গল্পঃ পিচ্চি বউ ও পিচ্চি বর এর ভালোবাসা।
পর্ব-০১
লেখকঃ মোঃ রিয়াদ আহমেদ জিদান।
আজ আমার বিয়ে হুম বিয়ের জন্য এখনো অনেক ছোট মাত্র এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে কলেজে উঠলাম কিন্তু একটা ভালো ছেলের মতো পরিবারের কথা অমান্য না করে বিয়ে করতেই হলো ভাবছিলাম পড়লেখা শেষ করে একবারে বিয়ে করব কিন্তু আচ্ছা যাই হোক মূল গল্পে আসা যাক বাড়ি টা অনেক সুন্দর করে সাজানো হয়েছে শহরের সবচেয়ে বড়লোকের ছেলের বিয়ে বলে কথা 



। মেয়েটা মানে আমার হবু বউ আমার আব্বুর বন্ধুর মেয়ে এখন ওদের বাড়িতে যাওয়া হবে।





যেতে যেতে আমার পরিচয় টা দিয়েই ফেলি ।
আমি মোঃ রিয়াদ আহমেদ জিদান পরিবারের দ্বিতীয় ছেলে বড় একটা ভাই আছে নাম মোঃ তাসকিন আহমেদ ভাইয়ার বিয়ে অনেক আগেই হয়েছে একটা সুইট ভাবি আছে আমাকে নিজের ভাইয়ের মত আদর ও ভালোবাসে কারণ উনার কোনো ছোট ভাই নেই বাকিটা গল্প যেভাবে এগিয়ে যাবে তখনই জেনে নিয়েন। পরিচয় দিতে দিতে হবু বউয়ের বাড়ি এসে গেছি। বাড়িটা অনেক সুন্দর করে সাজানো আমার শশুর আব্বাও আমাদের মতোই বড়লোক কিন্তু আমাদের থেকে একটু কম। স্বাগতম জানানোর জন্য গেটের সামনে অপেক্ষা করছিলেন আমাদের দেখে এগিয়ে এসে বললেন-
শশুর আব্বা- আসসালামু আলাইকুম, ভাই ভালো আছেন??
আব্বু- ওয়ালাইকুম আসসালাম, ভাই আলহামদুলিল্লাহ ভালো আপনি ভালো আছেন??
শশুর আব্বা- আলহামদুলিল্লাহ ভালো
আমি- আংকেল আসসালামু আলাইকুম
শশুর আব্বা-ওয়ালাইকুম আসসালাম, ভালো আছো বাবা
আমি-আলহামদুলিল্লাহ ভালো আপনি ভালো আছেন ??
শশুর আব্বা- আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো, আসুন সবাই ভিতরে আসুন।
তারপর সবাই ভিতরে গেলাম । একটু পরে হবু বউকে আনা হলো wow 










পুরাই কিউট পুতুলের মত লাগতাছে হালকা সুন্দর করে সাজুগুজু করছে হালকা গোয়নাগাটি পড়ে আছে কোনো হারাম টিপ পড়ে নাই বউটা তো আমার এমনেই সুন্দরী এখন আরো সুন্দর লাগছে কিন্তু যেসময় প্রথম দেখছিলাম ফুল বোরকা পরা অবস্থায় আরো বেশি ভালো লাগছিলো পুরাই একটা হুর পরী 



।

















ভাবি- কিরে ভাইটু এইভাবে কি দেখা হচ্ছে হা 




(ভাবি আমারে ভাইটু বলেই ডাকে আদর করে)






আমি- কই না তো ভাবি আমি ওহ এমনেই ডেকোরেশন দেকতাছিলাম(পুরাই মিছা কথা


)




ভাবি-বুঝি বুঝি সব বুঝি 



।





আমি- ধুর সব বুইঝা গেছে গা (মনে মনে)
ভাবি- কি ভাবতাছো????
আমি-না ভাবি কিছু না 









ভাবি- বৃষ্টি(আমার হবু বউ) কে অনেক সুন্দর লাগছে না
আমি-হুম









ভাইয়া-হুম আমার ভাইতো পুরাই ফিদা
আমি-ভাইয়া!!!




ভাবি দেখো না






ভাবি- এই আমার ভাইটু কে এইভাবে জ্বালাচ্ছ কেন







ভাইয়া-


সরি সরি




আমি- একটু আগে তুমি ই জ্বালাইতাছিলা









ভাবি- ঐটা তো এমনই 















সবাই-হাহাহাহাহা
আম্মু- হইছে তোমরা হাসাহাসি বন্ধ করো কাজী এসে গেছে এইবার বিয়ে পড়ানো যাক
আব্বু-হুম
তারপর বিয়া পোড়ানোর পর যাওয়ার সময় বৃষ্টি খুব কান্নাকাটি করল তারপর ওকে শান্তনা দিয়ে গাড়িতে আমার পাশে বসলো গাড়িতেও আমার কাধে মাথা রেখে হালকা হালকা কাঁদছিলো একটু পর ওই
ঘুমিয়ে পড়লো ওইসময় মোমেন্ট টা অনেক রোমান্টিক আছিলো এখন আমরা বাড়িতে এসে পড়লাম তারপর সবাই ভিতরে গেল তারপর ভাবি বৃষ্টি কে নিয়ে আমার রুমে গেল তারপর আমি আর বন্ধুরা সবাই ছাদে গেলাম।
তারপর একটু পর ভাবি আসলো
ভাবি-তোমাদের আড্ডা দেওয়া হইলে জিদান এখন নিজের বাসর ঘরে যাও বৃষ্টি অপেক্ষা করছে তো ।
আমি- হ্যা ভাবি যাচ্ছি
ভাবি- ওকে, আর তোমরা গেস্ট রুমে যাও
বন্ধুরা- ওকে ভাবি
আলভী-আচ্ছা দোস্ত আমরা যাই ঘুমাইতে আর তুই ভালোভাবে বিলাই টা মারিস Allah Hafiz।
ততক্ষণে ভাবি গেছিলো গা নাইলে কি কোয়া পারতো কন
আমি-Allah hafiz, ওই পাগলা কি কস
সবাই- assalamualaikum, allah hafeez(বইলা সবাই দৌড় দিলো)
আমি-ওয়ালাইকুম আসসালাম, Allah hafeez
একটু পর আয়া সবাই আমারে বাসর ঘরের সামনে দিয়ে আবার দৌড়
আমি বাসর ঘরে একটু ভয় নিয়া ঢুকলাম কারণ যদি ফিরিয়ে দেয় আল্লাই জানে কি অইবো











ঘরে ঢুকে দেখি সুন্দর করে সাজানো









এইদিকে বউ আমার আসার টের পেয়ে আমার কাছে এসে আমার পাও ছুঁয়ে সালাম করল
বউ

-আসসালামু আলাইকুম



আমি-ওয়ালাইকুম আসসালাম,
বউ কাপড় চেন্জ করে ফ্রেস হয়ে ওযু করে আসো একসাথে নামাজ পড়ব
বউ-হুম

(একদম রিলাক্স ও শান্ত গলায় লজ্জা লজ্জা ভাব নিয়া)



বউ আমার ফ্রেশ হয়ে কাপড় চেন্জ করতেছিল
বউ-এই এই অন্য দিকে ঘুরেন আমি কাপড় চেন্জ করব
আমি-থাক না দেখি একটু আমার কিউটি বউ রে
বউ-না না লজ্জা করে আমার





(অনেক লজ্জা পেয়ে)







আমি-আচ্ছা ঠিক আছে জান (










)












আমি ফ্রেশ হয়ে ওযু করে আসলাম উই একটা থ্রি পিস পরে আছে অনেক সুন্দর লাগছে ওকে 





























আমি-আসো নামাজ পড়ে নেই
বউ-হুম আসুন











দুজন মিলে নামাজ পড়ে নিলাম তারপর উই বিছানায় বসলো আমি ওর কাছে বসলাম আর বললাম
আমি-আসো গল্প করি আজকে অনেক special night
আমাদের বাসর রাত















বউ-বাসর রাতে গল্প করে নাকি আমি শুনছিলাম বাসর রাতে অন্য কিছু করে





(এইটা আবার কি কইলাম)







আমি-আরে বউ ঐটা তো বড়দের কাজ আমরা তো ছোট আমরা গল্পই করি কি বলো













বউ-ওকে













তারপর আমরা গল্প করা শুরু করলাম just like পছন্দ না পছন্দ etc etc।
বউ-আপনি অনেক interesting ছেলে
অনেক ইসলামিক, কিউট ভালো kind hearted person 













