27.2.24

ড্রাইভার যখন বর

 গল্পঃ- ড্রাইভার যখন বর

...
পর্বঃ-১(এক)
মিমঃ-বাবা গাড়ির ড্রাইভার কই..
বাবাঃ-ও তোকে তো বলতেই ভুলে গেছি।ড্রাইভার এর শরির খারাপ। অনেক জ্বর তাই ছুটি নিয়েছে কয়েকদিন।
মিমঃ-তাহলে আমাকে কলেজ এ দিয়ে আসবে কে..?
বাবাঃ-সমস্যা নেই ড্রাইভার এর ছেলেকে নাকি পাঠাবে।কিন্তু এখনো আসছে না কেন সেইটাই বুঝতে পারছি না...? আজ তুই তোর একটা ফ্রেন্ড এর সাথে চলে যা আমি ফোন দিয়ে দেখি.. কি খবর এখনো আসছে না কেন..
মিমঃ-আচ্ছা...(রাগি ভাবে)
এতক্ষন ধরে মিম ও তার বাবা এর কথা হচ্ছিলো। মিম এর বাবা অনেক বড় ব্যবসায়ী। এবং তার একমাত্র মেয়ে মিম। এবার অনার্স ২য় বর্ষ। দেখতে আগুন সুন্দরী সাথে অনেক অহংকারী। আসলে সুন্দর মেয়েরা সাধারনত একটু অহংকারিই হয়। তার উপর বাবার টাকার নেই অভাব অহংকার তো থাকবেই....
কলেজ যাওয়ার জন্য মিম ফারিয়া (তার বান্ধুবি)কে ফোন করলো..
মিমঃ-হ্যালো ফারিয়া..
ফারিয়াঃ-হ্যা বল মিম কলেজ আসবি না..? আমি তো রওনা হয়ে গেছি..
মিমঃ-আজ আমার ড্রাইভার নেই রে তুই একটু আমাকে পিক করে নিতে পারবি....
ফারিয়াঃ-আচ্ছা তুই নিচে দাড়া আমি আসছি...
সেদিন মিম ফারিয়ার সাথেই কলেজ গেলো এবং আসলো...
কলেজ থেকে ফেরার পর মিম ফ্রেস হয়ে খেয়ে ঘুমিয়ে পরলো..।
ঘুম থেকে ওঠে মিম প্রতিদিন ছাদ এ গিয়ে বসে থাকে..তো সেদিন ও মিম ছাদ এ যায়। গিয়েই মিম অবাক হয়ে যায়...কোনো এক ছেলেকে দেখে...
মিমঃ-এই এই তুই কে হুম আর এখানে কি?
ছেলেটিঃ-জ্বি আমি আকাশ।আপনাদের ড্রাইভার এর ছেলে।
মিমঃ-তুই ড্রাইভার এর ছেলে হস না অন্য কেউ ছাদে কি যাহহ নিচে গিয়ে কাজ কর..চাকরের বাচ্চা...
আকাশঃ-জ্বি মেডাম..
আকাশ ভাবতে থাকে তার বাবা এখানে কাজ করে। আমার সাথে এরকম ব্যবহার করে বাবার সাথেও হয়তো এরকমই ব্যবহার করে সবাই...।আকাশ মন খারাপ করেই নিচে নেমে এল।
পরের দিন সকালে আকাশ মিম কে তার কলেজ এ পৌঁছে দিলো। মিম তার বান্ধুবিদের কাছে যেতেই ওয়াও দোস্ত ছেলেটা কি হ্যন্ডসাম রে..
মিমঃ-কোন ছেলেটা..
মিতুঃ-ওইযে তোকে সে ড্রপ করে দিলো...(মিম এর বান্ধুবি)
মিমঃ-এই তোর চয়েজ এত খারাপ আমি জানতাম না তো শেষ মেস একটা ড্রাইবার কে তুই এটা বললি...
মিতুঃ-ড্রাইভার তো কি হইছে।ছেলেটা কিন্তু জোস....
মিমঃ-এই রাখ তোর জোস....
রাত এ ফারিয়া মিম কে ফোন করলো...
ফারিয়াঃ- মিম তুই কি আজকের এসাইনমেন্ট টা কমপ্লিট করছিছ..
মিমঃ-ও মাই গড আমার তো মনেই নেই তুই করেছিছ..
ফারিয়াঃ- না রে পারছিনা...
মিমঃ-আচ্ছা এক কাজ কর তুই আমাদের এখানে আয় দুজন মিলে করে ফেলি..
