয়ে যায়।
কাল কে Harry potter last part টা শেষ করলাম।
কি যে সুন্দর একটা মুভি।
লেখিকা তো এটা লিখেই বড় লোক হয়ে
গেল।
।
হিয়া - থাক আর শুনতে হবেনা আমার।
অনেক কাজ আছে।
তোর মত তো বসে থাকলে হবেনা আমার।
।
তারা- কি বললি তুই।
।
হিয়া - ভুল কি বললাম।
।
তারা- হুহ।
desk এ যেয়ে বসলাম
।
মেঘ - হিয়া এটা তারাকে দিয়ে আসো।
আর বলবে কাল কের মধ্যে যেন এটা কম্পলিট
করে রাখে।
এটা খুব ইম্পরট্যান্ট একটা ফাইল।
কাল কে আমাদের যে ডিল টা হবে সেটার।
যাও।
।
হিয়া - স্যার তারা কি পারবে।
?
আপনি তো অকে চিনেন।
।
মেঘ - অকে অর রেস্পন্সেবিলিটি বুঝে নিতে
হবে ।
অকে তো কাজের জন্য ই রাখা হয়েছে।
কাজ তো অকে করতেই হবে।
যাও।
দিয়ে আসো।
।
হিয়া - জি।
।
তারা নে ধর।
।
তারা - কি এটা?
।
হিয়া - স্যার দিল এটা কম্পলিট করে রাখবি।
কাল কের ডিল এর ফাইল।
।
তারা - অকে ম্যাম।
হেহেহে।
।
কাজ করছিলাম
মেঘ - দেখলাম মনোযোগ দিয়ে কাজ করছে।
।
আমি যে কলেজে পরেছিলাম সেখানে
আমার সবচেয়ে প্রিয় স্যার ছিল রফিক স্যার।
তারা উনার মেয়ে।
তারা আমার অনেক ছোট।
মাত্র পড়ালেখা শেষ করেছে।
স্যার এর অনুরোধে ঈ তারাকে চাকরি
দিয়েছি।
এমন না যে অ পড়ালেখা পারেনা
অ অনেক ভাল ছাত্রী ছিল।
কিন্ত একটু বেখেয়ালি মেয়ে।
মাঝে মাঝে অনেক খামখেয়ালি করে।
আসলে অর মা ছোট বেলায় মারা যায়।
তাই স্যার অনেক আদর দিয়ে মানুষ করেছে।
।
হিয়া - স্যার!
।
স্যার!
।
মেঘ - কি! কি হয়েছে।
।
হিয়া - স্যার r&s company থেকে ফোন
করেছিল।
উনারা কাল কে ১০ টার সময় ই আসবে।
আপনার কি মনে হয় তারা কাজ টা করতে
পারবে।
।
মেঘ - তারাকে জানায় দেও।
।
হিয়া - হুম।
তারা! কাল কে কিন্তু তুই যে করেই হোক ৯
টায় ফাইল নিয়ে এইখানে থাকবি।
।
তারা - অকে অকে থাকব।
।
হিয়া - আমি তোকে ৭ টায় ফোন দিয়ে
জাগাবো।
।
তারা - অকে ম্যাম।
হেহেহে।
হিয়া - ম্যাম ম্যাম করিস কেন।
উফফ।
।
তারা - হিয়া চল।
।
হিয়া - হুম।
বাসে -
হিয়া - তারা কাল কে কিন্তু অনেক বড় ডিল
সময় মত আসিস।
আজ মুভি না দেখলে কিছু হবেনা।মরবিনা তুই
।
তারা - আচ্ছা আমার মনে আছে।
।
রাতে - আরে ১ টা বেজে গেছে।
যাক ফাইল টা কম্পলিট তো হল।
।
বাবা - কিরে শুনলাম কাল কে মিটিং ঘুমা
তাড়াতাড়ি।
।
তারা - ঘুমাচ্ছি বাবা।
।
সকালে হিয়ার কলে ঘুম ভাংল।
তারা - আমি উঠেছি হিয়া তুই ফোন রাখ।
।
আরেক্টু শুই মাত্র ৭ টা বাজে।
।
ঘুম ভাংল বাবার ডাকে আরে ৯ টা।
তাড়াতাড়ি
ফ্রেশ হয়ে নিলাম।
বাবা নাস্তা করার টাইম নেই গেলাম।
।
বাবা - প্রতিটা দিন এক কাহিনী। ।
।
তারা - ১০ টার দিকে অফিসে আসলাম।
।
হিয়া - কিরে কি বলেছিলাম তোকে?
।
তারা - সরি সরি।
।
হিয়া - ফাইল দে উনারা বসে আছে ৫ মিনিট
পর মিটিং শুরু হবে।
।
তারা - দিচ্ছি ব্যাগ এ আছে।
ব্যাগ খুলে চোখ কপালে উঠল।
।
হিয়া - দে জলদি।
।
তারা - হিয়া মানে ফাইল্টা।
।
মেঘ - don't tell me তুমি ফাইল আনো নি।
।
তারা - স্যার ফাইল্টা আমি ব্যাগের কাছেই
রেখেছিলাম ভরতে মনে নেই।
( মাথা নিচু করে)
।
হিয়া - মানে কি?
।
মেঘ - damn.
.
তারা - স্যার আমি এখনি এনে দিচ্ছি।
বলেই দৌড় দিলাম।
।
সাড়ে ১১ টার সময় অফিসে ফাইল নিয়ে
পৌঁছালাম।
।
স্যারের কেবিন এ ঢুকলাম।
হিয়া আমাকে দেখে বেরিয়ে গেল।
।
স্যার ফাইল টা।
।
মেঘ - ফাইল! ফাইল এনেছ? ?
এখন ফাইল দিয়ে কি করবো।
?
।টেবিল এর সাথে আটকে ধরলাম।
আসলে তোমাকে দায়িত্ব দেওয়াই ঠিক
হয়নি।
আমি ভেবেছিলাম তুমি এতো টাও
irresponsible না।
আমার ঈ ভুল ছিল।
।
তারা - sir im really sorry.
sir আসলে আমি।
।
মেঘ - হাত ধরে তারাকে নিজের সাথে
জরিয়ে
ধরলাম তোমার সরিতে কি আমার ডিল টা
ফেরত আসবে ( চিতকার করে)
।
u irresponsible girl.
তারা - ভয়ে কেপে উঠলাম।
চোখের কোন দিয়ে পানি বেয়ে পড়ছিল।
।
মেঘ - just get lost.
i don't wanna see ur face again.
u r fired.
just go ( চিতকার করে)
।
তারা - চোখ মুছতে মুছতে দৌড় দিয়ে হিয়ার
কাছে গেলাম।
জরিয়ে ধরলাম হিয়াকে।
হিয়া আমি বুঝতে পারিনি আমার ১ টা ভুলে
এত লোছ হয়ে যাবে।
আমি আমি আসলেই এটা চাই নি।
।
হিয়া - শান্ত হো।
প্লিজ।
।
তারা - সব ঠিক করতে হবে।
সব।
হিয়া চল আমার সাথে।
চল।
হিয়া- আরে কই।
আরে আরে।
আস্তে আস্তে।
।
মেঘ - damn it.
এই মেয়েটার জন্য .....
উফফ অ যদি স্যারের মেয়ে না হত তাহলে
আজ অকে......
damn.
.
ফোন আসল-
।
হ্যালো!
।
রাফি সাহেব-mr. মেঘ আমরা আপনার সাথে
ডিল টা করতে রাজি আছি।
কাল কে যদি একবার আপনি আমাদের
অফিসে আসেন।
।
megh - sure! sure! i will come.
bye.
।
এই টা আবার কি করে হল।
যাক যাই হয়েছে ভালই হয়েছে।
আল্লাহ তোমাকে অনেক ধন্যবাদ।
২
.
বাবা - কিরে অফিস থেকে চলে আসলি?
।
তারা - বাবা আমার ভাল লাগছেনা।
আমি একটু রেস্ট নিব।
।
বাবা - আচ্ছা আচ্ছা
যা রুমে যা।
।
কি হল আবার কে জানে।
নাকি ডিল হয়ে গেছে দেখে ছুটি দিয়ে
দিয়েছে।
হতেই পারে।
।
পরের দিন - কিরে
অফিস যাবিনা।
।
তারা- না বাবা যাব না।
আমার ভাল লাগছেনা।
।
বাবা - কি হয়েছে বলবি?
কাল কে ভাল মত খাওয়া দাওয়া অ করিস নি
কি হল বলতো।
।
তারা ; না বাবা কিছুনা।
।
বাবা -আচ্ছা
মেঘ কে ফোন দিব।
।
তারা- না না না দিবানা।
অই জল্লাদ কে ফোন দিবানা।
।
বাবা - আচ্ছা আচ্ছা।
২ দিন তারা নিজেকে রুমে
বন্ধ করে রেখেছে
।
নিশ্চয় কিছু হয়েছে।
।
ফোন হাতে নিলাম মেঘ কে ফোন দেওয়ার
জন্য দেখি মেঘ ফোন দিয়েছে।
।
হ্যালো!
।
মেঘ - আসসালামু আলাইকুম স্যার।
কেমন আছেন।
।
বাবা - আমি ভাল কিন্তু মেঘ তারার কি কিছু
হয়েছে।
।
মেঘ -স্যার কিছু হয়নি।
আপনি তারাকে পাঠিয়ে দিন।
।
আচ্ছা তুমি একটু হল্ড এ থাক।
।
তারা মামনি মেঘ ফোন দিয়েছে তোকে
অফিস যেতে বলেছে।
।
তারা - উনাকে বলে দেও আমি যাবনা।
হুহ
।
বাবা - মেঘ বাবা.....
।
মেঘ - স্যার আমি শুনেছি।
স্যার if u don't mind আমি আপনার বাসায়
আসতে পারি?
।
বাবা - আরে এতে জিজ্ঞেস করার কি আছে।
এসে পরো।
।
মেঘ - স্যার তারাকে আগেই কিছু বলবেন না।
।
বাবা - কেনো?
।
মেঘ - আমি এসে বলছি।
।
বাবা - তারা মা দেখতো কে এসেছে।
।
তারা - উফ এখন এই সকালে কে আসলো
বিরক্ত।
চোখ কপালে উঠল দরজা খুলে।
আপনি? ?
।
মেঘ - হুম সরো ভিতরে ঢুকতে দিবানা।
।
তারা - না দিবনা।
ভাগেন।
।
বলেই দরজা লাগিয়ে দিচ্ছিলাম।
।
মেঘ - কোন মত দরজা খুলে ঘরে গেলাম।
।
বাবা - আরে মেঘ এসে গেছ।
কি যেন বলবে বলছিলে।
তারা যা কফি নিয়ে আয়তো মেঘের জন্য।
।
তারা - পারবনা।
।
বাবা - তারা এটা তো তোমাকে আমি
শিক্ষা দেইনি।
যাও।
।
তারা - যাচ্ছি।
কফি খাবে তাইনা
দাড়াও খাওয়াচ্ছি।
।
নিন আপনার কফি।
বাবা তোমার চা।
।
বাবা - যা শুনলাম তাতে তারার দোষ আছে
সেটা দেখাই যাচ্ছে।
তোমার কোন দোষ নেই বাবা।
আমার মেয়েটা এমন ই।
।
মেঘ - স্যারের কথা শুনতে শুনতে কফি মুখে
দিলাম।
আল্লাহ কফি এমন ঝাল কেন? ?
ফেলতেও পারছিনা আর গিলতেও পারছিনা।
স্যারের সামনে কিছু বলতেও পারছিনা।
কস্ট করে ২-৩ ঢোক খেয়ে রেখে দিলাম।
।
তারা - উনার চোখ দেখে বুঝা যাচ্ছে উনার
অবস্থা কাহিল।
আমি হাসি ঠেকাতে পারছিনা।
দাত দিয়ে ঠোট কামোড় দিয়ে ধরে আছি
যাতে হাসি আটকে থাকে।
।
মেঘ - তারা কাজ টা ভাল করলেনা।
স্যার আসি তারা যদি চায় অকে পাঠিয়ে
দিবেন।
।
বাবা - অ এখনি তোমার সাথে যাবে।
।
তারা - কিন্তু বাবা!
।
বাবা - কিন্তু পারান্তু পরে হবে রেডি হয়ে
আসো যাও।
।
তারা - দুর
।
রেডি হয়ে উনার গাড়ির কাছে যেতেইই
মেঘ-গাড়ির সাথে ওকে ধরে বসলাম।
।
তারা- কি করেন ব্যথা লাগে।
মেঘ-ব্যথা কি দেখবে অপেক্ষা কর
।
গাড়ি তে-
তারা-
উনি ১টা কথাও বললেন না।
।
আমি মনের সুখে ফোন দেখতে দেখতে অফিস
আসলাম।
।
হিয়া - কিরে আমি তো ভাবলাম তোর সাথে
আর দেখাই হবেনা।
।
তারা - মেজিক টা কি করে হলরে।
।
হিয়া - আমরা অইখান থেকে বের হওয়ার পর
উনারা স্যারের কাছে ফোন দেয়।
পরে আমরা ডিল সাইন করতে গেলে
অইখানের এম,ডি তোর কিথা জিজ্ঞাস করে।
আর বলে তুই অদের কাছে যেয়ে ডিল এর
ব্যপারর সব বলেছিস।
বাস স্যার এর ররাগ ককমে আর অফিস এসে
তোকে ২ দিন না দেখে আংকেল কে ফোন
দেয়।
তারপর দেখলাম বেরিয়ে গেল।
এখন বুঝলাম তোকে আনতে গিয়েছিল।
।
মেঘ - উফ উফ ঝালে আমি শেষ অই তারার
একদিন কি আমার ১০ দিন।
আল্লাহ এটা কি বানাইছিলা তুমি।
মেয়ে না আর কিছু।
।
দাড়াও দেখাচ্ছি মজা।
।
তারা! তারা!
।
তারা- জি।টেবিল এর উপর লাল ১ টা শরবত
দেখলাম।
মেঘ - এটা খাও
তারা-লাগবেনা
।মেঘ - আমি বলছি খাও।
তারা-১ ঢোক খেয়ে আমি শেষ।থুঃথুঃ এটা
কি ?এত ঝাল।
মেঘ - পুরা খাবা।
তারা- মাথা খারাপ নাকি।
মেঘ- না হলে তমার বাবাকে সব বলে দিব।
তারা-১বারে গিলে ফেললাম। নাকের পানি
চোখের পানি ১ হয়ে গেল।
মেঘ- তারার চোখের পানি মুছে দিলাম।এবার
বুঝলে ঝাল কি জিনিস।
।তারা- চলে আসলাম।আসলেইকাজ টা ঠিক
করিনি।
।
মেঘ - তারা!
।
তারা : আবার ডাকে কেন রে।
হুহ
।
জি বলেন।
।
মেঘ - এই ফাইল গুলা নেও।
।
তারা - এত গুলা ফাইল।
।
মেঘ - হ্যা কাল কে সকালে আমি আসার
আগে যেন এই ফাইল গুলা আমার টেবিল এ
থাকে।
আমি যেন রুমে ঢুকে দেখতে পাই।
।
তারা - wht the hell! r u serious? ?
.
megh - mind ur language.
im ur boss. don't forget that.
okey?
.
tara - sorry বললাম দাতে দাত রেখে।
।
অ আল্লাহ এটা কিভাবে সম্ভব।
।
কিন্তু আল্লাহ বাচাও আমারে।
।
রাত ১ টা।আল্লাহ দেখতে দেখতে
রাত ২ টা ।
তারপর ৩টা।
যাক কাজ শেষ।
ফোন এ এলাম দিয়ে রাখলাম।
৩-৪ টা টেবিলঘড়ি তেও।
।
এলামের আওয়াজে ঘুম ভাংল রেডি হয়ে
তাড়াতাড়ি অফিসে গেলাম।
।
অফিসে কেউ আসেনি।
টেবিল এর উপর ফাইল গুলা রেখে পিছন
ঘুরলাম।
আল্লাহ আল্লাহ! বাচাও বাচাও।
।
মেঘ - এই মেয়ে চিল্লাচ্ছো কেন।
।
তারা - অহ আপনি আমি ভাবলাম ভুত।
মেঘ - what rubbish!
.
যাক বলতে হচ্ছে আমি আসার আগেই ফাইল
রেখেছ।
।
তারার দিকে এগিয়ে ওর ২পাশে হাত
রাখলাম।
মাথা নিচু করল। ১ আংগুল দিয়ে মুখটা উচু
করলাম রাতে ঘুমাইনি দেখে বুঝা যাচ্ছে।
আচ্ছা
যাও এখন।
তারা - স্যারের রুম থেকে বের হলাম
।
আমাকে দেখে হিয়ার হাত থেকে কফি পরে
গেল।
এক জন চেয়ারে বস্তে যেয়ে নিচে পরে
গেল।
।
একজন হা হয়ে আছে।
আমি বুঝতে পেরেছি জিবনের প্রথম টাইমে
অফিসে এসেছি তাই।
আমি হাসতে হাসতে desk এ যেয়ে বসলাম।
।
হিয়া - কিরে আমি ঠিক দেখছি।
।
তারা - জি হ্যা।
মুখ বন্ধ কর মশা যাবে।
।
হেহেহে।
।
হিয়া - আমার মনে হচ্ছে সপ্ন দেখছি
।
তারা - জি না ম্যাম।
উফফ খুব মাথা ধরেছে রে।
।
হিয়া - চল কফি খেয়ে আসি।
।
তারা - চল
কফি নিয়ে ২ জন হাসাহাসি করছিলাম।
এক পর্যায় হিয়া দিল ধাক্কা আমাকে আর
কফি যেয়ে পরল।
।
মেঘ - তারারারা! ( চিতকার দিয়ে)
।
তারা - সরি সরি।
পাশে তাকিয়ে দেখি হিয়া ভাগছে।
শালি দোষ অর আর ফাস্লাম আমি /
।
মেঘ : u idiot.
.
tara - sorry sir.
extremely sorry.
.
megh - sorry my foot.
।
হিয়া - দেখলাম স্যার তারাকে টানতে
টানতে উনার কেবিন এ নিয়ে গেলেন।
।
মেঘ - কোট খুলছিলাম।
।
তারা - আল্লাহ মাবুদ আপনি কোট খুলছেন
কেন?
.
চলবে
৩
.
কোট টা খুলে চেয়ারে রাখলাম।
শার্ট এর হাতে গুটাতে গুটাতে তারার দিকে
এগিয়ে গেলাম।
।
তারা- পিছাতে পিছাতে দেওয়ালের সাথে
মিশে গেলাম।
।
মেঘ - তারার ২ পাশে হাত রাখলাম।
।
তারা- ভয়ে আত্তা বের হয় যাওয়ার মত
অবস্থা।
।
মেঘ - মুখ আগাতেই তারা চোখ বড় বড় করে
ফেলল।
আমি আরেক্টু এগিয়ে গেলাম।
তারপর কানের কাছে মুখ নিয়ে বললাম তুমি
কি শনি বারে জন্ম নিয়েছিলা?
।
তারা- এমন কথায় আমি কেমন রিয়েক্ট করব
বুঝতে পারলাম না।
কেন?
।
মেঘ - কারন তুমি আশে পাশে থাকলে আমার
কপালে শনি ঘটে।
।
তাই আরকি
।
তারা- বাবা কে আস্ক করতে হবে।
।
মেঘ - চুপ।( ধমক দিয়ে)
আল্লাহ কি দিয়ে যে তোমাকে বানাই ছিল।
।
তারা- মাটি।
।
মেঘ - রাগে অর দিকে চাইলাম।
কোট টা নেও।
তারা- কেন???
।
মেঘ - ধর এটা।
।
তারা *: আমি কি করব? ?
।
মেঘ - এটা ক্লিন করে কাল কে নিয়ে আসবা.
।
তারা - কিহ।
।
মেঘ - যাও ( ধমক দিয়ে)
।
তারা - ভাগলাম।
হিয়ার বাচ্চা হিয়াতোর জন্য এটা হল।
কুত্তি একটা।
।
হিয়া - সরি দোস্ত।
তারা- রাখ তোর দোস্ত।
।
বাসায়-
বাবা কে দেখানো যাবেনা।
নাহলে আরেক কেলেংকারি ঘটবে।
।
পরের দিন -
তারা - কিরে আজ উনার আসার নাম ঘন্ধ নেই
ব্যপার কি?
।
ফোন দোব? ?
আমি কেন ফোন দিতে যাব?
হুহ।
না আসলে না আসুক।
।
মেঘ - মা আমি একটু বেরচ্ছি কাজ আছে।
আরে অই কোট টা তো তারার কাছে।
ফোন করে বলে দেই বাসায় দিয়ে যাক।
।
ফোন বেজে উঠল।
তারা- হ্যালো।
।
মেঘ - কোট টা নিয়ে বাসায় চলে আসো।
।
তারা- আমিতো চিনিনা।
।
মেঘ - ঠিকানা বলে দিচ্ছি চলে আসো।
।
তারা - দুর এ আবার কি মুসকিল।
বাসার সামনে রিক্সা নিয়ে গেলাম।
অমা এটাতো রাজ প্রাসাদ।
কুত্তাটা ভালো টাকা কামাই করে বুঝা
যাচ্ছে।
।
নক করলাম।
দরজা খুলল কে যেন।
মিমি : কাকে চাই।
।
তারা : মেঘ স্যারের অফিস থেকে এসেছি।
।
মিমি - আসুন।
এইখানে বসুন।
স্যার নেই।
আমি ম্যাম কে ডাক দিচ্ছি।
।
তারা - ম্যাম কে?
।
মিমি : স্যারের মা।
।
তারা - অহ আমি ভাব্লাম তার বউ।
হেহেহে
মেঘের মা -
তুমি কে?
।
তারা - ম্যাম আমি স্যারের অফিস থেকে
এসেছি।
উনার কোট...
।
মেঘের মা- অর কোট তোমার কাছে? ?
।
তারা - হ্যা মানে।
।
মা - তোমার নাম কি
।
তারা- তারা।
।
মা - বাবার নাম?
।
তারা- রফিক রহমান।
।
মা - আরে তুমি কি মেঘের স্যারের মেয়ে?
।
তারা - জি।
।
মা- ও সারাদিন স্যারের কথা
এখনো বলে।
আমি কতবার বলেছি তোমাদের নিয়ে আসতে
কিন্তু অর নাকি সময় ই হয়না।
।
তারা - ম্যাম আমি আসি এখন।
।
মা - আরে কি ম্যাম ম্যাম করছ আনটি বল।
আর এখন যাওয়া হবেনা।
আমি তোমার সাথে গল্প করব।
তারা - কিন্তু স্যার।
।
মা - আরে কিছুই হবেনা আমি আছি না।
।
তারা - আমরা গল্প করছিলাম।
সারাদিন পাড় হয়েগেল।
আনটি সন্ধা হয়ে যাচ্ছে আমি এখন আসি।
।
মা- না খেয়ে দেয়ে তারপর যাবা।
।
তারা * না আনটি।
আজ আসি।
।
মেঘ - মা! মা!
কিরে তারা! এইখানে এখনও?
।
তারা কি করছ এখানে।
।
মা- এই এই ছেলে অকে কিছু বলবিনা।
আমি অকে থাকতে বলেছি।
।
আর হ্যা শুন কাল কে আমি তারাকে অর
বাবার সাথে আসতে বলেছি।
।
মেঘ - আচ্ছা আচ্ছা।
।
তারা - আনটি আমি আসি।
।
মা- হ্যা মা ভালো মত যাও।
রাতে-
মা - কিরে ঘুমিয়ে পরেছিস?"
।
মেঘ - তুমি উপরে আসলে কেন?
মিমি কে বলতে আমি ই নিচে আসতাম।
।
মা- আচ্ছা তুই কবে বিয়ে করবি বল তো।
।
মেঘ - হঠাত এই কথা?
।
মা - আমার না তারাকে খুব পছন্দ হয়েছে।
জানিস অ কি সুন্দর রান্না পারে।
আজ অ রান্না...
।
মেঘ - মা কি বলছ কি তুমি
বিয়ে তাও তারা কে? ?
।
মা - কেন কি হইছে?
।
মেঘ - পাগল হইছ তুমি।
আমার অকে একটু ও পছন্দ না।
।
মা- তোর কি পছন্দ বলতো।
।
মেঘ - সময় হলে বলব।
যাও এখন ঘুমাও।
।
বিয়ে আর তারাকে ??
মাথা খারাপ।
উফফ
কাজের মুড নাই এখন।
।
সকালে -
মা - শুন তারা কে নিয়ে তুই চলে আসবি কিন্তু
বাসায়।
আমি অর বাবাকে ফোন দিয়েছি অর বাবা
দুপরে চলে আসবে।
।
মেঘ - তুমি এতসব কখন করলে? /
।
মা - তকে জানতে হবেনা।
তুই তোর কাজ কর।
।
মেঘ - উফফ।
আমি যাচ্ছি
।
তারা - হিহি কাল্কে আনটির সাথে খুব মজা
হইছে।
।
হিয়া - ওই ওই স্যার আসছে।
।
অল - good mrng sir.
.
megh - hmm
.
তারা- আমার দিকে এমনে তাকায় আছে
কেন? ?কি করলাম আবার।"
।
মেঘ - তারা চল।
তারা - কই স্যার।
।
মেঘ - কথা বলনা চল।
হাত ধরে গাড়ি তে বসালাম।
।
তারা- কোথায় যাচ্ছি।
।
মেঘ - বাসায়।
।
তারা- অহ আচ্ছা।
।
রফিক সাহেব - ভাল আছেন মিসেস চৌধুরী।
।
মেঘের মা - জি।
আপনি ভাল আছেন?
তারা এখনি চলে আসবে মেঘের সাথে।
আসলে আমি একটা কথা বলতে চাচ্ছিলাম
আপনাকে।
আমার তারাকে খুব পছন্দ মেঘের জন্য।
।
তারার বাবা - কি বলেন এটা তো আমার
তারার ভাগ্য।
কিন্তু মেঘ কি রাজি হবে?
।
আর তারাও তো মনে হচ্ছে হবেনা।
।
মা - সেটাই তো দু:খ।
।
তারার বাবা- ওর বিয়েটা এবার ঠিক করতেই
হবে।
।
কথা বলতে বলতে মেঘ তারা হাজির।
।
মেঘ - আসসালামু আলাইকুম স্যার ভাল আছেন।
।
তারার বাবা - হ্যা ভাল।
তুমি ভাল আছো।
।
মেঘ - জি স্যার।
।
মেঘের মা - তারা আয় তো আমার সাথে।
।
তারা - জি আনটি।
।
মেঘের মা - এগুলা একটু খাবার টেবিল এ
রেখে আয়।
কাজ করাচ্ছি মনে কিছু নিস না।
।
তারা- আরে কি যে বলেন না আনটি কোনো
প্রব্লেম নাই।
তারা - খাবার সার্ভ করে দিলাম।
পানি দিতে যেয়ে পরল স্যার এর উপর
সরি সরি
মেঘ- কিছু বললাম না । মা চেঞ্জ করে আসি।
২বার চেঞ্জ করলাম।কারন এর আগে অর
সাথে ধাক্কা খেয়ে সবডাল পরে আমার উপর
।
খাওয়া শেষে-
।
মেঘের মা - মেঘ অকে বাড়িটা ঘুরে দেখা।
।
মেঘ - হুম।
।
তারা - সব ঘুরে ছাদে গেলাম।
খুব ভাল লাগছিল।
ঠান্ডা বাতাসে খুব ভাল লাগছে।ছাদে
বৃষ্টির পানি জমে আছে।হাটছি আর ঝপ ঝপ
শব্দ হচ্ছে।
।
মেঘ - তারা সারা ছাদ ঘুরে দেখছে।পানি
আর তারার পায়ের নুপুরের শব্দ মিলে অন্য
রকম সুর সৃষ্টি করছে
ফোনে কথা বলছিলাম।
হঠাত তারার দিকে চোখ গেল বাতাসে অর
চুল উরছে অ বার বার কানের পিছে নিচ্ছে।
।আমি চেয়ারে বসলাম।
তারা-আমি স্যারের দিকে তাকিয়েছিলাম।
।
মেঘ- কি দেখছ?
।
তারা-( এই devil এত handsome । not fair) না না
আপনার কানের দুল দেখছি। কি যে দিন এল
মেয়েদের জিনিস ছেলেরা পরে।
।
মেঘ- অ হ্যালো। এটা পরার পর কত মেয়ে
আমার উপর
ক্রাশ খেয়ে কত অজ্ঞান হল।
।
তারা- ক্রাশ খেয়ে না ওরা আপনাকে
এততদিন ছেলে ভাবত এখন দেখল মেয়ে ।তাই
অজ্ঞান হইছে হেহে।
।
মেঘ- কি বললে?
তারা- না না কিছু না।
মেঘ- কিছু না । না? টেনে নিজের কাছে
নিতেই পিছলে খেয়ে ২জনেই পরলাম।তারার
মাথা আমার বুকে।
।
তারা- কি করলেন এটা? এখন আমি বাসায়
যাব কি করে।
মেঘ - ভাল হইছে
।
তারা আমি নিচে গেলাম
।
নিচে বাবা আর আনটি কথা বলছিল।
।
বাবা ?
মেঘের মা-কিরে এই অবস্থা কেন?
মেঘ - চেঞ্জ করে নামলাম ছাদে পরে
গেছে।
।
তারা- ( liar)নিজে ফেলে দিলতা বলবেনা
।
আনটি -আয় আমার সাথে।১ টা শাড়ি পরিয়ে
দিলাম।
মেঘ- হ্যা হয়ে তাকিয়ে আছি।
।মেয়ে টাকে শাড়ি তে এত সুন্দর লাগছে।
।
আনটি - আবার আসিস।
তারার মাথায় হাত বুলিয়ে দিলাম।
।
তারা -( মা রা মনে হয় এমনি ভাল হয়)
।
বাসায় -
বাবা - কিরে এইভাবে বসে আছিস কেন।
।
তারা- মাকে খুব মনে পরছে।
বাবাকে জরিয়ে ধরলাম।
বাইরে খুব বৃষ্টি হচ্ছে।
৪
.
সকালে -
।
তারা - বাবা ব্যাগ কেন গুছাচ্ছ? ?
।
বাবা - গ্রামের বাড়ি যাচ্ছি।
।
তারা - হঠাত।
।
বাবা - হ্যা ফোন আসল আমাদের জমি নিয়ে
প্রব্লেম হচ্ছে।
কিছু দিনের জন্য যাচ্ছি।
।
তারা- আমিও যাব।
।
বাবা - অফিসের কি হবে।
আমি তো চলেই আসব।আর তাছাড়া ওইখানে
কত রকম সমস্যা হতে পারে এরর মাঝে আমি
তোকে নিতে চাইনা।
।
তারা - কিন্তু বাবা আমি একা থাকতে ভয়
পাই জানোনা?
।
বাবা - আমি তোর থাকার ব্যবস্থা করেই
যাব।
।
তারা - মানে? কোথায়?
?
বাবা -তুই আগগে আমমার ব্যাগ টা গুছিয়ে দে
।
তারা - আচ্ছা ব্যাগ দেও আমি গুছাচ্ছি।
তারা : বাবা কই যে রেখে যাবে কে জানে
।
বাবা -
চল।
।
তারা - আরে আমি রেডি তো হয়ে নেই।
।
বাবা - আচ্ছা।
।
তারা - আনটির শাড়ি টাও সাথে নিয়ে নেইই
।আমি রেডি চল।
।
দেখলাম আমরা স্যারের বাসায় আসলাম।
একি বাবা এখানে? ??
।
বাবা - হুম এইখানেই তো থাকবি
।
তারা - কিহহহ???
।এইখানে
।
বাবা - হুম
।
তারা( হচ্ছে কি কিছুই তো বুঝতে পারছিনা)
ঘরে গেলাম।
বাবা - এইখানে আমি থাকবনা।
।
মেঘের মা - কোন সমস্যা? ?
।
তারা- না মানে ....
বাবা( কাদো কাদো চেহারা নিয়ে
তাকালাম।
।
মেঘ - মা মা আমি...
তারা! স্যার! আপনারা?
।
মেঘের মা - রফিক সাহেব আপনি বলুন কি
বলবেন।
।
।তারার বাবা- আসলে আমার গ্রামের বাড়ি
তে আমার জমি নিয়ে কিছু সমস্যা হচ্ছে।
আমি ওইখানে যাচ্ছি।
এমন না যে আমি তারার জন্য ছুটি চাইলে
মেঘ দিবে না কিন্তু ওই ভেজাল এ আমি ওকে
নিতে চাচ্ছি না । তাই কিছু দিন যদি তারা
এইখানে থাকে.....
।
মেঘের মা - আমাদের কোন সমস্যা নেই।
আমার তারাকে খুব পছন্দ। আমার সাথে ও
থাকলে আমি খুশি ই হব।
।
তারার বাবা - মেঘ? ??
।
মেঘ - স্যার আমার কোন সমস্যা নেই।
কারন আমার মা খুশি।
।
মেঘের মা- মিমি তারাকে উপরের ঘরে নিয়ে
যযা
।তারা-
উপরে গেলাম।
ওমা এত ঘর! !! আর ২ জন মানুষ! !!
যাক বাবা বড় লোকেদের ব্যপার।
।
মিমি - এটা আপনার রুম।
।
তারা- আচ্ছা কি সুন্দর।
।
তারার বাবা- মেঘ বাবা তোমার অসুবিধা
হবে না তো।
মেঘের মা - আরে না কি যে বলেন।
আমাদের কোন অসুবিধা হবেনা।
।
তারা-
মিমি স্যার এর রুম কোন টা? মিমি-
আপনার opposite এ ১ টা রুম আগে তারা-
আআচ্ছা যাও।
উনার ঘর টা দেখে আসি
।
রুমে ঢুকে মনে হল কোনো গুহায় ঢুকেছি
একি???
ঘরের দেওয়াল বাদে সব কালো। ঘরের
ফার্নিচার ও কালো।
ই আল্লাহ কালো কারো এত পছন্দ হতে পারে
জানতাম না। মেঘ - এই রুমে কি করছো।
তারা- ইয়ে মানে ভুলে ঢুকে পরেছি। মেঘ -
তোমার বাবা যাচ্ছে । তারা - তুমি এখনি
যাবে। বাবা - হুম।
আচ্ছা আসি তাহলে।
শুন ভাল মত থাকবি।
কোন সমস্যা করিস না।
তারা- হুম।
।
মেঘ - চলুন আমি বাস স্ট্যান্ড দিয়ে আসি। ।
তারা - আমিও যাব।
।
মেঘ - হুম।
।
তারা- বাবাকে দিয়ে সোজা অফিসে
গেলাম।
উফফ ক্ষুদা তে পেটে ইদুর মিলখা হয়ে গেছে।
।
হিয়া - কিরে পেটে হাত দিয়ে বসে আছিস
কেন?
তারা-
কি করব ক্ষুদা লাগছে।
।
হিয়া - কেন্টিন এ যা খেয়ে আয়। ।
তারা - খাচ্ছিলাম আর নিজের সাথে কথা
বলছিলাম অই রাক্ষসের বাসায় এখন থেকে
থাকতে হবে।
আল্লাহ হানে আমার কপালে কি আছে।
আল্লাহ বাচাও।
মেঘ - তারা কই?
দেখলাম এইখানেই আসছে। তারাকে ধরে
কেবিন এ নিয়ে গেলাম হাত টা শক্ত করে
ধরলাম
।
তারা- স্যার স্যার কি করেছি আমি। ব্যথা
লাগছে ছাড়ুন।
।
মেঘ - তারা! আমার বাসায় থাকছ ভাল কথা
ভাল ভাবে থাকবে।
বেশি তিড়িং বিড়িং আমার পছন্দ না। মনে
যেন থাকে। বুঝলা?
যাও।
।
তারা- হুহ।
হাত টা শেষ করে দিল আমার। ফাযিল।
।
মেঘের মা - কিরে তুই চলে আসলি তারা কই। ।
মেঘ - অর টাইম হলে আসবে।
।
মা- মেয়েটা কে একা রেখে চলে আসলি?? ।
মেঘ - তো?
।
তারা- ভিজতে ভিজতে বাড়ি আসলাম।
বাইরে ঝড় হচ্ছে।
।
মা- কিরে তোর কি অবস্থা যা তাড়াতাড়ি
চেঞ্জ কর।
সব তোর জন্য মেঘ।
।
মেঘ - কিন্তু।
।
মা- কাল কে থেকে অ তোর সাথে যাবে
তোর সাথে আসবে।
বাস কথা শেষ।
।
তারা- ভাল হইছে।
ফাযিল কুত্তা।
হাচি দিতে দিতে শেষ।
।
মেঘের মা - আরে আনটি আপনিখাবার আনতে
গেলেন কেন।
।
মিমি কে পাঠেতেন।নাহয় আমি ই যেতাম। "।
মা- নিজের মেয়ে হলে তখন ও মিমি কে
পাঠাতাম ??
দেখ তোকে আমি আপন ই ভাবি। আমার
জানিস ১ টা মেয়ের কত শখ ছিল। তুই আজ
থেকে আমাকে মামনি বলে ডাকবি। ঠিক
আছে।
নে খেয়ে নে। তারপর ওষধ খেয়ে ঘুমা। ।
তারা- মামনি বলার যখন অধিকার দিয়েছ ১
টা আব্দার করি?
।
মামনি - বল
।
তারা- তুমি খাইয়ে দেও।
।
মামনি - পাগলি ১ টা দিচ্ছি। নে এবার চুপ
করে ঘুমা।
।
তারা- তুমি আমার সাথে ঘুমাও আজ। ।
মামনি - আচ্ছা।
।
সকালে -
মেঘ - মা মা
কি ব্যপার মা কই।
।
তারা- উফফ সকাল সকাল চিল্লাচ্ছেন কেন? ?
মামনি ঘুমাচ্ছে।
।
মেঘ - মামনি? ???
।
তারা- জি মামনি।
উনি আমার রুমে?
।
মেঘ - doc. মা কে সিঁড়ি দিয়ে উঠা নামা
করতে বারোন করেছে আর তুমি মা কে উপরে
নিয়ে গেছ???( চিতকার করে)
ওর কাছে এগিয়ে যাচ্ছিলাম।
।
তারা- ঢক গিলতে গিলতে না মানে .. ইয়ে
আমি।
।
মেঘ - তারার মুখ টা চেপে ধরলাম শক্ত করে।
।
তারা- জোরে করে চিমটি দিয়ে বস্লাম। ।
মেঘ - আহহ ওই...
।
মামনি - কি হচ্ছে কি এইসব? ? মেঘ - না
কিচ্ছু না।
।
তারা-
মামনি তোমার ছেলে আমাকে বকছে। আমি
নাকি তোমাকে উপরে নিয়ে গেছি। ।
মামনি - তোকে এক থাপ্পড় লাগায় দিব। না
জেনে তোকে কথা বলতে কে বলে? আমি ই
গেছি অর কাছে ও বলেনি। সরি বল।
সরি বল।
।
মেঘ - মুখ ঘুরিয়ে সরি।
( অফিস আসো তারপর বুঝাব; ১ দিনেই আমার
মা কে হাত করেছ তাইনা)
।
তারা- মামনি তোমার ছেলেকে বলনা আমি
আজ যাবনা।
আমি অসুস্থ!
।
মামনি - তারা আজ যাবেনা।
ওর শরীর ভাল না।
।
মেঘ - কিন্তু মা!
।
মামনি - একদম চুপ।
।
অফিসে-
মেঘ - বাসায় যেয়ে নেই পরে মজা বুঝাব। ।
তারা- বেচে গেছি আজ অফিস গেলে আমার
খবর ছিল।
যাক সারাদিন মামনির সাথে মজা করে
কাটানো যাবে।
।
সারাদিন আমি আর মামনি মজা করে
কাটালাম।
আমি আর মামনি খেয়ে নিলাম। মামনি তুমি
ঘুমাও আমি উপরে গেলাম। ।
মামনি -আচ্ছা
।
তারা- বারান্দা তে বসে ল্যাপটপ এ মুভি
দেখছিলাম।
ওরে বাবা স্যার এসে গেছে।দেখলে খবর
আছে। রুমে যাই।
।
মেঘ - মায়ের রুমে মা কে দেখে আসলাম।
ঘুমিয়ে গেছে।
।
মিমি খাবার সার্ভ কর।
।
মিমি রান্না আজ অন্য রকম লাগছে। ।
মিমি - জি স্যার।
তারা ম্যাম করেছে।
খুব মজা হয়েছে তাইনা।
।
মেঘ -( ভালই তো)
হুহ কিসের ভাল একটু ও না।
।
তারা- উপরে দাড়িয়ে শুন ছিলাম। হুহ ভাল
তো লাগবেইনা।
আমি যে রান্না করেছি তাই।
।
মেঘ - তারার ১ টা ব্যবস্থা করতে হবে।দেখছ
পানি খাব মিমি আজ পানি রেখে যায় নি।
আবার নিচে যেতে হবে আল্লাহ। ।
রান্না ঘরের সামনে যেতেই দেখি তারা
পানি খাচ্ছে।
পিছনে দাড়ালাম।
।
তারা - ঘরে পানি নিয়ে যেয়ে রাখি আবার
পরে কে নামবে নিচে।
পিছনে ঘুরেই স্যার কে দেখলাম পানি বোতল
পড়ল স্যারের পায়ে।
।
মেঘ - আল্লাহ।
।
তারা- সরি স্যার।
সরি।
ভাগ তারা ভাগ।
এখন মিলখা হয়ে যা।
।
মেঘ - ওই ওই যাবা কই। পাইছি।তারা চিতকার
দেওয়ার আগেই হাত দিয়ে মুখ চেপে ধরলাম।
।
এবার কথা বল দেখি।
হাত ২ টা শক্ত করে ধরে নিজের সাথে
জরিয়ে ধরে রাখলাম।
সকালে খুব তো মাকে দেখে সাহস বেড়ে
গেছিল তাইনা।
এখন ভয় পাচ্ছ কেন?