আমি-আলহামদুলিল্লাহ, সবই আল্লাহর রহমত 















বউ-আলহামদুলিল্লাহ, আমি আপনার মত একটা ভালো জামাই পাইছি আমি অনেক খুশি











আমি-আলহামদুলিল্লাহ, আমিও অনেক খুশি তোমার মত একটা ভালো বউ পাইছি 












বউ-একটু চোখ বন্ধ করবেন প্লিজ
আমি-কিন্তু কেন বউ
বউ-এমনেই প্লিজ না জামাই (অনুরোধ কণ্ঠে)
আমি- ওকে এই নাও বন্ধ করছি চোখ 






(চোখ বন্ধ করে)








অনুভব করলাম যে ফুলের পাপড়ির মত নরম কিছু ঠোঁটে ছোঁয়া লাগলো চোখ খুলে দেখি বৃষ্টি আমাকে কিস করছে 





















একটু পর ও আমাকে ছেড়ে দিল তারপর ও নিজের দু হাত দিয়ে নিজের চেহারা ঢেকে আমার বুকে মাথা রাখলো আমি ওকে হালকা জড়িয়ে ধরে ওকে বললাম
আমি- কি হলো এইটা,,,







বউ-জানতো দুষ্ট (লজ্জা মাখা কণ্ঠে)
আমি-যেমন ই হই তোমার ই জামাই 













বউ- l love you 











আমি- really বউ কখন থেকে
বউ-যখন থেকে আমাদের বিয়ে হইছে
আমি- I love you too বউ
বউ- কখন থেকে
আমি- যখন থেকে তোমাকে বিয়ে করলাম কিন্তু বউ তুমি আমাকে আপনি বলে ডাক কেন
বউ- আপনি জামাই যে কিন্তু আপনার খারাপ লাগলে ডাকবো না
আমি- না বউ আমার খুব ভালোলাগে real বিয়ে বিয়ে feelings আসে।
বউ- really জামাই
আমি-হুম বউ













বউ- আমার অনেক ঘুম আসতেছে













আমি- ওকে আসো তাহলে ঘুম আসি
ওকে এইবার আপনাদের বলা যাক কিভাবে আমাদের বিয়ে হলো তো চলুন ঘুরিয়ে নিয়ে আসি আপনাদেরকে ফ্লেশবেক এর দুনিয়া থেকে
,,,,,,,,,,,,,ফ্লেশবেক,,,,,,,,,,,,,,,,













শর্ট ভাবে বুঝিয়ে দেই ঐদিন আমার কলেজের প্রথম দিন ছিল আমি অনেক ভালোভাবে সেজেগুজে কলেজে গেলাম মানে hair gel সুগন্ধি etc etc।
আমার আব্বু কলেজের মালিক আর ওর আব্বু কলেজের ট্রাস্টি কলেজের প্রথম দিন ওর আর আমার দেখা হয় আর ওর আব্বু আর আমার আব্বু ফ্রেন্ড so, পরিচয় ও করিয়ে দিলেন ওর সাথে আমার বন্ধুর বান্ধবির সাথেও কথা হয় তারপর আব্বু ওদের আমাদের বাসায় দাওয়াত দেয় তারপর ওদের সাথে অনেক গল্প হয় তারপর ওদের যাওয়ার পর আব্বু তার রুমে আমাকে ডাকে আমি রুমে যাওয়ার পর সবাই ঐখানেই
আমি- আমি আসতে পারি
আব্বু- আমার রুমে আসতে কি তোর পারমিশন লাগে নাকি(আব্বু আমার সাথে খুব ফ্রেন্ডলি ভাবে কথা বলেন real life এর মধ্যে ও)
আমি- না এমনেই তা কি পেচাল পারতাছিলে 













ভাইয়া- তোর ই এর পেচাল
আমি-কিসের পেচাল













আব্বু- তোর কাছে বৃষ্টি মেয়েটাকে কেমন লাগে
আমি-মানুষের মত
ভাইয়া-হাহাহাহা মজা ছাড় এইবার বল
আমি- কি বলবো
ভাবি-বউ হিসেবে কেমন লাগে (direct বলে দিলো

)



আমি-মানে!!!!!!!!

















আম্মু- কেন কোনো প্রবলেম মেয়ে তো ভালোই
আমি-না মানে তা না কিন্তু আমি এখনো অনেক বেশি ছোট
সবাই-অনেক বেশি ছোট















আমি-না মানে আমি ভাবছিলাম যে graduation complete করে তারপর বিয়ে করব
আব্বু- অতোটা কিছু আমি বুঝি না যেটা বলছি ঐটা কর
আমি- ওকে আব্বু (বাধ্য ছেলের মত)
ভাবি-ওকে তাইলে তুই নিজের ফ্রেন্ডস দের দাওয়াত দিয়ে দে
আমি-ওকে কিন্তু তারিখ নির্ধারণ করা হইছে
আব্বু-সব হইছে
কালকে তোর বিয়ে
আমি- কি কবে কিভাবে













আব্বু- ওরা যাওয়ার পর আমি ভাবলাম মেয়েটা অনেক ভালো এরকম ভালো মেয়ে আর পাওয়া যাবে না তারপর জাহিদুল(বৃষ্টির আব্বু)কে কল করে বললাম ওরা রাজি
আমি-আমাকে বলা টা গুরুত্বপূর্ণ মনে করলে না
ভাবি-এখন কি করলাম
আমি- সব কিছু fixed হয়ে যাওয়ার পর, এখন কি আমাকে জানানোর জন্য ডাকা হয়েছে নাকি জিগ্যেস করার জন্য
সবাই-জানানোর জন্য
বলেই সবাই হেসে দিলো
আমি- আচ্ছা ঠিক আছে আমি আমার ফ্রেন্ডস দের বলে দেই
আম্মু-ঠিক আছে আরেকটা কথা বিয়ে একদম নরমাল ভাবে হবে ওকে
আমি-ওকে ঐটাই ভালো হবে আর শপিং
ভাবি- don't worry কালকে সবাই মিলে শপিং করতে যাবো তোর ফ্রেন্ডস দের বলে দিস ওকে
আমি-ওকে
তারপর রুমে গিয়ে আমি আলভী কে কল দিলাম
আমি- আসসালামু আলাইকুম দোস্ত
আলভী- ওয়ালাইকুম আসসালাম কি অবস্থা
আমি- আলহামদুলিল্লাহ ভালো তুই
আলভী- আলহামদুলিল্লাহ ভালো
আমি- (ওকে সব খুলে বললাম)
আলভী- আমি জানতাম তোর জীবনে এরম কিছু একটা হইবো ওকে আমি বাপ্পি, পারভেজ, রোহান, সাকিব কে বলছি তুই বাকিদের বল ওকে
আমি-থ্যাংকস দোস্ত ওকে আমি বাকিদের বলে দেই Allah Hafiz
আলভী- Allah Hafiz
তারপর আমি হাফসা কে কল দিলাম
আমি-আসসালামু আলাইকুম
হাফসা-ওয়ালাইকুম আসসালাম কেমন আছিস
আমি- আলহামদুলিল্লাহ ভালো তুই
হাফসা-আলহামদুলিল্লাহ ভালো
তারপর ওকেও সব খুলে বললাম
হাফসা-ওকে ঠিক আছে don't worry আমি বাকিদের বলে দিচ্ছি
আমি- ওকে থ্যাংকস দোস্ত Allah Hafiz
হাফসা-ওকে Allah Hafiz
তারপরে আল্লাহর নাম নিয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম সকালে ফজরের নামাজ তিনজন একসাথে পড়তে গেলাম মানে আব্বু, ভাইয়া, আমি। তারপর এসে হালকা সা ঘুম দিলাম ঘুম থেমে উঠে ফ্রেশ হয়ে গোসল করে নাস্তা করলাম সবাই মিলে তারপর আমার পরিবার আর ফ্রেন্ডস সবাই মিলে শপিং করে আসলাম তারপর আমাদের বাড়ি আমার রুম সাজানো হলো বাকিটা আপনারাই জানেন
#চলবে, The Journey will be Continued ইনশাআল্লাহ
[বিঃদ্রঃ ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন জীবনে লেখা প্রথম গল্প এইটা ভুল হতেই পারে রেসপন্স পেলে পরবর্তী পর্ব অনেক জলদি পাবেন ইনশাআল্লাহ]
[কিছু কথা আমার বউয়ের পুরা নাম তিথি আক্তার বৃষ্টি সবাই বৃষ্টি বলেই ডাকে আর আমার ভাবীর নাম সানজিদা রাহমান সারা, আমার আব্বুর নাম মোঃ মোক্তার আহমেদ আর আম্মুর নাম আফরোজা আহমেদ ,যার সাথে কথা বললাম হাফসা ও আমার বোনের মত ফ্রেন্ড উম্মে হাফসা শান্তা ডাকনামঃ হাফসা
আর আমার বেস্ট ফ্রেন্ড মোঃ আলভী আহমেদ আর কারোর নাম জানা লাগলে বলবেন কমেন্টে, ভাইয়া ভাবীর বিয়ে আরো 5 বছর আগেই হয়েছে একটা বাচ্চা হয়েছিলো কিন্তু ডেলিভারির সময় মারা গেছে এইজন্য আর কোনো বাচ্চা নিতে চায় না গল্পে বলতে চাই নাই কারণ আমি গল্প কে হেপি বানাতে চাই ডার্ক জিনিস চাইনা so, গল্পে বলা যেত না এইজন্য এইখানেই বললাম]
আসসালামু আলাইকুম
Allah hafeez 



