ফারিয়াঃ-আচ্ছা...
ফারিয়া আর মিম দুজন ই বসার রোমে বসে বসেই তাদের এসাইনমেন্ট গুলো করার চেষ্টা করছে কিন্তু পারছে না...
আমি কি হ্যাল্প করবো...?
মিম আর ফারিয়া কিভাবে এসাইনমেন্ট করবে সেটা নিয়ে ভাবছে তখনই আকাশ উপরের কথা টা বললো...
ফারিয়াঃ-মানে...তুমি করবে আমাদের এসাইনমেন্ট।
আকাশঃ-যদি আপনাদের কোনো সাহায্য প্রয়োজন হয় তাহলে করতে পারি...
মিমঃ- এই ছোট লোকের বাচ্চা তোকে কি আমরা এগুলা করতে বলেছি জাহহ ভাগ এখান থেকে...অশিক্ষিতগেয়ো ভুত...
এটা বলেই মিম তার রোমে চলে গেলো। এসাইনমেন্ট গুলো আর করাই হল না।
মিম আকাশ কে দেখতেই পারে না...। আসলে আকাশ কে না মিম গরিব মানুষ কেই সম্মান করতে যানে না। আর ছেলেদের প্রতি তার একটু এলারজি আছে....
তারপর দিন আকাশ মিম কে কলেজ এ ড্রপ করে দেয়। ক্লাস এ জেতেই ফারিয়া বলে..
ফারিয়াঃ- মিম এই নে তোর এসাইনমেন্ট..।
মিমঃ-মানে আমি তো করি নি। আর পারিও না..
ফারিয়াঃ- কাল রাত এ তুই চলে আসার পর আকাশ এগুলো করে দিছে...
মিমঃ-কিহহ আমাদের ড্রাইভার..
ফারিয়াঃ-হুম।
এসাইনমেন্ট গুলো স্যার এর কাছে জমা দিলো। রেজাল্ট এর দিন বললো মিম আর ফারিয়া এদের ২ জন এর এসাইনমেন্ট গুলো সবচেয়ে ভালো হয়েছে...
মিম ভাবছে ছেলেটি কি ভালো। কাল রাতে এমন খারাপ ব্যবহার করার পর ও আমার এসাইনমেন্ট টা করে ডিয়েছে...তাই মিম চিন্তা করলো আকাশ কে ধন্যবাদ জানাবে..
তখনই মিম এর বান্ধুবিরা বলবো চল কিছু খেয়েনেই অনেক খিদা লাগছে। তাই তারা খেতে চলে গেলো..
সেখানেই রাহুল এর সাথে দেখা। রাহুল মিম কে পছন্দ করে। আর মিম তার প্রোপোজালে রাজি হয়নি
এদিকে আকাশ অনেকক্ষন মিম এর জন্য অপেক্ষা করছে কিন্তু মিম আসছে না..তাই সে ভাবলো দুপুরে কিছুই খাইনি এখন এক্টু কিছু খেয়ে নেওয়া যাক...
তাই সে একটা রেস্টুরেন্ট এ ঢুকে। কিন্তু ঢুকেই দেখে মিম একটা ছেলের সাথে বসে কথা বলছে...
তাই সে এমন ভাবে বসলো যাতে মিম তাকে না দেখে সে কিছু খাবার নিয়ে আসতে বললো..
খাওয়ার এক পর্যায়ে দেখে ছেলেটির সাথে মিম রাগারাগি করছে...এবং এক পর্যায়ে ছেলেটিকে মিম থাপ্পর দিয়ে দিল.. তাই ছেলেটি মিম এর সাথে অসভ্যতামি করতাছিলো আর মিম একা ছেলেটির সাথে পেরে ওঠছিলো না....
ছেলেটি মিম কে থাপ্পর মারার জন্য হাত বাড়াবে তখনই আমি গিয়ে ছেলেটির হাত টা ধরে ফেললাম...এবং ছেলেটিকে আমি একটা থাপ্পর মারলাম..তারপর বিল দিয়ে মিম কে নিয়ে বের হয়ে আসলাম...
আসার সময় ছেলেটিকে এটাও বলে আসলাম "মেয়েদের সম্মান করতে শিখ..
তারপর মিম কে নিয়ে বাড়িতে চলে আসলাম...
আর এদিকে মিম বাড়িতে এসে ভাবতে থাকে ছেলেটিকে কত অপমাম করলাম কত খারাপ ব্যবহার করলাম তার পর ও আকাশ আমার কত সাহায্য করছে আবার
রাহুল এর হাত থেকে তাকে বাচালো..