কি ভেবেছ তোমাকে পাব না।?
বল বল এখন কথা বল।
।
তারা( ছাগল মুখ ধরে রাখছে কথা কিভাবে
বলব)
।
মেঘ - মুখ থেকে হাত সরাচ্ছি যদি বেশি
আওয়াজ করো তাহলে কিন্তু খবর আছে। ।
তারা- তখন থেকে বলছেন কথা বল। কিভাবে
বলব এভাবে ধরে রাখলে। গরু।
।
মেঘ - কি বললা?? আমি গরু???
।
তারা- মামনি? ?
।
মেঘ - পিছনে ঘুড়লাম।
মা কই?
।
তারা- হাতে কামোড় মেরেই দৌড়। ।
মেঘ - ওই ওই দাড়াও দাড়াও।
যাহ আমাকে গরু বানিয়ে দিল। মেয়ের বুদ্ধি
আছে বলতে হবে। আমিও দেখে নিব।
।
রাতে হঠাত শব্দে ঘুম ভেংগে গেল ।
.
৫
.
রাতে হঠাত শব্দে ঘুম ভেংগে গেল ।
কিরে কিসের আওয়াজ।
এমন পেত্নী মারকা হাসি কে হাসছে? দরজা
খুলে লাইট জালালাম।
।
আওয়াজ টা অই দিক থেকে আসছে মনে
হচ্ছে।
তারার রুমে দিকে গেলাম। হাসি তো তারার
রুম থেকে আসছে। নক করলাম।
।
তারা- এত রাতে কে? ?
কোন বিপদ হল না তো মামনির?
।
দরজা খুললাম।
আপনি?
।
মেঘ - এমন পেত্নী মারকা হাসি তুমি
হাসছিলে?
।
তারা- পেত্নী।
আমি পেত্নী র মত হাসি?
।
মেঘ - তা নয় তো কি?
সরো সরো।
রুমে ঢুকে দেখি ল্যাপটপ এ তারা মুভি
দেখছে।
তুমি মুভি দেখ ভাল কথা কিন্তু মানুষ এর
ঘুমের ডিস্টার্ব করছ কেন?? ।
দাড়াও মুভি দেখা বের করছি। বলে ল্যাপটপ
টা নিয়ে নিজের রুমে গেলাম। ।
তারা- আমিও পিছে পিছে গেলাম, আচ্ছা
আর দেখবনা প্লিজ দিয়ে দিন। ঠাস করে
দরজাটা আমার মুখের উপর দিয়ে দিল।কত বড়
সাহস।
দাড়াও সকাল হক মামনি কে বলে দিব।
এএএএএএ।আমার ল্যাপটপ।।
।
শরীরের সব শক্তি দিয়ে ইচ্ছা মত দরজা
লাথি, ঘুষা সব দিলাম।
শয়তান, হারামজাদা দরজা ও খুলে না।
হুহ।
দরজার দিকে পিঠ দিয়ে দাড়ালাম।
নিজের সাথে বক বক করছিলাম।
(পরক্ষনেই মনে হল ঝড় আমাকে উরিয়ে নিয়ে
গেল।
নিজেকে আবিষ্কার করলাম স্যারের
রুমে।)যেখানে এই রাক্ষস আমাকে শক্ত করে
ধরে রেখেছে দরজার সাথে।
যেভাবে চেয়ে আছে মনে হচ্ছে চোখ দিয়েই
গিলে খাবে।।
মেঘ - তোমার সাহস তো কম না।
এইভাবে দরজা ধাক্কা দিচ্ছ মাঝ রাতে।
।
তারা- আর আপনু মাঝ রাতে আমার ঘরে ঢুকে
ল্যাপটপ নিয়ে আসতে পারেন সেটা কিছুনা।
।
মেঘ - তোমার জন্য সবার ঘুমের ডিস্টার্ব
হচ্ছে বুঝনা তুমি? বাচ্চা নাকি?
।
তারা- কার ঘুমের ডিস্টার্ব হল শুনি।
।
মেঘ - আমার হয়েছে।
।
তারা- ছাড়ুন আমাকে
এভাবে ধরে রেখেছেন কেন আমার ব্যথা
লাগছে।
।
মেঘ - এখন ল্যাপটপ পাবে না সকালে পাবে।
চুপচাপ ঘরে চলে যাও।
বলে বিছানারর দিকে আগালাম।
।
তারা- ল্যাপটপ য়া পাশেই আছে নিয়ে ভাগি।
।
মেঘ - পাশে তাকাতেই দেখি তারা ল্যাপটপ
এর দিকে আগাচ্ছে।
(তারার কাছে গিয়ে ওকে সামনে ঘুরিয়েই
ওর ২ গালে ২ হাত দিয়ে ওকে মুখের সামনে
ধরলাম।)
।
পুচকি মেয়ে আমার সাথে পাংগা?
।
তারা- পুচকি মানে? ?
আমি পুচকি আপনাকে কে বলেছে হ্যা??
।
মেঘ - ১টু নিচের দিকে তাকাও।
।
তারা- নিচের দিকে তাকালাম।
(পা পুরই উচু হয়ে আছে তাও তার সমান হতে
পারিনি।
)
তাতে কি হয়েছে হ্যা।মেয়েরা এর থেকে
বেশি লম্বা হলে ভাল লাগেনা। হুহ।
।
মেঘ -
কথাটা শুনে আর হাসি ঠেকাতে পারলাম না।
হেহেহে।
পুচকি বলে কি।
।
তারা- এই এই ভাল হচ্ছেনা কিন্তু।
।
মেঘ - এখন সোজা রুমে যাও।
অনেক রাত হয়েছে।
।
তারা- ঘরে গেলাম।
সকালে যদি মামনিকে দিয়ে বকা না
খাওয়াইছি হুহ।
।
সকালে -
তারা- রুম থেকে বের হয়ে দেখলাম মিমি
স্যারের কফি নিয়ে আসছে।
মিমি মিমি!
।
মিমি - হুম।
।
তারা- আমার একটা কাজ করে দেওনা।আমার
খুব মাথা ব্যথা করছে মামনির রুম থেকে ওষধ
এনে দেও.
।
মিমি - স্যার কে কফি দিয়ে আসি।
।
তারা- না না ওটা আমার হাতে দিয়ে যাও।
আমি দারিয়ে আছি এখানে।
আমি ই দিতাম কিন্তু যদি রাগ হয় তাই আরকি।
।
মিমি - আচ্ছা।
।
তারা- জলদি নিজের রুমে গেলাম কফি টা
ফেলে দিলাম।
কালো রং নিলাম সাথে ভাল মত পানি
মিশিয়ে দিলাম।ভাল মত ঢেকে দিলাম।
তারপর জায়গা মত দাড়ালাম।
tnx mimi.নেও স্যারের ব্লাক কফি।
।
মিমি কফি দিয়ে চলে গেল। আর আমি
অপেক্ষা তে আছি স্যারের চিতকার শুনার।
খাও কফি ভাল মত খাও।
।
কিছুক্ষন পর একটা বিকট শব্দ শুন তে পেলাম।
আমি হাসতে হাসতে মাটিতে গড়াগড়ি
খাচ্ছি।
।
মেঘ - মিমি মিমি!
।
নিচে সবাই হাজির সবাই আমাকে দেখে মুখ
ধরে হাসছে।
।
মামনি - হেহেহে কিরে তোর এই অবস্থা কেন
দাত ,মুখের?
।
তারা- উপরে সিড়ির কাছে দাড়ালাম।
শব্দ করে হেসে উঠলাম।
স্যার তাকাল।
চোখ দদিয়ে আগুন বেরচ্ছে।
আমি মাথা নিচু করে হাসতে লাগলাম
মিটমিট করে।
।
মেঘ - মিমি এটা কি তোমার কাজ?
আমি জানি তোমার না বল তুমি এটা কার
কাজ?
।
মিমি - স্যার আমি জানিনা ( ভয়ে ভয়ে)
।
মেঘ - তারার দিকে এক বার তাকালাম।
চোখ দেখে মনে হচ্ছে ভয় পাচ্ছে।
মিমি আমাকে কফি দেওয়ার আগে কফি কই
রেখেছিলে?
।
তারা- খাইছেরে
।
মিমি- কফি বানিয়ে আপনার কাছে
আসছিলাম তখন তারা ম্যাম বলল ম্যামের রুম
থেকে ওষধ এনে দিতে তাকে কফি দিয়ে
আমি সেটা আনতে গিয়েছিলাম।
।
মেঘ - মা এবার বুঝলে এটা
কার কাজ।
।
মামনি - তারা মা নিচে আয় তো।
এই তোরা সব যার যার কাজে যা।
এটা তুই করেছিস।?
।
তারা- উনি রাতে আমার ল্যাপটপ নিয়ে গেল
কেন?
বকা ঝকা করল কেন?
।
মামনি - মেঘ তারা কি বলছে?
।
মেঘ - মা ও রাতের ২ টা বাজে মুভি
দেখছিল।
তাতে আমার সমস্যা নাই কিন্ত ওর জন্য মানুষ
এর ডিস্টার্ব হবে ঘুমের সেটা তো ঠিক না।
আর তাছাড়া এর জন্য ও প্রতিদিন অফিসে
লেট করে।
আর এতে অর সাস্থের ও ক্ষতি হবে ও কি
বুঝেনা।
বাচ্চা নাকি?
।
মামনি - আচ্ছা হইছে তুই যা ফ্রেশ হ।
।
তারা মেঘ কিন্ত ঠিক কথা বলেছে।
যা ফ্রেশ হয়ে খেয়ে রেডি হ।
অফিসে যেতে হবে।
।
তারা- হুম।
।
মেঘ - গাড়ি আজ এত জোরে চালিয়ে ছি
তারার অবস্থা খারাপ।
।
হিয়া- কি তোকে এমন লাগছে কেন?
।
তারা- আর বলিস না হারামজাদা এত জোরে
গাড়ি চালিয়েছে যে আমি নিজের নাম ই
ভুলে গেছি।
।
হিয়া- কে?
।
তারা- আর কে স্যার।
।
হিয়া- স্যার??
।
তুই স্যারের সাথে? ?
।
তারা- অহ তোকে বলতে মনে নাই আমি
স্যারের বাসায় আছি এখন কিছু দিনের জন্য।
।
হিয়া- মাজরা কি?
।
তারা- সব বললাম।
।
হিয়া - আচ্ছা।এই খবর।
।
মেঘ - আমাকে রং খাওয়ানোর মজা টের
পাবে তারা তুমি।
।
তারা - স্যার চেক টাতে সাইন লাগবে।
।
মেঘ - ফোনে কথা বলছিলাম।
ফোন রেখে তারার কাছে গেলাম।
সামনে দাড়ালাম।
।
কি কাজ?
।
তারা - এত কাছে থাকলে কি করে কথা বলি!
সাইন লাগবে ( মিন মিন করে)
মেঘ - জোরে বল শুনিনাই।
।
তারা- সাইন লাগবে বলতে বলতে টেবিল এর
সাথে লেগে গেলাম।
।
মেঘ - আরেক্টু সামনে যেয়ে দাড়ালাম
তারার
মুখ উচু করে বললাম আবার বল।
।
তারা- এবার কথাই বন্ধ হয়ে গেল।
গলা দিয়ে আওয়াজ বের ই হচ্ছেনা।
।
মেঘ - এখন গলা দিয়ে আওয়াজ বের হচ্ছেনা
তাইনা।
আর বাসায় সাহস বেরে যায় তাইনা।
তুমি কেন ভুলে যাও তোমাকে আমি অফিসে
একা পাব।
তুমি কি ভাব তোমাকে আমি একা পাব না।
।
তারা- কাদো কাদো কন্ঠে আমি কিন্তু
মামনি....
।
মেঘ -অকে ধরে দেওয়ালের সাথে শক্ত করে
ধরলাম মাকে বিচার দিবে তাই তো।?
।
তারা - পায়ে একটা পাড়া মেরে দিলাম।
।
স্যার ছেড়ে দিলেন।
কিন্তু শেষ রক্ষা হলনা।
দরজাটা lock করা।
।
মেঘ - এত বোকা ভাব আমাকে?
আমি আগেই lock করে রেখেছি।
।
তারাকে আবার শক্ত করে ধরলাম মাকে
আবার বিচার দিয়েই দেখো তোমার কি
করি?
আর কাল কের কামোড় টা আর আজকের এই
পাড়া টা ধার থাকল সময় মত উশুল করে নিব।
যাও।
।
তারা- ভাগ মিলখা ভাগ বলে ভাগলাম সোজা
নিজের desk এ এসে পড়লাম।
ঢক ঢক করে ১ গ্লাস পানি গিলে ফেললাম।
।
হিয়া- কিরে কি হইছে? ?
।
তারা- কিছু না।
গরম লাগছে।
।
মেঘ - যে ডোজ দিলাম এরপর আর মাকে কিছু
বলবে না।
।
তারা- মামনি কে কিছু বলবনা কিন্তু আমি কম
নাকি? ?
বাসায় যাই তারপর দেখাব মজা।
.
মেঘ - যে ডোজ দিলাম এরপর আর মাকে কিছু
বলবে না।
।
তারা- মামনি কে কিছু বলবনা কিন্তু আমি কম
নাকি? ?
বাসায় যাই তারপর দেখাব মজা।
।
বাসায় -
।
মামনি - আরে তরা এসে গেছিস??
আমি খাবার দিতে বলি।
।
তারা - মামনি আমি ফ্রেশ হয়ে আসি।
।
মেঘ - মা আমি চেঞ্জ করে আসি।
।
তারা - খাবার টেবিল এ সবাই বসে বসে
খাচ্ছি।
।
মামনি - আমি গেলাম আমার হয়ে গেছে।
।
মেঘ - খাবার এর সময় ও ফোন আসে উফফ
ফোনে কথা বলার জন্য উঠলাম।
।
তারা- রান্নাঘর থেকে মরিচ এনে ভাতে
দিলাম মিশিয়ে খাও এবার ইচ্ছামত।
উনি এসে বসলেন।
।
আমি তাড়াতাড়ি করে উঠে চলে গেলাম।
।
মেঘ - মুখে ভাত দিতেই চোখ মুখ দিয়ে পানি
পড়া শুরু হয়ে গেল।
এটা তারার ছাড়া আর কারো কাজ না।
দাড়াও দেখাব মজা।
।
তারা- বাইরে ঝড় হচ্ছে আমি বাবার সাথে
কথা বলে ফোন রাখলাম।
আমি আবারো পানি আনতে ভুলে গেছি।
আবার নিচে যেতে হবে?
।বের হলাম।
মেঘ -
মিমি আজ ও পানি দেইনি?
।
আবার নিচে যাব?
।
বের হলাম।
হঠাত বিকট শব্দে বাজ পড়ল।
।
তারা- চোখ বন্ধ করে দিলাম দৌড় কার
সাথে ধাক্কা খেলাম জানিনা জরিয়ে
ধরলাম।
।
মেঘ - তারা এমন জোরে চেপে ধরেছে যে
আমার পিঠে মনে হচ্ছে অর নখের দাগ পরে
যাচ্ছে।
।
কি হয়েছে তারা।
ভয় পেয়েছ।
।
তারা- হ্যা।
।
মামনি - কিরে কি হচ্ছে এই সব
মেঘ - না আমি কিছু জানিনা।
তারাকে জিজ্ঞেস কর বলে রুমে গেলাম।
তারা- ইয়ে মানে মামনি আমিও গেলাম।
।
মামনি -কি হল এটা
।
পরের দিন অফিসে -
মেঘ - তারাকে জব্দ করার কথা ত ভুলেই
গিয়েছিলাম।
পাইছি।
এবার তারা যাবা কই?
।
বাসায় ফেরার সময় গাড়িতে -
।
মেঘ - তারা খাওয়া শেষ এ আমার রুমে এসে
টেবিল এর উপর রাখা ফাইল ২ টা নিয়ে
যাবা।
।
তারা- জি স্যার।
।
খাওয়া শেষ এ-
তারা- স্যারের রুমে গেলাম।
স্যার কই গেছে?
কে জানে। আমার কাজ আমি করি।
ফাইল ধরে খুলতেই কোথা থেকে
তেলাপোকা আমার গায়ে এসে পড়ল ।
।
মেঘ - বিকট চিতকার শুন্তে পেলাম।
পিছন থেকে দরজাটা আস্তে করে লাগিয়ে
দিলাম।
।
তারা- কিরে দরজা খুলেনা কেন? ?
নিশ্চয় স্যারের কাজ এটা।
আল্লাহ! বাচাও।
।
মামনি - কিরে মেঘ তারা চিতকার দিচ্ছে
কেন।
।
মেঘ - মা তুমি অসব এ কান দিওনা মুভি দেখে
এমন করছে।
মনে হয় ভুতের মুভি।
।
মামনি - ওহ আচ্ছা।
।
মেঘ - যাক মা কে ম্যানেজ করা গেল।
হুহ আমার সাথে পাংগা তাইনা।
।
কিছুক্ষন পর দরজা খুললাম।
তারা!
।
তারা- খাট এর নিচ থেকে বের হলাম
জরিয়ে ধরলাম স্যার কে।
।
মেঘ - কি হিয়েছে তারা
।
তারা- এটা আপনার কাজ আমি জানি
দেখে নিব আপনাকে হুহ।বলে
দিলাম দৌড়।
।
মেঘ - হাসতে হাসতে বিছানায় গড়াগড়ি
খাচ্ছি।
আবার লাগতে আসলে আরো ডোজ দিব তারা।
মনে রেখ আমার নাম মেঘ।
হুহ।
।
তারা- সারারাত ভাবছি কি করা যায়।
কি করে উনাকে সায়েস্তা করা যায়।
মামনি কে কিছু বলবনা।
এটা তার আর আমার লড়াই।
।
সকালে-
সবাই খাবার খাচ্ছিলাম
উনি আমাকে দেখে হাসছেন মুখ ধরে।
টেবিল এর নিচ দিয়ে দিলাম এক পাড়া।
।
মেঘ - ও মা!
।
মামনি - কিরে কি হয়েছে
।
মেঘ - না না কিছুনা।
।
মামনি - চিতকার দিলি কেন।
।
মেঘ - খেতে খেতে কামোড় লেগেছে তাই।
।
মামনি - ভাল মত খা।
।
মেঘ ( তারা তোমার ব্যবস্থা অফিসে করব)
।
তারা( অফিস বাসা যেখানেই হক আমিও
আপনাকে দেখে নিব)
।
মেঘ ( দেখবনে)
।
তারা( দেখে নিয়েন)
।
মামনি - কিরে খাওয়া বাদ দিয়ে ২ জন কি
বিড় বিড় করছিস।
।
তারা- মামনি আমার হয়ে গেছে।
।
মেঘ - আমার ও ।
অফিস গেলাম ।
।
তারা-
গাড়ির সামনে যেতেই গাড়ির সাথে আটকে
ধরল।
কি করছেন?
।
মেঘ - ওমন করলে কেন?
তারা- কাল কে ওই কাজ টা আপনার ছিল
তাইনা
।
যা করেছি বেশ করেছি।
।
মেঘ - তোমাকে আমি দেখে নিব।
।
তারা- দেখে নিন কে না করেছে বলেই মুখ
চেপে ধরলাম।
।
মেঘ - তাই নাকি তা দেখব?
।
মামনি - কিরে তোরা যাস নি?
।
মেঘ - যাচ্ছি মা।
অফিসে -
তারা- কি ১ টা কথা বলে ফেললাম।
ছি।
।
হিয়া - কি বক বক করছিস।
।
তারা- না কিছুনা।
।
( দেখে নিব উনাকে আমি)
।
বাবা কে ফোন দিলাম
।
বাবা তোমার ছাত্র জানো..
।
বাবা - দেখ অর সম্পর্কএ কিছু শুনতে চাচ্ছি
না আমার কাজ আছে রাখি।
।
তারা - দুর বাবা ওর পক্ষে।
।
আমিও মজা বুঝাব আমাকে হেনস্ত করা
তাইনা।
।
বাসায় -
।
তারা- মামনি আমি আজ তোমার সাথে ঘুমাব।
।
মামনি - ঘুমা কি সমস্যা।
।
মেঘ - মাএর ঘরে ঢুকতেই দেখলাম তারা
মাকে ধরে ঘুমিয়ে আছে।
।
মা - কিছু বলবি।
।
মেঘ - নাহ।
।
সকালে -
তারা- কিরে এত মানুষ কেন।
আর ঘর এমন সাজানো হচ্ছে কেন?
।
মিমি - ম্যাম আপনি জানেন না আজ স্যারের
জন্মদিন।
।
তারা - বাহ তাইনাকি।
( যাক আমার কাজের জন্য পারফেক্ট)
।
মিমি - কিছু বললেন।
তারা- নাহ। যাও
mr. megh আজ দেখবে মজা কাকে বলে
।
তারার সাথে পাংগা? ?
।
হিয়াকে ফোন দিলাম।
বুঝেছিসস ত কি করতে হবে তোকে।
।
হিয়া- হুম।
।
সন্ধা -
তারা- সবাই এসে গেছে।
।
মামনি- কিরে রেডি হবিনা? ?
।
তারা- মামনি দাড়াও একটু পর
।
মামনি - সবাই ত এসে যাচ্ছে।
।
হিয়া- কিরে রেডি হস নি
।
তারা- তোর অপেক্ষায় ছিলাম।
।চল জলদি।
।
মেঘ - সবাই ইনজয় করছে।এখনি কেক কাটা
হবে।
উপর থেকে তারাকে নামতে দেখলাম নীল
রং এর শাড়ি পরেছে ।হাল্কা কাজল চোখে।
খোলা চুল।
হাতে নীল চুড়ি।
অপুর্ব।
নেমে মার পাশে দাড়াল।
।
মা- নে কেক টা কাট।
।
মেঘ - কেক কাটলাম।
মাকে খাইয়ে দিলাম।
আলো ডিম হল সবাই যার যার মত ইনজয়
করছে।
।
মামনি - কিরে দাড়িয়ে আছিস কেন।
যা ওইখানে সবাই ডান্স করছে।
।
তারা- আরে ছাড়তো ওইসব ভাল লাগেনা।
( সুযোগ বুঝে কাজ করতে হবে)
।
হিয়া দে অইটা।
।
হিয়া- স্যার happy birthday.
.
megh - thank you.
.
hiya- sir ভাল আছেন?
।
মেঘ - হুম।
হিয়া- অকে স্যার বাই।
।
তারা-হিয়া দেখ ওগুলা সব স্যার এর বন্ধু।১জন
দেখলাম গিটার নিয়ে এসে স্যার এর হাতে
দিল।উনি নাকি এখন গান গাইবেন।হেহেহে।
স্যার গান গাইছেন আর আমি ভাবছি কাজ টা
কি করে করা যায়।যেহেতু লাইট ডিম করা
ছিল তাই সুযোগ মত কাজ করেছি।
হিয়া-
কিরে কাজ হয়েছে?
।
তারা- হয়েছে মানে এখনি তার ফল দেখবি।
লাইট অন করে দিলাম।
।
মেঘ - কিরে গা এত চুলকাচ্ছে কেন।
।
তারা- দেখ কাজ শুরু হয়ে গেছে।
দেখ দেখ কেমন বানরের মত করছে।
সবাই হাসা শুরু করে দিল।
।
উনি উপরে চলে গেলেন।
সবাই চলে গেল।
।
মেঘ - এটা তারার কাজ আমি জানি।
কিন্তু করল টা কখন।
আমিও মজা দেখাব কাল কে তারা।
রেডি থেকো।
।
সকালে -
।
মেঘ - তারা নিচে গেছে এইতো সুযোগ।
।
কাজ সেরে ফেললাম।
।
মামনি - কিরে ঘুম হল।
।
তারা- মামনি কে জরিয়ে ধরলাম। হুম হইছে।
।
মামনি - যা শাওয়ার নিয়ে নে অফিস যাবি
তো।
।
তারা- যাই।
শাওয়ার সেরে রেডি হয়ে খেতে বসলাম।
কিরে হাত পা চুলকাচ্ছে কেন।
ও মা!
।
মামনি - কিরে কি হল।
।
তারা- মামনি হাত পা খুব চুলকাচ্ছে।
।
মেঘ - আমি হাসছিলাম।
এবার মজা বুঝ তারা।
।
তারা- উনি হাসছেন উনার কাজ এটা।
চুলকানির পাউডার দিয়েছেন তাহলে।
উপরে চলে আসলাম।
বাবাগো মা গো অই রাক্ষস কে দেখে নিব
আমি।
।
মেঘ - তো দেখ।
কেমন লাগছে এখন।
কাল কে যে তুমি ই অই কাজ করেছ আমার
জানা আছে।
।
তারা - কথাও বলতে পারছিনা।
যান তো আপনি এখান থেকে যান যান।
।
মেঘ - হেহেহে
তারা- হাসবেন না
।
মেঘ - চল। হাত ধরে তারাকে ওয়াশ রুমে
নিয়ে গেলাম।
।
তারা - এই এই কি করছেন।
।
মেঘ - তারাকে শাওয়ার এর নিচে দাড়
করিয়ে শাওয়ার অন করে দিলাম।
৭
.
মেঘ - তারাকে শাওয়ার এর নিচে দাড়
করিয়ে শাওয়ার অন করে দিলাম।
।
তারা- এটা কি হচ্ছে? ?
।
মেঘ - চুপ করে দাড়াও।পানিতে পাউডার ধুয়ে
যাবে আরর চুলকাবেনা।
।
তারা - ( দেখছ কেমন ড্যাব ড্যাব করে
তাকিয়ে আছে)
আমিই বা কি করব এমন ধরে দাড়িয়ে-
থাকলে।
।মেঘ- আমিও যে ভিজে যাচ্ছি বুঝতেই
পারিনি।তারা দেখলাম শীতে কাপছে।
মামনি - কিরে তোরা কই গেলি ২ জন
।
মেঘ - আমি যে নিজেও ভিজে গেছি মাত্র
দেখলাম।
।
তারা- চেঞ্জ করলাম।
।
মেঘ - চেঞ্জ করে
নিচে অপেক্ষা করতে লাগলাম তারার।
ফোনে কথা বলতে বলতে
উপরে তাকালাম
তারা নিচে নামছে
ভিজা চুলে খুব সুন্দর লাগছে অকে।
।
মামনি - কিরে কি দেখিস তাকিয়ে।
।
মেঘ - না না কিছুনা।
গাড়ির কাছে গেলাম।
।
তারা- মামনি উনি চলে গেছেন?
।
মামনি
- উনি টা কে?
।
তারা- I mean তোমার ছেলে।
।
মামনি - নাহ বাইরে আছে দেখ।
।
তারা- অকে গেলাম।
।
মামনি - ২ জনের মধ্যে কি চলে বুঝাই মুসকিল
।
গাড়ি তে-
মেঘ - জ্যাম এ আর কতক্ষণ বসে থাকা যায়।
বাহ উনি তো ফোন দেখছে
।
সারাদিন ফোন কি দেখে এই মেয়ে
।
কি দেখছ? বলে অর দিকে একটু এগিয়ে
গেলাম।
।
তারা- একটু সরে গেলাম।
না না কিছু না।
গাড়ি চালান।
।
মেঘ - অহ হুম।
।
অফিসে -
হিয়া- কিরে হাচি দিতে দিতে তো তুই
আমার কান ঝালা পালা করে দিলি।ঠান্ডা
কিভাবে লাগল।
।
তারা- ২ বার শাওয়ার নিছি তাই।
।
হিয়া- কেন?
।
তারা- না ইয়ে মানে।
।
হিয়া- কিরে স্যার তোর দিকে এভাবে
তাকায় আছে কেন?
।
তারা- কই? চোখে চোখ পরতেই রুমে চলে
গেলেন।
।
মেঘ - আমি অর দিকে কেন তাকিয়ে ছিলাম
আজব ত
অকে কি আমি নিউ দেখছিনাকি?
।
তারা- ব্যপার টা কি হল? ?
।
হিয়া- কিরে ব্যপার কি।
।
তারা- নিজে জানলে না জানাব।
।
কাজ শেষ এ বাসার উদ্দেশ্যে বের হলাম।
সেই রকম বৃষ্টি হচ্ছে।
রেডিও ছাড়লাম baarish গান টা হচ্ছে।
my most favrt.
।
মেঘ - volume টা একটু কমাও।
।
তারা- জি।
হঠাত গাড়ি থেমে গেল।
গাড়ি থামালেন কেন।
।
মেঘ - থামাই নি থেমে গেছে।
।
এই অবস্থা তে বের হই কি করে।
।
তারা- আমার কাছে ছাতা আছে দাড়ান
আমি আগে বের হই।
বের হয়ে ছাতা ধরলাম স্যার বের হল।
আমি ছাতা ধরি আপনি দেখুন গাড়ির কি হল।
।
মেঘ - গাড়ি দেখার পর মনে হচ্ছে
ম্যাকানিক ছাড়া হবেনা।
তারা ছাতা আমাকে দেও তুমি গাড়ি তে বস
আমি ট্যাক্সি দেখি।
উফফ এতক্ষন হয়ে গেল কিচ্ছু পাচ্ছিনা।
।
তারা- বলছি কি হেতে যেতে থাকি হয়ত
সামনে কিছু পাব।
।
মেঘ - হুম চল।
১ ছাতাকি আর ২ জনে ভাল ভাবে হয়।
তারা আমার সাথে একদম লেগে আছে।।
বাতাসের সাথে বৃষ্টি এসে আমাদের
ভিজিয়ে দিচ্ছে।
।
তারা- কি ঠান্ডা লাগছে!!!!
।
হঠাত বাজ পরার আওয়াজ হল।
কিচ্ছু না ভেবে স্যার কে জরিয়ে ধরলাম।
।
মেঘ - কি করছ সবাই দেখছে।
।
তারা- উনাকে ছেড়ে একটু সরে দারালাম
কিন্তু ভিজেই যাচ্ছি।
।
মেঘ - তারাতো ভিজে যাচ্ছে এমনি তে
অফিসে দেখলাম সারাদিন হাচি দিচ্ছিল।
ওর কাধে হাত দিয়ে নিজের দিকে একটু
এগিয়ে নিলাম।
।
তারা- কি হল?
।
মেঘ - এত সরে গেছ ভিজে যাচ্ছতো।
।
তারা- ( বাহ এটা খেয়াল করেছে! যাক মায়া
মহব্বত আছে মনে)!
ঘন ঘন বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে।
ভয়ে আত্তা শুকিয়ে যাচ্ছে।স্যারের এক হাত
জরিয়ে ধরে হাটছি।
।
মেঘ - তুমি কি ভয় পাচ্ছ??
।
তারা- হুম(ঢক গিলতে গিলতে)
।
অন্ধকারে আর ঝরে তেমন কিছু ভালো ভাবে
দেখা যাচ্ছে না।
।
আল্লাহ! !! গর্তে চলে গেল পা।
।
মেঘ - তারা ঠিক আছ?
।
তারা- পায়ে খুব ব্যথা লাগছে স্যার।
।
মেঘ - দেখে হাটতে পারোনা?
।
তারা- অন্ধকারে কি কিছু দেখা যায়?
।
মেঘ - হাত ধরে উঠ।
।
তারা- হাত ধরে উঠার চেস্টা করলাম কিন্তু
স্যার আমি হাটতে পারব না।
পায়ে মনে হয় মোচোড় লেগেছে।
।
মেঘ - ভারি মুসকিল হল।
একে তো এত ঝড় বৃষ্টি তার উপর কোন কিছুই
নেই রাস্তায় আর যা আছে সব বুক।
।
হাত ধরে কস্ট করে একটু দাড়া হউ।
।
তারা- কোন মত দাড়া হলাম স্যার ছাতা
আমার হাতে দিয়ে সাথে সাথে আমাকে
কোলে তুলে নিলেন।
।
স্যার এতখানি রাস্তা??
।
মেঘ - ড্রাইভার যদি ছুটি তে ননা থাকত
বাসার গাড়ি টা ফোন করে আনা যেত।
দুর।
।
হাটতে হাটতেই বাসায় গেলাম।
।
মামনি - কিরে কি অবস্থা তোদের??
আর তারার কি হয়েছে?
।
তারা- মামনি পরে গিয়েছিলাম।
।
মেঘ - মা আমি অকে উপরে দিয়ে আসছি
মিমি কে উপরে পাঠিয়ে দেও।
।
মামনি - হ্যা হ্যা আমিও যাচ্ছি।
।
মেঘ - উপরে তারার ঘরে তারাকে নিয়ে
গেলাম।
বিছানায় শুইয়ে দিলাম।
।
তারা- thank u sir.
।
মেঘ - it's ok.
.
মামনি - কিরে কি হয়েছে।
।
তারা- বলছি। কিন্তু আমি চেঞ্জ করব।
।
মামনি - হ্যা আমি হেল্প করছি।
।
তারা- চেঞ্জ করে মামনি কে সব বললাম।
।
মামনি - দারা ওষধ এনে লাগিয়ে দিচ্ছি।
আর তোর খাবার আনছি।
।
মেঘ - মা! মা!
।
মিমি - ম্যাম তো উপরেই আছে।
।
মেঘ - উপরে যেয়ে দেখি মা তারাকে খাইয়ে
দিচ্ছে।
এই কয় দিনেই তারা আর মা কত আপন হয়ে
গেছে।
তারাও তো মা য়ের কত খেয়াল রাখে।
।
মামনি - কিরে তুই এইখানে দাড়িয়ে কি
ভাবছিস।
।
মেঘ - না মা কিছুনা।
যাচ্ছি।
হুম নিচে এসে খেয়ে নে।
।
তারা- পায়ের ব্যথায় আর ঘুম হবেনা।
আল্লাহ কি ব্যথা।
।
মেঘ - তারা কি আজ ও না ঘুমিয়ে মুভি
দেখছে কিনা ১ বার চেক করা দরকার।
।
ওর রুমের সামনে গেলাম দরজা দিয়ে উকি
দিলাম।
।
ও দেখি বসে বসে পা নিয়ে আফসোস করছে।
।
কি করছ?
।
তারা- পায়ের ব্যথায় কি ঘুম আসে।
।
মেঘ - চোখ কই থাকে তোমার?
।
তারা- অন্ধকারে কার বাপের সাদ্ধ্য দেখার?
।
মেঘ - আচ্ছে দেখি কোথায় লেগেছে।
।
তারা- এই তো এইখানে
।
মেঘ - এইখানে।?
।
তারা- হ্যা।
।
মেঘ - sure?
.
তারা- আরে বাবা হ্যা।
বলতে বলতে স্যার দিল উল্টা দিকে মোচোড়
বাস তারপর।
।
মেঘ - তারপর এক বিকট শব্দ হল।
আর আমার কান কথা শুনার কাজ বন্ধ করে
দিল।
।চুপ।
তারা- উনি উঠে চলে গেলেন।
পা টা ভেংগে রেখেই গেল মনে হয়।
এখন আমার কি হবে?
কে বিয়ে করবে আমাকে?
আমার বাবার কি হবে?
এএএএএএ
।
হঠাত করে খেয়াল করলাম পায়ে ব্যথা নেই।
ইয়াহু।
।
সকালে -
তারা- আজকে তার জন্য আমি কফি বানাব।
আসলে কাল কের হেল্প এর জন্য সামান্য tnx
জানানো আরকি।
।
কফি বানিয়ে নিয়ে গেলাম।
।
উঠেন নি।
থাক রেখে যাই।
।
মেঘ - উঠে কফি টা মুখে দিলাম।
থু থু
।
এটা কি কফি না লবনের সাগর??
।
মিমি! মিমি?
।
মিমি - জি স্যার।
কফি কি তুমি নতুন করে বানানো শিখবে?
কি বানিয়েছ?
।
তারা- এত চেঁচাচ্ছে কেন?
কি হইছে?
।
মেঘ - মিমি কি বলছি?
।
মিমি - কিন্তু কফি তো তারা ম্যাম
বানিয়েছে।
।
মেঘ - কিহ?
।
তারা- হ্যা কিন্তু কি হয়েছে।
।
মেঘ - মিমি যাও।
।
তোমার কি প্রব্লেম বলতো? ?
আমার সাথে কি সমস্যা তোমার।?
আমাকে সবসময় হেনস্ত না করলে কি তোমার
পেটের ভাত হজম হয়না?
।
তারা- কিন্তু আমি করলাম কি?
।
মেঘ - কি করেছ? ? কফিটা একটু খাও।
।
তারা- কিন্তু কেন?
।
মেঘ - খেয়েই দেখো
।
তারা- মুখে দিলাম । থু থু
।
লবনকি করে আসল??
আমি তো কিছুই বুঝতে পারছিনা।
।
মেঘ - এটা তো আর আজ কের কথা না তুমি এর
আগেই করেছ।
।
তারা- কিন্তু আজ আমি ইচ্ছে করে করিনি।
সত্যি বলছি।
।
মেঘ - এইখান থেকে যাও তো
তোমাকে দেখতে ইচ্ছে করছেনা।
।
তারা- আমি থাকবনা আর এই বাড়ি তে
।
অনেক হয়েছে।
না উনি আমাকে দেখতে পারে না আমি
উনাকে সারাদিন tom &jerry এর মত করি
আমরা।
দরকার নেই থাকার।
জামা কাপড় গুছিয়ে নিলাম।
বাবাকে জানাবোনা টেনশন করবে।
।
বাসা থেকে কেউ দেখার আগেই বেরিয়ে
গেলাম।
৮
.
মামনি - তারা কি আজ উঠে নি নাকি।
প্রতিদিন তো উঠে আমার কাছে আসে।
আজ এলনা কেন।
অহ ওর যে পায়ের ব্যথা আমার তো মনেই
নেই,
একবার দেখে আসি।
।
তারা! তারা! কি ব্যপার তারা কই?
।
মেঘ - কি হয়েছে মা চিল্লাচ্ছো কেন?
।
মামনি - দেখনা তারাকে তো পাচ্ছিনা।
পায়ের ব্যথা নিয়ে কই গেল।দেখ জামা
কাপড় ও তো নেই।
ও কি তাহলে চলে গেল?
।
মেঘ জলদি নিচে যেয়ে দেখ।
।
মেঘ - আমি পারবনা।
।
মামনি - মিমি জলদি দাড়োয়ান কে ডাক দে।
।
মেয়েটা ফোন ও ধরছেনা।
।
: জি ম্যাম।
।
মামনি - তারা কে দেখেছ।
।
: সেতো অনেক আগেই ব্যাগ নিয়ে চলে গেল
দেখলাম।
।
মামনি - মেঘ কি করেছিস বল।
আমি জানি ও এমনি এমনি যায় নি।
।
মেঘ - তেমন কিছুইনা
আমি শুধু অকে বলেছি আমাকে সবসময়
ডিস্টার্ব না করতে।
কারন ও সব বিষয় নিয়ে আমার সাথে লাগায়।
সকালে কি করেছে জানো?
।
মিমি - স্যার actually ভুল টা আমার ছিল আমি
ভুল করে চিনির জাড়ে লবন রেখে
দিয়েছিলাম।
।
মামনি - হলতো এবার??
।
যা এখনি যাবি যেভাবেই হক তারাকে আমি
এইবাসায় দেখতে চাই।
অর বাবা অর দায়িত্ব আমাদের কাছে দিয়ে
গেছে।
ওর বাবাকে কি বলবি তুই ওর কিছু হলে?
।
মেঘ - গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম।
আগে তারার বাসায় যেতে হবে।
।
তারা- এখন আবার কে আসল।
আরে কেউ এতবার বেল বাজায়? আপনি? ???
।
মেঘ - তোমার সাহস ত কম না আমাদের না
বলে চলে এসেছ?