গল্পঃপিচ্চি বউ ও পিচ্চি বর এর ভালোবাসা
লেখকঃ মোঃ রিয়াদ আহমেদ জিদান
পর্ব-০২
ফজরের নামাজ পড়ার জন্য ঘুম থেকে উঠে মসজিদে নামাজ পড়তে গেলাম। নামাজ পড়ে এসে দেখি বউ আমার নামাজ পড়ে জায়নামাজ রাখছিল আমি বললাম
আমি-আসসালামু আলাইকুম বউ
বৃষ্টি-ওয়ালাইকুম আসসালাম জামাই











আমি ওর কাছে গিয়ে ওকে জড়িয়ে ধরে বললাম
আমি- I love you বউ















বৃষ্টি- I love you too 















আমি- আসো না বউ রোমেন্স করি
বৃষ্টি- যাও তো দুষ্ট পোলাপাইন আমার লজ্জ্বা করে(অনেক লজ্জ্বা পেয়ে)
আমি-আসো না বউ শুয়ে থাকি
বৃষ্টি-হুম













বিছানায় শুয়ে ওকে আমি জড়িয়ে ধরলাম
তারপর ঠোঁটে কিস করতে লাগলাম আর উই ও অনেক ভালো করে রেসপন্স করছিলো একটু পড়ে আমরা ঘুমিয়ে পড়লাম।
একটু পড়ে ভাবি আসলো দরজায় নক দিয়ে বললো
ভাবি- সকাল হয়ে গেছে তো আর কত ঘুমাবে
আমি-ভাবি আরেকটু ঘুমাসি না প্লিজ
ভাবি- না না অনেক দেরি হয়ে গেছে, নাস্তা খেতে হবে নইলে গ্যাস্ট্রিক হবে
আমি-ওকে ভাবি আসছি
ভাবি-বৃষ্টি উঠছে
বৃষ্টি- হ্যা ভাবি আমি উঠছি
ভাবি-ওকে ফ্রেশ হয়ে জলদি আসো
বৃষ্টি আর আমি একসাথে বললাম- ওকে ভাবি
আমি- বৃষ্টি যাও ফ্রেশ হয়ে আসো
বৃষ্টি- একবারে গোসল করে আসি
আমি-সকালে না গোসল করছো
বৃষ্টি-হ্যা কিন্তু ঐটা নরমাল ভাবে করছি এখন ভালো ভাবে করে আসি
আমি-ওকে চলো একসাথে গোসল করে আসি
বৃষ্টি-কি!!!


না না আমার লজ্জ্বা করে তো




আমি-প্লিজ না বউ তুমি আমার কোনো কথাই শুনো না যাও তোমার সাথে কথা বলবো না(রাগ করে অন্য দিকে ঘুরে)
বৃষ্টি-ওরে আমার জামাই রাগ করছে(আমাকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে)
আমি-না(রাগি কন্ঠে)
বৃষ্টি-ওকে সরি যাও আসো একসাথে গোসল করি
আমি-সত্যি


(ওর দিকে ঘুরে)




বৃষ্টি- হুম আসো











তারপর আমরা একসাথে গোসল করে আসলাম
তারপর সবাই একসাথে নাস্তা সেরে নিলাম তারপর আম্মু বললো
আম্মু-বিকেলে বৃষ্টি কে নিয়ে তাদের বাসায় যেতে হবে
আমি-ওকে, কিন্তু কেন











আম্মু- এইটাই নিয়ম তোরা আজকে গিয়ে থাকবি তারপর আমরা নিতে আসবো তোদের
আমি-ঠিক আছে 




(শশুর বাড়ী রসের হাড়ি






)














তারপর বিকেলে পরিবার থেকে বিদায় নিয়ে শশুর বাড়ী যাওয়ার জন্য রওনা হলাম





উই শরীয়ত সম্মত কাপড় লাইক হিজাব বোরকা আর নিকাব পড়ছে আর আমি পাঞ্জাবি একদম বেস্ট জুটি আমাদের 


































































আপনাদের সাথে কথা কথা বলতে বলতে শশুর বাড়ী পৌঁছে গেলাম
গাড়ি থেকে নেমে শশুর বাড়ী ঢুকলাম তারপর শশুর শাশুড়ি স্বাগত জানানোর জন্য আসলো
আমি- আসসালামু আলাইকুম আঙ্কেল আন্টি ভালো আছেন ??
আঙ্কেল আন্টি- ওয়ালাইকুম আসসালাম, আলহামদুলিল্লাহ বাবা আমরা ভালো আছি তুমি কেমন আছো আর ফেমিলির সবাই কেমন আছে
আমি- আলহামদুলিল্লাহ আমি ভালো আছি আর ফেমিলির সবাই ও ভালো আছে









শাশুড়ি-যাও বাবা রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে রেস্ট নাও
আমি-ওকে আন্টি
শাশুড়ি-আম্মু বলবে আন্টি না ওকে
শশুর- হ্যা আমাকে আব্বু বলে ডাকবা ওকে
আমি-ওকে আব্বু,,,আম্মু
তারপর বৃষ্টির রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে বিছানায় শুয়ে পড়লাম।
একটু পর বৃষ্টি আসলো
বৃষ্টি- ওই জামাই ঘুমিয়ে পড়লেন নাকি উঠেন লাঞ্চ করবেন না
আমি-হুম উঠছি আগে একটা দাও
বৃষ্টি-


কি













আমি- (আমার ঠোঁট দেখিয়ে)
বৃষ্টি- না পরে 









তারপর আমি উঠে ওকে জড়িয়ে ধরে ঠোঁটে আলতো করে কিস দিয়ে বাথরুমে ফ্রেশ হতে চলে গেলাম
এসে দুজনে মিলে খাবার টেবিলে গিয়ে লাঞ্চ করলাম
শশুর আব্বু- তা তোমার পড়ালেখা কেমন চলছে বাবা
আমি- আলহামদুলিল্লাহ ভালোই চলছে আল্লাহর রহমতে 











তারপর লাঞ্চ করে বিকেলে আসর এর নামাজ আদায় করে একটু ছাদে গিয়ে বসলাম তারপর বৃষ্টি আসলো
বৃষ্টি- জামাই কি করছেন
আমি- এইযে বউ বসে আছি,
????- দুলাভাই কেমন আছেন
আমি-আলহামদুলিল্লাহ ভালো, সরি তোমাকে চিনতে পারলাম না 











বৃষ্টি- ও আমার খালাতো বোন বর্ষা বিয়ের মধ্যে তো ছিলো আপনার সাথে দেখা ও হয়েছিল
আমি- ohh মনে আসলো এইবার আসলে আমি মানুষের নাম সহজে মনে রাখতে পারি না 











আরো মেয়ে আসলো আমার সামনে আর বললো
মেয়েগুলো-কেমন আছেন দুলাভাই







আমি-আলহামদুলিল্লাহ ভালো সরি হা তোমাদেরও চিনতে পারলাম না,















বৃষ্টি-এরা আমার বান্ধবী
আমি-ওওও (এইরে এমনেই আমি মেয়েদের থেকে লজ্জ্বা পাই এরা তো আমার কাছে চিপকা চিপকা আসবো)
ওই মেয়েদের মধ্যে একটি মেয়ে আমার কাছে আসলো আর বললো
মেয়েটি- বাসর রাত কেমন কাটলো দুলাভাই,













আমি-






(এই আবার কেমন মেয়ে অন্যদের বাসর ঘরে ঢুইকা যায় আমি তো লজ্জ্বা শেষ)








বৃষ্টি-এই তুই কেমন প্রশ্ন করস হা




(রাগি লুক নিয়ে)