আকাশ ছেলেটা সত্যিই অনেক ভালো। মিতু ঠিক ওই বলেছে...ছেলেটা কত হ্যন্ডসাম আবার কত ব্রিলিয়ান্ট এবং কত ভালো.... মিম আকাশ এর কথা ভাবতে থাকে। রাত এ ও মিম আকাশ এর কথাই ভাবতে থাকে....
পরের দিন মিম কলেজ থেকে আসার সময় হঠাৎ আকাশ এর পাশে বসে..তা দেখে আকাশ অবাক হয়ে যায় এবং বলে...
আকাশঃ- মেডাম আপনি আমার পাশে বসবেন....?
মিমঃ- আমার গাড়ি আমি যেখানে মনে চায় সেখানে বসবো তাতে তোমার কি...?
আকাশঃ-(অবাক হয়ে) আচ্ছা (আবার তুই থেকে তুমি তে নেমে গেছে...)
মিমঃ- আচ্ছা আকাশ তুমি কোন ক্লাস এ পড়..?
আকাশঃ-অনার্স ফাইনাল পরিক্ষা দিয়েছি রেজাল্ট এর অপেক্ষায় আছি...
মিমঃ-ও আচ্ছা.......
এর পরের দিন আকাশ যা দেখলো তা তো আকাশ বিশ্বাসই করতে পারছে না...
চলবে....
ভুল ত্রুটি ক্ষমার চোখে দেখবেন....
ধন্যবাদ

গল্পঃ-ড্রাইভার যখন বর...
পর্বঃ-02(শেষ )
এর পরের দিন মিম হঠাৎ আকাশ এর
রোমে গেলো...
যা আকাশ বিশ্বাসই করতে পারছে না
যে মেয়ে আমাকে দেখতেই পারে না
সেই মেয়ে আমার রোমে...
গিয়ে দেখে.. আকাশ পড়াশোনা করছে....
মিমঃ-আকাশ দেখোনা আমি এই
জিনিসটা বুঝতাছিনা..একটু বুঝিয়ে
দিবা....?
আকাশঃ- আচ্ছা বস আমি বুঝিয়ে দিচ্ছি।
(আকাশ মনে মনে ভাবছে আজ হঠাৎ এমন
ভালো হয়ে গেলো কেন...?)
আকাশ খোব ভালো স্টুডেন্ট তাই খুব
সহজেই আমাকে পড়া টা বুঝিয়ে
দিলো....যদিও আমি ভালো না পড়াশোনায়
কিন্তু এখন মনে হচ্ছে এগুলো কত সহজ
একটু পরলেই হয়ে যায়...
মিম এখন প্রায় প্রতিদিন ওই আকাশ এর
কাছে সাহায্য এর জন্য আসে..
কিন্তু পরের দিন সকালে মিম দেখে
আকাশ এর বাবা কাজে এসেছেন। মানে
আকাশ বাড়িতে চলে গেছে। তার বাবা
সুস্থ হয়ে গেছে...তাই সে চলে গেছে...।
খবর টা শুনে তার কেনো জানি অনেক
খারাপ লাগলো।
সেদিন মিম কে আকাশ এর বাবাই কলেজ
এ ড্রপ করে দিয়ে আসে..
কিন্তু মিম এর আকাশ এর কথা খুব করে
মনে পরছে...তাহলে কি মিম আকাশ কে
ভালোবেসে ফেলেছে....?
মিম সত্যি সত্যিই কি আকাশ কে
ভালোবেসে ফেলেছে....
তাই মিম তার বাবা কে বললো বাবা
আকাশ কি চলে গেছে...
বাবাঃ- হুম। আকাশ এর বাবা তো সুস্থ
হয়ে গেছে তাই আকাশ চলে গেছে....।আর
আকাশ এর রেজাল্ট বের হয়ে গেছে আজ
তাই বাড়িতে চলে গেছে। চাকরির
ইন্টারভিউ দিবে নাকি কিছু দিন পর
তাই একটু নাকি পড়াশোনা করতে হবে...
মিমঃ-ও আচ্ছা......