।
তারা- এখন তো জানলেন যান এখান থেকে।
।
মেঘ - যেভাবে অইখান থেকে এসেছ
সেইভাবেই অইখানে চল।
।
তারা- যাব না।
।
মেঘ - যেতে তো তোমাকে হবেই। আমি
তোমাকে নিয়েই যাব by hook or by crook.
।
তারা- যাব না না না না না।
।
মেঘ - আশে পাশের সবাই কিন্তু তাকিয়ে
আছে scene create করোনা।
।
তারা - তাহলে আপনি যাচ্ছেন না কেনো?
।মেঘ- তারার দিকে ১পা আগাতে ও ২পা সরে
গেল।
তারা- ১হাত তার বুকে দিয়ে তাকে ১হাত
দুরে ঠেকালাম।
মেঘ -কিছু না বলে ঘরের ভিতরে গেলাম।
।
তারা- আরে আরে কি খুঁজছেন
.
মেঘ - অহ যাক ব্যাগ এখন unpack করেনি।
ব্যাগ নিয়ে বাইরে বের হলাম।
চল এখন।
।
তারা- আপনি শুনেন নি আমি কি বলেছি।
।
মেঘ - নাহ এইভাবে হবেনা।
কাধে তুলে নিলাম।
।
তারা- কি করছেন সবাই দেখছে।
।
মেঘ - দেখুক। আমি যখন বলে ছিলাম তখন তো
শুন নি।
।
তারা- আচ্ছা আচ্ছা নামান যাচ্ছি।
।
মেঘ - ঠিক তো
।
তারা- হুম।
।
গাড়ি তে-
।
মেঘ - I'm sorry
.
তারা- কি বললেনন?
।
মেঘ - সরি বললাম।
।
তারা- আমার কান মনে হয় ভুল শুনছে।
সরি বললেন আপনি তাও আমাকে? বাহ বাহ
আমি ধন্য হয়ে গেলাম।
।
মেঘ - সরি বলাই ভুল ছিল।
।
তারা- বলতে কে বলছিল।
।
মেঘ - ঝগড়া ছাড়া কিছু পারো তুমি?
।
তারা- হুহ।
বাসায় আসলাম।
।
মামনি - তারা তুই কিন্তু মাইর খাবি আমার
হাতে।
এমন কেউ করে?
আমি কি ভয় পেয়েছিলাম তুই জানিস? ??
।
তারা- তোমার ছেলের জন্য ই তো।
।
মেঘ - মা আমি গেলাম।
।
মামনি - তারা তুই যাবিনা?
তারা-
হুম যাব তো।
।
মামনি - রেডি হয়ে আয়।
।
অফিসে-
হিয়া- কিরে তোরা আজ এত লেট কেন?
।
তারা - আর শুনিস না।
সকাল থেকে কাহিনির উপর কাহিনি হচ্ছে।
।
হিয়া- বল না বল না শুনি
।
মেঘ - তারারারা
।
তারা- অরে বাবা কি হল আবার?
।
স্যার স্যার কি হয়েছে।
অফিসের সব স্টাফ হাজির স্যারের কেবিন
এর সামনে।
।
মেঘ - এই চেক টা কবে জমা করার কথা
ছিল? ?
।
তারা- ওহ আল্লাহ ভুলেই তো গিয়েছিলাম।
স্যার আমি এখনি করে দিচ্ছি।
।
মেঘ - থাক। হিয়া জমা করে আসো।
তুমি জানো তুমি কোন কাজের ই না?
শুধু রাগ, জিদ দেলহাতে পারো আর কি পার
বলোত তুমি। হ্যা প্রতিশোধ নিতে পারো।
তাছাড়া কিছুই না।
যাও এইখান থেকে।
stupid কোথাকার।
।
তারা - এত রাগ লাগছেনা কি বলব।
সামান্য জিনিসের জন্য এত রাগের কি ছিল?
।
আজব ব্যপার।
ঠিকি বলেছেন প্রতিশোধ নিতে ভাল পারি
আমি।
সেটাই করব।
সবার সামনে এত অপমান আমাকে করা বের
করছি।
।
বাসায়-
তারা - স্যারের রুম টা আস্তে করে খুললাম
কিরে উনি কই দেখছি নাতো।
।
মেঘ - তারা???
।
তারা- ঘুরেই আ আ আ
।
হাত দিয়ে
চোখ ঢাকলাম। আপনি খালি গায়ে কেন?
।
মেঘ - গেঞ্জি পরতে পরতে তুমি যে এখন
আমার ঘরে আসবা সেটা কি আমার সপ্নে
আসছিল?
।
কি দরকার।
।
তারা- এখন কি বলি ইয়ে মানে ইয়ে।
।
মেঘ - কি ইয়ে ইয়ে করছ
।
তারা- এই যে এই বই টা এটা নিতে
এসেছিলাম।
।
মেঘ - কিন্তু এটা আমি এখন পরব।
।
তারা- ok ok no pblm. আপনি পড়ুন আমি পরে
পরবব। ( বই কে পরে হুহ আমি তো মুভি দেখি)
।
মেঘ - আর কিছু?
।
তারা- না না যাচ্ছি।
( দুর কাজ টাতো হলনা)
।
ঘড়ির দিকে তাকালাম।
রাত ২ টা এখন নিশ্চয় সে ঘুমিয়েছে।
এখনি কাজ সারতে হবে
।
আস্তে করে দরজা খুলে ঢুকলাম যা ভেবেছি
তাই।
ঘুমিয়ে আছে।
কাজ সেরে বেরিয়ে গেলাম।
কাল কে অফ ডে।
অনেক মজা করে ঘুমান যাবে।
।
সকালে-
তারা-
চিল্লা চিল্লি তে ঘুম ভাংল .
আরে কিসের এত চেঁচামেচি? ?
ওহ আমিতো ভুলেই গিয়েছিলাম।
দৌড়ে নিচে নামলাম।
সবাই দেখলাম মুখ ধরে হাসছে আর স্যার
চিলাচ্ছে।
।
মামনি - তোর মেয়ে সাজতে মন চাইল কেন
রে?
।
মেঘ - মা তুমি চুপ করতো।
এই টা এই যে এই যে এই মেয়ের কাজ।
।
তারা- আমি? ??
।
মেঘ - দাড়াও দেখাচ্ছি মজা।
।
তারা- অরে বাবা ভাগ তারা ভাগ।
।
মেঘ - ভেগে আর যাবে কই দাড়াও বলছি
।
মামনি - তোরা কি শুরু করলি বলতো।
আরে থাম থাম।
।
মেঘ - উপরে যেয়ে পাড় পাবেনা।
তারাকে ধরে নিজের রুমে নিয়ে গেলাম।
দরজার সাথে আটকে ধরলাম।
এখন কি হবে?
।
তারা- কি আর হবে।
।
মেঘ - খুব হাসি পাচ্ছে তাইনা।
।
তারা- আপনাকে দেখে যে কেউ ই হাসবে।
।
মেঘ - সেতো হাসবেই
all credit gose to you.
তারা- হেহেহে।
।
মেঘ - হাসি বের করছি।
।
তারা- এই এই ভাল হচ্ছেনা কিন্তু।
।
মেঘ - তুমি মনে হচ্ছে অনেক ভাল কাজ
করেছ?
মুখ টা একটু আগিয়ে নিলাম।
।
তারা-( ওই ভাবে চেয়ে আছে কেন রে।
আমার হার্টবিট তো ১০০ গুন বেড়ে গেছে)
।
মেঘ - তারার মুখটা উচু করলাম।
তারার গালের সাথে গাল লাগালাম যাতে
আমার মুখের সব আটা ময়দা সুজি তারার
গালে লেগে যায়।
।
তারা- তার গেঞ্জি আকড়ে ধরলাম।
।
মেঘ - অন্য গালে ও লাগালাম।তারার ঘন হয়ে
যাওয়া নি:শ্বাস টের পাচ্ছি। মনে হচ্চে
আমি প্রতিটা গুনতে পারব।
।
তারার দিকে তাকালাম
এমন লাল হয়ে আছে কেন? ?
তারার চোখের দিকে তাকালাম।
তারা চোখ নামিয়ে নিল। গোলাপি
ঠোট ২ টা কাপছে।
কিছু বলতে চাচ্ছে হয়ত বলতে পারছেনা।
।
তারা- ঠোটে তার হাতের ছোয়া পাচ্ছি।
হাত পা ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে।
দম নেওয়াও কস্ট কর ব্যপার হয়ে দাড়িয়েছে
তার দিকে তাকালাম
উনি আমার এত কাছে।
আমি চোখ বন্ধ করলাম।
।
মেঘ - তারা আমার দিকে আরেক্টু মুখ
বাড়ালো।
ঠোটদ্বয় প্রায় ছুই ছুই অবস্থা।
।
মামনি - কিরে তোরা এখনও মারামারি
করছিস উপরে
।
তারা- কোন মত তাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে
দরজা খুলে দৌড় ।
নিজের ঘরে যেয়ে দরজা লাগিয়ে দিলাম।
হায় হায়
এটা কি হচ্ছিল? ?
।
মেঘ - কি করছিলাম আমি ( মুখে হাত দিয়ে)
।
মামনি - তারা নিচে আয় তো মা।
।
তারা- দরজা খুলে দেখি উনিও দরজা খুলে
বের হচ্ছেন।
আমাকে দেখে নিচে চলে গেলেন মাথা
চুলকাতে চুলকাতে।
।
আমি কি করব নিচে যাব?
মামনি তো ডাকছে।
নিচে গেলাম।
যাক বাবা উনি মনে হয় বাইরে গেছে।
।
মেঘ - মা কই তুমি?
।
মামনি - কি হয়েছে /
।
মেঘ - নেও ধর।
ice-cream
.
মামনি - তারার কাছে দিয়ে আয়।
।
মেঘ - তুমি দিয়ে আসো।
।( মাথা চুলকাতে চুলকাতে)
।
তারা- আমি ওইখানেই দাড়িয়ে ছিলাম।
(মাথায় কি হইছেরে উকুন নাকি এত
চুলকাচ্ছেন কেন? )
.
৯
.
তারা- আমি ওইখানেই দাড়িয়ে ছিলাম।
(মাথায় কি হইছেরে উকুন নাকি এত
চুলকাচ্ছেন কেন? )
মামনি - কিরে দাড়িয়ে আছিস কেন তারা
এটা নিয়ে যা বিকালে খাব সবাই মিলে। ।
তারা- সামনে যেতেই উনি উপরে চলে
গেলেন।
(আজব তো এত uneasy লাগছে কেন এখন উনার
সামনে??)
.
মামনি - কিরে কি ভাবিস ice-cream সব গলে
যাবে তো।
।
তারা- হ্যা যাই।
বিকালে -
তারা-
সবাই বসে ice-cream খাচ্ছিলাম। মামনি -
আমি রুমে গেলাম তোরা থাক। ।
তারা- উনার চোখে চোখ পপরতেই আমিও
গেলাম বলেই ভাগলাম। ।
মেঘ - বাহ সবাই চলে গেল।
থাক আমি বসে টিভি দেখি।
।
কিছুক্ষন পর-
রুমে গেলাম।
কিরে তারা এখানে কি করে? তারা?
তারা- পিছনে ঘুড়লাম।
আমি কিছু করছিনা just এই বই টা নিতে
এসেছিলাম।
।
মেঘ - okey।
একটু দাড়াও অইখানে ice-cream লেগে আছে।
।
তারা- এইখানে
।
মেঘ - আরে অই গালে
।তারা- এইগালে?
।
মেঘ - আরে মেয়ে এইখানে বসে মুছে দিলাম
।
তারা- আমার মনে হল কারেন্ট লাগল। দৌড় এ
যেতেই বারি খেলাম তার সাথে। ।
মেঘ- তারাকে ধরলাম।আরে আস্তে পরে
যাবে তো।
তারা-ঝড়ের বেগে বের হয়ে গেলাম।
।
মেঘ - আরে কি হল।
।এমন ভাগল কেন?
।
তারা- মামনি আমি হিয়ার সাথে একটু
মার্কেট যাচ্ছি।
সন্ধায় চলে আসব।
।
মামনি - ঠিক আছে।
।
তারা- তোর সাথে শপিং এ আসলে মনে হয়
কি সব কিনে ফেলবি।
আজব হইছে তোর? ?
মনে হচ্ছে বিয়ের শপিং করছে।
।
হিয়া- আরে হইছে হইছে চল।
।
তারা- নে বৃষ্টির আর সময় হলনা নামার।
।
হিয়া- এখন কি হবে।
।
তারা- তখন থেকে বলছি চল চল কিন্তু না।
রিক্সা টেক্সি কিচ্ছু নেই
।
হিয়া- আচ্ছা অপেক্ষা করি।
।
তারা- ফোনে - মামনি আমরা তো আটকে
গেছি।
রাস্তা তে তো কিচ্ছু নেই কি করে আসব??
ঝড় তো থামার নাম নিচ্ছেনা।
কি করব?
।
মামনি - আমি মেঘ কে পাঠাচ্ছি।
।
তারা - আসবে?
।
মামনি - ও যাবেনা ওর ঘাড় যাবে।
।
মেঘ - কার ঘাড় কই যাবে?
।
মামনি - তুই যাবি তারাকে আনতে
।
মেঘ - কই যাব আর কেন যাব আর এই ঝড়ে
মাথা খারাপ নাকি? ?
।
মামন - হ্যা খারাপ যা জলদি তারা আর হিয়া
মার্কেট এ আটকা পরেছে।
।
মেঘ - ওদের যেতে বলেছিল কে।
দুর।
।
তারাকে ফোন দিলাম-
আমি সিটি মল এর বাইরে তাড়াতাড়ি বের
হউ।
।
তারা- জি
।
মেঘ - হিয়া সাথে ছিল তাই কিছু বললাম না।
।
হিয়া- স্যার আমাকে এখানে নামিয়ে দিন।
আমি এখানেই নামব।
।
মেঘ - তোমাদের মাথায় কি বুদ্ধি আছে?
ঝড় এর মধ্যে কেউ বের হয়?
তারা-বুদ্ধি মনে হচ্ছে উনারি আছে ( মিন
মিন করে) আমরা যখন বের হয়েছি তখন
ছিলনা।
।
কি হল গাড়ি থামালেন কেন?
আজ ও কি নস্ট হল।
।
মেঘ - ফোন থেকে চোখ সরিয়ে সামনে
দেখো।
।
তারা- ওহ রেড সিগনাল দিয়েছে।
সরি।
।
গাড়িরর গ্লাস নামালাম কি সুন্দর বাতাস।
।
ঝরি ঝরি বৃষ্টি। বাতাসের সাথে বৃষ্টির
ফোটা মুখে এসে পরছে।
আর আমি এর মাঝে হারিয়ে যাচ্ছি।
।
হাচি দিলাম যাহ আবার ঠান্ডা লেগে
গেছে।
।
এই জ্যাম কখন ছাড়বে বলেন তো।
।
মেঘ - উনারা তো আমাকে এসে বলে গেছে
তাইনা।
।
তারা- আপনি রাগ করছেন কেন বলুন তো।
।
মেঘ - চুপ করে বস।
হঠাত মুখে পানির ছিটা এসে পরল।
তাকিয়ে দেখি তারা চুল ঝারছে হাত দিয়ে।
আমি অপলক ভাবে চেয়ে আছি তারার দিকে।
হর্নের আওয়াজ এ ঘোর ভাংল।
।
বাসায় -
মামনি - কিরে ঠিক আছিস তো।
।
মেঘ - হুম আছি।
মামনি - তোকে কে জিজ্ঞেস করেছে আমি
তারাকে বলেছি।
।
তারা- ফিক করে হেসে দিললাম।
।
মেঘ - হ্যা হ্যা এখন তো ছেলেকে ভুলেই
যাবা।
।উপরে চলে গেলাম।
।
মামনি - হেহেহে।
পাগল ছেলে আমার।
।
তারা- মামনি গেলাম আমি।
।
মামনি - আমি মিমি কে দিয়ে আদা চা
পাঠাচ্ছি।
।
তারা- শাওয়ার টা নিয়ে নেই।
।
মেঘ - মা কি করছ
।
মামনি - আদা চা বানাচ্ছি খাবি।
।
মেঘ - দেও।
।
মামনি - নে। আর এইটা তারার।
।
মেঘ - আমি কি করব?
।
মামনি - তারাকে দিবি।
।
মেঘ - মিমি কে দিয়ে পাঠাও
।
মামনি - তুই যেহেতু রুমে যাচ্ছিস তারার টা
দিয়ে রুমে যাবি।
।
মেঘ - মা তুমিনা
।
মামনি - কি আমি?
মেঘ - কিছুনা। যাচ্ছি।
দরজা নক করতেই দরজাটা খুলে গেল।
তারা কই?
টেবিল এ চাএর কাপ ২ টা রাখলাম। মনে হয়
বারান্দায় দেখে আসি।
।
তারা- বৃষ্টির আর থামার নাম নেই।
বাপ রে বাপ।
চুল ঝারছিলাম বারান্দায়।
আর বৃষ্টি দেখছিলাম।
।
মেঘ - বারান্দা তে ঢুকতেই চুলের বারি
খেলাম খপ করে চুল ধরলাম।
।
তারা- ও মা! কে রে
পিছনে ঘুড়লাম।
( স্যার)
।
মেঘ- ( আচ্ছা তারা কি দিন দিন আরও সুন্দর
হয়ে যাচ্ছে । নাকি আমি দিন দিন ওকে
.. দুর দুর কি ভাবছি।)
।
তারা-( এইভাবে চুল ধরে দাড়িয়ে- আছে
কেন? আর আমারি বা হার্টবিট বেরে যাচ্ছে
কেন? ইদানীং উনি কাছে আসলেই আমার
হার্ট রেস শুরু করে দেয়।)
মেঘ - চুল ধরেই তারাকে কাছে টেনে
নিলাম।
।
তারা- আমার তো অবস্থা
খারাপ। না পারছিবলতে না পারছি সরতে।
।
মেঘ - তারার চোখে যেন আমি ডুবে যাচ্ছি
।
তারা- আমি নি: শ্বাস নিতে পারছিনা আর
ইনি দেখ চেয়ে আছে কিভাবে।
?
কি করা যায়।
হাতে একটা চিমটি বসিয়ে দিলাম।
।
মেঘ- ব্যথায় আরও শক্ত করে তারার চুল ধরে
তারাকে মুখের সামনে আনলাম।ওর প্রতিটা
নি:শ্বাস আমাকে আরও ওর কাছে টানছে।
।
তারা- আমার বুক ধুক ধউক করছে। তার
নি:শ্বাস আমি অনুভব করতে পারছি।আরও
কাছে টেনে নিচ্ছেন আমাকে। আমার গলা
শুকিয়ে আসছে।
তার নাকের সাথে আমার নাক লেগে আছে।
।
মেঘ- তারাকে আরও কাছে টেনে নিচ্ছি।
আরেক টু কাছে যেতেই।
তারা- হাচি দিলাম তার মুখের উপর।
মেঘ - আহ! এই মেয়ে!
।
তারা - তো এইভাবে ধরে রাখলে কি করব
আমি?
।
মেঘ - সরি।
চলে আসলাম।
।
তারা- উফ বাঁচলাম।
আরে ২ কাপ চা।
পুরাই ত ঠান্ডা হয়ে গেছে। দুর।
।
মেঘ - মেঘ তোর মাথা টা কি গেছে নাকি?
তারা কি ভাবল?
।
সকালে -
তারা- ৫ টা বাজে মাত্র।
আজ এত সকালে ঘুম ভাংল কিভাবে আল্লাহ
জানে।
ফ্রেশ হয়ে নিলাম।
আজ না হয় ছাদ থেকে ঘুরে আসা যাক ছাদে
এত সুন্দর সুন্দর গোলাপ গাছ আআছে দেখে
আসি ফুল ফুটেছে নাকি । ছাদের দরজার
সামনে থমকে দাড়ালাম। একি এত সকালে
স্যার ছাদে ব্যায়াম করছেন।
Omg what a body!
খালি গায়ে আছে।
ছি ছি আমি তাকে এইভাবে চেয়ে চেয়ে
দেখছি?
কিন্তু এমন handsome হলে না দেখে কি পারা
যায়।
।
মিমি - আরে ম্যাম আপনি এখানে দাড়িয়ে-
কি করেন?
।
তারা- আমি ... আমি morning walk.... morning
walk এ এসেছি।
।
মেঘ পিছনে ঘুড়ে দারালাম। তারা! তুমি এত
সকালে??
।
তারা- ফুল... ফুল দেখতে এসেছিলাম। ।
মেঘ - তো দেখো।
।
তারা- যা দেখেছি তারপর আর দেখতে
হবেনা।
।
মেঘ - কি দেখেছ?
।
তারা- ওই তো ফুল।
গেলাম।
বাই।
( তারা তুই একেবারে গেছিস আর তোর
মাথাও)
।
মেঘ - হঠাত কি হল ওর। কে জানে। মিমি
কফি দিয়ে যাও।
।
তারা- মামনি কি রান্না করছ? আমি হেল্প
করব??
।
মামনি - তুই এত সকালে? ?
।
তারা- আমি কি সকালে উঠ তে পারিনা। ।
মামনি - পারবিনা কেন পারিস তো। নে
গাজর কেটে দে।
।
তারা- অকে।
।
মেঘ - মা কখন কফি দিতে বলেছি মিমি কে।
কই ও।
।
মামনি - আমি বাইরে পাঠিয়েছি। তারা কফি
বানিয়ে দে তো।
।
মেঘ - তারার দিকে তাকালাম। থাক
লাগবেনা
।
তারা- কিহ অপমান অপমান মনে করেছে আমি
আবার লবন মরিচ মিশিয়ে দিব?? এটা
ভাবল? ?
মামনি - কি করিস?
।
তারা- কফি বানাচ্ছি।
।
মামনি - কার জন্য
।
তারা- তোমার ছেলের জন্য।
।
মিমি কফি টা স্যার কে দিয়ে আসো তো ।
মিমি - স্যার আপনার কফি।
।
মেঘ - কবে বলেছি এখন আনলে? ।আচ্ছা যাও।
।কফি টা অন্য রকম লাগছে কিন্ত মজা
হয়েছে।
।
মা ককফি কিন্তু খুব মমজা হহয়েছে -
মামনি - কফি তারা বানিয়েছে। ।
মেঘ - কিহ?
।
মামনি - জি
।
মেঘ - আচ্ছা হইছে আর উনার প্রশংসা করতে
হবেনা
।
তারা- মামনি চল নাস্তা করি। ।
মামনি - চল। মেঘ আয়
।
মেঘ - im full.
তারা তোমার হলে চল।
।
তারা- মামনি আসি।
.
১০
.
অফিসে -
তারা - হিয়া তোকেনা বলেছিলাম নিউ মুভি
আমাকে দিতে
।
হিয়া- আমি ই তো নামাইনি।
।
তারা- আচ্ছা নে এই ফাইল টা একটু দেখ।
আমি আরেক টা দেখছি।
।
হিয়া- শুন না স্যারের বাসায় তোর কেমন
লাগেরে?
।
তারা- মামনি অনেক ভাল।
বাসায় থাকলে সারাদিন মামনির সাথে
থাকি।
।
হিয়া - স্যার কি বাসায় ও অনেক রাগ হতে
থাকে।
।
তারা- উনার কথা বাদ দে।
হিটলার একটা।
।
হিয়া- তারা থাক বাদ দে।কাজ কর।
।
তারা- শুন না
কি আর বলব তার কথা অই দিন।
।
হিয়া - থাক না।
।
তারা- আরে শুন হিটলার বললেও তাকে ভুল
হবে
।
মেঘ - তাই নাকি।
।
তারা- হ্যা তাই ........
পিছে তাকালাম।
না না তাই না।
।
মেঘ- থাক এখন কিছু বলব না।
।
তারা- হিয়ার বাচ্চা তরে আমি ...
।
হিয়া - চুপ করতে বলছিলাম না
।
তারা- বলতে পারিস নি স্যার পিছনে।
আল্লাহ জানে বাসায় গেলে কি হয়।
।
গাড়ি তে -
তারা- আসলে স্যার হয়েছে কি?
।
মেঘ - চুপ থাকো।
।
তারা- আমার কথাটা শুনুন।
।
মেঘ - গাড়ি থামালাম।
তারার ঠোটে আআংগুল রাখলাম চুপ একদম
চুপ।
।
তারা- পাগল টা ক্ষেপেছে।
কি করতে চাচ্ছে বুঝতে পারছিনা।
।
মেঘ - নামো
।
তারা- কেন?
।
মেঘ - তাহলে গাড়ি তে বসে থাক।
।
তারা- এই এই।
ওহহ বাসায় চলে এসেছি দেখিনি।
।
মামনি - কিরে আজ এত তাড়াতাড়ি।
।
মেঘ - কাজ শেষ তাই।
তুমি কোথাও যাচ্ছ?
।
মামনি - হ্যা তোর খালার বাসায়।চলে আসব
রাতে।
।
তারা- আমিও যাব। ( বাসায় একা থাকলে
উনি আআমার ঘাড় মটকাবেন। )
।
মামনি - তাহলে রেডি হয়ে আয়।
।
তারা- আচ্ছা।
।
মেঘ -( বাইরে যাওয়া বের করছি। আমাকে
হিটলার বলা ছুটাচ্ছি)
।
তারা- উপরে যাচ্ছিলাম।
স্যার ও সাথে সাথে উঠছিলেন।
উনার রুমের সামনে যেতেই টান দিয়ে রুমে
নিয়ে গেলেন।
।
মেঘ - শক্ত করে দেওয়ালের সাথে তারাকে
ধরলাম।
মা কে যেয়ে বল তুমি যাবেনা।
।
তারা- কেন বলব ?
আমি যাব।
ছাড়ুন আমাকে।
।
মেঘ - ছাড়ানোর চেস্টা করে লাভ নেই আমি
ছাড়বনা তোমাকে।
।
তারা- উফফ ব্যথা লাগছে আমার।
।
মেঘ - আমি যা বলছি শুন তাহলে।
।
তারা- কি শুনব।
।
মেঘ - বিছানায় দেখ!
।
তারা- এত ফাইল
।
মেঘ - জি হ্যা।
এগুলা সারারাত ধরে কম্পলিট করবা।
।
তারা- এহহ বললেই হল।
পারব না ।আমি মামনির সাথে যাব।
মেঘ - আমি যেতে দিলে তো যাবে।
।
মামনি - কিরে কতক্ষণ লাগবে।
।
তারা- মামনি ডাকছে আমাকে যেতে দিন
তো।
।
ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিলাম।
।
মেঘ - তারাকে ধরলাম আমি হিটলার তাই না?
হিটলার গিরী দেখাচ্ছি বলে তারার গলায়
জোরে একটা কামোড় বসিয়ে দিলাম।
।
তারা- ওহ আল্লাহ।
।
সরিয়ে গলায় হাত দিলাম।
আপনি মানুষ না ভ্যাম্পায়ার??
।
মেঘ - যা খুশি বল।
অই দিন তো তুমিও দিয়েছিলে
আমি ১ ঢিলে ২ পাখি মারলাম।
একেতো অই দিনের শোধ আর এখন তুমি
বাইরে যেতে পারবেনা।
গেলেই সবাই গলার দাগ টা দেখবে।
।
তারা- কিহ।
।
মেঘ - যাও উপর থেকে মাকে বলে আসো তুমি
যাবানা।
আর যেতে চাইলে যাও।
সবাই দেখবে আমার কি?
।
তারা- ( রাক্ষস, বিড়াল, হারামি দেখে নিব
হুহ)
।
মামনি আমি যাবনা তুমি যাও।
।
মামনি - কেন রে
।
তারা- ভাল লাগছেনা।
।
মামনি - আচ্ছা।
।
তারা- আয়নার সামনে গেলাম।
গভির ১ টা দাগ হয়ে গেছে।
অই লোক মনে হয় ভ্যাম্পায়ার।
।
মেঘ - নক করে রুমে ঢুকলাম।
।তারা সাথে সাথে ওড়না ঠিক করল।
।
নেও ধর।
তারা-, ১ টা ফাইল হাত থেকে পরে গেল
আমি তুলে নিলাম
।
মেঘ - আমি যখন নিচু হলাম তারার গলার দাগ
টা দেখতে পেলাম।
এত গভির তখন বুঝা যায়নি।
তারার দিকে একটু এগিয়ে গেলাম।
।
তারা- আবার এগিয়ে আসে কেন?
আমার কি মতলব।
।
স্যার? স্যার?
মেঘ - সামনে দাড়িয়ে- চুল কাধ থেকে
সরালাম।
।
তারা- মনে হচ্ছিল আমি বরফ হয়ে গেছি
।
মেঘ - ক্ষত স্থানে হাত দিলাম।
।
তারা- হার্ট বিট 4G spreed এ দৌড়াচ্ছে।
।
মেঘ - ওষধ লাগিয়ে ব্যান্ডস করে দিলাম।
।
থাক ফাইল দেখতে হবেনা।
চলে আসলাম।
।
মামনি : কিরে মিমি সব খেয়েছে?
।
মিমি - জি।
।
সকালে-
তারা-
মামনি তুমি রাতে কখন এসেছিলে
।
মামনি - দেরি হয়ে গিয়েছিল।
।
কিরে তোর গলায় কি হয়েছে?
।
মেঘ - বলে দিবে নাকি?
তারা- নাহ কিছুনা।
সামান্য কেটে গেছে।
।
মামনি - কি করে।
।
তারা-( এখন কি বলি)
।
বাদ দেও তো।
আমি রেডি হয়ে আসি।
সিঁড়ি তে উঠে দেখি স্যার।
আপনি এখানে দাড়িয়ে- আছেন কেন?
।
মেঘ - না কিছুনা।
।
মামনি কে বলে তো বকাও খাওয়াতে
পারতো বলল না কেন?
যত টা খারাপ ভাবি তত টা খারাপ না।
।
মামনি - কিরে ঘুম হল।
।
মেঘ - হুম।
।
তারা- মামনি আমি আজ হিয়ার বাসায়
থাকবো। তুমি টেনশন নিওনা আবার।
।
মামনি - আচ্ছা।নিব না।
ফোন দিস।
।
তারা- হুম।
উনার দিকে তাকালাম ল্যাপটপ এ কাজ
করছে ( মানুষ পারেও ছুটি র দিনেও কাজ
করা লাগে? )
।
মেঘ - সারাদিন আজ বাড়িতে আমি।
আজ তারা নেই খুব মজায় থাকার কথা আমার
কিন্তু আমার অসহ্য লাগছে কেন?
।
মনে হচ্ছে কি যেন নেই নেই।
খালি খালি লাগছে।
সারাদিন শুয়ে বসে কাটিয়ে সন্ধায় বের
হলাম।
অনেক দিন পর মাফিন এর সাথে দেখা হবে
আজ।
ও সিলেট এ থাকে।
আগে আমার সাথে পরত।
।
মাফিন কিরে কেমন আছিস।
।
মেঘ - ভাল।
তুই তো সালা আগের মতই আছিস।
।
মাফিন - তোকে তো আমার বিয়েতে আসতে
বলেছিলাম সালা আসলি না তো।
।
মেঘ - ব্যাস্ত মানুষ বুঝিস না।
।
মাফিন - তুই কবে করবি?
।
মেঘ - মনের মত মেয়ে পাই আর কই।
।
মাফিন - হেহেহে
।আমার শালি আছে।
দেখবা নাকি?
।
মেঘ - দুর সালা আমিই খুজে নিব নে তুই বাদ
দে।
।
মাফিন - ওই মেয়েটাও হেভি। তোর সাথে
মানাবে।
।
মেঘ - কই দেখি। পিছনে ফিরে " তারা"??
।
মাফিন - কিছু বললি।
।
মেঘ - নাহ চল যাওয়া যাক।
।
মাফিন - গেলাম।
কাল কে ফিরে যাচ্ছি।
তোর বিয়ের দাওয়াত কিন্তু দিতে ভুলিস না।
।
মেঘ - হুম।
ওই খানেই দাড়ালাম।
দেখলাম হিয়া ওই ছেলে আর তারা বের
হচ্ছে।
তারা সবার পিছনে
।
তারা- আজ কিন্তু খুব মজা হল।
।
হিয়া - হুম।
।
মেঘ - তারার হাত ধরে পিছন থেকে উধাও
করে দিলাম।
।
হিয়া- কি গো লিমন তারা পিছন থেকে কই
উধাও হয়ে গেল।
।
লিমন - কি জানি ফোন দেও।
।
হিয়া- ফোন ধরছেনা। এখন কি হবে।
।
লিমন - চল ভিতরে খুজে আসি।
।
হিয়া - হুম।
।
তারা - কে রে কেরে।
এই এই কে।
।
মেঘ - চুপ চুপ
।
তারা- আপনি এখানে?
।
মেঘ - ওই ছেলেটা কে?
।
তারা- কোন ছেলেটা ?
।
মেঘ - হেসে হেসে বের হচ্ছিলে যার সাথে।
।
তারা- আপনাকে বলতে যাব কেন ছাড়ুন।
।
মেঘ - আমাকে বলবেনা আচ্ছা স্যার কে দিব
ফোন দিব?
।
তারা- এই না না না।
বলছি বলছি।
হিয়ার বয়ফ্রেন্ড।
।
মেঘ - সত্যি?
।
তারা- হ্যা। হিয়াকে জিজ্ঞেস করে দেখুন।
।
মেঘ - আচ্ছা চল বাসায়।
।
তারা- আরে আমিতো হিয়ার বাসায়....
।
মেঘ - অকে ফোন করে বলে দেও।
।
তারা- গাড়ি তে বসে ফোন দিলাম হিয়াকে।
।
আচ্ছা বলুন তো আপনার এমন করার কারন টা
আমি বুঝলাম না।
।
মেঘ - সব বুঝতে হয়না ( আমিই বুঝছিনা
তোমাকে কি বুঝাব)
।
তারা- সব কথা এমন এড়িয়ে যান কেনো?
।
মেঘ - এত কথা বল কেন তাহলে?
।
তারা- ( মিন মিন করে কিছু বললেও দোষ না
বললেও দোষ )
।
মেঘ - ice-cream খাবা।
।তারা- (ইশ! কি দরদ) না.
।
মেঘ - গাড়ি থামালাম তুমি থাক আমি আসছি।
।
১১
.
তারা- হেডফোন কানে লাগিয়ে গান শুনতে
লাগলাম।
।
ওমা এত গুলা ice-cream কে খাবে?
।
মেঘ - মা আর আমি
।
তারা- এত গুলা?
মেঘ - তুমি তো আর খাবেনা সো কি করব
সেটা আমি জানলেই হবে।
।
তারা- হুহ মুখ ঘুরলাম।
।
মেঘ - গাড়ি স্টার্ট দিলাম।
।
বাসায় -
।
মেঘ - মিমি এগুলা রাখ তো।
।
তারা- উপরে চলে এলাম।
আমি এক বার মানা করলাম তাই বলে
আমাকে আর সাধ বে না??
মামনি - কিরে তারা খাবিনা।
।
তারা- না মামনি আমি খেয়ে এসেছি।
।
মামনি - তুই হঠাত চলে আসলি?
।
তারা- তোমার ছেলে কে জিজ্ঞেস কর।
।
মামনি - মেঘ কে? ??
কি করেছে।
।
তারা- আমি ফ্রেন্ড দের সাথে ছিলাম হঠাত
কোথা থেকে উদয় হল কে জানে তুলে নিয়ে
চলে আসল বাসায়।
।
মামনি ( মেঘ কি তারা কে তাহলে পছন্দ
করা শুরু করেছে)
আচ্ছা আমি এখন যাচ্ছি তুই ঘুমা।
।
তারা - সবাই এখন ঘুমাচ্ছে ১টা ice-cream
খেয়ে আসি কে জানবে কে খাইছে না
খাইছে।
চুপি চুপি নামছিলাম।
।
মেঘ - এত মাথা ব্যথা করছে মার থেকে ওষধ
নিয়ে আসি।
।
নিচে এসে দেখি তারা ice-cream খাচ্ছে।
বাহ বাহ দারুন
।
তারা- ( আসার আর টাইম পেল না)
আপনি এখানে কি করেন।
ice-cream পিছে আড়াল করলাম।
।
মেঘ - পিছনে কি? ?
।
তারা- কিছুই না।
।
মেঘ - দেখি দেখি দেখাও দেখাও।
হাত সামনে আনো।
।
তারা- মাথা নিচু করে হাত সামনে আনলাম।
।
মেঘ - হুম ice-cream খাওয়া হচ্ছে।
তা ম্যাডাম তখন যেন কি বলেছিলেন?
।
তারা- আমার মনে নাই।
।
মেঘ - দারাও দারাও এইভাবে গেলে কি
হবে? ?আরে আরে যাচ্ছ কই?
।
তারা- খাচ্ছি তো কি হইছে?
টাকা দিতে হবে?
দিয়ে দিবনে যান।
।
মেঘ - রাগ উঠে গেল শক্ত করে ধরে কি বললা
তুমি? ? আমাকে টাকা দেখাচ্ছ?
।
তারা- না মানে আমি ওইভাবে বলতে....
।
মেঘ - চুপ
।
তারা- এএএএএএএ।( crocodile tear)
।
মেঘ - আরে আরে কান্না থামাও ।থামাও।
সরি সরি।
থাম ( ধকম দিয়ে)
।
তারা- এএএএএএ মা....ম....নি
।
মেঘ - আরে আল্লাহ মহা মুসকিল এ পরলাম।
থাম তারা থাম।
এত থামছেই না উপায় না পেয়ে ১ টা উম্মা
দিয়ে বসলাম।যেন না চেচাতে পারে
।
তারা- কপালে চোখ উঠে গেল।
আমি থ মেরে গেলাম।
।রোবট হয়ে গেছি মনে হচ্ছে
।
মেঘ - কি করে ফেললাম নিজেই জানিনা।
সড়ে দারালাম।
তারা অইভাবেই দাড়িয়ে- আছে।
আমি ৫ G spreed এ ভাগলাম।ঠোট মিষ্টি
মিষ্টি লাগছিল।মনে পড়ল তারা ice-cream
খাচ্ছিল।
।
তারা- এটা কি ছিল।?
আমার তো বিলিভ হচ্ছেনা
সকালে-
।
মামনি - কিরে মেঘ নাস্তা না করেই চলে
যাচ্ছিস??
।
মেঘ - আমার ক্ষিদে নেই। আমি গেলাম।
।
মামনি -তারা কে নিয়ে যাবিনা?
মেঘ - ও তো নাস্তা করবে ওর দেরি হবে
আমি গেলাম।
।
তারা-( স্যার উঠার আগেই ভাগি আজ আর
নাস্তা করা লাগবেনা) উপর থেকে বলতে
বলতে নামছিলাম মামনি গেলাম আমি আজ
বাইরে খেয়ে নিব নেমেই দেখি স্যার
দাড়িয়ে- ( যেখানে বাঘ্ এর ভয় সেখানেই
সন্ধ্যা হয়)
উই মা ইনি এখানে??
চোখ চোখ পরতেই ২ জনেই চোখ সরিয়ে নিয়ে
২ জন ২ পাশে ঘুরে গেল।
।
মামনি - ২ জনেই যখন নাস্তা করবিনা ১
সাথেই যা।
।
২ জনেই ১ সাথে বলে উঠল -
মেঘ - না
তারা- না
২জন ২ জনের দিকে তাকালো
আবার মুখ ঘুরিয়ে নিল।
তারা নখ কাড়ছে দাত দিয়ে।
মেঘ বেচারা মাথা চুলকাচ্ছে
।
মামনি ( বেপার টা কি? ?)
ওই তোদের কি হয়েছেরে? ??
এমন আজব ব্যবহার করছিস কেন? ??
।
মেঘ - গেলাম আমি।
।
মামনি - দাড়া দাড়া! তারা তোর সাথে
যাবে।
।
তারা- কেন আমি একা যাব।
।
মামনি - চুপ। আমি যা বলেছি তাই হবে।
।
গাড়ি তে-
।
সব নিশ্চুপ .......
।
অফিসে-
হিয়া - কিরে
এমন করে বসে আছিস কেন?
তারা - দোস্ত what is kiss? ??
হিয়া - এএএ কি বলছিস তুই এটা?
কি হইছেরে তোর?
।
তারা- বল না।( নখ চাবাতে চাবাতে)
।
হিয়া- হেহেহে
ঠোট দ্বারা অন্যের ঠোট, গাল,কপাল কে
স্পর্শ করাকেই কিস যাহা বাংলায় চুম্বন বা
চুমু বলে।
।
তারা- রাগি লুক নিয়ে তাকালাম হিয়ার
দিকে তোরে সংগা বলতে বলছি?
সেটা কি আমি জানিনা?