মেয়েটি-সরি সরি বোন 









আমার নাম আশা (আমার দিকে ঘুরে)
আমি- হাই
আশা-হেলো 











তারপর আরো কিছুক্ষণ কথা বলতে বলতে রাত হয়ে গেছে so, সবাই নিজের বাসায় চলে গেল আল্লাহ বাঁচাইছে আলহামদুলিল্লাহ।
রাতে খাবার খেয়ে আবার রাতে ঘুমানোর জন্য রুমে গেলাম
গিয়ে দেখি বউ সাজুগুজু করছে আমি পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে বললাম
আমি-বউ হঠাৎ সাজুগুজু করছ যে
বৃষ্টি-আপনার জন্যই তো সাজুগুজু করছি











আমি-oh really,কিন্তু আমি তো সাজুগুজু করতে বলি নাই 









বৃষ্টি- হুম আপনি বলেননি কিন্তু শরীয়ত বলছে জামাই কে নিজের প্রতি আকৃষ্ট করতে বুচ্ছেন

























আমি-হুম বউ





তোমাকে অনেক সুন্দর লাগছে হালকা সাজুগুজু করছে এতেই কত সুন্দর লাগছে আমার বউ কে 






























বৃষ্টি- থ্যাংকস জামাই













তারপর ওকে আমার দিকে ঘুরিয়ে একটা কিস দিলাম কপালে





আমি- একটা সুন্নাত পূরণ হইলো 















সাথে সাথে আমার কপালে চুমু দিয়ে বললো
বৃষ্টি-হুম

















আমি-আসো না বউ শুয়ে পড়ি











বৃষ্টি- হুম,,,,,,











তারপর আমরা শুয়ে পড়লাম তারপর ওকে আমি জড়িয়ে ধরে ঠোঁটে গালে কপালে ঘাড়ে গলায় কিস করতে লাগলাম উই এতে অনেক শিহরিত হতে লাগলো
একটু পর উই ও আমাকে জড়িয়ে কিস করতে থাকলো আমার মতো।( হায়রে কত মজা রে ভাই হপায় যদি একটা বউ থাকতো কতই না মজা হতো 












)














*সকালে*
সকালে উঠে নামাজ পড়ে আবার দিলাম একটা ঘুম

















কিছু ঘন্টা পর উঠে সবাই মিলে নাস্তা করে নিলাম।
তারপর বিকেলে আম্মু আব্বু ভাইয়া ভাবি আসলো।
তারপরে, সবাই মিলে অনেক অনেক গল্প করলাম তারপর রাতে খাওয়া দাওয়া করে অনেক গল্প হলো তারপর রাতে বাসায় এসে গেলাম বাসায় এসে অনেক ক্লান্ত হয়ে ফ্রেশ শুয়ে পড়লাম 















একটু পর বউ এসে বললো
বৃষ্টি- ওই জামাই ক্লান্ত হয়ে গেছেন অনেক
আমি-হুম(ঘুম ঘুম ভাব নিয়ে বললাম)
বৃষ্টি-তাহলে কাপড় টা চেন্জ করে ঘুমাইতেন
যেটা পড়ে আসছিলেন ঐটাই তো পড়ে ঘুমিয়ে পড়লেন
আমি-ওকে বউ
তারপর কাপড় চেঞ্জ করে শুয়ে বউ জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে পড়লাম উই ও আমাকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে পড়ল।
রাতে দম বন্ধ হয়ে আসছিলো চোখ খুলে দেখি
বৃষ্টি আমাকে কিস করছে আমি জেগে গেছি দেখে ছেরে দিল
আমি-বউ এত সুন্দর করে কিস দিচ্ছিলে কেন













বৃষ্টি-ঐযে আপনার ওই সুন্দর লাল লাল মিষ্টি ঠোঁটটা আমাকে আকৃষ্ট করছিলো







আমি-এখন তো তোমার সুন্দর লাল লাল মিষ্টি গোলাপের পাপড়ির মত নরম কমলার মত রসালো ঠোঁটটা আমাকে আকৃষ্ট করছে











































বৃষ্টি চোখ বন্ধ করে নিলো। আমি ওর ঠোঁটে চুমু দিয়ে চুষতে লাগলাম আর এইটার রেসপন্স করছিলো 























তারপর ঘুমিয়ে পড়লাম ঘুম থেকে উঠে মসজিদে নামাজ পড়ে এসে দেখলাম বউ এর নামাজ পড়া হয়ে গেছে আমাকে দেখে বললো
বৃষ্টি-আসসালামু আলাইকুম জামাই
আমি-ওয়ালাইকুম আসসালাম বউ,
ও আমার কাছে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে বললো
বৃষ্টি-জামাই আসুন না রোমেন্স করি 











আমি-ওকে আসো বউ
তারপর বিছানায় শুয়ে রোমেন্স করতে লাগলাম
আমি ওর ঠোঁট দুটো কিস দিতে দিতে একটা কাপড় দিলাম
বৃষ্টি- এই জামাই কামড় দেন কে

(হালকা রেগে গিয়ে)



আমি-এইটা ভালবাসার কামড় তো এইটার মানে আমি তোমাকে অনেক ভালবাসি





















বৃষ্টি- ও আচ্ছা।
এই বলে বৃষ্টি আমার অনেক কাছে এসে নিজের ঠোঁট আমার ঠোঁটের কাছে এনে চোখ বন্ধ করে কিস দিয়ে একটা জোরে কামড় দিলো
আমি- আআআআ, এত জোরে কেউ কামড় দেয়(জোরে চিল্লান দিয়ে)
বৃষ্টি-এই আসতে, চিল্লান কেন আর আমি আপনাকে অনেক ভালোবাসি তাই অনেক জোরে কামড় দিছি

























আমি-



হায়রে বউ, আচ্ছা যাই হোক তুমি রাগলে ভীষন কিউট লাগো





বৃষ্টি-সত্যি জামাই





















আমি-হুম বউ

































তারপর আবার ঘুমিয়ে পড়লাম।
সকালে দেখি আমার বউ গোসল করে এসে ড্রেসিং টেবিলের সামনে বসে চুল আচড়াচ্ছে আমি মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে আছি













বৃষ্টি আমার দিকে তাকিয়ে হালকা লজ্জা পেয়ে বললো
বৃষ্টি-এই এইভাবে কি দেখছেন 









আমি-তোমাকে











বৃষ্টি-যাও তো দুষ্ট
আমি- বউ তোমাকে অনেক সুন্দর লাগছে
বৃষ্টি- সত্যি











আমি-হুম বউ













গেটে ভাবি এসে বললো
ভাবি- এই তোমরা নাস্তা খেতে চলে আসো জলদি
আমি আর বৃষ্টি- হ্যা ভাবি আসছি
ভাবি- হুম জলদি আসো
অমি তাড়াতাড়ি গোসল করে নাস্তা খেতে চলে আসলাম বাইরে বৃষ্টির সাইডের চেয়ারে বসলাম মনে হয় আমার জন্যই এই চেয়ার খালি









আমি-আব্বু আজকে কলেজে যাই
আব্বু- কেন আজকেই যেতে হবে
আমি-না মানে কয়দিন তো নাগা দেওয়া হলো (বউ কে নিয়ে কলেজে ঘুরার মজাই আলাদা মনে মনে বললাম মুখে বললে রক্ষা আছে)
ভাবি- বৃষ্টি তুমি ও কি যাইবা
বৃষ্টি- উনি গেলে আমিও যাবো
ভাবি- এই উনি টা কে
ভাইয়া- আরে বুঝো না ওর প্রাণ প্রিয় হাব্বি
বলেই দুজন মিলে হেঁসে দিলো
এইদিকে আমি আর বৃষ্টি লজ্জায় শেষ
আম্মু- এই তোমরা মজা বন্ধ করো তো দেখছো না ওরা লজ্জায় মুখ লাল হয়ে গেছে
আব্বু- আচ্ছা ওইসব ছাড়ো ঠিক আছে তোমরা দুজন যেতে পারো
আমি আর বৃষ্টি একসাথে- ওকে আব্বু
তারপর নাস্তা করে কলেজে যাওয়ার জন্য রেডি হয়ে নিলাম উই ও রেডি ফুল পর্দাশীল হয়ে



















কলেজে যাওয়ার জন্য সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে বাড়ির বাইরে এসে ড্রাইভার আঙ্কেল কে বললাম গাড়ি বের করতে তারপর গাড়ি নিয়ে আসলেন তারপর গাড়িতে উঠে কলেজে যাওয়ার জন্য রওয়ানা হলাম ।
কলেজে পৌঁছে গেলাম তারপর কলেজে ঢুকে ডাইরেক্ট ক্যান্টিনে গেলাম সবাই ঐখানেই আছে।
সবাই আমাদের দুজনকে দেখে বললো
Wow