কিন্তু এদিকে মিম এর মন আর আকাশ কে
না দেখে থাকতে পারছেনা। মিম আকাশ
এর মাঝে নিজেকে হাড়িয়ে ফেলেছে।
আকাশ নামক ছেলেটি মিম এর মন টি
তার কাছ থেকে চুরি করে নিয়ে চলে
গেছে...মিম এর বুকের আকাশে এখন শুধু
আকাশ নামক ছেলেটিই বিচরন করছে....।
তাই সে ফারিয়া কে ফোন দিলো। কথা
গুলো ফারিয়া কে বললে হয়তো মন এর
অস্থিরতা টা একটু কমবে..সেটা
ভেবে......
ফারিয়াঃ- কিরে এত রাত এ হঠাৎ কিছু
হইছে শরির খারাপ নাকি......?
মিমঃ- আরে না কিন্তু মন খারাপ...
ফারিয়াঃ- মানে কেনো...
মিমঃ- ফারিয়া আমি আকাশ কে
ভালোবেসে ফেলেছি...। আমি আকাশ এর
মনের আকাশ এ নিজেকে হাড়িয়ে
ফেলেছি রে...
ফারিয়াঃ- কিন্তু তুই তো আকাশ কে
সহ্যই করতে পারতি না তাহলে এটা
কিভাবে হল..?
মিমঃ- জানি না রে প্রেম কি আর বলে
কয়ে আসে...
ফারিয়াঃ-আচ্ছা দেখ কি হয়। আর
আংকেল কি এটা কোনো দিনও মেনে
নিবে...
মিমঃ- কেনো মেনে নিবে মা মানলাম
আকাশ এর বাবা আমাদের এখানে
ড্রাইভার এর কাজ করে কিন্তু আকাশ তো
অনেক ভালো ছেলে আর কিছুদিন পর
আকাশ একটা ভালো চাকরিও জোগার করে
নিবে...
ফারিয়াঃ- আচ্ছা যা করার ভেবে
করিস....
মিমঃ- আচ্ছা..বায়...
মিম চিন্তা করলো আকাশ আগে একটা
ভালো চাকরি পেলেই বাবা কে আকাশ
এর বেপার টা বলবো....
এক মাস এর মাঝেই আকাশ ভালো একটা
চাকরি পেয়ে গেলো...। মিম এর এই এক
মাস জেনো এক বছর এর সমান মনে
হয়েছে..।. এই এক মাসে মিম তার মনের
আকাশ তার আর আকাশ এর সপ্ন দিয়ে ভরে
ফেলছে..প্রতিটা রাতই সে তার আকাশ
কে নিয়ে চিন্তা করতে করতে ঘুমিয়ে
পরে....
কিন্তু সে তার বাবা কে জানানোর আগে
আকাশ কে তার ভালোবার বেপারটা
জানাবে বলে ঠিক করে...কিন্তু তার
কাছে তো আকাশ এর নাম্বার নেই...
আরে হ্যা আকাশ এর বাবার কাছে
নিশ্চই থাকবে। হ্যা সে আকাশ এর
বাবার কাছেই নাম্বার টা পেয়ে যায়।
তারপর আকাশ কে ফোন দেয়.....
মিমঃ-হ্যালো....
আকাশঃ- জ্বি কে বলছেন....?
মিমঃ- আমি ভুত.. (মজা করে)
আকাশঃ- তা এখানে কি..? আর ফোন
দিয়েছেন কেনো...…?
মিমঃ- আপনার ঘার মটকাবো বলে...
আকাশঃ- ধোর... পরিচয় দেন তা না হলে
আমি ফোন কেটে দিলাম...
মিমঃ- আরে আরে আমি মিম....
আকাশঃ- ওহহ মেডাম বলেন...
মিমঃ- ওই ওই মেডাম কি হুম... শুধু
মিম বলবে বুঝছো...
আকাশঃ- জ্বি আচ্ছা মেডাম..
মিমঃ- আবার মেডাম...
আকাশঃ- ওহহ সর্যি মিম..বলেন...
মিমঃ- আকাশ আই লাভ ইউ...
আকাশঃ-আনে..
মিমঃ-মানে আমি তোমাকে
ভালোবাসি....
আকাশঃ- ফাজলামি করেন...
মিমঃ- আমি ফাজলামি করছি না আকাশ
আমি সত্যিই তোমাকে ভালোবাসি....
আকাশঃ- দেখেন এটা কোনো দিন ওই
সম্ভব নয় কোথায় আমরা আর কোথায়
আপনারা...
মিমঃ- দেখ আমি শুধু তোমাকে
ভালোবাসি..আর কিছু আমার দরকার
নাই..।আর আমি তোমার সব কথা শুনবো..