।
তুই যা তোর কাজ কর।
যা ভাগ।
( সেই মুহুর্তে আমার যে কি অবস্থা হয়েছিল
সেটা শুধু আমিই জানি।
হার্ট মনে হচ্ছিল এখনি বেরিয়ে আসবে, ধুক
ধুক করছিলল ধুক ধুক)
।
হিয়া- কি বির বির করছিস।
।
মেঘ - আমার মাথা ঘাস কাটতে গিয়েছিল? ?
আর কোন উপায় ছিল না
অই টাই করতে হল।
মেঘ ইউ ফুল ।
।
বাইরে একটু উকি দিলাম
কিরে তারা নেই।
কই গেছে?
।
ক্যান্টিন থেকে ঘুরে আসি।
।
ক্যান্টিন এর সামনে-
।
তারা- উই মা কেরে কেরে
গাধা, গরু
(ইইইইইইইই)
স্যার আপনি? ?
মেঘ - উল্টা দিকে হাটা দিলাম।
।
তারা- কিছু বলল না ব্যপার কি?
ওই আমিতো ভুলেই গেছিলাম কাল কের কথা।
।
হিয়া- তুই এমন লাল হয়ে আছিস কেন বলতো।
?
।
তারা- হিয়ার কাধে মাথা রেখে ( নাটকিয়
কান্না) দোস্ত আমি আর আমি নাইরে।
আমার সব শেষ।
।
হিয়া - কি হইছে বলবি।
।
তারা-( হিয়াকে বলা যাবেনা)
কিছুনা কিছুইনা
বলে ভাগ্লাম।
।
হিয়া- মাথায় হাত দিয়ে কিছুই তো বুঝলাম
না হল টা কি?
।
তারা- ১কি বাসায় ১কি অফিস দামনে তো
পরতেই হবে এইভাবে আর কি করে দুরে দুরে
থাকব
।
মেঘ - মেঘ অ তাই ভাবছে।
।
মেঘ + তারা- নাহ নরমাল ই থাকতে হবে।যেন
কিছুই হয়নি ভাবতে হবে।
হুম।
।
বাসায় -
।
তারা-(হিয়া+ লিমন এর ঝগড়া হয়েছে তাই
মিলানোর চেস্টা) লিমন তুমি এত ঝগড়া কর
কেন বলতো?
কাজ করলে তো মানুষ বিজি থাকবেই।
তুমিও তো কাজ কর। তুমি কি বুঝনা।
।
মেঘ - তারা চেক টা....
( লুকিয়ে লুকিয়ে তারার কথা শুনছিলাম।
কথা শুনে মনে হচ্ছিল তারা অর কথা বলছে)
( তো আমার এত জলছে কেন যা খুশি করুক।
কিছু দুর ফিরে এসে আবার অইখানে গেলাম।
একটু যেতেই খেলাম তারার সাথে বারি)
।
তারা- স্যার আপনি এখানে কি করছেন?
।
মেঘ - আগে বল তুমি কার সাথে কথা বল
ছিলে
।
তারা- আপনি কারো সাথে কথা বললে কি
আমি আপনাকে জিজ্ঞেস করি?
।
মেঘ - কিন্তু আমি বললে উত্তর দিতে হবে।
।
তারা- পা একটু উচু করে ( লম্বু র সমান হয়ার
চেস্টা আরকি)
বলব না হুহ।
।
মেঘ - তারাকে ১ হাত ওর পিঠে র সাথে
আটকিয়ে পিছনে দারালাম। না বললে ছাড়ব
না শুনে রাখ।
।
তারা- আমার ব্যথা লাগছে।
।
মেঘ - লাগুক।
।
তারা- আচ্ছা দাড়িয়ে- থাকুন কতক্ষন পারেন
আমিও দেখব।
।
মেঘ - ১ ঝটকায় নিজের দিকে ঘুরিয়ে
নিলাম।
।
সব চুল এসে পরল তারার মুখে।
ভয় পেলে তারা কে খুব সুন্দর লাগে।
।
চুল গুলা মুখ থেকে সরিয়ে দিলাম।
।
তারা- তার ছোয়ায় মনে হল কারেন্ট লাগল।
কেপে উঠে সরে গেলাম।
আমি যতই সরি উনি ততই কাছে টেনে নেন।
।
মেঘ -
তারার চোখে ডুবে যাচ্ছি।
আরো কাছে টেনে নিলাম।
।
তারা- ( কাল কের মত আবার করবে নাকি).
।
না আ আ আ আ
।
মেঘ - (আমিই ভয়ে লাফিয়ে সরে গেলাম) কি
হল।
।
তারা- কি করছিলেন আপনি।
।
মেঘ - কই কি করছিলাম?
।
তারা- কি কাজে এসেছিলেন।
।
মেঘ - ওহ কাল কে যে চেক টা দিয়েছিলাম
সেটা দেও।
।
তারা- আচ্ছা।
।
মেঘ - ভাবলাম এই সুযোগ তারার ফোন টা
চেক করা যাক।
কিন্তু ১ বালতি আফসোস ফোনে পাসওয়ার্ড
লাগবে।
দুর।
।
তারা- নিন।
।
মেঘ - ১ টা রাগি লুক দিয়ে চলে আসলাম।
।
তারা- হইল টা কি??হার্ট ৭ G spread এ বিট
করছে।
ওই থাম না রে বাপ।
।
মেঘ - আরে মেঘ তোর হইছে কি? ?
তুই এমন গোয়েন্দাগিরি করতেছিস কেন?
তাও তারার জন্য? ?
ও আল্লাহ আমার মাথারকি স্ক্রু ঢিলা হয়ে
গেছে?
।
যাকে আমি দেখতে পারতাম না তার উপরে
গোয়েন্দাগিরি করছি? ??
হায় আল্লাহ।
।
সকালে-
তারা- কি বেপার মামনি তুমি কোথায় যাচ্ছ?
তাও এত সকালে?
।
১২
.
সকালে-
তারা- কি বেপার মামনি তুমি কোথায় যাচ্ছ?
তাও এত সকালে?
।
মামনি - তোদের সাথে যাচ্ছি?
।
মেঘ - অফিসে?
।
মামনি - আরে না রাস্তায় তোর ছোট মামার
বাসায় নামিয়ে দিয়ে যাবি। আমি আজ
থাকব।
মিতালি কে আজ দেখতে আসবে।
।
তারা- ইশ! আমিও যদি যেতে পারতাম। ।
মামনি - তাহলে চল।
।
তারা- সত্যি।
বলে স্যারের দিকে তাকালাম। ।
মেঘ - না ওর কাজ আছে।
বলে হাত ধরে গাড়ির কাছে নিয়ে গেলাম। ।
মামনি - আরে আমার জন্য দ্বারা। ।
মেঘ - শুধু কাজে ফাকি দিতে মন চায় তাইনা।
চুপচাপ গাড়ি তে উঠ
।
তারা- দুর।
রাক্ষস ১ টা।
।
মেঘ - মা উঠ।
।
মা কে নামিয়ে দিয়ে অফিসে গেলাম। ।
হিয়া- লিমনের সাথে সব ঠিক। tnx dst. তারা-
আর আমার সব শেষ।
।
হিয়া- কি শেষ।
।
তারা- না কিছুনা।
বাবা ফোন দিয়েছে কথা বলে আসি। ।
বাবা তুমি কবে আসবা?
এত দিন এক জনের বাসায় থাকা যায়? ।
বাবা - আর কিছু দিন পরেই আসব। চিন্তা
করিস না।
।
তারা- দুর।
একি কথা প্রতিদিন।
।
মেঘ -( তারার কথা শুন ছিলাম) তারা!
।
তারা- জি স্যার।
।
মেঘ - ল্যাপটপ আগিয়ে দিয়ে বললাম এটা
ঠিক করো।
।
তারা- জি স্যার।
।
মেঘ - তারা কাজ করছে আমি চেয়ে চেয়ে
দেখছি।
তারা বার বার সামনে আসা চুল গুলা কানের
পিছে নিচ্ছে।
মাঝে মাঝে কলম মুখে দিচ্ছে আবার নখ
কামড়াচ্ছে।
।
মাঝে মাঝে সব চুল সামনে আনছে আবার
পিছে দিচ্ছে।
একি শান্ত হয়ে বসতে পারেনা? ।
তারা- হাতে রাবার প্যচানো ছিল। সেটা
দিয়ে চুল বাধলাম। ।
মেঘ - আবার চুল বাধার কি ছিল। আগেই তো
ভাল ছিল।
আমি পিছনে যেয়ে দাড়ালাম। উহু তারা এটা
এইভাবে বলে তারার কাধের কাছে মুখ
রাখলাম আর তারাকে কাজ দেখাচ্ছিলাম।
।
তারা- স্যারের হাত আমার হাতের উপর।
আমার হাত পা ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে। আমি
একটু পর পর স্যারের দিকে তাকাচ্ছি। ।
।
মেঘ - কি দেখো।
।
তারা - মুখ ঘুরিয়ে না কিছুনা। ।
মেঘ - তারার চুল মুখে বারি খাচ্ছে তাই
সরিয়ে অন্য কাধে দিয়ে দিলাম। ।
তারা- ১ টা শিহরোন শরিরে বয়ে গেল। হাত
মুঠ করে রাখলাম শক্ত করে। ।
মেঘ - এবার বুঝেছ? ? এইভাবে করবা। ।
তারা- জি স্যার। আচ্ছা আমি আসি। মেঘ -
তারা দাড়াও।
তারা- জি
মেঘ - তারার সামমনে যেয়ে চুল গুলা খুলে
দিলাম। তারা - এটা কি হল
।
মেঘ - কিছুই না
তারা- full
spreed এ ভাগলাম।
।
মেঘ - হাসব নাকি রাগ হল বুঝতে পারছি না।
কিন্তু সব সময় রাগ হবার কি আছে। ।
ami হাসছি। কেন হাসছি জানিনা। মাঝে
মাঝে বাইরে যাচ্ছি তারা কে দেখছি
আবার ফিরে আসছি কেবিনে। মনের মধ্যে
অন্য রকম অনুভব হচ্ছে। কেন হচ্ছে কে জানে।
।
তারা- হিয়া শুন।
।
হিয়া- বল।
।
তারা- আচ্ছামনে কর একটা ছেলে আর ১ টা
মেয়ে আগে কেউ কাওকে দেখতে পারত না।
হঠাত করে ছেলেটার আচরণ কেমন জানি
পাল্টে যায় ধর positive দিকে আর মেয়ে টা
যখন ই ওই ছেলেকে দেখে অর হার্টবিট বেরে
যায়।
এটা কি বলা যায়?
আর কেন এমন হয় বলতো?
।
হিয়া- কি বলা যায়?
।
তারা- আমিই তো তোকে জিজ্ঞেস করছি। ।
হিয়া ......
।
তারা- থাক পাঠকরা জানলে জানাবেন।
( জানাবেন কিন্তু) ।
মেঘ - তারা চল।
ফোনে - মা তোমাকে নিতে আসব?
।
মামনি - না আগেই তো বলেছি।
।
মেঘ - কিন্তু মা।
।
মামনি - চুপ কর ফোন রাখ।
।
মেঘ ( হুদাই বকা খেলাম)
।
তারা - মামনি কি বলল?
।
মেঘ - আসবেনা।
।
তারা- (তার মানে উনি আর আমি
একা? ????)গালে হাত দিয়ে আল্লাহ। ।
মেঘ- কি ভাবছ?
।
তারা- কিছুনা।
বাসায় -
তারা - দুর মামনি থাকলে কত ভাল হত। গল্প
করে কাটা তাম।
।
যাই মামনির রুমে যাই।
।
মেঘ - ফোনে কথা বলতে বলতে নিচে
আস্লাম।
কি ব্যপার মায়ের রুম থেকে হাসির শব্দ শুনা
যাচ্ছে।
কে?
।
তারা! ও কি দেখে হাসছে?
।
তারা কি তোমার হাতে ছবি মনে হচ্ছে?
।
তারা- হাসতে হাসতে জি তাও আবার
আপনার দেখুন আপনার ছোট কালের হেহেহে।
।
মেঘ - মাকে বলেছিলাম এই পিক টা ছিড়ে
ফেলতে। কিন্তু না।
মান সম্মান সব গেল।
।
দেও তারা ওইটা আমাকে দেও।
।
তারা- জি না। এইটা আমি অফিসে দেখাব
সবাইকে।
হুহ।
আমাকে বকলেই এটা সবাইকে বের করে
দেখাব।
।
মেঘ - ভাল হচ্ছেনা অইটা দেও বলছি
।
তারা- দিব না বলেই ১০ G গতিতে দৌড়।
মেঘ - আমিও ১০ G গতিতে দৌড়।
আর ফলাফল তারাকে নিয়েই পরলাম নিচে।
আর আমার ঠোট পরল তারার ঠোট এর উপর।
।
চোখ ২ জনের ই কপালে।
।
মেঘ - তাড়াতাড়ি উঠে দাঁড়ালাম। ছবি টা
নিয়ে ছিড়ে ফেলে দিয়ে রুমে গেলাম।
।
তারা - ২ বার! !!!!!!! এএএএএএএএএএএএএএএ।
কিউ কিউ কিউ।
(রুমে যেয়ে)
।
আমি থাকব না আর থাকব না।
এএএএএএ।
।
মেঘ - আমি কি আর ইচ্ছে করে করছি?
মা কে বলে দিলে? ??
সালার ........ দুর ছাতা মাথা।
২ বার!!!! ওরে মা রে স্যার কে বলে দিলে? ?
।
না না না
।পরের দিন
মেঘ - actually im sorry.
আমি আসলে ইচ্ছে করে করিনি।
.
তারা - কিছু বললাম না।
।
মেঘ- চুপ করে আছ কেন? আমি কিছু বলছি।
।
তারা- মামনি ফন দিয়েছে। হ্যা মামনি বল।।
মা- তরা অফিসে ?
।
তারা- এইত পথে।
জানো কাল কে রাতে ........
মেঘ- ফোন টা নিয়ে কেটে দিলাম।
তুমি মামনি কে বিচার দিচ্ছ?
।
তারা - ( বলে কি ? মাথা খারাপ? ? আমিতো
অন্য কথা বলতে চাইছিলাম। কিন্তু উনি এমন
ভয় পেল কেন?
।
মেঘ- কি হল?
তারা- শয়তানি বুদ্ধি মাথায় আসল।বিচার
দিব না কিন্তু ১ টা শর্তে
।মেঘ - কি?
।
তারা- আমার সাথে আর লাগতে আসবেন না
আর বকা ঝকা করা যাবেনা।কাজের চাপ
দেওয়া যাবেনা।
মেঘ- কিহ?
।
তারা - হুম।
।
মেঘ - আচ্ছা ( তারা দারাও তোনার ব্যবস্থা
ও হবে। তুমি সুযোগ এর সদ্ব্যবহার করছ তাই
না)
।
তারা- কিছু ভাবছেন?
।
মেঘ - না। চলে আসলাম।
(তোমাকে আমি অন্য ডোজ দিব।
যেটা তুমি না সইতে পারবে না বলতে।
।
ভাল ব্যবহার করতে বলছ তো এমন ভাল
ব্যবহার করব যে তুমি আর নিতে পারবেনা।
হাহাহা)
।
সকালে -
মেঘ - তারা তাড়াতাড়ি নামো।
লেট হচ্ছে।
।
তারা- আজ আমি যাব না।
আপনি যান
।
মেঘ - কেন?
।
তারা- আমার মুড নাই।
।
মেঘ - wht rubbish! !!! r u mad?
.
তারা- দেখুন কাল কের ডিল কি ভুলে
গেছেন? ?
।
মেঘ - ( মন ত চাচ্ছিল থাক বললাম না)
চলে আসলাম।
বসে বসে ভাবছি এই মেয়ে কে জব্দ কি করে
করব???
।
তারা- বাহ শান্তি! !! ঠিক জব্দ হয়েছে
শয়তান কোথাকার।
হেহেহে।
মুভি দেখে কাটিয়ে দিলাম সকাল বেলা।
আরেক্টা শয়তানি বুদ্ধি মাথায় এল যেই
ভাবা সেই কাজ।
উনার ঘরে গেলাম।
কাজ শেষ করে বেরিয়ে এলাম।
।
সন্ধ্যা তে উনি আর মামনি ১ সাথে আসল।
তারা- মামনি কে জরিয়ে ধরে মাননির রুমে
চলে গেলাম।
।
মেঘ - এহহ মামনির চামচি হয়ছে।
ন্যাকামি।
রুমে ঢুকেই
।
তারা- ১ বিকট চিতকার শুনলাম।
( হেহেহে হাসি চেপে রাখলাম)
।
মামনি - কিরে কি হল।
তারা চল তো।
।
তারা- আমি আর মামনি উপরে গেলাম
।
মেঘ - এটা কার কাজ তারাহ!!!!!
।
তারা - মামনি দেখোনা আমি খারাপ কি
করেছি বলতো।
উনার ঘরে ঢুকলে আগে গুহা গুহা লাগতো এখন
কেমন লাগছে বলতো?
।
মামনি - বাহ দারুন সাজিয়েছিস তো।
খুব সুন্দর লাগছে।
আচ্ছা মেঘ ও তো ভাল কাজ ই করেছে।
আগে সব কালো ছিল এখন নীল করে দিয়েছে
এখন সুন্দর লাগছে।
।
আমি নিচে গেলাম।
।
তারা- আমিও গেলাম। বাই
মেঘ - not so fast.
দরজার সামনে যেয়ে দাড়ালাম।
এটা করার কি দরকার ছিল? ( এগিয়ে
যাচ্ছিলাম)
।
তারা-( পিছাচ্ছিলাম) দে...দে...দেখুন।
আমাকে ভয় দেখাবেন না। নাহলে?
।
মেঘ - না হলে।
।
তারা- উচু হয়ে কানের কাছে মুখ নিয়ে
বললাম কাল কের কথা কি বলে দিব?
।
মেঘ - চুপ করে থাকলাম।
।
তারা- good boy.
।
মেঘ -( হেসে নেও হেসে নেও আমার ও দিন
আসবে)
।
তারা-( বিজয়ের হাসি দিলাম)
।
যাক কিছু দিন তাকে হাতে রাখা যাবে
হেহেহে
মেঘ - তুমি কি ভাবছ তারা আমাকে এইভাবে
হাতে রাখবে এত ই সোজা নাকি? ??
।
মেঘ জলদি জলদি কিছু ভাব। না হলে এই
মেয়ের যে আরো কত রুপ দেখতে হবে।
।
আমার রুমের কি অবস্থা করছে।
মিমি! মিমি!
।
মিমি -জি!
মেঘ- আধা ঘন্টা সময় দিচ্ছি রুম আগের মত
কর।
।
মিমি - ( একটু আগে চেঞ্জ করলাম একখন
আবার! !!!!) জি স্যার।
।
সকালে-
মেঘ - তারা জলদি কর লেট হয়ে যাচ্ছে।
।
তারা- im ready. let's go.
গাড়ি র কাছে
মেঘ - কি হল উঠ।
তারা- দরজা খুলে দিন তার পর তো উঠব।
।
মেঘ - কিহহহহহহহ! ??
।
তারা- হুম এখন থেকে আপনি গাড়ি র দরজা
আমার জন্য খুলবেন আর আমি উঠার পর বন্ধ
করব?
।
megh - how dare u?
do u think im ur drive? ?
.
tara- no. not atall.
bt thing is u have to do whatever i say.
so do it hurry.
আর তাছাড়া ২-১ দিন ড্রাইভার ভাব্লেই
দোষ কি? ?
।
মেঘ - (u r crossing ur limit tara. u gonna pay for
this.until i have to tolerate u.) দরজা খুলে
দিলাম।
.
১৩
.
মামনি - ব্যাপার কি? তারার জন্য দরজা খুলে
দিচ্ছে? ? তারাকে নাকি পছন্দ না আবার
এইসব কি? ?
আল্লাহ জানে।
আজ কাল কার ছেলেপেলে কিছুই বুঝিনা
বাপু।
।
তারা- (এখন উচিৎ শিক্ষা হয়েছে।
তারার সাথে পাংগা কম নিবেন বুঝছেন)
।
মেঘ - কি বির বির করছ ।
তারা- না কিছুনা।
।
মেঘ - গাড়ি র দরজা খুলে দিলাম।
।
হিয়া- কিরে তারা নিচে দেখলাম স্যার
তোর জন্য দরজা খুলে দিচ্ছে কি যাদু করলি
রে?
।
তারা- হেহে বুঝতে হবে।
তারা কি জিনিস
মেঘ - এই মেয়ে তো জালিয়ে খাচ্ছে।
কিছু একটা না করলে তো হচ্ছেনা।
।
২দিন অত্যাচার এর মধ্যে কেটে গেল।
।
তারা- বাহ আজ সকাল টা কি সুন্দর।
ছুটি র দিন গুলা সুন্দর ই হয় সব সময় ।
ফ্রেশ হয়ে নিলাম।
।
আচ্ছা অনেক দিন ছাদে যাওয়া হয়না।
ছাদে দেখি আসি ফুল গুলা।
ছাদে গেলাম।
প্রান ভরে নি:শ্বাস নিলাম।
আবহাওয়া টা খুব সুন্দর।
না রোদ না মেঘলা।
।
কিছুক্ষন পর মিমি আসল ছাদে গাছে পানি
দিতে
তারা- মিমি আমাকে দেও আমি দিচ্ছি
পানি।
।
মিমি - না ম্যাম।
আমিই দেই।
।
তারা- দেও তো।
তুমি দাড়াও এখানে।
।
গাছে পানি দিতে দিতে দেখি মিমি অন্য
দিকে ততাকিয়ে আছে । শয়তানি বুদ্ধি এল
মাথায়।
পাইপ দিয়ে মিমি কে ভিজিয়ে দিচ্ছিলাম।
।
মিমি - ম্যাম থামুন।
আমি দৌড়াচ্ছি আর ম্যাম পাইপ নিয়ে
ধাওয়া করছে।
।
তারা- পানি দিতে দিতে হঠাত স্যার কোথা
থেকে সামনে হাজির হল কে জানে।
গেল সে ভিজে।
।
মেঘ - পুরা ভিজিয়ে দিল।
হাতে ছিল কফি সেটাও পানি পানি হয়ে
গেল।
মোবাইল টাও ভিজে গেছে।
রাগ চরম আকার ধারন করল।
এমনি তে ও আমাকে অত্যাচার করছে তার
উপর আবার এটা? ?.
।
মিমি - বাপ রে বাপ আমি ভাগি।
।
তারা- মিমি ........
।
মেঘ - কফির মগ টা দিলাম আছাড়।
।
তারা- ওরে আল্লাহ। আজজ আমমার ¹১৫ টার
খবর আছে।
আমি শেষ।
ইয়ে মানে im im sor....sorry..
.
মেঘ - শুধু ওর দদিকে তাকিয়ে ছিলাম ।
আর এগিয়ে যাচ্ছিলাম।
।
তারা- নিচের দিকে তাকিতে ছিলাম ।
দেখলাম উনি ১ পা ১ পা করে এগিয়ে
আসছেন।
।
আমি নিচের দিকেই তাকিয়ে পিছিয়ে
যাচ্ছিলাম।
যেতে যেতে রেলিং এ ঠেকে গেলাম।
অবাক হয়ে সামনে তাকালাম।
।
মেঘ - আমি ওর ২ পাশ দিয়ে রেলিং এ হাত
রাখলাম।
।
তারা- শক্ত হয়ে দাড়িয়ে- আছি।
আল্লাহ দরি ফালাও উপরে উঠে যাই।
।
মেঘ - এখন কি মনে হচ্ছে জানো তোমাকে
তুলে ফেলে দেই
তারা- কিহ? ??.
।
মেঘ - ওইভাবে চেয়ে আছ কেন চোখ নামাও।
নামাও বলছি।
।
তারা- এই এই দেখুন এই ভাবে কথা বলবেন
না।
নাহলে।
।
মেঘ - না হলে কি?
।
তারা- আমি কি.. কি... কিন্তু মামনি কে...
. মেঘ- ওই দিনের কথা বলে দিবা তাই তো?
আচ্ছা ঠিক আছে বলে দেও।
সামনে থেকে সরে গেলাম।
যাও।
যাও না কেন।
।
তারা- আমি কিন্ত সত্যি বলে দিব।
।
মেঘ - আমিও তাই বলছি যাও।
।
তারা- যেতে নিচ্ছিলাম
।
মেঘ - রেলিং এর সাথে দাড়িয়ে- তারাকে
নিজের দিকে টেনে নিলাম।
।তারা অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে।
।
নিজের দিকে আরও টেনে নিলাম।
।
তারা- ভয়ে আত্তা বের হয়ে যাওয়ার মত
অবস্থা।
উনি আমার দিয়ে মুখ এগিয়ে আননছেন কেন ?
ভয়ে চোখ বন্ধ করলাম।
।
মেঘ - কানের কাছে মুখ নিয়ে ফিস্ফিসিয়ে
বললাম " তুমি এটা বলতে পারবেনা
। আমি জানি "
তারা- তার নি:শ্বাস আমার কানে বারি
খাচ্ছে। আমার ১ হাত টা তার বুকের মাঝে
ছিল। উনি আমার হাত ধরেছেন আমি অনুভব
করতে পারছি। আংগুল এর মাঝে আংগুল গুজে
দিলেন। ।
মেঘ - হাত টা শক্ত করে ধরলাম। বল তারা "
তুমি কি বলতে পারবে "? ।
তারা -( আমি কি বলতে পারব আসলেই? ?)
কোন মতে নিজেকে ছাড়িয়ে নিচে চলে
আসলাম। বুক ধুক ধুক করছে
।
মেঘ - ছাদে দাড়িয়ে- দাড়িয়ে- হাসছি।
তারার পক্ষে কখনই ওটা কাউকে বলা সহজ
হবেনা। ।
পরের দিন -
।
হিয়া- স্যার এটা সাইন করে দিন আজ payment
er last date.
।।
মেঘ - অকে আমি সাইন করে রাখব। তুমি
নিয়ে যেও।
হিয়া জি স্যার।
।
হিয়া- দোস্ত হেল্প কর।
আজ লিমনের সাথে দেখা করতে যাব কিন্তু
এই চেক টা আজ জমা দিতে হবে। তারা-অকে
জমা আনি দিয়ে দিব। ।
হিয়া- tnx.
.
অফিস শেষ এ-
।
তারা- কি হল আপনি গাড়ি তে বসলেন কেন
দরজা না খুলে?
।
মেঘ - উফফফ। বেরিয়ে দরজা খুললাম। ।
বাসায় -
তারা- মামনি ! মামনি!
।
মিমি - ম্যাম তো নেই
।
তারা- কোথায় গেছে।
।
মিমি - ডাক্তার এর কাছে গেছে।চলে
আসবে।
।
মেঘ - হ্যালো ( ফোনে)
: mr. মেঘ আজ payment er llast দিন ছিল
আপনি এখন ও payment জমা দেন নি। মেঘ -
কি বলছেন জমা হয়নি।
আমি আপনাকে জেনে জানাচ্ছি। মেঘ -
হিয়া তুমি চেক জমা দেও নি?
।
হিয়া- স্যার মানে আসলে আমি তারাকে। ।
মেঘ - কাজ টা তোমায় দিয়েছিলাম তারাকে
না।
damn.
.
মেঘ - আচ্ছা আমাকে কাল কের টাইম দিন।
সব ক্লিয়ার করে দিব।
।
: just tomorrow.
.
megh -sure
no pblm.
।
তারারারা!
।
তারা-পানি খাচ্ছিলাম
সব মুখ থেকে পরে গেল। স্যারের রুমে
গেলাম-
তারা- আপনাকে বলেছিনা এমন ষাড়ের মত
চিল্লাবেন না।
মনে থাকেনা।
৫ G গতিতে স্যার আমাকে দেওয়ালের সাথে
আটকে ধরলেন।
।
আমি তো থ মেরে গেলাম।
কি... কি.... কি হয়েছে??
।
মেঘ - তুমি আমার সাথে যাই তাই করছ আমি
মেনে নিচ্ছি কিন্তু তুমি কাজে কেনো
গাফিলতি দেখাচ্ছ??
তুমি আমার কম্পানি র ১৩ টা বাজাতে চাচ্ছ।
আমরা যেন পথে এসে পরি সেটা চাচ্ছ। কি
চাচ্ছ কি তুমি? ??
।
তারা- কি বলছেন?
আমি ... আমি এইসব ....
।
মেঘ - বাস অনেক হয়েছে তোমাকে শিক্ষা
না দিলে হচ্ছে না।
।
তারা- আমি কি করেছি সেটা ত বলবেন। ।
মেঘ - হাত টা মোচোড় দিলাম ।ও ব্যথায়
গুংড়িয়ে উঠল। তারা- চুপ করে আছেন কেন?
মেঘ-
তারাকে বিছানায় ফেলে হাত ২ টা শক্ত
করে আটকে ধরলাম।
।
তারা- I'm sorry sir.কিন্তু আপনি আমার সাথে
কিছু করবেন না। সরি। প্লিজ ছাড়ুন আমাকে।
।
মেঘ -( মাথা খারাপ অকে কিছু করে আমিই
ফেসে যাই।
ডোজ তো তোমাকে অন্য আরেক টা দিব।)
তারা-( কেঁদে) ছাড়ুন।
।
মেঘ - তারার দিকে মুখ বাড়ালাম। তারা
চোখ বন্ধ করতেই আমার কাজ টা করে
নিলাম।
ছেড়ে উঠে বসলাম।
।
তারা- ঝরের বেগে উঠে নিজের রুমে
গেলাম।
।
হলটা কি?
আমি এখন ও আতংকিত হয়ে আছি।কেঁদে
কেঁদে কখন ঘুমিয়ে গেছিলাম জানিনা। ।
সকালে -
।
মামনি - কিরে তুই কাল কে এত জলদি ঘুমিয়ে
গিয়েছিলি।
।
তারা- স্যারের দিকে চোখ যেতেই আত্তা
শুকিয়ে গেল।
আসলে মামনি...
।
মেঘ - তারা রেডি হয়ে আসো।
।
মামনি - মানে তোরা নাস্তা করবিনা? ? ।
মেঘ - বাইরে করব।
।
তারা( তুই খাবিনা ভাল কথা আমার তো
ক্ষুদা লাগছে। উফফ)
।
মেঘব- কি হল যাও ( চিতকার করে) ।
মামনি - বেপার কি?
।
মেঘ - তুমি বুঝবানা মা।
।
অফিসে - মেঘ -
তারা আমার কেবিন এ আসো।
।
তারা- বলুন।
।
মেঘ - তোমাকে এখন থেকে উঠতে বললে
উঠবে, বসতে বললে বসবে, আমার কথা মত
চলবে। তুমি কি ভাবছ, চাকরি ছেড়ে দিবে?
সেটা তো আমি হতে দিব না।
আর আমি নিজেও তোমাকে বের করব না।
কেন জানো কারন স্যারের চোখে আমি ছোট
হতে পারব না।
আর হ্যা আমি তোমাকে লেজি থেকে
কর্মোঠ বানিয়ে তবেই ছাড়ব। তোমার কাজে
ফাকি দেওয়া আমি বের করছি।
আর সব সময় বাচ্চাদের মত করা বন্ধ কর। কাল
কের চেক টা জমা দিয়ে আস। ।
তারা - এতক্ষন এ মাজরা বুঝলাম। আমি চেক
জমা দিতে ভুলেই গেছিলাম। ।
মেঘ - আর হ্যা বেশি পাংগা দেখাতে
গেলেনা এইটা আমি সবাইকে দেখিয়ে দিব।
।
তারা- কি এটা।
।
মেঘ - নিজেই দেখো।
।
তারা- ও মা! আল্লাহ।
আপনি এত খারাপ।
কাল কে তখন ছবি তুলে নিয়েছেন। ।
মেঘ -( আসলে এটা অকে সায়েস্তা করার।
জন্য কাউকে দেখানোর জন্য না) . ।
তারা- এখন উনি আমাকে ব্লাকমেইল
করবে ???
।
চেক জমা দিয়ে তাকে জানাতে গেলাম।
স্যার কাজ হয়ে গেছে।
।
মেঘ -অকে। আমার জন্য কফি আনো তো। ।
তারা- আমি কেন?
পিয়ন কে বলেন।
।
মেঘ - তারার সামনে দাড়ালাম। এখন থেকে
তোমার ম্যখে কেন/ পারব না এইসব শুনতে
চাই না।
না হলে তো জানোই।
is that clear?
.
তারা- জি।
বাসায় -
।
তারা- তার সাথে পাংগা নিতে যেয়ে
আমিই ফেসে গেলাম।
বুঝ এখন।
দুর।
আমার বাপ টাও কবে আসবে।
।
মামনি - কেন রে তোর এখানে ভাল
লাগছেনা।
।
তারা- না মামনি তা না । আসলে... ।
মামনি - বাবা কে মিস করছিস?
।
তারা- হুম।
।
মামনি - নে এখন ঘুমা।
।
।
মেঘ- তারা আমার সাথে ছাদে আসো। ।
তারা- কেন?
।ওহ সরি
আসছি।
।
মেঘ - এই ফাইল টা এইখানে বসে শেষ করো। ।
তারা( সারাদিন অফিসে খাটাইছে আবার
এখন) ।
মেঘ - কি হল মুখ ওমন বাকা করে রাখছ কেন?
।
তারা- উনি ল্যাপটপ এ কাজ করছেন আমি
কলম কামড়াচ্ছি।
।
মেঘ - এই মেয়ে আর বদলালো না। কিন্ত একে
কলম মুখে দিয়ে অদ্ভুত সুন্দর লাগছে।
।
তারা- স্যার এই জায়গায় সমস্যা আছে মনে
হচ্ছে।
স্যারের পাশে দাড়ালাম।
।
মেঘ - এইখানে বস।
।
তারা- u mean এইখানে নিচে।
।
মেঘ - হ্যা।
।
তারা-( কি ভাগ্য সালা এমন বস পাইছি) ।
মেঘ - কাজ করছিলাম।
।
তারা- ফাইল নিতে যেয়ে কফি পরলল
স্যারের উপর।
।
মেঘ - ১ ঝটকায় তারার চুলের মুঠি ধরে আমার
দিকে ঘুরলাম।
তারার চোখে হালকা পানি।
.
১৪
.
ওর চোখে পানি দেখে আমার খুব খারাপ
লাগছিল।
কেন এত খারাপ লাগছে।
তারা ব্যথায় চোখ বন্ধ করল।
চোখের কপ্ন বেয়ে পানি বেয়ে পড়ল।
আমার বুকের ভিতর তছনছ শুরু হয়ে গেল।
তারা কে নিজের কাছে এগিয়ে নিলাম।
তারা আমার পায়ের কাছে বসে ছিল।
আর আমি চেয়ারে।
।
তারা- উনি উনার দিকে আমাকে এগিয়ে
নিচ্ছেন আমি বুঝতে পারছি।
কিন্তু কেন নিচ্ছেন।
উন কেন এত কস্ট দেন আমাকে বুঝিনা।
কি দোষ আমার।
উনি এখনও আমার চুল ধরে আছেন।
আমি ব্যথায় শেষ হয়ে যাচ্ছি।
।
মেঘ - চুল হাল্কা করে ছারলাম।
অন্য হাত দিয়ে ওর চোখের পানি মুছে
দিলাম।
ওর মুখটা আমার খুব কাছে।
এখনও চোখ বন্ধ করেই আছে।
আমি তারার চোখে ১ টা চুমু দিলাম।
।
তারা- আমি কেপে উঠলাম।চোখ খুলে তার
দিকে তাকালাম।
উনি আমার দিকে তাকিয়ে আছেন।আমি
উঠেই দোড়।
।
মেঘ - তারা দাড়াও।
শোনো আমার কথা
তারা চলে গেল।
আমি ভুল করে ফেলেছি।
কি করছিলাম আমি ওর সাথে? ??
সকালে-
মেঘ - ও ১ টা কথাও বলল না আমার সাথে।
গাড়ি তেও চুপ ছিল।
আমি সরি বললাম তাও কিছু বললনা।
.
অফিসে -
হিয়া- তোর ফোন টা দে তো।
তারা - ব্যাগে আছে নে।
।
হিয়া- কিরে এটা কি? ? হেহেহে সবাই এটা
দেখো।
।
তারা- কিরে কি দেখে হাসছিস।
।
আরে এটা তুই সবাইকে দেখাচ্ছিস কেন।
।
মেঘ - কি নিয়ে এত হাসাহাসি হচ্ছে।আমি
যেতেই সব চুপ।
।
তারা- ফোন টা দে হিয়া।
।
মেঘ - হিয়ার থেকে ফোন টা নিলাম।
দেখে চোখ বেরিয়ে আসার মত অবস্থা।
।(এই ছবি ওদের দেখাচ্ছে)
তারার হাত ধরে কেবিন এ নিয়ে গেলাম।
।
হিয়া- ইশ ভুল টা আমার ছিল কিন্তু.......
।
তারা- আসলে.....
।
মেঘ - ১ ঝটকায় তারাকে কিস করে বসলাম।
।
তারা- আমি থ মেরে গেলাম।
মনে হচ্ছে আমি পাথর হয়ে গেছি।
।
কতক্ষন পর ছাড়ল জানিনা।
আমি নিচে বসে পড়লাম
মেঘ - তুমি অপমান আমাকে সবার সামনে
করেছ।
।
আর আমি আড়ালে।
কিন্তু এটা তুমি কখনই ভুলতে পারবে না।
এটার দাগ তোমার মনে চিরদিন রয়ে যাবে।
চাইলেও ভুলতে পারবেনা
।
তারা-
কেবিন থেকে বের হয়ে গেলেন।আমি ঠোট
মুছতে মুছতে কেবিন থেকে বের হলাম।
হিয়া - আমি সরি রে আমি বুঝতে পারিনি
স্যার এমন রিয়েক্ট করবে।
সস্যার কি তোকে বকেছে।
।
তারা- আমার ভাল লাগছেনা।
একটু একা থাকতে দে প্লিজ।
সারাদিন আর অফিসে দেখলাম না স্যারকে।
।
মামনি - কিরে মেঘ তুই একা?
মেঘ - তারা পরে আসবে রুমে চলে গেলাম।
।
শাওয়ারের নিচে শাওয়ার ছেড়ে দাড়ালাম।
কতক্ষন ছিলাম জানিনা।
।
মামনি - কিরে তুই এত ভিজে আছিস কেন?
।
তারা- কিছু না বলে উপরে চলে আসলাম।
উপরে যেতেই উনার সাথে দেখা।
মাথা নিচু করে রুমে চলে গেলাম।বাইরে
বৃষ্টি হচ্ছে তাই ভিজে গিয়েছিলাম।
।
মামনি - কিরে তারা খাবি না।
।
তারা- না মামনি আমার পেট ভরা।
।
মেঘ - মা আমার হয়ে গেছে।
আমি গেলাম।
।
মামনি - তুই তো কিছুই খেলিনা।
।
মেঘ - পেট ভরে গেছে।
।
আচ্ছা তারা খেল না তাতে আমার কি
সমস্যা হচ্ছে? ?
আমার কি তাতে??
না খেলে না খাক।
হুহ।
১১ টা বাজে-ঘড়ির দিকে তাকালাম।
মন দিয়ে কাজ ও করতে পারছিনা।
ল্যাপটপ বন্ধ করে।
নিচে গেলাম।
খাবার নিলাম।
।মিমি তারাকে দিয়ে আসো।
মিমি - দরজা নক করলাম
।
তারা- কে?
।
মিমি - ম্যাম আমি।
।
তারা- মিমি তুমি এত রাতে আর খাবার এনেছ
কার জন্য?
।
মিমি - স্যার আপনাকে দিতে বলল।
।
তারা - স্যার কে বল আমি খাব না
দরজা লাগাতে যেই যাব তখনি।
মেঘ - দরজা লাগানো আটকালাম।
মিমি দেও আমাকে আর তুমি যাও।
।
তারা- আমি খাব না বলেছি তো
।
মেঘ - তুমি খাবে তোমার ঘাড় খাবে।
।
খাও এখনি
।
তারা- না
।
মেঘ - রাগ উঠালে কিন্ত তোমার ই সমস্যা
হবে। বলে দিলাম।
।
তারা- আমি না খেলে আপনার কি সমস্যা
হচ্ছে।
।
মেঘ, ( সেটার উত্তর ও আমি খুজছি)
তুমি খাবে? নাকি আমি?
।
তারা- খাচ্ছি
( সকালে যা খাইয়েছে তারপর গলা দিয়ে
আর কিছু কি নামে? ??)
।
মেঘ - কি বির বির করছ?
।
তারা- না কিছু না।
খেয়ে নিলাম উনি চলে গেলেন।
।
মেঘ - কাল কে রাতে তারার সাথে তোলা
ছবি টা দেখছিলাম।
যেটা দিয়ে অকে ব্লাকমেইল করেছিলাম।
।
বাবা- তুই এত রাতে ফোন দিলি।
।
তারা- তুমি কবে আসবে বল তো।
।
বাবা- আর ২-১ দিন।
।
তারা- আচ্ছা।
রাতে খেয়েছ?