একদম কিউট জুটি আমাদের 






।












তারপর হাফসা বৃষ্টি তারপর সোহানা(আমার আরেকটা ফ্রেন্ড) আড্ডা দিতে থাকলো
তারপর আমি আলভী বাপ্পি রাজ সবাই মিলে হাটতে হাটতে আড্ডা দিতে লাগলাম একটু পর ক্যান্টিনের দিকে এসে দেখি কিছু বখাটে ছেলে বৃষ্টি হাফসা সোহানা কে ইভটিজিং করছিলো বলছিলো
একটা ছেলে- কিরে সুন্দরী আমাদের দিকেও একটু তাকাও
বৃষ্টি- দেখেন আমাকে কিন্তু আপনি চিনেন না মাইর খাইবেন এক একটা কে কলেজ থেকে বের করিয়ে দিবো
আরেকটা ছেলে-কি বললি তুই কি করবি হা
বলেই বৃষ্টি কে থাপ্পড় দিতে গেল সাথে গিয়ে আমি ঐছেলের হাত ধরে ফেললাম
ছেলেটি- কিরে কে তুই আমাকে আটকানোর সাহস কোথায় থেকে পেলি তুই
আমি- তোর মত ঘোচু কে আটকানোর জন্য সাহস লাগে নাকি
ছেলেটি- কে তুই ওর আশিক নাকি
বলেই বখাটে গুলো হাসতে লাগলো,,,,,,,,,
আমাদের তো রাগ উঠে গেছে একেকটাকে আচ্ছা মত পিটাইলাম।
তারপর এম্বুলেন্স কে কল করে তাদেরকে হসপিটালে পাঠিয়ে দিলাম।
তারপর বৃষ্টি আমার কাছে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে শুরু করল
আমি- এইযে বউ কাঁদছো কেন তুমি, তুমি কাঁদলে আমার কষ্ট হয়
বৃষ্টি- আপনার ওদের সাথে মারামারি করার কি দরকার ছিল হা ,





(কাঁদতে কাঁদতে বললো)







আমি- তো কি করব বউ বলো ওরা তোমাদের ইভটিজিং করবে আর আমি বসে থাকব বলো
বৃষ্টি- আপনার যদি কিছু হয়ে যেত তাইলে আমার কি হতো একবার ভাবছেন




(এখনো কাঁদছে)






আমি- এই দেখো আমি একদব ঠিক আছি আল্লাহর রহমতে আলহামদুলিল্লাহ
বৃষ্টি-আলহামদুলিল্লাহ আপনার কিছু হয়নি এর পর থেকে আর কোনো পাঙ্গা নিবেন না
আমি- ঠিক আছে বউ 









উই যে আমাকে জড়িয়ে ধরেছে এইটা কেউ দেখেনি কারণ সবাই বাইরে আর আমি আর বৃষ্টি ভিতরে
বাপ্পি- কিরে তোমরা একে অপরকে জড়িয়ে ধরেই রাখবে
হাফসা-হুম জানে জিগার না
বাকি বন্ধুরাও আছে আর কেউ নাই
তারপর সবাই হেসে দিলো 





















আমরা লজ্জা পেয়ে একে অপরকে ছেড়ে দিলাম ,,,,,,,,,,,,,,,








।










#চলবে: The journey will be continued
ইনশাআল্লাহ
[বিঃদ্রঃ ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন ভালো লাগলে লাইক দিবেন এবং কমেন্ট করে মতামত জানাতে ভুলবেন না, রেসপন্স পেলে পরবর্তী পর্ব অনেক জলদি দিব ইনশাআল্লাহ]
আসসালামু আলাইকুম,,
গল্পঃ পিচ্চি বউ ও পিচ্চি বর এর ভালোবাসা।
লেখকঃ মোঃ রিয়াদ আহমেদ জিদান।
পর্ব-০৩
প্রিন্সিপাল স্যার- I'm so sorry, জিদান আসলে আমি বুঝতে পারিনি যে উই বখাটে গুলো ইভটিজিং করবে আর কেউ কমপ্লেইন ও দেয় নি so, ওদের কলেজে বের করার ও কোনো চান্স ছিল না নেতার ছেলে তো
আমি- it's ok but আব্বুকে কিছু বলেননি কেন,,,,,,???
প্রিন্সিপাল-কেউ যদি কমপ্লেইন দিতো তাহলে তোমার আব্বুকে বলতাম কিন্তু ভয়ে কেউ কমপ্লেইন ই করে নাই
আমি- আচ্ছা no, চিনতা আমি আব্বুকে বলে বের করিয়ে দিব ওই নেতা আমাদের কোনো কিছু করতে পারবে না ইনশাআল্লাহ
প্রিন্সিপাল- হুম তাই করো
এরই মধ্যে সব স্যার মেডাম রাও ক্যান্টিনে এসে হাজির
তারপর স্যার মেডাম রা আমাদের জন্য first aid kit নিয়ে আসলো তারপর আমাদের ইলাজ করতে লাগলো
আমাকে একটা সুন্দরী মেডাম ব্যান্ডেজ ও স্যাভলন লাগিয়ে দিচ্ছিল শুধু সুন্দরী বললে ভুল হবে পুরা কলেজের ক্রাশ কিন্তু আমাকে ছাড়া আমি ঐরকম পোলা না আর আমার ফ্রেন্ডস রাও না 









এইটা দেখে বৃষ্টির একটুও সহ্য হচ্ছিলো না কারণ ওর স্বামীর কাছে কেউ যদি যায় এটা ওর একটুও পছন্দ না কিন্তু নিজের রাগ কন্ট্রল করে রাখলো কারণ এইখানে কারোর কোনো দোষ নাই।
তারপর সব স্যার মেডাম রা চলে গেল আর আমি আর
বৃষ্টি একসাথে ক্যান্টিনে বসে আছিলাম আর দেখলাম রাগ করে অন্যদিকে তাকিয়ে আছে আমি বললাম
আমি- সরি বউ আর মারামারি করব না এইবার তো ক্ষমা করে দাও
বৃষ্টি-না আমি আপনার উপর রাগ করে নেই(মনে মনে, এইখানে আপনার তো কোনো দোষ নাই তো আমি রাগ করে আছি কেন)
আমি-তাহলে এইভাবে বসে আছো কেন অন্যদিকে,আমার দিকে ঘুরে একটু স্মাইল করো
বৃষ্টি-ওরে আমার জামাই টা (আমার নাক ধরে বললো)
আমি-এই সবাই দেখছে











উই নাক ছেড়ে দিয়ে লজ্জা পেয়ে নিচের দিকে তাকিয়ে আছে
আমি- আসো বউ ক্লাসে যাই
বৃষ্টি-ওকে আসুন
তারপর সবটা ক্লাস করে বাড়িতে আসলাম আমাকে দেখে আম্মু আর ভাবি দৌড়ে আসলো
আম্মু- কিরে জিদান তোর হাতে ব্যান্ডেজ কেন









ভাবি- হুম কোথাও কি মারামারি করছিস নাকি









আমি- আরে ঐটা কোনো বেপার না এমনেই
বৃষ্টি-কিসের কোনো বেপার না আমি বলছি তারপর বৃষ্টি ওনাদের সব বললো
আম্মু-একদম ঠিক করছিস আচ্ছা মত পিটিয়ে
ভাবি- হুম ওদের এইটাই পরিণাম হওয়া উচিত
আমি- হুম ঠিক করছি না কিন্তু বৃষ্টি হুদাই টেনশন নিচ্ছে
ভাবি- না ভাই বৃষ্টির তো টেনশন হবেই এইটা তো টেনশন এর ই বেপার
আম্মু-যদি তোর কিছু হয়ে যেতো
এর মধ্যে আম্মু বৃষ্টি ভাবি সবাই কেঁদে ফেললেন
আমি- তোমরা কাঁদছো কেন এই নাও কান ধরছি আর এরকম হবে না (কান ধরে)
আম্মু-আচ্ছা যা ফ্রেশ হয়ে আয় একসাথে লাঞ্চ করবো
আমি-ওকে আম্মু
বলে আমি আর বৃষ্টি ফ্রেশ হয়ে আসলাম লাঞ্চ করতে তারপর লাঞ্চ করলাম।
তারপর বাইরে গিয়ে একটু আড্ডা দিলাম বন্ধুদের সাথে।
তারপরে আসরের নামাজ পড়ে বাসায় আসলাম
রাতে ডিনার করে একটু ছাদে গিয়ে বসলাম কিছুক্ষণ পর রুমে চলে গেলাম রুমে গিয়ে দেখি বৃষ্টি শাড়ি পড়ার ব্যর্থ চেষ্টা করছে
আমি-কি হলো বউ হঠাৎ শাড়ি পড়ছো দেখি আজকে কি কিছু স্পেশাল??????
বৃষ্টি-না এমনেই কেন পড়তে পারি না
আমি-হুম ঐটা তো পারো কিন্তু মনে হয় তুমি শাড়ি পড়তে পারো না
বৃষ্টি-হুম জামাই একটু হেল্প করেন না(অনুরোধ করে)
আমি-আচ্ছা আসো
তারপর আমি ওকে শাড়ি পড়াতে লাগলাম আমার চোখ গিয়ে বাঁধলো ওর নাভির দিকে ও এইটা লক্ষ্য করে বললো
বৃষ্টি- এই জামাই কি দেখছেন