প্লিজ আমাকে না কর না তুমি যা বলবে
আমি তাই করতে রাজি। তুমি যেভাবে
রাখবে আমি সেবাবেই থাকবো...,আর যদি
আমাকে না কর তাহলে কিন্তু আমি
আত্তহত্তা করবো...
আকাশঃ- আচ্ছা কিন্তু তোমার বাবা মা
কি রাজি হবে..?
মিমঃ- সেটা তুমি চিন্তা কর না সেটা
আমি দেখছি...
আকাশঃ- আচ্ছা...
তারপর মিম তার বাবা মা কে বলে...
মিমঃ- বাবা আমি একটা ছেলেকে
ভালোবাসি। আর তাকে আমি বিয়ে
করবো...
বাবাঃ-কিহহহ পড়াশোনা না শেষ
করেই....
মিমঃ- হুম আমি এখনই বিয়ে করবো...
বাবাঃ- আচ্ছা ছেলে কি করে বাড়ি কই..
মিমঃ-ছেলে খুব ভালো..ব্যাংকে জব
করে...
বাবাঃ- কিহহ ব্যাংকে চাকরি করে
সেই টাকা দিয়ে তো কিছুই হবে না...
মিমঃ- সেটা আমি মেনেজ করে নিব।
বাবাঃ- আচ্ছা ছেলের বাড়ি কই..
মিমঃ-ছেলেকে তোমরা চিনো।ড্রাইভার
আংকেল এর ছেলে আকাশ...
বাবাঃ- কিহহহ তুই একজন ড্রাইভার এর
ছেলেকে বিয়ে করবি...
মিমঃ- হ্যা। আর যদি তোমরা রাজি না
হও তাহলে কিন্তু আমি আত্তহত্যা
করবো....
বাবাঃ- আচ্ছা আচ্ছা.... এগুলো করার
দরকার নেই....।আমি বিয়ের ব্যাবস্থা
করছি...
মিমঃ- ধন্যবাদ..বাবা(জড়িয়ে ধরে)
মিম এর বাবা ও আর না করলো না কারন
মিম এর বাবা ও জানে যে আকাশ অনেক
ভালো ছেলে। মিম কে অনেক শুখে
রাখবে...। আর টাকা দিয়ে কি করবে
মিম এর বাবার যা সব কিছু সেগুলো তো
মিম এর ওই
তারপর আকাশ আর মিম এর বিয়েটা
হয়েই গেলো....
আকাশ বাসর ঘর এ ঢুকার পরই মিম খাট
থেকে নেমে এসে আকাশ কে সালাম
করলো..আর তারপর আকাশ বললো অজু করে
২ রাকাত নফল নামাজ পরে নেই চল...
নামাজ শেষে.. আকাশ আজ চাঁদ টা অনেক
সুন্দর তাইনা...--হুম...
আকাশ জানো আমার না অনেক দিনের
ইচ্ছা তোমার কাধে মাথা রেখে চাঁদ
দেখবো.. আচ্ছা চলো...শুনো না আরেকটা
ইচ্ছা --কি...?বাসর রাতে চাঁদ দেখাতে
তুমি আমাকে তোমার কোলে করে নিয়ে
যাবে...
আচ্ছা চলো আমার রাজকুমারি..... এটা
বলেই আকাশ মিম কে কোলে তোলে নিল....
এখন আকাশ আর মিম একসাথে বসে চাঁদ
দেখছে....
মিমঃ-আকাশ একটা গান গাও না....
আকাশঃ- আচ্ছা..এই রাত যদি না শেষ হয়
তবে কেমন হবে তুমি বল না...
তখনই মিম বলে ওঠলো,..এই রাত যদি না
শেষ হয় তবে সকাল হবে কি করে তুমি
বল না...এটা বলার পরই দুজনে হেসে
দিল...
আচ্ছা মিম একটা মিষ্টি দেও না...
--না..একটা... না... আচ্ছা মন খারাপ
করে..
তখনই মিম আকাশ এর ঠোঁট দুটু আপন করে
নিল ......শুরু হল তাদের নতুন পথচলা...
সমাপ্ত....
ভুলত্রুটি ক্ষমার চোখে দেখবেন...
ধন্যবাদ.

No comments:

Post a Comment

অদৃশ্য পরী

  ----দেবর সাহেব, তো বিয়ে করবে কবে? বয়স তো কম হলোনা ৷ ----আপনার মত সুন্দরী কাউকে পেলে বিয়েটা শীঘ্রই করে ফেলতাম ৷ -----সমস্যা নাই তো, আমা...