।
বাবা- হুম।
তুই এখন ঘুমা
।
সকালে -
মেঘ - এই কয়দিন ছাদে যাওয়া হয়নি।
ছাদে যেয়ে দেখি তারা দারিয়ে আছে।
ফুল গুলা দেখছে।
ঘ্রান নিচ্ছে।
আমি ১ টা ছবি তুলে নিলাম।
মনে হচ্ছে ফুলের পাশে আরেক টা ফুল।
।
তারা- স্যার চোখে চোখ পরল।
উনাকে দেখেই আমি নিচে নেমে এলাম।
।
মেঘ - ছবি টা বার বার দেখছি।
সন্ধায় -
মেঘ - আজ নিজের কফি নিজেই
বানাচ্ছিলাম। কফি হাতে নিয়ে যেই পিছে
ঘুরলাম ধাক্কা খেয়ে গরম কফি পরল তারার
পায়ে।
তারা- ও মা!
।
মেঘ -im sorry sorry.
.
তাড়াতাড়ি বরফ নিয়ে তারার পায়ে
লাগালাম।
পা লাল হয়ে গেছে।
কোলে তুলে নিলাম সোফায় বসালাম।
।
মামনি - কিরে কি হল।
।আরে পা তো লাল হয়ে গেছে।
মিমি বল এ ঠান্ডা পানি আন তারার পা
ডুবাতে হবে।
।
মেঘ - মা ওষুধ আনো ওর পায়ে লাগাতে হবে।
মিমি ঠান্ডা পানি আনল।
তারার পা ডুবিয়ে দিলাম
পা মুছে ওষুধ লাগিয়ে দিলাম।
।
তারা- আপনি এত ব্যস্ত হচ্ছেন কেন।
ঠিক হয়ে যাবে।
।
মামনি -( দেখে মনে হচ্ছে তারা না মেঘ ই
ব্যথা পেয়েছে)
।
তারা -একটু দাড়াতেই খুব কস্ট হচ্ছে উপরে
যাব কি করে?
।
মেঘ - কোলে তুলে নিয়ে উপরে গেলাম।
।
তারা- কি করছেন।
মামনি দেখছে।
।
মেঘ - দেখুক।
বিছানায় শুইয়ে দিলাম।
খুব ব্যথা করছে?
।
তারা- না তেমন না।
( আচ্ছা উনি এত চিন্তা করছে কেন? )
রাতে মামনি খাইয়ে দিয়ে গেল।
আরেক বার স্যার এসেছিল দেখতে।
।
সকালে -
মেঘ - অফিসে মন বসছিল না।
আচ্ছা তারা নেই কিন্তু তাই বলে আমার
অফিসে মন বসছে না কেন?
কি অদ্ভুত।
বাসায় চলে গেলাম।
।
মামনি - কিরে গেলি আর আসলি।
।
মেঘ - হুম ভাবছি কয়েক দিন অফিস যাব না।
।
মামনি - কেন?
।
মেঘ - এমনি.
উপরে যাই।
।
মামনি - বুঝছি তারা অফিসে নেই তাই।
কিন্তু মুখে কিছু বলবে না।
।
মেঘ - রুমে ঢুকে দেখি তারা হেডফোন এ গান
শুনছে।
।
তারা- আপনি?
এই সময়।
।
মেঘ - তোমার কি সমস্যা?
।
তারা- না তা না।
।
মেঘ - রুমে যেয়ে চেঞ্জ করলাম।
।
তারা- কিছুক্ষন পর পর ই আমাকে দেখতে
আসছেন ব্যপার কি।
বিকালে -
মেঘ - কি ব্যপার বিছানা থেকে নামছ কেন?
।
তারা- আর কত বসে থাকা যায় বলতো?
সরি বলেন তো।
আমার ভাল লাগছেনা
।
মেঘ - হুম বুঝে ছি।
তারাকে কোলে তুলে ছাদে গেলাম।
এখন ভাল লাগছে।
।
তারা- জি।
।চেয়ারে বসিয়ে দিলেন।
উনি পাশে বসলেন।
ফোন দেখছিলেন।
মেঘ - তারার খোলা চুল বাতাসে বার বার
আমার মুখে এসে পরছে।
কিন্তু আজ আমার বিরক্ত লাগছেনা।
ভালই লাগছে।
তারার দিকে তাকিয়ে ছিলাম।
।
তারা - স্যারের দিকে ঘুড়লাম।
।
মেঘ - তারার মুখের উপর আসা চুল গুলা কানের
পিছনে দিয়ে দিলাম।
।
তারা- হার্ট আবার রেস করা শুরু করে
দিয়েছে।
।
ঝিরি ঝিরি বৃষ্টি শুরু হল।
উঠব কি করে হাটতে তো পারছি না আর
উনার এই দিকে কোনো ধ্যান নেই।
।
তারা- স্যার!?
।
মেঘ - তারার ঠোটে আংগুল রেখে ওকে চুপ
করতে বললাম।
।
তারা - উনার ছোয়াতে কেমন যেন অনুভব হল।
।
উনি আরেক্টু কাছে এসে বসলেন।
আমি শক্ত হয়ে গেলাম।
মুখ সামনে আন্তেই আমি চোখ বন্ধ করে
ফেললাম।
তার আংগুল খেলা করছে আমার চুলের সাথে।
তার নি:শ্বাস আমি অনুভব করতে পারছি।
বৃষ্টির বেগ আস্তে আস্তে বারছে।
হঠাত ই উনি আমাকে কোলে তুলে নিলেন।
।
ছাদের এক কোনায় খুব সুন্দর ১ টা জায়গা
আছে যেখানে অনেক বড় ১ টা ছাতা রয়েছে।
তার নিচে বসার জায়গা।
।
উনি ওইখানে দাড়ালেন আমাকে টেবিল এ
বসিয়ে দিলেন।
।
বাতাসের সাথে হাল্কা হাল্কা বৃষ্টির
ফোটা গায়ে আসছে।
মাঝে মাঝে শীতে শিউরে উঠছি।
।
উনি সামনে দাড়িয়ে- আমার দিকে
তাকিয়েই আছে।
কি ভাবছে বুঝতে পারছিনা।
।
হঠাত বিদ্যুৎ চমকে উঠল।
১৫
..
হঠাত বিদ্যুৎ চমকে উঠল।
।
ওমা গো
।
মেঘ - তারা আমার বুকে মাথা গুজল। তারা
আমি আছি সাথে ভয় পেয় না। তারার মুখটা
উচু করলাম চোখ বন্ধ করে আছে। তারা- চোখ
বন্ধ করেই বললাম আমি ঘরে যাব। পক্ষনেই
আবার কোলে তুলে নিয়ে রুমে এলেন।
।বিছানা তে শুইয়ে দিলেন। পায়ে চুমু দিয়ে
চলে গেলেন।
আমি প্রায় লাফিয়েই উঠলাম।
।
সন্ধা তে-
বিছানায় বসে আছি।
বাইরে ঝড় হচ্ছে।
খুব ভাল লাগছে।
জানালা দিয়ে বাইরে হায় দিলাম।
কি ঠান্ডা।
হঠাত গিটার এর আওয়াজ শুনতে পেলাম।
স্যার এখন গিটার বাজাচ্ছে।
ওই দিন উনাকে জব্দ করতে গিয়ে উনার গান
শুনতে পারিনি ভাল মত।
গান এর গলা ভেসে এল-
"
আকাশ এতো মেঘলা যেও নাকো একলা
এখনি
নামবে অন্ধকার
ঝড়ের জল-তরঙ্গে নাচবে নটি রঙ্গে
ভয় আছে
পথ হারাবার ।
আঁধারো ছায়াতে চেয়েছি হারাতে
দু’বাহু
বাড়াতে তোমারি কাছে ।।
যাক না এমন
এইতো বেশ
হয় যদি হোক গল্প শেষ ।।
পূর্ন হৃদয় ভুলবে
সেদিন সময় শূন্যতার ।
আকাশ এতো মেঘলা
যেও নাকো একলা
.এখনি নামবে অন্ধকার
ঝড়ের জল-তরঙ্গে নাচবে নটি রঙ্গে
ভয় আছে পথ হারাবার।"
।
বাহ খুব সুন্দর গেয়েছেন।
একদম এই সময়ের জন্য পারফেক্ট।
মন হারিয়ে গেল গানে।
।
কিছুদিন পর পা ঠিক হল। মামনি - মেঘ আজ
কিন্তু মুহুল এর এংগেজমেন্ট আছে।
তুই আর তারা আজ তাড়াতাড়ি চলে আসবি। ।
মেঘ - তারার আজ যাওয়ার দরকার নেই
অফিস।
আমি সন্ধায় এসে তোমাদের নিয়ে যাব। ।
তারা- অবাক হলাম অনেক।
উনার ব্যবহার এত চেঞ্জ?
.
মামনি - কিরে এখানেই দাড়িয়ে থাকবি? ।
তারা- মামনি আমি যাব না।
।
মামনি - কেন?
।
তারা- আমি যেয়ে কি করব বলতো? আমি কি
কাওকে চিনি বলো? ?? কি করব ওইখানে
যেয়ে।
।
মামনি - চিনিস না গেলেই চিনবি। এত কথার
কি আছে।
চল আমার সাথে।
।
মামনি - কিছু কিনার আছে।চল
।
তারা- ওওকে
।
মামনি শপিং করছিল আর আমি ঘুড়ে ঘুড়ে সব
দেখছিলাম।
হঠাত চোখ আটকালো ১ টা চেইনে। লকেট টা
ছিল " তারার"
খুব সুন্দর।
আমার নামের সাথে মিল আছে। কিনে তখনি
গলায় দিলাম।
এটা গলাতেই থাকবে এখন থেকে। ।
মামনি কিনা হল।
।
মামনি - হ্যা চল।
।
বাসায় -
।
মামনি - নে এটা ধর।
।
তারা - কি এটা।
।
মামনি - উপরে যেয়ে পরে দেখ। আজ এটা
পরিস।
।
তারা- মামনি কি দরকার ছিল?
।
মামনি - তোকে এত দরকার বুঝতে হবেনা।
তারা- সুন্দর ১ টা কালো রং এর লং ৩ পিছ
কিনেছে আমার জন্য।
ওড়না টা লাল।
পরে দেখলাম খুব সুন্দর লাগছে। ।
সন্ধায় -
মেঘ - মা তুমি রেডি?
।
মামনি - হ্যা
।
মেঘ - আমি চেঞ্জ করে আসছি। আমার
আলমারিতে কালো আর সাদা রং ছাড়া অন্য
রং এর জিনিস পাওয়া যাবেনা। কালো টি
শার্ট আর কালো জ্যাকেট, কালো জিন্স
পরলাম।
সব কালো।
চুল তো এমনি খাড়া খাড়া। জেল মেরে আরও
খাড়া করলাম।
।
নিচে গেলাম।
কি বয়পার তারা নামে নি?
।
মামনি - চুপ থাক তো মেয়েদের ১টু সময়
লাগেই।
।
মেঘ - আচ্ছা আমি গাড়ি র কাছে গেলাম। ।
গাড়ি তে হেলাম দিয়ে দাড়িয়ে- ছিলাম।
হেডফোন লাগিয়ে গান শুনছিলাম আর ফোন
দেখছিলাম।
।
তারা- স্যার! স্যার! কোনো সারা শব্দ নেই। ১
কানের হেডফোন সরিয়ে" স্যারর র র র " ।
মেঘ - উফফফফ কি হইছে?
বলে তারার দিকে তাকালাম। তারাকে
দেখেই আমি ক্রাশ খেলাম। কালো জামাতে
এত সুন্দর লাগছে। আল্লাহ! চোখ গুলাতে গাঢ়
করে কাজল দেওয়া। ঠোটে হালকা গোলাপি
লিপ্সটিক। চুল গুলা বেণী করে ১ পাশে এনে
রেখেছে। এটা খারাপ লাগছিল।
।
মামনি - কিরে হা করে কি দেখিস? ।
মেঘ - পরি।
।
মামনি - কিহ?
।
মেঘ - না মানে চল তাড়াতাড়ি দেরি হয়ে
যাচ্ছে।
।
মামনি ( ডাল মে কুছ কালা হে)। ।
মেঘ - মা তুমি বসো আমি আসছি। তারার হাত
ধরে নিয়ে গেলাম। তারা চুল খোলো।
।
তারা- না।
।
মেঘ- খোলো বলছি।
।
তারা- না না না।
চলে আসছিলাম।
।
মেঘ - হাত ধরে নিজের সাথে জরালাম। চুল
নিজেই খুলে দিলাম।চুল হাতে নিয়ে কিস
করলাম।
যাও এখন।
তারা- পিছনে মামনির সাথে বসতে যেতেই ।
মেঘ - আমি কি ড্রাইভার যে ২ জন ই পিছে
বসছ?
।
মামনি - তারা তুই সামনে যা। তারা-হুম।
।
খালার বাসায় -
মেঘ - কিরে আবির তোর খবর কি?
।
তারা- স্যার আবির নামের ছেলের সাথে
কথা বলতে বলতে চলে গেলেন ভিতরে। ।
আমি আর মামনি ১টু সামনে যেতেই।
অজানা১- এই মেয়েটা কে আপনার সাথে? ।
অজানা২- মাশা আল্লাহ খুব মিস্টি মেয়ে
তো।
।
অজানা৩- তোমার ছেলের বউ নাকি? ।
তারা- এই কথা শুনে লজ্জা তে মনে হচ্ছিল
মাটিতে মিশে যাই।
।
মামনি - না আমার ছেলের বউ না। তবে হতেও
পারে।
তারা- এই কথা শুনে বাশ ঝাড় টা পুরাই
আমার উপর পড়ল।
।
অজানা৪- না হলে আমাকে বল আমার ছেলে
আছে।
।
মেঘ - এমন কথা শুনে আমার মাথা গরম হয়ে
গেল।
মেয়ে দেখলেই হইছে এদের। আর কাজ কাম
পায় না তখন।
।
তারার হাত ধরে মুহুল এর কাছে নিয়ে
গেলাম।
।
মুহুল - আমাদের হবু ভাবি নাকি? ।
তারা- (আল্লাহ জমি ফাক করো আমি ঢুকে
পরি।) না না
।
মেঘ - না না তেমন কিছু না।ও আমার অফিসে
কাজ করে।
ওর নাম তারা।
।
আর ও মুহুল।
আমার খালার মেয়ে।
।
মুহুল - তেমন কিছু না তা শুধু অফিস থেকে
ওকেই কেন এনেছ?
।
মেঘ - ও আমার বাসায় আছে কিছু দিনের
জন্য।
মুহুল - তাই নাকি।
।
মেঘ - জি।
তারা- hi.
মুহুল- hi
।
মুহুল - মেঘ ভাইয়ের কানে ফিস্ফিসিয়ে
বললাম " ভাই মেয়ে কিন্ত হেব্বি সুন্দর।
সময়ের সদ্ব্যবহার করো। নাহলে আশে পাশে
চেয়ে দেখ সব ছেলে তারার দিকে তাকিয়ে
আছে।
মেঘ - মুহুলের মাথায় টোকা দিলাম। অনেক
পেকে গেছ না?
।
মুহুল - হিহি।
তারা u r so cute.
.
tara- no u r so sweet.
.
মেঘ - আশে পাশে তাকালাম। দেখলাম সব
ছেলে তারাকে দেখছে।আর আমি জ্বলে
যাচ্ছি।
এত ওওকে দেখার কি আছে।
মেঘ - তুমি দারাও আমি আসছি।
।
আবির- hi. I'm ..... ?
তারা-আবির। i know. I'm tara.
।
আবির - তারা! wow খুব সুন্দর নাম তো। ।
bt তুমি কি করে জানলে আমার নাম আবির? ।
তারা- মেঘ স্যার তো তোমাকে সেই নামেই
ডাকলো।
।
আবির - মেঘ ভাই তোমার স্যার। ?
।
তারা- আমি তার অফিসে কাজ করি। ।
মেঘ - ওরা কি এত কথা বলছে। আর তারা তো
আবির কে চিনেও না এত কথার কি আছে? ।
তোমরা কি এত কথা বলছ?আবিরের কাধে
হাত রাখলাম।
।
আবির - ভাই পরিচিত হচ্ছি আর কি। ।
তারা- আমি মামনির কাছে গেলাম। ।
আবির - মামনি? ?
।
মেঘ - হুম। আমার মা।
মানে তোর খালা।
।
আবির - ( তারা ভাই কে বলল স্যার খালা কে
বলল মামনি মাজরা কি? ?)
।
মেঘ - কি ভাবছিস?
।
আবির - না কিছুনা।
আমি ওই দিক টাতে যাই।
তারা- মামনি!
।
মামনি - আরে কোথায় ছিলি এতক্ষন।
এইখানে বস।
।
এংগেজমেন্ট হয়ে গেল।
।
অজানা২- ভাবি তারাকে আমার খুব পছন্দ
হয়েছে।
আপনি যদি ওর বাবার সাথে কথা বলে
দেখতেন আরকি ভাল হত।
।
মেঘ - এক্সকিউজ মি।
মা চল।
।
মামনি - কোথায়। এখনও তো খাওয়া হলনা। ।
মেঘ - খাওয়া লাগবেনা চল তো তারা কই? .
।
মামনি - ওই দেখ মুহুলের সাথে। ।
মেঘ - মেঘ তারার হাত ধরে চল এখন। ।
মুহুল - আরে ভাই কি হয়েছে।
।
মেঘ - আমরা এখন বাসায় যাব। চল। ।
তারা- আরে এইভাবে টানছেন কেন। ব্যথা
লাগছে তো।
।মেঘ -
মা চল।
।
তারা- মামনির কানে ফিসফিস করে বললাম
মামনি কি হয়েছে উনার।
।
মামনি - কি জানি।
।
মেঘ -( দুনিয়াতে কি মেয়ের অভাব। যাকেই
দেখ তারার দিকে নজর দিচ্ছে) ।
গাড়ি ১ রেস্টুরেন্ট এর সামনে থামালাম। ।
মামনি - কিরে এইখানে কি হবে? ।
মেঘ - বাসায় যেয়ে ই কি রান্না করবা।
এইখান
থেকে খেয়ে যাই।
।
খেতে বসলাম -
।
মামনি - কিরে এত রেগে আছিস কেন? ।
মেঘ - কিছুনা চুপ করে খাও।
।
রাতে -
তারা- মামনির রুম থেকে নিজের রুমে
যাচ্ছিলাম।
দেখলাম উনি উনার রুমের সামনে দেওয়ালে
হেলান দিয়ে দারিয়ে আছে।
এত রাত এ এইভাবে কি করে কে জানে।
আমার কি? আমি ঘুমাতে যাই। সামনে দিয়ে
যেতেই টেনে একেবারে নিজের কাছে
নিলেন।
কি করছেন?
।
মেঘ - এত কথা কিসের হ্যা??
।
তারার- ( ছাড়ানোর চেস্টা করে) কিসের
কথা?
।
মেঘ - আবিরের সাথে? ওকে তো চিনো না
তো এত কথা কি বলছিলে?
তারা- সেটা আপনাকে কেন বলব। আমি কথা
বললে আপনার কি?
মেঘ - আমার কি তাই না। ওকে ঘুরিয়ে
দেওয়ালে লাগালাম।
আমার ১ হাত ওর কোমড়ে আরেক হাত
দেওয়ালে।
।
তারা- ঝড় এর বেগে আমাকে দেওয়ালে
লাগালেন।
ভয়ে উনার গেঞ্জি ধরে রেখেছি ২ হাত
দিয়ে।
চোখ বন্ধ করে।
আস্তে আস্তে চোখ খুললাম। দেখলাম চেয়ে
আছে আমার দিকে। কিন্তু চোখে কোনো
রাগ নেই। এইভাবে চেয়ে আছেন কেন?
কি হয়েছে বলুন তো।
।
মেঘ - হয়েছে কিছু ১ টা।
বলে গালে ১ টা হাত রেখে রুমে চলে
গেলাম।
।
তারা- এই পোলা আসলেই
পাগল।
১৬
.
মেঘ - কি বললা।
।
তারা- না না কিছুনা
বলেই চলে আদলাম।
উফফ শুনে ফেলেছে।
।
মেঘ - হাসলাম।
।
সকালে-
মেঘ - নিচে নেমেই অবাক হলাম। তারার
বাবা এসেছে।
.
আমি খুশি হতে পারলাম না। কারন তারা কে
নিতে এসেছে। স্যার আসসালামু আলাইকুম।
।
স্যার- ভাল আছ?
।
মেঘ - জি ভাল। আপনি?
।
স্যার - হুম ভাল।
তারা কি উঠে নি।
।
তারা - নিচে নামতেই দেখি বাবা। ।
বাবা আ আ আ।
জরিয়ে ধরলাম।তোমার খবর আছে। এত দিন
কেউ এইভাবে মেয়েকে রেখে বাইরে থাকে?
।
তারার বাবা- আরে ইচ্ছে করে আর থেকেছি
নাকি।
।
মামনি - কেন এইখানে তোর অসুবিধা হচ্ছিল।
।
তারা- মামনি কে জরায় ধরে কি যে বলনা। ।
তুমি তো একটা গুলু গুলু। উম্মমাহ।
।
মামনি - আপনি বসুন নাস্তা করুন। ।
তারা- আমি ব্যাগ গুছিয়ে আসি। মনের
আনন্দে উপরে গেলাম। কারন রাক্ষসের
কাছে আর থাকতে হচ্ছেনা। ।
মেঘ - আমি একটু আসছি।
।
উপরে গেলাম।
তারার রুমে তারা ব্যাগ গুছাচ্ছে। ।কি ব্যপার
খুব তাড়া মনে হচ্ছে।
।
তারা- জি নিজের বাসায় যাব বলে কথা।
মেঘ - না গেলে হয়না?
।
তারা - কি বললেন? ??
।
মেঘ - না কিছুনা
তারা- ব্যাগ নিয়ে দরজার দিকে যাচ্ছিলাম।
।হঠাত হাতে টান।অনুভব হল।
।
তারা - ঝরের বেগে মনে হল উনি উনার দিকে
নিয়ে গেলেন।
।
মেঘ - তারা জরিয়ে আছে আমার সাথে।
আমি তারাকে দেখছি।
ও চলে যাচ্ছে।
আমি মেনে নিতে পারছিনা। বুকের ভেতরে
কস্টের অনুভব বুঝতে পারছি। কেন চলে যাচ্ছ
তারা।
থাকনা প্লিজ।
।
তারা- কি হল কিছু বলবেন।
।
মেঘ - নাহ।
ছেড়ে দিলাম।
ও নিচে চলে গেল।
।
নাস্তা শেষ এ ওরা এখন বের হবে। মামনি -
তোকে খুব মিস করবরে। ।
তারা- আমিও।
।
মামনি - মাঝে মাঝে আসিস
।
তারা- আসব।
এখন যাই।
।
মেঘ - আমি নামিয়ে দিয়ে আসছি তোমাদ্রর
বাসায়।
।
স্যার - না না লাগবেনা।
।
মামনি - আরে মেঘ যা।
।মেঘ -
বাসায় নামিয়ে দিলাম।
তারা আজ আসেনি।
স্যার বলেছে আজ ওকে ছুটি দিতে। আমি
অফিসে এসে কাজ করতে পারছিলাম না।
অসহ্য যন্ত্রনা।
।
পরের দিন -
।
তারা- অফিসে আসলাম।
desk এ বসে কাজ করছিলাম।
।
মেঘ - তারা একটু কেবিন এ আসো। ।
তারা- জি স্যার বলুন।
।
মেঘ - পরশু যে মিটিং হবে তার সব রেডি? ।
তারা- সামান্য বাকি।
আমি করে দিচ্ছি।
।
মেঘ - এখানেই কর বাইরে যেতে হবেনা। ।
তারা- কাজ করছি।
।উনি এক বার বসছেন এক বার উঠছেন ।
আমার দিকেই তাকিয়ে আছেন।
।
অসহ্য এইভাবে তাকিয়ে আছেন কেন. ? ।
নিন হয়ে গেছে।
।
মেঘ - হুম।
যাও।
।
অফিস শেষ এ।
।
মেঘ - চল তোমাকে নামিয়ে দিয়ে আসি। ।
তারা- না লাগবেনা।
।
মেঘ - আমি বলছি চল।
হাত ধরে গাড়ি তে তুললাম। নামিয়ে দিলাম।
বাসায় ফিরলাম।
বাড়িটা খালি খালি লাগছে।
।
মা- কিরে এসে গেছিস।
।
মেঘ - হুম।
।
মা- বাসা টা কেমন খালি খালি লাগছেরে।
তারা ছিল কিত মজা হত।
এখন নেই।
মিস করছি ওকে।
।
মেঘ - রুমে চলে গেলাম।
ফোন বের করে ওর ছবি দেখতে লাগলাম।
মনে হচ্ছে ওর কাছে ছুটে যাই। পারছিনা
ওকে ছাড়া থাকতে। আমি তারাকে
ভালবেসে ফেলেছি। অনেক বেশি।
অকে ছাড়া থাকা সম্ভব না আর। ওকে আমার
চাই।
যে কোনো মুল্যেই।
তারা I love u love love u sooooo much.
তারার ছবিতে চুমু দিলাম।
।
পরের দিন-
অফিসে-
।
তারা - অফিসে যেয়েই দেখি আবির এসেছে।
হাই আবির।
।
আবির - হ্যালো।
ভাই good morning.
মেঘ - তুই? এইখানে?
।
আবির - তোমার অফিস দেখতে আসলাম। ।
মেঘ ( অফিস না তারা। আমি ভালই বুঝি)
তারা- আচ্ছা তোমরা কথা বল আমি যাই। ।
আবির - আরে যাবা মানে।
দারাও কথা বলি।
।
তারা- স্যারের দিকে তাকালাম। রাগ যেনো
চোখে ধরেনা।
না না আমি যাই।
হিয়া- কিরে ছেলেটা কে রে?
।
আবির - হাই।
।
হিয়া - হাই।
তুমি কে?
।
আবির - তোমাদের স্যারের ভাই। ।
হিয়া- এর আগে তো দেখি নাই এইখানে। ।
আবির - হুম।
আসি নাই।
।
হিয়া- তা আজ কি মনে করে?
।
আবির - ১ জন কে দেখতে আসলাম। ।
হিয়া- কাকে? স্যার কে?
।
আবির - ভাই কে দেখার কি আছে। এইখানে ১
টা ফুল আছে সেটা।
।
হিয়া - ফুল? ?!
।
আবির - তারা কি এত কাজ করছ আমাদের
সাথে কথা বল।
।
মেঘ - আবিরের কাজ দেখছিলাম দুর থেকে ও
যদি আমার ভাই না হয়ে অন্য কিছু হত তাহলে
ওর খবর ছিল।
রাগে মনে হচ্ছে ২ টা উস্টা মেরে আসি।
কিন্তু নাহ থাক ভাই তো
।
তারা-( এ এত কথা বলে কেন? আর আমার
পিছে লাগছে কেন? )
।
আবির- তারা কিছু বল।
।
মেঘ - তারা চল আমার সাথে।
।
আবির - কোথায় যাবা ??
।
মেঘ - মিটিং আছে।
।
তারা- কই আমিতো জানিনা।
।
মেঘ - সব তুমি জানলে আমার কি দরকার
ছিল?
।
তারা- ওহ! সরি।
চলুন।
।
মেঘ - গাড়ি তে উঠ।
১ টা পার্ক এর সামনে থামালাম গাড়ি। ।
তারা- মিটিং এখানে?
।
মেঘ - উহু।
।
তারা- তো এখানে আনলেন যে?
।
মেঘ - চুপচাপ এইখানে বসে থাকো। ।
তারা- ( ব্যাপার টা কি হল) চেয়ে দেখি উনি
ফোন দেখছেন। আমি উঠে পাশেই হাটছিলাম।
।
আরে ওকে দেখে সিয়াম এর মত লাগছে।
সামনে যেয়ে দেখিতো।
।
সিয়াম - আরে তারা তুই।
।
তারা- কত দিন পর দেখা।
কলেজ শেষে তো আর দেখাই হয়নি। ।
মেঘ - কিরে কই গেল?
আরে কার সাথে কথা বলছে। তুমি এইখানে
কি করছ তারা।
।
তারা- ও আমার....
।
মেঘ - এত কথা শুনার টাইম নাই হাত ধরে
গাড়ি তে উঠালাম।
।
তারা- রাগ যা হচ্ছিল বলার মত না। অফিসের
সামনে গাড়ি থামতেই নেমে গেলাম।
রাগে ১ দৌড় এ উপরে চলে গেলাম। ।
মেঘ - আমাকে রাগ দেখানো হচ্ছে তাই না। ।
উপরে গেলাম
তারা তোমার সাথে আমার কথা আছে আমার
কেবিন এ আসো।
।
তারা- পারবোনা।
।
হিয়া- আরে স্যার ডাকছে কি করছিস তুই ।
তারা- ডাকুক।
।
মেঘ - তারার কাছে যেয়ে তারার হাত টা
শক্ত করে ধরলাম।পরে কেবিন এ নিয়ে
গেলাম।
।
হিয়া- (মনে হচ্ছে পুরা ডাল ই কালা). ব্যপার
টা দেখতে হচ্ছে।
।
তারা- কি হয়েছে? এইভাবে নিয়ে আসলেন
কেন এইখানে?
।
মেঘ - তুমি আমাকে রাগ দেখাচ্ছ কেন? ।
তারা- আপনাকে আর রাগ দেখালাম কই ( মুখ
ঘুরিয়ে)
।
মেঘ - আমার দিকে তাকিয়ে কথা বল ।
তারা - পারবো না।
।
মেঘ - রাগ চরম আকারে উঠে গেছে। ।
তারাকে দেওয়ালের সাথে ধরে ওর মুখ এক
হাত দিয়ে চেপে ধরলাম।
আমার দিকে তাকাতে পারবেনা মানে।
।
১৭
.
মেঘ - রাগ চরম আকারে উঠে গেছে।
।
তারাকে দেওয়ালের সাথে ধরে ওর মুখ এক
হাত দিয়ে চেপে ধরলাম।
আমার দিকে তাকাতে পারবেনা মানে।
।
তারা- আমার ব্যথা লাগছে।
।
মেঘ - লাগুক।
।
তারা- আপনার সমস্যা কি বলেন তো।
।
মেঘ - তুমি অন্য ছেলেদের সাথে এত কি কথা
বল।
।
তোমার বাবাকে বলব।
।
তারা- তাকে সরিয়ে
আপনি কি বলবেন হ্যা
ও আমার কলেজ বন্ধু।
ওকে আমার বাবা চিনে।
আর ওইটা আপনার ই ভাই যে সেধে সেধে
এসে আমার সাথে কথা বলছে আমি বলিনি।
আর তাছাড়া আমি কথা বললে আপনার কি
সমস্যা? ?(চিতকার করে)
।
মেঘ -( চিতকার করে) i love you damn it.
don't you get it?
i love u.
।
তারা- (অবাক হলাম প্রচুর। কিন্তু তার প্রতি
আমার কোনো ফিলিংস নেই।আগেই বলে
দেওয়া ভাল
।)
sorry bt i don't love you.
।
মেঘ - why? why not?
তারা- এর উত্তর আমার কাছে নেই।
just leave me alone.
.
মেঘ - তারাকে ২ হাত দিয়ে ধরে ঝাকিয়ে
তুমি আমাকে ভালবাসো না কেনো?
।
তারা- u r hurting me.
let me go.
i just don't wanna see ur face.
leave me.
মেঘ - I won't. u r mine.
I'll make u mine.
তারা- (তাকে সরিয়ে) ছাড়ুন। ধরবেন না
আমাকে।i hate u.
hate you.আপনার কোনো অধিকার নেই আমার
উপর।
।
মেঘ - অধিকার আমি তৈরি করে নিব।
বলেই তারার চুল শক্ত করে ধরলাম
।
তারা- হাত দিয়ে জোরে জোরে পিঠে ঘুষা
দিচ্ছিলাম।
।
মেঘ - তারার হাত ২ টা দেওয়ালে ২ হাত
দিয়ে আটকে ধরলাম।
।
।
তারা- চোখ দিয়ে পানি বেয়ে পরছিল।
।
মেঘ -
তারা তোমার উপর এখন থেকে শুধু আমার
অধিকার আর কারো না।
তুমি আর কারো হতে পারবেনা। আমি হতে
দিব না।
and I'll make sure of that.
u r mine. you will remain mine always and
forever.
got it.
u better got it.
.
তারা- im not urs.
and i wont be.
.
মেঘ - তারার মুখ ধরে সেটা আমি দেখে নিব
sweethrt.
।
তারা- হাত সরিয়ে u bloody hell.
go to hell.
বলেই কেবিন থেকে বেরিয়ে গেলাম।
।
হিয়া - কি হিয়েছে তারা।
।
তারা - ব্যাগ নিয়ে অফিস থেকে বেরিয়ে
গেলাম।
সোজা বাসায়।
।
বাবা- কিরে এত তাড়াতাড়ি চলে আসলি।
।
তারা- কাজ শেষ।
আমি রুমে গেলাম।
আয়নার সামনে দাড়ালাম।
টিস্যু র প্যাকেট এ যত টিস্যু ছিল ঠোট মুছে
শেষ করে দিলাম।
i hate u hate u hate u
megh.
i hate u.
।
২ দিন পর-
।
মেঘ - তারা ২ দিন অফিসে আসেনি।
এইটা দেখে আমার মাথা খারাপ হয়ে
যাচ্ছে।
আমি তারাকে দেখতে পাচ্ছিনা।
আমার ফোন ও তুলছেনা ।
।
বাবা- কিরে তারা তুই ২ দিন অফিস যাচ্ছিস
না যে।
।
তারা- বাবা আমি আর জব করব না।
আমাকে আর অফিস যেতে বল না।
।
বাবা - কেন কিছু হয়েছে? মেঘ কে ফোন
দিব।
।
তারা- না বাবা।
আসলে আমি আর জব করতে চাই না।
আর ভাল লাগেনা।
।
বাবা - আচ্ছা।
।
মেঘ - ফোন দিচ্ছি বার বার কেটে দিচ্ছে।
উফফ।।
দাড়াও আমি আসছি। এখনি ওর বাসায় যাব।
.
তারার বাবা- তারা কে এসেছে দেখ তো মা।
।
তারা- আমি পারব না। তুমি দেখো।
।
বাবা- দরজার খুললাম।
আরে মেঘ তুমি? হঠাত?
।
মেঘ - অসময় চলে আসলাম স্যার।
।
স্যার - না ।ভেতরে আসো বাবা।
।
মেঘ - কেমন আছেন স্যার?
।
স্যার - ভাল। তুমি? আর তোমার মা?
।
মেঘ - সব ভাল।
।
স্যার- আচ্ছা তারা হঠাত জব ছেড়ে দিল কিছু
হয়েছে?
।
মেঘ - না কিছু হয়নি।
( তার মানে স্যার কে কিছু বলেনি)
।
তা তারা কোথায়?
।
স্যার- দারাও ডাক দিচ্ছি।
তারা! তারা!
।
তারা- কি হয়েছে বা.......(এই রাক্ষস
এইখানে)
।
কি হয়েছে বাবা?
।
বাবা: দেখ মেঘ এসেছে।
।
তারা- সে তো দেখতেই পাচ্ছি।
কি দরকারে এসেছে সেটা জিজ্ঞেস করো।
।
বাবা- কি হচ্ছে কি তারা।
এটা কেমন ব্যবহার?
।
মেঘ - স্যার it's ok.
।স্যার আমি ১টু ওয়াশরুমে যাব। কোন দিকে
যেতে হবে।
।
বাবা- তারা দেখিয়ে দিয়ে আয়।
।
তারা- আমি যাব না। তুমি যাও।
বাবা- তোকে যেতে বলেছি তুই যা।
তোর ব্যবহার দেখে আমার লজ্জা হচ্ছে।
।
তারা- রাগ টা চেপে রাখলাম। চলুন।
।
মেঘ - অন্য ঘরে যেতেই তারাকে জরিয়ে
ধরলাম।
এত দিন অফিসে আসলানা কেন?
।
তারা- কি করছেন কি ছাড়ুন।
।
মেঘ - চেচামেচি করলে তোমার ই সমস্যা
হবে।
।
তারা- কি চান আপনি?
।
মেঘ - তোমাকে সেটা কি তুমি জানোনা।
জানপাখি।
।
তারা- mind ur words.
আপনি এখন যান এইখান থেকে।
আপনাকে আমার দেখতে ইচ্ছে করছে না।
।
মেঘ - তোমাকে না দেখে আমি থাকতে
পারছিনা।
।
তারা- আপনি ১ টা পাগল।
।
মেঘ - তোমার জন্য। তুমি বুঝনা।
।
তারা- ছাড়ুন আমাকে।
বাবাকে কিন্তু ডাক দিব।
।
মেঘ - দেও। ভাল হবে আরো।
তোমাকে আমাকে এইভাবে দেখবে তার পর
তোমার আমার বিয়ে দিয়ে দিবে।
কত ভাল হবে।
দারাও আমিই ডাক দিচ্ছি।
স্যা....
।
তারা- হাত দিয়ে মুখ চেপে ধরলাম।
।
কি করছেন।?
মেঘ - কি আর করছি ডাকছি স্যারকে।
।
তারা- মহা মুসকিল তো।
আপনি এখন যান তো।
।
মেঘ - তা তো যাবই জানপাখি।
।
তারা- এটা আমাকে বলবেন না তো।
আমার বিরক্ত লাগে।
।
মেঘ - তাজলে কি ডাকব তুমি বলে দেও।
আপনার এত ডাকতে হবেনা।
আপনি যান এখন।
।
মেঘ - don't u get it tara i seriously love you.
.
তারা- bt i don't. just go.
মেঘ - কেন?
।
তারা- আপনাকে কি বলিনাই আপনার প্রতি
আমার কোনো ফিলিংস নেই।
।
মেঘ - ফিলিংস এখন নেই ঠিক। কিন্তু পরে
ঠিকি হবে দেখ তুমি।
তারা- হবে না হবেনা হবেনা।আপনার কথাও
আমার ভাবতে ইচ্ছে করেনা আবার ফিলিংস।
।
মেঘ - ভাবতে না চাইলেও ভাবতে হবে।
।
তারা- না না না।
।
মেঘ - challenge?
tara-okey
মেঘ - ঠিক আছে বলেই তারাকে চুমু দিয়ে
বসলাম।
তারার এক হাতের আংগুল এ নিজের আংগুল
গুজে তারার পিঠে ওর হাত আটকালাম।
।আমার আরেক হাত ওর মাথায়।
তারা আরেক হাত দিয়ে আমার পিঠে কিল
ঘুসি যা পারছে দিচ্ছে।
কিছুক্ষন পর ওকে ছেড়ে দিয়ে বললাম এখন
সারাদিন সারারাত এইটা নিয়ে ভাবতে না
ভাবতে চাইলেও মনে পরবেই আর সাথে
আমার কথা।
দেখি আমাকে নিয়ে না ভেবে তুমি যাও কই।
তারা বিছানায় বসে পরল।
আমি বেরিয়ে আসলাম।
।
স্যার- এখনি চলে যাচ্ছ। খেয়ে যাও।
।
মেঘ - না স্যার আমার কাজ আছে।
আসি আজ তাহলে।
।
তারা - খাটাশ, শয়তান, এনাকোন্ডা।
ভাবলাম অফিস ছাড়লে আর জালাবেনা।
এখন বাসায় এসে টর্চার করছে। উফফ! !!!!
আল্লাহ বাচাও আমাকে।
।
মেঘ - রাত ১১ টা ঘুম আসছেনা।
গিটার নিয়ে ছাদে গেলাম।
কিন্তু গিটারে সুর তুলতে পারছিনা।
মনে হচ্ছে সব ভুলে গেছি।
১ টা সিগারেট ধরালাম।
২-৩ মাসে ২-১ টা খাই আরকি।
কেউ জানেনা।
ভাবছি তারাকে কি সত্যি আপন করে পাব। ও
কি আমার হবে কনোদিন। অসহ্য যন্ত্রনা হয়।
তারা কেন বুঝেনা।
ঘড়ির দিকে তাকালাম রাত ১ টা।আকাশে
মেঘ চাদের সাথে খেলা করছে।
ঠান্ডা বাতাস বইছে।
রোমাঞ্চকর পরিবেশ।
ফোন বের করলাম দেখি তারাকে ফোন
দিয়ে ঘুমিয়ে গেছে নাকি।
,যত বার ই ফোন দিচ্ছি তত বার ই ফোন কেয়ে
দিচ্ছে।।
মানে জেগে আছে।
১৮
.