আমি-এইটা (ওর নাভির দিকে আঙ্গুল দিয়ে ইশারা করে )
তারপর ওর নাভির সাইডে একটা তিল আছে ঐটাই কিস করলাম



ও এইটাতে অনেক শিহরিত হয়ে চোখ বন্ধ করে নিলো তারপর আমি উঠে ওর কপালে আলতো করে কিস করলাম





তারপর ওকে শাড়ি পড়িয়ে দিলাম। তারপর একে অপরকে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে পড়লাম।
গভীর রাতে মোবাইলে কল আসলো রিসিভ করতেই আলভী বললো
আলভু- এই শুন আজকে কলেজে যাকে পিটাইলাম না ওর নেতা বাপের কারখানায় দুইটা বড় গাড়ির মধ্যে দেখলাম ড্রাগস সাপ্লাই করছে
আমি- কি কস তুই সত্যি 









আলভী-হুম আমরা রেকর্ড ও করছি
আমি-আচ্ছা তোরা ওখান থেকে বের হয়ে আয় নাইলে যদি তোদের দেখে তাইলে প্রবলেম হবে ডাইরেক্ট আমাদের বাড়িতে আয় তারপর যা চিনতা করার করবো
তারপর আমি ভাইয়ার রুমে গিয়ে ভাইয়াকে সব বললাম একটু পর ওরাও আসলো তারপর প্ল্যানিং করলাম যে ইলেকশন এর রেজাল্ট এর দিন ওদের সব কু কর্ম সবাইকে দেখাবো। তারপরে সবাই মিলে নামাজ পড়তে গেলাম মসজিদে তারপর সবাই তাদের বাড়িতে চলে গেল তারপর ভাইয়া ও তার রুমে চলে গেল
আমিও চলে গেলাম রুমে গিয়ে দেখি বউ আমার মোনাজাত করছে তারপর ওর মোনাজাত শেষ হওয়ার পর
আমি- আসসালামু আলাইকুম বউ













বৃষ্টি-ওয়ালাইকুম আসসালাম জামাই











আমি-বউ আমার না ক্ষুদা লাগছে 















বৃষ্টি- ওকে আমি আপনার জন্য কফি আর কিছু নাস্তা নিয়ে আসছি















আমি- ওকে বউ আমাদের দুজনের জন্য নিয়ে আইসো একসাথে খাবো।
বৃষ্টি-ওকে হাব্বি 











তারপর উই কফি আর খাবার নিয়ে আসলো তারপরে আমরা বারান্দায় বসে একে অপরকে খাইয়ে দিচ্ছি
হালকা হালকা বৃষ্টি পড়ছে so, রোমান্টিক মোমেন্ট ইয়ার কি বলবো








।










তারপর আমরা কিছু গল্প করলাম। তারপর ও গোসল করে আসলো ভেজা ভেজা চুল যা লাগছে না বলে বুঝাতে পারবো না 















তারপর ওকে জড়িয়ে ধরে গালে চুমু দিয়ে আমি গোসল করতে চলে গেলাম এসে সবাই মিলে নাস্তা করতে করতে আম্মু বললো
আম্মু-অনেক দিন ধরে কোথাও ঘুরতে যাওয়া হয় না চলো কোথাও ঘুরতে যাই সবাই মিলে
আব্বু-হুম কথা টা খারাপ না
ভাইয়া-কোথায় ঘুরতে যাবো??????
আম্মু-বিদেশে কোথাও
আমি- না না বিদেশে না
ভাইয়া- নিজের দেশ ই বেস্ট
ভাবি-নিজের দেশে অনেক জায়গাই আছে ঐখান থেকে কোথায় যাবে
বৃষ্টি- I guess কক্সবাজার
আম্মু- হুম বৃষ্টি মা ঠিক বলছে
আব্বু-হুম তাইলে আমি আমাদের রিসোর্টে রুম বুক করে নেই
আমি-ওকে done





















আম্মু- আচ্ছা তাহলে বৃষ্টির আম্মু আব্বুকে কেউ ও বলে দেই আর জিদান তোর ফ্রেন্ডস দের ও বলে দে আর ওদের ফেমিলির লোকদের ও
আমি-ওকে
আব্বু-done তাইলে আমি ঐ হিসাবে রুম বুক করে দেই ওকে
সবাই-ওকে
তারপর আমি আর বৃষ্টি কলেজে গেলাম গিয়ে ওদের ঘুরতে যাওয়ার কথা টা বললাম সবাই তো আর ফ্রি না so, হাফসা, বাপ্পি,আর আলভী আর ওদের ফেমিলির লোকজন আসবে। I'm so excited for this 









.।











তারপর পরের দিন সবাই মিলে ঘুরতে যাওয়ার জন্য রেডি হয়ে
এয়ারপোর্ট এ এসে হাজির।
তারপর ফ্লাইট কক্সবাজার যাওয়ার জন্য প্রস্তুত উড়াল দিলো আকাশে।
আমি আর বৃষ্টি একসাথে বসছি
আসলে টিকিট আমি ই বুক করছিলাম so সবার সিট আমি ই নির্ধারণ করছি

































































তারপর কক্সবাজার পৌঁছনোর পর রিসোর্টে গেলাম তারপর সবাই মিলে রিসেপশন এ গিয়ে সবার রুমের চাবি নিয়ে নিলাম তারপর আমি আর বৃষ্টি রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নিলাম। তারপর যোহরের নামাজ পড়ে দুপুরে বের হলাম সবাই।
তারপর আমি আর বৃষ্টি একটু দূরে গিয়ে সমুদ্রের বুকে হাটাহাটি করছি একে অপরের হাত ধরে










তারপর একটা বেঞ্চে বসে পড়লাম উই আমার কাঁধে মাথা রেখে বসে আছে আমার হাত ধরে

































আমি-এই মোমেন্ট টা অনেক রোমান্টিক না বউ











বৃষ্টি-হুম জামাই



















তারপর আমরা অনেক গল্প করলাম
তারপর রিসোর্ট এর রেস্টুরেন্টে গিয়ে লাঞ্চ করে নিলাম। তারপর রাতে আমরা ছেলেরা ছেলেরা আড্ডা দিচ্ছি হঠাৎ করেই কারেন্ট চলে গেল সব কিছু অন্ধকার হয়ে গেল একটু পড়ে বৃষ্টির চিল্লান এর শব্দ আসলো সাথে সাথে ওই দিকে গেলাম আমরা সবাই
গিয়ে দেখি বৃষ্টি মাটিতে অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে তারপর ওকে চেয়ারে বসিয়ে পানি ছিটিয়ে দিলাম ওর মুখে তারপর ওর জ্ঞান ফিরলো উই অনেক ভয়ে ভয়ে বললো
বৃষ্টি- আমি ঐখানে কিছু একটা দেখছি সাদা কাপড়ে অনেক ভয়াবহ কিছু
ভাবি- কি দেখছো (ঘাবড়ে গিয়ে)

















বৃষ্টি-জানি না কিন্তু অনেক ভয়াবহ ছিল ওর চেহারা




(অনেক ভয় পেয়ে)






আমি- ঠিক আছে আমি গিয়ে দেখছি
বৃষ্টি- না আপনি কোথাও যাবেন না
ভাবি- নিশ্চই কোনো জিন বা শয়তান
আম্মু- হুম তুই বরঞ্চ ওকে নিয়ে রুমে যা
আমি-কিন্তু মা
আব্বু- কোনো কিন্তু না যেটা বলছে ঐটা শুন
আর হ্যা সবাই সবার রুমে চলে যাও আমি রুমে গিয়ে ইলেকট্রিশিয়ান কে কল করে বলে দেই যে চেক করতে কি প্রবলেম হইছে ওকে
সবাই-ওকে
তারপর আমি আর বৃষ্টি রুমে গেলাম। যাইতে সময় আমি কিছু একটা দেখলাম তারপর আমি পুরো মেটার টা বুঝতে পারলাম।
তারপর ওকে বিছানায় শুইয়ে দিলাম কিন্তু ও কিছুতেই ঘুমোতে চাচ্ছিলো না অনেক ভয় কাজ করছে ওর মনের মধ্যে।
তারপর আমি ওকে জড়িয়ে ধরে ওর কানের কাছে এসে বললাম
আমি- যখন ঘুমাবেই না so, রোমেন্স ই করি 