তারা- এত বার বারকেটে দিচ্ছি তাও ফোন
দিচ্ছে। উফফ।
এখন আবার মেসেজ দিচ্ছে। দেখি তো কি
লিখছে-' ফোন ধর না হলে বাসায় চলে আসব'
।
সাথে সাথে ফোন রিসিভ করলাম।
কি হইছে এত রাতে ফোন দিচ্ছেন কেন?
।
মেঘ - জেগে জেগে কি করছ?
মুভি দেখছ।
।
তারা- হ্যা তা আপনার কি?
।
মেঘ - এখনি ল্যাপটপ অফ করো।
।
তারা- না।
।
মেঘ - আমাকে কি আসতে হবে।
।
তারা- আচ্ছা আচ্ছা করছি।
শয়তান ১ টা।
।
মেঘ - কি বললা।
।
তারা- কিছুনা।
gd night.
আমার ঘুম পাচ্ছে।
।
মেঘ - এই এই শুনো।
।তারা- আবার কি?
।
মেঘ -আমি জানি তুমি আমাকে ভাবছিলে।
আর শোন কাল কে সন্ধ্যা বেলা রেডি হয়ে
আমার অফিসের সামনে চলে আসবা।
।
তারা- মানে কি?
।পারব না আমি.
মেঘ - পারবে পারবে ঠিকি পারবে। আর শুন
কালো রং এর ১ টা শাড়ি পরবে।
।
তারা- আমি শাড়ি পরতে পারিনা।
আর আমমি আসবো ও না।
।
মেঘ - না আসলে আমি তুলে নিয়ে আসব। তখন
বুঝবে ঠেলা।
।
তারা- উফফফ। আচ্ছা ঠিক আছে আসব।
রাখি।
উফফ এই রাক্ষস টা আমার জীবন টা তুলা ধুনা
করে দিল।
।
সকালে-
।
তারা- ফোনের শব্দে ঘুম ভাংল। ফোন না
দেখেই রিসিভ করলাম।
ওই কেরে তুই এত সকালে ফোন দিছিস কেন
রে?
।
মেঘ - তারারারা! !!
।
তারা- সাথে সাথে উঠে বসলাম।
আপনি?
।
মেঘ - হুম তো কে ভেবেছিলে
আর এত সকাল কই।
ঘড়ির দিকে তাকাও ৯ টা বাজে।
।
তারা- তাতে কি? দেখা করার কথা তো
সন্ধায়।
।
মেঘ - জান পাখি দেখা করার জন্য মনে
হচ্ছে পাগল হয়ে যাচ্ছে।
।
তারা- হুহ
মেঘ - আচ্ছা এখন রাখছি। সময়মত চলে এসো।
তারা- দেখা করার জন্য মরছি my foot.
।
পরের দিন।বিকালে -
তারা- ওই লোক জানেনা আমি শাড়ি পরতে
পারিনা।
অবশ্য জানবেই কি করে।
এখন কি করি?
হিয়াকে ফোন দিলাম।
ওকে অফিস শেষ এ বাসায় আসতে বলেছি।
।
হিয়া- কিরে হঠাত বাসায় আসতে বললি।
।
তারা- দোস্ত তাড়াতাড়ি শাড়ি পরা শিখায়
দে আমারে।
।
হিয়া- শাড়ি পরে এখন কই যাবি।
।
তারা-( এমনি দেরি হয়ে গেছে।
ওই ভাল্লুক যদি বাসায় চলে আসে)
তুই এত কথা রাখ তো শাড়ি পরায় দে আগে।
পরে সব বলবনে
ফোন বেজে উঠল।
হায় হায় ভাল্লুক ফোন দিচ্ছে।
১ টা মেসেজ পাঠাই।
রেডি হয়ে অফিসের ওইখানে যেতে যেতে
দেড় ঘন্টা লেগে গেল।
।
রিক্সা দিয়ে নেমে দেখি গাড়ির সাথে
হেলাম দিয়ে দাড়িয়ে- আছে।
হঠাত আমার ফোন বেজে উঠল।
চেয়ে দেখি উনি।
উনি পিছনে তাকালেন।
।
মেঘ - এতক্ষন লাগে? ?
বাহ তোমাকে তো দারুন লাগছে।
।
তারা- মুখ বাঁকালাম।
।
মেঘ - হায় মে মার গায়া।
হেহেহে।
।
তারা - গা জ্বলে যাচ্ছে আমার। হাসবেন না।
।
মেঘ - আচ্ছা গাড়ি তে ঊঠো।
।
তারা - পারব না।
যা বলার এখনি , এএইখানে বলেন।
।
।মেঘ - উঠবে না উঠাব?
তারা-
উঠছি উঠছি।
।
মেঘ - ১ কথা ১ বার বললে শুন না কেন?
এইটাই তো তোমাদের মেয়েদের স্বভাব ১
কথা ১ বার বুঝনা।
বার বার বলতে হয়।
।
তারা- মেয়েদের উপর PHD করছেন?
।
মেঘ - না শুধু তোমার উপর।
তারা- কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন? ?
।
মেঘ - kidnappe korchi তোমাকে।
।
তারা- কিহ??
।
মেঘ - এত কথা বল কেন?
চুপ করে বসো।
দেখবেই তো কয়েক মিনিটপর।
।
তারা - ১ টা জায়গায় গিয়ে গাড়ি থামল। খুব
সুন্দর ১ টা বাড়ি দেখিলাম ভেতরে গিয়ে।
বাড়ির
চারিদিক ফুলের বাগান দিয়ে ঘেরা।।
বাড়ির সামনে ১ টা বিশাল পুকুর।
পাশেই বসার জন্য সুন্দর করে লোহার চেয়ার
পাতা আছে।
।
তারা - এটা কার?
।
মেঘ - আমার বাবা খুব শখ করে
বানিয়েছিলেন।
আমার ছুটি থাকলে আমরা ৩ জন এইখানে ছুটি
কাটাতে আসতাম।
কিন্তু বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে মা
এইখানে আর আসতে চান না।
তাই এইখানে আর আসা হয়না।
আমি মাঝে মাঝে আসতাম।
এখন আর আসার সময় পাইনা।
।
তারা- আমি মনোযোগ দিয়ে তার কথা
শুনছিলাম।
।
মেঘ - কিন্তু বিয়ের পর আমি আর তুমি
এইখানে এসে এসে থাকব।
একা কিছু সময় পার করব।
।
তারা- wait. wait.কার বিয়ে? ? আমার আর
আপনার? ? r u out of ur mind? ? r u listening
urself? ??
.
মেঘ - এত react korar কি আছে।
আমাদের তো বিয়ে হবেই।
।
তারা- আমি আপনার সাথে দেখা করতে
এসেছি তার মানে এইনা যে আমি আপনাকে
পছন্দ করি।
আর আপনার বাসায় ছিলাম বলে আমাকে
আপনার অধিকার মনে করে নিবেন না।
মেঘ - তারার হাত ধরে - tara i really love you.
i want u in my life.
আমি তোমাকে অনেক ভালবাসবো তারা।
blv me
।
তারা- দেখুন এখন পর্যন্ত আমি বাবা কে কিছু
বলিনি কারন আমি চাইনা বাবা আপনার
সম্পকে খারাপ ভাবুক।কিন্তু এরপর....
।
মেঘ - তারার গাল ২ টা ২ হাত দিয়ে ধরলাম -
কিন্তু এরপর বলে দিবে তাইতো? বলে দেও।
আমার কিছুই আসে যায় না।
তারা আমি শুধু তোমাকে চাই।
।
তারা- আমি আপনাকে চাইনা। আর এরপর
আমার সাথে দেখা করা বা ফোন করার
চেস্টা করবেন না। এর ফল ভাল হবেনা বলে
দিলাম।
।মেঘ - তারা আমার কথা টা শুন। প্লিজ
দাড়াও।
।
নাহ তারাকে এইভাবে রাজি করানো সম্ভব
না।
অন্য কিছু ভাবতে হবে।
।বাসায় চলে আসলাম।
।
পরের দিন -
।
বাবা- কিরে নাস্তা করে নে।
।
তারা- বাবা আমার ইচ্ছে করছেনা।
।
বাবা- এইখানে বস কথা আছে।
।
তারা- বল।
।
বাবা- দেখ তারা মেয়েরা জন্মা ঈ পরের
ঘরে যাওয়ার জন্য।
তুই ও তো বড় হয়েছিস।
তাই ভাবছিলাম।
।
তারা- বাবা তুমি কি বলতে চাচ্ছ বুঝেছি। যা
খুশি কর।
আমি রাজি আছি ( ওই ভাল্লুক থেকে বাঁচতে
হলে বাবার কথা শুনাই ভাল)
।
বাবা- তুই সত্যি বলছিস।
আমি ১ টা ছেলে ঠিক করেছি ওর নাম।
।
তারা- বাবা আমার শুনার বা জানার কোন
ইচ্ছে নেই।
।
বাবা- কিন্তু ছেলে সম্পর্ক এ জানবিনা??
ওরা কালকে সন্ধায় আসবে বলেছে।
।
তারা- ওদের আসতে বল।
আমি রাজি।
উঠে রুমে গেলাম।
।
বাবা- তামি তাহলে ওদের জানিয়ে দেই।
তারা-
যাক এখন উনি কি করবে আমি তাই দেখব।
।
রাতে-
।
মেঘ - তারাকে ১ টা ফোন দেই।
খুব কথা বলতে ইচ্ছে করছে
.
তারা- ওই ভাল্লুক ফোন দিয়েছে হেহেহে
দাড়াও নিউজ টা বলি কি যে shock খেতে
চলেছে নিজেও জানেনা।
হ্যালো।।
মেঘ - কি করছ?
।
তারা- আপনি যখন ফোন দিয়েছেন ই তাহলে ১
টা সুখবর দেই আপনাকে।
।
মেঘ - বল।
।
তারা- শুনে আবার মরে যেয়েন না। সবার
আগে আপনাকেই জানাচ্ছি।
চলে আসবেন।
আমার বিয়ে ঠিক হচ্ছে।
কাল কে ছেলে পক্ষ আসবে।
ছেলে যেমন ই হক আমি ওকেই বিয়ে করব।
এটা হবে আপনার উপর আমার চরম প্রতিশোধ।
বলেই ফোন কেটে দিলাম।
১৯
.
মেঘ - কাল কে তোমার সাথে কি হতে
চলেছে তা তুমি নিজেও জানোনা তারা।
আজকের রাত টা ঘুমিয়ে নেও শান্তি তে।
কাল কে থেকে ঘুম হারাম হবে তোমার।
হাহাহা।
।
সকালে -
তারা- সকালে উঠে দেখি বাবা তোড়জোড়
শুরু করে দিয়েছে।
মিলি আনটি ও এসেছে।
তারা ২ জন মিলে সব করছে।
।
বাবা- তুই দুপরেই হিয়াকে চলে আসতে বলিস।
।
তারা- হুম। আমি ফোন করে জানিয়ে দিচ্ছি।
হিয়া কে ফোন করে জানিয়ে দিলাম।
বিকালে হিয়া চলে আসল।
হিয়া আমাকে রেডি করে দিচ্ছিল।
তারা- হিয়া শুধু কাজল দিয়ে দে।
আর কিছু দরকার নাই।
।
বাবা- তারা হয়ে গেছে কি? ? ছেলেরা চলে
এসেছে।
আমি ওদের দেখি হিয়া ওকে ডাকলে নিয়ে
আসিস।
।
তারা- বুকের ভিতরে ধুক ধুক করছে।
অজানা এক ভয় চেপে ধরেছে।
হাত পা ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে।
হিয়ার হাত শক্ত করে চেপে ধরলাম।
।
হিয়া- এত ভয় পাচ্ছিস কেন?
আমরা তো আছি।
।
তারা- আমার কেমন যেন ভয় লাগছেরে।
বাবার ডাক শুনতে পেলাম।
হিয়া আমি যাব না।
।
হিয়া- ওই তুই কি বলছিস? ? নিজে কি শুনতে
পাচ্ছিস কি বলছিস।
।চল চল।
।
তারা- হিয়া টেনে টেনে রুম থেকে বের
করল।
আমি হিয়ার পিছন পিছন সামনের রুমের
দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।
মনে হচ্ছে ভয়ে আমি জমে যাচ্ছি।
আমি হাটতেও পারছিনা।
।
হিয়া- ঠেলতে ঠেলতে তারা কে সামনের রুম
পর্যন্ত আনলাম।
সামনের রুমে যেয়ে ছেলে কে দেখে আমি
আকাশ থেকে পরলাম এটা তারার হবু বর? ???
তারাকে খুঁচা দিলাম।
।
তারা- কি হল ( মিন মিন করে)
।
হিয়া- সামনে তাকিয়ে দেখ।
।
তারা- ভয়ে ভয়ে আস্তে আস্তে সামনের
দিকে চাইলাম।
"আপনিইইইইইইইইই"
পাশে মামনি বসা।
আমি বাবার দিকে তাকালাম।
।
বাবা - হ্যা। কাল কে এটাই তো বলতে
চেয়েছিলাম।
তুই ত বলতে দিলিনা।
।
মামনি -এখানে এসে বস আমার পাশে।
।
তারা- আমি বাবা কে নিয়ে অন্য রুমে
গেলাম।
।বাবা আমি এই বিয়ে করবনা
।
বাবা - দেখ তারা এটা এখন সম্ভব না।
তুই কাল কে মানা করলে আমি ওদেএ মানা
করে দিতাম।
কিন্ত ওরা এখন চলে এসেছে
আমি এখন কিছু করতে পারব না। এটা অদের
অপমান করা হবে।
তাছাড়া মেঘ খুব ভাল ছেলে।ও তোকে খুব
সুখে রাখবে।
।
তারা- কিন্তু বাবা! ?
।
বাবা - আমি কিছু শুনতে চাইনা।
চল।
।
তারা- মামনির পাশে বাবা বসিয়ে দিল।
আমি মাথা নিচু করে বসে ছিলাম।
মামনি আংগুল এ রিং পড়িয়ে দিল।
পরে আমি চলে আসলাম।
।
মেঘ - মা আমি তারার সাথে দেখা করে
আসি। তোমরা কথা বল।
।
তারার রুমে যেতেই দেখলাম তারা হাত
থেকে চুড়ি গুলা খুলে মেঝেতে ফেলছে।
রিং টা খুলার ট্রাই করছে।
।
একদম ওটা খুলবে না।
।
হিয়া- স্যারের কথা শুনে আমি রুম থেকে
বেরিয়ে গেলাম।
।
মেঘ - আমি দরজা টা লাগিয়ে দিলাম।
।
তারা- কি করছেন দরজা লাগাচ্ছেন কেন??
খুলুন বলছি।
।
মেঘ - ওর হাত নিয়ে রিং টা আবার ঠিক করে
দিলাম।
।
তারা- ১ ঝটকায় হাত সরিয়ে নিলাম।তার
দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে ছিলাম।ব্যপার
তা হল কি? ?? এত রাগ লাগছিল কথারা যেন
ভাষা হারিয়ে ফেলেছে
।
মেঘ -হ্যা হ্যা বুঝতে পারছি খুব রাগ লাগছে।
কিন্ত তুমি তোমার ভুলের জন্যই ফেঁসেছ।
যাক ফ্লাশ বেক টা শুন।
তুমি চলে যাওয়ার পর আমি বাসায় যাই।
তারপর-(
মেঘ - মা আমি কিছু তোমাকে বলতে চাই।
।
মামনি - বলে ফেল।
।
মেঘ - আমি তারা কে বিয়ে করব।
।
মামনি - আমি কি কানে ভুল শুনছি।তুই ঠিক
আছিস? ? তুই আমার মেঘ ই তো নাকি ওর রুপে
অন্য কেউ।
।
মেঘ - উফফফ মা চুপ কর তো।ওর বাবাকে বলে
দেখো।
আর হ্যা আমি উত্তর টা হ্যা ই শুনতে চাই।
)
তারপর আর কি তোমার বাবার সাথে মা কথা
বলল।
কিন্তু তুমি রাজি শুনে আমার খটকা লাগল।
তাই রাতে তোমাকে ফোন দিয়েছিলাম।
তোমার কথা শুনে বুঝলাম তুমি জানোনা
আমার কথা।
তাই পরে স্যার কে ফোন করে আমার কথা টা
বলতে মানাইই করে দিলাম।
।
তারা- আর আমি যদি মানা করতাম তখন?
।
মেঘ - তখন অন্য ব্যবস্থা করতাম।
তারা কে কাছে টেনে নিলাম। কানের
কাছে মুখ নিয়ে বললাম " তোমাকে তুলে
নিয়ে যাওয়া ছাড়া উপায় থাকত না"
তারার চেহারা তখন দেখার মত ছিল।
।
তারা- ১ ধাক্কায় সরিয়ে দিলাম।
।
মেঘ - এইভাবে আর কত সরাবে বলতো।
শেষ মেশ তো আমার কাছেই যেতে হবে।
রেডি থাকো।
কিছুদিন পর ই আমাদের বিয়ে।
।বলে চলে আসলাম।
।
তারা- কি কিসমত আমার।
আমার ভাগের সুখ আল্লাহ লিখতে ভুলে
গেছে। না হলে ট্রাকের সামনে প্রে মারা
গেছে। লাশ টাও পেলাম না।
এএএএএএএএএ। এটা কি হল আমার সাথে।
।
মেঘ - রাতে তারাকে ফোন দিলাম।
মেয়েটা ফোন ধরছেনা।
খুব কথা বলতে ইচ্ছে করছিল।
মেসেজ দিলাম " জান ফোন টা ধর"
।
তারা" কে আপনার জান হ্যা"
।
মেঘ - কেন তুমি
।
তারা- মুরি খান হুহ
।
মেঘ - তুমি খাইয়ে দিয়ে যাও।
।
তারা- কেন হাত নেই
।
মেঘ - তোমার হাতে খাব।
।
তারা- আহ্লাদ এ আর বাচলাম না।
।
মেঘ - এই ফোন টা ধরনা প্লিজ
তারা- পারব না।
।
মেঘ - ধরবে না তো?
তারা- না।
।
মেঘ - ঠিক আছে। রেডি থাকো আমি আসছি।
।
তারা- এই না না না।
ধরছি ধরছি।
ফোন ধরে কি বলবেন বলেন।
।
মেঘ - তোমার কথা খুব শুনতে ইচ্ছে
কিরছিল।
।
তারা- শুনা হল তো এখন রাখি।
।
মেঘ - একবার ভালবাসি বলনা।
।
তারা- ফোন কেটে দিলাম।
।
উনি অনেক বার ফোন দিলেন আমি পরে ফোন
অফ করে রেখে দিলাম।
যাকে সহ্য হয়না তাকে আবার ভালবাসা হুহ।
।
সকালে -
কলিং বেল বাজছে এত সকালে কে দরজা
খুলে আপনিইইইইইই!!!!
।
মেঘ - তারার হাত ধরে টানতে টানতে ছাদে
নিয়ে গেলাম। এত সকালে ছাদে কেউ
থাকবেনা জানি।
।
দেওয়াল এর সাথে আটকালাম।
।
তারা- কি করছেন কি?
।
মেঘ - তারার মুখ চেপে ধরলাম - রাতে ফোন
অফ করে রেখেছিলে কেন? ?
তারা- হাত সরিয়ে )এমনি.
।
মেঘ - আমার কি অবস্থা হয়েছিল জানো
তুমি? ?
আমাকে কেন তুমি ভালবাসতে পারছনা??
তারা- উফফ ছাড়ুন আমাকে।
।
মেঘ - উত্তর না দিলে ছাড়ব না।
।
তারা- কি করছেন আমার ব্যথা লাগছে।
।
মেঘ -তারাকে ধরে ওর মুখ আমার
দিকে উচু করলাম তোমাকে আগেও বলেছি
এখনও বলছি তুমি শুধু আমার আর আমার ই
থাকবে।
তুমি সেটা পছন্দ কর আর না কর।
বিয়ে তো ঠিক হয়েই গেছে।
এখন শুধু বিয়ে টা হতে দেও
আমাকে না ভালবেসে কই যাও আমিও দেখব।
।
তারা-( হুহ আইছেরে প্রেসিডেন্ট)
।
মেঘ - চুলে ১ টা চুমু দিয়ে চলে আসলাম।
।
তারা- বাসায় ঢুকলাম।
।
বাবা - এত সকালে কই গেছিলি।
।
তারা- ইয়ে মানে ছাদে।
রুমে ঢুকে গেলাম।
।
সকালের নাস্তা শেষ করে বারান্দা তে
গেলাম।
বাবা- তারা রেডি হয়ে নে।
মেঘ আসছে। ফোন দিয়েছিল আমাকে।
।
তারা- ও কেন আসছে?
।
বাবা- আরে ও একা না তোর শাশুড়ি ও
আসছে।তোকে নিয়ে বিয়ের শপিং করবে।
তারা- আমি যযাব না ববলে দেও।
বলতে ববলতেই কলিং বেল বাজল।
দেখো গিয়ে তোমার ছাত্র এসেছে।
বাবা দদরজা খুলল যা ভেবেছি তাই হল।
।
মেঘ - মা গাড়ি তে।
তারা কই।
।
তারা- আমি উনাকে দেখে তাড়াতাড়ি রুমে
গেলাম।
।
বাবা- এইখানে তো ছিল। কই গেল।
।
মেঘ - আমি কি ডেকে আনব?
।
বাবা- যাও।
।
মেঘ - কাশি দিয়ে ঘরে ঢুকলাম।
মহারানি রাগে ফোস ফোস করছে।
খাটের এক পাশে বসে আছে।
।
আমি কথা না বলে সোজা ওর আলমারি খুললাম।
চলবে.....
২০
.
তারা- কিরে কি করে।
এই এই কি করছেন? উনার কাছে গিয়ে
দাড়ালাম।
উনি এক টার পর একটা জামা বের করছেন
দেখছেন আর ফেলছেন।
।
তারা- হচ্ছে টা কি।
।
মেঘ - চুপ করে থাকতো।
।
তারা- উফফ। বারান্দা তে গেলাম।
।
মেঘ - এই নেও এটা পরে রেডি হউ।
।
তারা- আমি যাব না।
।
মেঘ - আমার রাগ বাড়াবেনা।
।
তারা- কি করবেন হ্যা শুনি।
।
মেঘ - সে সম্পকে কি তোমার ধারনা নেই?
।
তারা( এই লোক পাগল। তুলে নিয়েও যেতে
পারে।)
আচ্ছা যান রেডি হচ্ছি।
।
মেঘ - ও রেডি হয়ে বের হল।
মেজাজ চরম খারাপ হল।
চুল বেধে আসছে।
।
আচ্ছা বের হলাম আমরা।
।
বাবা - আচ্ছা যাও।
।
মেঘ - সিড়ি দিয়ে নামার সময় ওর চুল খুলে
দিলাম।
।
তারা- কি করছেন।উফফ কাটা দিন।
।
মেঘ - না।
তুমি চুল বেধেছ কেন।
তারা- আমার চুল আমি বাধব আপনার কি?
।
মেঘ - তুমি যেহেতু আমার তাই তোমার উপর
আমার অধিকার আছে।
তুমি চুল বাধতে পারবেনা।
বলে নিচে গেলাম।
গাড়ির দরজা খুলে দাড়ালাম।
তারা সামনে এলো
আবার চুল খোপা করছে।
গাড়ি তে উঠার সময় খোপাটা খুলে আমিও
গাড়ি তে বসলাম।
।
তারা- উফফ এর জ্ঞান ও নাই।
মামনি বসে আছে তাও...
।
মা- কিরে দেরি হল কেন।
।
তারা- রেডি হতে দেরি হয়ে গেল
মেঘ - গাড়ি চালাচ্ছি।
।
মামনি - আমাকে এখানে নামিয়ে দে মেঘ।
।
মেঘ - কেন?
।
মা- তোরা যা। যা খুশি কিন।
আমি এইখানে তোর খালার বাসায় থাকি।
।
মেঘ ( যাক তারাকে একা পাওয়া গেল)
।
তারা - না মামনি তুমি থাক।
।
মেঘ - মা যেতে চাচ্ছে যাক না।
।
তারা- রাগি লুক নিয়ে তাকালাম।
।
মেঘ - আমি তেডি স্মাইল দিলাম।
।
তারা -( বজ্জাত)
।মামনি তুমি নেমে গেলে কিন্তু আমিও
নেমে যাব।
।
মামনি - আচ্ছা আচ্ছা চল।
।
মেঘ - এবার রাগি লুক নিয়ে আমি তাকালাম।
।
তারা- আর আমি তেডি স্মাইল দিলাম।
।
মেঘ - গাড়ি থামালাম।
মা এই কার্রড টা নেও যা খুশি তোমরা
কিনো।
আমার একটু কাজ আছে সেরে আসি।
বলে তারার দিকে তাকিয়ে ইশারা তে ওকে
কিস দেখালাম।
।
তারা - চোখ বড় বড় করলাম।
।উনি হেসে চলে গেলেন।
।
মামনি আর আমি শপিং করলাম।
২ ঘন্টা পর উনি আসলেন।
।
মেঘ - তোমাদের হয়েছে।
মা- আরে না মাত্র বিয়ের শাড়ি কিনলাম।
।
মেঘ - ২ ঘন্টা লাগিয়ে।
।
মা- তাতে তোর কি?
।
মেঘ - কিছুনা চল লাঞ্চ করি।
পরে আবার শপিং করো।
।
মা- ঠিক বলেছিস।
।
রেস্টুরেন্ট এ গেলাম-
।তারা- আমি টেবিল এর কাছে যেতেই উনি
চেয়ার সরিয়ে ধরলেন।
আমি না বসে অন্য টায় বসলাম।
।
মেঘ - রাগে মনে হচ্ছিল তুলে আছাড় মারি।
না থাক কিছু হলে আমার কি হবে।
।
তারা- মামনি আমার পাশে বসার আগেই উনি
আমার পাশে বসলেন।
আমি এখন উঠ তেও পারছিনা
।
মেঘ - তারা নেও অর্ডার কর।
তারা- মামনি তুমি কর।
।
মা- মেঘ তুই ই কর।
।
মেঘ - অর্ডার দিলাম।
।
তারা- বসে বসে ফোন দেখছিলাম।
।
মেঘ - সারাদিন এটা দেখার কি আছে
আমাকে দেখতেও ত পারো।
।
তারা- হুহ আমার বয়েই গেছে।
।
মেঘ - তারার ঘাড় এ হাত রাখলাম।
।
তারা- কি করছেন মামনি আছে।
।
মেঘ - দুর চুপ কর।
।
তারা- হাত সরাতে চাচ্ছি শক্ত করে রাখছে।
দুর।
।
মেঘ - তারা হাত কোলের উপর রাখল।
আমি ঘাড় থেকে হাত সরিয়ে।
নিচে ওর হাত ধরলাম।
।
তারা আমার দিকে তাকালো।
।
তারা - হাত ছুটাতে চাচ্ছি পারছিনা।
আরও শক্ত করে ধরেছে।
।
খাবার এল
খাওয়া দাওয়া শেষ করলাম।
।
পরে আবার গেলাম গয়নার দোকানে বিয়ের
গয়নার অর্ডার দিয়ে আমরা বের হয়ে গেলাম।
।
সন্ধা হয়ে গেল।
উনি আমাকে বাসার সামনে নামিয়ে দিলেন।
।
মামনি - মেঘ ওকে উপরে দিয়ে আয়।
।
মেঘ - যাচ্ছি।
।
তারা- না লাগবেনা।
।
মেঘ - চুপ চল।
।
তারা- সিড়ি দিয়ে উঠছি। উনি পাশে।
দরজার সামনে কলিং বেল দেওয়ার আগে
উনি আমার হাত খপ করে ধরলেন।
।
তারা-( কেপে উঠে) কি হল।
।
মেঘ - তারাকে নিজের দিক এগিয়ে একটা চুমু
দিলাম কপালে।
নিচে চলে গেলাম।
।
তারা- আমি ঘরে গেলাম।
বাবা শাড়ি দেখতে চাচ্ছে।
দেখালাম।
কিসের থেকে কি হচ্ছে বুঝতে পারছিনা
উনি আমাকে অনেক ভালবাসেন।
কিন্তু আমি কেন পারছিনা।
নাকি আমি বাসি সেটা মানছিনা? কোন
টা? ??
নাহ এইসব ভাবলে মাথা নস্ট হয়ে যাবে
।
ঘুমাই এখন।
ফোন বেজে উঠল।
দুর ঘুমাইতেও দিবে না নাকি।
"বলেন "
।
মেঘ- তুমি করে বললে কি হয়।
তারা- পারবনা
।
মেঘ - আচ্ছা এটা নিয়ে এখন জোর করব না
একদিন তুমি নিজে থেকেই বলবে।
।তারা- কিসের জন্য ফোন দিয়েছেন?
মেঘ - তোমাকে gd nt জানাতে।
।
তারা- অকে gd nt. bye.
।
মেঘ - আরে শোন শোনো।
যাহ লাইন কেটে দিল।
সকালে-
নাস্তা শেষ এ-
তারা - (ফোনে)হ্যা মামনি বল।
।
মামনি - তারা কার্ড ফাইনাল ত করা হলনা।
তুই এখন মেঘের অফিসে যা। ওকে নিয়ে
অর্ডার
দিয়ে আয়।
।
তারা- এইসবে আমাকে কেন জরাচ্ছ???
পারবনা আমি।
তোমরা কর।
।
মামনি - তোদের বলতাম না।
আমার অন্য কাজ আছে।
তুই যা।
।
তারা - হুম।
( বাবা ও নেই বাসায় না হলে বাবাকে পাঠা
তাম।
যাকে বিয়ে করতে চাচ্ছিনা, সেই বিয়ের
জন্য এত কিছু করতে হচ্ছে আমাকে? ? শুধু
বাবা আর মামনির জন্য)
রেডি হয়ে অফিসের জন্য বের হলাম।
অফিসে -
হিয়া - তারারা! ! এত দিন পর অফিসে? ?
কেমন আছিস? ?
কিছু দরকার?
।
( অফিসের সবাই তারাকে দেখে খুশি। সবার
সাথে কথা হল)
।
তারা - স্যার আছে কেবিন এ ??
।
হিয়া- হ্যা হ্যা এখন ত উনার ই খোজ নিবা।
তারা- একটা মারব।
।
হিয়া- হেহেহে। হ্যা আছে।যা।
।
তারা- কেবিন এ ঢুকলাম দেখলাম ১ টা
মেয়ের সাথে কথা বলছেন।
।
মেঘ - আরে তারা! তুমি কোনো দরকার?
।
তারা- কেন? দরকার ছাড়া আসা যাবেনা।
।
মেঘ - সেটা কি বলেছি।
বস।
কাজ টা সেরে নেই।
।
তারা- বসে ফোন দেখতে লাগলাম।
বার বার মেয়েটার দিকে চোখ যাচ্ছে
(এই মেয়ে ঢুলে ঢুলে এত তার উপর পরার
চেস্টা করে
কেন? ?
উনি কি বুঝছে না।
ফাইলে কিছু দেখাতে যেয়ে মেয়ে টা খোপ
করে স্যারের হাত টা ধরল।
)
আমার চোখ কপালে।
আমি উঠে দাড়ালাম।
।
মেঘ - কি হয়েছে তারা।
।
তারা- আপনি কাজ ই করুন।
আমি বাসায় যাচ্ছি।
।
মেঘ - এই এই দাড়াও দাড়াও। ইরা তুমি বাইরে
যাও।
বাকি কাজ পরে।
।
তারা-( হুহ। ডং। এতক্ষন কি হচ্ছিল সে কি
আমি দেখিনি।
আচ্ছা মেয়েটা কে? ?
এর আগে তো দেখিনি.
দুর আমার কি? ?)
।
মেঘ -উঠে দারালাম।
প্যান্ট এর পকেট এ হাত দিয়ে- রাগ হচ্ছ কেন?
আচ্ছা বল কি কাজ।
।
তারা-কোনো কাজ নেই আমি বাসায় যাচ্ছি।
।
মেঘ - আরে আরে তারা । হাত ধরে
আটকালাম।
রেগে আছ কেন??
।
তারা- কে বলছে রেগে আছি অন্য দিকে মুখ
ঘুরিয়ে।
।
মেঘ - আচ্ছা মা ফোন দিয়েছিল চল যাই।
।
তারা - আপনি তো জানতেন ই তাহলে না
জানার ভান করার কি দরকার ছিল।
।
মেঘ - আরে বাবা তোমার মুখ থেকে শুনতে
চাচ্ছিলাম।
।
ইরা- স্যার আজকের মিটিং টা।
।
মেঘ - ক্যান্সেল করে দাও।
।
তারা- এই মেয়েটা কে? ?
।
মেঘ - ইরা। নিউ পি.এ।
তারা-আগের টা কই?
।
মেঘ -এত প্রশ্ন করছ ব্যপার কি বলত? ? কিছু
কি জ্বলছে।( কাছে টেনে নিয়ে)
।
তারা( সরে যাওয়ার চেস্টা করে) জি না।
কিছুই না।
ওকে নতুন দেখলাম তাই।
।
মেঘ - তাই।
।
তারা- হ্যা তাই।
।
মেঘ - হেহেহে আচ্ছা চল।
চলবে..
২১
.
তারা- আমি যাব না আপনি যান।
।
মেঘ - আবার কি হল।
।
তারা - যে বিয়েই করতে চাচ্ছি না তার জন্য
এত কিছু ককরতে পারব না।
মেঘ - তাহলে এসেছিলে কেন?
।
তারা - মামনি বলল তাই।
।
মেঘ - তাহলে যেতেই হবে চল। হাত ধরে নিয়ে
গেলাম।
।
তারা-( গুন্ডা একটা, ফালতু লোক) ।
বাসায়-
তারা- বিয়ে করছে আমাকে আর হাসাহাসি
আরেক জনের সাথে।
তাও নিউ মেয়ে .
হুহ আমার কি?
বিয়ে টা তো জোর করেই করছে। কেন যে
তখন বাবার কথা ভাল মত শুনলাম না। ।
৭ দিনের মধ্যে সব কিছু কম্পলিট হয়ে গেল।
।
তারা- বিয়ে টা তাহলে আটকানো যাবে না।
কি করব বুঝতে পারছিনা।
অসহ্য লাগছে।
তার অতি মাত্রার ভালবাসার জন্য আমি মনে
হয় পাগল হয়ে যাব।
হেয় আল্লাহ কি করব আমি।
।
মেঘ - পরের দিন তারার বাসায় গেলাম।
স্যার ভাল আছেন।
।
বাবা- হুম।
তা তুমি হঠাত।
।
মেঘ - হ্যা তারার সাথে দরকার ছিল।
।
বাবা- কিন্তু তারা তো বাসা তে নেই।
১টু বাইরে গেছে।
।
মেঘ - ওহ। আচ্ছা সমস্যা নেই।
ওর রুমে আমার দরকার ছিল।
আমি কি যাব। ?
।
বাবা- হুম যাও।
।
মেঘ - আসলে গতকাল মিটিং থেকে আসার
সময় চোখে ১ জোড়া পায়েল আটকে গেল।
বাস তারার জন্য নিয়ে নিলাম।
ভাব্লাম ওর পায়ে পরিয়ে দিব।
কিন্তু ও তো নেই।
টেবিল এর ড্রয়ারে রেখে দেই। দেখে
সারপ্রাইজ পাবে।
ড্রয়ার খুললাম।
সেখানে ১ টা সিলেট যাওয়ার টিকেট।
মানে কি? এটা কার?
তাও কাল সকালের।
২ দিন পর আমাদের বিয়ে আর ........
তারা কি তাহলে......
!
হাহাহা তারা।
তু তো গায়া।
তুমি ভেবেছ পালিয়ে বেচে যাবে? ? এটা
তো হবেনা সোনা।
আমি এত সহজে ছাড়ছি না তোমায়।
জানপাখি।সকাল ৬ টার টিকেট। ওকে আমিও
দেখছি তুমি কি করে ভাগো।
স্যার আমি আসি এখন।
।
তারা- বাসায় আসলাম।
ব্যাগ গুছিয়েনিলাম রাতে।
।
ভাগার প্লান টা সিয়ামের ছিল।
হিয়াকে কিছু বলিনি কারন ও আমাকে হেল্প
করবেনা এই ব্যপারে।
আর করলেও স্যার ওর থেকে জেনে নিবে।
তাই কিছু বলিনি।
।
আমার ফ্রেড
মিনুর বিয়ে সিলেট হয়েছে।
ওইখানেই যাব।
কিছু দিন আরামে পার করা যাবে।
ওর হাসবেন্ড এসে ওইখান থেকে ওর বাড়ি
নিয়ে যাবে।
বাবা আর মামনির জন্য কস্ট হচ্ছে।
কিন্তু ওই গুন্ডা থেকে বাচার আর কি
উপায়? ?
উনি আমাকে ছাড়বেন না।
আর আমি ধরা দিব না।
।
৪ টার সময় ঘুম থেকে উঠে বাবাকে দেখলাম।
বাবার পাশে বসে ছিলাম কিছুক্ষন।
তারপর ১ টা চিঠি লিখে বাবার পাশে রেখে
রেডি হয়ে বের হয়ে গেলাম ট্রেন এর
উদেশ্যে।
।
চিঠিটা তে লিখা ছিল-
।
"বাবা,
জানি রাগ হবা,দু:খ পাবা। কিন্তু আমার কিছুই
করার নেই। আমি পারব না মেঘ কে মেনে
নিতে। তাই চলে যাচ্ছি।
নানা একেবারের জন্য না।
ফিরে আসব আমি আবার। বিয়েটা ভেংগে
গেলেই। আমি ভেগেছি শুনলে মামনি বিয়ে
ভেংগে দিবে। তাই এই কাজ টা করা।
কোথায় যাচ্ছি বললাম না। কারন তুমি মেঘ
কে বলে দিবে জানি।
তুমি কিন্ত একদম চিন্তা করবেনা।
কোনো খারাপ উদ্দেশ্যে নেই আমার। তুমি ত
তোমার মেয়েকে চিনো বলো।
। ভাল থেকো।
আর আমার উপর রাগ হয়ে থেকোনা।ফোন
দিয়ে লাভ নেই।নাম্বার আমি বদলে
ফেলেছি।"
।
ফোনে চেয়ে চেয়ে বাবার ছবি দেখছি
কতক্ষন আবার মামনির ছবি দেখছি কতক্ষন।
আমি ২ জনকেই খুব ভালবাসি।
ক্ষমা করে দিও মামনি।
তোমার ছেলের বউ আমি হতে পারব না।
তোমার চোখে ছোট হয়ে গেলাম আমি।
কস্ট হচ্ছে। কিন্তু তোমার ছেলের থেকে
বাচার আর উপায় নেই।
সাইকো ১ টা।
ভালবাসি করে করে আমায় জ্বালায় খেলো।
।
দেখতে দেখতে ট্রেন ছেড়ে দিল।
আমার চোখ হঠাত লেগে এল।
ঘুমের রাজ্যে চলে গেলাম।
ঘুম ভাংল বাইরের আবহাওয়া দেখছি।
মেঘলা আকাশ।
মনে হচ্ছে বৃষ্টি হবে।
কান্না পাচ্ছিল বাবা র কথা ভেবে।
ওই রাক্ষস, ভাল্লুক এর জন্য নিজের বাবাকে
ছেড়ে আসতে হল।
এটা কি সহ্য করা যায়।
ইচ্ছামত বকলাম ম্বঘ কে।
লাভ কি ও কি শুনেছে? ??
ওরে আমি! !!!"!"
ওর উপর ঠাডা পরে না কেন???
।
উফফ খুদা লাগছে।
তাড়াহুড়া তে কিছু কিনি নি।
পানি ছিল সাথে পানি খাচ্ছিলাম বার বার।
হঠাত ১ টা ছোট মেয়ে আমার কাছে আসল।
মেয়ে - আপু তুমি না খুব sweet.
তারা- অল্লে বাবালে তুমি তার থেকেও
বেশি sweet. কি নাম তোমার বাবু?
।
: আমার নাম বিথি।আমি তোমার পাশে বসি?
।
তারা- হ্যা বসো।
তুমি কার সাথে এসেছ?
।
বিথি - আমি মা আর বাবা সিলেট যাচ্ছি।
তুমি একটু বসো আমি আসছি।
নেও ধর
।
তারা- এটা কি?
।
বিথি- নুডলস
।
তারা- নানা আমি খাব না তুমি খাও।
।
বিথি - খাও নাহলে আমি রাগ করব?
তারা( আচ্ছা এরা কি আমক কিডনাপ করে
নিয়ে যাবে নাকি? ?হঠাত এসে খাবার
দিচ্ছে?)
আচ্ছা আগে তুমি খাও তারপর।
।
আরে বাচ্চা টা একটু খেল।
মানে এতে কিছু নাই।
আমিও সাত পাচ না ভেবে গপাগপ খেয়ে
নিলাম।
উফফ যে খুদা লেগেছিল।
।
তারপর মেয়েটা কিছুক্ষন পর পরইকিছুনা কিছু
এনে দিতে লাগল। সারা রাস্তা মেয়েটার
সাথে বক বক করে কেটে গেল। মাঝে ওর মা
ও এসে বসে গল্প করল।
খুব ভাল ভাবেই পৌছে গেলাম সিলেট।
নেমে বিথি আর ওর পরিবার কে বিদায়
দিয়ে দাড়ালাম সপ্ন ভাইয়ের জন্য।
মিনুর বর এর নাম সপ্ন।
ফোন দিলাম বলল ১ ঘন্টা লাগবে।
ওইখানে বসে ছিলাম।
আস্তে আস্তে রাত বাড়ছে আর মানুষ কমছে।
আর আমার অবস্থা খারাপ হচ্ছে।
বার বার সময় দেখছি সময় যেন কাটেনা।
পাশে খেয়াল করলাম ২ টা ছেলে আমার
দিকে তাকিয়ে কি যেন বলছে।
আশে পাশে মানুষ নেই বললেই চলে।ছেলে ২
টা আমার দিকে এগিয়ে আসছে।
আমি উঠে হাটা শুরু করলাম।
সাথে ছেলে ২ টাও।
আমি জোর বাড়ালাম।
সাথে ছেলে ২ টাও।
এবার আমি ঝেরে দিলাম দৌড় দোয়া দুরুদ
পরতে পরতে।
হায় আল্লাহ আজ কি না কি হয়ে যায়।
কেন যে পালাতে গেলাম।
এর থেকেতো মেঘ কে বিয়ে করাই ভাল ছিল।
মান সম্মান নিয়ে ফিরতে কি পারব বাবার
কাছে।
পিছে ফিরে দেখি ছেলে ২ টার হাতে ছুড়ি।
আর আরও জোরে দৌড় দিচ্ছে।
আল্লাহ আমারে বাচাও।
আমি ভুল করে ফেলেছি। বাচাও আমারে।
দুর সপ্ন ভাই এর ও খবর নাই।
হঠাত মনে হল পাশ থেকে কেউ আমাকে
টেনে নিয়ে গেল এক অন্ধকার গলিতে।
মুখ চেপে ধরল আমার।
আমি কিছুই দেখতে পারছিনা।
তার বুকের সাথে লেগে আছি আমি।
খুব চিনা একটা সুবাস পাচ্ছি।
কেন যেন মনে হচ্ছে এই ছোয়া আমি চিনি।
কে এটা।
দেখলাম ছেলে ২ টা ওইখানে দাড়িয়ে-
আমাকে খুঁজছে।
তারপর কি যেন বলে চলে গেল।
লোক্ টা আমাকে ছেড়ে দিয়ে হাত ধরে বের
হল গলি থেকে। ল্যামপোস্ট এর আলো তে
এবার তার মুখ দেখলাম আমি।
ভুত দেখলেও হয়ত এত ভয় পেতাম না আমি
যতটা উনাকে দেখে ভয় পেয়েছি আমি।
আপ....আপ.....আপনি? ????????
।
মেঘ - তোমাকে তুলে আছাড় মারতে মন
চাচ্ছে।
আমি না থাকলে আজ তোমার কি হত জানো
তুমি? ??
অনেক সাহস হয়ে গেছে তাইনা? ??
আজ তোমার কিছু হয়ে গেলে ভেবেছ আমার
কি হত।
সেটা বাদ দেও তোমার বাবার কি হত।
।
তারা- আমি থাকতে না পেরে কেদে
ফেললাম তাকে জরিয়ে ধরে।
"ভুল হয়ে গেছে আমার।আমি বুঝিনি এটা
হবে'!
।
মেঘ - ওর কাদা দেখে আর কিছু বললাম না।
হইছে আর কাদতে হবেনা।
।
এত রাতে এখন কই যাব? ??
তুমি না...
।
তারা- এত ক্ষনে আমার হুশ আসল। সরে
গেলাম।
ফোন বের করে সপ্ন ভাই কে ফোন দিলাম। ।
সপ্ন - কই তুমি?
।
তারা- আপনি কই?
।
সপ্ন - আমি তো স্টেশন এ।
।
তারা- দাড়ান আমি আসছি।
আপনি কই আসেন আমার সাথে?
।
মেঘ - মানে কি? আমি আমি যাবনা ?? ।
তারা- আপনি এইখানে কি করেন?
।
মেঘ - আজব মেয়ে তো তুমি।
।
তারা- দুর।
আমি স্টেশন এর দিকে যাচ্ছিলাম আর উনি
আমার পিছে পিছে। ।
সপ্ন - আরে এই ত তারা।
কই ছিলা এতক্ষন।
আর উনি কে?
।
তারা- ও আরকি ইয়ে মানে
মেঘ - আমি ওর বন্ধু।
ওর সাথে এসেছি।
।
সপ্ন - যাক ভালই করেছ।
তুমি ছিলে সাথে।
নাহলে এত রাতে মেয়েটা একা থাকত। ।
তারা- অবাক হয়ে তাকালাম তার দিকে। ।
সপ্ন - চল তারা বাড়ি চল। আপনার নাম টা
যেন কি?
।
মেঘ - hi, im megh
.
সপ্ন -im sopno.
।
বাড়িতে পৌছে গেলাম।
বাড়িতে ঢুকেই দেখি এত এত মানুষ হায়
আল্লাহ! ! এত মানুষ? ????
।
।
.(
সবাই ভাবতেই পারেনাই তারা এমন কাজ
করবে। হেহেহে। সবাই শক, তারা রক)
চলবে...
২২
.
তারা- এত মানুষ দেখে আমার মাথা ঘুড়ায়
গেল।
ভাইয়া কি হচ্ছে এইইখানে।
।
সপ্ন- আরে আমার বনের বিয়ে হচ্ছে। তাই
সবাই বাসায় এসেছে।
।
মিনু - কিরে এসে গেছিস? তোর সাথে এ কে?
।
সপ্ন- তারার বন্ধু।
।
মিনু - ওহ আচ্ছা।
আসুন ভাইয়া ভিতরে আসুন।
সপ্ন - তুমি ওকে গেস্ট রুমে নিয়ে যাও।
আমি তারাকে আমার রুমে নিয়ে যাচ্ছি।
।
মিনু - তোকে এমন দেখাচ্ছে কেন রে?তোর
জামা কাপড় এর ব্যাগ কই?
তারা - সব খুলে বললাম।
।
মিনু - ভাগ্যিস মেঘ ভাই ছিল সাথে।
।
তারা- ( ওর জন্যি হইছে এইসব)
।
মিনু - কিছু বললি?
।
তারা - না।
।
মিনু - ফ্রেশ হ খেতে দেই।
।
তারা- খাওয়া শেষ করে শুতে যাচ্ছিলাম।
।
সপ্ন - তারা। মেঘ তোমাকে ডাকছে
।
তারা- আল্লাহ জানে কি হয়।
।
কোথায় উনি? ? নামানে ও।
।
সপ্ন - ছাদে যাও।
।
তারা- এত রাতে!??
।
সপ্ন - ভয় নেই বিয়ে বাড়ি সবাই অনেক লেট
করে ঘুমায়।
।
তারা- ছাদে গেলাম।
কি হয়েছে বলুন?
।
মেঘ - তুমি কি ছোট খুকি? ?
কিছু বুঝনা? ?
এইটা কি করছ তুমি? ?
আজ কিছু হয়ে তেলে কি হত একবার ভেবেছ??
।
তারা - আপনাকে কে ভাবতে বলছে।
।
মেঘ - চুপ মেয়ে।
থাপ্পড় দিয়ে সব দাত ফেলে দিব।
আবার মুখে মুখে কথা? ??
।
তারা - ঠোট ফুলিয়ে রাখলাম।
।
মেঘ - আবার ঠোট ফুলানো হচ্ছে।
।
তারা- আপনি এইখানে কি করেন?
আমি এইখানে জানলেন কি করে।
।
মেঘ - সেটা তোমাকে জানতে হবেনা।
আমার শরীর রাগে পুড়ে যাচ্ছে।
ও মাথা নিচু করে দাড়িয়ে আছে।
হাত ধরে কাছে টেনে নিলাম।
।
তারা- কি করেন কেউ দেখে ফেলবে।
।
মেঘ - চুপ থাকতে পারো না?
চুপ থাকতে ট্যাক্স লাগেনা। বুঝলা
.
তারা- আমি মনে মনে ভাবছিলাম উনি যদি
না আসত তাহলে আমার কি হত।
আমি বেচে ফিরতে পারতাম বাসায়
।
মেঘ - তারার দিকে তাকিয়ে দেখলাম কি
যেন ভাবছে।
আর আমি এইদিকে বক বক করছি তার কোন হুশ
নেই।
এই যে মিস!!!
।
তারা- কি কি?
।
মেঘ - কি ভাবছ।
।
তারা- নিশ্চয় আপনার কথা না।
।
মেঘ - আমি কি তাই বলেছি
??
।
হঠাত কারো ছাদে উঠার শব্দ পেলাম।
তারাকে ছেড়ে দাঁড়ালাম কত গুলা মেয়ে
ছাদে উঠেছে।
আমি নিচে নেমে গেলাম।
।
তারা- আমি পিছন ফিরে দেখি ৫-৬ মেয়ে
উঠেছে ছাদে আর বলছে- ইশ ছেলেটা কি
হ্যান্ডসাম রে।
উফফ কি বডি!!!!
।
তারা- কথা গুলা শুনতে মোটেও ভাল লাগছিল
না
আমার।
এর মাঝেই একজন বলে উঠল -
আরে তারা আপি ভালো আছ???
।
তারা- কে গো তুমি! !?
।
দিয়া-আরে আপি আমি দিয়া। আমাকে
চিনতে পারছ না।
আরে মিনু তো আমার বড় বোন।
।
তারা- ও আচ্ছা।
আসলে আমি আধারে বুঝতে পারিনি।
।
আমি ভাল আছি।
তুমি?
আর এরা কি সব তোমার বান্ধবী? ?
।
দিয়া- হ্যা।
আপু।
আচ্ছা এই ছেলেটা কে?
।
তারা- কান টেনে দিয়ার
- কেন? ? কি হবে।
।
দিয়া- না আরকি পরিচিত হতাম।
।
তারা- এত পরিচিত হতে হবেনা।
।
দিয়া- বল না বল না।
।
তারা- উনি মানে ও হচ্ছে ও হচ্ছে আরকি।
।
দিয়া- কি বলতেছ এইসব?
।
তারা - ও আমার বন্ধু।
বলে নিচে নেমে এলাম।
পিছন থেকে ওরা ডাকছিল শুনেও না শুনার
ভান করে চলে এলাম।
নিচে নেমেই দেখি উনি দাড়িয়ে- হাসছেন।
।
কি হইছে হাসেন কেন?
।
মেঘ - উফফ তুমি করে বল না হলে সন্দেহ
করবে?
তারা- কেন সন্দেহ করবে?
।
মেঘ - আমি তোমার ফ্রেন্ড এর পরিচয়ে আছি
আর ফ্রেন্ড রে কেউ আপনি বলেনা।তুমি / তুই
বলে।
বুঝলা।
কেন যে এত কম বুঝ।
।
তারা- আর আপনি বেশি বুঝেন।
।
মেঘ - ওই মেয়ে গুলা কি বলছিলল আমার
কথা।
।
তারা- ওদের থেকেই শুনে আসুন।
।
মেঘ - great idea.
আচ্ছা শুনে আসি।
।
তারা- উপরে চলে গেল।
আমার কন চাচ্ছিল ওনারে.....
রুমে গিয়ে শুয়ে পরলাম।
ক্লান্ত ছিলাম।
তাই খুব ঘুম পাচ্ছিল।
ঘুমিয়ে গেলাম।
ঘুম ভেংগে দেখি ১০ টা আল্লাহ! !!!
জলদি করে উঠললাম।
।
মিনু - কিরে ঘুম ভাংল?
।
তারা- ডাক দিস নি কেন? ??
।
মিনু - এত রাতে ঘুমিয়েছিস তাই।
আচভহা ফ্রেশ হয়ে নে।
।
তারা- কিন্তু জামা! !!!!
।
মিনু - চিন্তা নেই।
আমি আছি তো।
নে ধর।
।
তারা- দোস্ত আমি শাড়ি পরতে পারিনা।
।
মিনু - এত বড় হয়েও শাড়ি পরতে পারিস
না? ??
উফফ তুই না।
আচ্ছা শাওয়ার নিয়ে আয় আমি পরিয়ে
দিচ্ছি।
তারা-
শাওয়ার নিলাম।
মিনু শাড়ি পড়িয়ে দিল।
চল নাস্তা করবি।
আর চুল টা ভাল করে।মুছ।
পানি পরছে।
।
তারা- উনি কি নাস্তা করেছেন?
।
মিনু - উনি টা কেরে?
।
তারা- না মানে ও ও মেঘ মেঘ।
।( ধরা এখনি খেতাম)
।
মিনু - ছাদে যেয়ে দেখ জামাই আদর পাচ্ছে।
।
তারা- কিহ।
ছাদের দিকে রৌনা দিলাম।
।
মিনু - আরে টাওয়াল নিয়ে যা।
চুল তো ভিজে আছে।
।
তারা- ছাদের দরজার সামনে দাড়ালাম।
দিয়া আর ওর বান্ধবী রা মিলে খাওয়াচ্ছে
ওকে।
ইশ মনে হচ্ছে এই বাড়ির জামাই।
আর মেয়ে গুলাও।
পারলে উপরে যেয়ে পরে থাক আমার কি।
হুহ।
।
দিয়া- আরে আপি।
তুমি ওইখানে কেন এইখানে আসো।
।
তারা- মেঘের চোখে চোখ পরল।
আমি নিচে নেমে আসলাম।
।
নিচে এসে চুল মুছতে লাগলাম।
হুহ মনে হচ্ছে কোন হিরো।
মেয়ে গুলাও বাপু কাউকে পাইলেই হইছে
হামলা দিয়ে বসে।
।
মেঘ - কে কারে হামলা করল?
।
তারা- আপনি এইখানে কি করেন?
খাওয়া হয়ে গেল এত তাড়াতাড়ি?
।
মেঘ - নাহ হয়নি তো।
।
তারা- তা যান না ওদের কাছে।ওরা আরো
বেশি করে খাওয়াক।
।
মেঘ - হ্যা তা তো যাবই।
তুমি তো আর আমার খেয়াল রাখবেনা।
ওরাই রাখবে।
।
তারা- কথা শুনে রাগে গায়ে আগুন লেগে
যাচ্ছিল।
।
মেঘ - ওমন ফোস ফোস করছ কেন।
।
তারা- দুর।
চলে আসছিলাম।
।
মিনু- কিরে তারা!! আরে ভাইয়া আপনার
খাওয়া শেষ।
।
মেঘ - হুম।
।
মিনু - আয় তারা তূই খেয়ে নে।
।
মেঘ - হ্যা হ্যা খাওয়াও ওকে।
দেখছ না কি বডি।
ফু দিলেই উড়ে যাবে।
।
তারা- রাগে দু:খে লাল হয়ে উনার দিকে
তাকালাম।
কিছু বললাম না।
উনি চোখ টিপ দিলেন।
আমার আরও রাগ হচ্ছে।
মিনু চল ত।
খাওয়া দাওয়া শেষ করলাম।
.
অনেক ক্ষন ধরে ওকে দেখতে পারছিনা। ।
মিনু- কিছু খুজছিস?
।
তারা- কই না ত
।
মিনু - মেঘ ছাদে আছে।
।
তারা- আমি কি জানতে চাইছি।
।
মিনু- হেহেহে
তাতে কি আমি বলে দিলাম।
।
তারা- ছাদে গেলাম।
উনি সবাইকে কাজ বুঝিয়ে দিচ্ছেন। পরশু
মেহেদি অনুষ্ঠান রিয়ার।( সপ্ন এর বোন) ।
ঘেমে একাকার অবস্থা।
মনে হচ্ছিল আচল দিয়ে ঘাম টা মুছে দেই। দুর
দুর কি ভাবছি আমি। আচ্ছা পানি তো দিয়ে
আসতেই পারি। এত রোদে কাজ করছেন।
যাই নিচে যাই।
তখনি দেখলাম দিয়া পানি নিয়ে উপরে উঠে
গেল। মেঘের হাতে দিল।
মেঘ হাসি দিয়ে পানি টা ঢক ঢক করে গিলে
ফেলল। ইশ! কি দরদ।
হুহ।
।
দিয়া- আরে আপি তুমি আজ ও অইখানে
দাড়িয়ে- আছ? ? ভিতরে আসো।
।তারা- না থাক।আমি নিচে যাই। উনার দিকে
তাকিয়ে নিচে চলে আসলাম। ।
মিনু - কিরে মুখ ভার করে আছিস কেন? ।
তারা- কিছুনা।
শুন বিকালে আমার সাথে বের হবি। আমি
জামা কাপড় কিনব। ।
মিনু - আচ্ছা। ঠিক আছে।
।
মেঘ - কি ঠিক আছে? ?
।
মিনু - ওই ত আমরা শপিং এ যাব। ।
মেঘ - তোমরা মেয়েরাও পারো বটে। ।
মিনু - আরে ভাইয়া ওর তো জামা নাই বুঝেন
না। ।
তারা- ওর বুঝা লাগবেনা।
তুই বুঝলেই হবে।
চল এখন রুমে আমার সাথে।
।
মেঘ - যাহ মহারানি ত রেগে গেছে।
চলবে..
২৩
.
তারা- উফফ শাড়ি পরে আমি আর থাকতে
পারছিনারে।
।
মিনু - আচ্ছা ঠিক আছে দিয়ার জামা
পরবি? ?
।
তারা- হ্যা তাই এনে দে।
।
মিনু - আচ্ছা দাড়া।
।
তারা- দুর মানুষ শাড়ি পরে থাকে কেমনে? ।
আচ্ছা ভাল কথা ওই মেঘ ভাল্লুক টা কই? ???
দিয়ার কাছে নাকি? ??
।
মিনু - নে ধর।
।
তারা - এইটা আবার কি? ?
।
মিনু - চোখে দেখিস না।
এইটা লং স্কার্ট
আর টি শার্ট আর এইটা স্কার্ফ। ।
তারা- আরে বাস!!! এতেই হবে। অনেক দিন পর
পরার সুযোগ পেলাম। ।
মিনু - আচ্ছা রেডি হ।
আমি রেডি হয়ে নেই।
।
তারা- (নিচের পার্ট নীল উপরের টা কালো।
আর স্কার্ফ ও নীল)
রেডি হয়ে বের হলাম।
।
মেঘ - তারাকে দেখে চোখ সরাতে
পারছিনা।
এত সুন্দর লাগছে।
।
তারা- এখন ও দিয়ার আর ওর দলবল এর সাথে
কি করে এই পোলা।
শয়তান একটা।
।
মিনু - দোস্ত সমস্যা হয়ে গেছে? ? ।
আমি যেতে পারছিনা।খুব জরুরি কাজ এসে
গেছে।
।
তারা- এখন কি হবে? ?
।
মিনু - দাড়া।
আরে ওই তো মেঘ ভাই।
ভাইয়া! ! ভাইয়া!!
।
মেঘ - হ্যা বল।
।
মিনু - আপনি তারার সাথে যান না প্লিজ
শপিং এ।আমি যেতে পারছিনা এখন। ।
তারা- না থাক আমি একাই পারব।ওকে যেতে
হবেনা।
।
মেঘ - ok as ur wish.আমি তোমাকে
bother করতে চাই না।
।
তারা- আমি আকাশ থেকে পরলাম। ইনি কি
সত্যি মেঘ! ???
কারন আগে তো জোর করে সব কিছু করত আর
এখন!!!!!
ওহহ অন্য মেয়ে পেয়ে আমার দাম শেষ
তাইনা।
রাগে দু:খে জ্বলতে জ্বলতে আর রুটির মত
ফুলতে ফুলতে আচ্ছা আচ্ছা আমিও বলিনি
আপনাকে যেতে।
আমি একাই পারব।
।
মেঘ - ওকে যাও।
আমার কি? ?
।
তারা- বাসা থেকে বের হয় মার্কেট চলে
গেলাম।
শপিং করতে করতে অনেক টা দেরি হয়ে
গেল।
আকাশ এর অবস্থা ও ভাল না। তাড়াতাড়ি
যাই।
আচ্ছা কি যেন ঠিকানা ছিল। আমার ত মনে
পরছেনা।ফোন করে যেনে নেই। ফোন বের
করতে যেয়ে দেখি ফোন নেই। ।
মেঘ - কত দেরি হয়ে গেল।
ওর এখনও খবর নেই।
এত কি কেনাকাটা করছে আল্লাহ জানে। ।
তারা- এখন আমি কি করি? ? কোন দিক
যাই? ? কার ও নাম্বার ও মনে পরছেনা। এখন
কি করব আমি।আস্তে আস্তে বৃষ্টি নামা শুরু
করে দিল।
অনেকে চলে যাচ্ছে।
আমি একা দাড়িয়ে- আছি।
রাত বাড়ছে।
বৃষ্টি কমতেই আমি রাস্তা দিয়ে হাটা শুরু
করলাম।
কোন দিক যাব কি করব ভেবে পাচ্ছিলাম
না।
বৃষ্টির বেগ আবার বাড়ল। বন্ধ একটা
দোকানের সামনে নে যেয়ে দাড়ালাম।
খুব কান্না পাচ্ছে।
বসে হাটুতে মাথা রাখলাম।
।
হঠাত কে যেন ডেকে উঠল।
।
মাথা উচু করলাম।
।
মেঘ - এই মেয়ে এখানে বসে কি কর। 25
তারা- সাত পাচ ভাবলাম না।দৌড়ে গিয়ে
জরিয়ে ধরলাম।
তার বুকে গিয়ে মনে হল আমার আর ভয় নেই।
সেতো আছে আমাকে বাচাতে।
।
মেঘ - ওরে আল্লাহ আস্তে আস্তে। এত জরে
ধরে কেউ(কথাটা ওকে হাল্কা ফিল করানোর
জন্য বললাম।
অনেক ভয় পাইছে মেয়েটা।ওকে না দেখে
আমার ও যে কি হইছিল সেটা আল্লাহ আর
আমি জানি)
হইছে আর কাদতে হবেনা।
দেখি দেখি মুখ উচু করে দেখলাম চোখ মুখ
ফুলে সেই অবস্থা।
তার উপর সেই আকারে বৃষ্টি হচ্ছে। রাস্তায়
চোখে কিছু দেখা যাচ্ছেনা। এই রাস্তায়
আমরা ২ জন এইভাবে দারিয়ে আছি।
মানুষ দেখলে কি ভাববে বল।
।
তারা- আমি তাকে ছেড়ে দারালাম। কিন্তু
তার হাত ছাড়িনি। শক্ত করে আমার ২ হাত
দিয়ে তার ১ হাত ধরে রেখেছি।
মেঘ - আসো ওই দোকানের সামনে দাড়াই।
রাত ১০ টা এখন সামান্য কমেছে। (১ টা
রিক্সা পেয়ে গেলাম। উঠে পড়লাম ২ জন ই।
তারা এখন ও শক্ত করে আমার হাত ধরে
আছে।
অনেক ভয়ে আছে মেয়েটা।)
কি আর এইভাবে কখন ও বের হবে? ?? আমার
কথা না শুনে? ?
।
তারা- আমি কিছু বললাম না। কারন ভুল
আসলেই আমার ছিল। আমি এত জিদ কেন করি
মাঝে মাঝে। তার কাধে আস্তে করে মাথা
রাখলাম। ।
মেঘ -( ওরে বাস! মেয়ে লাইনে এসে গেসে।
thank u sylhet. এইখানে না আসলে তারাকে
পেতাম না)
।
কি ম্যাডাম কিছু বলুন।
চেয়ে দেখি তারা চোখ বন্ধ করে আছে। ।
ওর মাথায় হাত রাখলাম।
।
এই যে উঠ চলে এসেছি। তারা!!!তারা!"!
যাহ ঘুমিয়ে গেছে।
কোনো উপায় নেই।ভাড়া মিটিয়ে কোলে
তুলে নিয়ে বাড়ির মধ্যে গেলাম। সবাই- কি
হয়েছে ও ঠিক আছে তো। ।
মেঘ - হ্যা। ওই ১টু ভয় পাইছে এই আর কি। ।
মিনু - এই মেয়ে কখন ও কারো কথা শুনেনা।
ভিজে কি অবস্থা। আমি ওর জামা বদলানোর
ব্যবস্থা করি।তুমি ভাইয়া যাও রুমে শুইয়ে
দিয়ে আসো।
।
মেঘ - রুমে গিয়ে বিছানা তে শুয়ে দিয়া
আসলাম।
উঠতে যেয়ে দেখি শার্ট
শক্ত করে ধরে রেখেছে।
।
আমি বসলাম খাট এর পাশে নিচে। ওর আজ
কিছু হয়ে গেলে আমি তো মরে যেতাম।
আমার জোর করেই যাওয়া দরকার ছিল। ডোজ
দিতে যেয়ে কেন যে গেলাম না। ।
মিনু - অনেক ভালবাসো না ওকে? ? ।
মেঘ - হঠাত এমন প্রশ্ন তে কি উত্তর দিব বুঝে
পাচ্ছিলাম।
ইয়ে মানে হ্যা মানে।
।
মিনু - থাক মানে মানে করতে হবেনা। আমি
আগেই বুঝেছি।
।
মেঘ - কিছু লাগলে আমাকে বল।
।
মিনু - হুম।
।
সকালে- সকালে ঘুম ভাংল।
আজ ও ১০ টা উফফ এইটা বিয়ে বাড়ি। কাল
মেহেন্দি।
আজ কত কাজ।
কিন্তু আমার জন্য এদের মনে হচ্ছে কাজের
প্রব্লেম হয়ে যাচ্ছে।
আমার চলে যাওয়াই ভাল।
।
মিনু - থাপ্পড় একটাও মাটিতে পরবেমা
বুঝলি।
তোকে কে বলছে আমাদের প্রব্লেম হচ্ছে? ?
বেশি বেশি সবসময় তাইনা।
।
নে ফ্রেশ হয়ে নে।
ফ্রেশ হয়ে এটা পরে আয়।
।
দিয়ার জামা আমি পরলে ও কি পরবে? ? ।
মিনু - তোমাকে ওত ভাবতে হবেনা। শপিং
করতে যেয়ে যা করেছ। জামা কাপড় কই
গেলে এসেছিস কে জানে। মেঘ ভাইয়া না
থাকলে যে কি হত। ।
তারা- আসলেই তো।
আমি কখন ঘুমিয়ে গেছিলাম???? আমার ত
কিছু মনে পরে না।
।
আচ্ছা ও কই??
।
মিনু - ছাদে আছে।
।
তারা- আচ্ছা আমি যাই।
।
মিনু - আগে ফ্রেশ হবি খাবি তারপর। ।
তারা- দেরি হয়ে যাবে.
।
মিনু - কিসের দেরি যা বলছি যা। ।
তারা- ফ্রেশ হয়ে খেতে খেতে দেরি হয়ে
গেল।
এখন ও কি ছাদে আছে নাকি। ছাদের সামনে
গেলাম।
সবাই মিলে নিচে গোল হয়ে বসে আছে।
মেঘের হাতে গিটার।
ও গান গাচ্ছে।
ওর গানের মধ্যে আমি ডুব দিয়েছি।
.
আজ তোমার মন খারাপ মেয়ে তুমি আনমনে,
বসে আছ
আকাশ পানে দৃষ্টি উদাস
আমি তোমার জন্য এনে দেব
মেঘ থেকে বৃষ্টির ঝির ঝির হাওয়া সে
হাওয়ায় ভেসে যাবে তুমি। আজ তোমার
চোখের কোনে জল বৃষ্টি ও অবিরাম কাদে
তোমার সাথে সাথে (২)
আমার পথে পথে (২)
আমি তোমার জন্য এনে দেব রোদেলা সে
ক্ষণ
পাখি কে করে দেব তোমার আপনজন পরি
তুমি ভাসবে মেঘের ভাঁজে। আজ তোমার
জ্যোৎস্না হারাই আলো প্রজাপতির ডানাই
বিষাদ করে ভোর যখন তখন (২) বিষাদ করে
ভোর
আমি তোমার জন্য এনে দেব অঝোর শ্রাবণ
আকাশ ছোঁয়া জল জ্যোৎস্নায় পরি তুমি
ভাসবে মেঘের ভাঁজে।""
ঘোর ভাংল।
।
দিয়া- আপি তোমার কি ছাদে আসতে মানা?
।
তারা- কেন?
।
দিয়া- সবসময় তো ওইখানেই দারিয়ে থাকো।
।
তারা- মেঘের দিকে তাকালাম। ও হেসে মুখ
ঘুরিয়ে নিল। ছাদে যেয়ে যেই ওর পাশে
বসতে যাব দিয়ার এক বান্ধবী বসে পরল।
আমি দারিয়ে রইলাম রেলিং এ হেলান
দিয়া।
।
দিয়া- ভাইয়া গান কিন্তু খুব সুন্দর ছিল।
কাল্কে কিন্তু মেহেন্দি তে আপনাকে গান
গাইতে হবে।
।
মেঘ - হ্যা অবশ্যই
কারো কারো কাছে পছন্দ নাও হতে পারে
কিন্তু তোমাদের হলেই হবে ( তারার দিকে
তাকিয়ে)
চলবে...
২৪
.
তারা- হুহ আমিকি বলেছি তার গান খারাপ।
মুখ ভাড় করে রাখলাম।
।
দিয়া- এইযে ভাইয়া শুধু গান হলে হবেনা।
আমার সাথে নাচতেও হবে।
।
মেঘ - না না ও সব আমার দ্বাড়া হবেনা
।
তারা-( কিহ নাচ! !!!! এহহহ। সাহস কত মেয়ের
ওর সাথে নাচবে)
ও নাচতে পারেনা।
।
দিয়া- আমি শিখিয়ে দিব আপি নো প্রব্লেম।
।
তারা( প্রব্লেম আবার তোর নাকি।
প্রব্লেম তো আমার)
না ও......
।
মেঘ - ঠিক আছে ডান আমি নাচব।
।
তারার দিকে তাকালাম। মনে হচ্ছে এখনি
কেদে দিবে।
( সোনা আরেক্টু কস্ট কর।যত দিন মুখ খুলবানা
তত দিন ডোজ এর উপর ডোজ পাবা।
।
মিনু - তারাকে ও নাচতে হবে কিন্ত
মেহেন্দি আর হলুদ এ।
।
তারা- না না আমি ওইসব পারব না।
।
মেঘ - আরে মিনু রাখোতো।
ও কিছু পারে নাকি।
জিদ দেখানো ছাড়া।
নন-ট্যালেন্টেড মেয়ে একটা।
।
তারা- ঠোট ফুলিয়ে চলে আসলাম।
মিনু - ভাইয়া আপনিও না।
এহন ভ্যা ভ্যা করে কাদবে।
।
মেঘ - ইশ বেশি বলে ফেললাম নাকি?
তারা- রুমে বসে বসে
আমি ..... আমার কোনো ট্যালেন্ট নাই না।
তাহলে আমার পিছন এত দিন ঘুড়ছে কেন
হ্যা???
জোর করে বিয়ে করতে চাচ্ছিল কেন।
।
কেন জোর করে আদর করত।
এখন মন ভরে গেছে না। জোর করে বিয়ে
করতে তুলে নিয়ে যাবে এখন কই গেল সেসব
কথা।
।
মেঘ - মানুষ মাত্রই ভুল।
।
তারা- অবাক হয়ে কি? ??
।
মেঘ - হুম।
আমি বুঝেছি তুমি আমাকে পছন্দ করনা।
আর তাছাড়া এইখানে তোমার থেকেও অনেক
সুন্দরি মেয়ে আছে।
যারা আমাকে পছন্দ করে।
তাই ভাবছি তোমাকে জোর করে বিয়ে করে
লাভ নাই।
তুমি তো আর আমাকে ভালবাসবা না।
।
তারা- অবাক হয়ে শুধু কথা গুলা শুনে গেলাম।
কি বলে গেল সে??
আমাকে এখন তার দরকার নেই! !!???এই ছিল
তার আমার জন্য ভালবাসা! !?
।
মেঘ - ( তারা আরো ডোজ তো বাকি ই আছে।
তাড়াতাড়ি মুখ খোলো। নাহলে আমার ডোজ
সহ্য করতে পারবানা।)(মেয়েদের বুক ফাটে
তবু মুখ খোলে না)
।
সন্ধা তে-
।
মিনু - কিরে এইখানেই বসে আছিস কেন।
ছাদে সবাই কত মজা করছে।
গান, নাচের প্রেক্টিজ হচ্ছে আর তুই।
।
তারা- আমার ভাল লাগছেনা।
।
মিনু - কেন রে কিছু হইছে।
।
তারা( মনের মধ্যে কেউ মনে হচ্ছে ছুড়ি
দিয়ে আঘাত করছে।
না বলা যায় না সয়া)
না কিছু না
।
মিনু - চল তো এইভাবে থাকলে আরও খারাপ
লাগবে।
চল চল।
হাত ধরে ছাদে নিয়ে গেলাম।
।
তারা- এক পাশে দাড়িয়ে- ছিলাম।
।
সপ্না- আরে আপু এইখানে বসেন।
এখন মেঘ ভাই আর দিয়া নাচবে।
।
মেঘ - তারার দিকে তাকালাম মুখ দেখে বুঝা
যাচ্ছে খুব কেঁদেছে।
কিন্তু আমি আমার কষ্ট টা এখনি ওকে বুঝতে
দিলাম।
আমার ও যে বুক পুরে যাচ্ছে।
কস্টে।
ওর মুখের ম্লান হাসি দেখে।
এটা সত্যি টলারেট করা যাচ্ছেনা।
কিন্তু উপায় নেই।
ওকে কস্ট টা বুঝতে হবে।
কস্ট পেয়ে পেয়ে আমার ভালবাসাটা বুঝতে
হবে।
অনেক ভালবাসি তারা তোমাকে।
তোমাকেও ভালবাসতে হবে আমাকে। আমি
জানি তোমার মনে আমার জন্য জায়গা তৈরি
হচ্ছে।
আরেক্টু কস্ট করো সোনা।
এরপর তোমাকে আমার মনের রানি করে
রাখব।
।
দিয়া- ভাইয়া কোথায় হারিয়ে গেলেন? ?
।
মেঘ - না তো।
চল শুরু করি।
।
তারা- কি যেন ১ টা হিন্দি গানে ওরা
নাচছে।
কিন্তু মনে হচ্ছে আমার হার্টের উপর কেউ
পাড়া মারছে।
থাকতে পারলাম না।
নিচে চলে আসলাম।
বাহ বাহ এখন নাচা ও হচ্ছে।
ভালো তো ভালো না।
হুহ।
আমার কি।
মেয়েতো জুটিয়েই ফেলেছে।
।
মেঘ - কি বক বক করছ?
।
তারা- আপনি এইখানে কেন? ?
নাচা শেষ।
।
মেঘ - হ্যা তা তো শেষ ই।
দিয়া খিব ভাল নাচে।
।
তারা- উনার পাঞ্জাবিরর কলার ধরে।
তো ওর কাছে যান না। এইখানে কি করেন।
।
মেঘ - তা ত যাবই।
।তোমার কাছে থেকে কি লাভ
।
তারা- কিহ।
আর ওরা যখন সত্যি টা জানবে তখন।?
।
মেঘ - কি সত্যি বিয়ে ত আর হয়নি।
ঠিক হয়েছিল।
তাও তুমি ভেগেছ।
এইখানে এসেছ।
তারমানে তুমি রাজিনা।
সো নো প্রব্লেম।
।
তারা- তাকে ছেড়ে খাটে বসলাম।
তাহলে যান এইখান থেকে।
।
মেঘ - মেয়েটা ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাদছে।
মনে হচ্ছে জরিয়ে ধরে বলি আমি শুধু
তোমার।
চোখের পানি মুছে দেই।
কিন্তু না। আমি জানি ও ওর মনের কথা
আমাকে বলবেই)
চলে আসলাম।
বেশি ক্ষন দারিয়ে থাকলে হয়ত নিজেকে
সামলাতে পারব না।
।
মিনু - ডোজ বেশি দিয়ে দিও না।
মেয়েটা যেমন জেদি তেমন অভিমানি।
কি যে করে বসবে? ?
।
মেঘ - ওর কিছু হতে দিলে তো।
ওকে দেখো।
আমি যাই।
।
মিনু - কিরে কাঁদছিস কেন?
।
তারা- মিনু কে জরিয়ে ধরে আমি আর পারছি
নারে।
সব শেষ হয়ে যাচ্ছে।
।
মিনু - কি শেষ হয়ে যাচ্ছে?
।
তারা- না না কিছুনা।
বাবাকে মনে পরছে।
।
মিনু - এই কথা তো ফোন দে।
।
তারা- না না আমার দ্বারা হবেনা।
।
মিনু - আচ্ছা দিতে হবেনা।
ঘুমা।
কাল কিন্তু মেহেন্দি।
।
তারা- হুম।
।
সকালে -
তারা-
সবাই ব্যস্ত।
আমি মেঘ কে খুজে বেড়াচ্ছি আর কাজ
করছি।
ওর কোনো দেখা নেই।
পিছন থেকে :হাই
।
তারা- পিছনে ঘুড়লাম।
আপনি কে?
।
নাবিল - নাবিল।
।
তারা- চিনলাম নাতো।
।
নাবিল - সপ্নের বন্ধু
।
তারা- ও আচ্ছা।
আমার একটু কাজ আছে বাই।
।
মেঘ - ছেলেটাকে অনেক ক্ষন ধরে দেখছি
তারার পিছন পিছন ঘুড়তে।
।
তারা- হঠাত মেঘের সামনে পরলাম।
ও এইখানে কাজ দেখাচ্ছে।
।
নাবিল - আরে আপনার সাথে একটু কথা আছে।
।
তারা( মেঘ কে দেখিয়ে দেখিয়ে)
হ্যা বলুন।
।
মেঘ - কি এত কথা বলছে।
কিন্তু রিয়েক্ট করা যাবেনা।
।
তারা- ওমা একি।
উনি তো রিয়েক্ট করছেন না।
উল্টা চলে গেল এইখান থেকে।
দুর।
।
নাবিল - হ্যালো কই হারায় গেলেন।
।
তারা- আমার কাজ আছে আপনি থাকুন।
।
(যেটার জন্য কথা বললাম সেটা তো হলনা)
।
সন্ধা -
মিনু - কিরে রেডি হইস নি কেন?
।
তারা- কি পরব বল তো।
শাড়ি তো সামলাতে পারিনা।
।
মিনু - আরে নো টেনশন।
এইনে।
।
তারা- এটা কি?
।
মিনু - কথা না বলে রেডি হয়ে আয়।
।
তারা- বাহ সুন্দর ১ টা লেহেংগা।
নিচের পার্ট সবুজ। উপরের টা হলুদ।
ওড়না টা সবুজ।
।
রেডি হয়ে বের হলাম।
মিনু দোস্ত ফিতাটা বেধে দে না।
পারছিনা।
।
থ্যাক্স বলে পিছন ঘুড়ে দেখি-------
আপনিইইইই!!!
চলবে...
২৫
.
থ্যাক্স বলে পিছন ঘুড়ে দেখি-------
আপনিইইইই!!!
।
মেঘ - চুপ চুপ।
কেউ শুনে নিলে।
।
তারা- হাত সরিয়ে।
আপনি এইখানে?
।
মেঘ - দিয়াকে ডাকতে এসেছিলাম। দেখলাম
তুমি ফিতা লাগাতে পারছ না তাই লাগিয়ে
দিলাম।আচ্ছা যাই।( আমি ত তোমাকে
দেখতে এসেছিলাম হেহেহে) ।
তারা- ( দিয়া কে ডাকতে এসেছিলাম হুহ)
শয়তান।
ফাযিল।
।
সবাই ছাদে গেলাম।
উফফ ছেলেটা আবার এসেছে।
।
নাবিল - আপনাকে খুব সুন্দর লাগছে তো।
তারা- ফেক হাসি দিয়ে থ্যাক্স। ( যা বলার
কথা ছিল সেত উধাও)
মিনু - আরে তারা কি করিস চল তাড়াতাড়ি
উপরে
তারা- হ্যা আসছি তুই যা। নাবিল - তারার
হাত ধরের একবার কথাটা শুনুন প্লিজ।
।
তারা- কি হচ্ছে কি হাত ছাড়ুন। ।
নাবিল - হাত ছেড়ে- আসলে!?
।
তারা- কি আমাকে পছন্দ হইছে তাইত? ।
নাবিল - হ্যা মানে।
।
তারা- too late. হাত উচু করে see im already
engaged.
।
নাবিল - ওহ!! im sorry.
.
তারা- it's ok.
.