ও কিছু বললো না তারপর আমি ওর ঠোঁটে চুমু দিলাম ও এইটার রেসপন্স করতে লাগলো আরো কিছুক্ষণ রোমেন্স করে ঘুমিয়ে পড়লাম।
তারপর সকালে উঠে দুজন একসাথে নামাজ আদায় করলাম








































তারপর নাস্তা করতে গেলাম তারপর সবাইকে বললাম আমি-আচ্ছা দুপুরে নামাজ পড়ে রিসোর্টের এর এনট্রেস এ আমার অপেক্ষা কইরেন কিছু দেখাবো
সবাই-ওকে
তারপর দুপুরে যোহরের নামাজ পড়ে নিচে গিয়ে দেখলাম সবাই নিচে এসে হাজির
তারপর সবাই কে বললাম
আমি-কালকে যে বৃষ্টি বলছিলা কাকে জানি দেখছো তুমি অনেক ভয়ঙ্কর ভয়াবহ
বৃষ্টি- হুম কেন
আমি- দাঁড়াও একটু অপেক্ষা করো সব বুঝবে
আলভী-এই নে তোর ভয়ংকর আদমি (একটা লোককে ধরে এনে)
আমি- হুম তো শুনো সবাই আমাদের রিসোর্টের সামনে আরেকটা রিসোর্ট আছে এইটা তো সবাই জানে রাইট
আব্বু- হুম তো
ভাইয়া-হুম তো আমাদের রিসোর্টের এতো ভালো কিছু দেখে সবাই আমাদের রিসোর্টেই আসতে চায় ওই রিসোর্টে না
আম্মু- হা তো কি হইছে
আমি- তো হইছে কি আম্মু এই হলেন ওই রিসোর্টের ম্যানেজার
সবাই- কি
ভাইয়া-জ্বি ওরা আমাদের এই উন্নতি দেখে ওরা জ্বলে পুড়ে ছারখার হয়ে গেছে
আমি- হুম এইজন্য ওরা আমাদের রিসোর্টকে বদনাম করার জন্য এই রিসোর্ট ভুতের আড্ডা এইটা প্রমাণ করার জন্য ওর রিসোর্টের ম্যানেজার কে বলছে ভূত সেজে এইখানে মানুষদের ভয় দেখাতে যাতে সবাই ভয় পেয়ে চলে যায়
বৃষ্টি-কিন্তু আমাকে কেন ভয় দেখালো
আমি- because my wife
তোমাকে ভয় দেখানো সহজ এবং আমরাও যদি তোমাকে অবিশ্বাস না করি এবং আমাদের এই রিসোর্ট বন্ধ করে দেই যাতে ওদের ধান্দা ভালো চলুক
সবাই- ওওও
হাফসা- কিন্তু তুই কিভাবে বুঝলি
আমি-কারণ আমি ওকে ওর ভয়ংকর মাস্ক কে খুলতে দেখছিলাম যখন আমি রুমে যাচ্ছিলাম
সবাই- ওওও
আমি- এখন বেবলার মত ওওও ওওও না করে পুলিশ কে কল দাও।
কমিশনার আঙ্কেল- কল দেওয়ার প্রয়োজন নেই আমরা এখানেই
ভাইয়া- কমিশনার আঙ্কেল আপনি এখানে
কমিশনার আঙ্কেল- হুম এক মুজরিম কে ধরার জন্য কক্সবাজার এসেছিলাম তারপর বাপ্পির কল আসলো তো আমি এখানে
আলভী-কিরে কল কখন দিলি
বাপ্পি- যেসময় জিদান বগর বগর করছিলো
আমি-কিরে পাগলা আমি বগর বগর করছিলাম ইয়া সবাইকে বলছিলাম
বাপ্পি- না মানে আমরা বন্ধুরা আর তাসকিন ভাইয়া তো জানি এই জন্য এই ফাঁকে কমিশনার আঙ্কেল কে কল দিলাম
আমি- দেখিস এর পর থেকে তোকে কিছুই জানাবো না
বাপ্পি-না ভাই এরকম করিস না
আমি- আচ্ছা যা তোকে মাফি ভিক্ষা দিলাম
এই বলে সবাই হেসে দিলাম
তারপর আরো কিছুদিন কক্সবাজার থাকলাম তারপর বাসায় চলে আসলাম।












#চলবে, The journey Will be continued
ইনশাআল্লাহ
[বিঃদ্রঃ ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন আশা করি ভালো লেগেছে কমেন্ট করে নিজের মতামত জানাতে ভুলবেন না ইনশাআল্লাহ যদি রেসপন্স পাই তাহলে নেক্সট পর্ব অনেক জলদি পাবেন]
আসসালামু আলাইকুম
গল্পঃ পিচ্চি বউ ও পিচ্চি বর এর ভালোবাসা
লেখকঃ মোঃ রিয়াদ আহমেদ জিদান
পর্ব-০৪ ও অন্তিম পর্ব
_________________কিছুদিন পর_____________
আমি আব্বু আম্মু আর ভাইয়া খবর দেখছিলাম বৃষ্টি আর ভাবি শপিং করতে গেছে হঠাৎ মোবাইল বেজে উঠলো হাফসা কল দিছে রিসিভ করেই বলতে লাগলো
হাফসা-আলভী আর বাপ্পি রে কেউ কিডন্যাপ করে নিয়ে গেছে
আমি-কি!!!!!
তখনই আমার মোবাইলে একটা ভিডিও আসলো
ঢুকে দেখি বৃষ্টি, ভাবি,আলভী,বাপ্পি কে ওরা বেঁধে রেখেছে তারপর সবার মাথায় gun ঠেকিয়ে রাখছে
নেতার ছেলে বললো
নেতার ছেলে-কিরে আমাকে পিটাইলি না আর সাহস কত আমাদের ড্রাগস ডিলিং কে রেকর্ড করা না আমি জানি ওই ভিডিও তোর কাছেই আছে জলদি ওই রিকর্ড টা কে আমি এক ঠিকানা দিছি ঐখানে এসে দিয়ে দে তাহলে এই বৃষ্টি আর তোর ভাবি আর তোর বন্ধুদের ছেড়ে দিবো হাহাহাহা ভিডিও শেষ
আমি-আমি জানি এই শয়তানে ভিডিও দিবার পরও ওদের ছাড়বে না
আম্মু-তাহলে কি করবি
চলো ভাইয়া ওদের খুঁজতে
ভাইয়া-চল
আব্বু- কোথায় পাবি ওদের
আমি- don't worry আমি ওয়াদা করছি ওদের নিয়েই বাড়ি ফিরবো ইনশাআল্লাহ।
তারপর আমি আর ভাইয়া gun নিয়ে বাইকে বের হয়ে গেলাম ওদের খুঁজতে
এদিকে।
নেতার ছেলে- তুই জানিস আমি কে উই জিদাইনা মনে হয় ওই ভিডিও ঐখানে পৌঁছিয়ে দিবে আর আমি এখানে তোদের এক একটা টা খুন করে ফেলবো হাহাহাহা
ভাবি- তুই জানিস না জিদান কি জিনিস উই এইখানে অবশ্যই আসবে
আলভী- হুম এসে তোদের এক একটাকে পিটিয়ে পিটিয়ে শেষ করে ফেলবে
বাপ্পি- একবার আমাকে ছেড়ে দে দেখ আমি তোদের কি করি
নেতার ছেলে- কী করবি হা তুই ভিতু আর তোদের ওই জিদান ভীতুর ডিম
বৃষ্টি- না আমার জিদান ভিতু না তোরা ভিতু নইলে তোরা এইভাবে লুকিয়ে থাকতি না হেন্ড টু হেন্ড কমবেট করতি আমার জামাই অবশ্যই আসবে আর তোদের তোদের এক একটা কে বুঝিয়ে দিবে কি তোরা কাদের সাথে পাঙ্গা নিচ্ছিস
নেতার ছেলে- ও তাইলে ওই জিদান তোর জামাই হা দেখি উই কিভাবে আসে কিন্তু তার আগে তোকে শুট করে মেরে ফেলবো এই বলে উই ট্রিগার এ চাপ দিবে ওর আগেই আমরা বাইম নিয়ে জাম্প দিয়ে ফায়ার করতে করতে আসলাম একটা গুলি গিয়ে ওই নেতার ছেলের হাতে লাগলো তারপর ভাইয়া আর আমি এক একটাকে পিটালাম পিটিয়ে অজ্ঞান করে দিলাম
নেতার ছেলে- তুই এইখানে কিভাবে আসলি
আমি- আবে ঘোচু উল্লু মনে করছস নাকি
আমাদের ফেমিলির সবার মোবাইলে ট্রেকিং চিপ লাগা আছে ঐটার মাধ্যমে আমরা এই এড্রেস ট্রেক করে এইখানে এসে পৌঁছনোর পর দেখলাম ঘোচু তুই আমার বউ কে মারতে চাস কুত্তা