মেঘ - দুর থেকে দেখছিলাম। ১মে তো মনে
হচ্ছিল ছেলের হাড্ডি ভেংগে দেই যখন ওর
হাত ধরেছিল। কিন্তু এত খুশি লাগে কেরে।
তারা আমার কথা না বলুক কিন্তু ও যে
engaged সেটাতো বলেছে।
।
দিয়া- ভাইয়া চলুন।
সবাই আপনার গানের জন্য অপেক্ষা করছে। ও
।
মেঘ - ওকে let's go.
।
তারা- উপরে গেলাম।
মেঘ গান গাওয়া শুরু করবে এখন। ।
মিনু - দে হাত দে।
।
তারা- কেন?
।
মিনু - আরে মেহেদি পরবিনা।
।
তারা - না না।
আমি পরব না।
।
মিনু - বিয়ে বাড়ি তে সবাই নিচ্ছে আর উনি
নিবেনা ।
দে হাত দে।
।
তারা- মেঘ গান গাইছে।
আমি শুনে হারিয়ে যাচ্ছি। মাঝে মাঝে
আমার দিকে তাকাচ্ছে। মেঘ - গান শুরু
করলাম।
"""
তুমি আকাশের বুকে বিশালতার উপমা তুমি
আমার চোখতে সরলতার প্রতিমা আমি
তোমাকে গড়ি ভেঙ্গে চুড়ে শতবার রয়েছো
তুমি বহুদুরে আমাকে রেখে ছলনায় এ হৃদয়
ভেঙ্গে গেলে জানো কি তা লাগে না
লাগে না জোড়া
লাগে না লাগে না জোড়া
আমার পথে তোমার ছায়া পড়লে আড়াল করে
থমকে সে যাবে জীবন ও গতি সে কি তোমার
অজানা
রয়েছো তুমি বহুদুরে আমাকে রেখে ছলনায় এ
হৃদয় ভেঙ্গে গেলে জানো কি তা লাগে না
লাগে না জোড়া
লাগে না লাগে না জোড়া শ্রাবন বেলায়
তোমার কথা ভেবে বিষন্ন এ মন আশার পথে
দিয়েছি পাড়ি , যেথা তোমার বিচরন
রয়েছো তুমি বহুদুরে আমাকে রেখে ছলনায় এ
হৃদয় ভেঙ্গে গেলে জানো কি তা লাগে না
লাগে না জোড়া
লাগে না লাগে না জোড়া
তুমি আকাশের বুকে বিশালতার উপমা তুমি
আমার চোখতে সরলতার প্রতিমা আমি
তোমাকে গড়ি ভেঙ্গে চুড়ে শতবার রয়েছো
তুমি বহুদুরে আমাকে রেখে ছলনায় এ হৃদয়
ভেঙ্গে গেলে জানো কি তা লাগে না
লাগে না জোড়া
লাগে না লাগে না জোড়া
গান শেষ । সসবাই হাত তালি দদিল। চেয়ে
দেখি তারাকে যে মেহেদি দিয়ে দিচ্ছে
তার কানে কানে যেন কি বলল তারা। ।
দিয়া- ভাইয়া এখন কিন্ত তোমার আর আমার
ডান্স এর পালা।
।
মেঘ - এখনি?
আতে গান গাইলাম।
একটু রেস্ট দেও।
।
দিয়া - আচ্ছা।
তাহলে লিলি তুই কিছু কর।
।
-মেঘ- তারার পাশে যেতে রেলিং এ হেলান
দিয়ে দাড়ালাম।
।
বাহ আপনি তো সুন্দর করে মেহেদি দিতে
পারেন।
আমার বউ কেও দিয়ে দিবেন আমার বিয়ের
সময়।
।
তারা- মুখ বাকালাম।হাত ঢাকার চেস্টা
করলাম।
।
মেঘ - মনে মনে হাসছি।
মেহেদি ঢাকার কি আছে।
আজব।
তারা- নিচে চলে গেলাম।
।
মেঘ - একটু পর আমিও গেলাম।
।
তারা- উফফ গলা শুকিয়ে গেছে পানি
কিভাবে খাব।
এর জন্য এইসব দিতে চাই না। থাক হাত ধুয়ে
ফেলি।
বেসিন এর সামনে নে গেলাম হাত ধুতে। মেঘ
- আরে আরে কি করছ।হাত ধুচ্ছ কেন? ।
তারা- আপনার কি?
আমার হাত আমার ইচ্ছা।
।
মেঘ - রেগে কি বললা তুমি?
।
তারা- না মানে আমি পানি খাব। ।
মেঘ - আসো আমার সাথে।
নেও খাও।
তারা- চুপচাপ খেয়ে নিলাম।
।
মেঘ - চল উপরে।
।
তারা- উফফ এখন আমি উপরর উঠি কি করে।
লেহেংগা না ধরে? ?
মেঘ - দেখলাম ওর উপরে উঠতে কস্ট হচ্ছে।
তাই কোলে তুলে নিলাম।
।
তারা- .........
।
মেঘ - ছাদে যেয়ে নামিয়ে দিলাম। ।
অনেকের অনেক নাচ গান হল।
।
দিয়া- ভাইয়া এখন তোমার আর আমার পালা।
।
মেঘ - হ্যা আসছি।
।
ডান্স এর সময় তারার দিকে বার বার চোখ
যাচ্ছিলল । মনে হচ্ছে এখনি না আমাকে ইট
ছুড়ে মারে।
রেগে লাল হয়ে আছে।
।
ওমা উঠে চলে গেল নিচে।
।
তারা- বাহ বাহ ভাল তো।
ভাল না।
আমার কি।
উফফ এই মেহেদি ও শুকায়না কেন। ।
মেঘ - অনেক ক্ষন পর নিচে নেমে এলাম। এসে
দেখি তারা ঘুমিয়ে গেছে।হাল্কা হাল্কা
অন্ধকারে আর
চাদের আলোতে ওর মুখ টা দেখার মত ছিল।
মনে হচ্ছে একটা পরি মাটিতে নেমে
এসেছে।
।
ওর পাশে যেয়ে খাটের পাশে বসে বসে ওকে
দেখছি।
বাতাসে চুল গুলা মুখে আসছে আর আমার
পরির ঘুমের সমস্যা করছে। আমি চুল গুলা
সরিয়ে দিচ্ছি বার বার। ।
হঠাত ওর হাতের দিকে চোখ গেল যে হাত টা
আমার পাশে।
হাতের ১ কোনায় ছোট করে M লিখা। আমার
ঠোটে একটা হাসির রেখা ফুটে উঠল। এর
জন্যই তখন হাত ঢাকার চেস্টা করছিল।
পাগলি ১ টা।
।
পকেট থেকে সেই পায়েল টা বের করে ওর ১
পায়ে পড়িয়ে দিলাম।আর পায়ের পাতায় ১
টা আলত করে চুমু দিলাম।বের হয়ে গেলাম রুম
থেকে।
।
সকালে -
মিনু - কিরে আর কত ঘুমাবি উঠ তারা. ।
তারা- আরেক্টু ঘুমাতে দে না। ।
মিনু - তুই ঘুমা তাইলে আমরা গেলাম। ।
তারা- গেলাম মানে? ?
মিনু - মেঘ ভাইয়া সবাই কে নিয়ে চা
বাগানে যাচ্ছে।
।
তারা- কিহ? ?
ও তো আমাকে বললনা।
।
মিনু - এত ঘুমাইলে কি করে বলবে। ।
তারা- দাড়া আমি ফ্রেশ হয়ে আসি। ।
মিনু - এটা পরে নিস।
।
তারা- ফ্রেশ হয়ার সময় পায়ে খেয়াল
করলাম।
কিরে এটা কার? ?? কই থেকে আসল? ? ।
মিনু - কিরে হল।
সব রেডি।
।
তারা- থাক এখন এইসব ভাবার টাইম নাই। ।
রেডি হয়ে গাড়িরর কাছে গেলাম। ।
গাড়ি তে উঠতে যেয়ে দেখি মেঘের পাশে
দিয়া।
।
মেঘ - তুমি পিছে বসো তারা।
।
তারা- ঠাস করে দরজাটা লাগালাম। ।
মেঘ ( বাপ রে বাপ কি রাগ।আরেক্টু হলে
গাড়ি র দরজা ভেংগে যেত।
।
তারা- পিছনে বসলাম।
।
মেঘ - looking glass এ বার বার তারাকে
দেখছি।
ও ও ১টু পর পর আমার দিকে তাকাচ্ছে। আমি
হাসি দিচ্ছি।
ওকে দেখিয়ে দেখিয়ে দিয়ার সাথে
হাসাহাসি করছি।
।
তারা( ইশ এত কথা কই রাখে এরা।মনে হচ্ছে
গাড়ি তে আর কেউ নাই। তারাই আছে )
মেঘ -( তারার মুখ টা দেখার মত হয়েছে।
হেহে । হাসি আটকে রাখা খুব মুসকিল হচ্ছে।
মেয়ে তুমি তো ফেসে গেছ আমার প্রেমের
জালে)
।
চা বাগান পৌঁছে গেলাম।
।
সবাই মিলে বাগান দেখছে। তারার পাশে
আমি হাটছি।
মাঝে মাঝে হাতে হাত বারি খাচ্ছে। মনে
হচ্ছে হাতটা ধরি। কিন্তু....
।
দিয়া- (হাত ধরে) আরে ভাইয়া ওই দিক টায়
চল।
মেঘ - দিয়া আমাকে টেনে নিয়ে গেল। ।
তারা- বাহ বাহ মেয়েটা টেনে নিয়ে গেল।
আর উনিও চলে গেলেন।
এখন মনে হচ্ছে শক্তি নাই। সব শক্তি আর
জোর খালি আমার বেলায় থাকে।
হুহ।
পিছন ফিরে দেখি তারা অন্য সাইডে
যাচ্ছে।
।
দিয়া- ভাইয়া আসেন সেলফি তুলি। এই
জায়গার স্মৃতি নিয়ে যান। সেলফি তুলার
পাশাপাশি তারার ছবি ও তুলে নিলাম।
ও জানেনা।
।
তারা- হ্যা হ্যা সেলফি কুলিফি, মুলফি সব
তোল আমার কি।
বজ্জাত পোলা।
এই তোর ভালবাসা?
চলবে...
২৬
.
তারা- হ্যা হ্যা সেলফি কুলিফি, মুলফি সব
তোল আমার কি।
বজ্জাত পোলা।
এই তোর ভালবাসা? ?
।
মেঘ - জানিতো হাজার টা গালাগাল করছে
মনে মনে ।
।
সবাই সবার মত ব্যস্ত।
হঠাত কে যেন চিতকার দিয়ে উঠল। দৌড়ে
গেলাম সবাই।
যেয়ে দেখি তারা পা ধরে বসে বসে
কাঁদছে।
কাছে যেয়ে দেখি পা অনেক কেটে গেছে।
।
মেঘ - কি হয়েছে তারা?? কিভাবে হল। ।
তারা - ধরবেন না আমাকে। যান তো। ।
মেঘ - চুপ মেয়ে ফাইযলামি করার সময় না
এখন।
।
সপ্ন - মেঘ ওকে ধরে তোলো।
।
মিনু - কিরে কিভাবে পরলি? ?
।
তারা- কেঁদেই যাচ্ছি।
।
মেঘ - তাড়াতাড়ি গাড়ি তে তুলে হাসপাতাল
এ নিয়ে গেলাম।
।
ড্রেসিং করে ব্যান্ডেজ করে দিল ।
ডাক্তার- তেমন কিছু হয়নি। ড্রেসিং করে
দিছি।ইনজেকশন দিয়ে দিয়েছি।
রাতের মধ্যে ব্যথা কমে যাবে। নো টেনশন।
ব্যথা হলে এই পেইনকিলার টা দিলেই হবে। ।
মেঘ - থ্যক্স doc.
doc- its my duty. take care.
।
সপ্ন- মেঘ তুমি যেয়ে তারাকে আনো। আমরা
গাড়ি তে আছি।
।
মেঘ - মুখ নিচু করে বসে আছো কেন। এইখানে
আসার পর থেকে এক টার পর একটা কান্ড
ঘটিয়েই যাচ্ছ।
ওরা ভাল বলে কিছু বলছেনা। কাল কে হলুদ
পরশু বিয়ে।
আর তুমি কি করছ? ?
বিয়ে বাড়ির মজাই নস্ট করে দিচ্ছ। তুমি কি
নিজের খেয়াল টাও রাখতে পারোনা।
।এত জেদ কেন তোমার হ্যা।
।
তারা.........চুপ করে কেদেই যাচ্ছি। ।
মেঘ - চুপ একদম চুপ।
আবার কাদে চুপ করতে বললাম না। ।
হাত ধরে নামো।
।
কিহল কিছু বলছিতো
।
তারা- ধমক খেয়ে হাত ধরে নামলাম। আহহ!!
(ব্যথায়)
।
মেঘ - কি খুব ব্যথা? ??দাড়াও। কোলে তুলে
নিলাম।
।
তারা- আমি মাথা নিচু করেই রেখেছি। তার
চোখে তাকানোর মত সাহস আমার নেই। ।
বাসায়-
মিনু - প্লিজ কিছু খেয়ে নে প্লিজ। এই ওষুধ
ও খেতে হবে।
প্লিজ খা।
কাল তো তোকে সুস্থ থাকতে হবে। ।
মেঘ - কি হয়েছে মিনু? ?
।
মিনু - ভাইয়া দেখোনা ও খাচ্ছেনা। ।
মেঘ - দেও আমার কাছে।
তারা হা কর।
।
তারা- আমি খাব না।
।
মেঘ - আমি কিছু শুনতে চাচ্ছিনা। হা কর।
।
তারা- আমি খাব না বলছিতো ( চিতকার
দিয়ে)
।
মেঘ - ঠিক আছে খেতে হবেনা। মিনু চল।
ও আজ একা থাকবে।
ওর খেতে হবেনা।
ও এইভাবেই থাক।
আমাদের কাল কে অনেক কাজ আছে। ওর
জিদ দেখলে আমাদের হবেনা। চল। ওকে একা
থাকতে দেও।
।
তারা- ...............মন তো চাচ্ছে চিতকার
দিয়ে কাদি।
।
অনেক ক্ষন পর-
।
মিনু - তারা ঘুমিয়ে গেছিস?
।
তারা- না কেন।?
।
মিনু - তুই এমন কেন রে বল তো? ?? ভাইয়া
তোকে কত আদর করে খাওয়া তে চাইল.... ।
তারা- বাদ দে তো।
।
মিনু - এর জন্য শুধু মাত্র এর জন্য..... আচ্ছা তুই
কি বুঝিস না ও তোকে কত ভাল বাসে? ? ওই
দিন যে রাস্তা ভুলে গেছিলি ও যে বাসায়
কি টেনশন করছিল সেটা আমরা জানি।
আর তুই? ??
তোর জন্য না খেয়ে আছে।
শুধু তুই খাবিনা বলে।
।
তারা- ও খায়নি?
।
মিনু- না।
।
তারা- কই আছে? ?
।
মিনু - ছাদে।
।আরে আরে নামছিস কেন?
তারা- ব্যথা এখন কম।
সমস্যা নাই।
।
খাবার নিয়ে ছাদে গেলাম।
এই প্রথম তাকে দেখলাম সিগারেট খেতে। ।
মেঘ - কিছু বলবে? এই পা নিয়ে ছাদে এসেছ
কেন? ?
।
তারা- আপনি কি করে জানলেন আমি
এসেছি।
।
মেঘ - এত কথার উত্তর দিব না আমি
তোমাকে।
।
তারা- আপনি সিগারেট খান জানতাম নাতো।
মেঘ - সিগারেট ফেলে এত কথা জানতে
হবেনা।
কি জন্য আসছ।
।
তারা- আপনি নাকি ভাত খান নি? ।
মেঘ - তো?
।
তারা- নিন খাবার দিতে আসলাম। ।
মেঘ - দরকার নেই।
চলে যাও।
।
তারা- im sor.....
.
মেঘ - তোমার sorry শুনার মত টাইম নাই। বলে
নিচে চলে আসলাম।
।
তারা- এইভাবে আমাকে ভুল বুঝল উনি? ।কাল
কে আবার সরি বলব।
উনার রাগ ভাংতে হবে।
নাহলে আমি আমার মনের কথা কিভাবে বলব।
।
সকালে -------
সবাই হলুদ বাটা নিয়ে ব্যস্ত। আমি উনাকে
খুঁজছি করছি। পায়ের ব্যথা এখন কম।
দেখলাম কাজে ব্যস্ত।
থাক সন্ধায় কথা বলা যাবে। দিন গড়িয়ে
সন্ধা হল।
সবাই রেডি হতে ব্যস্ত।
।
মিনু - নে টা ধর পড়ে নে।
।
তারা - এই শুন না ও কই রে? ?
।
মিনু - ও টা কে? ?
।
তারা- মে.....মে....
।
মিনু - ছাগলের মত কি মে মে করিস? ? মেঘ
রেডি হচ্ছে।
।
তারা - ও।
।
মিনু - তুই ও রেডি হয়ে নে।
।
তারা- আজকের লেহেংগা টার নিচের
পার্রট হলুন উপরের টা গোল্ডেন। ওড়না ও
গোল্ডেন।
।
পায়ের দিকে তাকিয়ে খেয়াল হল আরে এই
পায়েল টা এল কোথা থেকে। মিনু ক
জিজ্ঞাস করতে হবে। চুল ছাড়া রেখেছি
কারন ছাড়া চুল সে পছন্দ করে।
হাল্কা সাজ দিয়েছি।
চোখ টাতে শুধু গাঢ় করে কাজল দিয়েছি।
হাল্কা গোলাপি লিপ্সটিক। হাতে অনেক
গুলা হলুদ চুড়ি। আজ রিং টা বার বার দেখছি।
এটা সে এখনও নেয় নি।
তার মানে সে এখনও আমার।
তার উপর শুধু আমার অধিকার। আজ তাকে
মনের কথা বলব।
।
ছাদে গেলাম।
তারা- এই যে একটু শুনুন।
।
মেঘ -( পিছন ফিরে আমি তো আকাশ থেকে
পরলাম ওকে দেখে।
পরি আমার এত সুন্দর করে সেজেছে। নাহ
প্রশংসা করা যাবেনা)
বল।
।
তারা- আসলে বলতে চাচ্ছিলাম যে আমি..... ।
মেঘ - তুমি? ??
।
তারা- আমি আসলে ......
মেঘ - তুমি আসলে? ?
।
দিয়া- ভাইয়া গিটার রেডি আপনি কিন্তু গান
গাচ্ছেন।
।
মেঘ - হ্যা সেতো গাবই।
বাহ খুব সুন্দর লাগছেত তোমাকে।( তারাকে
রাগাতে)
তারা- ( আমাকে কি দেখেনি )
।
দিয়া- চলুন ভাইয়া স্টেজ এর দিকে
মেঘ- গান শুরু করলাম।
""""
তুমি আমার ঘুম, তবু তোমায় নিয়ে স্বপ্ন
দেখিনা
তুমি আমার সুখ তবু তোমায় নিয়ে ঘর বাধিনা
তুমি আমার খোলা আকাশ, কখনো সুর্য
দেখিনা
তুমি আমার দিন থেকে রাত, আমি যে সময়
জানিনা .ও .ও .ও
আমি বৃষ্টি চায় অবিরত মেঘ ,তবু সমুদ্র চোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা তুমি
আমার খোলা আকাশ কখনো সুর্য দেখিনা
তুমি আমার দিন থেকে রাত আমি যে সময়
জানিনা .o.o.o
তুমি আমার ঘুম ............................. ভালবাসা
জলের মত .দুহাত যেন ভরেনা প্রিয় মুখ তারার
মত ,দুচোখে গোনা যায়না তুমি আমার খোলা
আকাশ কখনো সুর্য দেখিনা তুমি আমার দিন
থেকে রাত আমি যে সময় জানিনা .
তুমি আমার ঘুম, তবু তোমায় নিয়ে স্বপ্ন
দেখিনা
তুমি আমার সুখ তবু তোমায় নিয়ে ঘর বাধিনা
তুমি আমার খোলা আকাশ, কখনো সুর্য
দেখিনা
তুমি আমার দিন থেকে রাত, আমি যে সময়
জানিনা
""""""
মেঘ - গান শেষ করে দিয়ার সাথে পরের
পারফোমেন্স এর লিস্ট চেক করছিলাম। ।
তারা- কি চেক করছ তোমরা দিয়া? ? দিয়া-
আপি এই লিস্ট টা.....
।
মেঘ - ওকে এইসব বলে কি লাভ।
ও কি কিছু করবে নাকি? ? না ও এইসব বুঝে।
খালি সমস্যা তৈরি করতে পারে।trouble
maker একটা।
এই এইখান থেকে যাও ত বলেই ওর দিকে
তাকালাম।
সাদা সাদা গাল ২ টা লাল হয়ে গেছে। চোখ
দিয়ে পানি ঝরছে।
আমিতো থ মেরে গেলাম।
বেশি বলে ফেললাম নাতো। তারা...... বলতেই
ও দোড় দিয়ে চলে গেল। ।
দিয়া- ভাইয়া বেশি হয়ে গেলনা? ।
মিনু - ভাইয়া বেশি বেশি হয়ে গেল। এতটাও
ঠিক হয়নি।
।
মেঘ - আমার ও তাই মনে হচ্ছে। তোমরা
থাকো আমি ওর কাছে যাই। বলে দোড়
দিলাম।
।
নিচে যেয়ে ওর রুনে যেয়ে দেখি রুনে চুড়ি
গুলা খুলে খুলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ফেলেছে।
বাকি গুলাও খুলে খুলে ফেলছে। কাচের চুড়ি
ফেটে হাত কেয়েছে সেই দিকে খেয়াল
নেই।
।
মেঘ - তারা কি করছ দেখি দেখি। কাছে
যেতেই প্রচন্ড জোরে ধাক্কা দিল। ।
তারা- আসবেন না আমার কাছে। ধরবেন না
আমাকে।
এত কিসের চিন্তা হ্যা??
কি হই আমি? ? কে আমি? ??
এত নাটক ভাল লাগছেনা।
।
মেঘ - I'm sorry tara.আমি ওইভাবে আসলে ......
।
তারা- কলার ধরে টানতে টানতে বের হয়ে
যান আমি দেখতে চাই না আপনাকে। ।
মেঘ - তারা আমার কথাটা শুনো প্লিজ। ।
তারা- কিচ্ছু শুনতে চাই না আমি। যান যারা
সব পারে আপনাকে ভালবাসে তাদের কাছে
যান।
।
আমি চলে যাব এইখান থেকে এখনি। থাকব না
আমি।
ব্যাগ বের করতে লাগলাম।
।
মেঘ - হাত ধরে টেনে শান'ত হউ সরি। ভুল হয়ে
গেছে।
।
তারা- ছাড়ুন আমাকে বলে হাত ছাড়াতে
লাগলাম।
।
মেঘ - ওর সাথে পেরে উঠছিললাম না। ও
পাগলামি শুরু করে দিয়েছে। বুকের মাঝে
জরিয়ে ধরলাম।
।
তারা- ছাড়ুন ছাড়ুন বলে ধাক্কা দিলাম। ।
আমি চলে যাব এখনি বলে রুম থেকে বের
হচ্ছিললাম।
।
মেঘ - হাত ধরে টেনে থাপ্পড় মেরে দিলাম।
ও গাল ধরে অবাক হয়ে বসে পরল। ।
আমি ওর সামনে বসলাম।
তারা i love you more then anything in this
world. বলে যে গালে থাপ্পড় দিয়েছিলাম সে
গালে চুমু দিলাম।
।
তারা- তাকে জরিয়ে ধরে বাচ্চা দের মত
কাদতে লাগলাম।
"আমাকে ছেড়ে যাবেন না প্লিজ।আমার খিব
কস্ট হয় আপনাকে না দেখলে। অন্য মেয়েদের
সাথে আপনাকে দেখলে।
আমার ভেতর টা পুড়ে যায়। আমার দম বন্ধ হয়ে
যায়।
আমি নি:শ্বাস নিতে পারিনা। আপনি প্লিজ
আমার হয়েই থাকুন।সেই আগের মত।
আমার বস+বয়ফ্রেন্ড।
আমি খুব ভালবাসি আপনাকে।"
।
মেঘ - এখন বুঝলে আমি কি কস্ট পেয়েছি
তোমাকে ছাড়া এত দিন।
।
তারা - হুম। আরো শক্ত করে জরিয়ে ধরলাম। ।
মিনু - এবার বিয়েটা সেরে ফেল। ।
তারা- ছেড়ে দিলাম ও কে।
।
মিনু - মেঘ কিন্তু আমাকে সব বলেছে আগেই।
।
সপ্ন - আমরা আগেই সব জানতাম। ।
তারা- ওর দিকে তাকালাম।
।
মেঘ - চোখ মারলাম ওকে।
।
তারা- শয়তান একটা বলে ওকে মারতে
লাগলাম।
।
মেঘ - হাত ধরে আমার সাথে পাংগা তাইনা।
বিয়ের থেকে পালানো তাইনা। বলেছিলাম
না তোমাকে আমার বানিয়েই ছাড়বো।
।
তারা- ইশ! কি লজ্জা। নিচের দিকে
তাকালাম।
।
মেঘ - থাক আর ললজ্জাবতী ফুল হতে হবেনা।
বাসায় গিয়ে আগে বিয়েটা সারতে হবে। ।
তারা- কিন্তু মামনি আর বাবা? ? ।
মেঘ - ওইটা আমার উপর ছেড়ে দেন। বুঝলেন।
চল এবার উপরে চল হলুদ শুরু হবে। ।
সব চুড়ি গুলা গুছিয়ে ওর ২ হাতে পড়িয়ে
দিলাম।
কাটা জায়গায় ব্যান্ডস করে দিলাম। ।
ভালো ভাবে অনুষ্ঠান শেষ হল। ।
সবাই খুব মজা করে ক্লান্ত। পরের দিন বিয়ে।
।
পরের দিন-
মেঘ - সকাল থেকে আমার পরি কে
দেখছিনা।
যে কয়বার দেখেছি লজ্জায় হেসে
পালিয়েছে।
।
তারা- পিছন থেকে পিঠে খুঁচা দিলাম। ।
মেঘ - ও মা!!
পিছন ঘুরে।এত ক্ষন কই ছিলা। ।
তারা- বিয়ে বাড়িতে কি কাজ এর অভাব। ।
মেঘ - ও তাই বুঝি জরিয়ে ধরতে নিলাম। ।
তারা- ওই কি করছ সবাই আছে।
।
মেঘ - মাথা চুলকাতে চুলকাতে উপ্স তাই ত।
চলবে
২৭&শেষ
..
তারা- আপনার ফোন টা একটু দিন ত।
।
মেঘ - নেও।আচ্ছা আমি ওই দিকে যাচ্ছি।
কাজ শেষ এ ফোন দিয়ে যেও।
।
তারা- ফোনে photo gallery তে যেয়ে দেখলাম
আমার অনেক ছবি।
কবে কখন তুলেছে কে যানে।?
।
দেখতে দেখতে কয়েক্টা ছবিতে চোখ
আটকে গেল।
আরে এটা তো সেই পিচ্চিটা যে ট্রেন এ
আমার সাথে ছিল তার মানে উনি ওকে
আমার কাছে পাঠিয়ে ছিল? ? উনি ওই ট্রেন
এ ছিল? ??
কিন্তু কিভাবে? ?
।
পরে জিজ্ঞেস করব। এখন থাক।
।
এই নিন আপনার ফোন।
।
মেঘ - হেসে ফোন টা নিলাম।
।
সন্ধা -
।
উফফ কোনো মত ত শাড়ি পরে নিলাম।রেড
রং এর শাড়ি। ব্লাক স্টোন এর কাজ আছে
এতে।
কিন্তু কুচির নিচের দিক টা কিভাবে ঠিক
করব।? মিনু/ দিয়া কই ওরা।
।
মেঘ - ওর পায়ের সামনে বসলাম।
কুচি ঠিক করে দিলাম।
।
কি হয়েছে। ?
।
তারা- হুম।
আমাকে আয়নার সামনে দাড় করালেন।
।
মেঘ - একটা চেইন ওর সামনে ধরলাম আমি
পিছনে দাড়িয়ে।
।
তারা- আরে এটা ত আমার চেইন আপনার
কাছে? ??
।
মেঘ - হুম।
ওই দিন রাস্তায় পরে গিয়েছিল। তুমি খেয়াল
করনি এতদিন।
।
তারা- তাহলে এখন পরিয়ে দিন।
।
মেঘ - তা ত দিবই।পরিয়ে ঘাড়ে চুমু দিলাম।
।
আচ্ছা বাইরে যাচ্ছি রেডি হয়ে আসো।
।
তারা- উনার হাত ধরলাম।
পা উচু করে কপালে আলত ঠোটের ছোয়া
দিলাম।
।
মেঘ - এত আদর "!""" হায় মে মার গায়া।
।
তারা- যান এখন।
।
মেঘ - আচ্ছা।
।
বিয়ে হয়ে গেল।
মেয়ের বিদাই হল।
আস্তে আস্তে অনেকেই রাতের ট্রেন বাসে
নিজের বাসার উদ্দেশ্যে রৌনা দিল।
।
মিনু - কিরে তোরা আরো কয়দিন থাক।
।
তারা- নারে বাসায় যেতে হবে।
।
মিনু - হ্যা এখন ত বিয়ের জন্য পাগল হয়ে
গেছেন আপনি।
।
তারা- দুর কি যে বলিস না।
।
নে তোর জামা হুলার জন্য থ্যক্স।
।
মিনু- আমার না তোর ই।
।
তারা- মানে?
।
মিনু - এইসব জামা কাপড় মেঘ তোর জন্য
কিনে আমার হাত দিয়ে তোকে দিয়েছে।
বুঝলা মনু? ??
।
দেখ তোকে কত ভালবাসে। তোর কি খেয়াল
টা রাখছে।
তাই ত বাইরে যেয়ে এত এত শপিং করছে
তোর জন্য।
ছেলের পছন্দ আছে বলতে হবে।
।
তারা- ( আর কি করলাম। কত কস্ট দিলাম
তাকে। )
।
সকালে -
ঢাকার উদ্দেশ্যে বের হলাম সবার থেকে
বিদায় নিয়ে।
।
ট্রেনে -
তারা - এই কি করছ?( উনার কাধেই মাথা
ছিল)
।
মেঘ - এত দিন অফিসে ছিলাম না কাজের ২৩
টা বেজে গেছে। তাই চেক করছি।
.
তারা- এত কাজ করতে হবেনা দেও ফোন
দেও। ফোন নিয়ে রেখে দিলাম।
।
মেঘ - আচ্ছা কাজ করব না।
তোমাকে দেখব।
।
তারা- না আমার লজ্জা লাগে।
মেঘ- তাহলে কি করব? ?
।
তারা- চুপ করে আমার মাথায় হাত বুলিয়ে
দেও।
।
মেঘ - আচ্ছা।
দেখতে দেখতে তারা ঘুমিয়ে গেল ওইভাবেই।
আমি বসে বসে ওকে দেখছি।
।
এই যে ম্যাম
।
তারা- উফফ ঘুমাতে দেও।
।
মেঘ - ঢাকা ত চলে এসেছি।
তাহলে তুমি ঘুমাও আমি যাই।
।
তারা - কিহ! ! বজ্জাত ১ টা।
।
মেঘ - হেহে চল।
।
তারা- আমার না খুব ভয় করছে।
।
মেঘ - যাওয়ার আগে মনে ছিল না? ?
।
তারা- তোমার জন্য ই তো।
।
মেঘ - আচ্ছা হইছে চল এখন বাসায়।
।
তারা আমার পিছে মুখ লুকিয়ে দাড়িয়ে
আছে।
স্যার দরজার খুলল।
আমি হাত ধরে তারাকে সামনে আনলাম।
।
তারা - বাবাকে যেয়ে জরিয়ে ধরলাম আমি
ভুল করেছি বাবা im sorry। আমাকে মাফ করে
দেও।
প্লিজ।
সরি।
।
বাবা- থাক থাক হইছে আর কাদতে হবেনা।
মেঘ ভিতরে আসো।
।
মেঘ - না স্যার এখন যাই।
তারার দিকে তাকিয়ে চলে আসলাম।
।
রাতে ফোন দিলাম-
কি ম্যাম কি করছেন।
।
তারা- তোমাকে ভাবছি।
এই কয়দিন খুব জ্বালিয়েছছ।
।
মেঘ - আপনি মনে হয় জ্বালান নি?
।
তারা- আচ্ছা ১ টা কথা বল তুমি জানলে
কিভাবে আমি কই যাচ্ছি।
।
মেঘ - কাল কে সব জানতে পারবে।
মা কে নিয়ে কাল কে আসছি।
মা তার ছেলের বউ কে দেখতে চাইছে।
।
তারা- ও আল্লাহ।
মামনি কে কিভাবে মুখ দেখাব আমি??
।
মেঘ - সেটা তুমি জানো এখন ঘুমাও।
।
পরেরদিন-
।
বাসায় হাজির মেঘ আর তার মা।
।
মা- কিরে তারা কেমন আছিস?? বিয়ে কেমন
খালি।
।তারা- ভাল।
মামনি।
( মামনি কি জানেনা আমি ভেগেছিলাম? ??)
।
তারা- তুমি বসো আমি চা আনছি।
।
মেঘ - আমিও তারার পিছন পিছন গেলাম।
জরিয়ে ধরলাম ওকে পিছন থেকে।
।
তারা- কি করছ? ?
।
মেঘ - আমার বউ কে আদর করছি।
।
তারা- মামনির কথা শুনে আমি কিছুই বুঝলাম
নআআ।
মামনি জানেনা আমি ভেগেছিলাম? ?
।
মেঘ - নাহ।
তারা- কিভাবে? ?আর তুমি জানলা কিভাবে
আমি সিলেট?
মেঘ - তোমার পায়ে যে পায়েল টা আছে
..
।
তারা- ওটা তুমি পড়িয়েছ
।
মেঘ - আজ্ঞে হ্যা।
এটা দিতেই আগের দিন বাদায়বেসে সিলেট
এর টিকিট টা পেলাম।
তারপর তোমার বাবাকে বললাম।
সব বুঝিয়ে
।
আর মা কে বলেছি তুমি আর আমি বিয়ের
দাওয়াত খেতে সিলেট যাচ্ছি
কিন্তু আমি তখন জানতাম না ওইখানে
আসলেই বিয়ে হচ্ছে।
হেহেহে।
তাই নিশ্চিন্ত হয়ে থাকা গেছে।
।
তারা- এত বুদ্ধি কই রাখো।
।
মেঘ - মাথায়।
হেহেহে।
।
তারা- আচ্ছা হইছে এবার সরো।
মা- এবার কিন্তু আর দেরি করব না
তারা কে বাড়ির বউ করে এবার নিয়ে যাব।
।
তারার বাবা- আমিও তাই চাই।
।
১ সপ্তাহ এর মধ্যে স্পব রেডি।
আজ বিয়ে টাও হয়ে গেল।
।
মেঘ -বউ আমার বিছানা তে ফুলের মধ্যে বসে
আছে।
সামনে যেয়ে হাত বারিয়ে দিলাম।
তারা হাতে হাত রাখল।
।
তারা- বিছানা থেকে নেমে দাড়ালাম।
কোথায় নিয়ে যাচ্ছ
।
মেঘ - ছাদে চল।
।
তারা- ছাদে যেয়ে আমি অবাক।
সারা ছাদে ফুল ছিটানো।
হঠাত ও আমাকে কোলে তুলে নিল।
।
ওর বুকে মাথা গুজলাম।
।
মেঘ - দেখো তারা।
মেঘ কিভাবে তারাদের সাথে খেলা করছে।
।
তারা - সবাই মেঘ আর চাদের খেলা দেখে
আর তুমি?...
।
মেঘ - আর আমি শুধু তারাকে দেখি।
।
ভালবাসি খুব।
।
তারা- ভালবাসি আমিও খুব।
।
২ বছর পর-
আয়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়া
।
মেঘ - ওর চিতকার এ আমার কান ধরে যাচ্ছে।
কানে আংগুল গুজে বসে আছি।
।
মা আর কতক্ষন
।
মা- তুই চুপ করবি? ?
বাবা হতে চলেছিস তাও এখন ও ছোট দের মত
করছিস।
।
মেঘ -
কিছুক্ষন পর নার্স ছোট ১ টা তুলতুলে সোনা
বাবু মায়ের কোলে দিয়ে গেল।
আমার ছোট ১ টা প্রিন্স হইছে।
.
নার্স তারা কেমন আছে।
।
নার্স - আসলে উনি? ?... আসলে আমরা
উনাকে??
।
মেঘ - কি বলছ ভাল ভাবে বল।
।
ডাক্তার - সরি।
আমরা বাচ্চাটাকেই শুধু বাচাতে পারলাম।
।
মেঘ - মজা করা হচ্ছে আমার সাথে তাইনা।
আমি একটু আগে ওর গলা শুনলাম।
।
মা দেখোনা কি বলছে।
বাবা দেখেন না? ?
।
দোড়ে গেলাম তারার কাছে।
তারা!এই তারা! কথা বল আমার সাথে।
এই দেখ আমাদের ছোট বেবি একটা প্রিন্স
হইছে।
তুমি না বলেছিলে আমার ছোট মেঘ চাই দেখ
সেটাই হইছে।
এই কথা বল।
প্লিজ।
চিতকার দিয়ে উঠলাম।
তারার কোনো সাড়া শব্দ নেই আজ।
।
৫ বছর পর-
।
মেঘ - কবর স্থানের সামনে গাড়ি টা থামল।
।
নাহিয়ান- ( মেঘ ও তারার ছেলে)
পাপা পাপা এতা কোন জায়গা।
।
মেঘ - মানুষ মারা গেলে এখানে রাখা হয়।
।
নাহিয়ান- আমরা কাকে দেকতে আত্তি
( দেখতে আসছি)
।
মেঘ - ভেতরে চল। গেলেই দেখবা।
।
কবর টার সামনে দাড়িয়ে আছি।
।
নাহিয়ান- পাপা এতা কাল কবল ( কার কবর)
।
: পিছন থেকে এটা তোমার নানার কবর
।
মেঘ - এত দেরি হল কেন তারা।
।
তারা- মামনির চেকাপ করিয়ে আসতে দেরি
হয়ে গেল।
( কি ভাবছিলেন ত তারা মরছে।
হেহে তা কি করে হয়।
নাইকা মরলে কি হয়? তাহলে ওই দিন এমন হল
কেন তাই ভাবছেন? ? চলেন ফ্লাশ বেক টা
দেখে আসি)
।
মামনি -
মেঘ তুই পাগলামি বন্ধ কর।
তোকে এখন শক্ত হতে হবে।
তোদের ভালবাসার চিহ্ন কে এখন তোকেই
দেখতে হবে।
।
মেঘ - না মা আমি তারার কাছে যাব।
তারা! ! তারা! !!আসছি তোমার কাছে বলতেই
গালে মনে হল কে যেন ঠাস করে থাপ্পড়
লাগায় দিল।
চেয়ে দেখি তারা।
।
তারা- পাগল ১ টা।
এত পাগলামি করবা তা তো ভাবি ই নাই।
আরে ভাই একটু নাটক করছিলাম।
।
মেঘ - গলা জোরে করে ধরলাম।
।
মামনি - আরে কি করছিস।
।
মেঘ - ওর তো মরার শখ তাই মারছি।
।
তারা- আমি তাতেও রাজি।
।
মেঘ - বাবুকে নিয়ে বাসায় চলে আসলাম।
সন্ধা তে তারা আসল বাসায়।
২ দিন কথা বলিনি ওর সাথে।
ও রাগ ভাংগানোর যথা সাধ্য চেস্টা করছে।
।
তারা- কি কথা বলবে না তো??
ঠিক আছে আমি নাহিয়ান কে নিয়ে চলে
গেলাম।
।
মেঘ - হাত টেনে ওকে বিছানায় ফেললাম।
ওর উপর উঠে আবার যদি যাওয়ার কথা
বলেছনা মেরে ফেলব একেবারে।
।
তারা- কলার টেনে ধরে নিজের কাছে
আনলাম তাই নাকি??
মাফ করেছ?
।
মেঘ - উঠে বসলাম।
আর এমন করবেনা।
আমি বাচবনা তোমাকে ছাড়া।
।
তারা- আমিও না।
।
খুব ভালবাসি মেঘ তোমাকে।
।
বর্তমানে তারা, মেঘ, নাহিয়ান- আর মামনি
সবাই খুব ভাল আছে।
ওরা এইভাবেই যেন ভাল থাকে।
দোয়া করবেন।
ভাল থাক সব ভালবাসার মানুষ গুলা । পূর্ণতা
পাক তাদের ভালবাসা।
বেচে থাক ভালবাসা নিয়ে।
।
শেষ।
No comments:
Post a Comment