তারপর ওকে আচ্ছা মত পিটাইলাম


























আমি- come out police officers and arrest them
তারপর পুলিশ রা এসে তাদের গ্রেফতার করল
তারপর আমরা মিলে আলভী বাপ্পি ভাবি বৃষ্টি কে ছাড়িয়ে নিলাম তারপর বৃষ্টি আমাকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে দিলো
আমি-আরে বউ কাঁদছো কেন
বৃষ্টি-আমি অনেক ভয় পেয়ে গেছিলাম 









আমি-এইযে এইভাবে কাঁদতে নেই ওকে আর দেখো সবাই দেখছে
আমার কথা শুনে সবাই অন্য দিকে ঘুরলো
পুলিশ-এই পাগলা তো রিয়াল পাগলা বন্দুক এর সেফটি পিন ই অফ করা
সবাই হেসে দিলাম













__ after hsc exam,এইচএসসি পরীক্ষার পর __
আমি ডাম্বেল নিয়ে শরীর চর্চা করতে করতে ঘেমে গিয়েছি বৃষ্টি টাওয়াল দিয়ে আমার ঘাম মুছতে আসলো
বৃষ্টি-ওরে আমার জামাই পুরো ঘেমে ভিজে গেছে(ঘাম মুছতে মুছতে)
আমি ওর কোমড় ধরে টান দিলাম
বৃষ্টি-আরে কি করছেন এইটা
আমি-কেন বউ তোমার সাথে রোমেন্স,,,,,,,,















বৃষ্টি-যাও তো দুষ্ট আমার কাজ আছে পরে যা করবার কইরেন
আমি-আচ্ছা পরে কিন্তু আমাকে আটকানো যাবে না
বৃষ্টি-ওকে
এই বলে বৃষ্টি কিচেনে চলে গেল
তারপর আমি একটু পর কিচেন এর সামনে লুকিয়ে দেখলাম ভাবি আছে কি না দেখলাম ভাবি নেই তারপর কিচেনে গিয়ে বৃষ্টি কে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরলাম
বৃষ্টি-এই কি করছেন কেউ দেখে ফেলবে
আমি-কেউ দেখবে না একটা কিস দাও তাহলে চলে যাবো
বৃষ্টি আমার গালে চুমু দিলো
তারপর আমি ওকে আরেকটু টাইট ভাবে জড়িয়ে ধরে গালে একটা কিস দিলাম তারপর ওকে ছেড়ে কিচেন থেকে বেরিয়ে গেলাম হটাৎ ভাবি আমাকে দেখে বললো
ভাবি-কিরে কিচেনে কি করছিলি
আমি-কই নাতো এমনেই গেছিলাম
ভাবি-আচ্ছা ঠিক আছে যা (বলে হাসতে হাসতে কিচেনে চলে গেলেন)
তারপর রাতে ডিনার করে নিলাম
তারপর রুমে গেলাম
গিয়ে বউকে জড়িয়ে ধরলাম
আমি-বউ এখন তো আমরা যথেষ্ট বড় হইছি তাইনা
বৃষ্টি-কই আমি তো এখনো ছোট শিশু বাচ্চা
আমি- কিসের ছোট শিশু বাচ্চা তুমি 18++ তোমার বয়স
বৃষ্টি- আচ্ছা বাবা হুম আমরা যথেষ্ট বড় হইছি কিন্তু কিসের জন্য
আমি- আহা বুঝো না
বৃষ্টি- না (বুঝেও না বুঝার ভান করছে)
আমি- আরে বউ
বৃষ্টি- আচ্ছা ওসব বাদ দিন আমি আছেনা একটা কিউট বেবি চাই
আমি-আরে বউ ঐটাই তো
বৃষ্টি- ঐটাই তো মানে









আমি- মানে আমার বউ কিউট বেবির পাওয়ার জন্য ও তো কিছু করতে হয় তাইনা
বৃষ্টি- কি করতে হয় (আমার একদম কাছে এসে)
তারপর আমি কিছু না বলে ওকে কোলে তুলে নিলাম
বৃষ্টি- আরে জামাই কি করছেন
আমি-কেন বউ তুমি বুঝো না
বৃষ্টি- না 













আমি-ওকে বুঝাচ্ছি
বলে ডুব দিলাম ভালোবাসার সাগরে,,,,

















__________পাঁচ বছর পর___________
রিয়া-আব্বু আর জেঠা আব্বু তুমি আমাকে এখন আর আদর ই করো না (গাল ফুলিয়ে রাগ করে)
আমি-কই মামুনি আমরা তো তোমাকে খুব আদর করি
রিয়া-তাহলে এখন আমার সাথে খেলো না আর ঘুরতেও নিয়ে যাওনা
ভাইয়া-এখন কাজের অনেক চাপ তো আচ্ছা যাও সব কাজ সাইডে চলো কোথাও ঘুরতো যাই(রিয়াকে কোলে নিয়ে)
আমি-হুম ঠিক আছে
রিয়া-সত্যি কোথায় নিয়ে যাবে
ভাইয়া-উমম তুমি ই বলো
রিয়া-সেন্ট মার্টিন যাবো আমি
আমি-ওকে done
ওকে তাহলে যার সাথে কথা বললাম রিয়া ও হলো আমার মেয়ে অনেক কিউট সবাই ওকে অনেক আদর করে।
তারপর পুরো ফেমিলি মিলে সেন্ট মার্টিন ঘুরতে গেলাম কিছুদিন থেকে বাসায় ফিরলাম।
রিয়া আব্বুর আম্মুর রুমে ঘুমোতে চাইলো so, উই ওখানেই ঘুমিয়ে পড়ল
আমি আর বৃষ্টি রুমে গেলাম আমি বললাম
আমি-বউ তোমার লাগে না যে রিয়া অনেক একা হয়ে গেছে আমরাও ওর সাথে খেলার জন্য সময় পাচ্ছি না ওর একটা খেলার সাথি প্রয়োজন হুম কি বলো
বৃষ্টি-মানে কি বুঝাতে চাচ্ছেন শুনি (না বুঝার ভান করে)
আমি-আহা বউ তোমার লাগে না ওর একটা ভাই অথবা বোন প্রয়োজন হুম
বৃষ্টি-হুম মনে হয় তো
আমি-তাহলে তো আমাদের কাজের লেগে পড়া উচিত
বৃষ্টি-কি কাজে









তারপর আমি কিছু না বলে ওকে একটা কিস দিয়ে কোলে তুলে বিছানায় শুইয়ে দিলাম তারপর যা হইছে ঐটা আপনার না জানলেও চলবে এত মাথা মারতে হবে না



















__________কিছু মাস পর________
বৃষ্টির ডেলিভারির কাজ চলছে এদিকে আমার খুব টেনশন হচ্ছে সবাই আমাকে শান্তনা দিচ্ছে
একটু পর ডক্টর আসলো
আমি- ডক্টর বৃষ্টির কি অবস্থা
ডক্টর- আরে don't worry সব কিছু অনেক ভালো ভাবে হয়ে গেছে আপনার একটা কিউট ছেলে হয়েছে
মিষ্টি খাওয়ান
আমি-ডক্টর সত্যি
ডক্টর-হ্যা 







তারপর একটা নার্স এসে আমার ছেলেকে দিয়ে গেল সবাই অনেক খুশি সবচেয়ে বেশি খুশি হলো রিয়া ও একটা কিউট ছোট ভাই পেয়েছে বলে
তারপর আমরা সবাই বৃষ্টির কেবিনে গেলাম তারপর ও বাচ্চাকে কোলে নিলো
আমি-অনেক কিউট না
বৃষ্টি-হুম পুরো তোমার মত চেহারা
আমি-হুম
তারপর আমি ওর কপালে একটা চুমু দিলাম তারপর বললাম
আমি- I love you বউ 













বৃষ্টি- I love you too জামাই 









এভাবেই চলতে থাকলো আমাদের ভালোবাসার জীবন















____________সমাপ্ত__________
এভাবেই ভালো থাকুক সকল হালাল ভালোবাসা আসুন সবাই মিলে হালাল ভালোবাসার সমাজ গড়ে তুলি এবং সকল হারাম অবরকতময় ভালোবাসাকে না বলি আর হালাল বৈবাহিক ভালোবাসা কে হা বলি আল্লাহ তায়ালা ওটাতে অনেক বরকত দিবে ইনশাআল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম 













Allah hafeez 








